Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • CID: ‘হেনস্থা’ করছে সিআইডি! প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর

    CID: ‘হেনস্থা’ করছে সিআইডি! প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি (CID) তাঁর ওপর কার্যত অত্যাচার চালাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি বিচারপতির স্বামী চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকেও।

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা 

    আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-র বক্তব্য, তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল যেখানে সিআইডি (CID) তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লেখার জন্যও চাপ দিতে থাকে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার একের পর এক নির্দেশে খুশি হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সম্প্রতি, বিচারপতি সিনহা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির উৎস কী, তাও জানতে চেয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই  বিচারপতি সিনহার স্বামীকে এভাবে হেনস্থা করছে রাজ্যের সিআইডি (CID)।

    জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিচারপতির স্বামীকে কিছু খেতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ

    সিআইডির বিরুদ্ধে প্রতাপচন্দ্র দে আরও জানিয়েছেন, আদালতের কাজকর্ম শেষ করে দুপুর দুটো নাগা তিনি সিআইডি (CID) অফিসে হাজিরা দিতে যান। তখন থেকে রাত্রি এগারোটা পর্যন্ত সেখানে সিআইডি অফিসাররা তাঁর ওপর কার্যত অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে দাবি বিচারপতির স্বামীর। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে ওষুধ নিতে হয় সেদিন সিআইডি সে বিষয়ে কোনও গুরুত্বও দেয়নি বলে অভিযোগ প্রতাপচন্দ্র দের।

    প্রতাপবাবুর মতে, যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করেছে সিআইডি (CID) অফিসাররা। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলাতে চাপ দেওয়া হয়। প্রতাপবাবুর দাবি, নানা কুকথা বলে মিথ্যে অভিযোগ করার কথা বলা হয়। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হয়। প্রতাপবাবুর অভিযোগ, তাঁকে টানা ন’ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে এসএসসি, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে এসএসসি, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে সারারাজ্যে। তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক বর্তমানে জেলে রয়েছেন। সোমবার এসএসসি-এর বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওএমআর সিটে কারসাজি, নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে এদিন এসএসসিকে কার্যত ভর্ৎসনাও করে কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২০ ডিসেম্বর। ওই দিন এসএসসিকে একাধিক বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    হাইকোর্টে এসএসসির তৃতীয় রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এটা ছিল এসএসসি-এর জমা দেওয়া তৃতীয় রিপোর্ট। এবারেও এসএসসির রিপোর্টে সন্তুষ্ট হল না হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এখানে এসএসসি সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করেন দুই বিচারপতি। আদালতে নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা জমা দিয়েছিল এসএসসি। কিন্তু সেখানেও বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ যে কিছু লুকোতে চাইছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবং নিজেদের অবস্থান এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি এসএসসি। এমনটাই মত দুই বিচারপতির। বিচারপতি (Calcutta High Court) দেবাংশু বসাক এদিন প্রশ্ন করেন, ‘‘এটা শুধুমাত্র নবম এবং দশমের নিয়োগের জন্য হলফনামা। এসএসসির গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের হলফনামা কোথায়? এসএএসসির বাছাই কমিটি থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হল?’’ বিচারপতি বসাক এদিন আরও বলেন, ‘‘বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনারা অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন।’’

    আগেই ধরা পড়ে ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে অনিয়ম 

    প্রসঙ্গত সিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে এবং হাইকোর্টের নির্দেশে নবম-দশমের নিয়োগে ৯৫২ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়। জানা যায় ওই ৯৫২ জনের ওএমআর সিটে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে এবং তা স্বীকারও করে নেয় এসএসসি। বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের এনিয়ে মন্তব্য, ‘‘এসএসসি বাছাই প্রক্রিয়া হয়েছে। ওএমআরশিট ম্যানিপুলেশন, গ্রুপ জাম্পিং এবং সুপারিশ ছাড়াই নিয়োগ পাওয়া নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান কী, তা আমরা জানতে চাই। হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BIRBHUM: তৃণমূল নেতাকে ১১ লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! প্রতারিত ব্যক্তি কী বললেন?

