Tag: Reliance Group

Reliance Group

  • Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রিলায়েন্স কমিউনিকেশন এবং এর প্রোমোটার-ডিরেক্টর অনিল আম্বানিকে (Anil Ambani) ‘প্রতারক’ ঘোষণা করার পরই এই অভিযান শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।

    তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    ইডি-র তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। যদিও অনিল আম্বানির ব্যক্তিগত বাসভবনে এদিন তল্লাশি চালানো হয়নি (Anil Ambani)। মুম্বই ও দিল্লি থেকে আসা ইডি-র (ED Raid) যৌথ দল তাঁর বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দফতর এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালায়। জানা গিয়েছে, মুম্বই ও দিল্লির প্রায় ৫০টি অফিসের মধ্যে অন্তত ৩৫টি ভবনে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

    ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    এছাড়াও, এই মামলায় নাম জড়ানো ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে (Anil Ambani)। ইডি সূত্রে (ED Raid) জানা গিয়েছে, এসবিআই কর্তৃক ‘প্রতারক’ ঘোষণার পর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি), সেবি, ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথোরিটি (এনএফআরএ), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতেই হয় এই তল্লাশি।

    ইডি-র প্রাথমিক ধারণা অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত

    তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার ঋণের বড় একটি অংশ সন্দেহজনকভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, কিছু অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে ওই অর্থ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে। ইডি-র প্রাথমিক ধারণা, এই অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সুচিন্তিত কৌশলের অংশ। এর ফলে প্রতারিত হয়েছেন শেয়ারহোল্ডার, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং একাধিক ব্যাঙ্ক। তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স-এর কর্পোরেট ঋণ বিতরণ এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, যা আর্থিক অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাবের বড় ইঙ্গিত বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (Anil Ambani)।

  • Forbes Rich List: মুকেশ আম্বানিকে ছাপিয়ে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি

    Forbes Rich List: মুকেশ আম্বানিকে ছাপিয়ে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি ভারতের 100 ধনীর 2022 ফোর্বসের (Forbes Rich List) তালিকায় এক নম্বর স্থান দখল করেছেন। বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানিকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ারের (Forbes Rich List) তালিকায় ১৫৫.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির অধিকারী হয়ে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ফেলেছিলেন আদানি।এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই রিলায়েন্সের কর্নধার মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যাক্তির শিরোপা ছিনিয়ে নেন। মুকেশ আম্বানি ফোর্বসের (Forbes) রিয়েল টাইম বিলিয়েনিয়ারদের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছেন। তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ ৯২ বিলিয়ন ডলার।

    ফোর্বস ম্যাগাজিনের সমীক্ষা অনুযায়ী এই প্রথমবার ভারতে ২০২২ সালের শীর্ষ ধনীতম ব্যাক্তিদের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন আদানি।২০১৯ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫.৭ বিলিয়ন। ২০২০ সালে তা বেড়ে ২৫.২ বিলিয়ন হয়। এরপর ২০২১ সালে করোনা অতিমারীর সময় যখন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল সেই সময়ে তাঁর সম্পত্তি তিনগুন বেড়ে ৭৪.৮ বিলিয়নে দাঁড়ায়। ২০২২ সালে বর্তমানে তাঁর সম্পদ দ্বিগুন বেড়ে ১৫০ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। যার জেরেই শীর্ষ স্থানে পৌছেছেন তিনি। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রাধাকৃষ্ণ দমানি অ্যান্ড ফ্যামিলি। এ ছাড়াও তালিকায় যথাক্রমে রয়েছেন, সাইরাস পুনাওয়ালাস শিব নাদর, সাবিত্রী জিন্দল অ্যান্ড ফ্যামিলি, দিলীপ সাঙভি অ্যান্ড ফ্য়ামিলি, হিন্দুজা বন্ধু, কুমার মঙ্গলম বিড়লা এবং বাজাজ ফ্যামিলি।

    তালিকায় প্রথম দশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬৬ লক্ষ কোটি টাকা। ভারতের অর্থনীতির থেকে তাঁদের সম্পত্তি প্রায় ২২ গুণ বেশি।

    ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম বারের মতো প্রবেশ ঘটেছে অনলাইন প্রসাধনী বিক্রি সংস্থা নাইকা-র সিইও ফাল্গুনী নায়ারের। তালিকায় ৪৪তম স্থানে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর সংস্থা আইপিও হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তার পর থেকে লাগাতার ফাল্গুনীর সম্পত্তি বেড়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪৪০ কোটি ডলার। জামা-কাপড় ব্যবসায়ী রবি মোদি তালিকতায় ৫০তম স্থানে রয়েছেন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭৫ কোটি ডলার।

    ডিজিটাল পেমেন্টস কোম্পানি পেটিএম-র কর্নধার বিজয় শেখর শর্মা এই লিস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন কোম্পানির শেয়ার দর পতনের জন্য।

    প্রসঙ্গত, আদানি গ্রুপের বন্দর পরিকাঠামো, বিদ্যুত পরিষেবা, আবাসনের মতো ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয় ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আদানি গোষ্ঠী প্রয়োজনের অধিক ঋণ নিয়ে ফেলেছে। তার ফলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারে তারা। যদিও আদানি গোষ্ঠী এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ১৫ পাতার একটি রিপোর্টে প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, তারা কীভাবে ঋণের বোঝা কমিয়েছে। আদানি গ্রুপের স্টকগুলির অসাধারণ বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি বার্নার্ড আর্নল্টকে ছাড়িয়ে পাকাপাকি ভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে উঠে আসবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
LinkedIn
Share