Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Saayoni Ghosh: ১১ ঘণ্টা ইডির জেরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ফের তলব সায়নীকে

    Saayoni Ghosh: ১১ ঘণ্টা ইডির জেরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ফের তলব সায়নীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আগামী, বুধবার ফের তলব করা হল যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh)। শুক্রবার ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি দফতর থেকে রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বেরোন সায়নী। তিনি জানান, ‘তদন্তে সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি।বেশ কিছু ডকুমেন্টস চেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ‘ এরপরই তৃণমূল নেত্রী ও অভিনেত্রী জানান, আবারও তাকে তলব করেছে ইডি।’

    ফের তলব সায়নীকে

    ইডি সূত্রে জানা যায়, আগামী ৫ জুলাই,ফের সায়নীকে তলব করা হয়েছে। সায়নী (Saayoni Ghosh) জানান, ‘আমি কিছু বেসিক নথি আজ জমা দিয়েছিলাম। ইডি আধিকারিকরা আরও কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন।’ শুক্রবার সকালে ১১টা ২০ নাগাদ ইডি অফিসে হাজিরা দেন সায়নী। ইডি সূত্রে খবর,  জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সায়নী ঘোষের জমা দেওয়া নথির সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখা হয়েছে। তদন্তকারীরা যুব তৃণমূল রাজ্যসভানেত্রীর কিছু জবাবে সন্তুষ্ট নন। তাই আরও কিছু নথি নিয়ে আবারও সায়নী ঘোষকে তলব করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    কী জানতে চাইল ইডি

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা জানতেই প্রথম এই মামলায় ওঠে সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) নাম। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, ইডি দফতরে অভিনেত্রী-নেত্রীকে তাঁর সম্পত্তি এবং লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিয়োগ মামলার তদন্তকারী আধিকারিক-সহ অন্যান্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এঁদের মধ্যে মহিলা আধিকারিকেরা ছিলেন। ব্যাঙ্কের নথি, আয়কর রিটার্ন, সম্পত্তির নথি লেনদেনের তথ্য আনতে বলা হয়েছিল সায়নীকে। বেশ কিছু নথি এনেওছিলেন তিনি। কুন্তলের থেকে কী টাকা পেয়েছেন? কোনও আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন কি না, কুন্তল তাঁর কোনও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেছিলেন কি না, বা কোনও অনুষ্ঠানের খরচ বহন করেছিলেন কি না সে সব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saayoni Ghosh: সব সম্পত্তির হিসেব চায় ইডি! সিজিও-তে হাজিরা দিলেন সায়নী

    Saayoni Ghosh: সব সম্পত্তির হিসেব চায় ইডি! সিজিও-তে হাজিরা দিলেন সায়নী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিন ধরে জল্পনা চলছিল। ছিল বিস্তর কৌতুহলও। বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। ইডি তলবে কি হাজিরা দেবেন তৃণমূলের যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)? অবশেষে আজ, শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের কিছু পরেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন সায়নী। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এদিন ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ সিজিও-তে আসেন অভিনেত্রী। 

    ঠিক কী কারণে সায়নীকে তলব?

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আজ তৃণমূল যুব নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নি ঘোষকে (Saayoni Ghosh) তলব করেছিল ইডি। এই মর্মে বুধবার তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ধৃত কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত তদন্তে উঠে আসে সায়নী ঘোষের নাম। এই সম্পত্তি কেনাবেচাতেও নাম জড়িয়েছে সায়নীর। সম্পত্তি কেনাবেচার সূত্রে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয় অভিনেত্রীর কাছে। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার অভিনেত্রীকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় নথি নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। 

    গত ৪৮-ঘণ্টা কোথায় ছিলেন?

