Tag: rupee

rupee

  • RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারত (RBI)। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতীয় রুপির (Rupee) ব্যবহার বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির জন্য বিশেষ রুপি ভস্ত্রো অ্যাকাউন্ট (Special Rupee Vostro Accounts সংক্ষেপে  SRVA) খোলার প্রক্রিয়া সহজ হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য রুপিতে অর্থ জমা ও ব্যবহার করতে পারে। ফলে ভারতীয় রফতানিকারী এবং আমদানিকারীদের ডলার বা ইউরোর মতো তৃতীয় পক্ষের কোনও মুদ্রার প্রয়োজন হয় না।

    নয়া নিয়ম (RBI)

    নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলার ক্যাটাগরি-১-এ অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের জন্য এসআরভিএ খোলার আগে আর আরবিআইয়ের আগাম অনুমতি নিতে হবে না। আগে প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদাভাবে আরবিআইয়ের অনুমোদন নিতে হত। এতে সব কাজে দেরি হত। এই পরিবর্তনের ফলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজ হবে। বিদেশি ব্যাঙ্কের জন্য এই রুপি অ্যাকাউন্ট দ্রুত খোলার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আরবিআইয়ের আশা, বাণিজ্য নিষ্পত্তির গতি বাড়বে, ভারতের বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেম শক্তিশালী হবে এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে রুপিকে একটি নির্ভরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।

    আববিআইয়ের সার্কুলার

    এই পদক্ষেপটি সার্কুলার নং আরবিআই/২০২৫-২৬/৭১ এর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় এবং আরবিআইয়ের চিফ জেনারেল ম্যানেজার এন সেন্টিল কুমার স্বাক্ষর করেন। এটি বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (FEMA), ১৯৯৯-এর ১০(৪) ও ১১(১) ধারা অনুসারে গৃহীত হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী ব্যবস্থার থেকে ভিন্ন, যেখানে প্রতিটি এসআরভিএ খোলার জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্কের পৃথক অনুমোদন প্রয়োজন হত। বর্তমান বিশ্বে স্থানীয় মুদ্রা চাপের মধ্যে রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ১ মার্কিন ডলারের মূল্যমান ৮৬.৭০ রুপিতে পৌঁছেছে। বিদেশি মুদ্রার অস্থিরতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক পথজুড়ে নিষেধাজ্ঞার চলমান প্রভাব, এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক দেশের অর্থনীতিকে তাদের লেনদেন নিষ্পত্তির বিকল্প বৈচিত্র্যময় করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ভারত ইতিমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং মলদ্বীপের সঙ্গে মউ (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যা স্থানীয় মুদ্রায়, বিশেষত রুপিতে লেনদেনকে (Rupee) সক্ষম করবে।

    ভারতীয় রুপির কাঠামো

    ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ জুলাই ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য ভারতীয় রুপির কাঠামোর একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার পর এসেছে। ওই কাঠামোর অধীনে ভারতীয় রফতানিকারী ও আমদানিকারীদের জন্য বিশেষ ভোস্ট্রো রুপি অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল, যাতে তাঁরা তৃতীয় দেশের মুদ্রা, যেমন ডলার বা ইউরো ব্যবহার না করেই রুপিতে পণ্য বিল, অর্থপ্রদান এবং বাণিজ্যিক লভ্যাংশ পেতে পারেন (RBI)। নয়া ব্যবস্থায় এসআরভিএর জন্য আরবিআইয়ের আগাম অনুমতির প্রয়োজন নেই। এডি ক্যাটেগরি-১ ব্যাঙ্কগুলি এখন তাদের সম্পর্ক থাকা বিদেশি সমতুল্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরাসরি এসআরভিএ খুলতে পারবে, আরবিআইয়ের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে এবং ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের সদস্য ও গ্রাহকদের এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। প্রক্রিয়াগত বাধা দূর হলেও ব্যাঙ্কগুলিকে এখনও বিদ্যমান ফেমা আইন, কেওয়াইসি নির্দেশিকা, অর্থপাচার প্রতিরোধ নীতি এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিধি মেনে চলতে হবে।

