Tag: Rohit Sharma

Rohit Sharma

  • India-W World Cup Champion: ‘একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক’, বললেন শচিন, ‘গোটা দেশকে গর্বিত করেছ’, লিখলেন কোহলি

    India-W World Cup Champion: ‘একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক’, বললেন শচিন, ‘গোটা দেশকে গর্বিত করেছ’, লিখলেন কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস রচনা করেছে ভারতের মেয়েরা। মুম্বইতে ফাইনালে ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম করে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এই ঐতিহাসিক জয় ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে উৎসবের আমেজ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে “উইমেন ইন ব্লু”-দের উদ্দেশে অভিনন্দন বার্তা আসছে। বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, যুবরাজ সিং স বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় মহিলা দলকে।

    একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক: শচিন

    এক্স হ্যান্ডেলে শচিন লিখলেন, ‘১৯৮৩ সালের ঐতিহাসিক জয় যেমন বড় স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের পিছনে দৌড়াতে একটা গোটা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছিল, আজ আমাদের মহিলা ক্রিকেট দল সত্যিকারের সেই ইতিহাস করল। তারা সারা দেশের অসংখ্য তরুণীকে ব্যাট-বল হাতে তুলে মাঠে নামতে এবং বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে যে তারাও একদিন এই ট্রফি তুলতে পারবে। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের জার্নিতে এটা একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক। সাবাস, টিম ইন্ডিয়া। তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ।’

    ভীষণ গর্বিত… বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন: সৌরভ

    ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও মহিলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও তাদের জন্য গর্বিত বলে জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘মেয়েদের অসাধারণ সাফল্য! গত ৬ বছরে তারা অনেক দূর এগিয়েছে। তাদের নিয়ে ভীষণ গর্বিত… বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।”

    তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ: কোহলি

    অভিনন্দন জানালেন বিরাট কোহলিও। এক্সে পোস্ট করে তিনি লিখলেন, ‘ভারতের মেয়েরা ইতিহাস গড়লেন! তাঁদের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে গর্বে ভরে উঠেছে গোটা দেশ। বহু বছরের পরিশ্রম ও অধ্যবসায় আজ বাস্তবের রূপ নিয়েছে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং গোটা দলকে আন্তরিক অভিনন্দন। শুধু খেলোয়াড়রা নয়, দলের সঙ্গে যুক্ত সমগ্র সাপোর্ট স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টকেও ধন্যবাদ জানানো উচিত, যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এই জয়। দারুণ খেলেছ টিম ইন্ডিয়া। এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপভোগ করো হৃদয়ভরে। দেশের অসংখ্য কন্যা এই জয় দেখে অনুপ্রাণিত হবে ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধুলায় নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে।’ ট্রফি হাতে ভারতীয় দলের ছবি দিয়ে লেখেন, “তোমরা পরের প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ। তোমাদের এই শুভেচ্ছা প্রাপ্য। এই মুহূর্তটা তোমাদের। উপভোগ করো। হরমন ও তার দল দুর্দান্ত খেলেছো। জয় হিন্দ।”

    আবেগপ্রবণ রোহিতের চোখে জল

    এদিকে, টিম ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করার জন্য ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। টিম ইন্ডিয়ার জয় তিনিও উদযাপন করেন এবং যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। হরমনপ্রীতের ক্যাচে ভারত ম্যাচ জেতার পর ক্যামেরা ধরে রোহিতকে। দেখা যায়, আকাশের দিকে তাকিয়ে হাততালি দিচ্ছেন তিনি। বোঝা যাচ্ছিল, রোহিতের চোখে জল। কোনও রকমে আবেগ সামলানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। ২ বছর আগে এমনই এক নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের পুরুষ দল বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছিল। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল দেড় কোটি ভারতবাসীর। সেদিন কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন রোহিত। তবে সেই কান্না লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আর গতকাল রাতে চোখের সামনে হরমনপ্রীতদের বিশ্বকাপ জয় দেখে চোখ ছলছল হয়ে গিয়েছিল রোহিত শর্মার। যেন, তিনি যে না করতে পারেননি, তা হরমনরা করতে পারায় বুকের ওপর থেকে কিছুটা হলেও বোঝা কমল। বা হয়ত, সেই ২০২৩ সালের নভেম্বরের রাতের কথাটাই তাঁর মনে পড়ছিল।

    ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা: যুবরাজ

    আর এক বিশ্বকাপজয়ী যুবরাজ সিং গোটা দল তো বটেই, বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দীপ্তি শর্মা, শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষকে। তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা হল। ইতিহাসের পিছনে রয়েছে আমাদের উইমেন ইন ব্লু–র অদম্য মনোবল, দৃঢ়তা এবং অতুলনীয় দক্ষতা। অদম্য জেদে গড়া এই দল একসঙ্গে মিলিত হয়ে এমন এক মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে, যা গোটা বিশ্ব কখনও ভুলবে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁরা নিজেদের সমস্তটুকু উজাড় করে দিয়েছেন, শরীর-মন এক করে খেলেছেন শেষ বল পর্যন্ত। ব্যাট হাতে দুরন্ত শুরু করে ও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন শেফালি ভার্মা। অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল দীপ্তি শর্মা ব্যাটে-বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকতা, সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় ভারতের ব্যাটিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। রিচা ঘোষের আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ইনিংস ভারতকে রানের গতি বাড়াতে সাহায্য করেছে। বিশেষ অভিনন্দন হরমনপ্রীত কৌর এবং কোচ অমল মজুমদারকে। ভারত এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!’

