Tag: RBI

RBI

  • RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারত (RBI)। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতীয় রুপির (Rupee) ব্যবহার বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির জন্য বিশেষ রুপি ভস্ত্রো অ্যাকাউন্ট (Special Rupee Vostro Accounts সংক্ষেপে  SRVA) খোলার প্রক্রিয়া সহজ হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য রুপিতে অর্থ জমা ও ব্যবহার করতে পারে। ফলে ভারতীয় রফতানিকারী এবং আমদানিকারীদের ডলার বা ইউরোর মতো তৃতীয় পক্ষের কোনও মুদ্রার প্রয়োজন হয় না।

    নয়া নিয়ম (RBI)

    নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলার ক্যাটাগরি-১-এ অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের জন্য এসআরভিএ খোলার আগে আর আরবিআইয়ের আগাম অনুমতি নিতে হবে না। আগে প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদাভাবে আরবিআইয়ের অনুমোদন নিতে হত। এতে সব কাজে দেরি হত। এই পরিবর্তনের ফলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজ হবে। বিদেশি ব্যাঙ্কের জন্য এই রুপি অ্যাকাউন্ট দ্রুত খোলার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আরবিআইয়ের আশা, বাণিজ্য নিষ্পত্তির গতি বাড়বে, ভারতের বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেম শক্তিশালী হবে এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে রুপিকে একটি নির্ভরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।

    আববিআইয়ের সার্কুলার

    এই পদক্ষেপটি সার্কুলার নং আরবিআই/২০২৫-২৬/৭১ এর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় এবং আরবিআইয়ের চিফ জেনারেল ম্যানেজার এন সেন্টিল কুমার স্বাক্ষর করেন। এটি বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (FEMA), ১৯৯৯-এর ১০(৪) ও ১১(১) ধারা অনুসারে গৃহীত হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী ব্যবস্থার থেকে ভিন্ন, যেখানে প্রতিটি এসআরভিএ খোলার জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্কের পৃথক অনুমোদন প্রয়োজন হত। বর্তমান বিশ্বে স্থানীয় মুদ্রা চাপের মধ্যে রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ১ মার্কিন ডলারের মূল্যমান ৮৬.৭০ রুপিতে পৌঁছেছে। বিদেশি মুদ্রার অস্থিরতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক পথজুড়ে নিষেধাজ্ঞার চলমান প্রভাব, এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক দেশের অর্থনীতিকে তাদের লেনদেন নিষ্পত্তির বিকল্প বৈচিত্র্যময় করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ভারত ইতিমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং মলদ্বীপের সঙ্গে মউ (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যা স্থানীয় মুদ্রায়, বিশেষত রুপিতে লেনদেনকে (Rupee) সক্ষম করবে।

    ভারতীয় রুপির কাঠামো

    ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ জুলাই ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য ভারতীয় রুপির কাঠামোর একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার পর এসেছে। ওই কাঠামোর অধীনে ভারতীয় রফতানিকারী ও আমদানিকারীদের জন্য বিশেষ ভোস্ট্রো রুপি অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল, যাতে তাঁরা তৃতীয় দেশের মুদ্রা, যেমন ডলার বা ইউরো ব্যবহার না করেই রুপিতে পণ্য বিল, অর্থপ্রদান এবং বাণিজ্যিক লভ্যাংশ পেতে পারেন (RBI)। নয়া ব্যবস্থায় এসআরভিএর জন্য আরবিআইয়ের আগাম অনুমতির প্রয়োজন নেই। এডি ক্যাটেগরি-১ ব্যাঙ্কগুলি এখন তাদের সম্পর্ক থাকা বিদেশি সমতুল্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরাসরি এসআরভিএ খুলতে পারবে, আরবিআইয়ের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে এবং ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের সদস্য ও গ্রাহকদের এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। প্রক্রিয়াগত বাধা দূর হলেও ব্যাঙ্কগুলিকে এখনও বিদ্যমান ফেমা আইন, কেওয়াইসি নির্দেশিকা, অর্থপাচার প্রতিরোধ নীতি এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিধি মেনে চলতে হবে।

