Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • SSC: “যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব”, শীর্ষ আদালতে জানাল কমিশন, নজর সোমবারের শুনানিতে

    SSC: “যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব”, শীর্ষ আদালতে জানাল কমিশন, নজর সোমবারের শুনানিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এসএসসি’র (SSC) বক্তব্যে চাকরি হারাদের মধ্যে ফুটল আশার আলো। একই সঙ্গে তৈরি হল বিতর্ক। এসএসসি’র বক্তব্য, “অভিযোগহীন চাকরি প্রার্থীদের চিহ্নিত করা সম্ভব।”

    যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব?

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় অভিযোগহীন শিক্ষকদের তালিকা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন কমিশনের (SSC) সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার। তবে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা কমিশন আদালতে জমা দিবে কি না সেই প্রশ্ন আপাতত এড়িয়ে গিয়েছেন সিদ্ধার্থ বাবু। কমিশনের অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের (SC) কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আন্দোলনকারীদের মনে। একই সঙ্গে সিদ্ধার্থ বাবুর বক্তব্যে এই প্রশ্ন উঠেছে যে যদি কমিশনের কাছে অভিযোগহীন শিক্ষকদের তালিকা থাকে অর্থাৎ কমিশন যদি যোগ্য এববগ অযোগ্য শিক্ষক বাছাই করতে সক্ষম হয় তাহলে এতদিন সে বিষয়ে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন? এমনকি সেই তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি কেন?

    কমিশনের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত শুক্রবার চাকরিহারা শিক্ষকরা এসএসসি দফতরের (Acharya sadan) সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় চাকরিপ্রার্থীদের। কমিশনের দপ্তরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিনই কমিশনের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “আদালতে (Calcutta Highcourt) সাম্প্রতিক একটা রায়কে কেন্দ্র করে এসএসসি দফতরের সামনে একটা বড় জমায়েত হয়েছে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে আদালত। তাদের একটা অংশ যাদের সম্পর্কে কোন অভিযোগ নেই তাঁরা আজ জমায়েত হয়েছেন এবং আমার সঙ্গে ওদের আলোচনা হয়েছে। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি। যারা যোগ্য তাদের পাশে রয়েছে কমিশন (Recruitment Scam)।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির প্রতিশ্রুতি

    প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সকলের জন্য চাকরি তৈরি রয়েছে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ২ লক্ষ চাকরি তৈরি রয়েছে। একইসঙ্গে প্যানেল বাতিলের জন্য আদালত ও বিজেপিকে (BJP) দায়ী করেছিলেন তিনি। কিন্তু ওএমআর শিট কেন খোয়া গেল এনিয়ে কমিশন কিংবা মুখ্যমন্ত্রী কেউ রা কাটেনি। কমিশনের সভাপতি দাবি করেন, তাঁরা সুপ্রিমকোর্টকে আশ্বস্ত করতে একটি তালিকা প্রকাশ করবেন। যেই তালিকাতে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব (Recruitment Scam)। কিন্তু সেই যোগ্য অযোগ্য বিচারের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবং এই বাছাই পর্ব কিভাবে করা হবে সে বিষয়ে কমিশনের তরফে কিন্তু কোন উত্তর মেলেনি।

    প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া

    এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, “ওদের কাছে যদি যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা থাকে, তাহলে কলকাতা হাইকোর্টে কেন ওরা জমা দেয়নি। সেই তালিকা ডিভিশন বেঞ্চ বারংবার জমা দিতে বলেছিল। অযোগ্যদের রক্ষা করতে গিয়ে যোগ্যদের বিপদের মুখে ঠেলেছে রাজ্য সরকার (Recruitment Scam)। এখন বিপদ বুঝে একটা তালিকা দেওয়ার কথা বলছেন” মন্তব্য আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। প্রসঙ্গত শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছিল যেহেতু ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গেছে তাই কী উপায়ে যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব।  আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন আদালতে কী বক্তব্য পেশ করে কমিশন সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের এসএসসির পর প্রকাশ্যে তৃণমূল জমানার আরও এক কেলেঙ্কারি! ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই রিপোর্টে ব্যাপক অনিয়মের ইঙ্গিত। সিবিআইয়ের তদন্তে প্রকাশ (Calcutta High Court), নকল ওয়েবসাইট বানিয়ে বাইরের লোক নিয়োগ করে ফেল করাদের পাশ দেখিয়ে নিয়োগ-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। ওই টেটে কীভাবে জালিয়াতি হয়েছে সবিস্তারে তার তথ্য সিবিআইয়ের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে বিচারপতি মান্থার এজলাসে।

