Tag: Russia

Russia

  • Delhi Blast: বিশ্বকে চমকাতে ভারতের বুকে বিস্ফোরণ! নেপথ্যে কি সেই আমেরিকার হাত?

    Delhi Blast: বিশ্বকে চমকাতে ভারতের বুকে বিস্ফোরণ! নেপথ্যে কি সেই আমেরিকার হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারত (Delhi Blast) সফরে আসার কথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Delhi Red Fort Explosion)। নতুন বছরের প্রথম দিকেই নয়াদিল্লি আসার কথা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুরও। ভারতের এই দুই বন্ধু রাষ্ট্রনেতার সফরের ঠিক আগে আগেই খোদ দিল্লির বুকে জঙ্গিদের এই বিস্ফোরণ ঠিক কীসের ইঙ্গিত, উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির হাতে একে একে ধরা পড়ছে মডিউলের মাস্টারমাইন্ডরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় জঙ্গিরা।

    উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (Delhi Red Fort Explosion)

    সোমবার সকালেই দিল্লির উপকণ্ঠে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি দল হরিয়ানার ফরিদাবাদে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এর ঠিক পরেই সোমবারই সন্ধ্যায় জঙ্গিদের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি। এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র স্পষ্ট। সূত্রের দাবি, দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় ভবিষ্যতের সিরিয়াল বিস্ফোরণ করার ছক ফাঁস হয়ে যায়। সেই কারণেই জঙ্গিরা তড়িঘড়ি করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি হরিয়ানার। সেটি তৈরি হয়েছিল ২০১৩ সালে। কেনা হয়েছিল জনৈক মহম্মদ সলমনের নামে।

    সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না!

    ফি বারই জঙ্গি হামলার পরে বামেরা একটি তত্ত্ব বাজারে ছড়িয়ে দেন, সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না এবং দরিদ্র পরিবারের ছেলেদের টাকার জন্য সন্ত্রাসের কাজে লাগানো হয়, এই জাতীয় নানা তত্ত্ব। কিন্তু গত কয়েকদিনে তদন্তকারীরা ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, দুই কাশ্মীরি চিকিৎসক ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ আদিল রাথেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় ফরিদাবাদের বাসিন্দা শাকিলের সহযোগী মহিলা চিকিৎসক-শিক্ষক তথা জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেড ‘জামাত-উল-মোমিনাত’-এর ভারতীয় শাখার প্রধান শাহিন শাহিদকে। উঠে আসে আরও এক চিকিৎসক মহম্মদ উমরের নাম। সে ছিল পলাতক। সে-ই হল এই আত্মঘাতী জঙ্গি উমর। তদন্তকারীদের অনুমান, সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই উমর ভয় পেয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় লালকেল্লার কাছে (Delhi Red Fort Explosion)। এ থেকে স্পষ্ট যে, এরা তিনজনেই উচ্চ শিক্ষিত, পেশায় চিকিৎসক। এই বিস্ফোরণের পেছনেই বা কারা? এই জঙ্গিরা তো হাতের পুতুল। জেনে নেওয়া যাক, তাদের Delhi Blast) টিকিটা কোথায় বাঁধা।

    পুতিন-নেতানিয়াহু

    বছর শেষ হওয়ার আগেই ভারতে সফরে আসার কথা পুতিনের। আসার কথা নেতানিয়াহুরও। ইজরায়েলকে দুর্বল করতে ‘ইসলামিক ন্যাটো’ গঠনের ডাক দিয়েছে পাকিস্তান। সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করে ইসলামাবাদ ওই কৌশল বাস্তবায়িত করতে পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর থেকে রাওয়ালপিন্ডির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিফ মুনির বারবার ভারতকে পরমাণু আক্রমণের হুমকি দিয়ে আসছেন। এই জটিল ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইজরায়েল ও ভারত নিজেদের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে তৎপর বলে মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবর, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইজরায়েল থেকে নয়াদিল্লিতে আসার কথা ইহুদি নেতানিয়াহুর। এই সফরে সন্ত্রাস দমনে ভারতের সঙ্গে তাঁর একাধিক অত্যাধুনিক সামরিক সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ

