Tag: rjd

rjd

  • Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা (জেডিইউ) ভুল করে দু’বার ভুল পথে চলে গিয়েছিলাম। এখন আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গেই থাকব এবং উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করব।” সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব বলেছিলেন, “নীতীশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। তাঁরও উচিত দরজা খুলে রাখা। এতে উভয়পক্ষের যাতায়াত সহজ হবে।”

    ভুল ‘কবুল’ নীতীশের (Nitish Kumar)

    এই প্রসঙ্গেই ভুল ‘কবুল’ নীতীশের। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভুল করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার পুরানো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের অবস্থা আগে কেমন ছিল? আমরা যখন ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছিলাম – মহিলারা খুশি হয়েছিলেন। যখনই তাঁদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাঁদের সাহায্য করা হয়।” এর পরেই ভুল স্বীকার নীতীশের। তিনি বলেন, “তারা (বিরোধী) মহিলাদের জন্য কোনও কাজ করেছে? আমরা সকলের জন্য কাজ করেছি – হিন্দু, মুসলিম, উচ্চবর্ণ, পশ্চাদপদ, দলিত বা মহিলা – যেই হোক না কেন। মানুষের এটা মনে রাখা উচিত।”

    লালু সরকারের সমালোচনা

    লালুপ্রসাদ সরকারের সমালোচনা করে নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, “২০০৫ সালের আগে বিহারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ ছিল। শিক্ষার অবস্থা ভালো ছিল না। রাজ্যে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর পাওয়া যেত।” ২০১৫ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই জোটই সরকার গঠন করেছিল বিহারে।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ২০১৭ সালে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএতে ফিরে যান নীতীশ। ২০২২ সালের অগাস্টে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ওই জোটে ফিরে যান তিনি। পরে ফেরেন এনডিএ-তে। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর যে বিহারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন নীতীশ। পরে বলেন, “আগে বিহারের যে কোনও প্রান্ত থেকে মানুষের পাটনা পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা কমে ৫ ঘণ্টা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য (Bihar) সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে (Nitish Kumar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Champai Soren: ঝাড়খণ্ডে পালাবদল, চম্পইকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত

    Champai Soren: ঝাড়খণ্ডে পালাবদল, চম্পইকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজা’ বসবেন। তাই কুর্সি ছেড়ে দিতে হল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেনকে (Champai Soren)। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। এদিনই নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। সম্প্রতি জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরিয়েছেন তিনি। হেমন্ত হবেন জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের নয়া মুখ্যমন্ত্রী।

    চম্পই ক্ষুব্ধ (Champai Soren)

    বর্তমানে জেএমএমের শীর্ষ পদে রয়েছেন হেমন্তের বাবা শিবু সোরেন। দলের কার্যকরী সভাপতি রয়েছেন হেমন্ত। বুধবারই চম্পইকে (Champai Soren) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে হেমন্তকে ওই পদে ফেরাতে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হয় জেএমএমের পরিষদীয় দলের বৈঠকে। সূত্রের দাবি, আচমকা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে চম্পই যারপরনাই ক্ষুব্ধ। তবে ‘বিদ্রোহ’ না করে দলীয় সিদ্ধান্তই মেনে নিয়েছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহলের মতে, ক্ষোভ সামাল দিতে চম্পইকে করা হতে পারে নয়া কার্যকরী সভাপতি। প্রসঙ্গত, এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলে হেমন্ত এই পদে বসবেন তিনবার।

    ডিসেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন ঝাড়খণ্ডে

    চলতি বছরের ডিসেম্বরেই হওয়ার কথা ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে জেলে যাওয়ার আগে চম্পই ছিলেন ওই মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রী। ২০০৫ সাল থেকে টানা চারবার সেরাইকেলা আসনে জিতে এসেছিলেন তিনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হয়েছিলেন জেএমএম প্রার্থী। হেরে গেলেও ওই বছরই বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ফের বিধানসভায় পা রাখেন সিংভূম অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা চম্পই। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষুব্ধ চম্পইয়ের অনুগামীরা।