    চার দফায় নিয়োগ (Calcutta High Court)

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের (Calcutta High Court) টেট পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে। মঙ্গলবার পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এর ওপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাবে। আইনজীবীদের আশঙ্কা, গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আট সপ্তাহ পরে। তার আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

    কী বললেন বিচারপতি?

    ২০১৪ সালের টেটে কারচুপির অভিযোগে জনৈক রাহুল চক্রবর্তী-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, সিবিআইকে ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজতে হবে, নচেৎ বাতিল করে দেওয়া হবে ২০১৪ সালের টেট। এই মামলায় সিবিআই আগেই জানিয়েছিল, ৩০৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তখনই আদালত জানিয়েছিল, তথ্যের খোঁজে প্রয়োজনে সিবিআই ফের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে।

    আরও পড়ুুন: গোদরেজ পরিবারে ভাঙন, বাঁটোয়ারা হল সম্পত্তি, কার ভাগে কী?

    এদিন বিচারপতি মান্থার কড়া নির্দেশ, সিবিআইকে ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। ডিজিটাল ডেটা বের করার নির্দেশও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে। ডিজিটাল ডেটা ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করার জন্য সিবিআইকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে যাওয়ার ছাড়পত্রও দেন বিচারপতি মান্থা। সিবিআই ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজে আনতে পারে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, এই মামলায়ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে ডিজিটাল ভার্সান সংরক্ষিত রয়েছে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের পার্থর জামিন খারিজ করল হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের পার্থর জামিন খারিজ করল হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ফের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘তদন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে এই মুহূর্তে জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।’ নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিকবার জামিন চেয়েছেন পার্থ। শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গ তুলে সম্প্রতি ফের জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবী। পাল্টা হিসেবে ইডির তরফে পার্থর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়। এরপরই জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি।

    কী বলল আদালত

    গত মঙ্গলবার এই মামলার (SSC Scam) শুনানিতে পার্থকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যের উচ্চ আদালতে। ইডির উদ্দেশে বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘পার্থকে কি আর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে?’’ তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এখন আর প্রাথমিক পর্যায়ে নেই। যদি ধরেও নেওয়া যায় যে, ২০২২ সালের শেষে ইডির মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, তা হলেও প্রায় দেড় বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। এখন তদন্তকারী সংস্থার অবস্থান স্পষ্ট হওয়া দরকার।’’ ইডি আদালতে সওয়াল করার সময় জানিয়েছিল, এক ‘মিডল ম্যান’-এর কাছ থেকে আরও কিছু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। যেগুলি এখনও তদন্তের আওতায় আসেনি। সঠিক পথে তদন্ত এগিয়ে চলছে। তবে পার্থের তরফে জানানো হয়, নিয়োগ মামলায় ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট উদ্ধার হওয়া সমস্ত টাকার দায় তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি সমস্ত অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চান।

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফায় কী প্রচার করবেন, কৌশল বাতলে এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি মোদির

    পার্থ-অর্পিতা যোগ

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যতই তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করুন না কেন, এই দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতার যোগ স্পষ্ট বলেই মনে করছে ইডি । একাধিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের কাছে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতার দত্তক নেওয়া সন্তানের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন। তাঁদের একাধিক জীবনবিমার পলিসি ছিল। দু’জনের নামে যৌথ সম্পত্তিও রয়েছে । স্ত্রীর মৃত্যুর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোম্পানির শেয়ারে পত্নীর নামের জায়গায় অর্পিতার নাম ঢোকানো-সহ এরকম একাধিক বিষয় রয়েছে। সেই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে । আদালত প্রাথমিকভাবে এই বিষয়গুলি অস্বীকার করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেছে।এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, তিনি দুঃখিত। এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment: এসএসসি মামলায় প্যানেল বাতিল! স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Recruitment: এসএসসি মামলায় প্যানেল বাতিল! স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ (SSC Recruitment) দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের এজলাস জানিয়েছে, আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। এর ফলে চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহাল রইল। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’’