    এদিকে, ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনও ভারত সফরের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ক্রেমলিন সূত্রে খবর, এই সফরটি (Delhi Blast) সম্ভবত এই ডিসেম্বরেই হতে চলেছে। এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ করে তুলতে যথেষ্ট উদ্যোগী পুতিনও। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তখনই পুতিনের ভারত সফর নিয়ে আলোচনা হয়। ডিসেম্বরের ৫ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে তিনি নয়াদিল্লি আসবেন বলে অনুমান। ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাংহাই সামিটেও মুখোমুখি হয়েছিলেন পুতিন। সেখানে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনাও হয় (Delhi Red Fort Explosion)। উল্লেখ্য যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    পড়শি দেশে পুতুল সরকার

    পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ, ভারতের এই দুই পড়শি দেশেই পুতুল সরকার বসিয়েছে আমেরিকা। বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস কিংবা পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সুতো রয়েছে আমেরিকার হাতে। ভারতেও পুতুল সরকার বানাতে চায় আমেরিকা। এশিয়া মহাদেশ কিংবা তামাম বিশ্বে ভারত বিশ্বশক্তি হয়ে উঠুক, এটা কখনওই চায়নি আমেরিকা। সেই কারণেই গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে কোমর কষে নেমে পড়েছিল মার্কিন প্রশাসন। যদিও, তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ভারতের শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই কোনওভাবেই আমেরিকা কব্জা করতে পারছে না এশিয়ার এই শক্তিধর দেশটিকে। তার ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চলতি বছর (Delhi Blast) অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ হীরে, সোনা ও তেল আমদানি করেছে ভারত। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসেই রাশিয়ার হীরে রফতানি বেড়ে হয়েছে ৩১.৩ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। নানা সময় ভারত প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ট্রাম্প প্রশাসনকে এই বার্তা দিয়েছে যে, আমেরিকার কথায় ভারতের বৈদেশিক নীতি ঠিক হবে না (Delhi Red Fort Explosion)। নয়াদিল্লি তার বিদেশ নীতি ঠিক করবে ভারতবাসীর ভালো-মন্দের কথা ভেবেই। এখানেই উঠছে সেই অমোঘ প্রশ্ন, রাশিয়া এবং ইজরায়েলের রাষ্ট্রনেতাদের সফরের আগে আমেরিকার মদতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের দিয়ে এই সিরিয়াল বিস্ফোরণের ছক কষা হয়নি তো?

    সন্ত্রাসের ইন্সট্রুমেন্ট

    নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে সব সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাকিস্তান হচ্ছে সন্ত্রাসের একটা ইন্সট্রুমেন্ট। আর তাকে পরিচালনা করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। ভারতের (Delhi Blast) অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে যে গাড়িটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেটির মালিক দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক ওমর মহম্মদ। অর্থাৎ গাড়িটি হাতবদল হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় দুই চিকিৎসক-জঙ্গিকে। তাতেই ঘাবড়ে গিয়েই উমর তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Delhi Red Fort Explosion)।

    আমেরিকা এবং আমেরিকা

    সূত্রের দাবি, পরিকল্পনা অনুযায়ী, এটি ছিল সিরিয়াল বিস্ফোরণ হওয়ার কথা। কিন্তু ষড়যন্ত্রের অন্যতম দুই চাঁই ধরা পড়ে যেতেই তাড়াতাড়ি ঘটিয়ে দেওয়া হয় বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণে যে পাকভূম ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পাকিস্তান সন্ত্রাসের একটা টুল মাত্র। এই টুল ব্যবহার করে কে? উত্তরটিও সকলেরই জানা! আমেরিকা। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেছে আমেরিকা। ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান আসিফ মুনির আমেরিকায় গিয়ে ভারতকে হুমকি দিচ্ছেন। পাকিস্তানের এই সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভোজ সেরেছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট! আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বরাজনীতির ইতিহাসেও যা বিরলতম ঘটনা বলেই দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। এঁদের একটা বড় অংশেরই দাবি, এর আগে কোনও দেশের সেনা প্রধানের সম্মানে ভোজের আয়োজন করেননি আমেরিকার কোনও প্রেসিডেন্ট, যা করে দেখিয়েছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ট্রাম্পই আবার ভারতের (Delhi Blast) প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করছিলেন। বন্ধুর বুকে ছুরি মারতেই কি আস্তিনে লুকানো বাঘনখ বের করছে আমেরিকা? চিনের পাশাপাশি ভারতও যাতে এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর দেশ হয়ে আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ হতে না পারে, তাই কি নয়াদিল্লিকে এভাবে অস্থির করে তুলতে চাইছে সিআইএ? কোটি টাকার এই প্রশ্নটাই এখন ঘোরাফেরা করছে ভারতের রাজনীতির আকাশে (Delhi Red Fort Explosion)।