    সুবিধা পাবেন কারা

    ভারতের বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিরা এখন তাঁদের ভারতীয় রুপি অ্যাকাউন্ট, বিশেষ নন রেসিডেন্ট রুপি অ্যাকাউন্ট এবং এসআরভিএতে থাকা ব্যালেন্স ব্যবহার করে বিদেশে নন-ডেট (non-debt) উপকরণে, যেমন এফডিআইয়ে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ভারতীয় রফতানিকারীরা এখন বিদেশে বিদেশি মুদ্রায় মনোনীত (Rupee) অ্যাকাউন্ট খুলে রফতানি থেকে প্রাপ্ত আয় নিতে এবং সেই অর্থ ব্যবহার করে আমদানি করতে পারবেন (RBI)। প্রশ্ন হল, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? প্রথমত এর কার্যকরী দক্ষতা। অনুমোদনের ধাপ বাতিল হওয়ায় বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের অনবোর্ডিং সময়সীমা কমবে। দ্রুত কার্যকরী প্রক্রিয়াকরণ মানে ব্যবসায়িক চুক্তি প্রক্রিয়াগত জটিলতা বা বিলম্ব ছাড়াই সম্পন্ন হবে। দ্বিতীয়ত, এটি রুপিকে একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত নিষ্পত্তি মুদ্রা করার প্রচেষ্টার অংশ। তৃতীয়ত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য (RBI) রুপিতে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়। এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চতুর্থত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য আইএনআরে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়।

    ডলার সংকটে সুফল দেবে

    এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পঞ্চমত, আইএনআরে চালান করার ফলে বহু বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ধাপ বাদ যায়, যা কিছু অংশীদারের জন্য ভারতীয় পণ্য ও সেবাকে তুলনামূলকভাবে সস্তা (Rupee) করে তুলতে পারে। ষষ্ঠত, বর্তমানে ২০টিরও বেশি দেশে ৮০টির বেশি এসআরভিএ কার্যকর রয়েছে। এটি ডলার-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলেও ভারতের শক্তিশালী বাণিজ্য প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

  • RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতি খুব ভালোভাবে চলছে। বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি অবদান রাখছে ভারত। এমন মন্তব্য করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে (Indian Economy) “মৃত” বলে মন্তব্য করার পর এই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আর্থিক নীতি কমিটির (MPC) বৈঠক হয়। সেখানেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৫.৫ শতাংশই থাকছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল

    আরবিআই (RBI) সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সঞ্জয় বলেন, “চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে আইএমএফ ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ বলে অনুমান করছে। আমরা প্রায় ১৮ শতাংশ অবদান রাখছি, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি — তাদের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ বা তারও কম।” তিনি বলেন, “আমরা খুব ভালো করছি এবং ভবিষ্যতেও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবো।” তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তিনি বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে মার্কিন শুল্কের বড় কোনও প্রভাব পড়বে বলে আমাদের মনে হয় না।”

    পাশে রয়েছে ভারত সরকার

    ভারত-মার্কিন বানিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনার সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “আমি পরোয়া করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে। ওরা একসাথে নিজেদের মৃত অর্থনীতি নিয়ে এগিয়ে যাক।” ভারতের (Indian Economy) রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত নিয়েই ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধরনে মন্তব্য শুধুমাত্র ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিতে পারে না, বরং ভারতের ওপর ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট শুল্ক বা রাশিয়ান তেল আমদানির কারণে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও তৈরি করেছে। আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর পুনম গুপ্ত বলেন, “এই ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের মুদ্রাস্ফীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।” এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে ভারত যদি রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধও করে দেয়, তাহলেও দেশীয় মুদ্রাস্ফীতির ওপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান আরবিআই গভর্নর। তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছরে যদি তেলের দাম বেড়ে যায়, তাহলে সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমাতে পারে যাতে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব না পড়ে।”

  • RBI: ভারতের চতুর্থ প্রান্তিকে বাড়ল জিডিপির হার, জানাল আরবিআই

    RBI: ভারতের চতুর্থ প্রান্তিকে বাড়ল জিডিপির হার, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় উদ্বৃত্ত নগদের জোগান এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪-২৫) ভারত ১৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা জিডিপির ১.৩ শতাংশ পরিমাণ উদ্বৃত্ত (Current Account Surplus) হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুক্রবার প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তথ্যে এই কথা জানানো হয়েছে।