  • India Beats Australia: ফের উঠল বিশ্বকাপের দাবি! রো-কো জুটির দাপটে অস্ট্রেলিয়ায় সান্ত্বনা জয় ভারতের

    India Beats Australia: ফের উঠল বিশ্বকাপের দাবি! রো-কো জুটির দাপটে অস্ট্রেলিয়ায় সান্ত্বনা জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রো-কো জুটির দাপটে সিডনিতে সান্ত্বনা জয় পেল শুভমনের ভারত। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ১৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি জয় এনে দিল দলকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে সম্মানের লড়াইয়ে জিতে লজ্জা এড়াল ভারত। এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে প্রথম জয় পেলেন শুভমন গিল। শনিবার সিডনিতে ভারত জিতল ৯ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার ২৩৬ রানের জবাবে ভারত ৩৮.৩ ওভারে ১ উইকেটে করল ২৩৭ রান। বহু দিন পর রো-কো জুটির দাপট দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২২ গজে পরস্পরকে পেয়ে সাবলীল ব্যাটিং করলেন। বুঝিয়ে দিলেন, বয়স তাঁদের ৩৬-৩৮ যাই হোক, মিচেল স্টার্ক-জশ হেজলউডদের মতো বোলারদের শাসন করার মতো ক্ষমতা এখনও রয়েছে। বুঝিয়ে দিলেন, ঠিকঠাক শট মারলে বল বাউন্ডারি লাইনে গিয়েই থামে।

    ক্যাচ ধরেও রেকর্ড কোহলির

    প্রথম দু’ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন কোহলি। সিডনিতে প্রবল চাপে ছিলেন। মনে হচ্ছিল ফের যেন প্রথম ম্যাচ খেলার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বিরাটকে। কিন্তু তিনি কিং কোহলি। দিনটা যেন ছিল তাঁরই। প্রথমে দুরন্ত ক্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে নজর কাড়লেন ফিল্ডার বিরাট কোহলি। ০.৬৭ সেকেন্ড সময়ে ম্যাথু শর্টের ক্যাচ ধরেছেন ৩৬ বছরের ক্রিকেটার। শুধু তাই নয়, শনিবার সিডনিতে ফিল্ডার হিসাবে একটি নজির গড়েছেন কোহলি। ফিল্ডার হিসাবে মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোহিত শর্মাও। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ২৩তম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে জোরালো সুইপ মেরেছিলেন শর্ট। কোহলির কাছে সময় কম ছিল। তা-ও অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ক্যাচ ধরেন তিনি। পরে হর্ষিত রানার বলে কুপার কোনোলির ক্যাচও ধরেছেন কোহলি। এ দিনের জোড়া ক্যাচে গড়েছেন একটি নজির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে (উইকেটরক্ষক নয়) সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার বিশ্বরেকর্ড করলেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে কোহলির ক্যাচের সংখ্যা হল ৭৭। তিনি টপকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ারই স্টিভ স্মিথকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৬টি ক্যাচ ধরেছেন স্মিথ। শনিবার সিডনিতে দু’টি ক্যাচ নিয়েছেন রোহিতও। সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে (উইকেটরক্ষক নয়) এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি ক্যাচ ধরার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক।

    রোহিতের সঙ্গে ভাল জুটি বাঁধেন কোহলির

    সিডনিতে ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শুভমন গিলকে আউট করেন জশ হেজলউড। শুভমন সাজঘরে ফেরার পর কোহলি যখন নামছেন তখন শব্দের ডেসিবল বাড়ছে। কিন্তু কোহলি চুপচাপ ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, আগের দুই ম্যাচের ব্যর্থতায় চাপে রয়েছেন তিনি। হেজলউডের প্রথম বল মিড অনে মেরেই অপর প্রান্তে ছোটেন কোহলি। এক রান পূর্ণ করার পরেই গোটা মাঠ জুড়ে উল্লাস। ভারতীয় সমর্থকেরা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। কোহলিকেও দেখা যায়, রোহিতের দিকে তাকিয়ে ‘ফিস্টপাম্প’ করছেন। ভাবখানা এমন, শতরান করেছেন। কোহলির মুখের হাসি দেখে বোঝা যায়, কতটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। সেই এক রানের পর কোহলিকে বেশ সাবলীল দেখায়। কয়েকটি চার মারেন। পাশাপাশি দৌড়ে রান করেন। রোহিতের সঙ্গে ভালো জুটি বাঁধেন কোহলি।

    রোহিতের ঝকঝকে শতরান

    ১০৫ বলে এক দিনের ক্রিকেটে নিজের ৩৩তম শতরান করলেন রোহিত। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ১২৫ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১৩টি চার এবং ৩টি ছয়। ২২ গজের অন্য প্রান্তে কোহলি অপরাজিত থাকলেন ৮১ বলে ৭৪ রান করে। মারলেন ৭টি চার। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তাঁরা। রো-কো জুটি দেখিয়ে দিল ব্যাটিং করা কত সহজ। সাত মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন দু’জনেই। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন সাড়ে চার মাস। রো-কো দু’ম্যাচে প্রত্যাশাপূরণ করতে পারেননি। তাতেই গেল গেল রব উঠে গিয়েছিল। তাঁদের ক্রিকেট ভবিষ্যৎকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল অনিশ্চয়তার কানা গলিতে। ভারতীয় দলের দুই সিনিয়র ব্যাটার জুটি বেঁধে খোলস ছাড়তেই ঝকঝকে দেখাল শুভমনের দলকে।

    নজির বিরাট-রোহিতের

    একদিন ও আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোট রানের নিরিখে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্য সবার আগে কিং কোহলি। ১৮হাজার ৪৩৭ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এরপরে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকার (১৮,৪৩৬ রান)। একদিনের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৫০ রানের অতিরিক্ত পার্টনারশিপ ১২ বার করেছেন রো-কো জুটি। তাঁরা সচিন ও সৌরভের সঙ্গে একই সারিতে রয়েছে। এদিন শতরান করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০তম শতরান করলেন রোহিত শর্মা। টেস্টে ১২টি, একদিনের ম্যাচে ৩৩টি ও ৫টি শতরান রয়েছে টি-টোয়েন্টিতে।