    আর পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ঘটনার দিন যখন ইডির আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে যান, তখনও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদেই ছিলেন হেমন্ত। পরে সাংবিধানিক মর্যাদার কথা মাথায় রেখে ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে (তবে গ্রেফতার হলেও এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল)। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে (Hemant Soren)। চম্পইকে বসানো হয় মুখ্যমন্ত্রী পদে। গত ২ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের দ্বাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন চম্পই। সেই চম্পইকেই (Champai Soren) সরে যেতে হল বুধবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিহারের সারণে নিহত ১, জখম দুই, বন্ধ ইন্টারনেট

    Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিহারের সারণে নিহত ১, জখম দুই, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নে চলছিল পঞ্চম দফার নির্বাচন। ২০ মে, সোমবার নির্বাচন হয়েছে দেশের ৪৯টি আসনে। এর মধ্যে ছিল বিহারের কয়েকটি আসনও। ভোট কেমন হচ্ছে, তা দেখতে দুপুরে বেরিয়েছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিণী আচার্য। সারণ জেলার ছাপড়ার একটি বুথে আরজেডি প্রার্থী রোহিণী যেতেই আরজেডির কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে (Post Poll Violence) জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে।

    সংঘর্ষের নেপথ্যে (Post Poll Violence)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় গিয়ে রোহিণী সটান ঢুকে পড়েন একটি বুথে। ভোটারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করতে শুরু করেন। এর পরেই এলাকা ছেড়ে চলে যান আরজেডি সুপ্রিমোর মেয়ে। পরে আরজেডি কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের একপ্রস্ত বচসা হয়। মঙ্গলবার সকালে দু’পক্ষে সংঘর্ষ (Post Poll Violence) বাঁধে। ঘটনায় হত হন একজন। জখম হয়েছেন দু’জন। এঁরা হলেন মনোজ যাদব ও গুড্ডু যাদব।

    প্রকাশ্যে চলল গুলি

    জানা গিয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ে। গুলি লাগে মনোজ ও গুড্ডুর গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। মনোজ ও গুড্ডুকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। অশান্তির আগুন যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। অশান্তি পাকানোর অভিযোগে আটক করা হয়েছে দু’জনকে। সারণের পুলিশ সুপার গৌরব মঙ্গলা বলেন, “হিংসায় যারা ইন্ধন জোগাচ্ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।”

    আর পড়ুন: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    এই সারণ কেন্দ্র থেকেই আরজেডির টিকিটে লড়ছেন লালুর মেয়ে রোহিণী। তাঁর বিরুদ্ধে পদ্ম প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির বিদায়ী সাংসদ রাজীব প্রতাপ রুডি। এক সময় সারণ থেকেই লড়ে সংসদে গিয়েছিলেন লালু। রোহিণী যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন, সেদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাবা লালু প্রসাদ এবং দাদা তেজস্বী যাদবও (Post Poll Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok sabha elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    Lok sabha elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটে যে ফাটল ধরেছে, তার প্রমাণ মিলছিল ঢের আগেই। ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে সাম্প্রতিক এক ঘটনার উল্লেখ করে রবিবার জোটকে একহাত নিল (Lok sabha elections 2024) বিজেপি। দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে সমাবেশ হচ্ছিল ইন্ডি জোটের। সেখানে আচমকাই হাতাহাতি শুরু হয় লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে।

    রবিশঙ্করের নিশানায় ‘ইন্ডি’ (Lok sabha elections 2024)

    ‘ঘরোয়া এই দ্বন্দ্বে’র উল্লেখ করে ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “ওঁরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করছেন।” ‘ইন্ডি’ জোটকে তিনি ‘ঝগড়ুটে জোট’ বলেও দেগে দিয়েছেন। রবিশঙ্কর বলেন, “আজ রাঁচিতে ইন্ডি জোটের দুই শরিক কংগ্রেস এবং আরজেডি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করছেন। আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম যে এই জোট ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে গঠন করা হয়েছে। ওদের মধ্যে (আরজেডি এবং কংগ্রেস) মাঝে-মধ্যেই সংঘর্ষ হচ্ছে। লোকজন জখম হচ্ছেন। ওঁদের মধ্যে ঐক্য কোথায়? ওঁরা নিজেরাই যখন ঐক্যবদ্ধ নন, তখন কীভাবে দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখবেন?”