    কিন্তু কোথায় ছিলেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)? ইডি নোটিস পাওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হন সায়নী। দলীয় কর্মসূচি তো দূরের কথা, বাড়িতেও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। বুধবার নোটিস পাওয়ার পর থেকে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তার পর রাতে ফেরেননি। বৃহস্পতিবার গোটা দিনও তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। এমনকি, তিনি কোথায়, সেই উত্তর দিতে পারেননি তাঁর দলের নেতারাও। তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। হোয়াটস অ্যাপেও সক্রিয় ছিলেন না তিনি। এসব নিয়েই বুধবার থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছিল, যা তুঙ্গে ওঠে বৃহস্পতিবার। 

    প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন সায়নী!

    কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর সায়নী (Saayoni Ghosh) বলেছিলেন, ‘ইডি ডাকলে যাব।’ কিন্তু ইডি ডাকার পর সায়নী কার্যত বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। সায়নীর তরফে কোনও আইনজীবীও ইডি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলেই সূত্রের খবর। ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি হাজিরা এড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকরা। সায়নীও কি সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন? এমনও প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। তাই তিনি আদৌ হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে জল্পনা, সব ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ‘উদয়’ হলেন সায়নী। এসেই বললেন, ‘‘আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।’’

    আরও পড়ুন: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী-র

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চার পুরসভায় মিলল ১ হাজার ওএমআর শিট! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: চার পুরসভায় মিলল ১ হাজার ওএমআর শিট! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় অভিযান চালানো হয়েছে ১৪টি পুরসভায়। তবে ৪টি পুরসভার নথিতে মিলেছে ১ হাজার ওএমআর শিট। এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। ২০১৪ সালের পর থেকে পুরসভাগুলির বিভিন্ন পদে যেসব নিয়োগ হয়েছে, তার ওএমআর শিটের কপি রয়েছে এই নথিতে। ওএমআর শিট ধরে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই তালিকা থেকে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।

    সিবিআইয়ের তল্লাশি

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার শেকড়ে পৌঁছতে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। যদিও ৫টি পুরসভায় নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত কোনও নথিই মেলেনি। সেই কারণে ওই পুরসভাগুলিকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের পর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। কোন পদে নিয়োগ, কীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, বেতন কত এবং পুরসভার কাউন্সিলরদের বোর্ড মিটিং সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। বাকি পুরসভাগুলি থেকে যেসব নথিপত্র মিলেছে, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে সেগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই খবর সিবিআই সূত্রে।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই তদন্তের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের নির্দেশও। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষা থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও বড় রূপ নিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের জেরে আপাতত স্বস্তি পেল না রাজ্য সরকার। দুই সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল তারা। এদিনও খারিজ হয়ে গেল তাদের আবেদন।

    আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    প্রসঙ্গত, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে কলকাতা থেকে জেলা সহ মোট ১৪টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল প্রথমে যায় সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন (Recruitment Scam) দফতরে। পরে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা হানা দেন দমদম, দক্ষিণ ও উত্তর দমদম পুরসভা, বারাকপুর, পানিহাটি, কাঁচড়াপাড়া, টিটাগড়, চুঁচুড়া এবং শান্তিপুর সহ বিভিন্ন পুরসভায়। পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অয়ন শীলকে। তাঁর চুঁচুড়ার ফ্ল্যাটে এবং বাড়িতেও তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: “টাকা লেনদেনের ক্লাসিক কেস, হাওলায় টাকা পাচার হয়েছে”, কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বলল ইডি

    Recruitment Scam: “টাকা লেনদেনের ক্লাসিক কেস, হাওলায় টাকা পাচার হয়েছে”, কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের (Recruitment Scam)। ইডি হেফাজতের মেয়াদ অন্তে বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় তাঁকে। কালীঘাটের কাকুকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় ইডি। যদিও জামিনের আবেদন করেন ইডি। দু পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক কালীঘাটের কাকুকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    ইডির আইনজীবীর দাবি

    ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় টাকা ঘুরছে। ইডির অভিযোগ, একটি সংস্থার মাধ্যমে এক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। সুজয়কৃষ্ণ চারটি সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন। হাওয়ালার টাকা আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডির আইনজীবী বলেন, এটা মানি ট্রেলের (লেনদেনের) ক্লাসিক কেস।

