Tag: RSS chief Mohan Bhagwat

RSS chief Mohan Bhagwat

  • Mohan Bhagwat: ‘‘বিশ্বকে সুখ-শান্তির দিশা দেখিয়েছে ভারত’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘বিশ্বকে সুখ-শান্তির দিশা দেখিয়েছে ভারত’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবারই তাঁর এক বক্তব্যে বলেন, ‘‘বিশ্বকে সুখ-শান্তির দিশা দেখিয়েছে ভারত।’’  তিনি জানান, করোনা মহামারীর পর থেকে সমগ্র বিশ্ব উপলব্ধি করেছে যে ভারতই সারা দুনিয়াকে শান্তি এবং সুখের দিশা দেখাতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, একমাত্র সনাতন ধর্মই মানব সভ্যতার কল্যাণের কথা ভাবে। মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) তাঁর এদিনের বক্তব্যে আরও বলেন, ‘‘বিগত ২,০০০ বছর ধরে অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা পৃথিবী কিন্তু এই সমস্ত কিছুই মানব সভ্যতাকে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু একমাত্র ভারতবর্ষের চিরাচরিত জীবন পদ্ধতি, ভারতবর্ষকে নতুনভাবে সারা দুনিয়াকে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির দিশা দেখাতে সক্ষম হয়েছে।

    সনাতন ধর্ম অভিজাত প্রাসাদ থেকে নয়, আশ্রম ও অরণ্য থেকে উঠে এসেছে (Mohan Bhagwat)

    বৃহস্পতিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন, বিকাশ ভারতী নামের একটি সংগঠনের বৈঠকে। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন গ্রামীণ স্তরের কর্মীরা। সেখানেই এই কথাগুলি বলেন সঙ্ঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্ম অভিজাত প্রাসাদ থেকে নয়, আশ্রম ও অরণ্য থেকে উঠে এসেছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত কিছুতেই পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আমাদের প্রকৃতি কখনও বদলায়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রয়োজন হল নতুন পথ এবং পদ্ধতিকে গ্রহণ করা।’’ মোহন ভাগবত এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেককে মানব সভ্যতা তথা সমাজের কল্যাণের জন্য বিরামহীন কাজ করে যাওয়া উচিত।

    আমাদের মনটা এক এবং যেটা অন্য কোনও দেশে দেখা যায় না 

    তিনি আরও (RSS) বলেছেন, ‘‘উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে আমাদের আরও কাজের প্রয়োজন, সেখানকার শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজে আমাদের আরও জোর দিতে হবে।’’ বনাঞ্চলের মানুষরা শান্তিপূর্ণ এবং সরল জীবন যাপন করেন বলেও জানান তিনি। মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) এদিন আরও বলেন, ‘‘বিভিন্ন পদ্ধতিতে ৩৩ কোটি দেবদেবীকে আমরা পুজো করি। ৩,৮০০ এরও বেশি ভাষা রয়েছে ভারতে, যেখানে মানুষ একের সঙ্গে অপরের কথা বলে। আমাদের খাদ্যাভাসের মধ্যেও অনেক রকমের বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্ত কিছু সত্ত্বেও আমাদের মনটা এক এবং যেটা অন্য কোনও দেশে দেখা যায় না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Smaranananda: স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতের

    Swami Smaranananda: স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মলোকে যাত্রা করেছেন স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। প্রয়াত হলেন ৯৫ বছর বয়সে। স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেন  তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। এ দিন আরএসএসের তরফে বিবৃতি জারি করে রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজের প্রয়াণে শোকবার্তা জানানো হয়। শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের শোকবার্তা

    এদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবন্ত ও দত্তাত্রেয় হোসাবলে জানান, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের প্রয়াণে অত্যন্ত দুঃখিত শ্রী রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের অগণিত ভক্ত ও সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের সেবা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠকে অসামান্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের তরফে মহারাজের প্রয়াণে দুঃখ প্রকাশ করা হয় ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। রামকৃষ্ণ মঠের মহান কাজ যেন তাঁর সংকল্প ও চেতনার উপরে ভিত্তি করে এগিয়ে যায়, সেই প্রার্থনাও করা হয়। 

