Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Abhishek Banerjee: ‘‘নির্দোষই যদি হন, তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ অভিষেকের রক্ষাকবচ মামলায় প্রশ্ন ইডির

    Abhishek Banerjee: ‘‘নির্দোষই যদি হন, তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ অভিষেকের রক্ষাকবচ মামলায় প্রশ্ন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি নির্দোষই হন, তাহলে তদন্তের স্বার্থে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন কেন? হাইকোর্টে এই প্রশ্ন তুললেন  ইডির আইনজীবী এম ভি রাজু। হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) রক্ষাকবচ মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি। তার প্রেক্ষিতেই এই প্রশ্ন তোলে ইডি। 

    ভার্চুয়াল শুনানি

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এখন বিদেশে। কুন্তল ঘোষের বক্তব্যের নিরিখে এই রক্ষাকবচ মামলা। শুনানিপর্বে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি ও  ইডির আইনজীবী এম ভি রাজু। এদিন আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেন, কোথাও অভিষেকের নামে কোনও অভিযোগ নেই। সাপ্লিমেন্টারি যে চার্জশিট, সেখানেও নাম নেই। অথচ ১৬ এপ্রিল, ১৯ মে ২০২৩ সমন পাঠানো হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। ১৪ জুন চতুর্থ সমন পাঠানো হয়। ২০ অগাস্ট অভিষেকের দেশে ফেরার কথা। আশঙ্কা তিনি ফিরলেই গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে। তাই কোনও পদক্ষেপ যাতে না করা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হোক। আজ, শুক্রবার ফের মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: কঠোর নিরাপত্তা! জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ শুরু

    আদালতে ইডির দাবি

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী এম ভি রাজুর বক্তব্য, ‘‘সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা মানেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন কেন ভাবছেন তিনি? তিনি এত প্রভাবশালী যে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও ডাকা যাবে না? তা হলে তো তদন্তই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! তিনি যদি নির্দোষ হন, তা হলে কেন গ্রেফতারের ভয় পাচ্ছেন? কেন সমন এড়িয়ে যাছেন? আজ অভিযুক্ত নন বলে, কালও যে হবেন না, এমনটা তো নয়।’’ এ দিন আদালতে শুনানি সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায়। শেষে বিচারপতি ঘোষ জানান, মামলাটি আজ, শুক্রবার আবার তিনি শুনবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত রক্ষাকবচ থাকবে অভিষেকের। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টেও দাবি করেছে, অভিষেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। ইডির যুক্তি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্যই অভিষেককে জিজ্ঞসাবাদে ডাকা হয়েছে। অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। বহু গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। তাই তদন্তের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিক আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Kalighater Kaku) বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ইডি। সুজয়ের বিরুদ্ধে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ১২৬ পাতার মূল চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে ইডি-র (ED) দাবি, এ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ১১ টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই সব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জায়গায় জমি। এই সমস্ত সম্পত্তিই কেনা হয়েছে কালীঘাটের কাকু, তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্র ও কাকুর নিয়ন্ত্রিত দুটি কোম্পানির নামে। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় ইডি-র চার্জশিটে, প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। 

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ কালীঘাটের কাকু

    চার্জশিটের ২২ নম্বর পাতায় ইডি দাবি করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কালীঘাটের কাকু। যুব তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক বিষয়গুলি দেখাশোনা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ২৬ নম্বর পাতায়, কালীঘাটের কাকুর বয়ানের একাংশ তুলে ধরেছে ইডি। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জানিয়েছেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একজন কর্মী ছিলেন। ইডির চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানি এস ডি কনসালটেন্সির যোগ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এস ডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা এবং পরিবর্তে মোটা টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্য়াকাউন্টে ঢোকার মতো একাধিক চাঞ্চল্য়কর দাবি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর! কম্পিউটার-ল্যাপটপের আমদানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ কেন্দ্রের

    চার্জশিটে ইডি-র দাবি

    ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে চাকরিপ্রার্থীদের (Recruitment Scam) কাছ থেকে তোলা অবৈধ টাকা সাদা করতে নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ১২৬ পাতার চার্জশিটের ৮৩ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এই দেবরূপ হলেন সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটটি কিনতে জামাইকে দিবাকর খেমকা নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর অধীনস্থ সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডির দাবি, ‘ওয়েলথ উইজার্ড’ নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে আরও ৪৫ লক্ষ টাকা ঋণের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Money Laundering: লন্ডন নিবাসী রুশ বান্ধবীর কাছে দুর্নীতির টাকা পাচার! অভিযুক্ত ‘বাংলার প্রভাবশালী’