    কী বলল আরবিআই

    আরবিআই জানিয়েছে, “২০২৪-২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ভারতের চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত ছিল ১৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (জিডিপির ১.৩ শতাংশ), যেখানে ২০২৩-২৪ এর একই প্রান্তিকে তা ছিল ৪.৬ বিলিয়ন (০.৫ শতাংশ)। তৃতীয় প্রান্তিকে (২০২৪-২৫) এটি ছিল ঘাটতির পর্যায়ে, ১১.৩ বিলিয়ন ডলার (জিডিপির ১.১ শতাংশ)।” চলতি হিসেব উদ্বৃত্তের এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ হল প্রবাসী ভারতীয়দের রেমিটেন্স বৃদ্ধিকে। চতুর্থ প্রান্তিকে পণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের ৫২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি । অন্যদিকে, নানা খাতে নিট আয় ৫৩.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে আগের বছর ছিল ৪২.৭ বিলিয়ন। ব্যবসায়িক পরিষেবা এবং কম্পিউটার পরিষেবার মতো খাতে উল্লেখযোগ্য রফতানি বৃদ্ধি হয়েছে। প্রবাসী ভারতীয়দের পাঠানো রেমিটেন্স বা পার্সোনাল ট্রান্সফার রিসিপ্টস বেড়ে হয়েছে ৩৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগের বছর যা ছিল ৩১.৩ বিলিয়ন ডলার।

    উদ্বৃত্তের পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি

    আইসিআরএর প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, “চতুর্থ প্রান্তিকে উদ্বৃত্তের পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে।” এর ফলে কেন্দ্রের রাজকোষে আর্থিক জোগান অনেকটাই বাড়াবে। আর তা হলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বেশি করে নগদের জোগান দেবে কেন্দ্র। আরবিআই-এর বিপুল আয়ের কারণেই নগদের জোগান বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। শীর্ষ ব্যাঙ্কটি তাদের সঞ্চিত বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বিপুল রিটার্ন প্রদানকারী ইউএস গভর্নমেন্ট সিকিওরিটিজ রাখায় সেখান থেকে মোটা অঙ্কের রিটার্ন পেয়েছে। এর পাশাপাশি টাকার দরে ওঠাপড়া ঠেকাতে ডলার বিক্রি করে পাওয়া অর্থও নগদের জোগান বাড়ানোর পক্ষে সহায়ক হয়েছে।

     

     

     

     

     

  • RBI: ফের রেপো রেট কমাল আরবিআই, ঋণের সুদ কমায় সুবিধা মধ্যবিত্তের, কতটা সস্তা ইএমআই?

    RBI: ফের রেপো রেট কমাল আরবিআই, ঋণের সুদ কমায় সুবিধা মধ্যবিত্তের, কতটা সস্তা ইএমআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সুদ কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই (RBI)। শুক্রবার, ৬ জুন নয়া রেপো রেট (Repo Rate) ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এ দিন তাতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বা ০.৫০ শতাংশ কমানোর কথা বলেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র। তার জেরে ৬ শতাংশ থেকে ওই সূচক নেমে এসেছে ৫.৫০ শতাংশে। এই নিয়ে চলতি বছরে তৃতীয়বারের জন্য কমে গেল রেপো রেট। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলে ২৫ করে মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক (RBI)

    ৪ জুন তিন দিনের বৈঠকে বসে আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি। সেখানেই রেপো রেট কমানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তা ঘোষণা করেন গভর্নর। আরবিআই যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে ঋণ দিয়ে থাকে, তাকেই বলে রেপো রেট। এই রেট কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। এই হার কমার অর্থ ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে টাকা ধার নিতে পারবে। ব্যাঙ্ক যদি কম সুদের হারে টাকা ধার পায়, তাহলে গ্রাহকদের ঋণেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বাড়ানো সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতি চাঙা করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ (Repo Rate) কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয় (RBI)।

    কতটা সুরাহা মিলবে মধ্যবিত্তের?