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এর পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালত এদিন পর্যবেক্ষণে (SSC Recruitment) বলে, ‘‘কেন সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হল?’’ এদিন চাকরিহারাদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, নির্বাচনের ডিউটিতে অনেকেই রয়েছেন তাই এই মামলার স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। কিন্তু তা শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে এসএসসির তরফ থেকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করার বিষয়ে বলা হয়। সেক্ষেত্রে বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, ‘‘ওএমআর শিট তো সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করা হয়েছে, তাহলে কীভাবে আপনারা কারা যোগ্য সেটাকে আলাদা করবেন!’’ তবে ওএমআর শিট সম্পূর্ণ হবে নষ্ট হয়ে গেলেও আজব দাবি জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং তাদের আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’’

    সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত এসএসসি

    রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতের এদিন সওয়াল করে বলেন, ‘‘এই সময় নির্বাচন চলছে, এখন সিবিআই তদন্ত করলে পুরো মন্ত্রিসভা জেলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে তদন্তে স্থগিতাদেশ চায় রাজ্য (SSC Recruitment)। সুপ্রিম কোর্ট তা মঞ্জুর করে। এসএসসির আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে প্রশ্ন তোলেন জানান, ৮ হাজার জনের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলেও ২৩ হাজার চাকরি কেন বাতিল করা হল?’’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’’

    হাইকোর্টের রায়

    প্রসঙ্গত, সোমবারই এসএসসি মামলা (SSC Recruitment) ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়। কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির রায়ের ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন  শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি চলে যায়। সাদা খাতা জমা দিয়ে যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, তাদেরকে ১২ শতাংশ সুদসহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরও প্যাঁচে ‘কালীঘাটের কাকু’, সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই

    CBI: আরও প্যাঁচে ‘কালীঘাটের কাকু’, সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলেছে এমনটাই আদালতে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সেই আবহে জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য বুধবার কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে আবেদন করেছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে তদন্তের জন্য তাঁকে জেরা করার প্রয়োজন আছে জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই (CBI)। এমনকি এই মামলায় দ্রুত অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কেও জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। আরও জানা গেছে আলিপুর আদালতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে এনিয়ে নগর দায়রা আদালত।

    রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কলকাতার ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে একটি মুখ বন্ধ খামে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট তাদের দফতরে আসে বলে ইডি সূত্রে খবর। এরপর সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। লাইভ স্ট্রিমিং চলাকালীন তদন্তের স্বার্থে কয়েকটি বিষয় প্রকাশ্যে আনেননি। তবে দুই পক্ষের কথোপকথন থেকে জানা যায় কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট মিলেছে। তবে সেই রিপোর্টে খুশি নয় আদালত। কারণ কণ্ঠস্বর মেলার পর যা করণীয় তা করা হয়নি এমনটাই মনে করেছে আদালত। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কল রেকর্ডিং এবং পরে সংগ্রহ করা কণ্ঠস্বরের নমুনা ইতিবাচক রয়েছে একথা আদালতে জানানো হলেও যার সঙ্গে কথা সুজয়ের কথা হয়েছিল তাঁকে এখনও হেফাজতে নেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে। কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট চলে আসায় সেই জটিলতা অনেকটাই কেটে গেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা (CBI) সূত্রে খবর।

    গ্রেফতার হওয়ার পর সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের দীর্ঘদিন ঠিকানা ছিল হাসপাতাল

