Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিআইডি-র চোখে ‘ফেরার’ শিক্ষাকর্তা কীভাবে সই করছেন কলেজের নোটিসে?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিআইডি-র চোখে ‘ফেরার’ শিক্ষাকর্তা কীভাবে সই করছেন কলেজের নোটিসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) নায়ক স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেখ সিরাজুদ্দিন কেন এখনও অধরা। তাঁর স্ত্রী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষিকা জেসমিন খাতুনকে ফের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হল। ওই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শিক্ষাকর্তা অলোক কুমার সরকারকেও এদিন আদালতে পেশ করা হয়। তবে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নায়ক শেখ সিরাজুদ্দিন গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    সিআইডি খাতায় ফেরার, কলেজের নোটিস বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে সই (Recruitment Scam)

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল জোনের চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে নিজের প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে শিক্ষিকা হিসাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শেখ সিরাজুদ্দিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তদন্ত চলাকালীন গত ২১ ফেব্রুয়ারি সিআইডি গ্রেফতার করে শেখ সিরাজুদ্দিনের স্ত্রী তথা বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ভতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তন হাইস্কুলের সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষিকা জেসমিন খাতুনকে। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে সিআইডি আদালতে হাজির করলে ৪ মার্চ ফের তাঁকে আদালতে পেশের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মেনে সোমবার জেসমিন খাতুন ও ওই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) যুক্ত প্রাক্তন শিক্ষা কর্তা অলোককুমার সরকার ও শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে সিআইডি। এদিকে এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডের মূল মাথা শেখ সিরাজুদ্দিন ফেরার। সিআইডির দাবি, তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শেখ সিরাজুদ্দিনকে যেখানে সিআইডি-র চোখে ফেরার, অথচ শালডিহা কলেজের নোটিস বোর্ডে তাঁর স্বাক্ষর জ্বলজ্বল করছে। নোটিস বোর্ডে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সিরাজুদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে কলেজেরই এক অধ্যাপককে লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিচ্ছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    সরকারি আইনজীবী বলেন, শেখ সিরাজউদ্দিন কেন অধরা তা বলতে পারবে সিআইডি। তবে, তার আগাম জামিন খারিজ করেছে আদালত। অন্যদিকে,কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে যে শেখ সিরাজুদ্দিন স্বাক্ষর করছেন তাঁকে কেন খুঁজে পাচ্ছে না সিআইডি, সেই প্রশ্ন তুলছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, হয়তো তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বামী শেখ সিরাজুদ্দিন কোথায় সে ব্যাপারে বারবার প্রশ্ন করা হলেও, এদিন কোনও কথা বলেননি ধৃত শিক্ষিকা জেসমিন খাতুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: মঙ্গলবার ইস্তফা দিচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, আসছেন রাজনীতিতে?

    Justice Abhijit Ganguly: মঙ্গলবার ইস্তফা দিচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, আসছেন রাজনীতিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আচমকাই তাঁর এই অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। জানা গিয়েছে, রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি, তাই এমন সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিতেন তিনি। সংবিধান অনুযায়ী, হাইকোর্টের বিচারপতিদের কার্যকাল ৬২ বছর পর্যন্ত হয়। তবে ৫ মাস আগেই তিনি বিচারপতির পদ ছাড়তে চলেছেন। জানা গিয়েছে, আগামী মঙ্গলবারই তিনি পদত্যাগ করবেন। বিচারপতি হিসেবে তাঁর দেওয়া প্রতিটি রায়ই যেমন খবরের শিরোনামে থেকেছে এতদিন, তেমনই তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ নিয়েও ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। একাধিক মামলায় দিয়েছেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশও।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    জানা গিয়েছে, বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি ও দেশের প্রধান বিচারপতিকেও পাঠাবেন। তাঁর হাতে বর্তমানে যে মামলাগুলি রয়েছে, সোমবারই সেগুলি ছেড়ে দেবেন তিনি। অর্থাৎ আগামীকাল সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাঁকে শেষবারের মতো দেখা যাবে। একটি সংবাদমাধ্যম এদিন তাঁকে প্রশ্ন করে, ‘‘আপনি কি লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন?’’ উত্তরে বিচারপতি বলেন, ‘‘যদি আমি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিই, তারা যদি আমাকে টিকিট দেয়, আমি বিবেচনা করে দেখব।’’

    শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ 

    এর পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনা করে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে। আদালতের পরিসরে থেকে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। বিচারপতির নিজের কথায়, ‘‘রাজ্যের দুরবস্থা চলছে। অপমানজনক অধ্যায় চলছে। আমি মৌর্য সাম্রাজ্যের কথা শুনেছিলাম। এখন চৌর্য সাম্রাজ্য চলছে। বাঙালি হিসাবে আমার পক্ষে এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যারা শাসক হিসাবে দেখা দিয়েছে, তারা রাজ্যের উপকার করতে পারবে বলে মনে হয় না। যদি না কড়া প্রহরা থাকে। তাই আমি শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে বলব, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে।’’ কেন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান শাসকদলের অনেকে আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে আমাকে যে আহ্বান তাঁরা জানিয়েছেন, সেই আহ্বান আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। আমি এর জন্য শাসকদলকে অভিনন্দন জানাতে চাই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘‘আমার নয়, টাকা ওর’’! ৫৪ কোটির মালিক কে? সম্পত্তি-জটে আটকে ‘অপা’-র মামলা

    ED: ‘‘আমার নয়, টাকা ওর’’! ৫৪ কোটির মালিক কে? সম্পত্তি-জটে আটকে ‘অপা’-র মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই নিয়োগ-দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি চলাকালীন ইডির তরফে দাবি করা হয়, ‘‘স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৫৪ কোটি টাকার জন্য দু’জন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে এবং দু’জনেই দাবি করছে, এটা তাঁর নয়, অপর জনের।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ৫৪ কোটি টাকা যেন ফুটবল হয়ে গিয়েছে। কখনও পার্থর কোর্টে তো কখনও অর্পিতার কোর্টে। অথচ মালিকানা কেউ নিতে চাইছে না। সূত্রের খবর, গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানিতে অর্পিতা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এই বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি নন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে অর্পিতার দুটি বাড়ি থেকেই কোটি কোটি টাকা এবং সোনার গয়না উদ্ধার করে ইডি।

    দুর্নীতির কিংপিন পার্থ, দুর্নীতির রানি অর্পিতা

    আদালতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও দাবি করে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই চলত যাবতীয় ব্যবসা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক ব্যক্তিকে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি সংগঠিত করতে ব্যবহার করেছেন বলেও দাবি ইডির (ED)। ইডির দাবি, অর্পিতা অতীতে দাবি করেছেন, যাবতীয় দুর্নীতির কিংপিন হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তবে অর্পিতাও যে দুর্নীতির সঙ্গে সমানভাবে যুক্ত, সে কথাও এদিন আদালতে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। ইডির তরফে এদিন বলা হয়, ‘‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুর্নীতির কিংপিন। আমরা বলছি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রকৃতপক্ষে এই দুর্নীতির রানি।’’

    ৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি

    বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের জবাবে ইডি আদালতে জানায়, পাঁচটি মামলায় ১৬৫ জন সাক্ষী রয়েছে। সেই শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।’’ তখন ইডির (ED) তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ‘‘আমরা বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে প্রত্যেকদিন নিম্ন আদালতে শুনানি করতে প্রস্তুত।’’ আগামী ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলেন বিচারপতি, কী উত্তর দিলেন আইনজীবী?

    Partha Chatterjee: পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলেন বিচারপতি, কী উত্তর দিলেন আইনজীবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সাল থেকেই একটা প্রশ্ন ঘুরছে। পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কী? এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক মিম ছড়িয়ে পড়েছে। অবেশেষে মিলল উত্তর। অর্পিতা নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ভাইঝি, আদালতে মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী। ভাইঝি অর্পিতার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এমনটাই দাবি আইনজীবীর।

    পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক জানতে চান বিচারপতি

    মঙ্গলবারই পার্থর জামিনের মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। এদিন নিজের এজলাসে বসে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক জানতে চান বিচারপতি। তখনই তাঁদের কাকা-ভাইঝি বলে উল্লেখ করেন পার্থর আইনজীবী। শুনানি চলাকালীন পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবী আদালতে জানান, এমনটা নয় যে অর্পিতাকে চিনতেন না তাঁর মক্কেল। ব্যবসায়িক সূত্রেই তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এর বাইরে অর্পিতা কী করেন, তা তাঁর মক্কেলের জানা ছিল না। নিজের যুক্তির স্বপক্ষে পার্থর আইনজীবী আদালতে আরও দাবি করেন, অর্পিতার বাড়ি থেকে তদন্তকারীরা বিমা সংক্রান্ত যে নথি উদ্ধার করেছেন, সেখানেও ‘নমিনি’ হিসেবে পার্থর পরিচয় রয়েছে ‘কাকু’!

