Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) মামলা যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। আর একের পর এক মামলার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির (SLST) ২১ জনের বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজ সেই ২১ জনকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বয়স কম দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ২১ জনের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি হাইকোর্টের

    ২০১৬ সালে নবম এবং দশম শ্রেণিতে বয়স কমিয়ে এবং অ্যাকাডেমিক নম্বর বেশি দেখিয়ে অনেককে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ১৯২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী (SSC Scam)। মামলাকারীদের দাবি, “এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকা তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স পেরোনোর পরেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে সিবিআই তদন্তের দরকার।”

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে এই ২১ জনের তালিকা এসে পৌঁছেছে। ফলে সেখানে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রকৃত বয়স ৪০-এর উপরে। কিন্তু চাকরির জন্য বয়স কম করে দেখিয়েছে তারা। এরপরেই এতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে অন্তত ১৬৩ জনকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে মেনে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ (SSC Scam)।

    আর এরপরেই এই মামলায় (SSC Scam) বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আপাতত অভিযুক্ত ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। আজ শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন, “দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে, প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় থাকা ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

    হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হল, নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বয়স, নম্বর ইত্যাদি খতিয়ে দেখে আদালতে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ফলে এই নিয়োগ মামলায় আবার কী তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার। 

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। “পর্ষদ কিছু করতে না পারলে, শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) ডেকে পাঠাতে হবে। আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, তাহলে করুন, কোথায় বাধা?” নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় এমনটাই বলতে শোনা গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর  দাবি, অবিলম্বে অযোগ্যদের নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রয়োজনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

    যে সব চাকরিপ্রার্থীদের বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সব প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়েই কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর সেই মামলা চলাকালীন এবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’দফায় বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট। ওই ন’জনকে নিয়ে বৈঠকও করতে হবে কমিশনকে। উপস্থিত থাকতে হবে ন’জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের আইনজীবীকে। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    গতকাল ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উল্লেখ করেন বিচারপতি। তখনই তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা? যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।”

    আবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “কার সুপারিশে চাকরি পেলেন? কে কে সুপারিশ করেছিলেন? জুনিয়র নাকি সিনিয়র পি সি সরকারের হাতের জাদুতে নম্বর বাড়ল?”  এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।

    তবে এতদিন শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উঠে আসেনি। কিন্তু গতকাল বিচারপতির (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্যের পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে ব্রাত্য বসুকেও তলব করা হবে হাইকোর্টে?

  • TET: পর্ষদকে দেওয়া তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ, জেনে নিন পদ্ধতি

    TET: পর্ষদকে দেওয়া তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ, জেনে নিন পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দেওয়া তথ্যে কোনও ভুলভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভ্রম সংশোধনের সুযোগ পাবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট (TET) পাশ করেছেন, সেই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কীভাবে করবেন ভ্রম সংশোধন?

    প্রাইমারিতে নিয়োগে পর্ষদের যে অনলাইন পোর্টাল রয়েছে www.wbbpeonline.com-এ যান। সেখানে PRIMARY TEACHER RECRUITMENT-2022-এই অপশনটিতে ক্লিক করুন। এরপর দেখবেন আসবে এডিট অ্যাপ্লিকেশন অপশন। সেখানে NOTIFICATION FOR ENJOYING EDIT OPTION FOR PRIMARY TEACHER’S RECRUITMENT 2022-এ যান। পরে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিন। সেখানে ক্লিক করলেই নির্দিষ্ট তথ্য সংশোধন করে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুটাও জেলের আঁধারেই কাটাতে হবে পার্থ অর্পিতাকে, কেন জানেন?

