Tag: RBI

RBI

  • RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছর বয়স হলেই এখন থেকে ছোটরা তাদের নিজেদের সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (Minor Bank Accounts) খুলতে ও নিজেরাই চালাতে পারবে। এমনটাই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে প্রাইমারি (আরবান) কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, ব্যাঙ্ক যদি মনে করে সেক্ষেত্রে ১০ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, এটিএম কার্ড, চেকবুক ইত্যাদির সুবিধাও দিতে পারবে। তবে এসব দেওয়ার আগে ঝুঁকি-সংক্রান্ত নিয়মাবলি পর্যালোচনা করবে ব্যাঙ্ক। আগে নিশ্চিত হতে হবে, যে এইসব শিশুদের উপযুক্ত কিনা।

    ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে নয়া নীতি (Minor Bank Accounts)

    অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এবং পরবর্তীকালে ব্যাঙ্ককে কেওয়াইসি নিয়ম মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছে আরবিআই। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত ব্যাঙ্ককেই আগামী ১ জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে এই নতুন নির্দেশ কার্যকর করে নিজেদের নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল সোমবারই এক বিবৃতিতে আরবিআই জানায়, বহু বছর আগে জারি করা পুরনো এক নির্দেশিকাকে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। তারপরেই এই নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার ও পরিচালনার নিয়ম করা হয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, যে কোনও বয়সের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। ১০ বছর বা তার বেশি বয়স হলেই তারা এখন নিজেরাই এসব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে।

    অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে

    এই নিয়মের পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের অ্যাকাউন্টগুলিকে শর্ত নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্টে জমা টাকার সীমা নির্ধারণ, অন্যান্য শর্তাবলি স্থির করা এবং সেগুলো স্পষ্টভাবে কিশোর গ্রাহকদের জানানো। যখনই কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৮ বছরে পৌঁছে যাবে, তখনই তাকে আবার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা ও সিগনেচার দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, শিশুর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট, সেটা অভিভাবক দ্বারা পরিচালিত হোক বা শিশু নিজে পরিচালনা করুক, কোনওভাবেই ওভারড্রাফট সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

  • RBI Repo Rate: কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি! ফের একবার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI Repo Rate: কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি! ফের একবার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রার নেতৃত্বে মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। সেখানেই মধ্যবিত্তের উপর চাপ কমাতে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক ধাক্কায় রেপো রেট কমল ২৫ বেসিস পয়েন্ট (BPS) বা ০.২৫ শতাংশ।

    সাধারণ মানুষের স্বস্তি

    বুধবার এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় মালহোত্রা (RBI Governor, Sanjay Malhotra) জানিয়েছেন, রেপো রেট (RBI Repo Rate Cut) কমিয়ে এখন হল মাত্র ৬ শতাংশ। যা ছিল ৬.২৫ শতাংশ। মানিটারি পলিসি কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে রেপো রেট কমানোর পক্ষে ছিল। এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে। এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সাধারন মানুষের উপর থেকে ইএমআই’য়ের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা। আরবিআই রেপো রেট কমানোয় বাড়ি এবং গাড়ির ঋণে মাসিক কিস্তি কমতে পারে বলে অনুমান আর্থিক বিশ্লেষকদের। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই। প্রসঙ্গত, গত দুই বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। গভর্নর পদ থেকে শক্তিকান্ত দাস অবসর নেওয়ার পর দায়িত্ব নিয়েই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমান আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। মুদ্রানীতি কমিটির সিদ্ধান্তের মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ফের ০.২৫ শতাংশ কমানো হল রেপো রেট।

    অর্থনীতি চাঙ্গা রাখাই লক্ষ্য

    যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত ঋণে সুদের হার কমে। এর জেরে স্বস্তি পাবে ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া আমজনতা। কমবে তাদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক। সে কারণে ঋণ গ্রহণকারীর মুখে হাসি ফুটেছে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বাড়ানো সহজ হয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তাই এই পদক্ষেপ কার্যকরী হিসাবে বিবেচিত হয়।

