Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Recruitment Scam: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    Recruitment Scam: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এর মধ্যেই নবম-দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের (Recruitment Scam) তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর নির্দেশ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র নিয়েছেন এমন ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে (SSC)। তাঁদের নাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তা জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এদিনই পরে অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবারই প্রকাশ করতে হবে না অবৈধদের তালিকা। প্রসঙ্গত, ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই এবং এসএসসিকে যৌথভাবে সেই সব বেআইনি নিয়োগ খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল।

    বেআইনি নিয়োগ…

    বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Scam) কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে তার পরেও তারা কেন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধ করার পরিবর্তে হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চাইতে সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এটা আশ্চর্যজনক। অথচ তাদের উচিত ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে এগিয়ে এসে আদালতকে সাহায্য করা।

    এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, ২০১৬ সালের এই ১৮৩ জনের বেআইনি সুপারিশ খুঁজে পাওয়ার পরেও তা বাতিলের জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা? আর কী কী বেআইনি কাজ খুঁজে পেয়েছে কমিশন? ২০১৬ সালে নবম-দশমে নিয়োগের তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজারের নাম। নবম-দশমে নিয়োগের মেধা তালিকায় নীচে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    এদিন আদালতে এসএসসির আইনজীবী জানান, মূলত র‌্যাঙ্ক জাম্প করে সুপারিশের তথ্য খুঁজে পেয়েছে কমিশন। তালিকায় নীচের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীদের আগে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমনই অভিযোগ উঠেছিল।
    এদিকে, এদিনই অবৈধ নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় সিবিআই জানায়, ১৮৩ নয়, ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার মামলাগুলির বিস্তারিত শুনানি হবে। সেই শুনানির পরেই তিনি পরবর্তী নির্দেশ দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • Calcutta High Court: কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের ওপর আগেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আজ, বুধবার সেই স্থগিতাদেশের সময় আরও বাড়িয়ে দিলেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বাড়ান হল। অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

    গত ১৮ নভেম্বর কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল। আর আজ এরই মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হল।

    এদিন আদালত (Calcutta High Court) জানায়, এই বড় মামলার জন্য আরও শুনানি প্রয়োজন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাদের কথা জানিয়েছে। এই অবস্থায় ২১ ডিসেম্বর সম্ভবত এই মামলার শুনানি। তারপরেই হয়ত এই মামলার ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট।

    সম্প্রতি ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীদের পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের তোড়জোড় করেছিল কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    উল্লেখ্য, আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। পরে কমিশন তাদের আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এরপরেই নিয়োগপত্র দেওয়ায় স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। পরে আজও মামলাটি আদালতে উঠলে, নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়াল আদালত। এই নিয়োগ মামলার পরবর্তী শুনানি সম্ভবত ২১ ডিসেম্বর।

    অন্যদিকে, গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে অনীহা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশও করেন বিচারপতি (Calcutta High Court) । তিনি এবিষয়ে আজ বলেন, ‘শহর ও শহরতলিতে বহু স্কুলে শিক্ষক আছে, কিন্তু ছাত্র নেই। এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠালে ভাল হয়। গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। হয় গ্রামের স্কুলে যান, নইলে চাকরি ছাড়ুন, এই নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন’। এ ব্যাপারে রাজ্যে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • CBI: দেড়শো দিন হয়ে গেল এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের

    CBI: দেড়শো দিন হয়ে গেল এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শ্লথ গতিতে তদন্তের জন্য সিবিআইকে (CBI) ভর্ৎসনা করলেন বিচারক। দেড়শো দিন হয়ে গেলেও, সময়ে কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিবিআই, সে প্রশ্নও করেন আলিপুর আদালতের বিচারক (Judge)।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ সাতজন। বুধবার তাঁদের ফের তোলা হয় আলিপুর আদালতে। ধৃতেরা প্রত্যেকেই এদিন জামিনের আবেদন করেন। এদিন শুনানি পর্বে বিচারক সিবিআইকে (CBI) প্রশ্ন করেন, পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কথা বলে জামিন না দেওয়ার আবেদন করছেন, এমন আইন কি কোথাও আছে? উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, যাতে কেউ প্রভাব খাটাতে না পারেন, সেটাই চাইছি। আদালত জানতে চায়, কেন আপনারা আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের হেফাজত চাইছেন? এরপর সিবিআইয়ের পাল্টা অভিযোগ, যাঁদের প্রশ্ন করা হচ্ছে, যাঁরা আসছেন, তাঁদের ওপর প্রভাব খাটানো হচ্ছে।