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোয় রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহণকারীদের স্বস্তি মিলবে। যেহেতু তাঁদের মাসিক কিস্তির টাকা কমবে, তাই স্বস্তি পাবেন তাঁরা। তাই যেসব গ্রাহক গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের সুদ বাবদ গুণতে হবে কম টাকা। এক কথায় গাড়ি, বাড়ি ও ব্যক্তিগত ঋণে কমে যাবে সুদের হার। ফলে, কমবে মাসিক কিস্তির অঙ্কের বোঝা। উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক (Repo Rate)। কোনও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে কেউ তিরিশ বছরের মেয়াদে ৫০ লাখ গৃহঋণ নিল ৮.৭০ শতাংশ সুদে। বর্তমানে তাঁকে ইএমআই দিতে হয় ৩৯,১৩৬ টাকা। সুদের হার কমে যাওয়ায় এখন তাঁকে ইএমআই দিতে হবে ৩৭,৩৪৬ টাকা। প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে ১,৭৯০ টাকা। কেউ যদি ১২ শতাংশ সুদে ৫ বছরের মেয়াদের ৫ লাখ টাকা পার্সোনাল লোন নেয়, বর্তমানে তাঁকে ইএমআই দিতে হবে ১১,১২২ টাকা (RBI)। রেপো রেট কমে যাওয়ায় তাঁকে এখন ইএমআই দিতে হবে ১০,৯৬৩ টাকা। প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে ১৫৯ টাকা (Repo Rate)।

    চলতি বছরেই রেপো রেট কমল ১ শতাংশ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসের পর আর সুদ কমায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ২০২৫ সালে গভর্নর পদ থেকে শক্তিকান্ত দাস অবসর নেওয়ার পর সেই পদে আসীন হন  সঞ্জয় মালহোত্র। এসেই তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমান। পাঁচ বছরে সেই প্রথম রেপো রেট কমায় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ওই সময় ৬.৫০ শতাংশ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার নামিয়ে এনেছিল ৬.২৫ শতাংশে। এপ্রিলে সেটা আরও কমে ছ’শতাংশে চলে আসে। এবার কমল আরও ০.৫ শতাংশ। এর জেরে চলতি বছর রেপো রেট কমল ১০০ বেসিস পয়েন্ট বা ১ শতাংশ। সুদের হারে বড়সড় ছাড় মেলায় ঋণ গ্রহীতাদের মুখে যে হাসি ফুটল, তা বলাই বাহুল্য। এদিন রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, “ভারতের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি এই সমৃদ্ধিকে আরও বাড়ানোর জন্য।”

    কী বললেন আরবিআইয়ের গভর্নর

    সঞ্জয় বলেন, “খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রত্যাশার চেয়ে আরও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে এবং এপ্রিল মাসে তা প্রায় ছ’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩.১৬ শতাংশে নেমেছে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে আরবিআইয়ের মাঝারি মেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ ছিল। এর থেকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই নীচে। ভারতের অর্থনীতি স্থিতিস্থাপক হয়েছে।” জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “২০২৫-’২৬ সালের জন্য প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ৬.৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৭ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৬ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়তে পারে জিডিপি।”

  • RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছর বয়স হলেই এখন থেকে ছোটরা তাদের নিজেদের সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (Minor Bank Accounts) খুলতে ও নিজেরাই চালাতে পারবে। এমনটাই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে প্রাইমারি (আরবান) কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, ব্যাঙ্ক যদি মনে করে সেক্ষেত্রে ১০ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, এটিএম কার্ড, চেকবুক ইত্যাদির সুবিধাও দিতে পারবে। তবে এসব দেওয়ার আগে ঝুঁকি-সংক্রান্ত নিয়মাবলি পর্যালোচনা করবে ব্যাঙ্ক। আগে নিশ্চিত হতে হবে, যে এইসব শিশুদের উপযুক্ত কিনা।

    ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে নয়া নীতি (Minor Bank Accounts)

    অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এবং পরবর্তীকালে ব্যাঙ্ককে কেওয়াইসি নিয়ম মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছে আরবিআই। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত ব্যাঙ্ককেই আগামী ১ জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে এই নতুন নির্দেশ কার্যকর করে নিজেদের নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল সোমবারই এক বিবৃতিতে আরবিআই জানায়, বহু বছর আগে জারি করা পুরনো এক নির্দেশিকাকে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। তারপরেই এই নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার ও পরিচালনার নিয়ম করা হয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, যে কোনও বয়সের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। ১০ বছর বা তার বেশি বয়স হলেই তারা এখন নিজেরাই এসব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে।

    অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে

    এই নিয়মের পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের অ্যাকাউন্টগুলিকে শর্ত নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্টে জমা টাকার সীমা নির্ধারণ, অন্যান্য শর্তাবলি স্থির করা এবং সেগুলো স্পষ্টভাবে কিশোর গ্রাহকদের জানানো। যখনই কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৮ বছরে পৌঁছে যাবে, তখনই তাকে আবার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা ও সিগনেচার দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, শিশুর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট, সেটা অভিভাবক দ্বারা পরিচালিত হোক বা শিশু নিজে পরিচালনা করুক, কোনওভাবেই ওভারড্রাফট সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

  • RBI Repo Rate: কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি! ফের একবার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI Repo Rate: কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি! ফের একবার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রার নেতৃত্বে মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। সেখানেই মধ্যবিত্তের উপর চাপ কমাতে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক ধাক্কায় রেপো রেট কমল ২৫ বেসিস পয়েন্ট (BPS) বা ০.২৫ শতাংশ।

    সাধারণ মানুষের স্বস্তি

    বুধবার এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় মালহোত্রা (RBI Governor, Sanjay Malhotra) জানিয়েছেন, রেপো রেট (RBI Repo Rate Cut) কমিয়ে এখন হল মাত্র ৬ শতাংশ। যা ছিল ৬.২৫ শতাংশ। মানিটারি পলিসি কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে রেপো রেট কমানোর পক্ষে ছিল। এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে। এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সাধারন মানুষের উপর থেকে ইএমআই’য়ের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা। আরবিআই রেপো রেট কমানোয় বাড়ি এবং গাড়ির ঋণে মাসিক কিস্তি কমতে পারে বলে অনুমান আর্থিক বিশ্লেষকদের। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই। প্রসঙ্গত, গত দুই বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। গভর্নর পদ থেকে শক্তিকান্ত দাস অবসর নেওয়ার পর দায়িত্ব নিয়েই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমান আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। মুদ্রানীতি কমিটির সিদ্ধান্তের মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ফের ০.২৫ শতাংশ কমানো হল রেপো রেট।

    অর্থনীতি চাঙ্গা রাখাই লক্ষ্য

    যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত ঋণে সুদের হার কমে। এর জেরে স্বস্তি পাবে ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া আমজনতা। কমবে তাদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক। সে কারণে ঋণ গ্রহণকারীর মুখে হাসি ফুটেছে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বাড়ানো সহজ হয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তাই এই পদক্ষেপ কার্যকরী হিসাবে বিবেচিত হয়।

  • RSS: “ভারতকে ভারতই বলা উচিত, ইংরেজি নাম নয়,” বললেন আরএসএস কর্তা

    RSS: “ভারতকে ভারতই বলা উচিত, ইংরেজি নাম নয়,” বললেন আরএসএস কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে (Bharat) ভারতই বলা উচিত, এর ইংরেজি নাম নয়।” এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তাঁর এই বক্তব্যের জেরে ফের সামনে চলে এল ‘ভারত’ বনাম ‘ইন্ডিয়া’ বিতর্ক। হোসাবলের প্রশ্ন, ‘গত বছর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি ভবনে জি২০ নৈশভোজের সময় দেশকে ভারত প্রজাতন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন, তখনও কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা সংবিধানের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইংরেজি নাম ব্যবহার করা হচ্ছে?’