  • India: ‘পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত’, দাবি রুশ রাষ্ট্রদূতের

    India: ‘পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত’, দাবি রুশ রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর হয়েছে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা। তা সত্ত্বেও ভারত (India) এখনও রাশিয়া (Russian Oil Imports) থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের হিসেবে ভারত প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১৭ লাখ ব্যারেল রুশ তেল কিনছে। এ মাসেও গড়ে এই পরিমাণ তেল কেনা চলছে।”

    রাশিয়ান ফিডস্টক (India)

    আলিপভ বলেন, “অক্টোবরের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, ভারত এখনও বিপুল পরিমাণ রাশিয়ান ফিডস্টক কিনছে। সাম্প্রতিক সময়ের মতোই প্রায় প্রতিদিন ১৭.৫ লাখ ব্যারেল।” তিনি বলেন, “এই সংখ্যাটি আগেও ওঠানামা করেছে, এখনও করছে। কখনও কিছু মাসে বেশি, কখনও কম। তবে গড় প্রায় একই রয়েছে।” ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার পর পরই এমন মন্তব্য করেন আলিপভ (India)।

    নতুন করে নিষেধাজ্ঞা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রসনেফত এবং লুকোইলের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এরাই একসঙ্গে রাশিয়ার মোট অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৫৭ শতাংশ উৎপাদন করে। নয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী ২১ নভেম্বর থেকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ান ক্রুড এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে যে, দেশের জ্বালানি নীতি জাতীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ফের বলেন, “ভারতের তেল ক্রয়–নীতি বৈশ্বিক বাজারের পরিস্থিতি এবং দামের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। দেশের ১৪০ কোটি নাগরিকের জন্য স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই শক্তি–সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় দায়বদ্ধতা এবং অর্থনৈতিক প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই দিব্যি রাশিয়া (Russian Oil Imports) থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জেরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতকে। তা সত্ত্বেও দেশবাসীর স্বার্থে রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে নয়াদিল্লি (India)।

  • MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত তেল ও গ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকারী দেশ। অস্থির জ্বালানি পরিস্থিতিতে ভারতীয় উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতিগুলি সম্পূর্ণভাবে এই লক্ষ্য সামনে রেখেই পরিচালিত হয়।” এক বিবৃতি জারি করে এ কথা সাফ জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত তেল কেনার (Russian Oil) বাজারকে আরও বিস্তৃত এবং বৈচিত্রময় করতে চায়। জ্বালানি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের আলোচনাও চলছে।” যদিও সরাসরি ট্রাম্পের দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত।

    ট্রাম্পের দাবি (MEA)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “তিনি (মোদি) আমার বন্ধু, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় আমরা খুশি ছিলাম না। কারণ এর ফলে রাশিয়া এই হাস্যকর যুদ্ধ (ইউক্রেনের সঙ্গে) চালিয়ে যেতে পেরেছে,  যেখানে তারা পনেরো লাখ মানুষ হারিয়েছে।” তিনি এও বলেন, “আমি খুশি ছিলাম না যে ভারত তেল কিনছে (রাশিয়া থেকে)। আর (মোদি) আজ আমায় আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে তাঁরা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবেন। এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এখন আমাদের চিনকে দিয়েও একই কাজ করাতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত হয়ত এখনই রাশিয়া থেকে তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না, তবে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে গিয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন বার্তার প্রেক্ষিতেই এদিন মুখ খুলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক।