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ-অর্পিতা

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় একদা তৃণমূলের মহাসচিবকে। সেসময় পার্থর (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যে। পার্থ এবং অর্পিতার সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে পার্থর আইনজীবী বুধবার আদালতে জানালেন, ব্যবসায়িক সম্পর্কই ছিল দু’জনের মধ্যে।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prasanna Roy: দিনভর জেরা ইডির, গ্রেফতার নিয়োগ-দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

    Prasanna Roy: দিনভর জেরা ইডির, গ্রেফতার নিয়োগ-দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। গতকাল সোমবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। নভেম্বর মাসেই তাঁকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে প্রসন্নকে জামিন দিলেও, শীর্ষ আদালত তখন জানিয়েছিল নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্ত একইভাবে চলবে। প্রসন্ন রায়ের জামিনের আগে গত নভেম্বরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও নীলাদ্রি ঘোষকে। সিবিআইয়ের হেফাজত থেকে সুপ্রিম নির্দেশে মুক্তি পেলেও, এবার ইডির জালে পড়লেন প্রসন্ন। এদিন দিনভর জেরার পরে তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি।

    জানুয়ারি মাসেই প্রচুর নথি উদ্ধার হয় প্রসন্নর বাড়ি থেকে

    ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসেই প্রসন্নর (Prasanna Roy) ফ্ল্যাট, অফিস-সহ মোট সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেসময় প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। সেই নথির ভিত্তিতে প্রসন্নকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। তবে জানুয়ারি মাসে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। সোমবার ফের তাঁকে তলব করেছিল ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    নামে-বেনামে ৮০টির উপর সংস্থা

    ইডি এবং সিবিআই সূত্রে খবর, নামে-বেনামে কমপক্ষে ৮০টিরও বেশি সংস্থা রয়েছে প্রসন্নর (Prasanna Roy)। আরও জানা যাচ্ছে, প্রসন্নর স্ত্রী এবং নিজের নামে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন প্রসন্ন। সিবিআইয়ের দাবি, প্রসন্ন একজন ‘মিডলম্যান’। তাঁর হাত ধরেই টাকা পৌঁছাত। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছিল। বিধাননগর, নিউটাউন সমেত একাধিক জায়গায় প্রসন্নর সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিজেদের হলফনামায় বড়সড় দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিক্সের তথ্য অবিকৃত এবং তা আসল। প্রসঙ্গত সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই-এর হলফনামা এদিন জমা দেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য।

    দুর্নীতির ব্যাখ্যা রয়েছে

    জানা গিয়েছে, ওই হলফনামাতে ব্যাখা (Recruitment Scam)  করা হয়েছে হার্ডডিক্সে কী তথ্য রয়েছে এবং সেই তথ্য যে আসল তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেখানে। এর পাশাপাশি কীভাবে উত্তরপত্র স্ক্যান করার পরে সেই তথ্য বিকৃত করে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ানো হতো তারও ব্যাখ্যাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরপত্র স্ক্যান এবং সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার একাধিক কর্মী এই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই ব্যাখা ওই রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একই রকম দুর্নীতির ব্যাখা ওখানে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলত দুর্নীতি

    শুনানিতে এদিন আদালত এও জানিয়েছে, সিবিআই উত্তরপত্র সংক্রান্ত যে তথ্য পেয়েছে তা পরীক্ষার্থীরা দেখতে পাবেন বিকাল চারটার মধ্যে। এ বিষয়ে সিবিআই-এর কাছে আবেদন করতে হবে। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। কী ভাবে চলত দুর্নীতি (Recruitment Scam) , তাও জানা গিয়েছে। নাইসার আধিকারিকদের কাছে তালিকা চলে যেত কোন কোন প্রার্থীর ওএমআর শিট এর নম্বর বাড়াতে হবে এব সেই মতো চলত দুর্নীতির কাজ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই শুরু, তারপর শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গিয়েছেন গারদের পিছনে। বিগত ২ বছর ধরে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতির জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনতে পেরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: তৃণমূলের জমানাতেই চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা!