    এদিন এস পি সিনহার আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, সিবিআই (CBI) যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেটা তো তদন্ত শেষ করেই পেশ করার কথা, তাহলে আবার তদন্ত চলছে দাবি করে হেফাজতে রাখা হবে কেন? একথা পরস্পর বিরোধী। এভাবে কতদিন হেফাজত চাইবে সিবিআই, সে প্রশ্ন আদালতে করেন এস পি সিনহার আইনজীবী। তিনি বলেন, যতদিন ওঁকে হেফাজতে রাখা হয়েছে, সেটা বিবেচনা করা হোক। তিনি এও বলেন, এস পি সিনহার বয়স ৭০ বছর। এভাবে থাকলে তিনি আর কতদিন বাঁচবেন, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। অন্য সব অভিযুক্তের আইনজীবীর মতো জামিনের আবেদন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও। প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করুক আদালত, এমন আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    এর পর সিবিআইয়ের (CBI) শ্লথ গতিতে তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাকি আইনজীবীদের মতো সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবীও। তিনি জানান, যতবার সিবিআই তাঁকে ডেকেছিল, ততবার তিনি গিয়েছেন। কিন্তু কী এমন হল যে, তারা বারবার তাঁকে হেফাজতে চাইছেন। এর পরেই দেড়শো দিন হয়ে গেলেও, সময়ে কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিবিআই, সে প্রশ্ন করেন আলিপুর আদালতের বিচারক। অভিযুক্ত সাতজনকেই ফের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Recruitment Scam: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন এসএসসি-র গ্রুপ ডি-র ৫০ জন কর্মী। সিবিআই- এর তরফে এদের তলব করা হলে তাঁরা আজ সকাল সকাল উপস্থিত হন নিজাম প্যালেসে। এই ৫০ জন কর্মীর চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশেই।

    সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি ৫০ কর্মী

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আজ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে চাকরি যাওয়া কর্মীদের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের আজ জিজ্ঞেস করা হয়, কীভাবে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন? প্রভাবশালী-যোগ বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন কি না? আজ এদের প্রত্যেককে মার্কশিট ও নিয়োগপত্রও আনতে বলা হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এদিন নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছিল হাওড়ার আমতা ও বাগনান এলাকার বিভিন্ন স্কুলের এই ৫০ জন কর্মীদের। দুর্নীতি মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই তাঁদের ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। আবার এই সমস্ত প্রার্থীদের নথির সঙ্গে এসএসসির তরফ থেকে দেওয়া মেধা তালিকা তথ্যে কোনও গরমিল রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন:মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    সিবিআই তদন্তে অসন্তুষ্ট বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, এর আগেই এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) তদন্তের গতি বাড়ায় সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এর আগে প্রশ্ন করেছিলেন যে, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের কেন তলব করা হচ্ছে না? এরপরেই সিবিআই তদন্তের গতি বাড়ায় ও হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েই চাকরি হারানো ও চাকরিরত কর্মীদের ধাপে ধাপে তলব করা হচ্ছে। এরপর এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে আজ চাকরি বাতিল হওয়া এমন প্রার্থীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

    আবার, মানিক মামলাতেও সিবিআই-এর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। ‘”সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যর মামলায় অনুপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এটা খুব সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়। সিবিআই আধিকারিকদের বলুন এই মামলা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে।” সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য?’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Recruitment Scam: ‘কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য?’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রিসভাকে পার্টি করে তৃণমূলের (TMC) প্রতীক কেড়ে নিতে বলব কি? শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gganguly)। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে গত কয়েক মাসে নজিরবিহীন বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সে সবকে ছাপিয়ে গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য। তিনি বলেন, হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ শে মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি। তিনি বলেন, আমার সন্দেহ আছে যে, হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই। আর নাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শোকজ করতে পারি।

    সওয়াল জবাব…

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মণীশ জৈনের দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলে আদালতে। এক প্রশ্নের উত্তরে মণীশ বলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনিই আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

    প্রশ্ন: আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায় না?

    উত্তর: হ্যাঁ।

    প্রশ্ন: তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?

    উত্তর: উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমার আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আইন দফতরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়। মুখ্যসচিবকে জানানো হয়। ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়।

    প্রশ্ন: অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?

    উত্তর: না।

    প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়েছিল?

    উত্তর: আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।

    প্রশ্ন: আমি বিস্মিত যে কীভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?  যেখানে আইনে এর কোন সংস্থান নেই। আপনি কি মনে করেন যে অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার?

    উত্তর: না।

    প্রশ্ন: কোন ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত হয়?

    উত্তর:  আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।

    প্রশ্ন: এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে?  আবার বলা হচ্ছে, যে কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোনও লিখিত নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা কেন প্রতি বছর ব্যয় করা হবে এই অযোগ্যদের জন্য?

    উত্তর: আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলেছিলাম।

    প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় না যে ক্যাবিনেট তার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে? ক্যাবিনেটের সদস্যরা সই করলেন?  কেউ তাঁদের সতর্ক করলেন না?