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দীর্ঘদিন ঠিকানা ছিল হাসপাতাল। অসুস্থতার অজুহাতে কখনও সরকারি আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতালে থেকেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মাঝে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর হার্টে অস্ত্রপচার করা হয় বলে জানানো হয়। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে ইডি। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে কী উঠে এসেছে তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত ৩ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাল থেকে কাঁকর বাছতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষকতার চাকরি খুইয়েছেন ২৬ হাজার জন (SSC Recruitment Scam)। এই ভিড়ে যোগ্যদের পাশাপাশি রয়েছেন অযোগ্যরাও, যাঁরা শাসকদলের নেতাদের এজেন্টদের টাকা দিয়ে চাকরি বাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যোগ্যদের চাকরি কেন বাতিল হল, তা জানতে চেয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েছেন চাকরি খোয়ানো ‘শিক্ষক’দের একাংশ।

    মাঠে সিবিআই (SSC Recruitment Scam)

    এহেন আবহে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলেই খবর। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই মর্মে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে। ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেলেঙ্কারির গোড়ায় পৌঁছতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    কেলেঙ্কারি কবুল 

    শিক্ষক নিয়োগে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল, সেকথা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। তবে বাঁকা পথে কারা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই অযোগ্যদের নাম বলেননি এসএসসি কর্তৃপক্ষ। যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই একই মর্মে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল সিবিআই (SSC Recruitment Scam)।

    সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও শব্বর রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খোয়া যায় প্রায় ছাব্বিশ হাজারজনের। এই সময়ই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই যেমন অতিরিক্ত নিয়োগে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে তদন্ত করতে পারবে, তারা অযোগ্যদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও পারবে। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: “মুম্বই হামলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি ইউপিএ সরকার”, তোপ জয়শঙ্করের

    হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। বুধবারই এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এক সঙ্গে প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার বড় প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এদিকে, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি করে ফর্ম পাঠিয়েছেন ডিআইরা। কোন স্কুলে কতজন চাকরি খুইয়েছেন, কোন কোন বিষয়ের শিক্ষকরা সেই তালিকায় রয়েছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে ডিআইদের তরফে। দ্রুত ওই তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা ডিআইদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের লোন নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের লোন নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) জেরবার রাজ্য। যোগ্য, অযোগ্য বিভেদ করা যাচ্ছে না। দুর্নীতি এমনভাবে সিস্টেমকে জড়িয়ে ধরেছে যে নাজেহাল সবাই। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ছাপ চোখে পড়ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। চিন্তায় পরিবার। কিন্তু, শুধুই কী চিন্তায় রয়েছে চাকরিহারা ও তার পরিবারের লোকজন? চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে?

    ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভাবনা

    সরকারি চাকরি থাকলে ব্যাঙ্ক থেকে লোন পেতে দেরি হয় না। সরকারি চাকরিজীবীদের লোন দিতে অগ্রাধিকারও দেওয়া হয়। কারণ সরকারি চাকরি সহজে চলে যায় না। তবে রাজ্য সরকারি শিক্ষকদের অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলি। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক (SSC Scam) প্রায় ৭ কোটি টাকা সরকারি শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও। ব্যাঙ্কের শাখাগুলি ইতিমধ্যেই বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    কী বলছে ব্যাঙ্ক

    ধূপগুড়ির একটি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কথায়,‘পার্সোনাল লোন, হোম লোন মিলিয়ে আমাদের শাখা থেকে সাত কোটি টাকার বেশি লোন দেওয়া হয়েছে। এই টাকা কী করে আদায় করব ভেবে পাচ্ছি না। আমরা বিষয়টি ব্যাঙ্কের উপর মহলের নজরে এনেছি। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের উপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।’ এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না, বলেও জানান তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এসএসসি মামলার রায় (SSC Recruitment Verdict) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। আর সেই সূত্র ধরে আরও একবার নাম উঠল ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন শিরোনামে ছিলেন চন্দন মণ্ডল। উল্লেখ্য তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় ‘সৎ রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। মূল অভিযোগ হল, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে বহু চাকরি দিয়েছেন। পরে গ্রেফতার হন চন্দন মণ্ডল।

    বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে আধার (SSC Recruitment Verdict)