    Money Laundering: লন্ডন নিবাসী রুশ বান্ধবীর কাছে দুর্নীতির টাকা পাচার! অভিযুক্ত ‘বাংলার প্রভাবশালী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডন নিবাসী রুশ বান্ধবীর কাছে দুর্নীতির টাকা (Money Laundering) পাচার করেছেন রাজ্যের এক প্রভাবশালী। গরু, কয়লা পাচার থেকে শুরু করে স্কুলে নিয়োগ— বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির যে অভিযোগে রাজ্য সরগরম, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সূত্রে খবর, সেই দুর্নীতির টাকাই হাওয়ালা মারফত পৌঁছেছে ‘প্রভাবশালীর বান্ধবীর’ অ্যাকাউন্টে। সেই সংক্রান্ত নথিপত্র তাদের হাতে রয়েছে বলেও ইডি সূত্রে দাবি।

    কী বলছেন তদন্তকারীরা

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার খবর অনুযায়ী, এই বিদেশিনী পেশায় ‘মডেল’। লন্ডনের বাসিন্দা। রাজ্যের ওই প্রভাবশালীর এখন তিনি ‘বিশ্বস্ত বান্ধবী’। প্রাথমিক ভাবে ইডির হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, দুর্নীতির টাকা (Money Laundering) হাওয়ালা মারফত প্রথমে পাঠানো হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার এক দেশে। সেখানে কয়েকটি ভুয়ো সংস্থা বানিয়ে তাতেই বিনিয়োগ করা হয়েছে ওই টাকা। এ জন্য ওই দেশে খোলা হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্ট ঘেঁটেই ইডি সূত্রে দাবি, ভুয়ো সংস্থার টাকার একাংশ গিয়েছে রুশ মডেলের অ্যাকাউন্টেও। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু ওই মহিলা নন, তাঁর সহযোগী কয়েক জনের কাছেও দুর্নীতির টাকা পৌঁছেছে। সব মিলিয়ে যার আনুমানিক অঙ্ক ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি বলে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা।

    দুবাই থেকে পরিচয়

    তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই প্রভাবশালী নেতা, এক হিসাবরক্ষক এবং কয়লা পাচারের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ও পলাতক বিনয় মিশ্রের দুবাই, লন্ডন এবং আমেরিকায় প্রায়শই যাতায়াত ছিল। ইডি-র দাবি, তখনই ওই মহিলার সঙ্গে তাঁদের পরিচয়। সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙে তৈরি হওয়া বিভিন্ন দেশের অনেক যুবতীই রোজগারের টানে ছড়িয়ে রয়েছেন বহু শহরে। দুবাইয়ে এমন যুবতীর সংখ্যা কম নয়। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ওই রুশ মহিলাকে নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিষয়ে বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ‘প্রভাবশালী’র সঙ্গে ওই মহিলার এখনও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি।

    আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে ৬৭৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আজ উত্তাল হতে পারে বিধানসভা

    নজরে বিদেশ ভ্রমণের নানা তথ্য

    ইডি সূত্রে সরাসরি কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, এক সাংসদ, তাঁর হিসাবরক্ষক ও তাঁদের দু’জনের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রভাবশালীদের বিদেশ যাত্রার অধিকাংশ টিকিট কাটা হয়েছে মধ্য কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে। সেই সংস্থার অফিসে সম্প্রতি অভিযান চালিয়েছে ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে সেই ভ্রমণ সংস্থার দুই অংশীদারকে দিল্লিতে তলব করে জেরা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে ইডি দাবি করেছে, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। বিদেশের সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে সেই টাকা। আবার ঘুর পথে তা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে কেনা হয়েছে সম্পত্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku : জামিনের আবেদন খারিজ, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা

    Kalighater Kaku : জামিনের আবেদন খারিজ, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর জামিনের আবেদনের পিছনে যুক্তি ছিল, ৩টি ধমনীতে ব্লকেজ রয়েছে। বাইপাস সার্জারি করাতে হবে। কোনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চেয়ে জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানান কালীঘাটের কাকু। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আদালতের সাফ বক্তব্য, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা।