    ২০২৭ বিশ্বকাপের দাবি

    ২০২৭ বিশ্বকাপের আগে অনেক সময় রয়েছে। রো-কো’র কাছে ধারাবাহিকতা চাইবেন গম্ভীর। প্রতি ম্যাচে পরীক্ষায় বসতে হবে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে। তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটারেরা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন। এই চাপ নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের শেষটুকু টিকিয়ে রাখতে হবে রোহিত এবং কোহলিকে। সূচি অনুযায়ী, আগামী বিশ্বকাপের আগে আরও ২১টি এক দিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড (দু’টি), আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচ। ‘ফর্ম টেম্পোরারি। ক্লাস পার্মানেন্ট।’ ক্রিকেটের বহু ক্লিশে হয়ে যাওয়া প্রবাদ, বিশ্বকাপের আগে এভাবে বারবার প্রমাণ করতে হবে রোহিতদের। আসলে পুরনো হয়ে যাওয়া মানেই তো সবকিছুকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া যায় না। যেমনটা ফেলে দেওয়া যায় না রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলিদের মতো ‘বুড়ো’ ব্যাটারদের। অন্তত ওয়ানডে ফরম্যাটে যে তাঁরা এখনও অপ্রতিরোধ্য এবং অতুলনীয়, সেটা অজিদের বিরুদ্ধে সিডনিতে আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন দুই মহারথী।

  • India vs Australia:  চার ঘণ্টা দেরিতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছল ভারতীয় দল, কোহলির পোস্ট ঘিরে অবসরের জল্পনা

    India vs Australia: চার ঘণ্টা দেরিতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছল ভারতীয় দল, কোহলির পোস্ট ঘিরে অবসরের জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) কি এবার পুরোপুরি প্রাক্তন! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় আর কতদিন খেলবেন বিরাট ভাই, এখন সেই প্রশ্নই চলছে কোহলি অনুরাগীদের মনে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে অস্ট্রেলিয়ার (India vs Australia) পার্‌থে গিয়ে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। সেই দলে রয়েছেন বিরাট কোহলিও। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তিনি এমন একটি পোস্ট করেছেন, যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কোহলি হয়তো এক দিনের ক্রিকেট থেকেও অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে ফেলেছেন। আবার অন্য অংশের ধারণা, কোহলি খেলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কতটা দায়বদ্ধ সেটাই বোঝা গিয়েছে পোস্টে। বৃহস্পতিবার ঠিক সকাল ১০টায় ১৩ শব্দের একটি পোস্ট লিখেছেন কোহলি। বাংলায় তার অর্থ, “যখনই কেউ হাল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখনই সে সত‍্যিকারের ব্যর্থ।”

    কোহলির পোস্ট ঘিরে জল্পনা

    কোহলির এই পোস্টের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার মিল রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কোহলি এবং রোহিত শর্মা ব্যর্থ হলে এটাই তাঁদের শেষ সিরিজ হতে চলেছে। ভবিষ্যতে হয়তো ভারতীয় দলে তাঁদের আর বিবেচনা করা হবে না। দুই তারকা ক্রিকেটারই এখন শুধু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে খেলেন। তাই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সাফল্য পাওয়া দু’জনের কাছেই জরুরি। ভাল খেলার ব্যাপারে তিনি কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সেটাই কোহলির পোস্টে ধরা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোহলি হয়তো এখনই খেলা ছাড়ার কথা ভাবতে চান না। তাঁর স্বপ্ন ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলা। তাই জন্যই তিনি হাল না ছাড়ার বার্তা দিয়েছেন। কারণ অবসরের ভাবনা মাথায় আনলেই হয়ত তিনি ব্যর্থ হতে পারেন।

    পারথে পৌঁছল ভারতীয় দল

    অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ (India vs Australia) শুরুর আগেই সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় দল। চার ঘণ্টা দেরিতে সে দেশে পৌঁছোছে ভারতীয় দলের একাংশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে প্রথম দল পৌঁছেছে পার্‌থে। হোটেলে গিয়ে সটান নিজেদের ঘরে চলে গিয়েছেন ক্রিকেটারেরা। সকলকেই ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত দেখিয়েছে। দিল্লি থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টার বিমানে সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের। সেখান থেকে পার্‌থের বিমান ধরার কথা ছিল। সব ঠিকঠাক থাকলে বুধবার রাতের মধ্যেই পার্‌থে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল ভারতের। তা হয়নি। দিল্লি থেকে বিমানই ছেড়েছে প্রায় চার ঘণ্টা দেরিতে, দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ। স্বাভাবিক ভাবেই সিঙ্গাপুর থেকে নির্ধারিত বিমান ধরতে পারেনি ভারতীয় দল। সিঙ্গাপুর থেকে পরের বিমানে কোহলিরা পৌঁছোন পার্‌থে। হোটেলে ঢোকেন ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ। টিম বাস থেকে প্রথমেই নেমে আসেন রোহিত (Rohit Sharma)। তার পর কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, শুভমন গিল, কেএল রাহুল, যশস্বী জয়সওয়াল, অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানারা একে একে নেমে হোটেলে ঢুকে যান।