    স্বামী স্মরণানন্দের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বেলুড় মঠে

    আজ, বুধবার স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বেলুড় মঠে, মঠের নির্দিষ্ট জায়গায়, গঙ্গার পাড়ে। তার আগে রাত সোয়া আটটা নাগাদ দেহ নিয়ে আসা হবে মঠবাড়িতে। যেখানে স্বামী বিবেকানন্দ থাকতেন। আধ ঘণ্টা দেহ এখানে রাখার পরে সমস্ত মন্দির প্রদক্ষিণ করে তাঁর মরদেহ প্রেসিডেন্ট মহারাজের জন্য নির্দিষ্ট আবাসে নিয়ে আসা হবে। রাত ন’টা নাগাদ অন্ত্যেষ্টির কাজ শুরু হবে। জানান রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। আগামী ৭ এপ্রিল বেলুড় মঠে তাঁর স্মরণে ভাণ্ডারা অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় লক্ষ ভক্ত সেদিন এতে অংশ নেবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেদিন সারা দিন ধরে মহারাজের স্মৃতিতর্পণ করা হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Hindu Congress: বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন হিন্দু দর্শন, জানালেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    World Hindu Congress: বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন হিন্দু দর্শন, জানালেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ককে শুরু হয়েছে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন (World Hindu Congress)। সেখানেই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হিন্দু দর্শনের প্রয়োজনীয়তার কথা নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। প্রসঙ্গত, থাভিসিন নিজে হাজির থাকতে পারেননি সম্মেলনে। তাঁর পাঠানো লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘হিন্দু দর্শন, অহিংসা, সত্য, সহ্য-ক্ষমতা এবং সম্প্রীতির কথা বলে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং একটি সুশৃঙ্খল সমাজ তৈরি করতে এগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ওই লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে আরও জানিয়েছেন যে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনকে অনুষ্ঠিত করতে পেরে থাইল্যান্ড সম্মানিত এবং গর্বিত।

    ৬১ দেশ থেকে হাজির ২,২০০ প্রতিনিধি

    প্রসঙ্গত চলতি বছরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে হাজির ছিলেন ২,২০০ প্রতিনিধি। ৬১ দেশ থেকে এই প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। শিক্ষা, অর্থনীতি, গবেষণা, সাংবাদিকতা, রাজনীতি এই সমস্ত ক্ষেত্র থেকেই প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। তিন দিন ধরে চলা বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে, হিন্দুদের সারা বিশ্বে যে ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সে নিয়েই আলোচনা করেন বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। এর আগে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন (World Hindu Congress) অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে দিল্লিতে এবং ২০১৮ সালে শিকাগোতে।

    হাজির সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতও

    প্রসঙ্গত প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাইল্যান্ডের রাজধানীতে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) উদ্যোগ নেয় ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় সম্মেলন এবং  চলবে আজ ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতও। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মে অনেক মত রয়েছে, উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে, এবং এর প্রত্যেকটিই হল ধর্মের উদাহরণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।’’ বসুধৈব কুটুম্বকমের কথাও শোনা যায় মোহন ভাগবতের মুখে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woke Culture: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! কিসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত?

