Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে নাজেহাল অবস্থা তৃণমূল পরিচালিত কামারহাটি পুরসভার। ইডি-র ডাকে বার বার সিজিওতে ছুটতে হচ্ছে পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে। এরই মধ্যে বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে গোপালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গোপালের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো দলের বিধায়ক তথা ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র (Madan Mitra) বেলাগাম আক্রমণ করেছেন। সৌগতবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতাকে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে. বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও সেই ঢঙে কথা বলেন না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই কি কামারহাটি কাণ্ড নিয়ে দমদম লোকসভায় তৃণমূলের চেহারা বেআব্রু হয়ে গেল। সাংসদের নাম করে বিধায়ক মদনের কড়া সমালোচনার ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল।

    কামারহাটি নিয়ে সৌগত রায় ঠিক কী বলেছেন?

    কামারহাটিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলার আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন তিনি।

    সৌগত রায়কে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন মদন? (Madan Mitra)

    সৌগত রায়ের বক্তব্য সামনেই আসতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ (Madan Mitra)। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওনার (সৌগত রায়) একটাই উদ্দেশ্য, যেই গোপালকে ইডি ডাকল, তখন উনি বলতে শুরু করলেন, ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি’। ‘কী বোঝাতে চাইছেন? পুর দুর্নীতিতে আমি নেই! গোপালরা দুর্নীতি করেছে? যা বলার স্পষ্ট বলুন’। ‘আর ৯ বছরে এসব চোখে পড়ল না, এসব ভোটের আগে ঠিক মনে হল আপনার, কোথায় একটা গন্ধ আছে মনে হচ্ছে’। ‘দলের খাবেন আর সুযোগ পেলেই দলের পিছনে পিন বাজি? অথচ, আপনার বাংলোটা শ্রেষ্ঠ বাংলো, আপনি মন্ত্রী থাকাকালীন ম্যানেজ করে নিয়েছেন, আর এখন গোপাল ভূত, আর আপনি রাজা হয়ে গেলেন’। ‘কিছু বলার থাকলে পার্টির মধ্যে বলুন, তবে আপনার গুণ আছে, পিসি সরকারের ম্যাজিকের মত পাল্টি খাওয়া’।

    লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত, দাবি মদনের

    তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ‘সৌগত রায় ১৫ বছরে ১০টা ছেলে দেখান, যারা আপনার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে’। ‘বেশি কিছু বলবেন না, দিনকাল ভালো নয় তো’। ‘হঠাৎ আপনি মেরুকরণ করে গিরগিটির মতো পাল্টাচ্ছেন কেন? জেনে রেখে দেবেন, মদন মিত্র আছে’। ‘আপনার ডানদিকে বাঁদিকে যাঁরা ঘোরেন, ওরা তো সব চোর’ । কংগ্রেস আমলে পুরানো ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে মদন বলেন,  ‘লোকে জানে আপনি শিক্ষিত, কিন্তু ৭৭ সালে এমন রিগিং করেছিলেন, যে এসডিপিওকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে বারাকপুর হাতছাড়া হয়ে গেল’। এরপর এসব বলার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে ধরে নিয়ে মদন মিত্র বলেন. ‘পার্টির কাছে ক্ষমা চাইছি, এইসব কথা বলার জন্য আমার শাস্তি হতে পারে, উত্তর চাইতে পারে, কিন্তু উত্তর আমি দেব’। ‘তবে এটাও বলে রাখি, স্পেসিফিক কিছু না পেলে মদন মিত্ৰ বলে না’। ‘ওনার (সৌগত রায়) বলার স্টাইলটা যেন মনে হচ্ছে, লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে এগোচ্ছে। তবে, কিছু যায় আসে না, তুড়ি মারব, উড়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: রাজারহাটের ফ্ল্যাট কি কুন্তলের বেনামি সম্পত্তি? জানতে হাজির ইডি

    Kuntal Ghosh: রাজারহাটের ফ্ল্যাট কি কুন্তলের বেনামি সম্পত্তি? জানতে হাজির ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) রাজারহাটের ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার হানা দিল ইডি। প্রসঙ্গত নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুন্তল ঘোষ বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছেন। কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে এদিন তল্লাশি চালাতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সের দফতর থেকে ইডি আধিকারিকরা পৌছান রাজারহাটের ফ্ল্যাটে। জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। গ্রেফতারের পর ফ্ল্যাটের মালিক এখন নিজেই সেখানে থাকেন।

    কুন্তলের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট আসলে বেনামি সম্পত্তি নয় তো?

    ইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে বর্তমানে। কুন্তল এই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন বলে জানা যায়। বর্তমানে যিনি ফ্ল্যাটে আসেন তিনি কি আসল মালিক? কবে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন? কার কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন? কত টাকার বিনিময়ে কিনেছিলেন? এ সমস্ত কিছুই জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। আসলে কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) কোনও বেনামি সম্পত্তি সুকৌশলে বিক্রি করা হয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা এবং সে কারণে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলছেন তদন্তকারীরা।

    জানুয়ারি মাসেই গ্রেফতার হন কুন্তল

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই হুগলির তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। এর পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের নেতা কুন্তলের যোগসাজশের কথা জানান ইডি আধিকারিকদের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই কুন্তলের (Kuntal Ghosh) ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। কুন্তলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তাপস মণ্ডল। তাঁর দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন কুন্তল বলে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পান ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের সিজিওতে বরানগরের চেয়ারপার্সন, টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের সিজিওতে বরানগরের চেয়ারপার্সন, টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক চেয়ারম্যানকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল ইডি (ED)। সোমবারই বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক এবং কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সেখানে দুজনেই নথি জমা করে আসেন। মঙ্গলবার দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে এবার টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী সিজিওতে হাজিরা দেন। পাশাপাশি এদিন ফের বরানগরের চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক হাজিরা দেন।

    ফাইল নিয়ে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান হাজিরা দিলেন সিজিওতে (ED)

    বারাকপুর মহকুমার কামারহাটি, বরানগরের পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে বহু কর্মীর নিয়োগ হয়। সেই সময় টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তবে, অয়নের সংস্থার তৈরি প্যানেলে নাম থাকার পরও শুধুমাত্র চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার কারণে মহিলা এক চাকরিপ্রার্থী পুরসভায় চাকরি পাননি। ওই চাকরিপ্রার্থীর বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। তিনি অয়ন শীলের পাশাপাশি প্রশান্তবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। এরপরই ইডি টিটাগড় পুরসভায় এসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে আসে। পরে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পুরসভা থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে সিজিওতে ডেকে পাঠানো হয়। এদিন সকাল ১০.২০ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিওতে যান। ফাইলে একাধিক কাগজপত্র নিয়ে এদিন তিনি হাজির হন। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পরই এদিন ফের বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক সিজিওতে হাজির হন। জানা গিয়েছে, সোমবারই অপর্ণা মৌলিক প্রায় সাত ঘণ্টা সিজিওতে ছিলেন। গোপাল সাহাও সেখানে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন। তবে, এদিন গোপাল সাহাকে ডাকা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চেয়ারম্যানদের কতটা ভূমিকা ছিল, তা ইডি (ED) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। তাছাড়া, পুর কর্মী, অয়ন শীলের কাছে থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে চেয়ারম্যানদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Fraud: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেফতার অভিযুক্ত সরকারি কর্মী

    Fraud: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেফতার অভিযুক্ত সরকারি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Fraud) কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এবার গ্রেফতার হলেন এক সরকারি কর্মী। পুলিস জানিয়েছে,ধৃতের নাম শুভঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের গ্রুপ ডি পদের স্থায়ী কর্মী। মাসখানেক আগে এই মামলায় তাঁর মা গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আইন আইনের পথে চলবে।’

     ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সরকারি কর্মী শুভঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়ি বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকার। তিনি ও তাঁর  মা শেফালী চক্রবর্তী প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে  একাধিকজনের কাছে থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলেছিলেন। এমনকী ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরেও কারও চাকরি হয়নি। প্রতারিতরা ২০২২ সালে অভিযোগ দায়ের করেন বালুরঘাট থানায়। সেই অভিযোগের পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন ওই শিক্ষিকা। মাসখানেক আগে ওই শিক্ষিকাকে বালুরঘাট থেকেই বালুরঘাট থানার পুলিস গ্রেফতার করে। এবারে তাঁরই ছেলেকে পুলিস গ্রেফতার করল।  সোমবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত শুভঙ্কর চক্রবর্তী আদালতে যাওয়ার সময় বলেন, ‘আমি কোনওভাবেই কারও সঙ্গে আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত নই।’

