Tag: Rath Yatra

Rath Yatra

  • Rath Yatra 2025: পুরীর রথযাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল জানেন?

    Rath Yatra 2025: পুরীর রথযাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার ২৭ জুন পবিত্র রথযাত্রা। হিন্দু ধর্মের অন্যান্য উৎসবের মতোই রথযাত্রাও এক জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান (Rath Yatra 2025)। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়ে থাকে। ভারতবর্ষের বহু জায়গায়, বিশেষ করে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়। ওড়িশার পুরীর রথ সারা পৃথিবী বিখ্যাত। তবে শুধু ভারতবর্ষে নয়, ডাবলিন মস্কো এবং নিউ ইয়র্ককেও রথযাত্রার পালিত হয়।

    ‘রথ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ যুদ্ধযান বা চাকাযুক্ত ঘোড়ায় টানা হালকা যাত্রীবাহী গাড়ি হলেও, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে রথ শব্দের অর্থ কিন্তু ভিন্ন। ভক্তদের মতে, রথ একটি কাঠের তৈরি যান, যার উপরে ভগবান জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম বসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করেন। ভগবানের এই রথ আরোহণই ‘রথযাত্রা’ (Rath Yatra 2025) নামে পরিচিত। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এবং কবে থেকে রথযাত্রার আবির্ভাব হল।

    রথযাত্রার পৌরাণিক ইতিহাস (Rath Yatra 2025)

    রথ যাত্রার এই কাহিনীর সঙ্গে জড়িত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। আর জগন্নাথ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই এক রূপ। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ অনুযায়ী, এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল সম্ভবত দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে। তখন ওড়িশা মালবদেশ নামে পরিচিত ছিল। সেখানকার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণুর জগন্নাথরূপী মূর্তি নির্মাণ করেন এবং রথযাত্রারও স্বপ্নাদেশ পান।

    লোকমুখে শোনা যায়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পান যে পুরীর (Puri) সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি নির্মাণ করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী মূর্তি নির্মাণের জন্য যখন রাজা উপযুক্ত শিল্পীর সন্ধান করছিলেন, ঠিক তখনই এক বৃদ্ধ তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন। তিনি জানান তিনিই এই মূর্তিটি তৈরী করবেন এবং রাজার কাছে মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন, পাশাপাশি ওই বৃদ্ধ বলেন এই মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেয়।

    দরজার আড়ালে শুরু হয় কাঠের মূর্তি নির্মাণ। রাজা-রানীসহ সকলেই এই মূর্তি নির্মাণকাজের ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। রানি প্রতিদিন বন্ধ দরজার বাইরে থেকে কান পেতে আওয়াজ শুনতো। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই আওয়াজ একদিন বন্ধ হয়ে যায়। রানী কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে রাজাকে জানাতেই ইন্দ্রদ্যুম্ন দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন, দেখেন মূর্তি অর্ধসমাপ্ত এবং শিল্পী উধাও। এই রহস্যময় শিল্পী ছিলেন বিশ্বকর্মা।

    তিনটি অর্ধসমাপ্ত মূর্তি দেখে অর্থাৎ হাত ও পা নির্মিত হয়নি বলে রাজা মুষড়ে পড়লেন। কাজে বাধাদানের জন্য রাজা অনুতাপ করতে থাকলেন। তখন তাঁকে স্বপ্ন দিয়ে জগন্নাথ বললেন যে, এরকম আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তিনি এই রূপেই পূজিত হতে চান। এভাবেই আবির্ভাব ঘটে জগন্নাথ দেবের এবং সেই থেকেই শুরু তাঁর পুজো (Rath Yatra 2025)। পরবর্তীকালে রাজা পুরীর (Puri) এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন।

    রথের বিশেষত্ব

    পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত তিনটি রথের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম ‘নান্দীঘোষ’, বলরামের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। এই তিনটি রথের উচ্চতা এবং রঙও আলাদা হয়। জগন্নাথ দেবের রথে ১৮টি চাকা থাকে, বলরামের রথে থাকে ১৬টি চাকা। জগন্নাথ এবং বলরামের বোন সুভদ্রার রথে থাকে ১২টি চাকা।

    বর্তমানে এই রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত এবং সারা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে এক আনন্দের অনুষ্ঠান। ভক্তদের সমাগমে ছেয়ে যায় পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বা শ্রীক্ষেত্র। ভারতবর্ষের সকল মানুষ অপেক্ষায় থাকেন এই উৎসবের জন্য।

  • Rath Yatra 2025: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ, রাজকীয় পদগুলি কী কী জানেন?

    Rath Yatra 2025: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ, রাজকীয় পদগুলি কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথের দিনগুলিতে (Rath Yatra 2025) পুরীতে তুমুল আয়োজন পুরীর জগন্নাথধামে। রথযাত্রার একাধিক উপাচারের অন্যতম আকর্ষণ হল জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ (Puri Chappanna Bhog) নিবেদন। ৫৬ ভোগের রাজকীয় সেই খাবারের পদগুলি থেকে নিয়ম সবক্ষেত্রেই পাওয়া যায় পুরাণকথার একাধিক আঙ্গিক। কিন্ত কেন দেওয়া হয় এই বিশেষ ভোগ?

