Tag: RSS General Secretary Dattatreya Hosabale

  • RSS: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ বাদ দেওয়ার আর্জি আরএসএস নেতার

    RSS: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ বাদ দেওয়ার আর্জি আরএসএস নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৬ সালের জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি যুক্ত করে। আরএসএস-এর ‘সরকার্যবাহ’ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) ওই দুটি শব্দ বাদ দেওয়ার জানালেন। বৃহস্পতিবারই এই মন্তব্য করেন তিনি। আরএসএস (RSS) নেতার মতে, এগুলি জরুরি অবস্থার সময়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    জোর করে আনা হয় এই দুই শব্দ

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ইন্দিরা সরকার জরুরি অবস্থার সময় একপ্রকার জোর করে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনায় ‘সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ পরিবর্তিত করে ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ যোগ করে। প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েক জন এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। জরুরি অবস্থায় ৫০ বছরের আবহে আরএসএস (RSS) নেতার এমন বিবৃতি ফের প্রশ্ন তুলল আদৌ কি এই শব্দ দুটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সংবিধানে?

    ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’

    দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হোসাবলে বলেন (RSS), ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’ প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় ২১ মাসের ওই পর্বকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলে আখ্যা দেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে (RSS)।

    সংবিধান হত্যা দিবস

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ জুনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চলা এই জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ বিষয়ে বিবৃতি দেন এবং তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার ঘটনা ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়। কংগ্রেস শুধু সংবিধানের চেতনাকেই লঙ্ঘন করেনি, উপরন্তু গণতন্ত্রকে কারাগারে বন্দি করেছিল। একাধিক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেন যে, ভারত কখনও ভুলবে না এই সময়কালকে। এই সময় দেশের সংসদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আদালতকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

LinkedIn
Share