    উত্তর: আমি সেখানে ছিলাম না।

    এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বিধানসভায় দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী। আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য। দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না, হুঁশিয়ারি বিচারপতির। তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রণা বুঝতে পারি। কিন্তু কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত তারা আদালতের নামে যা ইচ্ছা বলছে। বলছে, যে নিয়োগ হলেই আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে এলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে? প্রশ্ন বিচারপতির।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ  রাজ্য

    Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাতেই ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)আবেদন রাজ্যের। SSC নিয়োগে অতিরিক্ত শূন্যপদে (SSC Case) বেনামি-আবেদনের কৈফিয়ত চেয়ে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Judge Abhijit Ganguly)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাসচিবকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের  

    রাজ্যের আবেদন

    শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সকাল সাড়ে দশটার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। প্রধান বিচারপতির সচিবালয় মারফত ই-মেইল করে আবেদন করে রাজ্য। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে রাজ্যের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদে বেনামি-আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। গতকাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেনামি আবেদনের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে হাজিরার নির্দেশ দেন।  এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    অবৈধ আবেদন

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এরপরে সেই মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। এবিষয়ে কোনও লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। তখনই শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের

    Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Teacher Recruitment Scam) এবার নজরে নবাবের রাজ্য! মুর্শিদাবাদ জেলার মোট ১৬ জন স্কুল সাব ইন্সপেক্টরকে (School Inspectors) কলকাতায় সিবিআইয়ের (CBI) দফতর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, ২১ নভেম্বর, সোমবার দুপুর দুটোর মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    হাইকোর্টের নির্দেশে…

    হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলায় কেবল মুর্শিদাবাদ জেলার ২৮ জন শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, এই ২৮ জন শিক্ষক যেসব স্কুলে চাকরি করতেন, সেই সব স্কুল যেসব স্কুল সাব ইন্সপেক্টরের এলাকার মধ্যে পড়ে, তাঁদের সবাইকে নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বড়ঞা উত্তর, বেলডাঙা পূর্ব, ভরতপুর, ধূলিয়ান, জলঙ্গি উত্তর, কান্দি, কান্দি পশ্চিম, খড়গ্রাম, খড়গ্রাম উত্তর, নবগ্রাম, নবগ্রাম পূর্ব, নওদা দক্ষিণ, সূতি ১, সদর পশ্চিম এবং সূতি সার্কেলের সাব ইনসপেক্টরদের ডেকে জেরা করবে সিবিআই। এই সব সার্কেলের সাব ইন্সপেক্টরের বয়ান রেকর্ডও করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। পুরো জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব প্রয়োজনে ভিডিওগ্রাফি করে আদালতে জমা দেওয়া হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর।

    ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের চিঠি তাঁরা পেয়ে গিয়েছেন বলে জানান মুর্শিদাবাদের কয়েকজন স্কুল সাব ইন্সপেক্টর। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে, তাঁদেরই একজন বলেন, আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। আমরা আইন অনুযায়ী হাজিরাও দেব। তবে দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত, তা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, এটা এখন আইনি প্রক্রিয়া।

    আরও পড়ুন: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি আশিস মার্জিত বলেন, ২০১৮ সালে ২৬ জন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাঁরা যেসব সার্কেলে রয়েছেন, সেখানকার সাব ইন্সপেক্টরদের নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ২৬ জনের কথা বললে কী হবে, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলায়ই সব চেয়ে বেশি দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা বলেন, আমরা চাই, এই দুর্নীতিকাণ্ডে প্রকৃত তদন্ত হোক। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেরা করা হয়েছে কয়েকজন আমলাকেও। এবার তলব করা হয়েছে স্কুল সাব ইন্সপেক্টরদের। এখন দেখার, কেউটে বের হয় কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিএড- ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিএড- ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইডি-র অফিসে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই তলব বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এর আগে  বেসরকারি বিএড এবং ডি এল এড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলকে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। মোট ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দফতরে হাজিরা দিতে শুরু করেছেন। 

    আরও পড়ুন: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ, শহরে মিঠুন

    সোমবার ইডির দফতরে হাজিরা দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বসিরহাট মহাবোধি কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি সুজিত সরকার। তিনি বলেন, “তাপস মণ্ডল এবং বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের নির্দেশে টাকা দিয়েছিলাম মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের কোম্পানিকে। তখন জানতাম না, ওটা মানিকের ছেলের কোম্পানি। ইডি ডেকেছে, তাই এসেছি।”     

    গোটা রাজ্যে মোট বেসরকারি ডিএলএড কলেজ রয়েছে ৫৯৬টি। আর এই সব কলেজ থেকেই কম-বেশি টাকা তুলতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আর সেই বিষয়েই প্রশ্ন করা হতে পারে কলেজ কর্তৃপক্ষদের। এর আগেই মানিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ বেসরকারি কলেজের মালিক তাপস মণ্ডল। পর্ষদের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক বয়ান দেন তাপস। তিনি দাবি করেছিলেন,  “পর্ষদের অফিসের পাঁচতলায় একটি এজেন্সি কাজ করত। তারাই এই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে সব দেখত। যাদের ঠিক করে দিয়েছিল সভাপতি হিসেবে মানিকবাবুই।” স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য ইডি আধিকারিকদেরও দিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই এদিনের তলব। মনে করা হচ্ছে, এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে তাঁদের। 

    কী উঠে এসেছে তদন্তে? 

