Tag: RAW Chief

RAW Chief

  • Parag Jain: অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা! পাকিস্তানের খুঁটিনাটি নখদর্পণে, আইপিএস পরাগ জৈন এবার ‘র’-এর প্রধান

    Parag Jain: অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা! পাকিস্তানের খুঁটিনাটি নখদর্পণে, আইপিএস পরাগ জৈন এবার ‘র’-এর প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর ছিল তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত। পাকিস্তানের খুঁটিনাটি তাঁর নখদর্পণে। ভারতের ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ বা র (R&AW) -এর পরবর্তী প্রধান হলেন ১৯৮৯-র ব্যাচের আইপিএস অফিসার পরাগ জৈন (Parag Jain)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি তাঁকে ‘র’ প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছে। এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় এই গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ছিলেন রবি সিং। মঙ্গলবার, ১ জুলাই থেকে টানা দুবছর এই নতুন দায়িত্ব সামলাবেন পরাগ।

    অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন তিনি ছিলেন ‘অ্যাভিয়েশন রিসার্চ সেন্টার’-এর প্রধান পদে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর মোদি সরকার পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাতের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু একদেশ থেকে আরেক দেশে বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে প্রাণঘাতী আক্রমণ শানানোর মতো কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। সেই কঠিন কাজটি সহজ করে দিয়েছিলেন এই দুঁদে আইপিএস অফিসার। তাঁর দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় বায়ুসেনা বিভাগ পাক পাঞ্জাব ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে লক্ষ্যভেদী হামলা চালায়। পাকিস্তানের মাটি থেকে শুরু করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তার দেখানো পথেই পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ভারতীয় সেনা।

    পাকিস্তান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান

    জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত অভিজ্ঞতা রয়েছে পরাগ জৈনের (Parag Jain)। ‘র’-এর অন্দরে ‘পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে পরিচিতি পরাগ। পূর্বে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাস দমন অভিযানেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার অপারেশন বালাকোটের সময় কাশ্মীর উপত্যকাতেই ছিলেন পরাগ। দেশের গোয়েন্দা মহলে পরাগকে ‘সুপার স্লিউথ’ বলে ডাকা হয়। পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁর তথ্যভাণ্ডার অনেক গুপ্তচরেরই ঈর্ষার কারণ। হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স-এর সঙ্গে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর সমন্বয়ের জন্য তাঁর খ্যাতি রয়েছে গোয়েন্দা মহলে। এর আগে তিনি পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি-র দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    দক্ষ অফিসার হিসেবে প্রসিদ্ধ

    পাঞ্জাব ক্যাডারের আইপিএস পরাগ জৈন। ক্যারিয়রের শুরু দিকে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা, হোশিয়ারপুর, মানসা এলাকায় পোস্টিং ছিল এই আইপিএস অফিসারের। খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসের মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। পরবর্তীকালে লুধিয়ানার ডিআইজি থাকাকালীন পাঞ্জাবে মাদক পাচার চক্র দমনেও দক্ষতার পরিচয় দেন এই আইপিএস অফিসার। তবে এবার সেখান থেকে উঠে এসে তার ওপর আরও বড় দায়িত্ব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরণের আপোষ করা হবে না। সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই পথেই করা হল পদক্ষেপ।

  • RAW Chief: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

    RAW Chief: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘র’-এর প্রধান (RAW Chief) পদে নিয়োগ করা হল অভিজ্ঞ আইপিএস (IPS) অফিসার রবি সিনহাকে। ছত্তিসগড় ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। ‘র’-এর দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের বিশেষ সচিবের দায়িত্বে। সাত বছর ‘র’-এর অপারেশনাল বিভাগের প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছে রবি। এবার তাঁকে নিয়োগ করা হল ‘র’-এর প্রধানের পদে। মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি তাঁর নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী দু বছর ওই পদে থাকবেন তিনি। সামন্ত কুমার গোয়েলের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন রবি। ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হবে গোয়েলের।

    নয়া পদে রবি সিনহা

    সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রি পরিষদের নিয়োগ কমিটি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েটের সচিবালয়ের বিশেষ সচিব আইপিএস অফিসার শ্রী রবি সিনহাকে, ৩০ জুন সামন্ত গোয়েলের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর গবেষণা ও বিশ্লেষণ উইংয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। পদের দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরের দু বছর বা পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন।

    ‘র’-এর জন্ম

    ১৯৬৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ‘র’-এর (RAW Chief)। এই সংস্থার প্রাথমিক কাজ হল বিদেশে গোয়েন্দাগিরি করে তথ্য সংগ্রহ করা। সন্ত্রাসবাদ বিস্তার প্রতিরোধে ভারত সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়াও এর কাজ। ‘র’-এর প্রথম প্রধান ছিলেন রামেশ্বর নাথ কাও। টানা ন’ বছর ওই পদে ছিলেন তিনি। রবি এই সংস্থার ২৩তম প্রধান।

    আরও পড়ুুন: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে পড়াশোনা রবির। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে লো প্রোফাইল অফিসার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রবীণ আইপিএস অফিসার রবি তাঁর পেশাদারি দক্ষতার জন্য গোয়েন্দাদের মধ্যে বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তি। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির বিষয়ে বিষেশজ্ঞ হিসেবেই তাঁকে চেনে নয়াদিল্লি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘র’-কে (RAW Chief) উন্নত করতে বড় ভূমিকা রয়েছে রবির। বিভিন্ন সময়ে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারতের উপদ্রুত এলাকাগুলিতে এবং বামপন্থী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ছত্তিসগড় ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারের ঝুলিতে। নয়াদিল্লির আশা, রবি প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সেই কারণেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫৯ বছর বয়সী এই আইপিএস অফিসারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share