    রোহিত-কোহলিকে ঘিরে উন্মাদনা

    অস্ট্রেলিয়ায় মিচেল মার্শদের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ান ডে এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারতীয় দল। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সিরিজ। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় দলের জন্য বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। তার পরেও ভারতীয় দলের টিম হোটেলের বাইরে কিছু ভক্ত অপেক্ষা করছিলেন প্রিয় নায়কদের এক ঝলক দেখার আশায়। তবে ক্লান্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা ভক্তদের ছবি তোলা বা সই শিকারিদের খুব একটা সুযোগ না দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন। রোহিত, কোহলিকে (Virat Kohli) নিয়েই উৎসাহ ছিল বেশি। এক সমর্থক হাজির হয়েছিলেন দু’জনের ছবি দিয়ে বাঁধানো একটি ফ্রেম নিয়ে। ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের আশা দুই মহাতারকা রোহিত ও বিরাট অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজে দারুণ খেলবেন। প্রথম বার ওয়ান ডে-তে নেতৃত্ব দিতে চলা শুভমন গিলও দুই মহারথীকে দলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে বার্তা দিয়েছেন।

  • Team India: রোহিত যুগের অবসান! এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়ক শুভমন, ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় ক্যাপ্টেন গিলের

    Team India: রোহিত যুগের অবসান! এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়ক শুভমন, ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় ক্যাপ্টেন গিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিত যুগের অবসান। এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়কত্ব হারালেন রোহিত শর্মা। দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানো রোহিত নেতৃত্ব হারালেও দলে থাকলেন। জায়গা হয়েছে বিরাট কোহলিরও। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর দু’জনকে নিয়েই প্রশ্ন ছিল। বলা হয়েছিল, এক দিনের দলেও সুযোগ পাবেন না। কিন্তু দু’জনকেই অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে রাখা হল। তবে দলে জায়গা হয়নি মহম্মদ শামির।

    ২০২৭ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই পরিবর্তন

    ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই নেতৃত্বে বদল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে সময় রোহিত খেলার মতো পরিস্থিতিতে না থাকলে নতুন কাউকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে হবে। তাই আগে থেকেই শুভমনকে দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিলেন জাতীয় নির্বাচকেরা। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই রোহিত শর্মার পরিবর্তে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন পাঞ্জাবের এই ক্রিকেটার। টেস্ট দলের পরে এ বার একদিনের ক্রিকেটেও তাঁর উপরেই ভরসা রাখল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

    আড়াই দিনেই ম্যাচ শেষ

    শনিবার, দিনটা শুভই হল শুভমনের। ঘরের মাঠে শুভ-মহরৎ ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের। তাঁর টেস্ট ক্যাপ্টেন্সির শুরুটা হয়েছিল ইংল্যান্ডে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শেষ অবধি সিরিজ ড্র করেছিল শুভমনের ভারত। ঘরের মাঠে প্রথম বার টেস্টে টিমকে নেতৃত্ব দিলেন। জয় দিয়েই শুরুটা হল শুভমনের। নিজে ব্যাট হাতে অবদানও রাখলেন। তেমনই নজর কাড়লেন ক্যাপ্টেন্সিতে। আমেদাবাদে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল ভারত। সিরিজে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ১০ অক্টোবর। আমেদাবাদে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬২ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুটিয়ে দিয়েছিল ভারত। মহম্মদ সিরাজ চার উইকেট নিয়েছিলেন। নতুন বলে তাঁর পারফরম্যান্স বেশি নজর কেড়েছিল। জসপ্রীত বুমরা তিন উইকেট নিয়েছিলেন। অন্য দিকে, স্পিনার কুলদীপ যাদব ২ উইকেট। ভারতের ব্যাটাররা বাকি কাজটা সেরে নেয়। যে কারণে মাত্র আড়াই দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সহজে ম্যাচ জিতে নিল ভারত।

    অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের দল

    অজিভূমে ভারতের সফর শুরু হবে ১৯ অক্টোবর পারথ স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৩ অক্টোবর, অ্যাডিলেড ওভালে। ২৫ অক্টোবর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তৃতীয় ওয়ানডে। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে দূরে থাকা কোহলি এবং অধিনায়ক রোহিতকে দেখার জন্য এখন থেকেই উন্মাদনার পারদ চড়ছে। ওয়ানডে সিরিজের পর ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরার মানুকা ওভালে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের ম্যাচগুলি রয়েছে রয়েছে ৩১ অক্টোবর, ২ নভেম্বর, ৬ নভেম্বর, ৮ নভেম্বর।

    এক দিনের দল: শুভমন গিল (অধিনায়ক), শ্রেয়স আয়ার (সহ-অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), নীতীশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মহম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক) এবং যশস্বী জয়সওয়াল।

    টি-টোয়েন্টি দল: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমন গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, নীতীশ কুমার রেড্ডি, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জীতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), বরুণ চক্রবর্তী, জসপ্রীত বুমরা, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হর্ষিত রানা, রিঙ্কু সিং এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।

  • Cricket News: বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে, রোহিত-বিরাটকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে?

    Cricket News: বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে, রোহিত-বিরাটকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। চলতি বছরের মে মাসে রোহিত আরও ঘোষণা করেন যে, তিনি টেস্ট ক্রিকেট (Cricket News) থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন। এরই মাঝে আগামী অগাস্ট মাসে ভারতীয় দলের বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরের সম্ভাবনার কথা আছে। এই সফরে ভারত ছয়টি সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলতে পারে—যার মধ্যে থাকবে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সফর এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এতেই রোহিত ও বিরাটের ভক্তরা ভাবছেন, এই দুই তারকাকে ফের আবার কবে দেখা যাবে ক্রিকেট মাঠে?

    অগাস্ট মাসের ক্রীড়াসূচির কথা আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ (Cricket News)

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত এপ্রিল মাসে জানিয়েছিল, ভারতীয় দল ১৭, ২০ এবং ২৩ অগাস্ট তিনটি ওডিআই ম্যাচ খেলবে। এছাড়াও ২৬, ২৯ এবং ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সফরটি এখনো চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি (Cricket News)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সফর নিশ্চিত করেনি। ফলে সফর আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

    কবে মাঠে দেখা যাবে রোহিত-বিরাটকে?

    এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—রোহিত ও কোহলিকে আবার কবে দেখা যাবে জাতীয় দলের জার্সিতে (Cricket News)? যদি বাংলাদেশ সফর বাতিল হয়ে যায়, তাহলে হয়তো তাঁদের আবার মাঠে দেখতে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ ১৯ অক্টোবর থেকে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফর নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তবে, বাংলাদেশ সফর একেবারেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে, এমনটাও নয়। সম্প্রতি শের-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিংয়ের পর বিসিবি (Cricket News) সভাপতি আমিনুল জানান, বিসিসিআই-এর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সফরসূচি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

  • India vs England: গিল জমানার ‘শুভ’ সূচনা হল না! হতশ্রী বোলিং, জঘন্য ফিল্ডিং, ইংল্যান্ডের কাছে কেন হার ভারতের?

    India vs England: গিল জমানার ‘শুভ’ সূচনা হল না! হতশ্রী বোলিং, জঘন্য ফিল্ডিং, ইংল্যান্ডের কাছে কেন হার ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, সকাল বুঝিয়ে দেয় সারা দিনটা কেমন যাবে। ভারতের শুরুটা ভয় ধরাচ্ছে সমর্থকদের মনে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৫টি শতরান করেছেন ভারতীয় ব্যাটারা, তারপরও হার মানতে হল শুভমনদের। হেডিংলেতে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেলেন বেন স্টোকসেরা। এখনও চারটে টেস্ট বাকি। প্রথম টেস্টে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ফেরা কঠিন ভারতের। হেডিংলে টেস্টের শেষ দিন নাটকীয় একটা লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন বেন স্টোকসের দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৫০ রান। আর ভারতের জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১০টি উইকেট। কিন্তু শেষটা ভালো হল না ভারতের। ইংরেজদের হাতে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করল ভারতের বোলার-ফিল্ডাররা।

    হতশ্রী বোলিং-ফিল্ডিং

    ভারতের বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে যেন যত কম বলা যায় ততই ভালো! এ কথা বলার জায়গা আসতই না, যদি টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা মান রাখতে পারতেন। যদি টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা ফিল্ডিংয়ে কিছুটা গোছানো হতেন। যে টিমের ফিল্ডারদের নিয়ে এত প্রশংসা হয়, সেখানে এমন ফিল্ডিং দেখে, ক্যাচের পর ক্যাচ মিস দেখে হতবাক অনেকে! গোটা ম্যাচে সাতটা ক্যাচ ফসকেছে ভারত। এর মধ্যে চারটি ফেলেছেন যশস্বী, দুটি পন্থ। যে জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে এত আলোচনা, যিনি প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন, সেই তিনিই কি না দ্বিতীয় ইনিংসে একটি উইকেটের দেখাও পেলেন না। স্টোকসদের বিরুদ্ধে হেডিংলে টেস্টের শেষ দিন বোলিংয়ে বুমরার ঝাঁঝ দেখাই গেল না। যার ফল চোখের সামনে বেন ডাকেটের ১৪৯, জ্যাকের ৬৫, রুটের ৫৩ নট আউট! সেই সুবাদে ৮৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জয় ইংল্যান্ডের।

    কোহলি-হীন ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ লোয়ার-অর্ডার

    ইংল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, সেরা দল নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এই যদি সেরা দলের নমুনা হয়, তা হলে খারাপ দল কোনটা? চারটে ব্যাটার (যশস্বী, শুভমন, রাহুল ও পন্থ) আর দেড়খানা বোলার (বুমরা ও জাডেজা) নিয়ে আর যা-ই হোক, টেস্ট ম্যাচ জেতা যায় না। সিরিজ তো অনেক দূরের কথা। দুই ইনিংসেই ভারতের লোয়ার অর্ডার হতাশ করেছে। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পড়েছে শেষ ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ৬ উইকেট পড়েছে ৩১ রানে। সেই কারণেই দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচটা শতরানের পরেও হারতে হয়েছে ভারতকে। ব্যাটিংয়ের এই রোগ সারাতে না পারলে পরের টেস্টেও ফেরা মুশকিল। কারণ মার্ক উড, জফ্রা আর্চাররা ফিরলে আর করুণ দশা হবে বিরাট হীন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের।

    মনে পড়ল অধিনায়ক রোহিতকে

    প্রশ্ন উঠতে বাধ্য অধিনায়ক শুভমনের নেতৃত্ব নিয়েও। দেখে মনে হল না, প্ল্যান বি, সি রয়েছে তাঁর কাছে। একই গতে বল করিয়ে গেলেন। প্রসিদ্ধ রান দিচ্ছেন দেখেও তাঁকে সরালেন না। রানের গতি কম থাকলে হয়তো এই ম্যাচ ড্র হতে পারত। শার্দূল নতুন বলে উইকেট নিতে পারেন। তাঁকে প্রথম ইনিংসে নতুন বল দিলেনই না শুভমন। প্রশ্ন উঠল তাঁর ফিল্ডিং সাজানো নিয়েও। রান বাঁচাবেন, না উইকেট তুলবেন, সেই ধন্দ কাটিয়ে উঠতে পারলেন না। টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব যে কতটা কঠিন তা হয়তো বুঝতে পারলেন শুভমন। ভারতের ক্রিকেট অনুরাগীরা বারবার মিস করলেন অধিনায়ক রোহিতকে।

  • India vs England: ইংল্যান্ডে লাল বলের ক্রিকেটে নামার অপেক্ষায় রোহিত-কোহলিহীন নতুন ভারত