    Woke Culture: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! কিসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! বিশ্বের যেকোনও দেশের সমাজ ব্যবস্থায় কোনটার গুরুত্ব সর্বাধিক হওয়া উচিত? দিনকয়েক আগে তারই ব্যাখ্যা শোনা গিয়েছে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের ভাষণে। চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে নাগপুরে ভাষণ দিয়েছেন মোহন ভাগবত। সেখানেই সঙ্ঘ প্রধান নতুন একটি শব্দ প্রয়োগ করেন, ‘Woke’, যার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়, জাতিভেদ, লিঙ্গ বৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, কুসংস্কার এসব কিছুর বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে পৃথিবীর সব দেশেই ‘Woke Culture’ একটি ধ্বংসাত্মক তত্ত্ব হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সঙ্ঘ প্রধানের মতে, ‘‘এই ‘Woke Culture’ সাংস্কৃতিক মার্কসবাদের সমার্থক শব্দ। এটা একধরনের অপসংস্কৃতিও বটে। ‘Woke Culture’-এ বিশ্বাসীরা বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, বিভেদকামী হয়ে থাকেন।’’

    কর্তব্যবোধ বনাম আত্মকেন্দ্রিকতা 

    পরিবারই হল সমাজের একক, আর মানুষ সেই পরিবারের একটি অঙ্গ, যেখানে সে তার কর্তব্য পালন করে, কেবলমাত্র অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে না। অপরদিকে, মার্কসবাদ শুধুই অধিকারবোধ আর আত্মকেন্দ্রিকতার কথা বলে। সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ অথবা ‘Woke Culture’ এই দুটোই ব্যক্তি স্বার্থের কথা বলে। ব্যক্তির শরীর ও মনের যাবতীয় চাহিদা পূরণের কথা বলে। এখানেই বাধে ব্যক্তির সঙ্গে পরিবার ও সমাজের সংঘাত। ব্যক্তির মধ্যে কর্তব্যবোধ লোপ পেয়ে তখন প্রাধান্য পায় আত্মকেন্দ্রিকতা। নিজের স্বার্থ, তৃপ্তি, বাসনা, জীবন উপভোগ তখন ব্যক্তির কাছে মুখ্য হয়ে যায়, গৌণ হয় পরিবার ও সমাজের প্রতি কর্তব্যবোধ। সঙ্ঘ প্রধানের মতে, মার্কসবাদ বা ‘Woke Culture’-এ বিশ্বাসীরাই এদেশে বিভেদ, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ এবং দুর্নীতির বীজ পুঁতছে। কার্ল মার্কস যেখানে ব্যক্তি স্বার্থের পক্ষে সওয়াল করেছেন, সেখানে সঙ্ঘের দৃষ্টিতে পরিবারই হল সমাজ ব্যবস্থার একক। 

    পেরিয়ারের আদর্শের বিরোধ ও আম্বেদকরের ভাবনাকে প্রশংসা

    ঠিক এই কারণেই সঙ্ঘ দক্ষিণ ভারতে পেরিয়ারের আন্দোলনকে সমর্থন করেনা, কারণ তা সমাজে বিভেদ ছড়ায়। সর্বোপরি তারা পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন হিন্দু সভ্যতার বিরুদ্ধে তোপ দাগে, যা ভারতীয় পরম্পরা ও সংস্কৃতির বিরোধী। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ অনেকভাবে সমর্থন করে বিআর আম্বেদকরের চিন্তাধারাকে। কারণ তা বঞ্চিত শ্রেণির উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার অখণ্ড ঐক্যের কথাও বলে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এই ‘Woke Culture’কে প্রতিহত করতে তিনটি নীতি পালন প্রয়োজন বলে মনে করে – প্রথমত, দেশের কাজে সবসময় নিজেকে উৎসর্গ করা। দ্বিতীয়ত, দেশের মহান পূর্বসূরিদের সর্বদা স্মরণ করা। তৃতীয়ত, একটি সাধারণ সংস্কৃতি গড়ে তোলা। প্রসঙ্গত, সঙ্ঘ প্রধানের মতোই পূর্বতন ‘ট্যুইটার’ বর্তমানে ‘এক্স’-এর মালিক ইলন মাস্কও তোপ দেগেছেন সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ বা  ‘Woke Culture’ এর বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, ‘‘Woke Culture সমাজে বিভেদ ছড়ায়। এটা মানুষকে নিষ্ঠুর করে তোলে। মানুষের মনে ঘৃণার জন্মও দেয় এই ধরনের সংস্কৃতি।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parakram Diwas: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Parakram Diwas: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্য সকাল। আর পাঁচটা দিনের তুলনায় চেনা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ একেবারেই অচেনা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পরাক্রম দিবসে (Parakram Diwas) কলকাতায় সভা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য আরএসএস কর্মীরা মুখিয়ে ছিলেন। সভার শুরুতে কুচকাআওাজ করেন আরএসএস কর্মীরা। সভা মঞ্চে ছিল নেতাজির বিশাল ছবি। বাংলায় লেখা, ‘নেতাজি লহ প্রণাম’।

