Tag: Rohingya

Rohingya

  • Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে বহিষ্কারের মুখোমুখি রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারতের আইনে তারা বিদেশি হিসেবে গণ্য হওয়ায় বিদেশি আইন অনুযায়ী তাদের ডিপোর্টেশন অপরিহার্য (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের তিন সদস্যের বেঞ্চ ৮ মে নির্ধারিত বহিষ্কার বন্ধে দায়ের করা জরুরি আবেদনের শুনানি করেন। বিষয়টির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩১ জুলাই।

    আবেদন উত্থাপন (Supreme Court)

    প্রবীণ আইনজীবী কলিন গনসালভেস এবং প্রশান্ত ভূষণ এই আবেদনগুলি উত্থাপন করেন। তাঁরা বলেন, “মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার তাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।” গনসালভেস আদালতের এই অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে একে চরম সীমা অতিক্রম আখ্যা দেন। পূর্ববর্তী রায়ে আদালতের এই জনগোষ্ঠীকে রক্ষার ভূমিকাকেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। ভূষণ এও উল্লেখ করেন, মণিপুরের পক্ষ থেকে দাখিল করা একটি হলফনামায় বলা হয়েছে, মায়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। কারণ তারা রাষ্ট্রহীন।

    বিচারপতি দত্তের মন্তব্য

    আবেদনকারীদের ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর নির্ভরতার প্রেক্ষিতে বিচারপতি দত্ত মন্তব্য করেন, “আদালত এই বিষয়টি অস্বীকার করে না যে অভিবাসীরা শুধুমাত্র এই নথির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কোনও স্বস্তি দাবি করতে পারেন না।” ভূষণ রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক গৃহীত গণহত্যা কনভেনশনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, যা ভারত দ্বারা অনুমোদিত, এবং আদালতকে এর বিধানগুলি বিবেচনার আহ্বান জানান। তবে বিচারপতি কান্ত সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের মাটিতে অভিবাসীদের থাকার অধিকার আছে কি না, সে বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। যদি ভারতের আইনের অধীনে তাদের থাকার কোনও অধিকার না থাকে, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী বহিষ্কার করা হবে।” বিচারপতি দত্তের গলায়ও এই মতেরই প্রতিধ্বনি শোনা যায়। তিনিও বলেন, “ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় আসা বিদেশিদের মতো রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    সরকারের যুক্তি

    সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আইনজীবী কানু আগরওয়াল আবেদনকারীদের যুক্তির বিরোধিতা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়গুলির উল্লেখ করেন তাঁরা। ওই রায়গুলিতে অসম এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া থামানোর আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তারা ফের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বেগের কথা বলেন, যে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ (Supreme Court)।সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ভারত রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের সদস্যও নয়। সেই প্রেক্ষাপটে ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী স্বীকৃতি প্রশ্নের মুখে।” তিনি বলেন, “বহিষ্কারের বিরুদ্ধে অধিকারটি মূলত বসবাসের মৌলিক অধিকারটির সঙ্গে যুক্ত, যা শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্যই সংরক্ষিত।”

    সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ

    ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রোহিঙ্গা অভিবাসীদের জীবনের অধিকার প্রযোজ্য বলে স্বীকার করলেও, বেঞ্চ তাদের বিদেশি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে। ফলে আদালত জানিয়ে দেয়, তাদের অবস্থা বিদেশি আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে, যা দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, আটক ও বহিষ্কারের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অভিবাসন এবং বিদেশিদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় আইনের প্রাধান্যকে তুলে ধরে (Supreme Court)। ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর আবেদনকারীদের নির্ভরতার প্রতিফলন ঘটিয়ে বিচারপতি দত্তের পর্যবেক্ষণ, “ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদনকারীরা ত্রাণ দাবি করতে পারবেন না, এমন কোনও কিছুই অস্বীকার করা হয়নি।”

    গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত

    ভূষণের যুক্তি, ভারত কর্তৃক অনুমোদিত গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি কান্ত একটি চূড়ান্ত রায়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেছিলেন, “যদি তাদের (রোহিঙ্গাদের) এখানে থাকার অধিকার থাকে, তবে তা স্বীকার করা উচিত। এবং যদি তারা তা না করে, তারা পদ্ধতি অনুসরণ করবে এবং আইন অনুসারে নির্বাসন দেবে।” বিচারপতি দত্তের মন্তব্য, তারা (রোহিঙ্গারা) সকলেই বিদেশি এবং যদি তারা বিদেশি আইনের আওতায় আসে, তাহলে তাদের সঙ্গে আচরণ করতে হবে বিদেশি আইন অনুসারেই। এদিন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ভারতের যে কোনও জায়গায় বসবাসের অধিকার কেবলমাত্র তার নাগরিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যা ইঙ্গিত দেয় যে অ-নাগরিকদের বিদেশি আইন অনুসারে পরিচালিত করা হবে (Supreme Court)।

  • ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

    ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (Bharat) বিরুদ্ধে নয়া অস্ত্র শানাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা (মায়ানমারের মুসলমানরা এই নামেই পরিচিত)-দের নিয়ে তৈরি হয়েছে সংগঠন। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, ইসলামি মহাজ, আরাকান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ANDF) এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি জোট বেঁধে গঠন করেছে “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” (ISI)। বাংলাদেশের এই ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্য নয়া নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    রোহিঙ্গা আর্মি (ISI)

    বাংলাদেশের এই জোট “দ্য রোহিঙ্গা আর্মি” নামেও পরিচিত। কক্সবাজারে তারা তাদের নতুন সংগঠনের কথা ঘোষণা করে। সংগঠন ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিল প্রচুর পরিমাণ শরণার্থী। পৃথকভাবে পরিচালিত এই সংগঠনগুলো আইএসআইয়ের সহায়তায় একাধিক কৌশলগত আলোচনার পর একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরেই গঠিত হয় এই অ্যালায়েন্স (ISI)। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বাংলাদেশে বেড়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপ। বাংলাদেশে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার ক্ষমতায় থাকায়, আইএসআই সেখানে কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। সেই কারণেই আইএসআইয়ের বাড়বাড়ন্ত বাংলাদেশেও। জেহাদি উপাদানগুলি ইতিমধ্যেই এতে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, আইএসআই মনে করেছিল যে, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই চারটি রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে একজোট করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

    রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ

    আইএসআই (ISI) বুঝতে পেরেছিল, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এই গোষ্ঠীটির সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই (Bharat) সেখানে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই পরিস্থিতি এই গোষ্ঠীর জন্য লাভজনক হতে পারে তখনই, যখন তারা ওই অঞ্চলে বড় ধরনের কোনও অভিযান পরিচালনা করতে চাইবে। আইএসআই উপলব্ধি করেছিল যে, এই গোষ্ঠীগুলি পৃথকভাবে কাজ করছে। তাদের একজোট করে সম্মিলিতভাবে লড়াই চালানোর ব্যবস্থা করা হলে, তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে—এমনটাই মনে করেছিল আইএসআই। পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা এই “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” গঠনের মিশনে সফল হয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    বাংলাদেশ-আইএসআই যোগ!

    তবে এই উদ্যোগে একা আইএসআই নেই। বাংলাদেশের সরকারের একাংশের ভেতরের কিছু লোকও আইএসআইকে এই জোট গঠনে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশিরাও যখন এই গোষ্ঠী গঠনে সমর্থন জুগিয়েছে, তখন তার ইঙ্গিতের অভিমুখ যে ভারত, অন্য কোনও অঞ্চল নয়, তা স্পষ্ট। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জোটটা মায়ানমারে ফের এলাকা দখলের চেষ্টা করবে। তাদের লক্ষ্য হল, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই আরাকান আর্মি একটি জাতিগত গোষ্ঠী। এরাই হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে (ISI)। বাংলাদেশের ডিজিএফআই এবং বিশেষ করে আরএসওকে উল্লেখযোগ্য সহায়তাও দিয়েছে।