  • RSS: “ভারতকে ভারতই বলা উচিত, ইংরেজি নাম নয়,” বললেন আরএসএস কর্তা

    RSS: “ভারতকে ভারতই বলা উচিত, ইংরেজি নাম নয়,” বললেন আরএসএস কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে (Bharat) ভারতই বলা উচিত, এর ইংরেজি নাম নয়।” এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তাঁর এই বক্তব্যের জেরে ফের সামনে চলে এল ‘ভারত’ বনাম ‘ইন্ডিয়া’ বিতর্ক। হোসাবলের প্রশ্ন, ‘গত বছর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি ভবনে জি২০ নৈশভোজের সময় দেশকে ভারত প্রজাতন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন, তখনও কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা সংবিধানের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইংরেজি নাম ব্যবহার করা হচ্ছে?’

    ভারতের সংজ্ঞা (RSS)

    তিনি বলেন, “ভারত শুধুমাত্র একটি ভৌগলিক সত্তা বা সাংবিধানিক কাঠামো নয়, এটি একটি গভীর দর্শন ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক।” সুরুচি প্রকাশন দ্বারা প্রকাশিত “বিমর্শ ভারত কা” বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হোসেবল ভারতের এই পরিচয়ের কথা বলেন। পঞ্চশীল বালক ইন্টার কলেজের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল “প্রেরণা গবেষণা সংস্থান ন্যাস” নামে একটি সংস্থা। এটি আরএসএস-প্রাণিত একটি সংস্থা। আরএসএস কর্তা বলেন, “দেশের নাম ভারত। তাই ভারতই বলো। ইন্ডিয়া তো ইংরেজি নাম। ভারতের সংবিধান ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এখনও ঔপনিবেশিক নাম বহন করছে। এটা এক ধরনের বৈপরীত্যের দিকে ইঙ্গিত করে।”

    ‘মানসিক ঔপনিবেশিকতা’ থেকে মুক্তি

    হোসাবলে এই (RSS) বিষয়টিকে ‘মানসিক ঔপনিবেশিকতা’ থেকে মুক্তির বৃহত্তর প্রয়োজনের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তাঁর যুক্তি, ব্রিটিশ শাসন ভারতীয় চেতনায় গভীর ছাপ ফেলেছে। এটা আজও রয়ে গেছে। তিনি সাংস্কৃতিক নিশ্চিহ্নকরণের ঐতিহাসিক উদাহরণেরও উল্লেখ করেন। আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মুঘলরা ভারত আক্রমণ করেছিল। আমাদের মন্দির, গুরুকুল ও প্রাচীন সংস্কৃতি ধ্বংস করেছিল। আমাদের দমন করেছিল। কিন্তু তারা আমাদের ব্রিটিশদের মতো এই পরিমাণে হীনমন্যতায় ভোগায়নি। ব্রিটিশ শাসন আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছিল যে তারা আমাদের চেয়ে শ্রেয়। ‘ইংরাজিয়ত’-এর ধারণা এখনো বর্তমান।” তিনি বলেন, “এই জন্যই দেশে এখনও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ব্যবসা এত সফল।” হোসাবলে বলেন, “ঔপনিবেশিক যুগের মানসিকতা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে (Bharat)।”

    হোসাবলের বক্তব্য

    আরএসএস কর্তা বাম-উদারপন্থী ঐতিহাসিক বর্ণনাকে ‘ভ্রান্তিকর’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তারা (RSS) ভরতের অতীত শাসকদের অত্যাচারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের বিশ্বাস করাতে চায় যে আমাদের সব রাজাই ছিল অত্যাচারী। তারা সেই বর্ণনা তৈরি করেছে, যা আসলে বিভ্রান্তিকর।” ভিএস নাইপলের ঔপনিবেশোত্তর সমাজের সমালোচনা তুলে ধরে বুদ্ধিবৃত্তিক পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন হোসাবলে। তিনি বলেন, “একটি নতুন ঢেউ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে হবে, যা অন্যদের ছোট করবে না বা অন্য জাতিগুলিকে অবমূল্যায়ন করবে না, বরং আমাদের নিজস্ব পরিচয় পুনরুদ্ধার করবে।”