    এদিকে, প্রাথমিক টেট (TET) ২০২২ এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, টেট হওয়ার পর কার্বন কপি দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে, কাজ ভাল হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী আদালতে জানান, সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করা থাকবে। রবিবার রাজ্যজুড়ে হয় প্রাথমিকের টেট। পরীক্ষা দেন প্রায় সাত লক্ষ চাকরি প্রার্থী।

    আরও পড়ুন: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। প্রাথমিকের টেটকে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছিল পর্ষদ। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স, মেটাল ডিটেক্টর, ফ্রিস্কিং সহ করা নিরাপত্তার নানা ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    TET Scam: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) ফের নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ও তিনি নিজেও অষ্টম শ্রেণি পাশ করা শিক্ষক। আর এরপরেই তাঁকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নেতা হলেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে বেতন পেলেও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও প্রতি মাসে আলাদা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। এইসব অভিযোগের পরেই তাঁকে ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর ১টার মধ্যে সশরীরে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেবজ্যোতি ঘোষের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ?

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) নাম জড়িয়েছে দেবজ্যোতি ঘোষের। তিনি ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একজন প্রাথমিক শিক্ষকও। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সদস্যও তিনি। অভিযোগ উঠেছে, নিজের ক্ষমতা বলে তিনি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ও এই অভিযোগে মামলাও দায়ের হয় হাইকোর্টে। কোয়েনা দে নামে এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায় ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার তৃণমূলের এই নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: মৃত লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ, ফাঁসে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

    কোয়েনা দে দাবি করেছেন, দেবজ্যোতি ঘোষের পাসপোর্টে লেখা, তিনি নাকি অষ্টম শ্রেণি পাশ। ফলে কীভাবে তিনি প্রাথমিকে চাকরি পেলেন সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলার (TET Scam) শুনানি চলাকালীন দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে আসে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দেবজ্যোতি ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আর এরপরেই সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানো তাপস মণ্ডলেরও ঘনিষ্ঠ।

    ফলে এইসব অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন এই হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য। একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, যদি তিনি  হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

  • Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

    Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল না জামিন। গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচ মাস হয়ে গেল তবু জামিন নেই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন ফের খারিজ হয়ে গেল। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এদিন পার্থ-সহ বাকি অভিযুক্তদেরও পেশ করা হয়। তাঁদেরও আগামী ১০ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দিল আদালত।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা পার্থর (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সরাসরি অভিযোগ এনেছে সিবিআই। চলতি বছর ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু দুপক্ষের কথা শুনে আদালত ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    পার্থর (Partha Chatterjee) হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান। জামিনের আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, পার্থবাবু কখনও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেননি। কমিটি তাঁকে কখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি। তাহলে তিনি ষড়যন্ত্রে সামিল হলেন কী করে? তিনি বলেন, “নিয়োগে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি যদি কিছু করে থাকে তাতে আমার মক্কেলের কোনও ভূমিকা নেই। চার্জশিটের পর কী করে আবার তদন্ত করার কথা বলতে পারে? এটা তো আইনবিরুদ্ধ। এই কথা রোজ বলে একজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখা যায় না। আমার মক্কেল কোথাও যাবেন না। যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি।”

    আরও পড়ুন: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    আর এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের রহস্যভেদ করতে পার্থর মত প্রভাবশালীদের জেলে রাখা দরকার। নইলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। প্রত্যেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত। যেন একটা চেনের মাধ্যমে যুক্ত। অভিযুক্তরা সহযোগিতা করছেন না। তাই আমরা তাঁদের ফের জেল হেফাজতে চাইছি।”

    এর পর আদালত কক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে পার্থবাবুও মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাকে বলে আমি জানতে চাই। এখানে সামাজিকভাবে আমার চরিত্র হননের কাজ চলছে।  এভাবে একজনকে জেলে আটকে রাখলে ভবিষ্যতে কেউ মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না। আমি মন্ত্রী, প্রতিদিন এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা হয়ে যাচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    বাকি অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ

    পার্থর পাশাপাশি এদিন আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের। এর পর দুপক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। বিকেল ৪টে নাগাদ ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত ঘোষণা করেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ সহ ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