    India vs England: ইংল্যান্ডে লাল বলের ক্রিকেটে নামার অপেক্ষায় রোহিত-কোহলিহীন নতুন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের রেশ কাটিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের (India vs England) এবার ফরম্যাট বদলের পালা। শুক্রবার হেডিংলিতে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।  অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পর অবশেষে লাল বলের ক্রিকেটে ফিরছে ভারতীয় দল। এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের নতুন পর্বও। এর মাঝে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে ছাড়া নামবে টিম ইন্ডিয়া। শুভমন গিলের নেতৃত্বে শুরু হবে এক নতুন যুগ। দুই মহাতারকার অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্রিটিশদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত যশস্বী-পন্থরা।

    নতুন ভারতের যাত্রা শুরু

    ইংল্যান্ডের (India vs England) পিচ ও আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে সিরিজ শুরুর ১৪ দিন আগে ইংল্যান্ডে পৌঁছেছে তরুণ ভারতীয় দল। সেখানে ১০ দিনের একটা শিবির করেছে তারা। নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। আগে থেকে পুরো তৈরি হয়ে তার পর সিরিজ খেলতে নামতে চাইছে ভারত। নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুভমন গিলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। কোহলির আগ্রাসন ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছিল। রোহিত ছিল ঠান্ডা, ধীর-স্থির, লড়াকু। ও এই দু’জনের থেকেই শিখেছে শুভমন। এবার মাঠে প্রয়োগের পালা। কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরও এই প্রথম ইংল্যান্ডে গিয়েছেন। ফলে বলা যেতে পারে, তরুণ ভারতীয় দল নামবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এখন দেখার শুরুটা কেমন করেন শুভমনেরা।

    কখন-কোথায় খেলা দেখবেন

    ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারতীয় দল (India vs England)। ২০ জুন অর্থাৎ শুক্রবার প্রথম টেস্ট। লিডসের হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলা হবে প্রথম ম্যাচ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী খেলা শুরু হবে বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে। ম্যাচ দেখার দুটো বিকল্প রয়েছে। টেলিভিশনে এই সিরিজ সম্প্রচার হবে সোনি স্পোর্টসে। তেমনই মোবাইলে খেলা দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপে। ইংল্যান্ড শুধুমাত্র প্রথম টেস্টের জন্যই দল ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রাথমিক ভাবে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। দলে নতুন করে ঢুকেছেন তরুণ পেসার হর্ষিত রানা।

    ভারতের স্কোয়াড- শুভমন গিল (ক্যাপ্টেন), ঋষভ পন্থ (ভাইস ক্যাপ্টেন), যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করুণ নায়ার, নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাডেজা, ধ্রুব জুরেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা

    ইংল্যান্ডের স্কোয়াড- বেন স্টোকস (ক্যাপ্টেন), শোয়েব বশির, জেকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, স্যাম কুক, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, জেমি ওভার্টন, ওলি পোপ, জো রুট, জেমি স্মিথ, জশ টং, ক্রিস ওকস।

  • Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ হল বিরাট অধ্যায় (Virat Kohli)। লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি। রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর বিরাট কোহলিও সোমবার সমাজমাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। রাখলেন না বিসিসিআই-এর অনুরোধ। দেশের হয়ে আর সাদা জার্সিতে দেখা যাবে না ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে। সাদা জার্সিটা তুলে রাখারই সিদ্ধান্ত নিলেন কোহলি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে এই সিদ্ধান্ত জানান ‘চেজ মাস্টার’।

    বিদায়-বার্তায় কী লিখলেন কোহলি 

    সমাজমাধ্যমে কোহলি (Virat Kohli) লিখেছেন, ‘‘১৪ বছর আগে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম। সত্যি বলতে তখন জানতাম না, ক্রিকেটের এই ফরম্যাট আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমাকে তৈরি করেছে। আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। সারাজীবন এই শিক্ষা বহন করব।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত গভীর বিষয় থাকে। শান্ত পরিবেশ, দীর্ঘ সময় খেলা, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো কেউ দেখতে পায় না। তবে এগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।’’

    হাসিমুখেই বিদায়!

    গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তারপর কোহলির এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব এতটাই ছিল যে, খবর অনুযায়ী, বিসিসিআই মরিয়া হয়ে কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে। যাতে জুন-জুলাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দল অনভিজ্ঞ না থেকে যায়, বোর্ডের তরফে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে খবর। তবে, দৈনিক জাগরণের একটি প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বিপরীত দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়নি। বরং, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা কোহলিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, খারাপ ফর্মের কারণে ভারতের টেস্ট দলে তাঁর জায়গা পাওয়ার নিশ্চিত নয়। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর শেষ টেস্ট সিরিজে কোহলি পাঁচটি টেস্টে সাকুল্যে ১৯০ রান করেন। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২৩-এর সামান্য বেশি। আসলে সেই ১৯০ রানের মধ্যে ১০০ রান বিরাট একটি ইনিংসেই করেছিলেন। বাকি সিরিজে তাঁর সার্বিক অবদান ৯০ রানের। তবে পারফরম্যান্স যাই হোক তিনি কিং কোহলি। মাঠে তাঁর উপস্থিতি যে কোনও দলের কাছেই বড় ফ্যাক্টর।

    খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়

    সচিন-গাভাসকর পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং ম্যস্ট্রো বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আবেগঘন এক পোস্টে লিখলেন, ‘‘আমি কৃতজ্ঞতায় ভরা এক হৃদয় নিয়ে সরে যাচ্ছি, এই খেলাটাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের সঙ্গে আমি মাঠ শেয়ার করেছিলাম তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এই ফরম্যাট থেকে সরে আসার পরে মনে হচ্ছে খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমি সর্বস্ব দিয়েছি এই ফরম্যাটে এবং এই ফরম্যাট আমাকে প্রত্যাশার থেকেও অনেক বেশি ফিরিয়ে দিয়েছে।’’ শেষে কোহলি লেখেন, ‘‘আমি সবসময় আমার টেস্ট কেরিয়ারের দিকে হাসিমুখে ফিরে তাকাবো।’’ দিনান্তে কোহলির নামের পাশে লেখা রইল ১২৩টি টেস্ট ম্যাচ। ৯২৩০ টেস্ট রানের মালিক তিনি। ৩০টি সেঞ্চুরি তাঁর ঝুলিতে। সর্বোচ্চ রান ২৫৪। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট পরিক্রমা শেষ হল কোহলির। মাঝে কেটে গেল দীর্ঘ ১৪ বছর।

