Tag: S

  • S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্ব একটি সমষ্টি হিসেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য পরিবেশ খুঁজছে। তবে একই সময়ে এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ হয় এবং সবার উপকারে লাগে।” ভার্চুয়াল ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে সোমবার কথাগুলি বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত ও অন্য কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর চড়া হারে শুল্ক (US Tariffs) আরোপের কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক সেই সময় জয়শঙ্করের এই কথাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য (S Jaishankar)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্য রাষ্ট্রনেতারা। এই সম্মেলনেই জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে খোলা, ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন রেখে সংরক্ষণ করা উচিত হবে।” তিনি বলেন, “যখন একাধিক ব্যাঘাত ঘটে, তখন আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এই ধরনের ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এর মানে হল আরও দৃঢ়, নির্ভরযোগ্য, অতিরিক্ত নিরাপত্তা-সহ এবং স্বল্প সরবরাহ শৃঙ্খলা তৈরি করা।”  প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ভার্চুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন মার্কিন শুল্ক এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কারণ এগুলিই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।জয়শঙ্কর বলেন, “গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক পন্থার মাধ্যমে বিশ্বকে একটি মজবুত বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নীত করতে হবে। ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এবং লেনদেন জটিল করা কোনও সাহায্য করবে না। বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে অ-বাণিজ্যিক বিষয়গুলির সঙ্গে যোগ করলেও সুবিধা হবে না।”

    ভারতের বক্তব্য

    জয়শঙ্কর ব্রিকসের সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের বাণিজ্য নীতি পুনঃপর্যালোচনা করে সদস্য দেশগুলির মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ভারতের প্রসঙ্গে বলতে গেলে আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি রয়েছে কিছু ব্রিকস অংশীদারের সঙ্গে। আমরা দ্রুত সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমরা আশা করি, আজকের সভা থেকে এই উপলব্ধিটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে সামনে আসবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য (US Tariffs) ভারতের সঙ্গে চিনের বাড়তে থাকা বাণিজ্য ঘাটতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “ভারত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে এটি সংরক্ষণ ও বিকাশ করা উচিত। শুধু তাই নয়, আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি প্রকৃত উদ্বেগের কারণ।” কোভিড অতিমারি, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহে অস্থিরতা এবং চরম জলবায়ু ঘটনা, এসবই গত কয়েক বছরে বিশ্বের প্রধান চ্যালেঞ্জের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “এই চ্যালেঞ্জগুলির মুখে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা বিশ্বকে ব্যর্থ করতে দেখা যাচ্ছে। এতগুলি গুরুতর সমস্যা অবহেলিত থেকে যাওয়ায় বিশ্বব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।”

    চিন-ভারত কাছাকাছি

    এদিকে, বৈরিতা ভুলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে চিন। ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করেছে বেজিং। সোমবার চিনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের ওপর আরোপিত ৫০ শতাংশ অন্যায় শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করে চিন। তাই ভারত ও চিনের উচিত এই চ্যালেঞ্জ এক সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা (US Tariffs)।” দুই পড়শি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত ও চিন উভয়ই সন্ত্রাসবাদের শিকার। এই (S Jaishankar) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেজিং নয়াদিল্লি-সহ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।” জাপানের বিরুদ্ধে চিনের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার জন্য শুল্ককে এক ধরনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারত ও চিনের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”

    নীতি পরিবর্তন ভারতের

    ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চ শুল্কহার চড়ানোর পর নীতি পরিবর্তন করেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে পুরানো তিক্ততা ভুলে এখন সম্পর্কের উন্নতি করতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। চিন অ্যাপ-সহ তার অনেক পণ্যের জন্য খোলা হচ্ছে ভারতের দুয়ার। এর পাশাপাশি রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপরও দ্রুত কাজ করা হচ্ছে (US Tariffs)। এক কথায়, ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া মার্কিন শুল্কের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণের জন্য এখন সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার (S Jaishankar)।