    লস্কর-ই-তৈবা

    আরএসওকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এআরএসএ-র মোকাবিলা করার কৌশল হিসেবে। তবে, আইএসআই এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করায়, এসব গোষ্ঠী তাদের পারস্পরিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএসআই নিয়মিতভাবে লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Tayiba) এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (JMB) প্রশিক্ষকদের পাঠিয়ে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে (Bharat)। কয়েক বছর আগে যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল, তখন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদ প্রকাশ্যে তাদের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি তাদের দলে যোগ দিয়ে লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানান। ইউনূস সরকার পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত আগ্রহী। বাংলাদেশের শীর্ষ কর্তাদের আইএসআই (ISI) কর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকই বহন করে আসন্ন ঘটনার ইঙ্গিত।

    বাংলাদেশ ক্রমেই এগোচ্ছে তালিবানের পথে!

    বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশ ক্রমেই তালিবানের পথে এগোচ্ছে। এটিও আরও একটি দমনমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশের নারীদের দশা হবে আফগানিস্তানের নারীদের মতোই। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের “আমার বাংলা বই” সংস্করণে একটি অধ্যায় ছিল যেখানে ছেলে ও মেয়েরা একসঙ্গে গৃহস্থালির কাজ ভাগ করে নেবে বলে লেখা হয়েছিল। ২০২৫ সালের সংস্করণে এই সব কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নারীদের ওপর। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই চরমপন্থী ইসলামের উত্থানের কারণে হারতে থাকা এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এখন এটি আর একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সেটা হল রোহিঙ্গা সমস্যা। ইউনূস ও তার অনুগামীদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতকে ধ্বংস করা। এই কারণেই তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইএসআইকে। সন্ত্রাস দমন সংস্থাগুলির বক্তব্য, আগামিদিনে বাংলাদেশকে শুধুমাত্র ইসলামি জঙ্গিদের সঙ্গেই (ISI) লড়াই করতে হবে না, তাদের মোকাবিলা করতে হবে রোহিঙ্গাদের (Bharat) সঙ্গেও।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা (Rohingyas)।” রবিবার ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে এমনই অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন মুম্বইয়ের দাদরে বিজেপি অফিসে প্রবাসী বাঙালিদের সামনে বক্তব্য রাখেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে তুলোধনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দুর অভিযোগ, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য বিএসএফকে জমি দেয়নি রাজ্য সরকার। শুভেন্দু বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্তের ৭২টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। জমি না পাওয়ায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বললেও, বাংলার সরকার বিএসএফকে জমি দেয়নি। এসব সীমান্ত দিয়ে দলে দলে বাংলায় ঢুকছে রোহিঙ্গারা। তারপর ছড়িয়ে পড়ছে সারা ভারতে।”

    রোহিঙ্গারা ঢুকছে ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রেও

    তিনি বলেন, “বাংলা দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকে ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলার ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ করছে। এটা ঝাড়খণ্ডে হচ্ছে, মহারাষ্ট্রেও চেষ্টা চলছে।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এরা আপনাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে রেশন, জমি, কাজ সব নিয়ে নিচ্ছে।” বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে, তাও জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা হবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “বাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার তৈরি করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ভারতকে সুরক্ষিত করব, বাংলাকে সুরক্ষিত করব।”