    ভারতের সংজ্ঞা (RSS)

    তিনি বলেন, “ভারত শুধুমাত্র একটি ভৌগলিক সত্তা বা সাংবিধানিক কাঠামো নয়, এটি একটি গভীর দর্শন ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক।” সুরুচি প্রকাশন দ্বারা প্রকাশিত “বিমর্শ ভারত কা” বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হোসেবল ভারতের এই পরিচয়ের কথা বলেন। পঞ্চশীল বালক ইন্টার কলেজের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল “প্রেরণা গবেষণা সংস্থান ন্যাস” নামে একটি সংস্থা। এটি আরএসএস-প্রাণিত একটি সংস্থা। আরএসএস কর্তা বলেন, “দেশের নাম ভারত। তাই ভারতই বলো। ইন্ডিয়া তো ইংরেজি নাম। ভারতের সংবিধান ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এখনও ঔপনিবেশিক নাম বহন করছে। এটা এক ধরনের বৈপরীত্যের দিকে ইঙ্গিত করে।”

    ‘মানসিক ঔপনিবেশিকতা’ থেকে মুক্তি

    হোসাবলে এই (RSS) বিষয়টিকে ‘মানসিক ঔপনিবেশিকতা’ থেকে মুক্তির বৃহত্তর প্রয়োজনের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তাঁর যুক্তি, ব্রিটিশ শাসন ভারতীয় চেতনায় গভীর ছাপ ফেলেছে। এটা আজও রয়ে গেছে। তিনি সাংস্কৃতিক নিশ্চিহ্নকরণের ঐতিহাসিক উদাহরণেরও উল্লেখ করেন। আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মুঘলরা ভারত আক্রমণ করেছিল। আমাদের মন্দির, গুরুকুল ও প্রাচীন সংস্কৃতি ধ্বংস করেছিল। আমাদের দমন করেছিল। কিন্তু তারা আমাদের ব্রিটিশদের মতো এই পরিমাণে হীনমন্যতায় ভোগায়নি। ব্রিটিশ শাসন আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছিল যে তারা আমাদের চেয়ে শ্রেয়। ‘ইংরাজিয়ত’-এর ধারণা এখনো বর্তমান।” তিনি বলেন, “এই জন্যই দেশে এখনও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ব্যবসা এত সফল।” হোসাবলে বলেন, “ঔপনিবেশিক যুগের মানসিকতা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে (Bharat)।”

    হোসাবলের বক্তব্য

    আরএসএস কর্তা বাম-উদারপন্থী ঐতিহাসিক বর্ণনাকে ‘ভ্রান্তিকর’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তারা (RSS) ভরতের অতীত শাসকদের অত্যাচারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের বিশ্বাস করাতে চায় যে আমাদের সব রাজাই ছিল অত্যাচারী। তারা সেই বর্ণনা তৈরি করেছে, যা আসলে বিভ্রান্তিকর।” ভিএস নাইপলের ঔপনিবেশোত্তর সমাজের সমালোচনা তুলে ধরে বুদ্ধিবৃত্তিক পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন হোসাবলে। তিনি বলেন, “একটি নতুন ঢেউ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে হবে, যা অন্যদের ছোট করবে না বা অন্য জাতিগুলিকে অবমূল্যায়ন করবে না, বরং আমাদের নিজস্ব পরিচয় পুনরুদ্ধার করবে।”

    দাদাগিরি নয়

    তিনি বলেন, “ভারত কখনই দাদাগিরি করার জন্য দাঁড়াবে না, বা অন্য দেশকে ধ্বংস করার জন্যও নয়। ভারত সর্বদাই বৈশ্বিক মঙ্গলের জন্য অটল থাকবে। তবে তার আগে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং উদাহরণ হয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারত বনাম ইন্ডিয়া বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের জোটের নামকরণের পর থেকেই ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এরই মাঝে স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ইন্ডিয়া (RSS) মুছে ফেলে তার জায়গায় ভারত যুক্ত করার সুপারিশও করেছিল এনসিইআরটি। আবার (Bharat) রেলমন্ত্রকের নথিতে ইন্ডিয়া শব্দটি তুলে দেওয়া হয়।

    ইন্ডিয়া জোট

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল জোট বাঁধে। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। তার পরেই জাতীয় রাজনীতিতে ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এই আবহে জি২০ সম্মেলনেও ইন্ডিয়ার জায়গা নেয় ভারত। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে বেরিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে বেশ কিছু জনসভায় একবারও ইন্ডিয়া উচ্চারণ করেননি মোদি (RSS)। বিরোধীদের এই জোটকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রথম থেকেই ময়দানে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এই জোটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে তিনি পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম উল্লেখ করেছিলেন।