    সস্তায় অপরিশোধিত তেল

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ভারত। রাশিয়ার ওপর এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (MEA)। যার ফলে দাম কমতে থাকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের। প্রত্যাশিতভাবেই ০.২ শতাংশ থেকে ভারতে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা চালিয়ে যেতে থাকে ভারত। যার জেরে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও দমানো (Russian Oil) যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভারতের আগের অবস্থানেও যে কোনও বদল হয়নি, এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতেই তা স্পষ্ট (MEA)।

  • Trump Tariffs: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ান তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত

    Trump Tariffs: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ান তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু (Trump Tariffs) উপেক্ষা করেই চলতি মাসে ভারত ব্যাপকভাবে আমদানি বাড়িয়েছে রাশিয়ান তেলের (Russian Oil)। ভারতীয় তেল কোম্পানিগুলি প্রতিদিন রাশিয়া থেকে প্রায় ৩ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনছে। অগাস্টের তুলনায় চলতি মাসে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।

    বাড়তি ছাড় (Trump Tariffs)

    এই বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হল ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য রাশিয়ার দেওয়া বাড়তি ছাড়। জুলাই মাসে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১ থেকে ২.৫ মার্কিন ডলার, সেখানে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩–৪ ডলার। এর ফলে আগামী মাসগুলিতেও ভারতে যে রাশিয়ান তেলের প্রবাহ বজায় থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ান তেল আমদানি করায় ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। বর্তমানে ভারত ও ব্রাজিল এই দুই দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব চেয়ে বেশি শুল্কের মুখোমুখি, উভয়ের ক্ষেত্রেই এই হারের পরিমাণ ৫০ শতাংশ। তবুও ভারত এখনও রাশিয়া থেকেই অন্য যে কোনও সরবরাহকারীর তুলনায় বেশি অপরিশোধিত তেল কিনছে। ভারতীয় রিফাইনারিগুলি সরবরাহের উৎসকে বৈচিত্র্যময় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও আফ্রিকান কয়েকটি দেশ থেকেও তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত।

    বাজার দর

    সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজার দর অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৮.৪৫ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার ইউরালস প্রকারভেদ, যা ভারত বিপুল পরিমাণে আমদানি করে, তার দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬২.৮৯ মার্কিন ডলার। এর ওপর মস্কো অতিরিক্ত ৩–৪ ডলার ছাড় দিচ্ছে (Russian Oil)। তাই ভারতীয় জীবাশ্ম জ্বালানি কিনতে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ব্যারেল প্রতি ৫৮–৫৯ ডলার (Trump Tariffs)। সম্প্রতি ব্রেন্ট ও ইউরালসের বাজার মূল্যের ব্যবধান গড়ে প্রায় ৬ মার্কিন ডলার হয়েছে।
    বর্তমানে ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেল ৬৬.৬৮ মার্কিন ডলার, আর ইউরালসের দাম ৬৩.১৯ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার সর্বশেষ দেওয়া ছাড় হিসেব করলে দেখা যায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি প্রতি ব্যারেল মাত্র ৫৯–৬০ মার্কিন ডলারে চুক্তি করছে। এটি রাশিয়ার তেল সরবরাহকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে (Trump Tariffs)।

  • Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অটল জেদের কাছেই হার মানতে চলেছেন মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! অন্তত ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি আনন্দ নাগেশ্বরনের বলা কথায় মিলল তারই ইঙ্গিত। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, তিনি আশা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীঘ্রই ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করবে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারস্পরিক শুল্ক কমাবে। নাগেশ্বরনের বক্তব্যে আশার আলো দেখছেন চড়া শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রফতানিকারীরা।

    ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার বক্তব্য (Indian Goods)

    নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগেশ্বরন জানান, অগাস্ট মাসে ওয়াশিংটন যে ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছিল, তা নভেম্বরের শেষের দিকেই প্রত্যাহার করা হতে পারে। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৩০ নভেম্বরের পর এই শাস্তিমূলক শুল্ক আর থাকবে না। এটি কোনও সুস্পষ্ট সূচক বা প্রমাণের ভিত্তিতে আমি বলছি না, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এটি আমার আশা। আমি বিশ্বাস করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শাস্তিমূলক শুল্ক নিয়ে একটি সমাধান হবে এবং আশা করি পাল্টা শুল্ক সম্পর্কেও সমাধান হবে।”