     প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    অরিজিৎ দাস নামে এক প্রতারিত বলেন, ‘সরকারি কর্মী ও তাঁর মা মিলে প্রতারণা চক্র চালাতেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিল অভিযুক্তের মা। তার নামে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সেই মহিলাকে গ্রেফতার আগেই করেছে। এবার তার ছেলেও গ্রেফতার হয়েছে। এখন ন্যায় বিচারের আশায় রইলাম।’ প্রতারিত দিবস বর্মন বলেন, ‘শুভঙ্কর আমার বন্ধু ছিল। সেই সূত্রে তার বাড়িতে যাতায়াত লেগে থাকত। প্রাথমিক শিক্ষকে নিয়োগের লোভ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বহুবার চেয়েও সেই টাকা ফেরত পাইনি। অবশেষে মা ও ছেলে দুজনের নামে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘এক বছর আগে করা এক ব্যক্তির প্রতারণার (Fraud) অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আরেকজনের অভিযোগ পাওয়াতে সেই মামলার সঙ্গে এটা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে জেলা প্রশাসনের এক কর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ফের সিজিওতে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ফের সিজিওতে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একাধিক পুরসভার পাশাপাশি কামারহাটি পুরসভাতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে এই পুরসভায় শতাধিক কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। আর এই নিয়োগের সময় চেয়ারম্যান ছিলেন গোপাল সাহা। তিনি এখনও পুরসভার চেয়ারম্যান রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নামও জড়িয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের গোপাল সাহাকে তলব করে ইডি (ED)। সোমবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন গোপালবাবু। বেশ কিছু নথি নিয়ে ইডি দফতরে ঢোকেন তিনি। তাঁর হাতে একটি ফাইল ছিল। কিছু নথি জমা দিতেই তিনি গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    এর আগেও পুর চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল ইডি (ED)

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বারাকপুর মহকুমায় বরানগর, হালিশহর, টিটাগড় পুরসভার সঙ্গে কামারহাটি পুরসভার নাম জড়ায়। দু দফায় কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও চাকরি পেয়েছিলেন ‘বিতর্কিত’ প্যানেলে। সেপ্টেম্বর মাসে কামারহাটি পুরসভার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করা হয়েছিল। তাদের কাছে তথ্য পাওয়ার পর পরই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেই জের কাটতে না কাটতেই কয়েকদিন আগেই ইডি তলব করেছিল গোপাল সাহাকে। সেখানে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের তাঁকে ইডি তলব করল। তবে, কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বর এবং ভবানীপুরের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয়েছিল। এবার কামারহাটির পুরসভার চেয়ারম্যানকে ইডি ফের তলব করায় মহকুমা জুড়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    এর আগেও ইডি-র (ED) ডাকে সিজিওতে গিয়েছিলেন গোপালবাবু। জেরার পর তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা একটা তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের প্রয়োজনে আমাকে ডাকতেই পারে। আমাকে যখনই ডাকছে, যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে, উত্তর দিচ্ছি। তাতে সময় লাগছে ঠিকই, কিন্তু ওরা ওদের কাজ করছে। আমরা সবরকমভাবে সহযোগিতা করছি।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি

    Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা (Recruitment Scam) পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। প্রসঙ্গত, বুধবারই বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে পর্ষদের সভাপতি সমেত জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও। এ বিষয়ে সময়সীমাও বেঁধে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে (Recruitment Scam) যাওয়ার কথা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    সন্ধ্যা ছয়টার আগেই পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল পৌঁছে যান সিবিআই দফতরে

    সন্ধ্যা ছয়টার আগেই অবশ্য পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল পৌঁছে যান সিবিআই দফতরে (Recruitment Scam)। ঠিক ৫টা ৫৩ মিনিটে তাঁকে ঢুকতে দেখা যায় নিজাম প্যালেসে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট আগেই। গৌতম পালের হাজিরাকে ঘিরে আগে থেকেই সেখানে সংবাদমাধ্যম উপস্থিত ছিল কিন্তু সাংবাদিকদের তিনি কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গৌতম পালের সঙ্গে হাজিরা দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারও।