    ‘মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে দেশ’

    ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ওঁদের অনেকেই জেলবন্দি। দেশ নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে। তারা চাইছে একটা স্থায়ী সরকার। এই যখন দেশবাসীর ইচ্ছে, তখন কী এহেন ঝগড়ুটে একটা জোট দেশ চালাতে পারবে?”

    আরও পড়ুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বাতিল ২৩ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি

    রবিবার ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। তিনি বলেন, “‘ঘমণ্ডিয়া’ (উদ্ধত) পার্টিগুলোর নেতারা হয় জেলে নয় বেলে(জামিনে) রয়েছে।” তিনি বলেন, “বিজেপিই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রের প্রতি যার শ্রদ্ধা রয়েছে। এই দলই সাধারণ পরিবার থেকে লোকজন আনে, তাঁদের নেতা বানায়।” নাড্ডা বলেন, “অন্য দিকে, ইন্ডিয়া নামে রয়েছে ঘমণ্ডিয়া জোট। আর বিজেপিতে গণতন্ত্র রয়েছে। এই দল সাধারণ পরিবার থেকে নেতা তুলে আনে।”

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “ফারুক আবদুল্লা-ওমর আবদুল্লা, মুফতি মহম্মদ সঈদ-মেহবুবা মুফতি, চৌটালা পরিবার, মূলায়ম-অখিলেশ-ডিম্পল যাদব পরিবার, লালু-রাবড়ি-তেজস্বী-তেজপ্রতাপ যাদবের পরিবার – এসবই পরিবার সর্বস্ব রাজনীতির উদাহরণ (Lok sabha elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের দুই ও আরজেডির এক বিধায়ক ঘোষণা করলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা (Lok Sabha Polls)। মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ কুমার। তার পর থেকে বিহারে ভাঙছে ‘ইন্ডি’ জোট। এদিন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর উপস্থিতিতে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে।

    কারা যোগ দিলেন বিজেপিতে?

    এদিন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন কংগ্রেসের মুরারী গৌতম ও সিদ্ধার্থ সৌরভ। আরজেডির বিধায়ক সঙ্গীতা দেবীও হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া ঝান্ডা। মহাগটবন্ধন সরকারে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ। সেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মুরারী। আর পাটনা জেলার বিক্রম বিধানসভা কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক সিদ্ধার্থ। মোহানিয়া কেন্দ্রের সঙ্গীতা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন (Lok Sabha Polls)।

    ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা ব্যর্থ

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিজেপি শিবিরে ভিড়েছিলেন নীতীশ। তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল, কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত ১০ জন হাত-সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন। ভাঙন ঠেকাতে তড়িঘড়ি কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গনার একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিধায়কদের। তার পরেও অবশ্য এড়ানো গেল না ভাঙন। লোকসভা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ভাঙন তত বাড়বে বই কমবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩ জন। এর মধ্যে বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির দল এইচএএমের জোটের দখলে রয়েছে ১২৮টি আসন।

    আরও পড়ুুন: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁছেছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ইন্ডি। জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরা স্রোত বইছে ইন্ডির অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন তা নিয়ে, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জোটের কোনও এক নেতার মঞ্চ শেয়ার করা নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। এরই মাঝে পদ্মার ভাঙনের মতো নিত্য ভাঙছে জোট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়তে থাকবে ভাঙন। তাই বিজেপিকে মাত দিতে গিয়ে জন্ম হয়েছিল যে জোটের, নির্বাচনের আগে সেই জোট আদৌ টেকে কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন (Lok Sabha Polls)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: ‘মোদি, মোদি’ স্লোগানে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার

    Nitish Kumar: ‘মোদি, মোদি’ স্লোগানে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করলেন নীতীশ কুমার। উল্লেখ্য এদিন সকালেই বিহারের রাজ্যপালের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন নীতীশ। পাশাপাশি তিনি হাত ধরেন বিজেপির। ইস্তফা দিয়েই তিনি তোপ দেগেছিলেন আরজেডি জোটের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বিজেপি জানিয়েছিল, নীতীশ কুমারের দলের সঙ্গে বিজেপির পুনরায় জোট হচ্ছে। বিজেপির সমস্ত বিধায়ক বিধানসভায় নীতীশের দলের পাশে থাকবে। এই সরকার সামগ্রিকভাবে বিহারের মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করবে। উল্লেখ্য এই নিয়ে নবম বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় মোদির নামে বারংবার স্লোগান দিতে দেখা যায় দলের সমর্থকদের।

    ২০০৫ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নীতীশ (Nitish Kumar)

    ২০০৫ সাল থেকে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁর প্রথম পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ লালুপ্রসাদ জমানায় বিহারের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সারা দেশে চর্চার বিষয় হয়েছিল। ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি এনডিএ ছাড়েন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের বাইরে থেকে সমর্থন নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচন লড়ে নীতীশের (Nitish Kumar) দল। ব্যাপক ভরাডুবি হয় লোকসভাতে জেডি(ইউ)-এর। হারের দায় নিয়ে সেই বছরেই নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ ছেড়ে দেন তিনি এবং জিতিন রাম মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রী করেন। কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে জোট করে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন নীতীশ ২০১৫ সালে। ২০১৭ সালে নীতীশ ফের এনডিএ-তে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে ফের মহাজোটে সামিল হন তিনি। আগামী বছরের বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে পুনরায় আবার মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে এলেন তিনি।

    মুখ থুবড়ে পড়ল ইন্ডি জোট

    প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধী ইন্ডি জোটে প্রথম উদ্যোগ নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) নিতে দেখা গিয়েছিল। এ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য তিনি প্রথমেই আসেন নবান্নে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান যে নীতীশ কুমারের পুনরায় এনডিএ শিবিরে ফিরে যাওয়াতে চরম ধাক্কা খেল ইন্ডি জোট। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সকালে বিহারের রাজ্য বিজেপি নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। সেখানে হাজির ছিলেন দলের সমস্ত বিধায়কও। এর কিছু পরে রাজভবনে পৌঁছান নীতীশ কুমার। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে কখনও বিজেপির হাত ধরেছেন নীতিশ (Nitish Kumar) তো কখনো বা আরজেডির। বর্তমানে আরজেডির সঙ্গে জোটে থাকা নীতিশের কি দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে? কারণ বৃহস্পতিবার বিহারের মতিহারিতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে বিজেপির প্রশংসা করতে শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। তার সঙ্গে নিতীশের আরও বার্তা ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্দেশে, যে তাঁর সঙ্গে এখনও বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যায়নি বিজেপির। এনিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে সারা দেশজুড়ে। 

    মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতিশ

    রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মূর পাশে বসে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা শানিয়েছেন নীতিশ (Nitish Kumar)। এর পাশাপাশি বর্তমান মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকার বিহারে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারের কাছে আমি আবেদনও জানিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য। তবে সেসময় আমার কোনও আবেদনই মান্যতা পায়নি। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবেদন মান্যতা পায়। ২০১৬ সালে মতিহারিতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু হয়।’’ এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিহারের বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশে নীতিশ বলেন যে যতদিন বেঁচে থাকবো সবার সম্পর্কে বজায় থাকবে। সবাই একসঙ্গে কাজও করব।

    দূরত্ব বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে?

    নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) এই মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার পদ্ম শিবিরের হাত ধরতে চলেছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নাম নিয়েই প্রথম থেকে ক্ষুদ্ধ ছিলেন নীতিশ (Nitish Kumar)। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই নাম ঠিক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।  বিরোধী জোট করার ক্ষেত্রে প্রথমে তৎপর হয়েছিলেন নীতিশই এবং সেই মতো তিনি কলকাতাতে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনাও সারেন নবান্নে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নীতিশের নাম ঘোষণা না হওয়াতেও তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RJD: জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ প্রভুনাথের, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    RJD: জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ প্রভুনাথের, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়া খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা হল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ (RJD) রঘুনাথ সিংহের। তিন দশকের পুরনো এই জোড়া খুনের মামলায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে হওয়া এই খুনের ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার জন্য প্রভুনাথকে(RJD) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে ওই ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হয়েছিলেন একজন, তাঁকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (RJD)। 

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এমন মামলা আগে কখনও দেখা যায়নি’’

    প্রভুনাথ সিংহকে (RJD) ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি বিহার সরকারকেও ওই একই অংকের টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই ঘটনায় সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এমন মামলা আগে কখনও দেখা যায়নি।’’ এদিন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ। এ দিনের রায়দানের প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এই মামলায় দুটি শাস্তি হতে পারে, এক, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদন্ড।’’

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বিহারের মহারাজগঞ্জ লোকসভা আসন থেকে চারবারের সাংসদ ছিলেন প্রভুনাথ (RJD)। জেডিইউ-এর থেকে তিনবার এবং আরজেডি (RJD) থেকে একবার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। প্রভুনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ১৯৯৫ সালে বিহারে বিধানসভা ভোট চলাকালীন ৪৭ বছর বয়সী দারোগা রায় এবং ১৮ বছর বয়সী রাজেন্দ্র রায়কে নৃশংসভাবে খুন করেন তিনি। জানা গিয়েছে, রঘুনাথ সিংহের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীকে (RJD) ভোট দেননি এই দুইজন। তাই তাঁদেরকে খুন করা হয়। প্রথমে নিম্ন আদালত তারপরে পাটনা হাইকোর্টে পৌঁছায় এই মামলা। প্রভাবশালী সাংসদের (RJD) বিরুদ্ধে কোনও রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই প্রমাণের অভাবে পাটনা হাইকোর্ট বেকসুর খালাস করে প্রভুনাথকে। মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে জনতা দলের বিধায়ক অশোক সিংহকে খুনের মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত করা হয় প্রভুনাথকে। সেই মামলায় ২০১৭ সালেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত হন প্রভুনাথ(RJD)। বর্তমানে তিনি জেলেই রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে বিহারের বিধানসভা ভোটে প্রভুনাথ অশোক সিংহের কাছে হেরে যান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত, কত আসনে লড়বে বিজেপি, জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত, কত আসনে লড়বে বিজেপি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাগটবন্ধনের সরকারের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে নীতীশ কুমার ফিরেছেন এনডিএ শিবিরে। তাই প্রয়োজন ছিল বিজেপির সঙ্গে নীতীশের দলের আসন রফার। সেই রফা হয়ে গেল। জানা গিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) বিহারের ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিজেপি।

    কার ভাগে ক’টি আসন?