  • Manik Bhattacharya: ট্রাঙ্কে করে এল নথি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

    Manik Bhattacharya: ট্রাঙ্কে করে এল নথি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে আদালতে ১৬০ পাতার চার্জশিট পেশ করল ইডি। বুধবার দুপুরে ইডির কর্তারা একটি ট্রাঙ্কে করে চার্জশিট এবং তার সমর্থনে নথিপত্র নিয়ে হাজির হন আদালতে। আর্থিক প্রতারণা আইন অনুসারে, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয়। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় বিরুদ্ধে কবে চার্জশিট পেশ করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর আজ অবশেষে ৫৭ দিনের মাথায় বিশেষ ইডি আদালতে চার্জশিট জমা দিল তদন্তকারীরা। বিচারক শুভেন্দু  সাহার কাছে জমা দেওয়া হয় চার্জশিট।

    চার্জশিট পেশ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, ৬০ পাতার চার্জশিটের সমর্থনে ওই ট্রাঙ্কে প্রায় ৬০০০ পাতার নথি রয়েছে। ওই একই সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক (Manik Bhattacharya) ছাড়াও আরও ৫ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ছাড়াও চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ২টি সংস্থার নাম। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম আগেই উঠে এসেছিল।

    চার্জশিটে কী কী তথ্য উঠে এল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন ক্লাস ও ডিএলএড প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা সরিয়েছেন। ডিএলএড কোর্সে অফলাইন ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকার বেশি নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। টাকা গিয়েছে মানিকের ছেলের কোম্পানিতে। চার্জশিটের সঙ্গে সাক্ষীদের বয়ানও আদালতে পেশ করতে চলেছে ইডি।

    আবার মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিএড এবং ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চার্জশিটে। কিছু দিন আগে মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে এক মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ৩ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এসব তথ্যও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ফলে এবারে চার্জশিটে মানিকের স্ত্রী, ছেলের নাম উঠে আসায় আরও অস্বস্তিতে পড়লেন মানিক (Manik Bhattacharya)।

    আদালতে জামিনের আবেদন করলেন মানিক

    এদিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন মানিককে (Manik Bhattacharya) ফের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে জামিনের আবেদন করেন মানিক। কিন্তু ইডি জানায় এই দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে। ফলে অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখেই তদন্ত চালানো হবে।

  • Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharyee) আমলে দুর্নীতির আখড়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের ছটা থেকে এখনই মুক্ত হতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে। অভিমত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Ganguly)। দুর্নীতির তদন্তের জন্য প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন বিচারপতি। সেই মতো বৃহস্পতিবারই মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই।

    কী বললেন বিচারপতি

    টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আপাতত রয়েছেন জেল হেফাজতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্যের ছটা মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।” নিয়োগ দুর্নীতিতে যে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা অনেকটাই এদিন ফের তা বুঝিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  “আমাকে কি আবার সিট পুর্নগঠন করতে হবে?” দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর কথা বলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    এদিন শুনানির সময় এক মামলাকারী দাবি করেন, টেটে নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা নেওয়াই হয়নি। তার পরেও তাঁরা ওই পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এই অভিযোগ শুনে মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।’’ এই মন্তব্য করে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি। 

    সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদনই জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় রক্ষাকবচের কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘রক্ষাকবচ খারিজ করার আবেদন জানান।’ 

  • Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম টানা হল। তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ টেনে মামলা করা হয়। তবে এই মামলাকে ভিত্তিহীন বলে সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জেলে রয়েছেন একাধিক মন্ত্রী-নেতা। তবে শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নয়, আরও এমন মামলায় যেমন- গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার ইত্যাদিতে নাম উঠে এসেছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। আর এসব নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু দুর্নীতিতে তাঁর নামই টেনে আনা হল। তবে বিচারপতির মামলা খারিজে স্বস্তি পেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কী মামলা আনা হয়েছিল?