    সচিনের একশোয় একশো ধরা হল না

    সচিনের একশোয় একশো ধরা আর হল না কোহলির। বিরাট (Virat Kohli) লিখলেন, #২৬৯, সাইনিং অফ। আসলে টেস্টে বিরাট যে ভারতীয় দলের ক্যাপ পরতেন, সেটার নম্বর ছিল ২৬৯। কারণ তিনি ভারতের ২৬৯তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট খেলেছিলেন। কয়েকদিন আগে রোহিত শর্মাও যখন অবসর গ্রহণ করেছিলেন, তখন নিজের টেস্ট ক্যাপের ছবি দেখিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল ২৮১। কারণ ভারতের ২৮১ তম খেলোয়াড় হিসেবে রোহিতের টেস্টে অভিষেক হয়েছিল। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়তে চান তিনি। সে কথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আগেই জানান কোহলি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাঁকে অনুরোধ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে। সামনে ইংল্যান্ড সফর। কয়েক দিন আগেই রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। এই অবস্থায় কোহলিকে হারানো মানে এক ধাক্কায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ থেকে বিশাল অভিজ্ঞতা সরে যাওয়া। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।

    নিজের সিদ্ধান্তে অনড় কোহলি

    ব্যাটার কোহলিকে (Virat Kohli) আর লাল বলে দেখা না গেলে সেটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। এমনটাই মনে করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তাই লারা বলেছিলেন, কোহলিকে বুঝিয়ে টেস্টে আরও খেলতে রাজি করানো হবে। শুধু তা-ই নয়, কেরিয়ারের বাকি সময়টা কোহলি টেস্টে ৬০-এর বেশি গড়ে রান করবে। তবে লারার সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন। টেস্ট ক্রিকেটে এখন শূন্যতা। বহু স্মৃতি রেখে গেলেন বিরাট কোহলি। সচিনের উত্তরসূরী দ্রুতই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। কিন্তু কোহলির পর সেই শূন্যতা কি পূরণ করতে পারবেন গিল, যশস্বীরা?

  • Virat Kohli: টেস্টকে বিদায় জানাতে চান কোহলিও! ইংল্যান্ড সিরিজের আগে বিপাকে বোর্ড

    Virat Kohli: টেস্টকে বিদায় জানাতে চান কোহলিও! ইংল্যান্ড সিরিজের আগে বিপাকে বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত শর্মার পর লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চলেছেন বিরাট কোহলি। বিসিসিআই (BCCI) সূত্রে খবর, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে কোহলি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না। বুধবার টেস্ট ক্রিকেটকে (Test Cricket) আলবিদা জানিয়েছেন রোহিত (Rohit Sharma)। দু’দিন বাদে বন্ধুর পথেই হাঁটার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। প্রসঙ্গত, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া এবং তারপর অস্ট্রেলিয়া সফরে হতাশাজনক পরাজয়ের জেরে বিরাট ও রোহিতকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। লাগাতার ও দীর্ঘমেয়াদি অফ ফর্মের জেরে রোহিতকে আলাদা করে টার্গেট করা হয়। বিরাটকে নিয়েও সমালোচনার কমতি ছিল না।

    বিরাটকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি

    গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি সমাজমাধ‍্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কোহলি (Virat Kohli) এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানাননি। তবে সূত্রের খবর, বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন টেস্ট থেকে এবার অবসর নিতে চান তিনি। তবে, বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য। বোর্ড চাইছে ইংল্যান্ড সফরে যান বিরাট। খারাপ ফর্মে থাকলেও, তিনি যে কিং কোহলি। যে কোনও সময় জ্বলে উঠবে তাঁর ব্যাট। রোহিতের পর কোহলিকেও যদি কঠিন এই সফরে না পাওয়া যায়, তা হলে ভারতীয় ব‍্যাটিং অনেকটাই অনভিজ্ঞ হয়ে পড়বে। সেই কারণেই বোর্ডের (BCCI) পক্ষ থেকে কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছে এখনই টেস্ট ক্রিকেট না ছাড়তে। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সি কোহলির থেকে কোনও জবাব এখনও আসেনি।

    টেস্টে বিরাট আধিপত্য

    টেস্ট ক্রিকেটে তো বটেই, সব ফর্ম্যাটে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার কোহলি (Virat Kohli)। টেস্টে ভারতের হয়ে ১২৩টি টেস্ট খেলেছেন কোহলি, ৪৬.৮৫ গড়ে ৯,২৩০ রান করেছেন। তাঁর নামে রয়েছে ৩০টি শতরান এবং ৩১টি অর্ধশতরান। ২০১১ সালের ২৯ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। ২০১৪ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকারী কোহলি ভারতের সর্বকালের সেরা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয় অন্যতম। তাঁর নেতৃত্বে ভারত ৬৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলে, এর মধ্যে ৪০টি জয়, ১৭টি হার এবং ১১টি ড্র করে। এই ৪০ জয়ের মধ্যে ২৫টি ঘরের মাঠে এবং ১৫টি বিদেশে।

  • Rohit Sharma: সাদা জার্সি গায়ে আর মাঠে নামবেন না রোহিত, অবসরের নেপথ্যে কি অভিমান না অন্য কারণ?