    ৫৬ ভোগ নিয়ে কী বলছে পুরাণ? (Puri Chappanna Bhog)

    পুরাণ মতে, যশোদা বালক কৃষ্ণকে আট প্রহর খেতে দিতেন। কিন্তু, একটা সময় ইন্দ্রের রোষে পড়ে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় প্রাণীদের রক্ষা করতে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পাহাড় তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাতদিন ওইভাবেই তিনি ছিলেন। খাবার ও জল কোনও কিছুই মুখে দেননি। প্রলয় বন্ধ হওয়ার পর সেই পাহাড় নামিয়ে রেখেছিলেন। এদিকে যে ছেলে দিনে আটবার খাবার খেত তাকে টানা সাতদিন অনাহারে থাকতে দেখে কেঁদে উঠেছিল যশোদার মন। তখন ব্রজবাসী-সহ যশোদা সাতদিন ও আট প্রহরের হিসেবে কৃষ্ণের জন্য ৫৬টি পদ পরিবেশন করেছিলেন। আর সেই থেকেই নারায়ণের ছাপ্পান্ন ভোগ (Puri Chappanna Bhog) চলে আসছে।

    মর্ত্যে এসে চার ধাম যাত্রা করেন ভগবান বিষ্ণু (Rath Yatra 2025)

    এও কথিত আছে, ভগবান বিষ্ণু মর্ত্যলোকে এসে তাঁর চার ধামে যাত্রা করেন। এই চার ধাম হল- বদ্রীনাথ ধাম, দ্বারিকা ধাম, পুরী ধাম এবং রামেশ্বরম। প্রথমে হিমালয়ের শিখরে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধামে স্নান করেন, তারপর গুজরাটের দ্বারিকা ধামে গিয়ে বস্ত্র পরিধান করেন, ওড়িশার পুরী ধামে ভোজন করেন আর সবশেষে রামেশ্বরমে গিয়ে বিশ্রাম নেন। আর পুরী ধামে যেখানে তিনি ভোজন করেন সেখানে ভোগের কোনও চমক থাকবে না (Rath Yatra 2025) এটা কখনও হয়। পুরাণ মতে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত করা হয় জগন্নাথদেবকে। জগন্নাথের মধ্যে বিষ্ণুর সকল অবতারের চিহ্ন আছে। আর সেই কারণে তাঁকেও অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ।

    কী কী পদ থাকে এই ছাপ্পান্ন ভোগে?

    জগন্নাথকে দেওয়া ৫৬ ভোগে (Puri Chappanna Bhog) রাখা হয়— ১) উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, ২) নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু, ৩) খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর, ৪) দই, ৫) পাচিলা কদলি অর্থাৎ পাকা কলা, ৬) কণিকা অর্থাৎ সুগন্ধী ভাত, ৭) টাটা খিচুড়ি অর্থাৎ শুকনো খিচুড়ি, ৮) মেন্ধা মুণ্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরণের কেক, ৯) বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক, ১০) মাথা পুলি অর্থাৎ পুলি পিঠে, ১১) হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক, ১২) ঝিলি অর্থাৎ এক ধরণের প্যান কেক, ১৩) এন্ডুরি অর্থাৎ নারকেল দিয়ে তৈরি কেক, ১৪) আদাপচেদি অর্থাৎ আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, ১৫) শাক ভাজা, ১৬) মরিচ লাড্ডু অর্থাৎ লঙ্কার লাড্ডু, ১৭) করলা ভাজা, ১৮) ছোট্ট পিঠে, ১৯) বরা অর্থাৎ দুধ তৈরি মিষ্টি, ২০) আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ২১) বুন্দিয়া অর্থাৎ বোঁদে, ২২) পাখাল অর্থাৎ পান্তা ভাত, ২৩) খিরি অর্থাৎ পায়েস, ২৪) কাদামবা অর্থাৎ বিশেষ মিষ্টি ২৫) পাত মনোহার মিষ্টি ২৬) তাকুয়া মিষ্টি, ২৭) ভাগ পিঠে, ২৮) গোটাই অর্থাৎ নিমকি, ২৯) দলমা অর্থাৎ ভাত ও সবজি, ৩০) কাকারা মিষ্টি ৷ ৩১) লুনি খুরুমা অর্থাৎ নোনতা বিস্কুট, ৩২) আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি, ৩৩) বিড়ি পিঠে, ৩৪) চাড়াই নাডা মিষ্টি, ৩৫) খাস্তা পুরি, ৩৬) কদলি বরা, ৩৭) মাধু রুচি অর্থাৎ মিষ্টি চাটনি, ৩৮) সানা আরিশা অর্থাৎ রাইস কেক, ৩৯) পদ্ম পিঠে, ৪০) পিঠে, ৪১) কানজি অর্থাৎ চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি. ৪২) দাহি পাখাল অর্থাৎ দই ভাত, ৪৩) বড় আরিশা, ৪৪) ত্রিপুরি, ৪৫) সাকারা অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি, ৪৬) সুজি ক্ষীর, ৪৭) মুগা সিজা, ৪৮) মনোহরা মিষ্টি, ৪৯) মাগাজা লাড্ডু, ৫০) পানা, ৫১) অন্ন, ৫২) ঘি ভাত, ৫৩) ডাল, ৫৪) বেসর অর্থাৎ সবজি বিশেষ, ৫৫) মাহুর অর্থাৎ লাবরা, ৫৬) সাগা নাড়িয়া অর্থাৎ নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত।

  • Rath Yatra: পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে প্রথম রথযাত্রা, দূর্গে পরিণত পুরী, এআই ক্যামেরা, মোতায়েন ১০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী

    Rath Yatra: পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে প্রথম রথযাত্রা, দূর্গে পরিণত পুরী, এআই ক্যামেরা, মোতায়েন ১০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, ২৭ জুন পালিত হবে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। উৎসবকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে পুরীতে। এই প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার দিক থেকে পুরীকে (Puri) একপ্রকার দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে শহরজুড়ে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পর এই বছরের রথযাত্রা নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Rath Yatra)।

    পুরীর ২৫০-এর বেশি স্থানে বসানো হল এআই ক্যামেরা (Puri)

    পুরীর ২৫০টিরও বেশি স্থানে বসানো হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (AI) নজরদারি ক্যামেরা। এর মাধ্যমে ট্রাফিক, ভিড় ও যে কোনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হবে (Rath Yatra)। নিরাপত্তা কর্মীরা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবেন।

    কী বলছেন ওড়িশা পুলিশের ডিজিপি ওয়াই বি খুরানিয়া?

