Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য! দু’লক্ষ নয়, মোট চার লক্ষ জরিমানা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-র ফল ঘোষণা না করায় এক চাকরীপ্রার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন দু’লক্ষের পরিবর্তে চার লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন মালারানী পাল। কিন্তু ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ তা জানায়নি বলে অভিযোগ। আর সেসময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মামলকারীর বক্তব্য, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি মালারানী। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, “পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” তাই চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানিক এখনও ওই জরিমানা জমা দেননি। উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরীক্ষার ফল(২০১৪ টেট) প্রকাশ হলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মায়ারানী পাল।

    বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা

    জরিমানা দেওয়ার পরিবর্তে সেই নির্দেশ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন মানিক। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হলেও তার শুনানি না হওয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চে আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী। মানিকের আইনজীবী জানান, ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি না হওয়ায় আপাতত জরিমানা টাকা দেওয়ার নির্দেশ মুলতবি রাখুক একক বেঞ্চ। মানিকের আইনজীবী আরও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের কোনও ভুলের জন্য সভাপতি জরিমানার জন্য দায়বদ্ধ নয়।

    কিন্তু এমন আবেদন ফিরিয়ে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, “৭ দিনের মধ্যে জরিমানা টাকা দিতে হবে মানিককে। হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে টাকা দিতেই হবে মানিককে। সেই টাকা শর্ট টার্ম ডিপোজিটে গচ্ছিত থাকবে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার ফল মানিকের পক্ষে গেলে সুদসহ টাকা ফেরত পাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।”

    ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি না হওয়ায় এর পর আজও মানিকের আইনজীবী জরিমানা নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নতুন করে আরও ২ লক্ষ টাকার জরিমানা নির্দেশ দেন। তাই এখন সর্বমোট ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে হবে।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি, শাহিদরা গেলেন জেলে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি, শাহিদরা গেলেন জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তিন অভিযুক্ত। ওইদিন ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের। অন্যদিকে কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, শেখ শাহিদ ইমাম ও আব্দুল খালেক – এই চার অভিযু্ক্তের আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস এবং নীলাদ্রিকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কুন্তলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই প্রথম তাঁকে হেফাজতে নিল সিবিআই।

    তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রিকে হেফাজতে নিল সিবিআই

    এদিন আদালতে তোলার সময় আরও একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল। এদিকে আবার তাপসের গ্রেফতারিতে খুশি হয়েছেন বলেই দাবি কুন্তল ঘোষের। আদালতে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের আইনজীবী দাবি করেন, “ইডি’র হেফাজতে উনি আছেন। তাঁকে এই মামলায় হেফাজতে এখন তাহলে নেওয়ার কি দরকার সিবিআইয়ের?” অন্যদিকে তাপস মণ্ডলও গ্রেফতারির কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “তদন্তের স্বার্থে পুলিশ হেফাজতের প্রয়োজন হয়। তবে আমি যদি তদন্তে সাহায্য করি তাহলে প্রয়োজনীয়তা কী হেফাজতে নেওয়ার?” আরেক ধৃত নীলাদ্রি ঘোষের আইনজীবীও একই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “এই একই মামলায় তিনবার ডাকা হল। সিবিআই দাবি করছে তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের মাঝে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছে নীলাদ্রি। উনি সাধারণ ব্যবসায়ী। তাঁদের পরিচিত। আমাদের চলার পথে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাই বলে কি তিনি অপরাধ করবেন?” এরপর সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর কুন্তল, তাপস ও নীলাদ্রির আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    বাকি ধৃতরা গেলেন জেলে

    এদিন তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি-শাহিদ ইমাম-সহ ৭ জনকে আদালতে পেশ করা হয়। টাকা কোথায় গেল, কার থেকে নেওয়া হল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। এরপরই  ১ জন নন, ৩ জন গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, বলে আবেদন আইনজীবীর। শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম,কৌশিক ঘোষ গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, সূত্রের দাবি।