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত, পারস্পরিক শুল্ক, যা বর্তমানে ২৫ শতাংশ রয়েছে, তা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে আনা হতে পারে। তিনি জানান, সামগ্রিক শুল্কবিষয়ক বিরোধের সমাধান হতে পারে আগামী ৮–১০ সপ্তাহের মধ্যেই। তিনি অবশ্য এও জানিয়ে দেন, এটি তার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন, কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তার ভিত্তিতে নয় (Indian Goods)। প্রসঙ্গত, নাগেশ্বরনের এই মন্তব্য এসেছে এমন একটা সময়, যার কয়েক দিন আগেই ভারতের প্রধান বাণিজ্য আলোচক, বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল নয়াদিল্লিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এটি ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক, যেহেতু ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে ভারতীয় রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত চড়া শুল্ক হার ঘোষণা করেছিল। কারণ হিসেবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনই মস্কো থেকে জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে ভারত (Indian Goods)।

  • Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক পোক্ত করতে চাইছে রাশিয়ার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও (Donald Trump)। বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার ভারতের সঙ্গে তার অটল বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করল রাশিয়া। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক (Trade Talks) নিয়ে রাশিয়ার আশ্বাস, নয়াদিল্লির সঙ্গে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ব্যাহত করতে বহিরাগত শক্তির যে কোনও প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটিতে জারি করা এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক স্থির এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এবং এই প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।” আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাশিয়ার সঙ্গে বহুমুখী সহযোগিতার প্রতি ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে, যাকে রাশিয়া দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের চেতনা ও ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেছে।

    ভারত অপরিহার্য খেলোয়াড় (Donald Trump)

    এদিকে, দেরিতে হলেও শেষমেশ বোধহয় হয়েছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি স্বীকার করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যস্থতা করা তার আগের ধারণার চেয়েও কঠিন বলে প্রমাণিত হচ্ছে। ওয়াশিংটন নয়াদিল্লির সঙ্গে স্থগিত থাকা বাণিজ্য আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে এগিয়ে চলেছে। আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দুই দেশের ভারতকে নিয়ে এই দড়ি টানাটানি নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় অবস্থানকেই তুলে ধরছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ভারত মস্কোর একটি স্থিতিশীল অংশীদার এবং ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক গণনায় এক  অপরিহার্য খেলোয়াড় (Trade Talks)।

    যৌথ প্রকল্পে কাজ

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পারমাণবিক শক্তি উন্নয়ন, মানবযুক্ত মহাকাশ অভিযান, এবং রাশিয়ায় তেল অনুসন্ধানে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। দুই দেশ একই সঙ্গে কাজ করছে তাদের জাতীয় মুদ্রা ব্যবহারে পেমেন্ট সিস্টেম বিস্তৃত করার এবং বিকল্প পরিবহণ ও নয়া রুট তৈরিতে। এই উদ্যোগগুলিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বর্তমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল কোনও ব্যবস্থাই নয়।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা

    মার্কিন (Donald Trump) রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তার পরেও রাশিয়া থেকে নিয়মিত তেল কিনে চলেছে ভারত। পশ্চিমী চাপ উপেক্ষা করেও নিজের সিদ্ধান্ত অটল থাকায় নয়াদিল্লির ব্যাপক প্রশংসাও করেছে রাশিয়া। শুধু তাই নয় (Trade Talks), স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অটল থাকায় নয়াদিল্লিকে সাধুবাদও জানিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রতিনিধিত্ব করে। এই অংশীদারিত্বে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্ককে।”

    ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ

    রাশিয়ার এহেন প্রশস্তিবাক্য এসেছে এমন একটা সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ দিচ্ছেন রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে। এই জন্যই চাপানো হয়েছে চড়া শুল্ক। তার পরেও ভারত মস্কোর সঙ্গে তার জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবসা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। রাশিয়া একে “বিশ্বাসভিত্তিক, দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব” বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে, প্রথম থেকেই ভারতকে চাপে ফেলতে নানা চেষ্টা করে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানো হল ৫০ শতাংশ। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার নিট ফল, ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফেল। ট্রাম্প এবার ইউকে-কে বলল ভারত থেকে তেল না কিনতে। কিন্তু মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির স্বার্থে মাথা নোয়াল না ব্রিটেনও।

    ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ

    আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল ট্রাম্পের পরিকল্পনা। জি-৭ গোষ্ঠীকেও ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয় (Trade Talks)। শেষমেশ নেটোকে বলছে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করতে। কিন্তু ‘সুপার পাওয়ার’ হতে চলা ভারতের ওপর শুল্ক চাপাতে অস্বীকার করে একের পর এক মিত্র দেশগুলি। উল্টে রাশিয়া ও চিন ভারতকে সমর্থন করে মোদির হাত শক্ত করল। এসসিও-ব্রিকসকে ভাঙার পরিকল্পনাও ব্যর্থ। এহ বাহ্য। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে না পেরে এখন ট্রাম্প স্বীকার করছেন, ওটা গভীর সমস্যা। এত সহজে মিটবে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (Donald Trump) বেগ দিতে গিয়ে উল্টে একা হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। তাই মোদির প্রতি সুর নরম করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আবারও আলোচনার টেবিলে বসছে ভারত ও আমেরিকা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দিল্লিতে আসছে উচ্চস্তরের এক মার্কিন প্রতিনিধি দল। আমেরিকার প্রধান বাণিজ্য আলোচনা নেতা ব্রেন্ডেন লিঞ্চ এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাণিজ্যমন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে।” শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম না নিয়েই এ কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ট্রাম্প প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করে সরসংঘচালক বলেন, “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে। সিদ্ধান্তটি হতাশা থেকে ও চাপে পড়ে নেওয়া হয়েছে।”

    জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় জরিমানা (Mohan Bhagwat)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর চাপানো হয় ৫০ শতাংশ শুল্ক, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প বলেন, “এটি (রাশিয়া থেকে তেল কেনা) প্রকৃতপক্ষে মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে।” মার্কিন প্রশাসনের এই চড়া শুল্ক হারকে ভারত অন্যায়, অপ্রমাণিত এবং অযৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে যে, “নয়াদিল্লি কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না।”

    কী বললেন ভাগবত

    আরএসএস প্রধান বলেন, “বিশ্বের মানুষ আশঙ্কিত যে, যদি ভারত শক্তিশালী হয় তাহলে তাদের কী হতে পারে এবং তাদের নিজস্ব অবস্থান কী হবে। এ জন্য ভারতীয় পণ্যগুলিতে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” শুক্রবার ভাগবত যোগ দিয়েছিলেন নাগপুরে “ব্রহ্ম কুমারিজ বিশ্বশান্তি সরোবর” নামের একটি যোগ ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি বলেন, “মানব মনোভাব ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’-র দিকে পরিবর্তন করলে অনেক সমস্যার সমাধানই করা সম্ভব।” সরসংঘচালক বলেন, “আজকের বিশ্ব সমাধান খুঁজছে, কারণ তাদের অসম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছে না। শুধুমাত্র আমি মনোভাবের কারণে তাদের পক্ষে পথ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।” ভারত যে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এবং বিশ্বকে উন্নতির পথে পরিচালিত করতে পারে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেন সরসংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ভারত মহান দেশ। ভারতীয়দেরও উচিত মহান হওয়ার চেষ্টা করা।” তিনি আরও বলেন, “ভারত বড় দেশ এবং এটি আরও বড় হতে চায়।” বর্তমান ভারতের সামর্থ্যের উল্লেখ করতে গিয়ে ভাগবত (RSS) বলেন, “ভারত বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে এবং তামাম বিশ্বকে সঠিক পথ দেখাতে সক্ষম।”

    ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসা

    এদিন ভাগবত ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে উল্লেখ করেন কঠিন সময়ে তাঁদের স্থিরধৈর্য এবং সন্তুষ্টির কথা। বলেন, “কোনও সংকট থাকা উচিত নয়।  তবে যদি থেকেও থাকে, তাহলে সময় এলে তা পরিবর্তিত হবে। তবু, দুঃখ-দুর্দশা থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ এই একাত্মতার আত্মার কারণে সন্তুষ্ট থাকে (Mohan Bhagwat)।” প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেন। এটা কার্যকর করা হয় ১ অগাস্ট থেকে। এরই দিন কয়েক পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশে নিয়ে যান। জানিয়ে দেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় এই শাস্তি।  ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। এর পাশাপাশি তিনি ভারতকে এই বলেও সতর্ক করেন যে, যদি নয়াদিল্লি সরে না আসে, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আমেরিকার আরও অভিযোগ, ভারত রুশ তেল কিনে অন্যান্য দেশকে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে (Mohan Bhagwat) নয়াদিল্লি।