    তদন্তে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের দু’টি সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ডিএলএড কলেজ  থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এছাড়া তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি বাবদ মানিক সারা রাজ্যের ৫৯৬টি ডিএলএড কলেজ থেকে পড়ুয়াদের মাথাপিছু ৫০০০ টাকা নিয়েছিলেন বলে উঠে এসেছে তদন্তে। বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে অনলাইনে ভর্তি বাবদ তাপসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    Manik Bhattacharya: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে তত নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক চাঞ্ল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এবারে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে ৩২৫ জনের নিয়োগ হয়েছিল প্রাথমিকে (Primary Recruitment), আর এর নেপথ্যেও ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। গতকাল আদালতে চাঞ্চল্যকর এই দাবি করল ইডি (ED)। আবার এই মামলায় এখন শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক নেই, ইডির স্ক্যানারে রয়েছে তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্যও।

    জামিনের আবেদন খারিজ

    অন্যদিকে ফের জামিনের আবেদন করেছিল মানিকের আইনজীবী (Manik Bhattacharya)। কিন্তু গতকাল দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। আাগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। ফলে তিনি আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকবেন।

    আরও পড়ুন: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    ইডির কী দাবি?

    বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আদালতে পেশ করে ইডি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে যে, টাকার বিনিময়ে ৩২৫ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের, যার পেছনে হাত রয়েছে মানিকের। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এদিন আদালতে জানান, এই ৩২৫ জন ২০১৪ সালে টেট দেন। তদন্তে উঠে এসেছে যে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ওই চাকরিপ্রার্থীদের পাশ করাতে সাহায্য করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।

    ইডির স্ক্যানারে মানিকের পরিবারের সদস্যও

    নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই নাম উঠে এসেছিল মানিকের (Manik Bhattacharya) ছেলে সৌভিকের। এবারে নাম উঠে এসেছে মানিকের ভাই, জামাই ও জামাইয়ের বাবারও। শুনানিতে ইডি দাবি করে, মানিকের জামাই ও ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন হওয়ার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। তাই এ নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।

    কিন্তু অন্যদিকে আদালতে মানিকের আইনজীবী দাবি করেন, মানিককে নিয়ে ইডি যে তদন্ত করছে তা সব বেআইনি। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে বা এফআইআরে মানিকের (Manik Bhattacharya) নাম নেই। আর এসব শোনার পর গতকাল তাঁর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে দেয় ও ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

     

  • Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই- এর কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই- এর কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption Case) সিবিআই-এর (CBI) কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সিটের কয়েকজন আধিকারিক ঠিকমতো কাজ করছেন না, এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রয়োজনে তাঁদের বদলে নতুন দলও গঠন করা হতে পারে বলেও জানান বিচারপতি। আজ সোমবার আড়াইটায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি হওয়ার কথা। সিবিআই এদিন তদন্তে অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে বিচারপতির কাছে। মনে করা হচ্ছে এই রিপোর্টে উঠে আসতে পারে একাধিক হেভি ওয়েটের নাম। আর এই শুনানির আগেই এমন মন্তব্য করলেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়।

    যদিও এই প্রথম নয়। এর আগেও সিবিআই- এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ভরা এজলাসে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েওছেন আধিকারিকদের। এর আগেই একদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আসল অপরাধী কে তা সবাই জানেন, কিন্তু আমার জীবদ্দশায় তিনি গ্রেফতার হবেন কিনা, তা জানা নেই।” বিচারপতির এমন মন্তব্যের পরই উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি।  এর মাঝেই গত শুক্রবার হাইকোর্টের একটি শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন করেন, “প্রাথমিকে যাঁরা জেলে গিয়েছেন, তাঁরা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ কি এর পিছনে আছেন? তদন্তের অভিমুখ কি অন্য কারও দিকে যাচ্ছে?” 

    আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আজও এই মামলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন, তাঁদের একটা বড় সুযোগ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে বলেন, যাঁরা বেনিয়মে চাকরি পেয়েছিলেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা চিঠি লিখে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা ৭ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসিতে চিঠি পাঠাবেন। ৯ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি ছাড়বেন। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। যদিও জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত কেউ স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়েননি।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     
LinkedIn
Share