    এসএসকেএম-এ চিকিৎসা

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ গত ১১ দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়েছে সুজয় ভদ্রের। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। সুজয়ের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, পছন্দমতো হাসপাতালে তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে দেওয়া হোক। এসএসকেএম-নিয়ে আপত্তির কথা সরাসরি না বললেও আজ আদালতে ঠারেঠোরে সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন সুজয় ভদ্রর আইনজীবী। আর এই পছন্দমতো জায়গায় চিকিৎসা করানোর জন্য যাতে জামিন কিংবা অন্তর্বতী জামিন দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছিল। পাল্টা ইডি সওয়াল করে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমেই চিকিৎসা করান, তাহলে সুজয়কৃষ্ণ নয় কেন?’’  শেষপর্যন্ত ধোপে টিকল না সেই আবেদন। সুজয়কৃ্ষ্ণ ভদ্রের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলে এসএসকেএম হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    এদিন বিচারক তাঁর নির্দেশনামায় লিখেছেন, ‘‘মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রায় হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এমন ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক অবস্থায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে গেলে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে।’’ রাজ্যের মন্ত্রিসভার হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিরাও যে কিছু প্রয়োজন পড়লেই এসএসকেএম হাসপাতালে যান সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনামায়। বিচারক লিখেছেন, ‘‘এসএসকেএম হল রাজ্যের সেরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রাজ্য মন্ত্রিসভার হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরা জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে এসএসকেএম হাসপাতালেই যান। এসএসকেএম হাসপাতালে সেরা পরিকাঠামো ও চিকিৎসক রয়েছেন।’’ সূত্রের খবর, শীঘ্রই সুজয়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে চলেছে ইডি। চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব, নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি কীভাবে জড়িত, তার তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    Partha Chatterjee: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের বিরোধিতায় আবার ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বকেই হাতিয়ার করল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত পার্থের জামিনের মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। এর জন্য তাঁকে বৃহস্পতিবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানি চলাকালীন পার্থর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। ইডির অভিযোগ, পার্থ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একা হাতে ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছেন। তাই তাঁর কোনও মতেই জামিন পাওয়া উচিত নয়।

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ

    প্রায় এক বছর হয়ে গেল জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আদালতে জামিনের আবেদন করলেও এখনও পর্যন্ত স্বস্তি পাননি তিনি। চার্জশিট পেশ হয়ে যাওয়ার পর কেন জেলে রাখা হচ্ছে পার্থকে? এই প্রশ্ন তুলে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে বোঝাল, কেন তারা পার্থর জামিন দেওয়া উচিত বলে মনে করছে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, পার্থকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। যদিও ফোন ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ইডি জানিয়েছে, গ্রেফতার মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীকে আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিলেন পার্থ।  তিনি যদি প্রভাবশালী না হতেন, তা হলে এমন উল্লেখ থাকত না বলে দাবি ইডির।

    অসুস্থতার অজুহাত

    গ্রেফতারির পর অসুস্থতার কারণে পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু আদালতে ইডি দাবি করেছে, পার্থ আদপে অসুস্থ ছিলেন না। ইডির যুক্তি, হাই কোর্টের নির্দেশে পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা পার্থের শরীরে অসুস্থতার কোনও ছাপ পাননি। ইডির দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে পার্থ অসুস্থতার ‘ভান’ করেছিলেন। আর তিনি প্রভাবশালী বলেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছিলেন, যুক্তি ইডির।

    ‘জেল কোড’ ভঙ্গ

    ইডি আদালতে জানিয়েছে, শুনানির দিন আদালতে নিয়ে আসার সময় পার্থের জন্য পৃথক গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অন্য বন্দিদের নিয়ে আসা হয় প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে। পার্থের জন্য পৃথক ব্যবস্থা কেন? প্রশ্ন তুলেছে ইডি। ইডির যুক্তি, পার্থ প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই তিনি এই বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। ‘জেল কোড’ অনুযায়ী সংশোধনাগারে কোনও বন্দির আংটি পরার অনুমতি নেই। কিন্তু পার্থ দীর্ঘ দিন জেলের মধ্যে আংটি পরেছিলেন। ইডির যুক্তি, তিনি প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মহরমের দিন ড্রাম বাজবে কতক্ষণ? শব্দবিধি নিয়ে পুলিশকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    আগামী সপ্তাহে রায়দান!