    BIRBHUM: তৃণমূল নেতাকে ১১ লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! প্রতারিত ব্যক্তি কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকে এখন জেলে রয়েছেন। পুর নিয়োগেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে অনেকে এখন জেলের ঘাঁটি টানছেন। এরইমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে করে ১১ লক্ষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়ার দেবব্রত ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা আসাদুর জামানের বিরুদ্ধে। তিনি বীরভূমের সাঁইথিয়ার মাঠপলশা পঞ্চায়েতের সদ্য প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। চাকরি না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত ব্যক্তি। দেবব্রতবাবু বলেন, আমাকে স্বাস্থ্য ভবনে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অনেকের সঙ্গে চেনা রয়েছে। টাকা দিলেই চাকরি পাওয়া যাবে। শাসক দলের নেতা বলে আমি ওর কথায় বিশ্বাস করেছিলাম। এরপরই তৃণমূল নেতার এক মিডলম্যানকে ৬ লক্ষ এবং অন্য মিডলম্যানকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি। কিন্তু, অতগুলো টাকা দেওয়ার পর আর আমি চাকরি পাইনি। বহুবার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলেছি। মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। আর টাকা দেয়নি। তারপর বাকিটা চাইলেই বলছে যা পারো করে নাও। যদিও, এই বিষয়ে অভিযুক্তদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    প্রতারণা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা  বলেন, তৃণমূল মানেই জালি দল। সেই দলের নেতা তো চিটিংবাজ হবেই। এটা স্বাভাবিক। আমরা অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ব্লক সভাপতি অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছেন। যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে, দল ব্যবস্থা নেবে। পাশে দাঁড়াবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee:  অভিষেকের আয়ের উৎস কী? মুখবন্ধ খামে আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? মুখবন্ধ খামে আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আয়ের উৎস কী? একথা জানতে চেয়ে ইডিকে প্রশ্ন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই জবাব জমা দিল মুখবন্ধ খামে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে ব্যবহার করা হতো, কালো টাকা সাদা করতে, এই অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার এই সংস্থা সংক্রান্ত রিপোর্টও ইডি জমা করল আদালতে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ওই রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত দেখেননি বিচারপতি। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন রিপোর্ট দেখার পরেই এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করবেন।

    মঙ্গলবারের শুনানি 

    মঙ্গলবারই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডিকে প্রশ্ন করেন ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেকের এবং তাঁর আয়ের উৎস ঠিক কি? সেদিন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পাতার নথি আগেই জমা করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।  ইডির আইনজীবী মঙ্গলবার আদালতে বলেন, ‘‘যে নথি এসেছে, তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ ইডির আইনজীবীর কাছে একথা শোনার পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘‘যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন হয়েছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন আপনারা? আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস খুঁজে দেখেছেন? আইন আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে। এটাই তো আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’’

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ ডিসেম্বর

    প্রসঙ্গত, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য আগেই আদালতে বিশদে জানাতে বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যার মধ্যে ছিল সংস্থার ৬ জন ডিরেক্টরের নাম, সংস্থার আর্থিক লেনদেন, এই সংস্থা কারা ক্লায়েন্ট, তাঁদের নাম, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, পাশাপাশি সিইও হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, সংস্থার যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কে কবে থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তার বিবরণ, সংস্থা কেন ঠিকানা পরিবর্তন করল ইত্যাদি বিষয়ে। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ডিসেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ইডির কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা

    Calcutta High Court: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ইডির কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নথি জমা করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁর আয়ের উৎস ঠিক কী? আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালের পর থেকে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেকের।

    কী বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?

    মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির ৫,৫০০ পাতার নথি জমা পড়েছে। তাঁরা তা খতিয়ে দেখছেন। সেকশন ৫০ অনুযায়ী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বয়ানও রেকর্ড করেছে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘যে নথি এসেছে তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ এর পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনাদের কথা মতো যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। যদি সম্পত্তির পরিমাণ কম হত, তা হলে এই নথি আসত না। এটা ঠিক তো?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন যা হয়েছে, তাতে করে আপনারা কি খুঁজে দেখেছেন এর আয়ের উৎস কী?’’  ইডির আইনজীবী এদিন আরও জানিয়েছেন, প্রচুর নথি জমা পড়েছে। অনেক নথি বলছে টাকা এসেছে। ওই কোম্পানির কত উৎপাদন হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) বলেন, ‘‘আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস কী? আইন আপনাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে। বলা ভালো, এটাই আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’’ তার পরেই আইনজীবী জানান, আয়ের উৎস নিয়ে তাঁরা অপরাধ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছেন।

    শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়েছে অভিষেকের আর্জি

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ এবং সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court) তদন্তে তদারকি করছে বলে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে আইনজীবী। অভিষেকের আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, আদালত তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ১০ বছর আগের নথি চাওয়া হচ্ছে। শীর্ষ আদালত অবশ্য অভিষেকের আইনজীবীর আনা এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। ইডি তদন্তের স্বার্থে এমন নথি চাইতে পারে বলেই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এখনও পর্যন্ত লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষবারের মতো ইডি দফতরে তিনি হাজিরা দিয়েছেন চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani AIIMS: এইমস হাসপাতালে নিয়োগের নামে সক্রিয় প্রতারণা চক্র! কী হয়েছে জানেন?