    অভিযোগ ওঠে, ২০০৯ সাল অর্থাৎ বাম আমলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তার পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর। সেই সময় নিয়োগ বোর্ডে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি দাবি করেন, সেই সময় কীভাবে চাকরি হয়েছে, তা তিনি খুব ভাল করেই জানেন। শিউলির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই একটি মামলা হয় হাইকোর্টে। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আর এদিন সেই মামলায় কোনও প্রমাণ না থাকায় সরাসরি খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    বিচারপতি কী বললেন?

    এই মামলার শুনানিতে প্রথমেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন করেন, “তৃতীয় ব্যক্তির করা দাবির ভিত্তিতে এই মামলার ভিত্তি কী? কেউ যদি বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন, তবে তিনি আদালতে এলেন না কেন? ভিডিও দেখে হঠাৎ মনে হয়েছে বিচার চাই? কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?”

    এরপরেই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি মামলা করার মত ছিল না। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।”

    এই যুক্তি না শুনে বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, “প্রার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত। এতদিনে শিউলি সাহার ভিডিও পাওয়া গেল বলে অভিযোগ করতে এলেন কেন?” ১৩ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল? এত দিন কেন হাইকোর্টে আসেননি চাকরিপ্রার্থীরা?

    তাই বিচারপতির দাবি, যেখানে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অভিযোগ নেই, সেখানে ১৩ বছর পরে একটা ভিডিও নিয়ে এসে এভাবে অভিযোগ করা যায় না। ফলে এতে কোনও প্রমাণ না থাকায় ভিত্তিহীন বলেই মামলা খারিজ করেন তিনি।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেনামি আবেদন মামলায় বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত। সঙ্গে শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশও। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)।  রাজ্য সরকার এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আজ কী হল

    তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশ মেনে আদালতে হাজিরা দিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। কিন্তু তার আগেই শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য৷  অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ‘বেনামি’ আবেদনের কৈফিয়ত চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন। তবে আগে ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শুরু হতেই ডিভিশন বেঞ্চে অস্বস্তিতে পড়ে কমিশন। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল থাকায় বেকায়দায় পড়ে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে কিভাবে কমিশন অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এরকম একটা আবেদন করল ? কিভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করার আবেদন আদালতে করা হল ? একজন সচিবকে তলবের নির্দেশ কিভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় অভিমত ডিভিশন বেঞ্চের। তাই সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখা হয়। ডিভিশন বেঞ্চও পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এবিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতে হাজিরাও দিতে হবে শিক্ষা দফতরের সচিবকে। এর ফলে এই মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতা পারে রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর কাজ নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, ‘সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুপস্থিত কেন?’ বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই মামলাগুলো সিবিআইয়ের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। আইনজীবীর অনুপস্থিতি সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়।”

    সিবিআই-এর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    গত ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানির সময়ে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। শীর্ষ আদালতের নির্দেশনামায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর অনুপস্থিতির কথা নথিবদ্ধ রয়েছে। বুধবার তা দেখেই অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এতেই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    এর পরেই আইজীবীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। আর এর উত্তরে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ওই দিন আদালতে ২৬ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যদিও পরে বিচারপতি এও বলেন যে, সেই রিপোর্টেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে এদিন এই রিপোর্ট নিয়েও বিচারপতি সিবিআই-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ৬ ডিসেম্বর।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    এরপরে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) কটাক্ষের সুরে সিবিআই-কে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন যে, এই মামলাগুলি হাইকোর্টের সিঙ্গল, ডিভিশন বেঞ্চ পেরিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে। তাছাড়া রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তদন্ত হচ্ছে। এই বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) বলেছেন, এই মামলাগুলির একটা অন্য গুরুত্ব আছে। সেই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সিবিআই-এর।

    এই প্রথম নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকায় বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এমনকি নিজের তৈরি করা সিট ভেঙে নতুন সিট গঠন করেছেন তিনি। বদলে দিয়েছিলেন সিটের প্রধানকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share