    আরও পড়ুন: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    শুভেন্দুর মতে, মহারাষ্ট্রের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রবাসী বাঙালিদের কাছে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বাংলার বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডি জোটের কংগ্রেস মাত্র ৯৯টি আসন পেয়েছে। ইন্ডি জোটের মোট আসন এনডিএ জোটের চেয়ে কম। তার পরেও ওরা যে ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছিল, তাতে যারা ভারতীয় সংস্কৃতিকে ভালোবাসি, সম্মান করি, আমরা যারা সনাতনী, তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।” শুভেন্দু বলেন, “কাশ্মীরে বিজেপি সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। গতবার ২৫টি পেয়েছিল, এবার (Rohingyas) পেয়েছে ২৯টি। এককভাবে বিজেপি ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “দেশ এগোচ্ছে বিকশিত ভারতের দিকে। মহারাষ্ট্রে অনেক আসনে বাঙালিরা নির্ণায়ক শক্তি। আপনাদের প্রতিটি ভোট দেশকে সমৃদ্ধ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Nadia: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন। ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে কম্বল বিতরণ এবং বিভিন্ন জনসভায় খরচ করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে।” শুক্রবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ২৯ নভেম্বর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক (Nadia)

    উল্লেখ্য, চাকরির দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ২৯ নভেম্বর বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা চলো ডাক দেওয়া হয়েছে। এই জনসভাকে সামনে রেখে এদিন একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Nadia) পোস্ট অফিস মোড়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “এরাজ্যে এনআরসি খুব শীঘ্র চালু হচ্ছে। রাজ্যে যখন করোনার সময় চলছিল, তখন পিএম কেয়ারের টাকা লুট করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এবং রাজিব সিন্‌হাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করেছেন। মিড ডে মিলের টাকা নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জে কম্বল বিতরণ করেছেন। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরে এবিষয়ে একটি চিঠি লিখব। তদন্ত শুরু হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো দুজনেই জেলে যাবেন।”

    হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর (Nadia)

    ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে কৃষ্ণনগরে (Nadia) শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেও জয় আমাদেরই। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন। যে যুক্তি রাজ্য সরকার দেখিয়েছে, ঠিক একই যুক্তিতে ২১ শে জুলাইতে তৃণমূলের সভাও বাতিল হতে পারে। আমি এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই।” এছাড়া শুভেন্দু আরও বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়াতে জাল পাসপোর্টের রমরমা চলছে। জেলার জনবিন্যাস পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাবড়ার তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যে বলছেন জাকির নামক দুষ্কৃতীর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নাম সরকারি তালিকায় তোলার কাজ হচ্ছে। খুব ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। মানব পাচারের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে এনআইএ তল্লাশি চালিয়েছে। প্রয়োজনে আরও সক্রিয় হয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assam: ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ! অসম পুলিশের জালে ২ রোহিঙ্গা পাচারকারী

    Assam: ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ! অসম পুলিশের জালে ২ রোহিঙ্গা পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতে রোহিঙ্গা মুসলিম পাচার! দুই অভিযুক্ত দালালকে ত্রিপুরা থেকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশের এসটিএফ। ২৯ জুলাই গ্রেফতার হওয়া এই দুই যুবকের নাম সাগর সরকার এবং কাজল সরকার। তাদেরকে পশ্চিম ত্রিপুরার মোহনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসম (Assam) পুলিশের এসটিএফ এক বাংলাদেশি নাগরিককেও শনাক্ত করতে পেরেছে। অসম (Assam) পুলিশ হানা দেয় অভিযুক্ত কাজল সরকারের বাড়িতে। এবং সেখান থেকে এসটিএফ টিম একজন বাংলাদেশি নাগরিককে শনাক্ত করে যার নাম বিষ্ণুচন্দ্র মণ্ডল। পরবর্তীকালে তাকে ত্রিপুরা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    রোহিঙ্গা পাচার 