  • S Jaishankar: “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে,” তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে,” তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার মার্কিন প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান (Pakistan) সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন যে জঙ্গি ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার যে দাবি করছেন অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনিই ‘পারমাণবিক যুদ্ধ’ ঠেকিয়েছিলেন, তা ঠিক নয়।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “তাদের মধ্যে একটি ইতিহাস আছে। এবং তারা সেই ইতিহাসকে উপেক্ষা করারও ইতিহাস রাখে। এটা প্রথমবার নয় যে আমরা এই ধরনের ঘটনা দেখছি। মজার বিষয় হল, যখন আপনি কখনও কখনও সেই সার্টিফিকেটগুলি দেখেন যা কেউ সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়, তখন মনে রাখতে হবে, এটাই সেই একই সেনাবাহিনী যারা অ্যাবোটাবাদে গিয়ে আপনি জানেন কাকে খুঁজে পেয়েছিল। আসল বিষয় হল, এই দেশগুলি কেবল সুবিধার রাজনীতি করতে মনোযোগী হয়। তারা বারবার এমনটা করার চেষ্টা করে। এর কিছুটা কৌশলগত হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে অন্য সুবিধা বা হিসেব-নিকেশও থাকতে পারে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কী বললেন জয়শঙ্কর

    এদিন ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। সেখানে তিনি বলেন, “গত কয়েক মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।  ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তেলের মজুত উন্নয়নের জন্য একটি বড় চুক্তিও ঘোষণা করেছিলেন এবং আরও অনেক কিছু।” তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে বারবার উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ইসলামাবাদে (Pakistan) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। সেখানে ফের একবার “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যৌথ অঙ্গীকার” করা হয়েছে (S Jaishankar)।

  • S Jaishankar: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি,” পশ্চিমী বিশ্বকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি,” পশ্চিমী বিশ্বকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।” ঠিক এই ভাষায়ই পশ্চিমী বিশ্বকে আক্রমণ শানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ইকনমিক টাইমস ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি ভারতের রুশ তেল আমদানিকে সঠিক বলেই সমর্থন করেন। তিনি এদিন ফের একবার সাফ জানিয়ে দেন, ভারত (India) কেবলমাত্র তার জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে, এমনকি যদি তা অন্য দেশগুলির প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না-ও হয়, তাহলেও।

    জয়শঙ্করের সাফ কথা (S Jaishankar)

    তিনি বলেন, “যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার তেল পছন্দ না করে, তবে তাদের উচিত নয় ভারত থেকে সেই পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনা, যা রুশ অপরিশোধিত তেল শোধন করে তৈরি হয়।” তিনি জানান, রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত ভারতের নিজের স্বার্থে, আবার বৈশ্বিক স্বার্থেও। তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত আমরা সেই সিদ্ধান্তই নেব, যা জাতীয় স্বার্থে হবে। ভারতের মতো একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয়।”

    বিমাতৃসুলভ আচরণ!

    পশ্চিমী দেশগুলির সমালোচনার জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের তেল বাণিজ্যকে আলাদা করে দেখা উচিত নয়। একে তেলের সমস্যা হিসেবে দেখানো হয়, অথচ বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চিনের ক্ষেত্রে একই যুক্তি প্রয়োগ করা হয় না। ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।” এর পরেই ভারতের অবস্থান নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের উদ্দেশে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যদি পছন্দ না করেন, তবে কিনবেন না। কিন্তু ইউরোপও কেনে, আমেরিকাও কেনে। যদি পছন্দ না হয়, আমাদের কাছ থেকে কিনবেন না (S Jaishankar)।” জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, ২০২২ সালে যখন বৈশ্বিক তেলের দাম দ্রুত বাড়ছিল, তখন অনেক দেশই ভারতের রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়ে কোনও আপত্তি করেনি। কারণ এতে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য হয়েছিল (India)। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “সেই সময় অনেকে বলেছিল, যদি ভারত রাশিয়ান তেল কিনতে চায়, তাহলে কিনুক, কারণ এতে দামের স্থিতিশীলতা আসবে (S Jaishankar)।”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে আর বিদেশ সফরের অনুমতি নয়, জয়শঙ্করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতাকে আর বিদেশ সফরের অনুমতি নয়, জয়শঙ্করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর যাতে সরকারি সফরে বিদেশে যেতে অনুমতি দেওয়া না হয়, সেজন্য আমি বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar) অনুরোধ করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লন্ডন সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য পেশ করেছেন, তাকে ‘দেশ ও জাতীয়তাবাদী বিরোধী’ বলে দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই কারণেই বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। এদিন সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান শুভেন্দু।