    দাদাগিরি নয়

    তিনি বলেন, “ভারত কখনই দাদাগিরি করার জন্য দাঁড়াবে না, বা অন্য দেশকে ধ্বংস করার জন্যও নয়। ভারত সর্বদাই বৈশ্বিক মঙ্গলের জন্য অটল থাকবে। তবে তার আগে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং উদাহরণ হয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারত বনাম ইন্ডিয়া বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের জোটের নামকরণের পর থেকেই ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এরই মাঝে স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ইন্ডিয়া (RSS) মুছে ফেলে তার জায়গায় ভারত যুক্ত করার সুপারিশও করেছিল এনসিইআরটি। আবার (Bharat) রেলমন্ত্রকের নথিতে ইন্ডিয়া শব্দটি তুলে দেওয়া হয়।

    ইন্ডিয়া জোট

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল জোট বাঁধে। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। তার পরেই জাতীয় রাজনীতিতে ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এই আবহে জি২০ সম্মেলনেও ইন্ডিয়ার জায়গা নেয় ভারত। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে বেরিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে বেশ কিছু জনসভায় একবারও ইন্ডিয়া উচ্চারণ করেননি মোদি (RSS)। বিরোধীদের এই জোটকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রথম থেকেই ময়দানে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এই জোটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে তিনি পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম উল্লেখ করেছিলেন।

    এই আবহে বিরোধী জোটের নামকরণের জেরেই দেশের নাম পরিবর্তন করা হতে পারে বলে (Bharat) সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীরা। যদিও প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিকতার গন্ধ মুছতেই ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন আরএসএস কর্তার মুখেও সেই একই যুক্তি (RSS)।

  • RBI Repo Rate: কম হবে ইএমআই! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্বস্তি আমজনতার

    RBI Repo Rate: কম হবে ইএমআই! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্বস্তি আমজনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বছর পর অবশেষে রেপো রেট বদল করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI Repo Rate)। শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশ। পাঁচ বছরে এই প্রথমবার রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই।

    সুদের হার কমায় লাভ কী

    গত ২ বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। ২০২০ সালের মে মাসে শেষ বার সুদের হার হ্রাস করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। বলা বাহুল্য এর জেরে স্বস্তি পাবেন ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া আমজনতা। কমবে তাঁদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক। সস্তা হবে হোম লোন, গাড়ি লোন (Car Loan), শিক্ষা ঋণ (Education Loan) এবং ব্যক্তিগত ঋণের (Personal Loan) সুদের হার। অর্থনৈতিক মহলের ধারণা, এটি ব্যবসা ও গ্রাহকদের জন্য ঋণের খরচ কমিয়ে দেবে। গৃহ ও ব্যবসায়িক ঋণের ইএমআই কমানো মানুষের আর্থিক স্বস্তি দেবে। তাদের নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বাড়বে ও উপভোক্তাদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বাজারে নগদের পরিমাণ বাড়বে, যা ব্যবসায়িক বিনিয়োগ বাড়াবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতি দেবে।

    কত হবে ইএমআই

    ধরুন কেউ যদি ২৫ লাখের হোম লোন নেন, তাহলে তাকে ৮.৭৫ শতাংশ সুদের হারে ২২,০৯৩ টাকার ইএমআই দিতে হবে। কিন্তু রেপো হারে এক চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর পরে, সুদের হার ৮.৫০ শতাংশে নেমে আসবে এবং এখন ২১,৬৯৬ টাকা ইএমআই হিসাবে দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪০৩ টাকা সাশ্রয়। এক্ষেত্রে এক বছরে, ইএমআই আকারে ৪,৮৩৬ টাকা সাশ্রয় হবে। এদিন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র বলেন, ‘‘সর্বসম্মতিতে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআইয়ের মুদ্রা নীতি কমিটি। ঋণকে সস্তা করা এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