    আর এনডিএর শরিক জনতা দল ইউনাইটেড লড়বে ১৬টি কেন্দ্রে। সোমবার বিজেপি-জেডিইউয়ের আসন রফার এই খবর জানিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে। এনডিএর আর এক শরিক লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) লড়বে ৫টি আসনে। এদিন সংবাদ মাধ্যমে তাওদে বলেন, “বিজেপি ১৭টি আসনে লড়বে। জনতা দল ইউনাইটেড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১৬টি আসনে। লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) লড়বে ৫টি আসনে। একটি আসনে লড়বে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা।” বিহার (Lok Sabha Elections 2024) লোকসভার আসন সংখ্যা ৪০। বিজেপির বিহারের প্রেসিডেন্ট রাজু তিওয়ারি বলেন, “লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-কে পাঁচটি আসন ছাড়া হয়েছে। বিহারের ৪০টি লোকসভা আসনেই আমরা জিতব।”

    নীতীশের ঘরওয়াপসি

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই এনডিএ শিবিরে ফিরে এসেছেন নীতীশ কুমার। দেড় বছর আগে এনডিএ সঙ্গ ছেড়ে তিনি ভিড়েছিলেন মহাগটবন্ধনের সরকারে। ঘরওয়াপসি হল জানুয়ারিতে। চলতি মাসের প্রথম দিকে ঔরঙ্গাবাদে এনডিএর একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই নীতীশ ঘোষণা করেন, তিনি চিরকালের জন্য এনডিএতে থাকবেন। ওই সমাবেশে জনতা দল ইউনাইটেড সুপ্রিমো বলেছিলেন, “আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আগেও এসেছিলেন। আমি কিছুদিনের জন্য অদৃশ্য (এনডিএ থেকে) হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আপনার সঙ্গে রয়েছি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি এই বলে যে, আমি আর এখান-সেখান হব না। আমি আপনার সঙ্গেই থাকব।”

    আরও পড়ুুন: “দায়বদ্ধতা থেকেই সিএএ চালু করা হয়েছে”, আমেরিকাকে ‘বার্তা’ জয়শঙ্করের

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং জনতা দল ইউনাইটেড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ১৭টি করে আসনে। সেবার ৪০টি আসনের মধ্যে এনডিএ জিতেছিল ৩৯টিতে। ২০২২ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ছেড়ে তিনি হাত ধরেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির। জানুয়ারিতে ফিরেছেন এনডিএ শিবিরে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: ১০ ফেব্রুয়ারি নীতীশের আস্থা ভোট, আনা হবে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থাও

    Nitish Kumar: ১০ ফেব্রুয়ারি নীতীশের আস্থা ভোট, আনা হবে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় আস্থা ভোটের সম্মুখীন হবেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিহার বিধানসভায় স্পিকার পদটি রয়েছে আরজেডির। জানা গিয়েছে, ওই দিনই বিধানসভার স্পিকার তথা আরজেডি নেতা আবধবিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। সূত্রের খবর, দু’টি প্রস্তাব একই দিনে আনা হবে তবে তা উঠবে পৃথকভাবে।

    সোমবার রাতেই বৈঠকে বসেন নীতীশ

    রবিবার সকালেই আরজেডি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ কুমার। ওই দিন বিকালেই এনডিএ-এর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নীতীশ (Nitish Kumar)। ঠিক তার ১ দিন পরেই সোমবার রাত ৮টায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১ অ্যান মার্গে নীতীশ কুমারের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় কুমার সিনহাও। সোমবার রাতের ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্পিকার স্বেচ্ছায় ইস্তফা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।

    নীতীশের পক্ষে ১২৮ বিধায়ক

    এর আগে রবিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) জানিয়েছিলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি বিহার বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হবে। তবে সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই বৈঠক ডাকা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। প্রসঙ্গত, এনডিএ শিবির থেকে গত ২৮ জানুয়ারি স্পিকার অবধবিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেননি। জানা গিয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথমে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। তাঁকে পদ থেকে সরানোর পরেই নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সরকার সদনে আস্থা ভোট চাইবে। প্রসঙ্গত, সদনে নীতীশ কুমারের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাঁর পক্ষে রয়েছেন ১২৮ বিধায়ক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যা অটূট থাকছে ধরে নেওয়া হলে, সদনে সহজেই আস্থা ভোটে জিততে চলেছেন নীতীশ কুমার।

    আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনে যোগ, রাজ্যসভার ১১ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করলেন ধনখড়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share