    এদিন সওয়াল-জবাবের পর কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, শেখ শাহিদ ইমাম ও আব্দুল খালেক – এই চার অভিযু্ক্তের আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। এদিন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে মামলার শুনানিতে ধৃত আব্দুল খালেকের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেছেন৷ সেখানে তিনি সওয়ালে জানান, ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েথে তাঁর মক্কেলের৷ এমনকী তাঁর হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা রয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ নেই বলে আদালতে জানিয়েছেন আব্দুল খালেকের আইনজীবী৷ এই সব যুক্তিতে আইনজীবী এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আব্দুল খালেকের জামিনের আবেদন করেছে৷ কিন্তু কোনও কিছু কাজে দেয়নি তাঁকে জেল হেফাজতেরই নির্দেশ দেন বিচারক।

  • Recruitment Scam: আদালতে তোলা হল তৃণমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামকে, গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘মহারাজ’?

    Recruitment Scam: আদালতে তোলা হল তৃণমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামকে, গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘মহারাজ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গত শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন আরামবাগের যুব তৃণমূল নেতা শাহিদ ইমাম ও তাঁর ভাই শেখ আলি। আজ, সোমবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে সেই শাহিদ ইমামকে আদালতে পেশ করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথমবার কেউ গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, সিবিআইয়ের কাছে কি তিনি ফাঁস করে দেবেন প্রভাবশালীদের নাম? এবারে কি তবে দুর্নীতিচক্রের মূল পাণ্ডাদের হদিশ পাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা?

    গোপন জবানবন্দি দেবেন শাহিদ ইমাম!

    শুক্রবার শাহিদ-সহ অন্য অভিযুক্তদের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু, শনিবারই ফের শাহিদ ইমামকে আদালতে তোলে সিবিআই। সিবিআই  জানায়, তাঁকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি সাক্ষী হিসেবে শাহিদের গোপন জবানবন্দি নিতে চাইছে সিবিআই? কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নিতে গেলে তাঁকে অন্য অভিযুক্তদের থেকে আলাদা রাখতে হয়। তাই কি শাহিদকে আর হেফাজতে রাখতে চায়নি সিবিআই? এর পর আজ ইমামকে আদালতে তোলা হয়েছে।

    অন্যদিকে আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, চাকরি বিক্রির নামে ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছেন এই তৃণমূল নেতা। সেই টাকা গেল কোথায় তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। এরপরেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছে শাহিদ ইমাম গোপন জবানবন্দি দিতে চান।

    ইমামের প্রাসাদ ঘিরে শুরু তুমুল চর্চা

    আরামবাগ মহকুমা সহ হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় তিনি পরিচিত ‘মহারাজ’ নামেই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মহারাজ যখন সিবিআই হেফাজতে, তখন তাঁর নির্মীয়মাণ প্রাসাদ ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। আরামবাগ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে একটি প্রাসাদের মত বাড়ি। সেটির মালিক শাহিদ ইমামই। এই  ‘মহারাজ’-এর অট্টালিকার ছাদে বিশেষ কিছু তৈরি করার পরিকল্পনা হচ্ছিল। তাই ছাদের উপরে ছিল বিশেষ নকশা। জানা গিয়েছে, শাহিদ ইমামের নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার তৈরির পরিকল্পনা ছিল। এমনকী বাড়ির ভিতরে রয়েছে ঘোরানো সিঁড়িও। ফলে তাঁর এই বিশাল অট্টালিকা দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মহারাজ আরামবাগ মহকুমায় দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা। টিএমসিপি থেকে যুব তৃণমূলের নেতা হয়ে ক্রমশ তাঁর প্রতিপত্তি বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। অভিনয়, দানধ্যান, সিনেমায় টাকা ঢালা থেকে নানান দিকে নিজের বিস্তার ঘটিয়েছেন কয়েক বছরে। এরপরেই তিনি যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন, এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসায় সিবিআই হেফাজতে তিনি।