    Balurghat: তৃণমূলের জমানাতেই চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। শাসক দলের অনেক নেতা-মন্ত্রী এখন জেল খাটছেন। তৃণমূলের জমানাতেই ফের চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, প্রতারকের নাম নিতাই ঘোষ। চাকরি না পেয়ে প্রতারকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন প্রতারিত যুবক সজল ঠাকুর। সোমবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) শহরের চকভৃগু নদীপার উচ্চ বিদ্যালয় পাড়া এলাকায়। তবে,অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী টাকা নেওয়ার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

    প্রতারকের বাড়ির সামনে ধর্না (Balurghat)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারক আগে ঠিকাদারি করলেও বর্তমানে অভিযুক্তর একটি তেলের মিল, গাড়ি ও কাঠের ব্যবসা রয়েছে। কিন্ত, এসবের পরেও তিনি নিজেকে প্রভাবশালী তকমা দিতেন। প্রশাসনের অনেক আধিকারিকের সঙ্গে আলাপের কথা বলতেন। সেই ফাঁদে পা দিয়েই এই যুবক প্রতারিত হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, চাকরি পাওয়ার আশায় ৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সজল ঠাকুর নামে প্রতারিত যুবক। সজলবাবুর বাড়ি তপন থানার করদহ এলাকায়। তিনি বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে বছর আড়াই আগে ৫ লক্ষ টাকা নেন নিতাই ঘোষ। কিন্ত, মেলেনি কোনও চাকরি। টাকাও ফেরত দেননি ওই ব্যক্তি। অবশেষে সোমবার বিকেলে তপন থেকে বালুরঘাটে (Balurghat) এসে ওই ব্যক্তির বাড়িতে আমি টাকা চাই। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার আমি ধর্নায় বসে যাই নিতাই ঘোষের সদর দরজায়। তবে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তিনি একটি ফেস্টুন সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। মুহূর্তে এলাকায় ভিড় জমে যায়। তিনি আরও বলেন, জমি বন্ধক রেখে আমি নগদ টাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। বেশ কয়েকবার ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন নিতাই ঘোষ। কিন্ত, প্রতারণা ধরা পড়তেই তিনি টাকা দেবেন বলে জানান। বেশ কয়েকবার তাঁর পিছনে ঘুরেও টাকা পাইনি। অবশেষে এই পথ অবলম্বন ছাড়া আর উপায় ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সুবোধের বাড়িতে অভিযানের সময় হাজির দমদম থানার আইসি, ঢুকতেই দিল না ইডি

    ED: সুবোধের বাড়িতে অভিযানের সময় হাজির দমদম থানার আইসি, ঢুকতেই দিল না ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সাত সকালে বিশাল বাহিনী নিয়ে উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে হানা দেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। অভিযান চলার সময় স্থানীয় দমদম থানার আইসি তৃণমূল নেতার বাড়ির ভিতরে ঢুকতে যান। কিন্তু, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে ঢুকতে দেননি। ইডি-র অভিযান চলার সময় রাজ্য পুলিশের সেখানে নাক গলানোর চেষ্টার ঘটনা প্রথম বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। ইডি-র অভিযানের সময় থানার আইসি কেন ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    থানার আইসিকে ঢুকতে বাধা ইডি-র (ED)  

    সাত সকালে ইডির তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে দমদমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর খলিসাকোটা পল্লিতে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতে পৌঁছেছিলেন দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস। সুবোধবাবুর বাড়ির চারদিকে তখন গিজগিজ করছেন জওয়ানরা। দমদম থানার আইসি নিজের পরিচয় দিয়ে এগিয়ে যান। খবর পেয়ে সুবোধবাবুর বাড়ির ভিতর থেকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ইডির এক আধিকারিক। তাঁকে নিজের পরিচয়ও দেন বঙ্কিমবাবু। কিন্তু, ইডির (ED) কর্তা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার কোনও অনুমতি নেই। পরে, এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস বলেন, ‘এটা আমার এরিয়া। সেই কারণেই আমি এখানে এসেছিলাম। আমার জানার অধিকার রয়েছে ভিতরে কী হচ্ছে।’ যদিও ইডির তরফে ভিতরে ঢোকার অনুমতি না মেলায় হতাশ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান আইসি।

    অয়ন শীলের বাড়িতে পাওয়া ফাইলে নাম ছিল সুবোধের!

