Tag: Rape

Rape

  • Kaliaganj:  কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ভয়ে বাসিন্দারা রাত কাটাচ্ছেন ফসলের ক্ষেতে!

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ভয়ে বাসিন্দারা রাত কাটাচ্ছেন ফসলের ক্ষেতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মুহূর্তে পুলিশ বাড়িতে এসে তুলে নিয়ে যেতে পারে। সেই আতঙ্কে রাত কাটছে মাঠে, ফসলের ক্ষেতে। এমনই অবস্থা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা, রঘুনাথপুর, রাইপুর, মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। পুলিশ এটা বন্ধ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।

    পুলিশের ভয়ে বাড়িছাড়া

    নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। ভাঙচুর হয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানা, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল থানা সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। আর তার জেরে চলে পুলিশি অভিযান। এরই মাঝে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর এলাকার যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের। গত দশ দিন ধরে এত কাণ্ড কালিয়াগঞ্জে ঘটেছে। এরপরও কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু গ্রামে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এখনও কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা, রঘুনাথপুর, রাইপুর, মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না পুলিশের ভয়ে। যে কোনও মুহূর্তে পুলিশ এসে বাড়ির পুরুষ ও মহিলাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে, এমনই আশঙ্কায় রাতের বেলায় মাঠে কিংবা ফসলের ক্ষেতে থাকছেন তাঁরা।

    চাপা আতঙ্ক গোটা গ্রামে 

    রঘুনাথপুর এলাকার গ্রামবাসীদের দাবি, কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটায় নাবালিকার মৃত্যুতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, সেখানে তাঁরা ছিলেন না। এমনকী থানা ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও তাঁরা ছিলেন না। তারপরেও পুলিশ রাত হলেই আসছে এবং গ্রামবাসীদের ভয় দেখাচ্ছে। যার ফলে তাঁরা আতঙ্কিত। বিশেষ করে রাধিকাপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু হওয়ায় আতঙ্কের ছাপ গ্রামবাসীদের মুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় নির্ভয়ে গ্রামে থাকতে বললেও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে নাবালিকার মৃত্যুর পর তার গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পাহারা। বাড়ির কাছেই সমাধিস্থ করা হয়েছে নাবালিকাকে। পুলিশের সঙ্গে নাবালিকার গ্রামের মানুষদের কথাবার্তাও হচ্ছে। কিন্তু তারপরও এক চাপা আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। আর এই সমস্ত  কিছু কাটিয়ে গ্রামবাসীরা চাইছেন আবারও পুরোনো ছন্দে ফিরুক গ্রাম, স্বাভাবিক হোক জনজীবন।

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির

    পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। অপরদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ফোনে জানিয়েছেন, পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে পারেনি। মোয়াজ্জেম হোসেন গুলি করেছে। তাকে আইসিইউতে রেখে জামাই আদর করে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট চলছে। আর নিরীহ গ্রামবাসীরা, যারা কোনওভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে হয়রানি করছে। তাতে পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের যে ক্ষোভ জমা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই সমাজের পক্ষে মঙ্গল ডেকে আনবে না। পুলিশের উচিত প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা। পুলিশ যদি এটা বন্ধ না করে, মানুষের স্বার্থে বড় আন্দোলনে (Kaliaganj) নামার হুঁশিয়ারি দেন বাসুদেববাবু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    Post Poll Violence: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে এই ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস শুধু রাজনৈতিক সংঘর্ষ (Post Poll Violence) ছিল না, সামজিক, আর্থিক ও ধর্মীয় সন্ত্রাসেরও শিকার হতে হয়েছে অসহায় মানুষকে। ৩৮.২ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি, তাই চরম হিসাব দিতে হয়েছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের। নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি বাংলার নারীসমাজ। এমনটাই অভিযোগ বিরোধী দলের। অভিজ্ঞ মানুষের মুখেও বারবার শোনা গিয়েছে একটাই কথা, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বামপন্থী লাল সন্ত্রাসকেও বহুগুণ ছাপিয়ে গেছে এই রাজনৈতিক সবুজ সন্ত্রাস। 

    কেমন ছিল নারী নির্যাতনের ছবি?