    উদ্বেগে শাহিদ-ঘনিষ্ঠ নেতাদের একাংশ

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ার পর থেকেই চিন্তায় রয়েছেন অন্যান্য তৃণমূল নেতারাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লক স্তরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য শাহিদের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকার উৎস নিয়ে কখনও প্রশ্ন করিনি। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও ধারণা নেই। সত্যি বলতে, বেশ ভয়েই আছি।” একই রকম উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন আরও কয়েকজন নেতা। বিভিন্ন সময়ে যাঁরা শাহিদের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন। আজ আদালতে পেশ করার পর কী তথ্য সামনে প্রকাশ্যে আসে তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। এছাড়াও ইমামের জবানবন্দিতে কোনও প্রভাবশালীদের নাম উঠে আসে নাকি সেটাও এখন দেখার।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জালে আরও ২, কে কে জানেন?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জালে আরও ২, কে কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার তাপস মণ্ডল (Tapas Mandal)। রবিবার দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। তাপস প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। এদিন দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। টানা ঘণ্টা তিনেক জেরা করা হয় তাপসকে। তার পরেই করা হয় গ্রেফতার। যদিও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেছেন তাপস। তাপস ছাড়াও এদিন সিবিআইয়ের জালে পড়েছেন আরও এক অভিযুক্ত নীলাদ্রি ঘোষ। সোমবার দুজনকেই তোলা হবে আদালতে।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁকে জেরা করে জানা যায় তাপসের নাম। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠোর রোডের দেবীপুরের বাসিন্দা তাপস। বছর কুড়ি ধরে ওই এলাকায় রয়েছেন তিনি। স্ত্রী, দুই ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে সংসার তাঁর। ইডির চার্জশিটে নাম ছিল তাপসের। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তিনি সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন তাপসের দিকে। কুন্তল ও তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে বহু অজানা তথ্যের সন্ধান মিলবে বলে তদন্তকারীরা মনে করেন। সেই কারণেই রবিবার তাঁকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। এদিন তাঁকে জেরাও করা হয়। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এর আগে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, তাঁর অফিস থেকে টাকা নিয়ে এজেন্টরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাকরি প্রার্থীদের ওএমআর শিটের কপিও উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাপসকে জেরা করেই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আর্থিক লেনদেনের (Recruitment Scam) মামলায় বৃহত্তর চক্রের সন্ধান পায় সিবিআই এবং ইডি। তাপসকে জেরা করে জানা যায় নীলাদ্রির নাম। কুন্তলের কাছ থেকে দু দফায় তিনি ৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন বলেও সিবিআইকে জানিয়েছিলেন নীলাদ্রি। বছরখানেক আগে দুজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে দু লক্ষ টাকা নিয়ে গোপাল দলপতিকে দিয়েছিলেন বলেও তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন তাপস। এদিন তাপস এবং নীলাদ্রি দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Kuntal Ghosh: কুন্তল ঘোষকে আরও ১৪ দিনের জেল, হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই!

    Kuntal Ghosh: কুন্তল ঘোষকে আরও ১৪ দিনের জেল, হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজও জামিন পেলেন না কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলের হুগলির যুবনেতাকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। ফলে আপাতত ৩ মার্চ পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকতে হবে কুন্তলকে। 

    এদিকে এদিনই আদালত চত্বরে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বলেন, “দোষী সাব্যস্ত হলেই আত্মহত্যা করব।” সম্প্রতি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ তাঁর কাছে ১০০ কোটি টাকা ও মূল্যবান গাড়ি থাকার অভিযোগ উঠেছে৷ শুক্রবার কুন্তলকে আদালতে পেশ করে ইডি৷ সেই সময় তিনি দাবি করেন, “তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। এগুলো যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আত্মহত্যা করব।” নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে ইডি হেফাজতে ছিলেন কুন্তল৷ এখন তিনি রয়েছে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে৷ এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি৷ বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কুন্তল ঘোষকে জেরা করে তদন্তকারী আধিকারিকরা রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। কুন্তল ঘোষ ইডিকে জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির লভ্যাংশের টাকা পেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য-সহ রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালীরা।