    কালীঘাটের কাকুর ‘কীর্তি’

    কালীঘাটের কাকু-ঘনিষ্ঠ সিভিক (Recruitment Scam) ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে আগেই বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নির্দেশেই রাহুল ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে দিয়েছিলেন। রাহুলকে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ এসেছে ইডির হাতে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চাইছে ইডি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আরও পড়ুুন: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সূত্রেই প্রকাশ্যে এসেছিল কালীঘাটের কাকুর কথা। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলও দাবি করেছিলেন, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কুন্তল নাকি আশ্বাস দিয়ে বলতেন, কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। তার পর থেকেই ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) আবার তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার কলকাতার সিবিআই দফতর, নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, বিগত কয়েক মাসের তদন্তে মণীশের সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।

    ফাইল পাঠাতেন মণীশ 

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বহু বার প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন যে, তিনি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেন না। সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তৎকালীন শিক্ষাসচিব তাঁর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যে ফাইল পাঠাতেন, তাতে তিনি সই করে দিতেন। পার্থের বক্তব্য অনুযায়ী, মণীশ যদি নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠিয়ে থাকেন, তবে কাদের নির্দেশে তিনি তা করতেন, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

    উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে জেরা

    সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, মণীশকে এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে জেরা করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে৷ সিবিআই সূত্রে খবর, উপদেষ্টা কমিটির বেশ কিছু নথিপত্রে মণীশের স্বাক্ষর পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে, মূলত কার নির্দেশে কাজ করত এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটি। 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    গত জানুয়ারি মাসে তদন্তকারীরা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সদর কার্যালয় বিকাশ ভবনে হঠাৎই হানা দিয়েছিলেন। ওই দিন বিকাশ ভবনের ছ’তলায় রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের ঘরে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। সেখানে তাঁকে কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সঙ্গে সংগ্রহ করা হয় কিছু প্রয়োজনীয় নথিও। মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তাঁকে নোটিস পাঠানো হয় বলে খবর। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষা সচিব হওয়ার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা দফতরেরও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee : জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    Partha Chatterjee : জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ (Partha Chatterjee) সাত জনের জামিনের আবেদন (Bail Plea Rejected) ফের খারিজ করল আদালত। ২৭ জুন পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত (Alipore Court)। একই সঙ্গে বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের জন্য মঙ্গলবার, তাঁকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা বলেছেন তা বরদাস্ত করা যায় না। তা আদালতের পক্ষে অপমানজনক।

    পার্থকে ভর্ৎসনা বিচারকের

    এর আগের শুনানির দিন আদালত চত্বরে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে পার্থ (Partha Chatterjee) বলেছিলেন, ‘‘বিচার কী হচ্ছে, বুঝতে পারছি। আমি বিচার চাই না, জেলের ভিতরে চিকিৎসা চাই।’’ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানির সময় ক্ষুব্ধ বিচারক পার্থ এবং তাঁর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘বাইরে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন উনি, তা আদালতের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। বুঝতে হবে, সব ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া যায় না।’’ সবুজ রঙের পাঞ্জাবী-সাদা রঙে পাজামা পরে এদিন বিচারকের ঠিক সোজাসুজি বেঞ্চে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গেই বসে ছিলেন পার্থ। শুনানি চলার সময়ে ক্ষুব্ধ বিচারককে দেখে কখনও মাথা নিচু করছিলেন, কখনও আবার চশমা খুলে চোখ বন্ধ করছিলেন। পরে কোর্ট রুমের বাইরে সংবাদমাধ্যমকে পার্থ বলেন, ‘‘আমি কোনও দিন আদালতকে অবমাননা করিনি, করবও না।’’ যদিও আদালতে সওয়াল জবাবের সময় বিচারকের কাছে মক্কেলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন পার্থর আইনজীবী।