    ওড়িশা পুলিশের ডিজিপি ওয়াই বি খুরানিয়া জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো এনএসজি (ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড) কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে। আকাশপথে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে সাব কন্ট্রোল রুম। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে পুলিশ ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালাবে। এছাড়া মোতায়েন করা হয়েছে অ্যান্টি-সাবোটাজ টিম, বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াড (Rath Yatra)।

    ভক্তদের সহায়তায় চালু চ্যাটবট অ্যাপ্লিকেশন

    সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতেও রাখা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে ওড়িশা মেরিন পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা। রথযাত্রায় আগত ভক্তরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন, সেজন্য অ্যাপ্লিকেশনও চালু করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ভক্তদের (Rath Yatra) সহায়তার জন্য চালু করা হয়েছে একটি চ্যাটবট অ্যাপ্লিকেশন, যার মাধ্যমে পার্কিং, রথযাত্রার রুটম্যাপ ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে। ওড়িশা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগত ভক্তদের সকলরকম পরিষেবা, সুরক্ষা ও সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হবে এই বছরের পুরীর রথযাত্রা।

  • Rath Yatra: মালদায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি দিল না মমতা-পুলিশ

    Rath Yatra: মালদায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি দিল না মমতা-পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মালদার কালিয়াচকের জালালপুরে মন মহাপ্রভু মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবছর আয়োজিত হয় এই ঐতিহ্যবাহী রথের মেলা (Rath Yatra)। চলতি বছর মেলার উদ্যোক্তাদের কালিয়াচক থানা থেকে জানানো হয়েছে, মেলা করা যাবে না। রথের মেলা বন্ধ হতেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, মমতা জমানায় কেন বারবার কোপের মুখে পড়তে হচ্ছে হিন্দু উৎসবকে? এর কারণ কি তোষামোদের রাজনীতি? মুসলিম-তোষণ, মুসলিমদের কোনও পরবে কোনও বাধা নেই। হিন্দুদের উৎসব হলেই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা কেন থাকে প্রশাসনের?

    প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ উদ্যোক্তারা (Malda News)

    এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন উদ্যোক্তারা। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা দাবি করেছেন, আইন-শৃঙ্খলার অজুহাতে মেলার অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। তবে এখানেই থেমে থাকবেন না বলেও জানান তাঁরা। উদ্যোক্তারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। স্থানীয় গবেষকদের মতে, কালিয়াচকের জালালপুরে মন মহাপ্রভু মন্দিরের এই রথের মেলা চলতি বছরে ৬২৯ বছরে পা দিতে চলেছে। প্রতি বছর রথ যাত্রার (Rath Yatra) দিন থেকেই শুরু হয় এই মেলা। রথের দড়িতে টান পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে মেলা। সেই সময় দোকানপাট, মিষ্টির দোকান, নাগরদোলা সহ নানা কিছুর সমাহারে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    পুলিশের যুক্তি

    তবে এবারই প্রথম, যখন এই মেলার অনুমতি দিল না পুলিশ (Malda News)। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করেন। পুলিশ রথযাত্রার (Rath Yatra) অনুমতি দিলেও মেলার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রথের মেলাকে ঘিরে অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। এমনকি, অতীতে মেলাকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি তাদের। তাই আইন-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়েই মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    অযৌক্তিক কথা বলছে পুলিশ! দাবি উদ্যোক্তাদের

    এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ উদ্যোক্তারা। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক শতাব্দী পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলার (Rath Yatra) বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাঁরা আরও বলেন, পুলিশের কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা—সেই কাজে ব্যর্থ হলে মেলাকে দায়ী করা যায় না। তাঁদের প্রশ্ন, হাসপাতালেও তো প্রতারণা হয়, তবে কি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে? উদ্যোক্তারা আরও জানান, এই মেলা শুধুই ধর্মীয় উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় অর্থনীতি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষ মেলায় অংশগ্রহণ করেন। এলাকার বহু মানুষের জীবিকা এই মেলার উপর নির্ভরশীল। তাই মেলার অনুমতি আদায়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঐতিহ্যবাহী রথের মেলা

    প্রসঙ্গত, কালিয়াচকের এই রথযাত্রা (Rath Yatra) ও মেলা অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন। গবেষকদের দাবি, বেণীমাধবের পঞ্জিকাতেও এই রথযাত্রার উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘জালালপুর রথযাত্রা’ নামেই পরিচিত। শুধু মালদা নয়, প্রতিবছর আশপাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ এই রথ ও মেলা উপলক্ষে এখানে ভিড় জমান। মেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের জন্য নিজস্ব জমিও রয়েছে এবং তা দেবোত্তর সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত। তবু এবছর সেই মেলার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

    রথযাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক কী বলছেন?

    রথযাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক গৌতম মণ্ডল জানান, প্রতি বছর ৯ দিন ধরে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয় এবং এতে বিপুল জনসমাগম হয়। তবে এবারে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত অনুমতি মেলেনি। গৌতম মণ্ডলের আশঙ্কা, যদি উৎসব বন্ধ হয়ে যায়, তবে দেবোত্তর জমি দখল করে সেখানে জমি মাফিয়ারা প্লট তৈরি করে বিক্রি করতে পারে।

    কী বলছে বিজেপি?

    উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং প্রয়োজনে আন্দোলনেও নামবেন। পুলিশের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে গেরুয়া শিবির। মালদা দক্ষিণ বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ শাসকদলের তাঁবেদারি করছে। তাঁর দাবি, দেবোত্তর জমির উপর এই রথযাত্রা উৎসব হয়, তা দখল করতে জমি মাফিয়াদের সাহায্য করছে পুলিশ।

  • Bipadtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী পুজো, কেন পালিত হয় এই ব্রত, জানুন মাহাত্ম্য

    Bipadtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী পুজো, কেন পালিত হয় এই ব্রত, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিপত্তারিণী পুজো (Bipadtarini Puja)। প্রত্যেক বছর আষাঢ় মাসে রথযাত্রা এবং উল্টোরথের মধ্যে যে শনি এবং মঙ্গলবার পড়ে সেই দুই দিনেই পালিত হয় বিপত্তারিণী ব্রত উত্‍সব। কথিত আছে, এই ব্রত পালন করার সময় দেবীর চরণে উৎসর্গকৃত ‘লাল তাগা’ বা লাল সুতো হাতে বাঁধা থাকলে বিপদ ধারকাছেও ঘেঁষতে পারবে না। এবছর, ৯ জুলাই মঙ্গলবার এবং ১৩ জুলাই শনিবার পালিত হবে বিপত্তারিণী ব্রত।

    যিনি বিপদকে তারণ করেন তিনিই বিপত্তারিণী

    দেবাদিদেব মহাদেবের অর্ধাঙ্গিনী, আদি শক্তি হলেন দেবী দুর্গা। অন্যান্য দেবী তাঁরই অবতার বা ভিন্ন রূপ। দেবী দুর্গার ১০৮ রূপের মধ্যে এক রূপ, দেবী বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja)। সঠিক অর্থে বিশ্লেষণ করলে ‘বিপত্তারিণী’ বা ‘সঙ্কটনাশিনী’ দেবীর নাম নয়, উপাধি। যিনি বিপদ তারণ করেন, তিনিই বিপত্তারিণী। আবার সব রকমের সঙ্কটকে বিনাশ করেন, তাই তিনিই সঙ্কটনাশিনী (Maa Kali Sankatnashini)। আসলে, মহামায়ার আলাদা করে কোনও নাম হয় কি? ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ ইনিই। আবার ‘দশমহাবিদ্যা’ও তাঁরই রূপের প্রকাশ।

    স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja)

    বাংলায় ঘরে ঘরে বিবাহিত মহিলারা স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় মা বিপত্তারিণী পুজো করেন। গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন। কিন্তু জানেন কি এই পুজোর মাহাত্ম্য? দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত রয়েছে। দেবীর বিপত্তারিণী রূপ নিয়ে ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণে’ কাহিনীটি বেশ জনপ্রিয়—

    ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণে’ কী বলা হয়েছে?

    কথিত আছে, শুম্ভ-নিশুম্ভ, অসুর ভ্রাতৃদ্বয়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে দেবগণ একবার মহামায়ার স্তব করছেন, এমন সময় শিবজায়া পার্বতী সেখানে হাজির হয়ে শুধালেন, “তোমরা কার স্তব করছ গো?” যাঁর স্তব, তিনি স্বয়ংই এ প্রশ্ন করছেন। কিন্তু দেবতারা তাঁকে চিনতে পারলেন না। তখন পার্বতী নিজের স্বরূপ দেখিয়ে বললেন, “তোমরা আমারই স্তব করছ।” এর পরবর্তীতে দেবী শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন। দেবতাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। সেই থেকে বিপত্তারিণী পুজোর (Bipadtarini Puja) উৎস।

    দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত

    এই পুজোর একটি কাহিনি রয়েছে। ব্রতকথা অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের এক রানির এক নিম্নবর্ণের সখী ছিলেন। তিনি জাতে মুচি। এই মহিলা নিয়মিত গোমাংস খেতেন। রানিও একদিন কৌতূহলী হয়ে গোমাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রথমে তিনি নিমরাজি হন। পরে তিনি রানির আদেশ রক্ষার্থ গোমাংস আনেন। অন্তঃপুরে গোমাংস প্রবেশ করেছে— এই খবর রাজার কাছে পৌঁছে যায়। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে রানিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন। রানি গোমাংস তাঁর বস্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে রেখে বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja) মা দুর্গাকে স্মরণ করতে থাকেন। রানিকে তল্লাশি করে রাজা দেখতে পান তাঁর বস্ত্র আড়ালে গোমাংস নয়, রয়েছে একটি লাল জবা ফুল। লাল জবা কালী পুজোর অন্যতম উপকরণ। মায়ের এই পুষ্প দেখে রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। রানিকে ক্ষমা করে দেন। মা বিপত্তারিণী দুর্গার কৃপায় রানির বিপদ কেটে গেল। এরপর থেকে রানি নিষ্ঠা-সহকারে বিপত্তারিণীর (Maa Kali Sankatnashini) ব্রত করতে থাকলেন। সেই থেকেই বিপত্তরিণীর পুজো প্রচলিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri Chappanna Bhog: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?