    আরও পড়ুন: খরচে লাগাম টানতে দিল্লি-মুম্বাইয়ের অফিস বন্ধ করল ট্যুইটার, কাজ হবে বাড়ি থেকেই

    শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল নগর দায়রা আদালতে। আদালত কক্ষে ইডি এবং তাঁর আইনজীবী নিজেদের কথা জানানোর পরেই হঠাৎ কুন্তল জানান, তিনিও কিছু বলতে চান। বিচারক তাঁকে কথা বলার অনুমতি দেন। কুন্তল (Kuntal Ghosh) বলেন, “সব কিছুর মধ্যে একটা পর্দা রয়েছে…।” কুন্তলের বাড়িতে থেকে একটি ধূসর রঙের ডায়েরি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। সেই ডায়েরির পাতায় সাঙ্কেতিক লেখার পাশাপাশি গানের কলিও খুঁজে পায় ইডি। শুক্রবার কোর্ট রুমে এই ডায়েরি নিয়ে কিছু বলতে শুরু  করেছিলেন কুন্তল। কিন্তু ‘ডায়েরি’ শব্দটি শোনামাত্রই বিচারক কুন্তলকে থামিয়ে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি নতুন কিছু বলতে চান?” কুন্তল থমকে গিয়ে আবার বলতে শুরু করেন। বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “হ্যাঁ। বলতে চাই। গোপাল দলপতির আন্ডারে…”। কিন্তু এ বারও বাক্য সম্পূর্ণ করতে পারেননি কুন্তল। বিচারক আবার তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, “আপনার যদি কিছু নতুন বলার থাকে আইনজীবীর মারফত বলুন।” এরপরেই চুপ করে যান কুন্তল। প্রায় আর কোনও কথাই বলতে পারেননি শুনানি চলাকালীন পুরো সময়ে। পরে কুন্তলের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর আইনজীবী বিচারককে জানান, তাঁদের নতুন কিছু বলার নেই।

    এবার সিবিআই হেফাজতে কুন্তল? 

    এদিকে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এবার কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) জেরার জন্যে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই। কুন্তলকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছে। আগামী সোমবার আদালতে পেশ করা হবে কুন্তল ঘোষকে। সিবিআই আধিকারিকরা চাইছেন বিষয়টির গভীরে যেতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে কুন্তলের নাম জড়াল তা জানতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে গ্রেফতার বাগদার ‘রঞ্জন’ চন্দন মণ্ডল (Chandan Mondal)। মাস কয়েক আগে তাঁর নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই (CBI) কর্তা উপেন বিশ্বাস। তিনি সৎ রঞ্জন নাম নিয়ে চন্দনের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ আনেন। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে চন্দনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে ফের একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় চন্দনকে। এদিনই তাঁকে তোলা হয় আদালতে। অভিযোগ পাওয়ার পর ২১ জানুয়ারি রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বাগদার এই রঞ্জনের সঙ্গে যোগ ছিল প্রভাবশালীদের। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্তে আসে সিবিআই। মোটা টাকার বিনিময়ে বহু কর্মপ্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি চাকরি দিতেন বলে অভিযোগ। চাকরি পাওয়ার জন্য কর্মপ্রার্থীরা ফি দিন তাঁর বাড়ির সামনে লাইনও দিতেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ চাকরি পেলেও, অনেকেই পাননি বলে অভিযোগ।

    সিবিআই…

    প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের দাবি, বাগদার রঞ্জন চাকরি প্রার্থীদের (Recruitment Scam) কাছ থেকে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। সেই টাকা পাচার হয়ে যেত কলকাতায়। উপেন দাবি করেছিলেন, চাকরি বিক্রির অভিযোগের কথা তাঁর কানে এসেছে। রঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরির আশ্বাস দিতেন তিনি। চাকরি প্রার্থীদের তিনি বলতেন, উত্তরপত্রে কিছু লেখা যাবে না। শুধু নাম আর রোল নম্বর লিখতে হবে। উত্তর লিখলে চাকরি পাওয়া যাবে না। পরে আদালতে এ কথা জানান উপেনও। তদন্তকারী সূত্রে দাবি, রঞ্জনের দেওয়া তথ্যে মিডলম্যান প্রদীপ ও প্রসন্নর নামও উঠে এসেছে। বেআইনিভাবে নিয়োগপত্র পাওয়া ৩৫০জন গ্রুপ সি প্রার্থীও প্রদীপ ও প্রসন্নর নাম করেছেন।