  • 5 Rupees Coin: চলছে দেদার চোরাচালান, তৈরি হচ্ছে ব্লেড! মোটা ৫ টাকার কয়েন কি বাতিল করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

    5 Rupees Coin: চলছে দেদার চোরাচালান, তৈরি হচ্ছে ব্লেড! মোটা ৫ টাকার কয়েন কি বাতিল করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পুরনো ধাঁচের মোটা ৫ টাকার কয়েন (5 rupees coin) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এর আগে ২০১৬ সালে পুরনো ৫০০ টাকা আর ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যায়। গত বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোটও তুলে নিয়েছে। এবার কি মোটা আকারের ৫ টাকার কয়েনের পালা? সূত্র মারফত এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। যদিও সরকারি স্তরে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পুরানো ৫ টাকার কয়েন (5 rupees coin) ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর পিছনের আসল কারণ…

    কেন আরবিআই পদক্ষেপ নিচ্ছে? (RBI)

    বর্তমানে বাজারে একাধিক ধরনের পাঁচ টাকার মুদ্রা চালু রয়েছে। এর মধ্যে একটি মোটা ধাতুতে নির্মিত। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, মোটা ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার মুদ্রার প্রচলন দিন দিন কমছে। আর তাই পুরু ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রা (5 rupees coin) নতুন করে আর বিলি করছে না রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) । আমজনতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে পাঁচ টাকার অন্য মুদ্রাগুলি। আরবিআইয়ের পদস্থ কর্তাদের দাবি, মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রাটির ব্যাপক চোরাচালান শুরু হয়েছে। এটি গলিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্লেড, যার দাম পাঁচ টাকার বেশি। এতে অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। ফলে মোটা ধাতুর মুদ্রাটি চিরতরে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরবিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তা। তাঁর কথায়, “মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার (5 rupees coin) একটি মুদ্রা গলিয়ে অন্তত পাঁচ থেকে ছ’টি ব্লেড তৈরি করা সম্ভব। সেগুলির প্রতিটির দাম দু’টাকা করে হলে, নির্মাণকারী ১০ বা ১২ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর এ ভাবেই মুদ্রায় ব্যবহৃত ধাতুটির অন্তর্নিহিত মূল্য তার আর্থিক মূল্যকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সুস্থ অর্থনীতির নিরিখে এটি কখনওই হওয়া উচিত নয়।”

    আরও পড়ুন: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    বাংলাদেশে যথেচ্ছ পরিমাণে চোরাচালান!

    এ ছাড়া পাঁচ টাকার পুরনো মুদ্রা (RBI) বন্ধ করার নেপথ্যে আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রাগুলির (5 rupees coin) বাংলাদেশে যথেচ্ছ পরিমাণে চোরাচালান হচ্ছে। এতে ঘরোয়া বাজারে দেখা দিচ্ছে মুদ্রা সঙ্কট। এটি প্রতিহত করতে মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রাগুলি বাতিল করা হতে পারে। যদিও পিতল এবং অন্যান্য সংকর ধাতুর তৈরি পাঁচ টাকার কয়েন এখনই বাতিল করার পরিকল্পনা নেই আরবিআইয়ের। পাতলা মুদ্রা দিয়ে ব্লেড তৈরি করা যায় না বলে সেগুলির চোরাচালানের প্রবণতা যথেষ্ট কম।

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কেন্দ্রের নির্দেশ অবশ্য মানতে হয় এই কমিটিকে। মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার কয়েন পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে আরবিআইকে। আগামী বছরের (পড়ুন ২০২৫) ফেব্রুয়ারিতে ফের বসবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক। সেখানে মোটা ধাতুর পাঁচ টাকার মুদ্রা (5 rupees coin) নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ইমেল, মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য