    নির্বাচন সময়পর্বে কোচবিহারে রাজবংশী সমাজের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। নিখোঁজ তরুণীর বাবা পুলিশ সুপারের কাছে তা জানান। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসন ছিল নিষ্ক্রিয়। বিজেপির অভিযোগ, হুগলির বদনগঞ্জের মাধবী আদককে খুন করা হয়েছে কেবলমাত্র তাঁর ছেলে তাদের দল করে বলে। নন্দীগ্রামে বিবস্ত্র করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন (Post Poll Violence) করা হয়। সেই নির্যাতিতা নারীর সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। কোচবিহারের মাথাভাঙার শিকারপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে দুবার ভাবেনি দুষ্কৃতীরা। থানায় অভিযোগ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছিল। বর্ধমানের আউশগ্রামেও দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি সমর্থক দেবনাথ প্রামাণিকের স্ত্রী আর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ভোটদানের আগের দিন। ফলে তাঁদের পক্ষে আর ভোট দেওয়াই সম্ভব হয়নি।

    শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে এক গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে মায়ের গলায় দা ঠেকিয়ে কোলের সন্তানকে অপহরণ করেছিল স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় গুন্ডারাই এই অপকর্ম করেছে বলে সন্তানের মা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মেদিনীপুরের পটাশপুরে শাশ্বতী জানাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভাস্বতী বর্মনকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পায়ে গুলি চালায় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। এই খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বর্ধমানের জামালপুরে আশিষ ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপালকে টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয়। খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের বারাতলা পঞ্চায়েত এলাকায় এক পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। 

    বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুরের হ্যাচারি রোড ক্যানালপাড়ের বাজারে শুধুমাত্র বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে মেয়ের সামনে মাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে। ২৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় হইচই পড়ে যায়। সভ্য সমাজের আক্ষেপ, পশ্চিমবঙ্গ এইভাবে মা ও মেয়ের উপর অত্যাচার দেখবে বলে কোনওদিনই প্রস্তুত ছিল না। ১০ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক প্রতিনিধিদল গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে ধনিয়াখালির চকহিরণ্যবাটীতে গেলে অর্চনা মাঝি নামে এক সাধারণ মহিলা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ঘরছাড়া ছিলেন ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই। তৃণমূলের লোকেরা রোজ শাসাচ্ছে। অর্চনাদেবীর কাতর আবেদন ছিল, শান্তিতে যাতে থাকতে পারি, সেই ব্যবস্থা করুন। লোকাবাটি গ্রামের গৃহবধূ আসমা তারা জানিয়েছিলেন, ফল প্রকাশের পরের দিন দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে সমাজবিরোধীরা। ৩১ মে ভাটপাড়া পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুষ্কৃতীরা মা সুজাতা নাথ এবং ছেলে সঞ্জীব নাথকে মারধর করে। সঞ্জীব নিজে বিজেপি করত, এটাই ছিল তার অপরাধ। 

    সক্রিয় জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা এবং মহিলা কমিশন

    হিংসার কারণে ১ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ধর্ষণ, খুন নিয়ে (Post Poll Violence) বিশেষ চিঠি পাঠিয়েছিলেন। রামনগরে সন্ত্রাস চালায় তৃণমূল সন্ত্রাসীরা, এমনটাই অভিযোগ। যার প্রভাব পড়ে শিশুদের উপর। প্রায় ৬০০ পরিবার ঘরছাড়া এবং প্রায় ২০০ শিশু অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বলে কমিশন জানিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান। আবার বর্ধমানের আউসগ্রামের ৬০টি পরিবার ঘরছাড়া হয়। তাঁবুতে দিন কাটে তাদের। পরিবারগুলি অনাহারে দিনপাত করে। শিশুরা অভুক্ত, খাদ্য নেই, বস্ত্র নেই, চিকিৎসা নেই, এমনই ছিল করুণ অবস্থা। বারাসতের ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৫০ টি পরিবার, কল্যাণীতে ৩৫ টি পরিবার এবং নানুরে ১০০ পরিবার ঘরছাড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। (চলবে)

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Necrophilia cases in Pakistan: মহিলাদের মৃতদেহ তুলে ধর্ষণ! পাকিস্তানে কবরে দেওয়া হচ্ছে তালা