    আরও পড়ুুন: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির! তুমুল বিতর্কে মন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, প্রাইমারি টেট দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া নিয়ে সিবিআইকে চন্দনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত বলেছিল, প্রয়োজনে বাগদার চন্দন মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মতো চন্দনকে সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই সময় চন্দন বাড়িতে না থাকায় জেরা করা হয়েছিল তাঁর মেয়ে চৈতালি ও পরিবারের অন্য সদস্যদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেলেন ইডির আধিকারিকরা। নিয়োগে বেনিয়ম ও কোটি কোটি টাকার লেনদেনে কুন্তলের যোগ স্পষ্ট বলেই দাবি ইডির। তাই  আদালতের নির্দেশ মতো জেলে গিয়ে কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) জেরা করা শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কুন্তলকে জেরা

    বৃহস্পতিবার আলিপুরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে কুন্তল ঘোষকে জেরা করেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর, এর আগে কুন্তল যখন ইডির হেফাজতে ছিল, সেই সময় তাঁর কাছ থেকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর ইডি পায়নি। এরপরই গত ৩ ফেব্রুয়ারি কুন্তলকে আদালতে তোলা হলে ইডির আধিকারিকরা এ বিষয়ে বিচারককে জানান। তাঁরা আবেদন করেন, জেলে গিয়ে জেরার যেন অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর এদিন কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান ইডির আধিকারিকরা। গোপাল দলপতির বক্তব্যকে সামনে রেখে কুন্তলকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে সূত্রের খবর। সেটা রেকর্ডও করা হবে। পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বেনিয়মের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গেলে তা কীভাবে যেত তাও কুন্তলকে জেরা করেই এদিন ইডি জানতে চাইতে পারে বলেই সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    ইডির দাবি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের একটি ডায়েরি তাদের হাতে এসেছে। যে ডায়েরির পাতায় পাতায় সাঙ্কেতিক অক্ষরমালা। টাকার হিসাবের পাশে নাম ও পদবির আদ্যাক্ষর লেখা বলেও দাবি সূত্রের। শুধু তাই নয়, প্রচুর গানের প্যারোডিও লেখা রয়েছে সেই ডায়েরিতে। সেই ডায়েরির রহস্য ভেদ করতেও কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। পাশাপাশি কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে চাকরি চুরির টাকা যেত সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ইডির জেরার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত কুন্তল আর কার নাম বলেন সেটাই এখন দেখার। শাসকদলের আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আবারও প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ সাতজনকে পেশ করা হয় আদালতে। তার পরেই বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে ডেকে বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না।

    সিবিআইয়ের তদন্ত…

    এদিন আলিপুরে জেলা দেওয়ানি ও দায়রা আদালতে শুনানি ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থের। তাঁর মামলার শুনানিতেই সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারক বলেন, যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদেরও কিছু অধিকার থাকে। অনির্দিষ্টকাল ধরে তদন্ত চলছে তো আর বলা যায় না। আর কতদিন সময় লাগবে? এই সময় পার্থর আইনজীবী বলে ওঠেন, এ তো তারিখ পে তারিখের মতো চলছে।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee) ছাড়াও সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এদিন শুনানি ছিল অন্যান্য অভিযুক্ত যেমন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহাদের মামলারও। তখনই বিচারক তদন্তকারী অফিসারদের কাছে জানতে জান, চার্জশিটে লিখেছিলেন, বাকি অভিযুক্ত এবং প্রার্থীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। কিন্তু তাঁরা কোথায়? প্রায় দু মাস হয়ে গেল, আমি জয়েন করেছি। অনেক দিন তো হল। আমি জানি, এটা একটা বড় কাজ। প্রায় ৩৫০জন রয়েছেন। কিন্তু কারও স্টেটমেন্ট কি নেওয়া হয়েছে? কারও জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন? কোনও ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট নিয়েছেন? এর পরেই তদন্তকারী অফিসারদের ডেকে বিচারক বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। অন্তত একটা ১৬৪ (জবানবন্দি রেকর্ড) করান। তিনি বলেন, তদন্তে অগ্রগতি না হলে এভাবে অভিযুক্তদের আটকে রাখা যায় না। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ রয়েছে।