    Rohit Sharma: সাদা জার্সি গায়ে আর মাঠে নামবেন না রোহিত, অবসরের নেপথ্যে কি অভিমান না অন্য কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হয়ে গেল একটা যুগ। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আইপিএলের মাঝেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এ বার থেকে ভারতের হয়ে শুধু এক দিনের ক্রিকেট খেলবেন রোহিত। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক কুড়ি-বিশের ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। হঠাতই নয় বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল গুঞ্জন। তরুণদের জন্য সরতে তো হবেই। তাই করলেন রোহিত। মহেন্দ্র সিং ধোনির পরবর্তী যুগে ভারতের সফল অধিনায়ক রোহিত। তিনি জানেন কোথায় থামতে হয়। তিনি জানেন অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ড কখন খুলতে হয়। জানেন হিসেব কষে চলতে।

    লাল বলকে বিদায়

    কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি রোহিত। ইনস্টাগ্রামে চার লাইনের একটি বিবৃতিতে রোহিত লিখেছেন, “সকলকে জানাতে চাই যে, আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সাদা পোশাকে দেশের হয়ে খেলা আমার কাছে গর্বের। এত বছর ধরে এত ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ। এক দিনের ফরম্যাটে ভারতের হয়ে খেলা চালিয়ে যাব।” ভারতের হয়ে ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন রোহিত (Rohit Sharma)। করেছেন ৪৩০১ রান। ব্যাটিং গড় ৪০.৫৭। টেস্টে ১২টি শতরান ও ১৮টি অর্ধশতরান করেছেন রোহিত। সর্বাধিক রান ২১২। টেস্ট ক্রিকেটে রোহিতের পথচলা শুরু ক্রিকেটের নন্দনকাননে। ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমবার ভারতের সাদা জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছিলেন রোহিত। টেস্ট ডেবিউ ম্যাচে ৩০১ বলে ১৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রোহিত। হয়েছিলেন ম্যাচের সেরাও। এরপর দেশের হয়ে খেলেছেন আরও ৬৬টা টেস্ট। বিরাট কোহলি ভারতের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট দলের নেতৃত্ব যায় রোহিত শর্মার কাঁধে। তারপর ২৪টি টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। তাতে ১২টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল ১০ অধিনায়কের তালিকায় রয়েছেন রোহিত। ভারতের হয়ে টেস্টে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। সেই সঙ্গে রয়েছে ১৮টি হাফসেঞ্চুরিও। টি-২০ ও ওডিআইতে রোহিতের ব্যাট যতটা উজ্জ্বল, সেই তুলনায় টেস্টে উজ্জ্বলতা খানিক কম।

    অধিনায়কত্ব নিয়ে জল্পনা

    আইপিএলের পরেই ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। পাঁচ টেস্টের সেই সিরিজ থেকে আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু করবে মেন ইন ব্লু। শোনা যাচ্ছিল, ইংল্যান্ড সিরিজের আগে রোহিতকে (Rohit Sharma) টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সেই জল্পনার মাঝেই অবসর নিলেন তিনি। জাতীয় নির্বাচকরা তাঁকে বার্তা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড সফরের টিমে তাঁকে ক্যাপ্টেন হিসেবে আর ভাবা হচ্ছে না। কারণ বোর্ড সামনের দিকে তাকাতে চাইছে। এ ছাড়া, রোহিত শর্মার বয়স ৩৮ পেরিয়েছে, নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে (২০২৫-২৭) একজন নতুন নেতার প্রয়োজন আছে বলে বোর্ডও মনে করছে। শুভমনের বয়স ২৫, এর আগে টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন ছিলেন। তা ছাড়া বুমরার মতো তাঁর চোট সমস্যা নেই। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই অগ্রাধিকার পেয়ে ক্যাপ্টেন্সির দৌড়ে এগিয়ে শুভমন। সেক্ষেত্রে রোহিতের সামনে অবসর ছাড়া রাস্তা ছিল না।

    ব্যাটে রানের খরা

    ক্যাপ্টেন না থাকলে তিনি টিমে ব্যাটার হিসেবেও জায়গা পেতেন কি না সন্দেহ। গত আট টেস্টে তাঁর রান মাত্র ১৬৫। গড় ১০.৯৩। এই পারফরম্যান্স নিয়ে ইংল্যান্ডে তাঁর সফল হওয়া কঠিন বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তিনিও জানতেন লাল বলের ক্রিকেটে আর যেন মানাতে পারছিলেন না। আগে অবসরের প্রশ্নে রোহিত বলেছিলেন, দুই সন্তানের পিতা জানে কখন সরে যেতে হবে। শেষপর্যন্ত নিখুঁত ‘টাইমিং’য়ে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারার মতো করেই অবসরের সরণিতে হাঁটলেন ‘শর্মাজি কা বেটা’।

    রোহিতের পরবর্তী পরিকল্পনা

    রোহিতের (Rohit Sharma) ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার জন্য রোহিত মরিয়া। মেগা ইভেন্টে খেলার জন্য ফিটনেস ঠিক রাখতে যা খুশি করতে পারেন। রোহিতের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরেই টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রোহিত। রোহিতের ঘনিষ্ঠ সেই সূত্র জানিয়েছে, ‌চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরেই রোহিতের মাথায় টেস্ট থেকে অবসরের কথা ঘুরছিল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সার্কেল শুরু হচ্ছে জুন থেকে। রোহিত জানত টেস্টে সেরা সময়টা ফেলে এসেছে। রোহিতের সেই ইচ্ছাপূরণ হবে কি না, সেটা কেউ জানেন না। তবে বোর্ড আপাতত জানিয়েছে, ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনিই অধিনায়ক থাকছেন। সেটা হলে দীর্ঘদিন বাদে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।

LinkedIn
Share