    Necrophilia cases in Pakistan: মহিলাদের মৃতদেহ তুলে ধর্ষণ! পাকিস্তানে কবরে দেওয়া হচ্ছে তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের মৃতদেহের প্রতিও বিকৃত যৌনাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানে! শুনতে অবাক এবং ঘৃণা লাগলেও এমন ঘটনাই সেদেশে ঘটছে। সমাজকর্মীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পাকিস্তানে মৃত মেয়েদের কবরে তালা লাগিয়ে তাদের শরীর রক্ষা করছে পরিবার। কবর থেকে মৃত যে কোনও বয়সের মেয়ের দেহ খুঁড়ে বের করে যৌন সঙ্গম, ধর্ষণ, অত্যাচার এবং শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা (Necrophilia cases in Pakistan) পাকিস্তানের সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ঘটনা ঠিক কী ঘটছে?

    পাকিস্তানের এক সমাজকর্মী সামজিক মাধ্যম ট্যুইটারে মৃত মেয়েদের কবরকে তালাবন্দি করে রাখার ছবি ছড়িয়ে দিয়ে জানান, মৃত মেয়েদের ধর্ষণ Necrophilia cases in Pakisthan আটকাতেই এই তালা। তবে এই ঘটনা আকস্মিক নয়। ২০২২ সালে পাকিস্তানের গুজরাটের চক কমলা গ্রামে এক কিশোরীর মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আসে। ২০২১ সালে উপকূলীয় শহর গোলামুল্লাহতে, ২০২০ সালে পাঞ্জাব শহরে, ২০১৯ সালে করাচির ল্যান্ড টাউনে, ২০১৩ সালে গুজরানওয়ালায় একইভাবে মৃত মহিলার দেহ তুলে নিয়ে সঙ্গম করে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ পাওয়া যায়। ২০১১ সালে উত্তর জানিমাবাদ থেকে মুহামদ রিজওয়ান নামক এক গোরস্থানের রক্ষীকে গ্রেফতার হয়। এই অভিযুক্ত স্বীকার করে যে প্রায় ৪৮ টি মৃত নারীর দেহ মাটি থেকে তুলে যৌন নির্যাতন (Necrophilia cases in Pakistan) করেছে। পাক প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে বিশেষ তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু কোনও সমাধান না হওয়ায় মৃত মেয়েদের অভিভাবকরা কবরে তালা দিয়ে মৃতের শরীরে যৌনাচার বন্ধের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। 

    সমাজ কর্মীদের প্রতিক্রিয়া

    পাকিস্তানের বিশিষ্ট সমাজকর্মী লেখক হারিস সুলতান ট্যুইটারে মৃত মেয়ের কবরে তালাবন্দি ছবি পোস্ট করে বলেন, পাকিস্তানে মৃত মেয়েদের যাতে ধর্ষণ না করা হয়, সেই জন্যই কবরে তালা। তাঁর লেখা একটি বই ‘দ্যা কারসি অফ গড হোয়াই আই লেফট ইসলাম’ তে তিনি পাকিস্তানের সমাজে বিকৃত যৌন আচরণের (Necrophilia cases in Pakisthan) মধ্যে ধর্মীয় অন্ধত্ব এবং গোঁড়ামি বিশেষ কারণ হিসাবে দেখিয়েছেন। পাকিস্তনের সাজিদ ইউসুফ শাহ নামে আরেক সমাজতাত্ত্বিক গবেষক মনে করেছেন, যৌন ক্ষুধা এবং অবদমিত সমাজ জন্ম নিয়েছে পাকিস্তানে। এই ঘটনাগুলি কোনও বিচ্ছিন্ন নয়, মৃতদেহকে কবর থেকে তুলে এনে যৌন সম্পর্ক, নিগ্রহ ও ধর্ষণের ঘটনা (Necrophilia cases in Pakistan) সামজিক সমস্যা। পাকিস্তানে ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইট বিশেষ রিপোর্টে জানিয়েছে যে, পাকিস্তানে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী জীবনে কোনও না কোনও রকম নির্যাতনের শিকার অবশ্যই হয়েছেন। সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, আগামী দিনে পাকিস্তান রাষ্ট্র এই বিকৃত যৌন সমস্যা এবং মৃত শরীরে যৌন নিগ্রহের বিষয়ে কী সদর্থক ভাবনাচিন্তা করে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কালিয়াগঞ্জের পর এবার কালিয়াচক! নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

