Tag: river

river

  • River: পরিকল্পনা করেই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আস্ত একটি নদী! কী বলছেন এলাকার মানুষ?

    River: পরিকল্পনা করেই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আস্ত একটি নদী! কী বলছেন এলাকার মানুষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঝলক দেখলে মনে হবে, জঙ্গলে ঘেরা কোনও নালা। আসলে যে এটি একটি আস্ত নদী (River) ছিল, সে কথা বলে না দিলে বোঝা দায়। অভিযোগ, যতটুকুও বা নদী রয়েছে, তার পাড় দখল করে চলছে নির্মাণ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ব্রাহ্মণী নদী এভাবেই এক বিপন্ন নদীতে পরিণত হয়েছে। অথচ হুঁশ নেই প্রশাসনের।

    মুছে যাবে নদীর নাম, আশঙ্কা অনেকেরই

    গঙ্গারামপুরের কালীতলায় পুনর্ভবা থেকে একশো মিটার দূরত্বে রয়েছে এই ব্রাহ্মণী নদী। দক্ষিণ দেবীপুরে পুনর্ভবা থেকে শাখানদী রূপে বেরিয়ে এসেছে ব্রাহ্মণী। তারপর নালাগোলার কাছে টাঙনে এসে মিশেছে। স্থানীয়দের দাবি, বছর দশেক আগেও এই নদীতে ভালো জল বইত। পাওয়া যেত মাছ। এলাকার মৎসজীবীরা এই নদী (River) থেকে মাছ তুলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন আর ব্রাহ্মণীতে জল নেই। শুধু রয়েছে আগাছা ও ঝোপঝাড়। অভিযোগ, এলাকার আবর্জনা ও বর্জ্য নিয়মিত এই নদীতে ফেলে কার্যত পরিকল্পনা মাফিক নদীকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, নদী বুজিয়ে তার পাড় দখল করে তৈরি হচ্ছে বাড়ি, দোকান। অবশিষ্ট যেটুকু নালার মতো রয়েছে, সেখানেও আবর্জনা ফেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, নদীর এমন অবস্থা থাকলে আগামী দিনে ব্রাহ্মণী নদীর নাম মুছে যাবে। পরিবেশকর্মী তুহিনশুভ্র মণ্ডল বলেন, “বিপন্নতম নদীতে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণী। নদী দখল হয়ে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। একটা গোটা নদীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” পরিবেশকর্মীদের দাবি, এতে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছেন সেচ দফতরের কর্তারা?

    সেচ দফতরের দাবি, এই নদীকে (River) সচল করতে তারা সমীক্ষা করেছে। কিন্তু সেই সমীক্ষা ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে উপরমহলে, এমনটাই খবর। সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার দেবব্রত পাল বলেন, “বছর দেড়েক আগে একটি সমীক্ষা করে আমরা পাঠিয়েছিলাম। সংস্কার করে নদীকে বাঁচানোই ছিল উদ্দেশ্য। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে এখনও কিছু নির্দেশ আমরা পাইনি।”

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক পি প্রোমথ বলেন, “ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের দ্রুত এলাকা (River) পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলব। কেউ দখল করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

    Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আরামবাগে (Arambagh) খোঁজ মিলল কানা দ্বারকেশর নদীর। সার্ভে করে নদীর চূড়ান্ত পর্যায়ের মাপজোকের পর আরামবাগের চাঁদুর ফরেস্টে মিলল এর অস্তিত্ব। হারিয়ে যাওয়া নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে প্রবল উৎসাহিত।

    নদীর প্রবাহ কেমন ছিল?

    আরামবাগ (Arambagh) শহরের বাইশ মাইল এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদী থেকে শাখা নদীটি বেরিয়েছে, এলাকায় যা কানা দ্বারকেশ্বর নামে পরিচিত। কানা দ্বারকেশ্বরের বুক দিয়ে একসময় বইতো বিপুল জলরাশি। যার স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গিয়েছে নদীর চরা পড়া জমিতে। বর্তমানে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে এই খাল আঁকাবাঁকা পথে বইছে। শহরের ভিতর খালটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে। খালটির উৎসমুখ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঁটার মোড়ে। শহরের ভিতর একাধিক জায়গায় খালের প্রবাহপথ কিন্তু বর্তমানে হারিয়ে গিয়েছে। যার সন্ধানেই শুরু হয় সার্ভের কাজ। শহর থেকে বেরিয়ে খালটি মিলেছে মলয়পুর খালে। সেই খাল খানাকুলের অরোরা খালে এবং তারপরে রূপনারায়ণ নদে মিশেছে। প্রসঙ্গত, কানা দ্বারকেশ্বর এখন মৃতপ্রায়। এলাকায় জবরদখলের সঙ্গে নোংরা ও কচুরিপানা জমে নদীর প্রবাহ এখন বর্তমানে অবরুদ্ধ। গতিপথের সন্ধানে সার্ভের কাজে নামে মহকুমা সেচ দফতর ও পুরপ্রশাসন।