    পার্থের উদ্দেশে ‘চোর’ স্লোগান

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সামনে মঙ্গলবার আবারও ওঠে ‘চোর চোর’ স্লোগান। এদিন আদালত চত্বরে অল ইন্ডিয়া ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সই সংগ্রহের পর্ব চলছিল। ওই সই সংগ্রহ পর্ব চলাকালীনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। পার্থকে দেখামাত্রই সই সংগ্রহ অভিযানের একাংশের থেকে উঠতে থাকে ‘চোর চোর’ স্লোগান। 

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় মোদিকে স্বাগত জানাবে ২১ গান স্যালুট! ভাবনা বাইডেন প্রশাসনের

    পার্থের জামিনের আর্জি খারিজ

    মঙ্গলবার একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ-সি মামলায় আলিপুর বিশেষ সিবিআই কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, নাইসার প্রাক্তন কর্তা নীলাদ্রি দাস এবং এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলদের জামিনের আবেদনের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু এদিনও পার্থ-সহ ৭ জনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কুন্তলের চিঠি কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: কুন্তলের চিঠি কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে তলব করল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে পৌঁছন সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও শুরু হয়েছে। কুন্তলের চিঠি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। 

    জেল সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, সিবিআই সুপারের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারেন। জেলে বসেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ধৃত এবং বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। চিঠি পাঠানো হয়েছিল নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছেও। বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল সাম্প্রতিক সময়ে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক বার দাবি করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের বড় নেতাদের নাম বলানোর জন্য তাঁকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমেই হেস্টিংস থানায় অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল। বিতর্কিত এই চিঠির বিষয়ে তখন থেকে তদন্তকারীদের নজরদারির আওতায় ছিল জেল সুপারের ভূমিকা।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুলে আংটি থাকার ইস্যুতে জেল সুপারকে তলব করেছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই মতো আদালতে সশরীরে হাজিরাও দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। এবার সিবিআই দফতরে গেলেন তিনি। নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। চিঠি লেখার আগে কুন্তল কী বলে সুপারের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিলেন কিংবা সেই চিঠি কার হাত দিয়ে তিনি পাঠিয়েছিলেন, এরকম একাধিক বিষয়ে তদন্তকারীরা সুপারের কাছ থেকে জানতে চাইতে পারেন বলে অনুমান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: অভিষেককে ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করা ‘কালীঘাটের কাকু’র পরিচয় কী?

    Kalighater Kaku: অভিষেককে ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করা ‘কালীঘাটের কাকু’র পরিচয় কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কুন্তল ঘোষ পাঠাতেন ‘কালীঘাটের কাকু’কে! ধৃত কুন্তলের ডায়েরিতে পাওয়া এমনই নাম নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। কৌতূহল বাড়তে থাকে কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku) নিয়ে! কে তিনি? কীই বা তাঁর পরিচয়? উত্তর মেলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের কাছে। তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতে বসে হঠাৎই তিনি বলেন, ‘‘কালীঘাটের কাকু আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র!’’ পরবর্তীতে ক্যামেরার সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহেব বলে সম্বোধনও করেন কাকু। তাঁর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) একটি সংস্থাও দেখভাল করেন বলে জানান সুজয়কৃষ্ণ।

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ঠিকুজি

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কালীঘাটের কাকুর সন্ধান পায় বেহালায়‌। বাড়ির নাম রাধারানি। একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাড়িতেও চালানো হয় তল্লাশি অভিযান। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে যোগ মেলে তিন তিনটি সংস্থারও। সেই সংস্থার ডিরেক্টর এবং অ্যাকাউন্টেন্টদের ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, এই সংস্থাগুলি থেকেই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করা হতো। মঙ্গলবার ইডি অফিসে ফের তলব করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। টানা বারো ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।