    নেতাজিই আদর্শ

    পরাক্রম দিবসের (Parakram Diwas) অনুষ্ঠানে এদিন সকাল দশটায় মঞ্চে ওঠেন মোহন ভাগবত। নেতাজিকে আদর্শ করেই এগিয়ে চলার বার্তা দেন তিনি। তুলে ধরেন নেতাজির কর্মকাণ্ড, তাঁর পরিশ্রম ও দেশের প্রতি আনুগত্যের কাহিনী তুলে ধরেন মোহন ভাগবত। তিনি আরও বলেন, ‘মেধা তো অনেরকই থাকে। কিন্তু সেই মেধাকে কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়। তা দেখিয়েছিলেন নেতাজি। তিনি সমষ্টির জন্য ভাবতেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করতে। কখনও নিজের জন্য ভাবেননি। এই পথ আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত। ব্যক্তির উন্নতি নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবতে হবে।’

    এখানেই থামেননি আরএসএস প্রধান। নেতাজির দেখানো পথেই সংঘ পরিবার যে এগিয়ে যাবে, সে কথাও বলেছেন ভাগবত। তাঁর কথায়, ‘সংঘের কাজকর্ম নেতাজির মতাদর্শে, তাঁর দেখানো পথেই চলছে। আমরাও সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। নেতাজি জীবনে অনেক ত্যাগ করেছেন। আমরাও তাই নির্বাচনে লড়ি না। আমাদের আলাদা কোনও পরিচিতি দরকার নেই। আমাদের লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে চলা, দেশকে আরও শক্তিশালী করা। নেতাজি ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। চাইলেই তিনি ইংরেজ সরকারের অধীনে মোটা মাইনের চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু সেই পথে তিনি যাননি। বরং বেছে নিয়েছিলেন কঠিন সংগ্রামের পথ। তিনি দেশ গঠনে ব্রতী হয়েছিলেন। দেশের জন্য তিনি সব কিছু ত্যাগ করেছিলেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের তপস্যা। নিজের নাম হবে ভেবে করেননি। বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংসারের মায়া ত্যাগ করে দেশের হয়ে কাজ করেছিলেন।’

    আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিনটি পালিত হয় পরাক্রম দিবস হিসেবে, কেন জানেন?

    দেশকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে নেতাজিকে পরতে পরতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। পরাক্রম দিবসে (Parakram Diwas) সেই প্রসঙ্গ টেনে মোহন ভাগবত বলেন, ‘নেতাজি দেশের জন্য লড়তেন। তার জন্য তাঁকে কম বিরোধীতার মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে কখনও তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। তাই তো কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দল গড়েছিলেন।’ উল্লেখ্য, শহীদ মিনারে আরএসএসের সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতাও। ছিলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি, দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Mohan Bhagwat: বাঙালি খাবারেই মজেছে মন! বঙ্গ সফরের প্রথম দিন হাওড়া-হুগলিতে বৈঠক ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: বাঙালি খাবারেই মজেছে মন! বঙ্গ সফরের প্রথম দিন হাওড়া-হুগলিতে বৈঠক ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এসে বাঙালি খাবারেই মন মজেছে মোহন ভাগবতের। শীতের দিনে বাংলার নলেন গুড়ের জলভরা সন্দেশ খুবই ভাল লেগেছে সংঘপ্রধানের। বুধবারই বাংলায় এসেছেন তিনি। এদিন দুপুরে চুঁচুড়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। কাপাসডাঙায় রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক তথা আরএসএস কর্মী  দীপাঞ্জন গুহর মাকে দেখতে যান মোহন ভাগবত। দীপাঞ্জন একুশের বিধানসভা ভোটে চন্দননগর বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। দীপাঞ্জনের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। 