    ভারতের অনড় মনোভাব

    এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কৌশলের মুখে পড়েও ভারত তার দৃঢ় মনোভাব বজায় রেখেছে (RSS)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ বলে দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশের মানুষের স্বার্থেই। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে তিনি অন্যায়, অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন। এর ঠিক পরে পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান চিনে। সেখানে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন (Mohan Bhagwat) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তার পরেই সুর নরম করেন ট্রাম্প। ভারতকে আরও একবার ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

     

  • India US Relation: ট্রাম্পের সুর নরম, প্রত্যুত্তর দিলেন মোদিও, বিপাকে পড়েই ভোল বদল আমেরিকার?

    India US Relation: ট্রাম্পের সুর নরম, প্রত্যুত্তর দিলেন মোদিও, বিপাকে পড়েই ভোল বদল আমেরিকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর চার দিন ফোন করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (India US Relation)। সেই ফোন ধরেননি দিল্লিশ্বর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তারপর ফের একবার রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতকে চোখ রাঙিয়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যায় ভারত। ট্রাম্পের হুমকিকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে চিনে আয়োজিত এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই, ট্রাম্পের উদ্দেশে পুতিন সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের সঙ্গে কেউ এধরনের আচরণ করতে পারে না। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে মার্কিন প্রশাসন। তার ওপর মঙ্গলবার ট্রাম্পকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন চিনা প্রেসিডেন্টও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কারণেই ফের ভারতের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘মৈত্রী’র বার্তা মোদির (India US Relation)

    সম্প্রতি একটি পোস্টে নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ইঙ্গিত দেন, থমকে যাওয়া বাণিজ্য আলোচনায় নয়া গতি আসার। এবার ‘মৈত্রী’র বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং স্বাভাবিক পার্টনার। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের বাণিজ্য আলোচনা ভারত-মার্কিন পার্টনারশিপের অসীম সম্ভাবনাকে আনলক করার পথ প্রস্তুত করবে। আমাদের টিম এই আলোচনা দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য কাজ করছে।” প্রধানমন্ত্রীর এহেন ট্যুইট-বার্তার ঠিক আগে আগে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি নিশ্চিত যে আমাদের দুই মহান দেশের সফল সমাপ্তিতে পৌঁছতে কোন সমস্যা হবে না!” তিনি লিখেছেন, আমি আশা করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলব। ট্রাম্পের এই বার্তার পর প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলার প্রত্যাশা করছেন। তিনি লেখেন, “আমরা এক সঙ্গে কাজ করব যাতে আমাদের উভয় দেশের মানুষের জন্য উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যায়।”

    প্রমাদ গোণে ট্রাম্প প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। করা হয় জরিমানাও। ট্রাম্প ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’ উল্লেখ করেন। তাঁর সহকর্মীরা ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট’ আখ্যা দেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এর আগে ট্রাম্প নিজেই অভিযোগ করেছিলেন, ওয়াশিংটন ভারতকে হারিয়েছে সব চেয়ে অন্ধকার চিনের কাছে। চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের একই মেরুতে জিনপিং-মোদি-পুতিনকে দেখে (PM Modi) প্রমাদ গোণে ট্রাম্প প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে (India US Relation), তার পরেই সুর নরম করতে শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি তাঁর সুর নরম করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে “বিশেষ” বলে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী পাল্টা বলেন, “আমি ট্রাম্পের ইতিবাচক মনোভাব সার্বিকভাবে মূল্যায়ন এবং সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাবর্তন করছি।” মার্কিন অর্থমন্ত্রকের সচিব স্কট বেসেন্ট, যিনি রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতকে কঠোর আক্রমণ করেছিলেন, তিনিও ‘টোন ডাউন’ করে বলেন, “আমি মনে করি দিনের শেষে, দুটি মহান দেশ এই সমস্যার সমাধান করবে।”