    রোহিঙ্গা পাচারের অভিযোগে অসম (Assam) পুলিশ গতবছরই শিলচরে একটি এফআইআর করে। এবং তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ। এসটিএফ টিম তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে নটি আধার কার্ড, দুটি প্যান কার্ড এবং কিছু বাংলাদেশি নথি। পাশাপাশি বাংলাদেশের টাকাও উদ্ধার হয়েছে কাজল সরকারের বাড়ি থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ একটি চার্জশিট পেশ করেছে। যেখানে ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে রোহিঙ্গা পাচারে জড়িত। এনআইয়ের এই মামলা গুয়াহাটিতে চলছে। ২০২২ সালের ৪ জুন, ৬ জন ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ৩৭০(৩) ৩৭০(৫) ধারায় মামলা লাগু করা হয়েছে।  রোহিঙ্গা পাচারের পাশাপাশি যৌন শোষণ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত ষড়যন্ত্রের মামলাও দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে ভুয়ো নথি নিয়ে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার অভিযোগে এনআইএ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে একটি মামলা দায়ের করে। মানব পাচারের অভিযোগে কুমকুম আহমেদ চৌধুরী, আশিকুল আহমেদ, বাপন আহমেদ চৌধুরী, শাহ আলম লস্কর, জামালউদ্দিন চৌধুরীদের নামে মামলা দায়ের হয়। জানা গিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই অসমের (Assam) কাছার জেলার বাসিন্দা। 

    কী বললেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী? 

    প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন যে অসম একটা রোহিঙ্গা পাচারের ফ্রী করিডরে পরিণত হয়েছে। এবং বাংলাদেশ বা অন্যান্য স্থান থেকে রোহিঙ্গারা অসম হয়ে দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর এবং কাশ্মীরে যাচ্ছে। কিছু মানব পাচারকারীর তাদেরকে সাহায্য করছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ত্রিপুরা পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে রোহিঙ্গা পাচার মামলায় কাজ করে চলেছে অসম পুলিশ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসের ১১ তারিখে আগরতলা কোর্টে পাঁচজন বাংলাদেশী নাগরিককে আদালত জেলে পাঠায়। যাদের মধ্যে দুজন মহিলা ছিল। রেলওয়ে পুলিশ ১০ জুন আগরতলা-বেঙ্গালুরু হামসফর এক্সপ্রেস থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। যাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে। তারা হল, শফিকুল ইসলাম, মোঃ রফিক, মমতাজ আখতার, রোজিনা বেগম এবং শাহ আলি শেখ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে স্থানীয় দালালদের সাহায্যে তারা ভারতে প্রবেশ করে। এবং সেই দালালরা কুড়ি হাজার টাকার বিনিময়ে গোপন পথে তাদেরকে ভারতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Rohingya Muslims: অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের থাকতে দেওয়া হবে না, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Rohingya Muslims: অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের থাকতে দেওয়া হবে না, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। পড়শি তিন মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের (হিন্দু সহ ছ’টি ধর্মের মানুষ) ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই লাগু হয়েছে সিএএ। তা নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

    কেন্দ্রের সাফ কথা (Rohingya Muslims) 

    এহেন আবহে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের (Rohingya Muslims) থাকতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনুপ্রবেশ ও এ দেশে তাদের বসবাস জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক বলেও জানানো হয়েছে হলফনামায়। কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের এ দেশে বসবাসের কোনও মৌলিক অধিকার নেই। তাই স্থায়ী বসবাসের অধিকার দেওয়ার প্রশ্নও নেই। রোহিঙ্গাদের (Rohingya Muslims) উদ্বাস্তু মর্যাদা দেওয়ার জন্য আলাদা কোনও শ্রেণি গঠনের জন্য আইনবিভাগ কিংবা নীতি নির্ধারক কমিটিকে নির্দেশ দেওয়াও উচিত হবে না বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    অধিকার কেবল ভারতীয় নাগরিকদেরই

    সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন সময় দেওয়া রায়ের উল্লেখ করে কেন্দ্র দেশের শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী একজন বিদেশি নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার থাকলেও, এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস ও পাকাপাকিভাবে থাকার অধিকার কেবল ভারতীয় নাগরিকদেরই। রোহিঙ্গা মুসলমানদের শরণার্থী কিংবা উদ্বাস্তু হিসেবে স্বীকৃতির জন্য রাষ্ট্রসংঘের যে প্রস্তাব রয়েছে, ভারত সেই নীতি মানে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে রয়েছে’, বেফাঁস শতাব্দী রায়