    জানা গিয়েছে সোমবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরে যে ২৬ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন উত্তর ২৪ পরগনার চন্দনের গ্রামের আশপাশের এলাকার অনেকে। হাইকোর্টের রায়ের পরে মঙ্গলবার ভরা দুপুরেও যেন ‘আঁধার’ নেমে এসেছে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে। চাকরি যাওয়া কারও ফোন বন্ধ, তো কেউ আবার বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    তবে কেবল মামাভাগিনা নয়, আশপাশের চড়ুইগাছি কুরুলিয়া, রামনগর-সহ গোটা বাগদা ব্লকের প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি (SSC Recruitment Verdict) চলে গিয়েছে বলে গ্রামেরবাসিন্দারা জানিয়েছেন। চন্দনের প্রতিবেশী, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান হারান বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের বেশ কয়েক জন অবৈধ ভাবে চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে ।’’ সেই সঙ্গে আরও বলেন, “গ্রামের অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেলেও সকলে অবৈধভাবে নিযুক্ত হননি। কেউ কেউ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন।”

    অনেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন

    এদিন হাইকোর্টের রায়ের (SSC Recruitment Verdict) পরে এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। আরও গ্রামবাসীরা বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা সোমবারের পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হননি। তেমনই এক যুবকের বাড়ি গিয়ে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই জানালেন, কোনও স্কুলে চাকরি করেন না তিনি। মাঠেঘাটে কাজ করেন। গ্রামের এক মহিলার মতে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে বাগদার (Bagda) প্রচুর যুবক-যুবতী পথে বসলেন। কারও বিয়ে হয়েছে। কারও সন্তান হয়েছে। কেউ কেউ আবার ঋণ নিয়ে বাড়ি করছেন। তাঁদের এ বার কী হবে!”

    আরও পড়ুনঃউস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে

    মামাভাগিনা (Mamabhagina) গ্রামে চাকরি যাওয়া এক যুবকের আত্মীয় এদিন বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে এখানে যখন চাকরি বিক্রি হচ্ছিল, তখন চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি হয়েছিল।’’ এ দিন পুরনো স্মৃতি উস্কে বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনের দীর্ঘ লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে। উদ্দেশ্য একটাই, চন্দন মণ্ডলের সাহায্য নিয়ে একটা সরকারি চাকরি (SSC Recruitment Verdict) জোটানো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “শেষ জীবনেও মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হবে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “শেষ জীবনেও মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হবে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি ভোটের প্রচারে বলেন, “অপকর্ম করলে ফল পাবেন। এখানেও পাবেন, ভগবানের কাছেও পাবেন। আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উচিত তাঁর নেতাদের বলা যে সুদ সমেত টাকা ফেরত দিয়ে দাও। নাহলে যাঁদের চাকরি গেছে তাঁদের টাকাও যাবে। তবে এখন টাকা দিতে গেলে বাপের জমি বেচতে হবে। যাঁরা গরিব ছেলে-মেয়ের টাকা নিয়েছে, প্রত্যেকের সাজা না হওয়া পর্যন্ত এই তদন্ত এবং এই রায় ফলপ্রসূ হবে না।” মঙ্গলবার দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের আশিষ মার্কেটে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়েছিলে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    ওই কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মাইক হাতে নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে (CM) আক্রমণ করে বলেন, “ইডি (ED), সিবিআই (CBI) নেতাদের বাড়ি থেকে টাকা বের করে নিয়ে যাচ্ছে। তাতে তাঁর খুব কষ্ট। মানুষ আপনাকে মানে না, মানবে না। তাই রাস্তায় চোর চোর স্লোগান শুনতে হয়। তাঁর পার্টির ছিঁচকে চোররা শুনত চোর চোর। এখন মুখ্যমন্ত্রীকেও চোর শুনতে হচ্ছে। তাঁদের জলে ডুবে মরা উচিত। ৫০ বছর রাজনীতি করার পরে শেষ জীবনে চোর চোর শুনে যেতে হবে। এ জীবনের কোনও মূল্য নেই। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) অশ্বত্থ গাছে নিচে দাঁড়িয়ে বলছে, ডুবে মরো, ডুবে মরার জলও নেই পশ্চিমবঙ্গে। খাওয়ার জল পাওয়া যাচ্ছে না ডুববে কোথায়।”

    ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল

    প্রসঙ্গত সোমবার কলকাতা উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে একসঙ্গে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। এ যেন ঢাকি সমেত বিসর্জন! সাম্প্রতিক কালে এত সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে চাকরি যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এরই মাঝে চাকরি যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)? সহ একাধিক বিজেপি নেতা।

    আরও পড়ুনঃ ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

    মমতার অভিযোগ বিচারব্যবস্থার দিকে

    আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ভোটের প্রচার কর্মসূচি থেকে যে বক্তব্য রাখেন তাতে তাঁর অভিযোগ ছিল বিচারব্যবস্থার দিকেই। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ সহ একাধিক তৃণমূল নেতারা যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের দলের নেতারা গ্রেফতার হলেও তাঁরা এই দায় নিতে নারাজ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যদি সমস্ত ওএমআর শিট আদালত বা তদন্তকারী সংস্থার কাছে জমা দিত কমিশন, তাহলে যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ের কাজ আরও ভালোভাবে করা যেত। এখানেই প্রশ্ন তাহলে কি এসএসসি তদন্তকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে? এদিন নির্বাচনী প্রচারে চোর চোর বলে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: একমাত্র চাকরি যায়নি এই শিক্ষিকার, সেই সোমা দাস কী বলছেন?

    Recruitment Scam: একমাত্র চাকরি যায়নি এই শিক্ষিকার, সেই সোমা দাস কী বলছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta highcourt) নির্দেশে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে সোমবার। চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার সরকারি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী। শুধু চাকরি যায়নি একজনের। ব্যতিক্রমী ভাবে বহাল রইল বীরভূমের শিক্ষিকা সোমা দাসের (soma das) চাকরি। তিনি নলহাটির (nalhati) এক নম্বর ব্লকের মধুরা হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকার পদে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু কোন যুক্তিতে তাঁর চাকরিতে বহাল রাখল আদালত? এটাও একটা মানুষের মনে প্রশ্ন।

    চাকরিতে বহাল রাখল শুধু সোমা

    সোমবার শিক্ষক দুর্নীতি (ssc) মামলার ২৮১ পাতার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, “সোমা দাস যেহেতু ক্যান্সার আক্রান্ত। তাই মানবিকতার স্বার্থে তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়নি। তিনি আগের মতই শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করতে পারবেন।” চাকরি যায়নি শুনে খুশি হয়েছেন সোমা। তিনি বলেন যোগ্য প্রার্থীদের পাশে আছি তাঁরা যেন চাকরি পান।

    প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন সোমা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের নির্দেশে বছর খানেক আগে চাকরিতে যোগদানের সুপারিশ পত্র পেয়েছিলেন বীরভূমের (birbhum) সোমা দাস। কলকাতা হাইকোর্টের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যেহেতু সোমা দাস ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই তাঁকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। এরপর তিনি বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের মধুরা হাইস্কুলের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সোমার চাকরি পাওয়ার রাস্তা মসৃণ ছিল না। ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে যে চাকরি প্রার্থীরা কয়েক মাস আন্দোলন অনশন চালিয়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    কী বললেন সোমা?

    বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দার সোমা। তাঁর কর্কট রোগের চিকিৎসা চলছিল। পরবর্তীকালে তিনি চাকরি পেলেও সেদিনের আন্দোলনের কথা আজও মনে রয়েছে সোমা দাসের। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তাঁর চাকরি বহাল থাকলে সহযোদ্ধাদের প্রতি তার সমর্থন আজও রয়েছে আগের মতই। বাংলার শিক্ষিকা সোমা এদিন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “দুর্নীতি যে হয়েছিল তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সবার আগে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করে দেন। তাঁকে নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তিনি যা বলে ছিলেন যা করে ছিলেন আজকের রায় সেই বিচারেরই সত্যতা প্রমাণ করল। আজও অনেক যোগ্য প্রার্থী চাকরি পায়নি। তাঁদের জন্য খারাপ লাগছে। আমি চাইব তাঁদের যেন দ্রুত চাকরি হয়। চাকরি হওয়ার মতন উপযুক্ত পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share