    জলভরা সন্দেশ ভাল লাগে

    সংঘপ্রধানের খাবার আগে তা পরীক্ষা করেন ফুড সেফটি অফিসাররা। এটাই রীতি। এই সূত্র থেকেই জানা যায়, মোহন ভাগবতের মেনুতে ছিল ভাত, ঘি, ডাল, পনির, ফুলকপি, গুড়, স্যালাড। শেষে পাতা ছিল চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ। তাঁর জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। প্রায় দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি সময় দীপাঞ্জনের বাড়িতে ছিলেন আরএসএস প্রধান। এরপর এদিন চুঁচুড়া চকবাজারে বন্দেমাতরম ভবনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন হুগলির বৈঠকে আরএসএসের বঙ্গীয় শাখার বেশ কিছু জেলার প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।  সংঘের হাওড়া গ্রামীণ, তারকেশ্বর ও হুগলির সাংগঠনিক ক্ষেত্রের পদাধিকারীদের সঙ্গে সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা হয় ভাগবতের। বৈঠকের পর কলকাতায় কেশব ভবনে ফেরেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত থেকে জানানো হয়েছে এখন কলকাতায় থাকবেন সরসংঘচালক। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়ে গঠিত আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত। সংঘের নিয়ম অনুযায়ী সরসংঘচালক বছরে দু’বার প্রান্ত প্রবাস করেন। সে কারণেই এখন কলকাতায় থাকবেন তিনি। ছ’দিনের রাজ্য সফরের মধ্যে একদিকে যেমন দফায়-দফায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য BJP নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। শহিদ মিনারে জনসভা করার আগে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও মোহন ভাগবতের দেখা করার কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বর্ণ (Varna) এবং জাতিভেদ প্রথা (Caste System) তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। শুক্রবার নাগপুরে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সরসংঘ চালক ভাগবত। সেখানেই তিনি বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা বাতিলের পক্ষে সরব হলেন। তিনি এও বলেন, বর্তমান সমাজে এর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।

    বজ্রসূচি তুঁক বইটি লিখেছেন ডঃ মদন কুলকার্নি ও ডঃ রেণুকা বোকারে। এই বইটিরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেন, ভারতে এক সময় সামাজিক সাম্য ছিল। এটা ভারতীয় ঐতিহ্যেরই অঙ্গ ছিল। পরবর্তীকালে সমাজ সেটা ভুলে যায়। এর ফল হয়েছে মারাত্মক।

    আরএসএস প্রধান বলেন, বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথার মধ্যে প্রকৃত পক্ষে কোনও বৈষম্য ছিল না। এর প্রয়োজনও ছিল। তবে এখন আর এর কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন সরসংঘ চালক। তিনি বলেন, এই দুই প্রথা সম্পর্কে আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলে, আমি অবশ্যই বলব, এসব এখন অতীত। তাই ভুলে যাওয়া যাক। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, যা কিছু সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি করে, সেগুলি বন্ধ হওয়া উচিত। সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত বলেন, আমাদের আগের প্রজন্ম সর্বত্র ভুল করেছে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। আরএসএস প্রধান এও বলেন, ওই ভুলগুলি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, আপনি যদি মনে করেন আমাদের পূ্র্ব পুরষের ভুলগুলি স্বীকার করলে তাঁরা হীন হয়ে যাবেন, তা কখনওই হতে পারে না। কারণ এ ভুল করেছেন আমাদের প্রত্যেকের পূর্ব পুরুষ।

    দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) চেষ্টার কোনও খামতি নেই। দুর্গাপুজোর আগেই তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। তাঁরা তাঁকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ অভিধায় ভূষিত করেছিলেন। সেটা যে নিছক সম্মাননাই নয়, এদিন ভাগবতের এই সমাজ সংস্কারমূলক মন্তব্যই তার প্রমাণ।

     

     

  • Mohan Bhagwat: ‘‘জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়…’’, দশেরা-উৎসবে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘‘জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়…’’, দশেরা-উৎসবে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি নির্ধারণের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। নাগপুরে দশেরার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান জানালেন, যখনই কোনও দেশে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সেই দেশের ভৌগোলিক সীমানাও পরিবর্তিত হয়।

    মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এটা সত্য যে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বিশাল। জনসংখ্যার বিচার আজকাল দুটি উপায়ে হচ্ছে। এই জনসংখ্যার জন্য উপযুক্ত পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন হবে। যদি এই সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়তে থাকে তবে বোঝাও বাড়তে বাড়তে অসহ্য হয়ে উঠবে। সেজন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিকটি বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা হয়। জনসংখ্যা বিচারের দ্বিতীয় প্রকারটি হল জনসংখ্যাকে একটি সম্পদ – asset– রূপে বিবেচনা করা।’’

     

    সরসংঘচালকের মতে, সেই সম্পদকে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং তার সর্বাধিক ব্যবহারের কথা ভাবতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘সারা বিশ্বের জনসংখ্যার দিকে তাকালে একটা বিষয় মাথায় আসে। কেবল আমাদের দেশের দিকে তাকালে চিন্তাভাবনা হয়ত বদলে যেতে পারে। চিন তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নীতি পরিবর্তন করে তার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে শুরু করেছে। দেশের স্বার্থ জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিচারধারাকে প্রভাবিত করে। আজ আমরা সবথেকে তরুণ দেশ বলে পরিগণিত হই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    ভাগবত বলেন, ‘‘আগামী ৫০ বছর পরে, আজকের যুবকরা প্রৌঢ়ে পরিণত হবে, তখন তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য কত যুবক লাগবে সেই হিসাবও আমাদের করতে হবে। দেশের জনগণ তাদের প্রচেষ্টায় দেশকে যেমন সমৃদ্ধ করে, তেমনই তাদের নিজেদের ও সমাজের জীবিকা নিরাপদ করে। জনতার যোগক্ষেম এবং জাতীয় পরিচিতি ও নিরাপত্তা ছাড়াও এই কয়েকটি বিষয় স্পর্শ করে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘সন্তানের সংখ্যার বিষয়টি মায়েদের স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, শিক্ষা, ইচ্ছার সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতিটি পরিবারের চাহিদার সঙ্গেও সম্পর্কিত। জনসংখ্যা পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। মোটকথা, জনসংখ্যা নীতি অনেক কিছুকে সামগ্রিক ও সমন্বিতভাবে বিবেচনা করে প্রণয়ন করতে হবে, সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে, জনসচেতনতার মাধ্যমের সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তবেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুন ফলদায়ী হবে।’’

    তাঁর মতে, ‘‘২০০০ সালে, ভারত সরকার সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে জনসংখ্যা নীতি নির্ধারণ করেছিল। সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ২.১ এর প্রজননের হার (TFR) লাভ করা। এখন ২০২২ সালে, প্রতি পাঁচ বছরে প্রকাশিত NFHS রিপোর্ট এসেছে। যেখানে সমাজের সচেতনতা ও ইতিবাচক অংশগ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ক্রমাগত সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে ২.১ -এর কম উর্বরতার হার প্রায় ২.০-এ নেমে এসেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতনতা এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের দিকে অগ্রগতির সময়, আরও বিবেচনার জন্য দুটি প্রশ্ন উঠছে।’’