    পশ্চিমবঙ্গ ও অসম সীমান্ত পেরিয়ে ভায়া বাংলাদেশ হয়ে প্রচুর রোহিঙ্গা মুসলমান ভারতে প্রবেশ করছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রর হলফনামায়। কেন্দ্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনুপ্রবেশ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক। এমনতর চলতে থাকলে দেশের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে দাঁড়াবে বলেও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায়। ইতিমধ্যেই বহু রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গ ও অসম সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে ফেলেছে বলেও গোয়েন্দা সূত্রে খবর। যারা অবৈধভাবে এ দেশে ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ দমন সংক্রান্ত আইনে মামলা করা হবে। যুক্তির স্বপক্ষে সরকার জানিয়েছে, ১৯৫১ সালের শরণার্থী সংক্রান্ত সম্মেলনে ভারত সই করেনি। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিচার হবে ভারতের আইনেই (Rohingya Muslims)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rohingya Infiltration: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    Rohingya Infiltration: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ (Rohingya Infiltration) করেছে বিভিন্ন সময়ে, তা আগেই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। রোহিঙ্গারা যে এ রাজ্যে ঘাঁটি গেড়েছে, তা অনেক বার বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। তাঁদের দাবি যে নিছক গল্পকথা কিংবা কষ্টকল্পনা নয়, তার প্রমাণ মিলল এনআইএ রিপোর্টে।

    এনআইএর চার্জশিটে দাবি

    জানা গিয়েছে, মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে মায়ানমার থেকে এ রাজ্যে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। এনআইএ-র চার্জশিটেই এই দাবি করা হয়েছে। চার্জশিটে আরও দাবি (Rohingya Infiltration) করা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছে মানবপাচার। এই পাচার চক্রের৩৬ জনের বিরুদ্ধে দু’রাজ্যের দু’টি মামলায় এনআইএ চার্জশিট দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ জন বাংলাদেশি, একজন রোহিঙ্গাও। 

    মামলা দায়ের অসম পুলিশের

    ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। তার পরেই উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মায়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা (মায়ানমারের মুসলমানরা)। এর পরেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। সেই মামলায়ই অসমের এনআইএ আদালতে পেশ করা হয় ওই চার্জশিট। এনআইএর পেশ করা চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৩৬ জনকে। এরা পশ্চিমবঙ্গের কাছে বাংলাদেশের বেনাপোল ও যশোর দিয়ে এবং ত্রিপুরার কাছে বাংলাদেশের আখাউড়া দিয়ে ভারতে ঢুকেছে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর ভুয়ো নথি, ব্যাঙ্কের নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইস।

    আরও পড়ুুন: অশান্তির আগুন মায়ানমারে, দেশে ফিরুন, প্রবাসীদের আবেদন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ভালো কাজ ও উন্নত জীবন যাপনের টোপ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ঢোকানো হচ্ছে এ দেশে। কয়েকজন রোহিঙ্গা মহিলাকে বিয়ের নামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বয়স্ক পুরুষদের কাছে। পাচার চক্রের লোকজনই অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিচ্ছে। সেই পরিচয়পত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা (Rohingya Infiltration)।

    ভারতে রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে যে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অনেক আগেই দাবি করেছিল এনআইএ। এদের মূলে পৌঁছতে ১১টি রাজ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল (Rohingya Infiltration)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NIA Raid: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩

    NIA Raid: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে সক্রিয় মানব পাচার চক্র (Human Trafficking)। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বেশ কয়েকজনকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বুধবারই মানব পাচার চক্রের হদিস পেতে দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনআইএ (NIA)। ১০ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলা থেকে ধরা হয়েছে ৩ জনকে।

    ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে অভিযান

    বাংলাদেশ থেকে বিগত কয়েক বছরে বহু রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে ভারতে। তাদের মধ্যে অনেকেই উত্তরপূর্ব হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। আবার বাংলা দিয়েও কয়েকজন ঢোকে। এরপর তারা গা ঢাকা দিতে চলে যায় ভারতের অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে। এদেরকেই পাচার করে দেওয়া হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই আবহে বুধবার দেশের ১০টি রাজ্যে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ। এর মধ্যে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চলে। দেশ জুড়ে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয় গতকাল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জনকে ধরা হয়েছে ত্রিপুরা থেকে। 

    কী বলল এনআইএ

    এনআইএ-র তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১০ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলজুড়ে চলা মানব পাচার চক্রের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য। বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় এনআইএ বুধবার সকালে দেশজুড়ে নানা জায়গায় অভিযান চালায়। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ ও বেআইনি মানব পাচার রোখা।” বুধবারের এনআইএ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩ জন, ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্নাটক থেকে ১০ জন, অসম থেকে ৫ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তেলঙ্গানা, পুদুচেরি ও হরিয়ানা থেকেও ১ জন করে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে নকল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। নগদ ২০ লক্ষ টাকা ও ৪৫৫০ মার্কিন ডলারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরা থেকে আগত একটি ট্রেনে একদল রোহিঙ্গাকে দেখতে পেয়েই আটক করে করিমগঞ্জ পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মানব পাচার চক্রের খোঁজ মেলে। এখনও অবধি ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায়। অনুপ্রবেশকারীদের পাচারের সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশের কাছ থেকেও সাহায্য় চাওয়া হয়েছে, বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) উপকণ্ঠে রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। তবে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে ফ্ল্যাট দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। শুধু তাই নয়, মন্ত্রকের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও (Arvind Kejriwal) বলা হয়েছে রোহিঙ্গারা যেখানে ছিলেন, সেখানেই থাকুন। মন্ত্রকের জারি করা ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরেই আপাতত থাকতে হবে যতদিন না পর্যন্ত তাঁদের আইন মেনে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।

    ট্যুইটবার্তায় পুরী লিখেছিলেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। বুধবার মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের তরফে সুবিধা দেওয়ার কথা প্রচার করছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র দফতরের হিসেব বলছে, দিল্লি সহ গোটা দেশে হাজার চল্লিশেক রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতর দিল্লি সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গারা যেসব শরণার্থী শিবিরে ছিলেন, সেসব শিবিরেই থাকবেন। আইন মেনে তাদের দেশ থেকে বের করে না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওখানেই থাকবেন। মন্ত্রকের ওই মুখপাত্র বলেন, এখন রোহিঙ্গারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন দিল্লি সরকার তাকে এখনও শরণার্থী শিবির ঘোষণা করেনি। তাদের এখনই তা ঘোষণা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

  • VHP on Rohingya: রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    VHP on Rohingya: রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রোহিঙ্গাদের (Rohingya) ভারত (India) থেকে বের করে দেওয়া উচিত। অন্তত এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার (Alok Kumar)। রোহিঙ্গাদের দিল্লিতে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতেই একথা বলেছেন অলোক কুমার। সরকারি সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনও (Surendra Jain)।

    মায়ানমার ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন রোহিঙ্গারা। দিল্লিতেও ঘাঁটি গেড়েছেন তাঁরা। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দিচ্ছে কেন্দ্র। তাঁদের প্রহরায় মোতায়েন থাকবে দিল্লি পুলিশও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী।

    ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ।

    আরও পড়ুন : পরপর জেহাদি হামলার জের! হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু ভিএইচপির

    সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অলোক কুমার বলেন, রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করার চেয়ে তাদের ভারতের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাই করা উচিত। তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে এদেশে আসা হিন্দু শরণার্থীরা মঞ্জু কা তিলা এলাকায় অতিকষ্টে দিন গুজরান করছেন। তাঁদের টপকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রোহিঙ্গাদের ফ্ল্যাট এবং পুলিশ প্রহরা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনও।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

LinkedIn
Share