    এই আবহে বিরোধী জোটের নামকরণের জেরেই দেশের নাম পরিবর্তন করা হতে পারে বলে (Bharat) সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীরা। যদিও প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিকতার গন্ধ মুছতেই ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন আরএসএস কর্তার মুখেও সেই একই যুক্তি (RSS)।

  • RBI Repo Rate: কম হবে ইএমআই! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্বস্তি আমজনতার

    RBI Repo Rate: কম হবে ইএমআই! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্বস্তি আমজনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বছর পর অবশেষে রেপো রেট বদল করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI Repo Rate)। শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশ। পাঁচ বছরে এই প্রথমবার রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই।

    সুদের হার কমায় লাভ কী

    গত ২ বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। ২০২০ সালের মে মাসে শেষ বার সুদের হার হ্রাস করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। বলা বাহুল্য এর জেরে স্বস্তি পাবেন ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া আমজনতা। কমবে তাঁদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক। সস্তা হবে হোম লোন, গাড়ি লোন (Car Loan), শিক্ষা ঋণ (Education Loan) এবং ব্যক্তিগত ঋণের (Personal Loan) সুদের হার। অর্থনৈতিক মহলের ধারণা, এটি ব্যবসা ও গ্রাহকদের জন্য ঋণের খরচ কমিয়ে দেবে। গৃহ ও ব্যবসায়িক ঋণের ইএমআই কমানো মানুষের আর্থিক স্বস্তি দেবে। তাদের নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বাড়বে ও উপভোক্তাদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বাজারে নগদের পরিমাণ বাড়বে, যা ব্যবসায়িক বিনিয়োগ বাড়াবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতি দেবে।

    কত হবে ইএমআই

    ধরুন কেউ যদি ২৫ লাখের হোম লোন নেন, তাহলে তাকে ৮.৭৫ শতাংশ সুদের হারে ২২,০৯৩ টাকার ইএমআই দিতে হবে। কিন্তু রেপো হারে এক চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর পরে, সুদের হার ৮.৫০ শতাংশে নেমে আসবে এবং এখন ২১,৬৯৬ টাকা ইএমআই হিসাবে দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪০৩ টাকা সাশ্রয়। এক্ষেত্রে এক বছরে, ইএমআই আকারে ৪,৮৩৬ টাকা সাশ্রয় হবে। এদিন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র বলেন, ‘‘সর্বসম্মতিতে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআইয়ের মুদ্রা নীতি কমিটি। ঋণকে সস্তা করা এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

  • 5 Rupees Coin: চলছে দেদার চোরাচালান, তৈরি হচ্ছে ব্লেড! মোটা ৫ টাকার কয়েন কি বাতিল করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

    5 Rupees Coin: চলছে দেদার চোরাচালান, তৈরি হচ্ছে ব্লেড! মোটা ৫ টাকার কয়েন কি বাতিল করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পুরনো ধাঁচের মোটা ৫ টাকার কয়েন (5 rupees coin) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এর আগে ২০১৬ সালে পুরনো ৫০০ টাকা আর ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যায়। গত বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোটও তুলে নিয়েছে। এবার কি মোটা আকারের ৫ টাকার কয়েনের পালা? সূত্র মারফত এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। যদিও সরকারি স্তরে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পুরানো ৫ টাকার কয়েন (5 rupees coin) ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর পিছনের আসল কারণ…

    কেন আরবিআই পদক্ষেপ নিচ্ছে? (RBI)

    বর্তমানে বাজারে একাধিক ধরনের পাঁচ টাকার মুদ্রা চালু রয়েছে। এর মধ্যে একটি মোটা ধাতুতে নির্মিত। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, মোটা ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার মুদ্রার প্রচলন দিন দিন কমছে। আর তাই পুরু ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রা (5 rupees coin) নতুন করে আর বিলি করছে না রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) । আমজনতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে পাঁচ টাকার অন্য মুদ্রাগুলি। আরবিআইয়ের পদস্থ কর্তাদের দাবি, মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রাটির ব্যাপক চোরাচালান শুরু হয়েছে। এটি গলিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্লেড, যার দাম পাঁচ টাকার বেশি। এতে অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। ফলে মোটা ধাতুর মুদ্রাটি চিরতরে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরবিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তা। তাঁর কথায়, “মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার (5 rupees coin) একটি মুদ্রা গলিয়ে অন্তত পাঁচ থেকে ছ’টি ব্লেড তৈরি করা সম্ভব। সেগুলির প্রতিটির দাম দু’টাকা করে হলে, নির্মাণকারী ১০ বা ১২ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর এ ভাবেই মুদ্রায় ব্যবহৃত ধাতুটির অন্তর্নিহিত মূল্য তার আর্থিক মূল্যকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সুস্থ অর্থনীতির নিরিখে এটি কখনওই হওয়া উচিত নয়।”

    আরও পড়ুন: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    বাংলাদেশে যথেচ্ছ পরিমাণে চোরাচালান!