    বাড়ি বেহালায় কিন্তু কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) বলে তাঁকে কেন ডাকা হতো?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে কালীঘাটের কাকু কেন বলতেন? তাঁর বাড়ি তো বেহালায়। সেক্ষেত্রে হওয়া উচিত ছিল বেহালার কাকু। এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ইতিপূর্বে শোনা গিয়েছিল কালীঘাটের কাকুর মুখে। সংবাদমাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মালিক। অভিষেকের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে একটা জলের কারখানা রয়েছে সেটাই দেখাশোনা করেন তিনি। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আর নাকি একদমই সময় দিতে পারেন না। ক্যামেরার সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহেব বলেও সম্বোধন করেছিলেন কাকু (Kalighater Kaku)। পরে এও বলেন তিনি, ‘‘আমি কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করিনি অথবা তার সঙ্গে দেখাও করিনি।’’ নিজেকে তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলেও দাবি করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র! কালীঘাটের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে। তাই এখন তদন্ত করে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

     

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৬ ঘণ্টা পার! এখনও ‘কালীঘাটের কাকু’-কে জেরা করে চলেছে ইডি

    Recruitment Scam: ৬ ঘণ্টা পার! এখনও ‘কালীঘাটের কাকু’-কে জেরা করে চলেছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) আজ, মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তলব করেছে ইডি (ED)। এদিন সকাল ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) হাজিরা দেন সুজয়। এই প্রথম বার ইডি দফতরে গেলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কি ভয় পাচ্ছেন সুজয়? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আত্মবিশ্বাসী কি না বেরোনোর সময় দেখবেন।’’

    কেন তলব?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম উঠে আসে কালীঘাটের কাকুর নাম। কে এই কালীঘাটের কাকু, সেই নিয়ে চর্চা হয় বিস্তর। জানা যায়, তাঁর আসল নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাপস দাবি করেন, কুন্তল ঘোষ ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকী টাকা লেনদেনের ব্যাপারে সবই জানতেন সুজয়। যদিও কুন্তল দাবি করেছিলেন, তিনি সুজয়কৃষ্ণকে চেনেন না। একাধিবার সুজয়কে জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগেই নিজামে সুজয়কে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    গত ২০ মে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। সকাল ছ’টা নাগাদ কার্যত তাঁর বাড়ি গিয়ে সুজয়কে ঘুম থেকে তুলে তল্লাশি অভিযান ও জেরা শুরু করেন ইডি অফিসাররা। টানা ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে সুজয়ের একটি মোবাইল ও কিছু নথি নিয়ে যান গোয়েন্দারা। মনে করা হচ্ছে, সেইসব সূত্র ধরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজয়কে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। সুজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি দেখে অনেকগুলি লেনদেন সন্দেহজনক লেগেছে তদন্তকারীদের। তারপর নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়েছে। সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান অফিসাররা। কুন্তল–তাপসকে কেমন করে চিনতেন সেটা জানতে চাইতেই এই তলব। তাঁদের সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে খবর রয়েছে অফিসারদের কাছে। এমনকী এক প্রভাবশালী আমলার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল বলে তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। এইসব নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডি অফিসাররা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    Recruitment Scam: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির  (Recruitment Scam) কিনারা করতে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতরে চিঠি দিল ইডি। কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন এবং পুর নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কী কী তথ্য জানতে চাইল ইডি?

    ইডি সূত্রে খবর, গত ১০ বছরের মেয়াদে কলকাতা পুর নিগম সহ রাজ্য জুড়ে পুরসভা ও কর্পোরেশনগুলিতে কত নিয়োগ করা হয়েছে, সেই নিয়োগের প্রক্রিয়া কী ছিল, কীভাবে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে, কত জনের প্যানেল তৈরি হয়েছিল, এই সব তথ্যই জানতে চাওয়া হয়েছে (seeking information)। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোন কোন পুরসভায় কত নিয়োগ (Recruitment Scam) হয়েছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকেই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সূত্রের খবর, ২০১৪ সাল থেকে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন মারফত নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। ২০১৪ সাল থেকে কোন কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে, কোন এজেন্সি দায়িত্বে ছিল, সেই সব বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই, দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি, তোপ সুকান্তর

    কোথায় কোথায় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন, অ্যাম্বুলেন্স অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ড্রাইভার-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে (Recruitment Scam) টাকা-পয়সার লেনদেন হয়েছিল। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share