    এদিন ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বিরাটির খলিসাকোটা পল্লির বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে সুবোধবাবুর বিরুদ্ধে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রভাব খাটিয়েই নিজের ছেলেমেয়েকে পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে ইডি (ED)। গত বছর অক্টোবর মাসে সিবিআই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। পাশাপাশি রাজ্যের ১২টি জায়গায় হানা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের বাড়ি থেকে প্রথম নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, সেখানে একটি ফাইল পাওয়া গিয়েছিল। ফাইলে ছিল একটি নামের তালিকা। তাতেই সুবোধ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই এদিন ইডি হানা দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ছয় বছরে রকেট গতিতে উত্থান ইঞ্জিনিয়ারের! সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    ED: ছয় বছরে রকেট গতিতে উত্থান ইঞ্জিনিয়ারের! সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথম থেকেই নজরে ছিল কামারহাটি পুরসভা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম মাথা অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরেই এই পুরসভায় শতাধিক কর্মী নিয়োগ হন। তারমধ্যে অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও রয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একাধিকবার ইডি (ED) হানা দিয়েছে কামারহাটি পুরসভায়। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নজরে ছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত। সম্প্রতি তাঁর বাগুইআটির বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মেলে। ইডি-র পক্ষ থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ করা হয়। মাত্র ৬ বছর আগে চাকরি পাওয়া এই ইঞ্জিনিয়ারের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের।

    কে এই তমাল দত্ত?

    জানা গিয়েছে, তমাল দত্তের স্ত্রী এক সময়ের রাজারহাট পুরসভার সিপিএমের কাউন্সিলার ছিলেন। তৃণমূলের এক দাপুটে নেতার হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বাগুইআটিতে তাঁর বাড়ি রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেয়েছিলেন তমাল। তারপর থেকেই রকেটের গতিতে তাঁর উত্থান। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি কামারহাটি পুরসভা এলাকার নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন। পুরসভা এলাকায় প্রোমোটারির রাশও তাঁর হাতে ছিল। অভিযোগ, পুরসভায় নিয়োগে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। চাকরি পাওয়ার মাত্র ৬ বছরের মধ্যে বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চক্ষুচড়কগাছ ইডি-র।

    কত সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে? (ED)

    ইতিপূর্বে তমাল দত্তের বাগুইআটির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি (ED)। এমনকী, সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এবার সেই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হল। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে তাঁর বাড়ি থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ ও ১ কোটি ৬৩ লক্ষ মূল্যের হিরে ও সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। এমনকী, সম্পত্তির ১৩০০ পৃষ্ঠার নথিও মিলেছে। জানা গিয়েছে, ইডি-র পক্ষ থেকে এই তথ্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। এত অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কী করে করলেন তা জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSKM: প্রভাবশালীদের দখলে এসএসকেএম-এর বেড, জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    SSKM: প্রভাবশালীদের দখলে এসএসকেএম-এর বেড, জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল। এবার এই অভিযোগেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই মামলার মূল নির্যাস হল, চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়াই প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক এসএসকেএম-এর বেড দখল করে রয়েছেন। এতে মানুষের চিকিৎসা করাতে অসুবিধা হচ্ছে। সাধারণ রোগীরা বেড পাচ্ছেন না।

    আরও পড়ুুন: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    প্রভাবশালীদের দখলে বেড

    ওই মামলাতে আরও আবেদন করা হয়েছে, যে সমস্ত প্রভাবশালী ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। তাদের মেডিকেল রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হোক এবং সেগুলিকে আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হোক। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে বেড দখল করে রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে হার্টের অপারেশনের রোগীকে বেড থেকে নামিয়ে দিয়ে কালুঘাটে কাকুকে মাঝরাতে সেই বেডে রাখা হয়। এই ঘটনা ঘটে ঠিক কালীঘাটের কাকুর গলার কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করানোর আগের রাতে। এর ফলে ইডির পক্ষে আর সম্ভব হয়নি কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা। এখানেই উঠতে থাকে প্রশ্ন।

    রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এসএসকেএম-এ

    অন্যদিকে, একই অভিযোগ রয়েছে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও। যে তাঁর হার্টের কোনও সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও, প্রথমে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। এর পাশাপাশি ওই এসএসকেএম হাসপাতালে বেড না পেয়ে রোগীমৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে। হাওড়ার এক বৃদ্ধা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে পড়েছিলেন হাসপাতাল চত্বরে। এরপর তাঁকে অন্যত্র রেফার করে কর্তৃপক্ষ। পরে ফের তাঁকে এসএসকেএম-এ (SSKM) আনা হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share