    Malda: কালিয়াগঞ্জের পর এবার কালিয়াচক! নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এখনও এই খুনের ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় চারজন এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মঙ্গলবার সকালে মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার  উজিরপুরে এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় লোকজন মাঠের মধ্যে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদহ (Malda)  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার পাকাকোট এবং উজিরপুর গ্রামের মাঝখানে মাঠের মধ্যে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিন স্থানীয় লোকজন মাঠে কাজ করতে গিয়ে চাষের জমিতে ওই নাবালিকার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরীকে আমরা কেউ চিনতে পারছি না। সম্ভবত ওই কিশোরীর অন্য কোথাও বাড়ি। দুষ্কৃতীরা এখানে নিয়ে এসে অপকর্ম করে তাকে খুন করে চলে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাসচন্দ্র মণ্ডল বলেন, কালিয়াগঞ্জের ঘটনা আমরা খবরের কাগজে পড়ছি। টিভিতে দেখছি। এবার নিজেদের গ্রামে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে তা আশা করিনি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি। ফলে, আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। আমরা চাই, অবিলম্বে ওই নাবালিকা খুনে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের পুলিশ খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক। আর পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই খুনের ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: পানীয় জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

    Rape: পানীয় জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের গৃহবধূকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের নাম ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায়। তারা লাভপুর থানায় কর্মরত।  বৃহস্পতিবারই তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    কয়েকদিন আগে চার বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে লাভপুরে একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায় নামে  দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। চরম গরমের কারণে ওই বধূ সিভিকদের কাছে গিয়ে পানীয় জল চান। এমনিতেই দুপুরের দিকে মন্দির চত্বর ফাঁকা ছিল। জানা গিয়েছে, ওই দুই সিভিক পানীয় জলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই জল খেয়ে ওই বধূ অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে সাহায্য করার নাম করে সিভিক ভলান্টিয়াররা  অতিথি শালায় নিয়ে যান। সঙ্গে করে চার বছরের শিশু কন্যাকে তাঁরা নিয়ে যান। এরপর অতিথিশালার ভিতরে পালা করে তারা ওই বধূকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ। পরে, ওই বধূ বাড়ি ফিরে গিয়ে প্রথমে ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। পরে, তিনি স্বামীকে সমস্ত বিষয়টি খুলে বলেন। এরপরই স্ত্রীকে সঙ্গে করেই তাঁর স্বামী ১৯ এপ্রিল বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত, নদিয়ার হাঁসখালিতে কিশোরীকে ধর্ষণ (Rape) এবং পরে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের বাড়িতে মদ্যপানের আসরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুধু হাঁসখালি নয় তেহট্টের বাড়িতে মা বাবার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১৫ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের (Rape)  অভিযোগ উঠেছিল এক পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। এবার মন্দিরের অতিথিশালা নিয়ে গিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে বীরভূম জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই ঘটনায় যা যা করার দরকার তা করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, উত্তাল কালিয়াগঞ্জ, লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস

    Rape: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, উত্তাল কালিয়াগঞ্জ, লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল কালিয়াগঞ্জ থানার সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি। রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা৷ অবিলম্বে অভিযুক্ত ওই যুবককে তাদের সামনে হাজির করানোর দাবি তোলেন তাঁরা। সব মিলিয়ে কালিয়াগঞ্জে রাজ্য সড়কের উপর ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে পালোই বাড়ি এলাকার একটি পুকুরের পাশে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই যুবক ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ৷ এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই যুবতীকে পুকুরের জলে চুবিয়ে মারা হয় বলে জানান মৃতার আত্মীয়রা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি টিয়ার গ্যাসের সেলও ফাটাল পুলিশ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রী ও অভিযুক্ত যুবক ভিন্ন সম্প্রদায়ের৷ মৃতার বাড়ি মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবঘাটার গাঙ্গুয়া এলাকায়। নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীর৷ এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে এলাকার দোকানপাটও বন্ধ করে দেন তাঁরা। আন্দোলনের তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাস্তার ওপর কাঠকুট ফেলে আগুনের তীব্রতা বাড়ান ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা৷ পুলিশের সামনেই লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন তাঁরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স৷ উত্তেজিত জনতাকে পালটা ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটাতে দেখা যায় পুলিশকে৷ ঘটনায় মহিলা, পুরুষ সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক কালিয়াগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেছে।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape) করে খুন করা হল। আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি খাটানোর পর এবার রাজবংশী সম্প্রদায়ের ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ভাইপোর নবজোয়ার কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের আইন বলে কিছু নেই। এর দাম চোকাতে হচ্ছে মহিলাদের। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুষ্কৃতীরা সাহস পাচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিভি দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের এক তৃণমূল নেতার ছেলে। এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে খোঁজ করে না পেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ধর্ষণের প্রতিবাদে এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইলেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল। 