    এ ছাড়া পাঁচ টাকার পুরনো মুদ্রা (RBI) বন্ধ করার নেপথ্যে আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রাগুলির (5 rupees coin) বাংলাদেশে যথেচ্ছ পরিমাণে চোরাচালান হচ্ছে। এতে ঘরোয়া বাজারে দেখা দিচ্ছে মুদ্রা সঙ্কট। এটি প্রতিহত করতে মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রাগুলি বাতিল করা হতে পারে। যদিও পিতল এবং অন্যান্য সংকর ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার কয়েন এখনই বাতিল করার পরিকল্পনা নেই আরবিআইয়ের। পাতলা মুদ্রা দিয়ে ব্লেড তৈরি করা যায় না বলে সেগুলির চোরাচালানের প্রবণতা যথেষ্ট কম।

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কেন্দ্রের নির্দেশ অবশ্য মানতে হয় এই কমিটিকে। মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার কয়েন পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে আরবিআইকে। আগামী বছরের (পড়ুন ২০২৫) ফেব্রুয়ারিতে ফের বসবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক। সেখানে মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রা (5 rupees coin) নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ইমেল, মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য

    RBI: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ইমেল, মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদ হামলার বার্ষিকীর আগের দিনই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (RBI) বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে একটি রুশ ভাষায় গভর্নরকে বলা হয়েছে “আপনাকে উড়িয়ে দেবে।” এই হুমকি দেওয়া হয়েছে মুম্বইস্থিত শীর্ষ ব্যাঙ্কের সদর দফতরে ইমেলের মাধ্যমে। ঘটনায় দেশের বাণিজ্য নগরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামালা দায়ের (RBI)

    ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি হামলা হয়েছিল ভারতীয় গণতন্ত্রের পীঠস্থানে। আজ, শুক্রবার, সংসদ হামলার ২৩ তম বার্ষিকী। এর আগে, গতকাল, বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, রাশিয়ান ভাষায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রার অফিসিয়াল ইমেল আইডিতে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয় মুম্বই সদর দফতরের প্রধান অফিসকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গর্ভনরকে বলা হয়, “আপনাকে উড়িয়ে দেব।” হুমকি পেয়েই আরবিআই-এর পক্ষ থেকে মুম্বই পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিশেষ ধারায় মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    ইমেলের আইপি নিয়ে খোঁজ করা হচ্ছে

    এই হুমকির কথা বলতে গিয়ে মুম্বই পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, “আরবিআই (RBI) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি হুমকিমূলক ইমেলে অভিযোগ এসেছে। তবে ইমেলটি রাশিয়ান ভাষায় লেখা ছিল। প্রধান অফিসে বোমা মারার অভিযোগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা কেস দায়ের করেছি। মাতা রমাবাঈ মার্গের থানায় অজ্ঞাত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে ইমেলে ভিপিএন ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ইমেলের আইপি ঠিকানাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুনঃ মণিপুরে ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষ নষ্ট করেছে প্রশাসন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    আগেও হুমকি এসেছিল

    উল্লেখ্য গত মাসের শুরুতে মুম্বইয়ের এই আরবিআই (RBI) কাস্টোমার কেয়ার সেন্টারে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আরবিআই-এর এক অফিসারকে ফোন করেছিল অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি। অফিসের একটি রাস্তাকে ব্লক করতে বলা হয়েছিল ফোনে। কারণ বৈদ্যুতিক গাড়ি ভেঙে গিয়েছিল। পরে অবশ্য মুম্বই পুলিশ তদন্ত করে জানায়, সন্দেহজনক তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share