    জয়শঙ্করকে চিঠি (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি জয়শঙ্করজিকে একটা চিঠি লিখেছি। ভারত সরকারের অনুমোদন নিয়ে হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় উনি যেভাবে ভারতকে ছোট করেছেন, সেই প্রসঙ্গে। সাংবাদিক যখন বলছেন, ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে যাবে, তখন উনি বলছেন, না, না, আমি মানি না। উনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছেন, না ভারতকে ছোট করতে গিয়েছেন?” এর পরেই শুভেন্দু বলেন, “আমি জয়শঙ্করজিকে বলেছি ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে আপনার। আপনি ব্যবস্থা নিন। আর এর পরে আর ওঁকে অনুমতি দেবেন না।”

    মমতাকে নিশানা

    মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “এছাড়াও, ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনকে উনি দারুনভাবে গ্লোরিফাই করেছেন। আমার বাড়ির লোক ব্রিটিশের জেলে ছিল। বিপিন অধিকারী। আমি সেটা মেনে নেব না কি আমরা তো মেদিনীপুর স্বাধীন করে দিয়েছিলাম ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার করেছিলাম। আমরা পাঁচ বছর আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি। আর আপনি গিয়ে বললেন, ব্রিটিশরা ১৯০ বছর ধরে অনেক কিছু করে দিয়ে গিয়েছে!”

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, “ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মবলিদানের মূল্য নেই যে মাটিতে বন্দে মাতরম তৈরি (S Jaishankar) হয়েছে, যে মাটি জাতীয় সঙ্গীত দিয়েছে, সেই মাটি থেকে গিয়ে আপনি ব্রিটিশের প্রশংসা করছেন?” তিনি বলেন, “কালাপানিতে যাঁরা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বাঙালি ছিলেন। একটা দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, জাতীয়তাবাদ বিরোধী, স্বাধীনতা আন্দোলন বিরোধী মানুষ। ওঁর বিরুদ্ধে সর্বত্র দেশপ্রেমিকদের আন্দোলনে নামা উচিত।”

    মমতার ব্রিটেন-প্রেম!

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “আমি ব্রিটেনকে ভালোবাসি। কারণ আমাদের মধ্যে একটি আবেগগত সম্পর্ক রয়েছে, একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে…ঐতিহ্যের দিক থেকে আমাদের ও তোমাদের।” তিনি বলেন, “১৯০ বছর ধরে তোমরা ভারত শাসন করেছ, আর বাংলা শাসন করেছ…আমরা কি তা ভুলে যাব ভারত তোমাদের সব সময় মনে রাখে, আর বাংলাও তোমাদের মনে রাখে (S Jaishankar)।”

    স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে অবজ্ঞা!

    শুভেন্দুর অভিযোগ, “লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের ঔপনিবেশিক শাসকদের প্রতি অতিরিক্ত প্রশংসার প্রতিফলন ঘটায়।” তিনি এই ধরনের মন্তব্যকে একজন বাঙালির জন্য ‘অচিন্ত্যনীয়’ বলেও অভিহিত করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ শাসন প্রতিরোধে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।” তিনি যুক্তি দেন, ঔপনিবেশিক অতীতকে মহিমান্বিত করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে অবজ্ঞা করার সমতুল।

    বিদেশের মাটিতে ভারতের সুনাম নষ্ট

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে কেলগ কলেজ। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বক্তৃতায় তিনি ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে খাটো করে দেখানোর অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের পদ্ম-বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, “একজন বক্তা যখন জোর দিয়েছিলেন যে, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা ২০৬০ সালের মধ্যে বৃহত্তম হয়ে উঠবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যানার্জি তার বিরোধিতা করে বলেন, আমি এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করব।” মমতার বক্তব্যকে শুভেন্দু কেবলমাত্র বিশ্বাসঘাতকতা ও সমস্ত বাংলার এবং ভারতীয়দের জন্য লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ব্যানার্জি ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশের মাটিতে ভারতের সুনাম নষ্ট করেছেন। শুভেন্দু মমতার মন্তব্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করার ও ভবিষ্যতে তাঁকে সরকারি বিদেশ সফরে যাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য বিদেশমন্ত্রকের প্রতি আহ্বান জানান।

    প্রসঙ্গত (Suvendu Adhikari), মুখ্যমন্ত্রীর ব্রিটেন সফর বিতর্কমুক্ত ছিল না। কেলগ কলেজেও বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। বিক্ষোভকারীরা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-সম্পর্কিত হিংসা এবং আরজি করকাণ্ডে (S Jaishankar) তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্ল্যাকার্ড ধরেছিলেন (Subhendu Adhikari)।

LinkedIn
Share