    সুবিধা পাবেন কারা

    ভারতের বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিরা এখন তাঁদের ভারতীয় রুপি অ্যাকাউন্ট, বিশেষ নন রেসিডেন্ট রুপি অ্যাকাউন্ট এবং এসআরভিএতে থাকা ব্যালেন্স ব্যবহার করে বিদেশে নন-ডেট (non-debt) উপকরণে, যেমন এফডিআইয়ে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ভারতীয় রফতানিকারীরা এখন বিদেশে বিদেশি মুদ্রায় মনোনীত (Rupee) অ্যাকাউন্ট খুলে রফতানি থেকে প্রাপ্ত আয় নিতে এবং সেই অর্থ ব্যবহার করে আমদানি করতে পারবেন (RBI)। প্রশ্ন হল, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? প্রথমত এর কার্যকরী দক্ষতা। অনুমোদনের ধাপ বাতিল হওয়ায় বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের অনবোর্ডিং সময়সীমা কমবে। দ্রুত কার্যকরী প্রক্রিয়াকরণ মানে ব্যবসায়িক চুক্তি প্রক্রিয়াগত জটিলতা বা বিলম্ব ছাড়াই সম্পন্ন হবে। দ্বিতীয়ত, এটি রুপিকে একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত নিষ্পত্তি মুদ্রা করার প্রচেষ্টার অংশ। তৃতীয়ত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য (RBI) রুপিতে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়। এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চতুর্থত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য আইএনআরে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়।

    ডলার সংকটে সুফল দেবে

    এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পঞ্চমত, আইএনআরে চালান করার ফলে বহু বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ধাপ বাদ যায়, যা কিছু অংশীদারের জন্য ভারতীয় পণ্য ও সেবাকে তুলনামূলকভাবে সস্তা (Rupee) করে তুলতে পারে। ষষ্ঠত, বর্তমানে ২০টিরও বেশি দেশে ৮০টির বেশি এসআরভিএ কার্যকর রয়েছে। এটি ডলার-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলেও ভারতের শক্তিশালী বাণিজ্য প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

  • Amit Shah: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি। এ নিয়ে অনেকগুলি দেশের সঙ্গে ভারতের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।” শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “নতুন সরকারের অগ্রাধিকারই হবে এটি (রুপির বাণিজ্য চুক্তি)। নির্বাচনের কারণে বিষয়গুলি স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আমি আপনাকে বলতে চাই যে, আমরা অনেক দেশের সঙ্গে আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি।”

    শাহি আলোচনায় জার্মানি প্রসঙ্গ (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “আমাদের ডেফিসিট রয়েছে। কিন্তু দেখুন, জার্মানির মতো দেশ দু’ভাবে ব্যবসা করতে পারে। ইউরো দিয়ে এবং রুপি দিয়ে। আন্তর্জাতিক মুদ্রায় ট্রেড ডেফিসিট হতে পারে, বিরাট অঙ্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আমরা আমাদের দেশীয় মুদ্রায় শিফট করতেই পারি।” জেনোফোবিয়ার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থমকে গিয়েছে ভারত, চিন, রাশিয়া এবং জাপানের মতো দেশগুলিতে। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিন সে প্রসঙ্গও এসেছে সাক্ষাৎকারে।

    মার্কিন মন্তব্যে শাহি প্রতিক্রিয়া

    শাহ বলেন, “আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কী মন্তব্য করেছেন, তা জানি না। তবে এটা তো সত্যি যে, গত দশ বছরে আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছি। আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার রোডম্যাপও তৈরি হয়ে রয়েছে।” তিনি বলেন, “এখন আমাদের রফতানি ক্রমবর্ধমান। অর্থনৈতিক উৎপাদনের জন্য ভারতকে একটি সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি বছরের পর বছর অন্যদের চেয়ে ওপরে উঠছে। তাই এখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেই, এমন ধারণা করা কারও পক্ষেই ঠিক হবে না বলে আমি মনে করি।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২০১৪ সালের চেয়ে ঢের বেশি বেড়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “২০১৪ সালে ডিম্যাটের সংখ্যা ছিল ২.২২ কোটি। বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫.১ কোটি। এই বৃদ্ধির মূল কারণ হল ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বাজারে বিনিয়োগকারী মধ্যবিত্ত-উচ্চ মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত যুবক, গৃহিনী ও অন্যদের অংশগ্রহণ।” তিনি (Amit Shah) জানান, মনমোহন সিং সরকারের আমলে শেয়ার বাজার ছিল ৮৫ লক্ষ কোটি টাকার। বর্তমানে সেটাই দাঁড়িয়েছে ৪০০ লক্ষ কোটি টাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rupee: বাড়ছে রুপির গুরুত্ব, ভারতে বিশেষ অ্যাকাউন্ট খুলেছে ২২টি দেশ!