    Puri Chappanna Bhog: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথের দিনগুলিতে (Rath Yatra 2024) পুরীতে তুমুল আয়োজন পুরীর জগন্নাথধামে৷ রথযাত্রার একাধিক উপাচারের অন্যতম আকর্ষণ হল জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ (Puri Chappanna Bhog) নিবেদন। ৫৬ ভোগের রাজকীয় সেই খাবারের পদগুলি থেকে নিয়ম সবক্ষেত্রেই পাওয়া যায় পুরাণকথার একাধিক আঙ্গিক। কিন্ত কেন দেওয়া হয় এই বিশেষ ভোগ? 

    ৫৬ ভোগ নিয়ে কী বলছে পুরাণ? (Puri Chappanna Bhog)

    পুরাণ মতে, যশোদা বালক কৃষ্ণকে আট প্রহর খেতে দিতেন। কিন্তু, একটা সময় ইন্দ্রের রোষে পড়ে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় প্রাণীদের রক্ষা করতে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পাহাড় তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাতদিন ওইভাবেই তিনি ছিলেন। খাবার ও জল কোনও কিছুই মুখে দেননি। প্রলয় বন্ধ হওয়ার পর সেই পাহাড় নামিয়ে রেখেছিলেন। এদিকে যে ছেলে দিনে আটবার খাবার খেত তাকে টানা সাতদিন অনাহারে থাকতে দেখে কেঁদে উঠেছিল যশোদার মন। তখন ব্রজবাসী-সহ যশোদা সাতদিন ও আট প্রহরের হিসেবে কৃষ্ণের জন্য ৫৬টি পদ পরিবেশন করেছিলেন। আর সেই থেকেই নারায়ণের ছাপ্পান্ন ভোগ (Puri Chappanna Bhog) চলে আসছে।

    মর্ত্যে এসে চার ধাম যাত্রা করেন ভগবান বিষ্ণু…

    এও কথিত আছে, ভগবান বিষ্ণু মর্ত্যলোকে এসে তাঁর চার ধামে যাত্রা করেন। এই চার ধাম হল- বদ্রীনাথ ধাম, দ্বারিকা ধাম, পুরী ধাম এবং রামেশ্বরম। প্রথমে হিমালয়ের শিখরে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধামে স্নান করেন, তারপর গুজরাটের দ্বারিকা ধামে গিয়ে বস্ত্র পরিধান করেন, ওড়িশার পুরী ধামে ভোজন করেন আর সবশেষে রামেশ্বরমে গিয়ে বিশ্রাম নেন। আর পুরী ধামে যেখানে তিনি ভোজন করেন সেখানে ভোগের কোনও চমক থাকবে না এটা কখনও হয়। পুরাণ মতে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত করা হয় জগন্নাথদেবকে। জগন্নাথের মধ্যে বিষ্ণুর সকল অবতারের চিহ্ন আছে। আর সেই কারণে তাঁকেও অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ। 

    কী কী পদ থাকে এই ছাপ্পান্ন ভোগে? 

    জগন্নাথকে দেওয়া ৫৬ ভোগে (Puri Chappanna Bhog) রাখা হয়— ১) উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, ২) নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু, ৩) খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর, ৪) দই, ৫) পাচিলা কদলি অর্থাৎ পাকা কলা, ৬) কণিকা অর্থাৎ সুগন্ধী ভাত, ৭) টাটা খিচুড়ি অর্থাৎ শুকনো খিচুড়ি, ৮) মেন্ধা মুণ্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরণের কেক, ৯) বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক, ১০) মাথা পুলি অর্থাৎ পুলি পিঠে, ১১) হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক, ১২) ঝিলি অর্থাৎ এক ধরণের প্যান কেক, ১৩) এন্ডুরি অর্থাৎ নারকেল দিয়ে তৈরি কেক, ১৪) আদাপচেদি অর্থাৎ আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, ১৫) শাক ভাজা, ১৬) মরিচ লাড্ডু অর্থাৎ লঙ্কার লাড্ডু, ১৭) করলা ভাজা, ১৮) ছোট্ট পিঠে, ১৯) বরা অর্থাৎ দুধ তৈরি মিষ্টি, ২০) আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ২১) বুন্দিয়া অর্থাৎ বোঁদে, ২২) পাখাল অর্থাৎ পান্তা ভাত, ২৩) খিরি অর্থাৎ পায়েস, ২৪) কাদামবা অর্থাৎ বিশেষ মিষ্টি ২৫) পাত মনোহার মিষ্টি ২৬) তাকুয়া মিষ্টি, ২৭) ভাগ পিঠে, ২৮) গোটাই অর্থাৎ নিমকি, ২৯) দলমা অর্থাৎ ভাত ও সবজি, ৩০) কাকারা মিষ্টি ৷ ৩১) লুনি খুরুমা অর্থাৎ নোনতা বিস্কুট, ৩২) আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি, ৩৩) বিড়ি পিঠে, ৩৪) চাড়াই নাডা মিষ্টি, ৩৫) খাস্তা পুরি, ৩৬) কদলি বরা, ৩৭) মাধু রুচি অর্থাৎ মিষ্টি চাটনি, ৩৮) সানা আরিশা অর্থাৎ রাইস কেক, ৩৯) পদ্ম পিঠে, ৪০) পিঠে, ৪১) কানজি অর্থাৎ চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি. ৪২) দাহি পাখাল অর্থাৎ দই ভাত, ৪৩) বড় আরিশা, ৪৪) ত্রিপুরি, ৪৫) সাকারা অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি, ৪৬) সুজি ক্ষীর, ৪৭) মুগা সিজা, ৪৮) মনোহরা মিষ্টি, ৪৯) মাগাজা লাড্ডু, ৫০) পানা, ৫১) অন্ন, ৫২) ঘি ভাত, ৫৩) ডাল, ৫৪) বেসর অর্থাৎ সবজি বিশেষ, ৫৫) মাহুর অর্থাৎ লাবরা, ৫৬) সাগা নাড়িয়া অর্থাৎ নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত। (Rath Yatra 2024)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra in Puri: রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভিড় নিয়ন্ত্রণই চিন্তা পুলিশের