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

    গতকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ২০১৪ সালের ওই টেট দুর্নীতির রিপোর্ট দেখার পরেই গৌতম পাল এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, তদন্তে সহযোগিতা না করলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। ১৮ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যে প্রাথমিকে ওএমআর সিট দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দুই অধিকর্তাকে (Recruitment Scam) সম্প্রতি গ্রেফতার করে সিবিআই। ক্রমশই তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    Recruitment Scam: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গতি আনতে সিবিআই-এর ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’-এর পুনর্গঠন করা হল। নতুন সিবিআই আধিকারিককে দিল্লি থেকে ডেকে পাঠালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দিল্লিতে কর্মরত স্নেহাংশু বিশ্বাস নামক ওই অভিজ্ঞ অফিসারকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতায় বদলি করে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে এখন কোনওভাবেই সরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ডিআইজি সিবিআই অশ্বিন সেনভিকে সিট পুনর্গঠনের নির্দেশ কার্যকর করতে বলেন।  সিট-কে আরও শক্তিশালী করতে দিল্লি সিবিআই অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ওই অফিসারকে কলকাতায় আনতেই বিচারপতির এই নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় এদিনের শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আদালতকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরক্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রাইমারি বোর্ড অফ এডুকেশন।” সিবিআই-কে বিচারপতি নির্দেশ দেন, পুজোর ছুটির পরে গোটা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। এতদিন ধরে কী কী তদন্ত এই নিয়োগ দুর্নীতিতে হয়েছে, সেটা জানতে হবে। মুখ বন্ধ খামে আদালতে তা জমা করতে হবে সিবিআই-কে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ নভেম্বর। সেদিনই মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করতে হবে সিবিআই-কে।

    আরও পড়ুন: পুজোর উপহার! ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের, কত হবে বেতন?

    মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা করছে পর্ষদ

    আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এদিন আদালতে জানান, রাজ্য প্রাথমিক কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। ওএমআর সিট বিতর্কে সিঙ্গেল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে। ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্য এই মামলায় এসএলপি ফাইল করেছেন। এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করা হলে শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয়। ফলে দ্রুত শুনানি ও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ স্থগিতের আবেদন আপাতত গ্রহণ করা হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তারপরেও পর্ষদের এই আবেদন করার পিছনে বলা হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ ‘হার্স অর্ডার’ দিয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জ করতেই পরে। কিন্তু, এখানে পর্ষদের এই আবেদন আসলে মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা বলে মনে করছে আদালত। তাদের এই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আসছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করল আরও এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে ওএমআর সিট জালিয়াতির অভিযোগে পার্থ সেন নামে এক ব্যক্তিকে এদিন সিবিআই আটক করেছে। দিন কয়েক আগেই অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। এদিনই পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) সূত্রে খবর, ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন। এই সংস্থায় মূলত প্রোগ্রামিং এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাসিন্দা পার্থ সেনকে এদিনই আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই-এর (CBI) দাবি অনুযায়ী এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও  ওএমআর সিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল। প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই গত মাসে সংস্থার অন্যতম দুই আধিকারিক কৌশিক মাজি এবং সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জাল গোটাচ্ছে সিবিআই-ইডি

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ  দুর্নীতি মামলায় তদন্তে ব্যাপক গতি বাড়িয়েছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) ও ইডি। এই মামলাতেই জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমেত শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ জুলাই এই মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা। সেই শুরু তারপর একে একে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও নেতার নাম উঠে আসতে থাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য যিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন তিনিও জেলে রয়েছেন এই মামলায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার নজরে বারাসত পুরসভা, চিঠি দিয়ে নথি তলব সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার নজরে বারাসত পুরসভা, চিঠি দিয়ে নথি তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ইডি-সিবিআই একাধিক পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। ঠিক এরকম একটা সময়ে বারাসত পুরসভায় এল সিবিআইয়ের  একটি চিঠি। ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই পুরসভায় কারা কারা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তাহলে কি পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের রেশ এবার জেলার সদর বারাসতেও। চিঠির কথা স্বীকার করলেও এর সঙ্গে নিয়োগ-দুর্নীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান।

    বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি (Recruitment Scam)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শিকড়ে পৌঁছতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে একাধিক পুরসভায় গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি’র চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই বেআইনি নিয়োগের পিছনে তৃণমূলের প্রাক্তন এবং বর্তমান চেয়ারম্যানদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা খতিয়ে দেখতে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্ৰীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা। কিছুদিন আগেই মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের মাইকেল নগরের বাড়িতেও হানা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে মন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে রেখে উনিশ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান (Recruitment Scam) চালানো হয়। তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেশ কিছু তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে খবর পাওয়া যায়। যদিও খাদ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কোনও নথিই বাজেয়াপ্ত করা হয়নি তাঁর বাড়ি থেকে। শুধু মন্ত্রীর বাড়িই নয়, মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও ইতিমধ্যে দু-দু’বার হানা দিয়েছে ইডি- সিবিআই। পাশাপাশি আধিকারিকদের জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষকে। এরই মধ্যে এবার নিয়োগ দুর্নীতির চিঠি এসে পৌঁছল বারাসত পুরসভাতে।

    চিঠির কথা স্বীকার পুরসভার চেয়ারম্যানের (Recruitment Scam)

    এই বিষয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই ই-মেল মারফত চিঠি (Recruitment Scam) পাঠিয়েছে পুরসভার কাছে। সেই চিঠির উত্তরও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের কাছে। তারা জানতে চেয়েছে, ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল, এই ১১ বছরে পুরসভায় কারা কারা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁদের নাম, ঠিকানা সহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলেছিল, আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। কেন পাঠাতে বলেছে, সেটা আমার পক্ষে বলা অসম্ভব। হতে পারে তদন্তের স্বার্থে তারা জানতে চেয়েছে এসব। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে পুরসভায় কোনও নিয়োগ হয়নি।

    কোনও সংযোগ আছে, দাবি বিজেপির

    অন্যদিকে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি তাপস মিত্র দাবি করেন এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে যদি এখানে নিয়োগ নাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন চিঠি পাঠাতে গেল সিবিআই। বেআইনি নিয়োগের কোনও না কোনও সংযোগ রয়েছে সেখানে (Recruitment Scam)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ডায়মন্ডহারবার-মধ্যমগ্রামে সিবিআই হানা

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ডায়মন্ডহারবার-মধ্যমগ্রামে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই সাতসকালে রাজ্যের ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। ফিরহাদ-মদন ছাড়াও একাধিক চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই কর্তারা। এবার সেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই সোমবার সকালে পৌঁছে গেল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ডহারবারে। ডায়মন্ডহারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরা হালদারের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। চলছে বেশ কিছু নথির খোঁজ। একইসঙ্গে মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও এদিন সিবিআই হানা দেয়। এর আগে ইডি এই পুরসভায় হানা দিয়েছিল।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন মীরা হালদার। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে ওই নিয়োগ হয়েছিল বলে জানত পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর কাছে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত নথির সন্ধানে গিয়েছে সিবিআই (CBI)। নিয়োগে মীরার কোনও ভূমিকা ছিল কি না, সে বিষয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরার বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। বাড়িটি আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। মীরা হালদার বাড়িতেই ছিলেন। ফলে, নথি খোঁজার পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দুদিন আগেই ইডি খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। পুরসভাতেও তাঁরা গিয়েছিলেন। এবার সেই তদন্তে সিবিআই ফের হানা দিলেন।

     প্রসঙ্গত, পুর-নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। কয়েকদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ রাজ্যের ১২ টি জায়গায় একযোগে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে নামে ইডি। কামারহাটি পুরসভা এবং বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ইডি। পাশাপাশি আড়াই কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর সেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রবিবার সিবিআই ১২টি জায়গায় হানা দেয়। হালিশহরের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে কিছু নথি উদ্ধার করে নিয়ে যায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার অভিষেকের গড় ডায়মন্ডহারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কী কী তথ্য উদ্ধার হয় তার দিকে তাঁকিয়ে রয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share