    উদ্ধারে প্রশাসনের ভূমিকা

    কয়েকমাস আগে থেকে আরামবাগে (Arambagh) সার্ভের কাজ শুরু করে মহকুমা প্রশাসন। বুধবার আরামবাগ পুর প্রশাসন, আরামবাগ মহকুমার ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক, আরামবাগ চাঁদুর ফরেস্টের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় চাঁদুর ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকা ও ফরেস্টের ভিতরের কিছু অংশে। চুড়ান্ত পর্যায়ে নদীর মাপ হয় চাঁদুর ফরেস্ট অঞ্চল এবং তেলিপাড়া মৌজায়। ১৯৩৩ সালে এই দুটি মৌজা থেকে দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে দ্বারকেশ্বর নদী। আরামবাগ পুর প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার, আরামবাগ ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ও ফরেস্টের একজন আধিকারিক উপস্থিত থেকে চূড়ান্তভাবে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্বকে চিহ্নিতকরণ করেন।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত

    এই বিষয়ে আরামবাগ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার বলেন, ফরেস্টের পাশে দ্বারকেশ্বর নদীর যে কানা খালটি আছে, তা কেউ জানতো না। এই খালটি আমাদের পুরসভার যে হেলথ সেকশন আছে, তারপর থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। খালটি ১৯৩৩ সালের ম্যাপ অনুযায়ী কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত কেউ জানতো না। আমাদের কাজ কানানদীর অস্তিত্ব চিহ্নিত করা। সেই অনুযায়ী এদিন চূড়ান্তভাবে কানানদীর গতিপথ চিহ্নিত করা হল। বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার ও সেচ দফতরের। অপরদিকে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কাজটি শুরু করেছিলাম। একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। আরামবাগ পুর প্রশাসন রিপোর্ট দিলে সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হবে এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে। আরামবাগ (Arambagh) মাস্টার প্লানের অন্তর্ভুক্ত এই শাখা নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হলে উপকৃত হবেন আরামবাগ শহর এবং গোটা মহকুমার লক্ষাধিক মানুষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda River: কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে নদী, সংস্কারের দাবি জানালেও নির্বিকার পঞ্চায়েত!

    Malda River: কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে নদী, সংস্কারের দাবি জানালেও নির্বিকার পঞ্চায়েত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের টাঙ্গন নদী (Malda River) কার্যত ধুঁকছে। নদীর স্রোত একেবারে নেই বললেই চলে। এর গভীরতাও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, নদীর জলের চারদিক কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে। এর জন্য নদী সংলগ্ন স্থানীয় মানুষদের পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের স্নানের জন্য জলে নামতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই এখন বাধ্য হয়ে কচুরিপানা সরিয়ে জলে ডুব দিচ্ছেন, জামাকাপড় ধোয়ার কাজ করছেন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    নদীতে স্নান করতে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন অনেকে। স্থানীয় মহিলা সন্ধ্যা সিংহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের প্রচণ্ড সমস্যা। এতটাই সমস্যা যে বলার নয়। নদীর (Malda River) অবস্থা বেহাল। তবুও এদিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। নদীর দ্রুত সংস্কার করা উচিত। নদীতে নেমে স্নান করার মতো পরিস্থিতি নেই। জল থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাতেই স্নান করতে হয়। বাড়ির কলে জল ওঠে না। তাই নদীতেই কাচাকুচি করতে হয়। জামাকাপড় ধুয়ে নিয়ে গিয়ে আবার সাবমার্শিবলের জলে ধুতে হচ্ছে। জল পচে গন্ধ ছড়ানোয় বিভিন্ন অসুখ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী আশ্বাস দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নদীতে (Malda River) কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে অনেক সুবিধা হবে, এই আর্জি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অমৃত হালদারকে জানানো হয়। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। অমৃতবাবু বলেন, বিষয়টি অনেকদিন ধরে নজরে রয়েছে। এমনভাবে চারদিক কচুরিপানায় ভরে গেছে যে নদীতে কেউ নামতে পারছে না। অনেকেই আমার কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাঁদের সুবিধার জন্য ব্যারিকেড করে দিয়েছে। তবে এমনিতেই নদীটির স্রোত একেবারেই নেই। জল অনেক কমে গিয়েছে। যার ফলে কচুরিপানা আটকে পড়ছে। খুব শীঘ্রই লোক লাগিয়ে কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্লকে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার বোমাবাজির ঘটনাও ঘটছে। দলীয় কর্মী খুন হওয়ার নজিরও রয়েছে। সেখানে আলিপুরদুয়ারে একেবারে অন্য চিত্র ধরা পড়ল। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামের তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। এই আসনটি এবার মহিলা সংরক্ষিত। তিনি স্ত্রীকেও এবার ভোটে প্রার্থী করতে চান না।

    পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে চান না কেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য?

    আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে কল কল করে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী কালকূট। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। কিন্তু, পাহাড়ি কালকূট নদীর ভাঙনে বিঘার পর বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এর আগে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে রবিবাবু এলাকাবাসীকে ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটারদের কাছে তা রাখতে পারেননি। সেই লোকলজ্জায় আর মানুষের কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবেন না তিনি। দলকে সেই কথা জানিয়েও দিয়েছেন। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস বলেন, “এবার আমার এলাকার পঞ্চায়েতের আসন মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। দল স্ত্রীকে প্রার্থী করার কথা বলেছিল, না করে দিয়েছি। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও নদীভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় আমার পক্ষে আর ভোটের সময় গিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মুখ নেই। তাই, আমি ও আমার পরিবারের কেউ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র আলিপুরদুয়ার জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, “তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। তারা আর এলাকার উন্নয়ন করবে কিভাবে? ভাঙন প্রতিরোধ করার বিষয়ে কারও কোনও উদ্যোগ নেই। দেরি হলেও ওই পঞ্চায়েত সদস্য সেটা বুঝতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগছে।”

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলার কার্যকরি সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখুন, ওই নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য টাকা এসেছিল। তৃণমূল নেতারা সেই টাকা দুর্নীতি করে খেয়ে ফেলেছেন। নাহলে ওই এলাকায় আধিকারিকরা বার বার যাওয়ার পরেও বাঁধ নির্মাণ হবে না কেন?”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক অবশ্য বলেন, “কে প্রার্থী হবেন আর কে হবেন না, তা ঠিক করবে দল। তবে, ওই এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। সমস্যার কথা জানি। ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, কাজ  হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River:  নদীর জমি চুরি করে এভাবে চলছে চাষাবাদ! জানেন কোথায়?

    River: নদীর জমি চুরি করে এভাবে চলছে চাষাবাদ! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অবাস্তব মনে হলেও সত্যি। আস্ত একটি নদী (River) বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বলা ভাল, নদীর জমি চুরি করে নিজেদের নামে করে নিয়েছে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। আর সেই নদী(River)  এখন পরিণত হয়েছে চাষের জমিতে। রমরমিয়ে সেখানে চলছে চাষবাস। এমনকি চাষ করার জন্য বৈধ কাগজ পেয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। একসময়ে জল টল টল করা শ্রীমতি নদীর(River)  এমনই বেহাল ছবি ধরা পড়েছে। ধীরে ধীরে নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এই নদী এখন পুরোপুরি চরে পরিণত হয়েছে। জলা জমি ডাঙা জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, নদী দখল করে চলছে চাষাবাদ। বেশ কিছু এলাকায় রীতিমতো কংক্রিটের  নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নদীর (River)  জমি দখল করা চাষিদের বক্তব্য, চাষের জমির নিজস্ব দলিল আমাদের কাছে রয়েছে।  তবে, কে তাঁদের আস্ত এই নদী বিক্রি (River)  করল, সে বিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

    কেমন ছিল শ্রীমতি নদী? River

    একসময় বাংলাদেশ থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা এই নদী (River)  ইটাহার ব্লকের মারনাই এলাকায় মহানন্দা নদীতে মিশেছে। জল থৈ থৈ করত এই নদী (River) । দুপারের বাসিন্দারা এই নদীর জল ব্যবহার করতেন। দুপারে যে সব জমি ছিল, নদীর জলের চাষাবাদ হত। কিন্তু, গরম কালে নদীতে (River)  জল কম থাকার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষের হাত ধরে ধীরে ধীরে নদী দখল হতে শুরু করে। ভূমি দপ্তরকে হাত করেই নদীর জমি নিজের নামে করে নেয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এমনকী তাঁরা নদীর জায়গা বলে মানতে নারাজ। তাঁরা  রায়ত জমি হিসাবে প্রয়োজনীয়  কাগজপত্রও দেখিয়ে দেন। নদী বাঁচাও কমিটির সদস্য প্রসূণ কুমার দাস বলেন, আমরা সংগঠন তৈরি করে নদী (River)  বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা দরবার করেছিলাম। কয়েক বছর আগে জেলাশাসকের নির্দেশে বিডিওর উদ্যোগে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে নদী সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কাজ করতে গিয়ে জানা যায়, নদী বলে কিছু নেই। নদী (River)  বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সব ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এই ঘটনার আমরা তদন্ত দাবি করছি।