    Rath Yatra in Puri: রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভিড় নিয়ন্ত্রণই চিন্তা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা। রবিবার সারা দেশে পালিত হবে রথযাত্রা (Rath Yatra in Puri)। আগামী ৭ জুলাই পুরীতে রথযাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রৌপদী শনিবার চার দিনের ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন। রবিবার তিনি পুরীতে থাকবেন। রথযাত্রা উপলক্ষে এমনিতেই পুরীতে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়। তার উপর থাকবেন রাষ্ট্রপতি। এখন নিরাপত্তাই চিন্তার কারণ ওড়িশা পুলিশের। 

    পুরীর নিরাপত্তা (Rath Yatra in Puri)

    রবিবার পুরীতে রথযাত্রা (Rath Yatra in Puri) উৎসবে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। ওড়িশা পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) তথা পুরীর রথযাত্রার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সঞ্জয় কুমার শনিবার বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ সাম্প্রতিক হাথরসকাণ্ডের কথা মাথায় রেখে ভিড় নিয়ন্ত্রণে এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বস্তুত, জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ ঘিরে গত কয়েক বছর ধরেই কড়া নিরাপত্তা থাকে পুরীতে। কেউ সহজে রথ ছুঁতে পারেন না। 

    আরও পড়ুন: ফের বিপাকে মহুয়া! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম (Rath Yatra in Puri)

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এবছর পুরীতে রথযাত্রা (Rath Yatra in Puri) উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হবে। পুরীর জেলা আধিকারিক বলেন, “এবারের রথযাত্রার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। কারণ এবারেই নেত্রোৎসব, নবযৌবন উৎসব এবং রথযাত্রা এই তিন রীতিই একই দিনে পড়েছে। ফলে ভিড় অন্যবারের থেকে অনেকটা বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই বছরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূও (President Draupadi Murmu) রথযাত্রা অনুষ্ঠানের দিন পুরীতে আসবেন। ফলে নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে রাখতে হবে”। দ্রৌপদী একদা ওড়িশার রায়রংপুরের বিজেপি বিধায়ক ছিলেন। বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রীপদেও ছিলেন তিনি। সে সময় প্রায়শই তিনি জগন্নাথদেব দর্শনে যেতেন। ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেও পুরীর মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন দ্রৌপদী। এবছর তিনি যোগ দেবেন রথযাত্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra 2024: পুরীর রথযাত্রায় তিন দেবদেবীর রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    Rath Yatra 2024: পুরীর রথযাত্রায় তিন দেবদেবীর রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কৃত ভাষায় রথ (Rath Yatra 2024) মানে গাড়ি এবং যাত্রা মানে মিছিল। ক্ষণিকের জন্য জগন্নাথদেবকে রথের উপর দর্শন করাকে বহু পুণ্য কর্মের ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস, এই রথযাত্রা এতটাই পবিত্র যে, কেউ যদি এই দিনে রথ অথবা রথের রশি স্পর্শ করেন, তাহলে বহু পুণ্য কর্মের ফল লাভ করতে পারেন।

    পুরীর রথযাত্রার বিশেষত্ব

    জগন্নাথদেবের রথযাত্রায় আজও আমরা দেখে থাকি, প্রতিবছর রথযাত্রার উদ্বোধন করেন সেখানকার রাজা। রাজত্ব না থাকলেও বংশ পরম্পরাক্রমে পুরীর রাজপরিবারের নিয়মানুযায়ী, যিনি রাজা উপাধিপ্রাপ্ত হন, তিনিই এই যাত্রার সূচনা করেন। জগন্নাথ, বলরাম ও দেবী সুভদ্রার পরপর তিনটি রথের সামনে এসে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথের সম্মুখভাগ ঝাঁট দেওয়ার পরই পুরীর রথের রশিতে টান পড়ে। শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা (Rath Yatra Chariots)।

    পুরীর রথযাত্রা (Rath Yatra 2024) উৎসব হচ্ছে, বড় ভাই বলরাম বা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন যাত্রার স্মারক। তিন জনের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি রথ। রথযাত্রা উৎসবের মূল দর্শনীয় জিনিস হল এই রথ তিনটি। প্রথমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাই বলভদ্রের রথ। তারপর সুভদ্রা এবং শেষে জগন্নাথ।

    পুরীর এই রথ তিনটির আলাদা আলাদা নাম। জগন্নাথ দেবের রথ — নন্দী ঘোষ, বলরামের রথ — তালধ্বজ ও সুভদ্রার রথ — দর্পদলন নামে পরিচিত। প্রতি বছর উল্টোরথের পর রথ তিনটি ভেঙে ফেললেও রথের পার্শ্বদেবদেবীর মূর্তি, সারথি ও ঘোড়াগুলিকে সযত্নে তুলে রাখা হয়। 