    এই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই দুর্নীতি করা হয়েছে। তাই সূত্র পেতে সময় লাগছে। তাছাড়া, অভিযুক্তরা গ্রেফতারির পরেও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। কীভাবে ওএমআর শিটে কারচুপি হবে, কোন ওএমআর শিট কার কাছে যাবে, সব ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। সরকারি কৌঁসুলি বলেন, তদন্তে সরকারি কর্তাদের পাশাপাশি ব্যক্তি বিশেষের নামও উঠে এসেছে। প্রত্যেকেই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। অপরাধের গুরুত্ব দেখে সবাইকে হেফাজতে নেওয়া দরকার। প্রমাণও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছর চাকরি করেছি। স্কুলে নিজের শ্রম দিয়েছি। বেতন (Salary) ফেরত দেব কেন? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরি (Recruitment Scam) হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এর আগে চাকরি হারানো ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবারও ফের দ্বারস্থ হলেন ডিভিশন বেঞ্চের। তবে এবার তাঁরা আদালতে গিয়েছেন বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ২ হাজার ৮২৩ জন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২ হাজার ৮২৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে এসএসসিকে বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন ধরে নেওয়া বেতনও ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এই ১ হাজার ৯১১ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশও এসএসসিকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, আমার বিশ্বাস, বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক ওই দিনই চাকরি খোয়ান (Recruitment Scam) ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি স্টাফ। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: এখনও চাকরি যায়নি ৬১৮ জন শিক্ষকের, সংশয় দূর করে সাফ জানাল এসএসসি

    Recruitment Scam: এখনও চাকরি যায়নি ৬১৮ জন শিক্ষকের, সংশয় দূর করে সাফ জানাল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় শিক্ষকদের সংশয় অবশেষে দূর করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে কমিশনের দাবি, এখনও ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি বহালই আছে। এদিন আদালতে এসএসসির দাবি, এই ব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক করা হবে। ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে এই শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি। আর এই নিয়েই অভিযোগ করে এই ৬১৮ জন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, যে বিষয়ের উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, সেখানে কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল। আর আজ সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে কমিশন জানাল যে, তাঁদের চাকরি এখনও যায়নি। তাঁদের সুপারিশপত্র এখনই বাতিল হয়নি, কেবল সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    নবম-দশমে নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এ ব্যাপারে এসএসসিকেই নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন তিনি। আদালতে বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই বক্তব্য শোনে। পরে একক বেঞ্চের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও রায়দান স্থগিত রাখেন। এর পর সোমবার রাতেই অভিযুক্ত ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি।

    আরও পড়ুন:‘ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করছি না…’, ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা

    কমিশনের বিজ্ঞপ্তি নিয়েই অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষকদের

    বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলা। সেক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন কী ভাবে এসএসসি প্রথম দফায় ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্রের সুপারিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল সেই বিষয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এই শিক্ষকদের একাংশ। দাখিল করা হয়েছিল অতিরিক্ত হলফনামাও।

    এরপরেই আজ আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সমস্ত সংশয় দূর করে জানিয়ে দেয় যে, তাঁদের চাকরি থেকে এখনই বরখাস্ত করা হচ্ছে না, কারণ এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে। তাই এদিন কমিশন জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সুপারিশপত্র বাতিল হয়ে যায়নি। সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে এখনই মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share