    Rupee: বাড়ছে রুপির গুরুত্ব, ভারতে বিশেষ অ্যাকাউন্ট খুলেছে ২২টি দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্ব বাজারে জনপ্রিয় হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রা রুপি (Rupee)। তাই রুপির মাধ্যমে লেনদেনে আগ্রহী হচ্ছে বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যেই ২২টি দেশ ভারতীয় ব্যাঙ্কে ভস্ত্র অ্যাকাউন্ট খুলেছে। রুপিতে যাতে ব্যবসা করা যায়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। ডলারের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রুপির ওপর নির্ভরতা বাড়াতেই ওই ব্যাঙ্কগুলি এটা করেছে বলে শুক্রবার জানানো হল সংসদে। যেসব গ্রাহকের গ্লোবাল ব্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরাই ভস্ত্র অ্যাকাউন্ট খোলেন। এতে ডোমেস্টিক ব্যাঙ্কগুলিতে ইন্টার-ন্যাশনাল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা মেলে।

    কোন দেশগুলি জানেন?

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংহ লোকসভায় ওই ২২টি দেশের নামোল্লেখও করেন। এই দেশগুলি হল, জার্মানি, বেলারুশ, বটসোয়ানা, ফিজি, গুয়ানা, ইসরায়েল, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, মৌরিটিয়াস, নিউজিল্যান্ড, ওমান, রাশিয়া, সাইচেলস, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, কাজাখাস্তান এবং ব্রিটেন। মন্ত্রী জানান, ভারতের বাণিজ্য কমিউনিটি যার মধ্যে ক্ষুদ্র ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজও রয়েছে, তাদের ব্যবসা যাতে সহজতর হয়, সেই কারণেই এই মেকানিজম চালু করা হয়েছে।  

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাব

    গত বছর এই প্রস্তাব দেয় ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Rupee)। গ্লোবাল ট্রেড যাতে অনায়াস হয়, তাই রুপিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। রুপির প্রতি যাতে আগ্রহ বাড়ে, সেজন্য এই ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাদের তরফে। এতে রফতানিতে সুবিধা হবে। তার পরেই চালু হয় এই ব্যবস্থা। সেই মতো ঘোষণাও করা হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে। ২০২২ সালের ১১ জুলাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভারতীয় মুদ্রায় পেমেন্ট নিতে শুরু করে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এক এক করে ২২টি দেশ এ দেশে ভস্ত্র অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলে। 

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি’ পদবি মামলায় পূর্ণেশ ও গুজরাট হাইকোর্টকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় আদতে উপকৃত হয়েছে ভারতই। কারণ লম্বা দৌড়ে রুপির আন্তর্জাতিকীকরণ হবে। প্রসঙ্গত, কোনও দেশের মুদ্রার আন্তর্জাতিকীকরণ তখনই হয়েছে বলা হবে, যখন বিশ্বজুড়ে ওই মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন হবে। দ্রুত উন্নতি হচ্ছে ভারতীয় (Rupee) অর্থনীতির। ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। সেই কারণে ভারতকে সমীহ করে চলেছে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলিরও অনেকেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইন্টার-ডিপার্টমেন্টাল গ্রুপ জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে যেভাবে রুপির কদর বাড়ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মুদ্রার তকমা পাবে ভারতের রুপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে রাশিয়া (Russia)। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) উচিত শিক্ষা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকাও (USA)। রাশিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেম, সংক্ষেপে “সুইফট” (SWIFT) থেকে। যার জেরে বিপাকে পড়েছে মস্কো (Moscow)।

    একশো দিনের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। যুদ্ধের কারণ, ন্যাটোতে (NATO) যোগ দিতে চেয়েছিল ইউক্রেন। তার সেই ইচ্ছার কথা জানতে পেরেই ইউক্রেন আক্রমণ করেন পুতিন। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের পরে পরেই কার্যত দু’ভাগ হয়ে যায় বিশ্ব। একদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা। অন্যদিকে রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলি।

    আরও পড়ুন : মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। ভারতকেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে না বলেছিল জো বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। বাইডেনের সেকথা কানে তোলেনি ভারত (India)। তার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত তেল সহ নানা বিষয়ে লেনদেন চালিয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি।

    এদিকে সুইফট থেকে বেরিয়ে গেলে যেকোনও দেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেন করতে গিয়ে বিষম সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ তখন আর মার্কিন ডলারে লেনদেন করা যায় না। এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে মস্কো। তবে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার পাশ থেকে সরে গেলেও, ভারত যায়নি। এখনও ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যিক লেনদেন চলছে। 

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    তবে কীভাবে পরিশোধ করা হবে মূল্য? দুই দেশই ঠিক করেছে “রুপি-রুবল”-এর (Rupee Ruble mechanism) মাধ্যমে চলবে লেনদেন। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত।

LinkedIn
Share