    এক নজরে রথ তিনটির (Rath Yatra Chariots) পরিচয়…

    নন্দীঘোষ (জগন্নাথ): কথিত আছে, এই রথটি (Rath Yatra 2024) দেবরাজ ইন্দ্র শ্রীজগন্নাথদেবকে প্রদান করেছিলেন। এই রথ নির্মাণে ছোট বড় ৮৩২টি কাঠের টুকরো লাগে। উচ্চতা ৪৪’২” বা ১৩.৫ মিটার। দৈর্ঘ্য ৩৪’৬” এবং প্রস্থ ৩৪’৬”। আগে ১৮টি চাকা থাকলেও, বর্তমানে ১৬টি থাকে। রথের ধ্বজার নাম ত্রৈলোক্যমোহিনী ও রশির নাম শঙ্খচূড় নাগিনী। দ্বারপাল ব্রহ্মা ও ইন্দ্র। রথে উপস্থিত নয় জন পার্শ্ব দেবগণ হলেন — বরাহ, গোবর্ধন, কৃষ্ণ/গোপীকৃষ্ণ, নৃসিংহ, রাম, নারায়ণ, ত্রিবিক্রম, হনুমান ও রুদ্র। এঁদের সঙ্গে রয়েছেন ধ্যানমগ্ন ঋষিরা — নারদ, দেবল, ব্যাসদেব, শুক, পরাশর, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র ও মরীচি। লাল ও হলুদ কাপড়ে মোড়া এই রথে (Jagannath Chariot) কালো রঙের চারটি ঘোড়া হল— শঙ্খ, বলাহক, শ্বেত ও হরিদাক্ষ। রথের সারথি দ্বারুজ ও রক্ষক গরুড়। রথের কলসের নাম হিরন্ময়। রথের দ্বারপাল জয়, বিজয়। রথের রজ্জুর নাম শঙ্খচূড়। রথের নেত্রর নাম তৈলক্ষ মোহিনী। রথের অধীশ্বর প্রভু জগন্নাথ।

    তালধ্বজ (বলভদ্র/বলরাম): ৭৬৩টি ছোট বড় কাঠের টুকরো দিয়ে নির্মিত এই রথ। এই রথের (Rath Yatra 2024) উচ্চতা ৪৪’ বা ১৩.২ মিটার। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৩৩’ x ৩৩’। আগে ১৬টি থাকলেও এখন চাকার সংখ্যা ১৪টি। ধ্বজার নাম উন্মনী এবং রশির নাম বাসুকী নাগ। ন’জন পার্শ্বদেবতা হলেন — গণেশ, কার্তিক, সর্বমঙ্গলা, প্রলম্ব, হলায়ুধ, মৃত্যুঞ্জয়, নাটেশ্বর, মহেশ্বর ও শেষদেব। দ্বারপাল রুদ্র ও সাত্যকি। সারথি মাতলি এবং রক্ষক বাসুদেব। রথের শ্বেতবর্ণের চারটি ঘোড়ার নাম তীব্র, ঘোর, শ্রম (স্বর্ণনাভ) ও দীর্ঘ (দীর্ঘশর্মা)। সুদর্শন চক্রের পাশে দুটি পাখির (কাকাতুয়া) নাম স্বধা ও বিশ্বাস। রথটি সবুজ ও লাল কাপড়ে মোড়া। রথের ধ্বজার/পতাকার নাম উন্মনী। 

    দর্পদলন (সুভদ্রা): ৫৯৩টি টুকরো কাঠ দিয়ে তৈরি এই রথের (Rath Yatra 2024) উচ্চতা ৪২’৩” বা ১২.৯ মিটার এবং দৈর্ঘ্য – প্রস্থ ৩১’৬” x ৩১’৬”। চাকার সংখ্যা ১২। ধ্বজার নাম নাদম্বিক এবং রশির নাম স্বর্ণচূড় নাগ। ধ্বজার পাশের পাখি দুটির নাম শ্রুতি ও স্মৃতি। রথটি (Rath Yatra Chariots) লাল ও কালো কাপড়ে ঢাকা। ন’জন পার্শ্বদেবী হলেন — চণ্ডী, চামুণ্ডা, মঙ্গলা, উগ্রতারা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, শ্যামাকালী, বিমলা ও বরাহি। দ্বারপালিকা — ভূদেবী ও শ্রীদেবী। সারথি অর্জুন আর রক্ষক জয়দুর্গা। লাল রঙের ঘোড়া চারটির নাম রচিকা, মোচিকা, জিতা ও অপরাজিতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snan Yatra 2024: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    Snan Yatra 2024: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024)। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্নানযাত্রা হয়। যে কারণে, এই পূর্ণিমাকে দেবস্নান পূর্ণিমা বা স্নান পূর্ণিমা বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এদিন বাংলা, ওড়িশা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহাসমারোহে পালিত হয়। তবে, সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয় পুরী ধামে। ফলে, সারা বিশ্বের চোখ এখন পুরীতে। এছাড়া, এ রাজ্যের মাহেশেও বড় করে হয় এই উৎসব। এদিনের এই শুভ তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শুভ বা পুণ্য কাজ সারেন। 