    Kalyani AIIMS: এইমস হাসপাতালে নিয়োগের নামে সক্রিয় প্রতারণা চক্র! কী হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিভিন্ন দফতরে নিয়োগের নামে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর আগে শিক্ষা ও পুর দফতরে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজু়ড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ অনেকে জেলে রয়েছেন। এরইমধ্যে কল্যাণীর এইমস (Kalyani AIIMS) হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সিআইডি হানা দিয়ে সোমনাথ বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। প্রতারণার চক্রে জড়িত সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Kalyani AIIMS)

    কল্যাণী এইমস (Kalyani AIIMS) হাসপাতালে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ হয়। আর এই সুযোগে রাজ্যে প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠেন। জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী, গ্রুপ সি, ডি-সহ বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একাধিক জনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই চাকরি পাননি। পরবর্তীকালে চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে মামলার দায়িত্বভার হস্তান্তরিত হয় সিআইডি-র হাতে। শনিবার হালিশহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান সিআইডি আধিকারিকরা। পরে, কল্যাণী থেকে অভিযুক্ত সোমনাথকে সিআইডি গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে প্রায় এক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

    পাশাপাশি কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ দুর্নীতির সমান্তরালভাবে আরও একটি মামলায় তদন্ত করেছে সিআইডি। তাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তাকে। কল্যাণী এইমসে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থায় চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছর মে মাসে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এক যুবক। প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় তখন মামলা রুজু হয়। তাতে বিজেপি সাংসদদেরও নাম জড়ায়। তবে, সোমনাথ বিশ্বাস নামে এই ব্যক্তি যে মামলায় জড়িত  রয়েছে তা আলাদা। এই ব্যক্তি নিজস্ব চক্র তৈরি করেই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল। তার সঙ্গে প্রতারণা চক্রে আর কারা জড়িত রয়েছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। ধৃতের কাছে থেকে সিআইডি কী কী তথ্য পেয়েছে তা স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি ক্যাশ এবং গয়না। মেশিন নিয়ে এসে রাতভর চলেছিল টাকা গোনার কাজ। আর তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল রাজ্যবাসীর। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের  বা়ড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তাঁর বাড়ি থেকে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যা জানাজানি হতে এলাকার মানুষও হতবাক হয়ে যান। প্রতিবেতন লেখা পর্যন্ত ৩১ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    শৌচাগারেও মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা (CBI)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীদের নজর ছিল ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের উপর। তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, জাফিকুলের দুটি কলেজ রয়েছে। তাঁর সম্পত্তি, আয় এবং যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সকাল থেকেই সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। বাড়ির পিছন থেকে দুটি ব্যাগের মধ্যে প্রচুর নথি উদ্ধার করে সিবিআই (CBI)। সেই তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। পরে, বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময় লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ পান আধিকারিকরা। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল,মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু টাকা মিলেছে জাফিকুলের বাড়ির শৌচাগার থেকে। তদন্তকারীদের একটি অংশের সূত্রে দাবি, বিধায়কের বেডরুমেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেও প্রচুর টাকার হদিশ মিলেছে।  বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় রয়েছেন। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিধায়কের বাড়ির শৌচাগারের  থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের ওই অংশের দাবি, জাফিকুলের ‘বেডরুম’ থেকেও কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

    টাকা উদ্ধার নিয়ে বিধায়কের পরিবারের লোকজন কী সাফাই দিলেন?

    যদিও এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে প্রকাশ্যে বা সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিধায়ক না থাকায় সিবিআই আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে। সেই টাকাই তাঁর বাড়িতে ছিল। অন্য কোনও বিষয়। তবে, শৌচাগারে কেন টাকা রাখা হয়েছিল সেই বিষয়ে পরিবারের লোকজন স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়। তবে গ্রুপ সি মামলায় জামিন হলেও নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতারের আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। তাই জামিন পেয়েও বের হওয়া হল না কল্যাণময়ের। এদিন তাঁকে ফের জেলে যেতে হল।

    ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকছেন কল্যাণময়

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে জেলেই থাকবেন অশোক সাহা, সুব্রত সামন্তরাও। প্রসঙ্গত, নিজাম প্যালেসের (Recruitment Scam) সিবিআই এর দফতরে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে তাঁকে তলব করে সিবিআই। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর একাধিক বয়ানে অসঙ্গতি মেলে। এরপরেই কল্যাণময়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্রে সই করে তা শান্তিময়প্রসাদ সেনের কাছে কল্যাণময় পাঠাতেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসে।

    কী কী শর্ত চাপানো হল কল্যাণময়ের ওপর? 

    এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও, তাঁকে তদন্তে সাহায্য (Recruitment Scam) করার নির্দেশও দিয়েছেন। তবে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়েই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এদিন জামিন দেওয়া হয়। এগুলি হল, তাঁকে কলকাতা পুরসভার এলাকাতেই থাকতে হবে। বিধাননগর কমিশনারেট ও পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় কল্যাণময় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁর যদি কোনও পাসপোর্ট থাকে তবে তা নিম্ন আদালতে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ইডি-র তলব, সিজিওতে হাজিরা দিলেন টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ইডি-র তলব, সিজিওতে হাজিরা দিলেন টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে তলব করল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবারই তাঁকে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়। শুক্রবার তিনি সিজিওতে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসেন। সবমিলিয়ে প্রায় চার বার ইডি তাকে তলব করল।

    কালীপুজোর আগেই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল ইডি (ED)

    কালীপুজোর আগেই বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক এবং কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি (ED)। সেখানে দুজনেই নথি জমা করে আসেন। সেবার টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীও সিজিওতে হাজিরা দেন। এমনকী বরানগরের চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিককে পর পর দুদিন ইডি তলব করেছিল। কালীপুজো পর্ব শেষ হতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা। যদিও ভাইফোঁটার দিন টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী আচমকাই নিজেই সিজিওতে গিয়ে হাজিরা দেন। কিছুক্ষণ থাকার পর তিনি বেরিয়ে আসেন। পরে, তিনি জানিয়েছিলেন, ইডি কবে ফের তাঁকে তলব করতে পারে তা জানার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি চলে আসার পরদিনই ইডি তাঁর বাড়িতে নোটিস পাঠান। আর এদিন তিনি সিজিওতে গিয়ে হাজিরা দেন।

    প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এক চাকরি প্রার্থী

    বারাকপুর মহকুমার কামারহাটি, বরানগরের পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে বহু কর্মীর নিয়োগ হয়। সেই সময় টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তবে, অয়নের সংস্থার তৈরি প্যানেলে নাম থাকার পরও শুধুমাত্র চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার কারণে মহিলা এক চাকরি প্রার্থী পুরসভায় চাকরি পাননি। ওই চাকরি প্রার্থীর বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। তিনি অয়ন শীলের পাশাপাশি প্রশান্তবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। এরপরই ইডি (ED) টিটাগড় পুরসভায় এসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে আসে। পরে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পুরসভা থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: একই সেলে বালু-পার্থ! সুকান্ত বললেন, ‘‘এই জেল যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’

    Ration Scam: একই সেলে বালু-পার্থ! সুকান্ত বললেন, ‘‘এই জেল যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ড যেন এমএলএ ব্লক হয়ে উঠেছে, অন্তত কারারক্ষীদের একাংশ এই সেলকে এমএলএ ব্লক নামেই ডাকছেন (Ration Scam)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা আগে থেকেই সেখানে ছিলেন এবার তাঁদের প্রতিবেশী হলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই ইডি হেফাজত থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সেলে রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের একই সেলে থাকা নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রীতিমতো জনপ্রিয় গানের প্যারোডিও শোনা গেল রাজ্য বিজেপির প্রধানের কণ্ঠে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    বালুরঘাটের সাংসদ এদিন বলেন, ‘‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা। ধরা পড়ে গেছ, জেলযাত্রা হবে এটাই তো স্বাভাবিক। জ্যোতিপ্রিয় এবং পার্থ দুজনেই হাতে হাত রেখে গান করুন, এই জেল যদি না শেষ হয়…তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এবার থেকে হয়তো রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট মিটিং প্রেসিডেন্সি জেলে অথবা দিল্লির তিহাড়ে হবে।’’

    সারারাত ঘুমোননি বালু! দাবি কারারক্ষীদের একাংশের 

    সংশোধনাগার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Ration Scam) আসার পরেই অস্থির হয়ে পায়চারি শুরু করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরপর তাঁর চিকিৎসাও করেন। আদালতে নির্দেশ মতো তাঁকে খেতে হবে জেলের খাবার। অন্যান্য কয়েদিদের মতো জেলের দুটি কম্বলকে বালিশ করে রাতে শুয়ে পড়েন মন্ত্রী। জেলসূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সারারাত কার্যত তিনি জেগেই ছিলেন। অন্যদিকে ওই জেলে (Ration Scam) কর্তব্যরত কারারক্ষীদের একাংশ জানিয়েছেন, সোমবার সাত সকালেই নিজের সেল থেকে বেরিয়ে পড়েন বালু। মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথাও বলেন তিনি। আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের কাছে গিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয়কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share