    সংঘ প্রধানের জানান, সমাজ বিজ্ঞানী ও মনোবৈজ্ঞানিকদের অভিমত অনুযায়ী, অতি ক্ষুদ্র পরিবার, ছেলে-মেয়েদের সুস্থ সার্বিক বিকাশ, পরিবারে নিরাপত্তাহীনতা বোধ, সামাজিক চাপ, একাকী জীবন ইত্যাদির কারণে ‘পরিবার ব্যবস্থা’ নিয়েও প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখা দিয়েছে। একই সময়ে, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    তিনি বলেন, ‘‘৭৫ বছর আগে আমরা আমাদের দেশে এটি অনুভব করেছি। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের তিনটি সদ্য স্বাধীন দেশ– পূর্ব তিমোর, দক্ষিণ সুদান এবং কসোভা– ইন্দোনেশিয়া, সুদান এবং সার্বিয়ার একই ভূভাগে জনবিন্যাসের অসন্তুলনের ফল এটা। যখনই কোনও দেশে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সেই দেশের ভৌগোলিক সীমানাও পরিবর্তিত হয়। জন্মহারে বৈষম্যের পাশাপাশি দেশে লোভ-লালসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ও অনুপ্রবেশও বড় কারণ। এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা উপেক্ষা করা যায় না।’’

    ভাগবত যোগ করেন, ‘‘গণতন্ত্রে জনমানসের সঙ্গে সহযোগিতার গুরুত্ব সর্বজনবিদিত। নিয়ম তৈরি করা হয়, সেটি গৃহীত হয় এবং সেই থেকে প্রত্যাশিত ফলাফল তার থেকেই পাওয়া যায়। যে নিয়মগুলি লাভ দ্রুত চোখে পড়ে, অথবা যে নিয়মগুলির উপকার সময়ের সঙ্গে চোখে পড়ে সেগুলি ব্যাখ্যা করতে হয় না। কিন্তু যখন দেশের স্বার্থে বা দুর্বলদের স্বার্থে মানুষকে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিতে হয়, সেখানে এই আত্মত্যাগের জন্য জনগণকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে, তাই সমাজে স্ব-এর বোধ ও গৌরব জাগিয়ে রাখা দরকার।’’

  • Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নারী স্বাধীনতার পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বুধবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সংগঠনের বার্ষিক দশেরা তথা বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা প্রয়োজন। প্রাপ্য সমানাধিকারও। পুরুষদের থেকে নারীরা কোনও অংশে কম নয়।’ আরএসএস শুরু থেকেই মহিলাদের অধিকার স্থাপন নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এসেছে। অতীতের উদাহরণ টেনে মোহন ভাগবত বলেন, ‘ডক্টর সাবের (ডাঃ কে বি হেডগেওয়ার) সময়কালে সমাজে কৃতিত্বপূর্ণ, বদ্ধিজীবী বলে পরিচিত মহিলাদের আরএসএস নিজেদের সংগঠনের কার্যাবলীতে অনুপ্রেরণার উৎস বলে স্বীকৃতি জানিয়েছে। অতীতে আমাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আনুসিয়াবাই কালে, ভারতীয় মহিলা সম্মেলনের প্রধান রাজকুমারী অমৃত কৌরও। ১৯৩৪ সালের ডিসেম্বরে সংগঠনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একজন মহিলা। আমি তখন সেখানকার প্রচারক ছিলাম। ঔরঙ্গবাদের কুমুদতাই রাংনেকার সেবার বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।’