    ভোল বদলের কারণ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই ভোল বদলের একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, আমেরিকা বরাবর চায়, ভারত-চিন উত্তেজনা চিরকাল বজায় থাকুক। সেই চিনকে যখন রাশিয়া এবং ভারতের সঙ্গে এক সারিতে দেখল ট্রাম্প প্রশাসন, তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কারণ, ভারত, রাশিয়া ও চিন একত্রে বিশ্ব জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ এবং বিশ্ব জিডিপির প্রায় এক তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের (India US Relation) সম্মিলিত বাণিজ্য ও সামরিক শক্তি আমেরিকার সমকক্ষ, কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও এগিয়ে। ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র এই ‘টোন ডাউনে’র পেছনে খানিকটা হলেও এই ভয় কাজ করেছিল যে, যদি ওয়াশিংটন শুল্ক বাড়িয়ে দেয় (PM Modi) এবং চাপ বাড়িয়ে চলে, তাহলে ভারত-রাশিয়া-চিন এক মেরুতে চলে আসবে। আর যদি তা হয়, তাহলে তা হবে আমেরিকার কাছে হুমকি স্বরূপ।

    মোদির অটল মনোভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির অটল এবং একই সঙ্গে কঠোর মনোভাবও ট্রাম্পকে বাধ্য করেছে সুর নরম করতে। কারণ, ট্রাম্প যখন ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক এবং জরিমানা আরোপ করেন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং নাগরিকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমায় বড় মূল্য দিতে হতে পারে, যদিও আমি তার জন্য প্রস্তুত।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ট্রাম্পের নাম না নিয়ে বলেছিলেন (PM Modi), “কিছু মানুষ ভারতের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। তারা মনে করে তারা সবার বস। তাই তারা কীভাবে ভারতের এত দ্রুত উন্নয়ন মেনে নেবে (India US Relation)?”

  • Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র একটি টিকা। তাতেই কমবে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়া (Russian Scientists)। মানুষের শরীরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের পরে রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) ঝুঁকি কমাতে পারবে। টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল ১০০ শতাংশ সফল বলে দাবি রাশিয়ার।

    এন্টেরোমিক্স টিকা (Cancer Vaccine)

    চার ধরনের ভাইরাসের নমুনা নিয়ে এন্টেরোমিক্স টিকা তৈরি করেছে রাশিয়া। এই ভাইরাসগুলি কম ক্ষতিকারক, তবে শরীরে ঢুকলে ক্যান্সার কোষের বারোটা বাজাতে পারবে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, টিকাটি ত্বকের সব চেয়ে বিপজ্জনক ক্যান্সার মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারবে। অগ্যাশয়, কিডনি ও ফুসফুসের ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে এই টিকা। টিকার কাজই হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া। শরীরে যদি কোনও বিজাতীয় প্রোটিন ঢোকে, তা হলে শরীর তার নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা। ক্যান্সারের সময় শরীরের নিজস্ব কোষগুলি শত্রুর মতো আচরণ করে। সেগুলির অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হয়ে যায়। ফলে টক্সিন তৈরি হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে রোধ করতে হলে প্রয়োজন অ্যান্টিবডি ও ইমিউনোসাইট।

    অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি

    এই ইমিউনোসাইট হল সেই সব কোষ, যারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে (Cancer Vaccine)। এই ইমিউনোসাইট কোষগুলিকে সক্রিয় করে তুলতেই টিকা তৈরি হয়। রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি টিকা ইমিউনোসাইটকে বেশি মাত্রায় এবং দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর তৈরিই হবে না। যদিও রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য এখনও মেলেনি। টিকাটির আরও কয়েক পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলের জন্যই অপেক্ষা চলছে। উল্লেখ্য, টিকা তৈরি ও তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনেকগুলি ধাপ থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পশুর শরীরে পরীক্ষা চলে। তার পর তিন ধাপে মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়ে টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হয়। রাশিয়ার তৈরি টিকাটি এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে খবর। রাশিয়ার (Russian Scientists) দাবি, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব সামান্যই হয়েছে (Cancer Vaccine)।

LinkedIn
Share