    RBI: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ইমেল, মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদ হামলার বার্ষিকীর আগের দিনই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (RBI) বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে একটি রুশ ভাষায় গভর্নরকে বলা হয়েছে “আপনাকে উড়িয়ে দেবে।” এই হুমকি দেওয়া হয়েছে মুম্বইস্থিত শীর্ষ ব্যাঙ্কের সদর দফতরে ইমেলের মাধ্যমে। ঘটনায় দেশের বাণিজ্য নগরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামালা দায়ের (RBI)

    ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি হামলা হয়েছিল ভারতীয় গণতন্ত্রের পীঠস্থানে। আজ, শুক্রবার, সংসদ হামলার ২৩ তম বার্ষিকী। এর আগে, গতকাল, বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, রাশিয়ান ভাষায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রার অফিসিয়াল ইমেল আইডিতে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয় মুম্বই সদর দফতরের প্রধান অফিসকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গর্ভনরকে বলা হয়, “আপনাকে উড়িয়ে দেব।” হুমকি পেয়েই আরবিআই-এর পক্ষ থেকে মুম্বই পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিশেষ ধারায় মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    ইমেলের আইপি নিয়ে খোঁজ করা হচ্ছে

    এই হুমকির কথা বলতে গিয়ে মুম্বই পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, “আরবিআই (RBI) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি হুমকিমূলক ইমেলে অভিযোগ এসেছে। তবে ইমেলটি রাশিয়ান ভাষায় লেখা ছিল। প্রধান অফিসে বোমা মারার অভিযোগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা কেস দায়ের করেছি। মাতা রমাবাঈ মার্গের থানায় অজ্ঞাত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে ইমেলে ভিপিএন ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ইমেলের আইপি ঠিকানাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুনঃ মণিপুরে ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষ নষ্ট করেছে প্রশাসন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    আগেও হুমকি এসেছিল

    উল্লেখ্য গত মাসের শুরুতে মুম্বইয়ের এই আরবিআই (RBI) কাস্টোমার কেয়ার সেন্টারে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আরবিআই-এর এক অফিসারকে ফোন করেছিল অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি। অফিসের একটি রাস্তাকে ব্লক করতে বলা হয়েছিল ফোনে। কারণ বৈদ্যুতিক গাড়ি ভেঙে গিয়েছিল। পরে অবশ্য মুম্বই পুলিশ তদন্ত করে জানায়, সন্দেহজনক তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Malhotra: শক্তিকান্ত দাসের পর আরবিআইয়ের নয়া গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা, চেনেন তাঁকে?

    Sanjay Malhotra: শক্তিকান্ত দাসের পর আরবিআইয়ের নয়া গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নয়া গভর্নর নিযুক্ত হলেন সঞ্জয় মালহোত্রা (Sanjay Malhotra)। শক্তিকান্ত দাসের (Shaktikanta Das) স্থলাভিষিক্ত হলেন সঞ্জয়। তিনি হলেন আরবিআইয়ের ২৬তম গভর্নর (RBI Governor)। আজ, মঙ্গলবার শেষ হবে শক্তিকান্তের কার্যকালের মেয়াদ। তার পর, বুধবার থেকে আরবিআইয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব সচিব মালহোত্রা। ১৯৯০ ব্যাচের রাজস্থান ক্যাডারের আইএএস অফিসার তিনি।

    শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)

    কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের হয়েই অর্থ দফতরে কাজ করেছেন সঞ্জয় (Sanjay Malhotra)। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর নীতি তৈরিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ২০১৮ সালে উর্জিত পটেল আরবিআইয়ের গভর্নর পদে ইস্তফা দিলে নিয়োগ করা হয় শক্তিকান্তকে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিন বছর তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করে মোদি সরকার। এদিনই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদও। আরবিআইয়ের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদি গভর্নর (RBI Governor) হলেন শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। এর আগে, সাড়ে সাত বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে ছিলেন বেনুগোপাল রামা রাও। শক্তিকান্তের ঝুলি অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। তিনি কাজ করেছেন বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কে। আটটি কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন তিনি। ১৫তম অর্থ কমিশনের সদস্যও ছিলেন শক্তিকান্ত। ভারতের জি২০ শেরপা হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    চিনুন সঞ্জয় মালহোত্রাকে (Sanjay Malhotra)

    এই শক্তিকান্তেরই জায়গায় বসানো হল সঞ্জয়কে। তিনি আইআইটি কানপুরের প্রাক্তনী। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক ডিগ্রি। আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও লাভ করেছেন তিনি। অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব সচিব হওয়ার আগে আর্থিক পরিষেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে প্রশাসনিক কাজের দীর্ঘ ৩৩ বছরের অভিজ্ঞতা। বিদ্যুৎ, কর, তথ্যপ্রযুক্তি ও খনির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন  সঞ্জয় (Sanjay Malhotra)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে (RBI Governor) তাঁর মেয়াদ হবে তিন বছর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: সুখবর শোনাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, অপরিবর্তিত রেপো রেট, সাধারণের ওপর বাড়ছে না ঋণের বোঝা

    RBI: সুখবর শোনাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, অপরিবর্তিত রেপো রেট, সাধারণের ওপর বাড়ছে না ঋণের বোঝা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে মধ্যবিত্তদের জন্য সুখবর দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। বাড়ছে না রেপো রেট (Repo Rate)। এর ফলে ঋণের বোঝাও বাড়বে না গ্রাহকদের। প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার অধীনস্থ অন্যান্য ব্যাঙ্ককে যে সুদের হারে ঋণ দেয়, তাকে বলা হয় রেপো রেট। অন্যদিকে, যে সুদের হারে অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলা হয়। এক্ষেত্রে, রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকায়, সাধারণ মানুষের ওপরে ঋণের বোঝাও বাড়বে না। বছর শেষে পকেটে টানও পড়বে না ইএমআই-র চাপে। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে টানা ১১ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ৬.৫ শতাংশেই ধার্য রাখা হল রেপো রেট। রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার কথা এদিন ঘোষণা করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।

    ৪:২ অনুপাতে ভোট দেওয়া হয় রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাবে 

    সূত্রের খবর, তিনদিনের মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে ৬ সদস্যের মধ্যে ৪:২ অনুপাতে ভোট দেওয়া হয় রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাবে। অর্থাৎ ৪ জন সদস্য রেপো রেট (Repo Rate) অপরিবর্তিত রাখতেই ভোট দেন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে থেকে ৬ বারে রেপো রেট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল আরবিআই। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে তা লাগাতার অপরিবর্তিত রাখে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (RBI)।

    মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ে কী বললেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর

    প্রসঙ্গত, পরবর্তী আর্থিক বছরের (২০২৫-২৬) প্রথম দু’টি ত্রৈমাসিকের জিডিপির সম্ভাব্য হারও এদিন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (RBI)। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে জুন এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিডিপি ৬.৯ ও ৭.৩ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানিয়েছেন, আগামী বছর সার্বিকভাবে মুদ্রাস্ফীতির হার ২-৬ শতাংশের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: ‘ইউপিআই লাইট’-এর ঊর্ধ্বসীমা বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ১০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেনে লাগবে না পিন