    এই মামলায় আগেই সওয়াল করেছিলেন পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবী। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে রায়দান হবে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য ও শিক্ষায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্যও পার্থকে দায়ী করেছে ইডি। আইনজীবী মন্তব্য করেন, ‘স্কুলে অযোগ্য শিক্ষক পাঠানোর অর্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেষ করে দেওয়া। প্রসঙ্গত, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছরের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২৩ জুলাই মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত, রবিবারই পার্থের গ্রেফতারির এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে পার্থের ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ওএমআর শিট দেখতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ওএমআর শিট দেখতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের (Recruitment Scam) মামলায় উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেখতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট জনসমক্ষে প্রকাশ নয়, জমা দিতে হবে সিলবন্ধ খামে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। 

    সুপ্রিম নির্দেশ

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের উপর আজ স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। ওএমআর শিট জনসমক্ষে প্রকাশ করার বদলে সিলবন্ধ খামে করে তা সুপ্রিম কোর্টে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আদালতে। গত ৭ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ৫,৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা-সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। উত্তরপত্রের পাশাপাশি নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে, যাঁদের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত ওএমআর শিট প্রকাশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেও নাম, ঠিকানা সম্বলিত তালিকা প্রকাশের নির্দেশ বহাল রেখেছে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি কেন? গঠনই বা করল কে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

    এই মামলার শুনানিতেই গতকাল, অর্থাৎ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) যা হয়েছে তা পুরোপুরি রাজনৈতিক। এক্ষেত্রে যা পরিস্থিতি তাতে একমাত্র ভগবানই পারে রাজ্যকে বাঁচাতে। শিক্ষক নিয়োগের মামলা শুনেই বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “দিনের পর দিন কী হচ্ছে এটা? সবেতেই রাজনীতি জড়িয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হলেই মামলা হয়ে যাচ্ছে। এ তো দেখছি একমাত্র ভগবানই পারে বাংলাকে বাঁচাতে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগে অনিয়ম! সিবিআই প্রশ্নের মুখে কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা

    Recruitment Scam: নিয়োগে অনিয়ম! সিবিআই প্রশ্নের মুখে কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এবার বর্ধমানের কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, ওই স্কুলে অনিয়মের কারণে এক শিক্ষিকা কাজে যোগ দিতে পারেননি। সে কারণে সোমবার কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকারকে তলব করা হয়। তাঁর বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারায় এদিন সন্ধ্যায় স্কুলের কর্মী বিজন সাহাকেও ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা। বিজন আবার কাটোয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরও। 

    কেন তলব

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০২১ সালে এক শিক্ষিকার নিয়োগে অনিয়মের কারণে ওই স্কুলটি গোয়েন্দাদের নজরে আসে। অভিযোগ, মৌমিতা চক্রবর্তী নামে একজনের নিয়োগের চিঠি স্কুলে এসেছিল। কিন্তু তিনি ওই স্কুলে যোগ দিতে পারেননি নানা কারণে। কেন এমনটা হয়েছিল, তা জানতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে তলবের পাশাপাশি নথিপত্র পাঠাতে বলেন গোয়েন্দারা। ওই স্কুলটিতে বেআইনি পদ্ধতিতে একাধিক শিক্ষিকার নিয়োগ হয়েছে বলেও অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর,  কাটোয়া গার্লস স্কুলে বেআইনি ভাবে বেশ কয়েকজনের চাকরির অভিযোগ। কাদের সুপারিশে চাকরি, মেল মারফত কোনও চিঠি এসেছিল, নাকি হাতে কেউ দিয়ে গিয়েছিল ? জানতে প্রধান শিক্ষিকাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে জেলা ধরে ধরে রাজ্যের এমন বেশ কিছু স্কুলের নামের তালিকা সিবিআই তৈরি করেছে, যেখানে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে অন্যতম কাটোয়ার ওই স্কুল। স্কুলটি কেন্দ্রীয় সংস্থার আতশকাচের নীচে রয়েছে।সিবিআই সূত্রে খবর, এই স্কুলে কী ভাবে নিয়োগ হয়েছে, কোন শিক্ষিকা কবে, কিসের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে ডাকা হয়েছে। স্কুলে কর্মরত শিক্ষিকারা চাকরিতে যোগদানের সময় কী কী নথি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন, নথিপত্র সব ঠিকঠাক ছিল কি না, তা-ও জানতে চায় সিবিআই। অভিযোগ, বেআইনি পদ্ধতিতে চাকরি পাওয়া কয়েক জন অযোগ্য প্রার্থী ওই স্কুলে চাকরি করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সিবিআইয়ের নজরে ১৪টি পুরসভা! পুর দুর্নীতির আড়ালে কীসের আঁচ? 