    রথযাত্রার (Rath Yatra) ঢাকে কাঠি…

    জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024) থেকেই ঢাকে কাঠি পড়ে গেল রথযাত্রার। প্রস্তুতি-পর্ব যদিও আরও সপ্তাহ তিনেক আগে প্রভুর চন্দন-যাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। দীর্ঘগরমে ভক্তদের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষার আগমনে হয় স্নানযাত্রা। যা থেকেই কার্যত রথযাত্রার কাউন্টডাউন শুরু হয় বলে ধরে নেওয়া হয়। এদিন জগন্নাথ ধাম মন্দিরের স্নান কক্ষে (Snan Yatra 2024) রীতি মেনে ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০৮ কলসে সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানোর পালা চলে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা ত্রয়ীকে। প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম এবং শেষে সুভদ্রার পুজো করে নিয়ে যাওয়া হয় স্নানের জন্য৷ অনুষ্ঠানের পর গজাননের পোশাকে সজ্জিত হন প্রভু জগন্নাথ।

    জ্বর আসবে জগন্নাথদেবের…

    সাধারণত বছরে একবার মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথ তার ভাই বোনদের সঙ্গে স্নান করেন (Snan Yatra 2024)। এই দিনটি জগন্নাথের জন্মদিন হিসেবেও পালিত হয়। যার ফলে, এদিন ধুম জ্বর আসে জগন্নাথদেবের। ফলে, ১৫ দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। এই সময়ে শ্রীমন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। ভক্তরা প্রভুর দর্শন করতে পারেন না। অন্তরালেই রাখা হয়ে এই তিন দেবদেবীকে। বিশ্বাস, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক পাঁচন খেয়ে ১৫ পর সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথদেব। চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলা হয়। সুস্থ হয়ে উঠেই জগন্নাথদেব নতুন বেশভূষায় সুসজ্জিত হয়ে দর্শন দেন। তখন জগন্নাথধামে পালিত হয় নেত্রোৎসব বা নবযৌবন উৎসব। এরপর, তিন ভাই-বোন মাসির বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় করেন। রাজবেশে সজ্জিত হয়ে, মহাসমারোহে রথে চেপে তাঁদের মাসির বাড়ি যান। তাই স্নানযাত্রার সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে রথযাত্রা(Rath Yatra)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra: বীরনগরে মুখার্জি পরিবারের তামা ও পিতল মিশ্রিত রথে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া

    Rath Yatra: বীরনগরে মুখার্জি পরিবারের তামা ও পিতল মিশ্রিত রথে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহ দুয়ার মুখার্জি পরিবার। নামটা অতি পরিচিত নদিয়ার বীরনগরবাসীর কাছে। প্রায় ৭০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এবং মিশ্রিত ধাতুর তৈরি রথে পূজিত হন আরাধ্য দেবতা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা (Rath Yatra)। মুখার্জি বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, রথটি ৭০০ বছর আগে ঢাকা থেকে নদিয়ার ফুলিয়াতে আনা হয়। সেখানে ২০০ বছর অবস্থান করার পর নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জি পরিবারে। রথটি তৈরি তামা ও পিতল দিয়ে। রথের চাকাও তৈরি মিশ্রিত ধাতু দিয়ে। এখনও মুখার্জি পরিবারে গেলে দেখা যাবে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া। সুদর্শন কারুকার্যের মধ্যে দিয়ে এখনও ফুটে ওঠে ইটের প্রাচীর।

    রথ উৎসবের (Rath Yatra) দিন সবাই একত্রিত হন

    একটা সময় দেশ-বিদেশ থেকে পণ্ডিতরা আসতেন। ধুম ধাম করে পালিত হত রথ উৎসব (Rath Yatra)। উৎসব শেষে পণ্ডিতরা দীর্ঘদিন ওই স্থানে বসবাস করতেন। কিন্তু হঠাৎই গভীর রাতে চুরি করার উদ্দেশ্যে ছক করে একদল ডাকাত। এরপর চুরি করে নেয় রথের সারথি ও মূল্যবান বেশ কিছু ধাতু। তারপর থেকে সারা বছরই বিগ্রহ দেবতাদের রাখা হয় মুখার্জি বাড়ির একটি শিব মন্দিরে। তবে সেকালের রথ উৎসবের জাঁকজমকে এখন অনেকটাই ঘাটতি পড়েছে। চিরাচরিত প্রথা মেনে রথ উৎসব পালন হলেও আগের মতো আর মানুষের আনাগোনা দেখা যায় না। তবে পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও এই রথ উৎসবের দিন সবাই একত্রিত হয়ে পালন করেন রথ উৎসব। মিশ্রিত ধাতুর রথের চারদিকে ঘুরলে দেখা যাবে সেকালের শিল্পীদের অপূর্ব কারুকার্য, যা এখনকার শিল্পীদের ভাবনার বিষয়। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী রথের রশিতে টান দেন মুখার্জি পরিবারের বংশধররা। এর পরে একই জায়গাতে রেখে দেওয়া হয় মিশ্রিত ধাতুর তৈরি রথ সহ আরাধ্য দেবতা জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা দেবীকে।

    এখনও নিয়মিত পালিত হয় এই রথযাত্রা (Rath Yatra)

    আজ উল্টোরথ, সকাল থেকেই রথকে সাজানো হয় সুন্দরভাবে। বিকেলের পরে হরিনাম সংকীর্তন করে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হবে আবার শিব মন্দিরে। বংশের ৩৬ তম বংশধর অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ৭০০ বছর আগে ঢাকা থেকে এই রথটি ফুলিয়া এলাকায় ছিল প্রায় ২০০ বছর ধরে। বিভিন্ন কারণে পরবর্তীকালে ওই রথ নিয়ে এসে নিজেদের বাড়িতে একটি মন্দিরে রাখে আমাদের এই বংশধরের। প্রাচীন সেই রীতি মেনেই এখনও নিয়মিত পালিত হয় এই রথযাত্রা (Rath Yatra)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share