    RBI: ‘ইউপিআই লাইট’-এর ঊর্ধ্বসীমা বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ১০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেনে লাগবে না পিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকাল বহু মানুষই ডিজিটাল পেমেন্ট করেন। যে কোনও জায়গায় কিছু কিনতে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় কিউআর কোড (QR Code) স্ক্যানার বসানো রয়েছে। স্ক্যান করে দিলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পেমেন্ট হয়ে যায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ আরবিআই থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সুখবর দিয়েছে। ইউপিআই লাইট ওয়ালেট (UPI Lite Wallet) ওয়ালেট থেকে পিন ছাড়া লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে আরবিআই (RBI)। আগে এই সীমা ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। এবার থেকে সেই টাকার পরিমাণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করেছে। মানে এখন ব্যবহারকারীরা পিন ছাড়াই ইউপিআই লাইট ওয়ালেট (UPI Lite Wallet) মারফৎ ১০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ওয়ালেট ব্যবহারকারীরা।

    ওয়ালেটের ব্যালান্স কত বাড়ল? (RBI)

    ইউপিআই লাইট ওয়ালেটে (UPI Lite Wallet) ২টি বড় বদল আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। চালু হওয়া নতুন নিয়ম অনুসারে, প্রথমত, ওয়ালেটে টাকা রাখার ঊর্ধ্বসীমা ২০০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দ্বিতীয়ত, পিন নম্বর ছাড়া ইউপিআই লাইটের প্রতি লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। ফলে, একদিকে, যেমন এবার থেকে ওয়ালেটে ৫ হাজার টাকা ব্যালান্স রাখা যাবে। অন্যদিকে, তা দিয়ে ১০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতিবার লেনদেন করা যাবে। প্রতিদিন যারা এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে কেনাকাটা করেন, তাদের জন্য এই উদ্যোগ অনেকটাই সুবিধা দেবে বলে আরবিআই কর্তারা মনে করছেন।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরে ওপর জোর দিয়ে এক মাসে ১৬.৫৮ বিলিয়ন (১ বিলিয়ন হল ১০০ কোটি) আর্থিক লেনদেন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ২০১৬ সালে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) দ্বারা চালু করা হয় ইউপিআই পেমেন্ট ব্যবস্থা। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে (RBI) একসঙ্গে করে দেশের পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে ইউপিআই। এই সিস্টেমটি সহজেই টাকা ট্রান্সফার, মার্চেন্ট পেমেন্ট এবং পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন সক্ষম করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: ধনতেরাসে ঘরে এল লক্ষ্মী! ১০২ টন সোনা ব্রিটেন থেকে দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI: ধনতেরাসে ঘরে এল লক্ষ্মী! ১০২ টন সোনা ব্রিটেন থেকে দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধনতেরাসে (Dhanteras 2024) ব্রিটেন থেকে ১০২ টন সোনা দেশে ফেরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) সোনা সংরক্ষণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৫৫ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ৫১০.৫ টনই বর্তমানে দেশে সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, ৮৫৫ টন সোনার মধ্যে ৩২৪ টন সোনা ব্রিটেনের দুটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং অপরটি হল ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট। ১৬৯৭ সাল থেকেই দ্য ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড বিশ্বব্যাপী সোনা সংরক্ষণের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। এর অবস্থান হল ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে।

    দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোনার দাম

    দেশের আভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোনার দাম। বর্তমানে মুম্বইয়ে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭৮ হাজার ৭৪৫ টাকায় পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামীতে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। আগামী বছরে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৮৫ হাজার টাকায় পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত মে মাস নাগাদও প্রায় ১০০ টনেরও বেশি ওজনের সোনা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে এত বেশি পরিমাণ সোনা একসঙ্গে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যায়নি ভারত।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মোদি সরকার সোনা দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে (RBI)

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মোদি সরকারের নির্দেশে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইংল্যান্ডের ভল্ট থেকে সোনা দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। দু’বছরে এখনও এখনও পর্যন্ত ২১৪ টন সোনা এল দেশে। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের ভল্টে থাকা সোনা দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়েছিল আরবিআই (RBI)। কেন্দ্রের তরফে সবুজ সংকেত মেলার পরই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে যত পরিমাণ সোনা রয়েছে, তার এক-চতুর্থাংশ মার্চের শেষে ব্রিটেন থেকে নিয়ে আসা হয়।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share