    Recruitment Scam: সিবিআইয়ের নজরে ১৪টি পুরসভা! পুর দুর্নীতির আড়ালে কীসের আঁচ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদেরও তলব করতে চলেছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহ থেকেই ডাকা হবে বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও এক্সজিকিউটিভ অফিসারদের। স্থানীয় শাসক দলের নেতা-সহ একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রীও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, প্রাথমিক তদন্তের পরে এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। নগরোন্নয়ন দফতর ও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও অফিসারেরা জড়িত, এমন সূত্রও পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।

    জড়িত একাধিক প্রভাবশালী নেতা

    সিবিআই সূত্রে খবর, আপাতত ১৪টি পুরসভার কর্তাদের নোটিস পাঠিয়ে তলব করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই মামলায় এক যোগে ১৪টি পুরসভায় অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। বাজেয়াপ্ত হয়েছিল একাধিক নথি। মিলেছে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একাধিক পদে নিয়োগের ওএমআর শিট। মূলত ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে প্রায় ৭০টির বেশি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরই এবার পুরসভার কর্তাদের তলব করতে চাইছে সিবিআই। আপাতত ১৪টি পুরসভায় তল্লাশির সময়ে পুরকর্তা ও এগজিকিউটিভ অফিসারদের এক প্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বাকি জড়িতদের ধাপে ধাপে তলব করা হবে। চলতি সপ্তাহেই ওই সব পুরসভার কর্তাদের তলব করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস! ১৯ জুলাই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল

    পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে ইডি

    সিবিআইয়ের পাশাপাশি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সমান্তরাল তদন্ত শুরু করেছে ইডি (ED)। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কোথা থেকে এসে কোথায় গিয়েছে, মূলত তা-ই খতিয়ে দেখার কথা তাদের। ইডির তরফে‌ ২০১৪ ও ২০১৭ সালের পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি নগরোন্নয়ন দফতর ও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের কাছে তলব করা হয়েছে। ওই সব নথিও ইডির হাতে এসেছে। তদন্তকারীরা সেগুলিও খতিয়ে দেখছেন বলে ইডি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রমোটার অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফো জোনের অফিসে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই অভিযানে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর মেলে অয়ন শীলের অফিসে। সঙ্গে উদ্ধার হয় পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি। সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেই ইডির তরফে দাবি করা হয় পুরসভাগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) সঙ্গে যুক্ত ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চান, ‘এত টাকা যদি এই দুর্নীতি থেকে উঠে থাকে, তাহলে আপনারা এখনও এই দুর্নীতির কিংপিন কে, তাকে কেন খুঁজে পাচ্ছেন না?’ এদিন, সিবিআইয়ের তদন্তের ‘ধীর গতি’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    সাড়ে ৩০০ কোটির দুর্নীতি

    আদালত সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা সিনেমা থেকে স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ অ্যাটাচ করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। বিচারপতি অর্ডার দেওয়ার সময় ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে টাকার কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    কিংপিন কে? 

    এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতকে বলেন, ‘৪২ হাজারের বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা মূল সুবিধা পেয়েছে, এখনও সিবিআই সেটা খুঁজে বের করতে পারেনি। সিবিআইকে সেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হোক।’ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলায় যে চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের নামের তালিকা আদালতে জমা দিতেও বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলাতে তাঁকে ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে— কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল ঘোষ। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের সেই ‘বিতর্কিত’ চিঠির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে শুক্রবার দাবি করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ! ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের

    CV Anand Bose: দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ! ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) প্রাক্তন অন্তর্বর্তী উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রর (Omprakash Mishra) বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের  আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নৈতিক অধঃপতন, বেনিয়ম, অশোভন আচরণ-সহ একাধিক অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কেন তদন্তের নির্দেশ

    উল্লেখ্য, অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে দুমাসের জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালে এসেছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। তবে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত উপাচার্যের জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়। অনুমতি ছাড়া তিনি কোনও জমি হস্তান্তর করতে পারবেন না। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে। এই সময় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বানানোর সপক্ষে থাকতে দেখা যায় ওমপ্রকাশকে। প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি নিয়ম ভেঙে কাজ করছেন অস্থায়ী ভিসি? পরে যদিও,ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষকদের লাগাতার চাপের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ থেকে পিছু হঠে সরকার।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    অভিযোগ প্রসঙ্গে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “আমার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনলাম। আমি যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু কোথায় দুর্নীতি বা বেনিয়ম হয়েছে তাঁর উল্লেখ নেই। রাজ্যের নামী শিক্ষাবিদদের নিয়ে সোমবার আমি একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছি। এই কথা প্রকাশ্যে আসার পরই আমার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল।’রাজভবন সূত্রে খবর ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছিল। এবার সেই বিষয়েই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share