    মূল অভিযোগ কী(Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর সোমাবার ১৩ বছরের এক নাবালিকা, পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। সেই সময় এক যুবক ওই নাবালিকাকে জোর করে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এলাকার একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়িতে। এরপর ওই নির্জন বাড়িতে শারীরিক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী দেখে ফেলেন, কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে আটকানোর চেষ্টা করলে উলটে হুমকি দেয় যুবক। এরপর গত মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত যুবক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলনেতা

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বাবা তৃণমূলের নেতা। এরপর আজ বুধবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে এলাকার মানুষ গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গেলে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও পৌঁছান। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণকরা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দুস্কৃতীরা দলের নাম ভাঙিয়ে খারাপ কাজ করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজদের উদ্দেশ্যকে পূরণ করে।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (Hooghly) অঞ্জনা দাস বলেন, “অভিযুক্তরা চার ভাই, ওরা পাড়ায় একদম ভালো ব্যবহার করেনা।” আবার অভিযুক্তের বাবা বলেছেন, “আমার পরিবার রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হচ্ছে। আমি আগে কংগ্রেস করতাম, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কাজে থাকি। আমার ছেলে অন্য রাজ্যে কাজ করে। এখন বাড়িতে এসেছে। একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত। ওর সামনেই বিয়ে। চক্রান্ত করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হোক”! শিলিগুড়ির ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হোক”! শিলিগুড়ির ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। রাজ্যে ধর্ষকদের এনকাউন্টার করার পক্ষে সওয়াল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে অনুসরণ করা উচিত বলেও দাবি করেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মাত্র দু’দিনের মধ্যেই তিনটি নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এখানে আইনের শাসন নেই। তাই অপরাধীদের মন থেকে ভয় চলে গিয়েছে। যেখানে অল্প সময়ে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার কথা, সেখানে অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে যোগী আদিত্যনাথের মতো এক জন কড়া প্রশাসক দরকার। এই ধরনের অপরাধ যারা করছে, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। প্রয়োজনে এদের এনকাউন্টার করে দেওয়া উচিত।’’

    শুভেন্দুর অভিমত

    বিরোধী দলনেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে নাবালিকারাও সুরক্ষিত নয়। তিনি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে একের পর এক নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আর মানুষের চোখে ধুলো দিতে পুলিশ অভিযুক্তদের শুধু গ্রেফতার করে। তার পর তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয় না আর শাস্তির ব্যবস্থাও করে না।” মাটিগাড়ায় নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত আব্বাসের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ দেখিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, সোমবার শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়ায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর স্কুলের পোশাক পরা দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সোমবার রাতেই মাটিগাড়ার লেনিন পল্লি থেকে আব্বাস নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘এনআইএ তদন্ত হলে যাদবপুর থেকে গাঁজার চাষ উপড়ে ফেলবো’’, বললেন শুভেন্দু

    হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ ও মাটিগাড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হাঁসখালি থেকে শুরু করে রাজ্যে কোথাও নাবালিকা নির্যাতনে অভিযুক্তদের শাস্তি হয়নি। আমরা ফাঁসি চাই। এই ধরণের নরকের কীটদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। কালিয়াগঞ্জে অভিযুক্ত জাভেদের শাস্তির ব্যবস্থা করলে মাটিগাড়ার ঘটনা ঘটত না। উলটে আপনার পুলিশ অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেনকে দিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বুকে গুলি করালেন।” মহিলাদের সুরক্ষার প্রশ্নে মমতা প্রশাসনের নিন্দা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ খুনিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজন হলে এনকাউন্টার করা উচিত। এদের থাকা উচিত না সমাজে। এই সব ঘৃণিত জীব, পাষণ্ড। এদের কোনও হুঁশ নেই।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Consensual Sex: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    Consensual Sex: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুটি পৃথক মামলা, পৃথক হাইকোর্ট! সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ককে (Consensual Sex) ধর্ষণ বলতে রাজি নয় দিল্লি ও কর্নাটক হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ‘পকসো আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের যৌনশোষন থেকে রক্ষা করা। আইনটি তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ককে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করে না।’ একটি পকসো মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। বিচারপতি আরও উল্লেখ করেছেন, জেলে অপরাধীদের সঙ্গে রাখা একজন যুবকের ভাল হবে না, আরও খারাপের দিকে চলে যাবে সে। এই বলে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আদালত।

    দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    অভিযোগ, ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরী ২০ বছর বয়সি এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ঘটনায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তখন পরিবারের সদস্যরা ওই যুবকের বিরুদ্ধে কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তোলে। সেই ঘটনায় ২০২১ সালে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলে রয়েছে ওই যুবক। জামিনের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানায় ওই যুবক। মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চে। আদালতের মতে, ১৭ বছর বয়সি ওই মেয়েটির সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।  বিচারপতি বিকাশ মহাজনের পর্যবেক্ষণ, ‘যখন তাদের শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তখন যুবতীর বয়স ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ বছর। একটা প্রেমের সম্পর্ক বোঝার জন্য এই বয়স যথেষ্ট। এছাড়া অভিযুক্তের সঙ্গে সহমতেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। শারীরিক সম্পর্কের পথে তারা এগিয়েছিল নিজেদের ইচ্ছায়।’

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    কর্নাটক হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    অন্যদিকে ৬ বছর ধরে সম্মতিক্রমেই শারীরিক সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই মহিলাকে বিয়ে করেননি এক ব্যক্তি। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই মহিলা। তবে কর্নাটক হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্য়মে তাদের মধ্য়ে পরিচয় হয়েছিল। তবে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেই ২০১৯ সাল থেকে তাদের মধ্য়ে সম্পর্ক। তবে কর্নাটক হাইকোর্ট জানিয়েছে, ৬ বছর ধরে যাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে সেটাকে কখনওই ধর্ষণ বলে বলা যাবে না। আদালত জানিয়েছে ৫ বছর ধরে সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হলে সেটা কোনওভাবেই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়। এরপর কর্নাটক হাইকোর্ট ধর্ষণের অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছে।  বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, প্রথম দিন থেকে তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা হয়েছিল। তবে পারস্পরিক সম্মতিতে যে যৌনক্রিয়া সেটাকে ধর্ষণ বলে উল্লেখ করা যাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ে প্রবেশ করতে পারছেন না সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। তবে বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ তিনি। বললেন, ‘‘এ ভাবে বিপ্লব আটকানো যায় না।’’ভাঙড়ের পরিস্থিতি জানিয়ে, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন তিনি। জানালেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রেও অভিযোগ জানাবেন। 

    ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠাই লক্ষ্য

    মঙ্গলবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে স্বাগত জানাতে যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘১৪৪-এর অজুহাতে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে আমি সেখানে ছাড়পত্র পাব।’’ নওশাদের কথায়, ‘‘আমায় ১৪৪ ধারার কথা বলে যে ভাবে আটকাচ্ছে (পুলিশ), তাতে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার স্যার (বিধানসভার স্পিকার)— সমস্ত দফতরকে জানিয়েছি। এর পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব। আমার লক্ষ্য, ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা।’’ ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেন,‘‘ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন সেটা ব্যবস্থা করব আমি। যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছিল, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছিল, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের শিরোনামে নিয়ে গেল, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঘুমোতে দেব না।’’

    নওশাদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত ওই রক্ষাকবচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, ২৭ জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেরর মামলায় কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের তিন দিন আগে, ৫ জুলাই নিউ টাউন থানায় ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। তাঁকে ‘সহায়তা’ করেছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। ওই অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন নওশাদ। পরে জানা যায়, ডোমকল শহরে তৃণমূলের সর্বশেষ যে কমিটি ঘোষিত হয়েছিল, তাতে মোট পাঁচ জনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। তার চার নম্বরে নাম ছিল নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী তরুণীর। 

LinkedIn
Share