    কালিয়াগঞ্জ শহরের  বিজেপি নেতা গৌরাঙ্গ দাস বলেন, প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আমলে শ্রীমতি নদীর সংস্কারের কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাম সরকারের উদাসীনতায় তা সম্ভবপর হয়নি। পরবর্তীকালে সরকারের পক্ষ থেকেও নদীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রাম নিবাস সাহা বলেন,  মহকুমা শাসক ও বিএলআরওকে বিষয়টি জানিয়েছি। সেখানে ভোগ দখলকারী অনেকের কাছে বৈধ কাগজও রয়েছে বলে শুনেছি। নতুন করে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, এভাবে নদী (River)  দখল করে চাষবাস চলতে থাকলে একদিন নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলবে। নদী (River)  গতিপথ পরিবর্তন করবে। এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হবে। এই বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ভূমি রাজস্ব দপ্তরকে জানাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বাংলাদেশ আচমকা জল ছাড়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে, দুর্ঘটনায় ত্র্যস্ত প্রশাসন

    Balurghat: বাংলাদেশ আচমকা জল ছাড়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে, দুর্ঘটনায় ত্র্যস্ত প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটে (Balurghat) আত্রেয়ী নদীর উপর নির্মীয়মাণ বাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু মাঝে বাংলাদেশ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বিপদ এড়াতে নির্মীয়মাণ বাঁধের পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে। আর সেখানেই স্নান করতে উপচে পড়ছে ভিড়। ওই জলের স্রোতে ইতিমধ্যেই অনেকে ভেসে গিয়েছে। আবার বেশ কয়েকজন নির্মীয়মাণ বাঁধের লোহার আঘাতে জখম হয়েছে। যা নিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। সেচ দফতর ও নির্মাণ সংস্থা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে সকলকে তুলে দিলেও সমস্যা কাটেনি। তাই ওই এলাকাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করছে প্রশাসন।

    কী বলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) সদর মহকুমাশাসক সুমন দাশগুপ্ত বলেন, আমাকে সেচ দফতরের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। আগামীতে ওই এলাকা বিপজ্জনক ও নিষিদ্ধ বলে প্রচার করা হবে। কেউ যাতে স্নান করতে না নামে, তার জন্য দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হবে। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, ওই জায়গাটা এমনিতেই বিপজ্জনক। তাই সেখানে কেউ যাতে স্নান করতে না নামে, তার জন্য পুলিশ নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি সেচ দফতরকেও প্রচার ও সতর্কমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেচ দফতরের ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার সঞ্জয় পারেখ বলেন, আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় জলস্তর বেড়েছে। যার ফলে নদীর একপাশ থেকে জল ছেড়ে দিয়েছি আমরা। সেই জলস্রোতে স্থানীয় বহু মানুষ স্নান করতে নামছে। একজন তলিয়ে গিয়েছিল। আমরা বাঁচিয়েছি। এছাড়া দুজন জখম হয়েছে। আমরা কাজ করব, না মানুষ বাঁচাব? যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

    কাজ শেষের মুখেই নয়া বিপদ

    প্রসঙ্গত, আত্রেয়ীর জলের সমস্যা মেটাতে বালুরঘাট (Balurghat) শহরে এর উপরে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ। ওই বাঁধের কাজ ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে৷ বাকি অংশের কাজ শেষ করতে তোড়জোড় শুরু করেছে সেচ দফতর। ২০২১ এর ডিসেম্বর মাসে সেই কাজ শুরু হয়েছে। নদী বরাবর ২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট বাঁধের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে। দুপাশে দুটি স্লুইস গেটের কাজও চলছে। কিন্তু এখনও কাজ শেষ না হতেই বিপদ বাড়ছে এলাকায়।

    কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন

    জানা গিয়েছে, ওই বাঁধের পশ্চিমপাড়ে জলের স্রোত বয়ে চলেছে। ওই জলস্রোতের সৌন্দর্য দেখতে যেমন মানুষ ভিড় করছে, তেমনি সেই জলে স্নান করতে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। এদিকে এখনও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। নদীর মধ্যে অনেক জায়গায় লোহার রড, সিমেন্টের পোল সহ নানা ধারালো সরঞ্জাম রয়েছে। ফলে স্নান করতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছে। একজন জলে তলিয়ে গেলে তাকে দড়ি দিয়ে কোনওরকমে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। তাই প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় পুলিশকে (Balurghat) নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী বিপজ্জনক এলাকা এবং সাইরেন সহ নানা সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই আত্রেয়ীতে তলিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। বালুরঘাট শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে আত্রেয়ী নদী। রাইখোর মাছের (Fish) জন্য বহু সুখ্যাতি ছিল এই নদীর। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার বড় আধার ছিল এই মাছ। কারণ, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই তাঁরা প্রচুর পরিমাণে রাইখোর মাছ (Fish) বাজারে নিয়ে যেতে পারতেন। বিক্রি করে ভালো টাকা মুনাফা হত। কয়েক বছর আগে বালুরঘাট শহরের তহ বাজার, সাহেবকাছারি বাজার সহ শহরের বিভিন্ন বাজারে রাইখোর মাছ (Fish) দেখা যেত। আমদানিও ভালো ছিল। শুধু জেলাবাসী নয় ভিন জেলার মানুষের চাহিদার জোগান দিত এই নদী। এক সময় এই রাইখোর মাছ (Fish) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেত। যদিও এখন তা ইতিহাস। আত্রেয়ীর ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। জেলায় রাইখোর মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না আত্রেয়ী নদী, যার ফলে রাইখোর মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্যপ্রেমীরা। ধীরে ধীরে বালুরঘাটের বাজার গুলিতে আর সেইভাবে দেখা মিলছে না রাইখোর মাছের।

    আত্রেয়ী থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে রাইখোর মাছ? Fish

    বর্ষার পর আত্রেয়ী নদীর জল ক্রমশ কমতে থাকে। ফলে, কিছু কিছু জায়গায় নদীতে জল প্রায় শুকিয়ে যায়। এছাড়া একসময় এই নদীর গতিপথে প্রচুর বিলের সঙ্গে সংযোগ ছিল। বিলগুলিতে বাঁধ দেওয়ার কারণে নদীর সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই। আর নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এই মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে, জেলার পরিবেশপ্রেমীরা আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ যাতে পাওয়া যায় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগে বেশ কয়েকবার আত্রেয়ী নদীতে মাছের চারাও ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা বলেন, আগের নৌকা নদীতে নামালেই ঝুড়ি ভর্তি করে রাইখোর মাছ (Fish) পেতাম। এখন সারাদিন নৌকা নিয়ে নদীতে চষে বেড়ালেও এই মাছ (Fish) পাই না। অথচ এখন এই মাছের বিশাল চাহিদা। বাজারে ৫০০ টাকা কেজি। নদীতে এই মাছের (Fish) যোগান থাকলে খুব ভাল হত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে খুব ভাল হয়।

    জেলা মৎস্য দপ্তরে আধিকারিক  অভিজিৎ সরকার বলেন, রাইখোর মাছ (Fish) মৃদু বাহিত জলে  ডিম পাড়ে। এরজন্য আত্রেয়ী নদীর তীরে যেখানে ঘাস জাতীয় উদ্ভিত থাকে, সেখানে ডিম পারে। কিন্তু, আত্রেয়ী নদী তীরে দূষনের কারণে রাইখোর মাছ আর ডিম পাড়তে পারে না। রাইখোর যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেজন্য কৃত্রিমভাবে পুকুরে চাষ করা হলেও আত্রেয়ী নদীর মাছের মত তার স্বাদ নেই। পরিবেশপ্রেমী তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, রাইখোর মাছ আমাদের অহংকার ছিল। জেলায় রূপালি মাছ বলে পরিচিত ছিল। বাবা-ঠাকুরদা কাছে শুনেছি, দুর্গা পূজার পর পর আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ (Fish) এত যোগান হত যে নদীর জলের রঙ বোঝা যেত না। এখন এই মাছ নদীতে বিলুপ্ত। পুকুরে চাষ করা মাছের সেই স্বাদ নেই। আসলে বাংলাদেশের আত্রাই নদীর সঙ্গে আমাদের আত্রেয়ী নদী সংযোগ রয়েছে। এতে নদীর প্রবহমান ছিল। কিন্তু, বর্তমানে নদীর প্রবহমান বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share