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    সমাজে নারী ও পুরুষ—দু’জনেরই গুরুত্ব সমান বলে মনে করেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি একে অপরকে ছাড়া একটা সুন্দর সমাজ কখনও গড়ে উঠবে না। তাই কে শক্তিশালী, সেটা বিচার্য নয়। বরং পুরুষদের মতো নারীদেরও সব ক্ষেত্রে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে দিতে হবে স্বাধীনতাও। কারণ, একজন পুরুষের থেকে একজন নারী কোনও অংশে কম নয়। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বড় ভূমিকা রয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    সংঘ প্রধানের কথায়, ‘নারীদের ‘জগৎ জননী’ বলা হয়। অথচ ঘরে তাদের ‘দাসী’ হিসাবে গণ্য করা হয়।’ তিনি মনে করেন, এই ভাবনা চিন্তা পরিবর্তনের সময় এসেছে। নারীর ক্ষমতায়ন ঘর থেকে শুরু হওয়া উচিত। ভারতের ‘বিশ্ব গুরু’ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে নারীর ভূমিকার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ‘বিশ্বগুরু’ (বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়া) ভারত গড়তে চাই তাহলে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণও প্রয়োজন। এর জন্য অবশ্যই মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে জোর দিতে হবে। নারী ছাড়া সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।’

  • Mohan Bhagwat: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও কাজই ছোট বা হালকা নয়। সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নাগপুরে দশেরার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। একইসঙ্গে এ-ও মনে করিয়ে দিলেন, রোজগার মানেই যে শুধু চাকরি, সেই ধারণা থেকেও নিজেদের বেরিয়ে আসতে হবে।

    সরসংঘচালক বলেন, ‘‘ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন নীতি কর্মসংস্থানমুখী হবে এমনটা আশা করা স্বাভাবিক। তবে রোজগার মানে কেবল মাত্র চাকরি নয়– এই বোধও সমাজে বাড়াতে হবে। কোনও কাজই প্রতিপত্তির দিক থেকে ছোট বা হালকা নয়। কায়িক শ্রম, পুঁজি ও মেধাগত শ্রম– সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ এই বিশ্বাস ও অনুরূপ আচরণ আমাদের সবাইকে করতে হবে।’’

    মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত উদ্যোগ স্থাপনের প্রবণতাকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রতিটি জেলায় কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণের একটি বিকেন্দ্রীকৃত প্রকল্প তৈরি করতে হবে এবং তাদের জেলাতেই কর্মসংস্থান পাওয়া যেতে পারে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন ইত্যাদি সুবিধা গ্রামে উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে সহজলভ্য করতে হবে। কিন্তু করোনার বিপত্তির সময়ে কর্মরত কার্যকর্তারাও বুঝতে পেরেছেন যে সমাজের সংগঠিত শক্তিও অনেক কিছু করতে পারে।’’

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কর্মরত সংস্থা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কিছু সজ্জন ব্যক্তি, দক্ষতা বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক এবং স্থানীয় স্বয়ংসেবকরা প্রায় ২৭৫টি জেলায় স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যৌথভাবে এই পরীক্ষাটি শুরু করেছে। এই প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সফল হয়েছে, এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

    একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, মহিলাদের কর্মস্বাধীনতা এবং সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার দেওয়া বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সংঘ প্রধান বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিষয় বদলায়, কিছু হারিয়ে যায়। কিছু নতুন বিষয় এবং পরিস্থিতির জন্ম হয়। তাই নতুন রচনা নির্মাণ করতে গিয়ে ঐতিহ্য ও সমকালের সমন্বয় করতে হবে।’’

    তিনি যোগ করেন, ‘‘সেকেলে ভাবনা পরিত্যাগ করে নতুন যুগোপযোগী ও দেশানুকূল ঐতিহ্য তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে, যে চিরন্তন মূল্যবোধগুলি আমাদের পরিচয়, সংস্কৃতি, জীবন সম্পর্কে আমাদের যে মহান উল্লেখনীয় চিরন্তন সেই শাশ্বত মূল্যবোধ ইত্যাদিকে ত্যাগ করা উচিত নয়, বরং সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার আচরণ করা, যাতে তা পূর্ববৎ থাকে, তার জন্য সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। নতুন যুগ-বান্ধব ও দেশবান্ধব ঐতিহ্য তৈরি করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য

LinkedIn
Share