Tag: Sabarimala Gold Case

  • Sabarimala Gold Case: শবরীমালা মন্দিরে সোনা চুরি মামলায় বামনেতা দেবস্বম বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি গ্রেফতার

    Sabarimala Gold Case: শবরীমালা মন্দিরে সোনা চুরি মামলায় বামনেতা দেবস্বম বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের (Kerala) শবরীমালা মন্দিরে (Sabarimala Gold Case) সোনা চুরি মামলায় তিরুবিতামকুর দেবস্বম বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি এবং সিপিএম নেতা এ পদ্মকুমারকে গ্রেফতার করেছে এসআইটি। গত ২০ নভেম্বরেই শবরীমালা সোনার প্রলেপ কেলেঙ্কারির তদন্তে পাকড়াও করা হয়েছে তাঁকে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ষষ্ঠ অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এন বাসু এবং পদ্মকুমার উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন। দরজার ফ্রেমে সোনা না দিয়ে তামার পাত ব্যবহারের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। সোনা পাচার করে বড়সড় দুর্নীতি করা হয়েছে বলে এসআইটির দাবি।

    ষড়যন্ত্রের পিছনে বাসু এবং পদ্মকুমার (Sabarimala Gold Case)

    শবরীমালা মন্দিরে সোনার প্রলেপ কেলেঙ্কারিতে বাম নেতাদের নাম জড়িয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় এসআইটি একটি নোটিশ জারি করে জানিয়ে দিয়েছিল পদ্মকুমার যেন ২০ নভেম্বর তিরুবন্তপূরমে (Kerala) হাজির হন। উল্লেখ্য, এই বাম নেতা সোনা চুরি মামলায় বিতর্কিত প্রশ্ন তুলে চুরির প্রসঙ্গকে উস্কে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “যদি কিছু লোকের মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পান তাহলে আমরা কি করতে পারি”। ফলে ঈশ্বর এবং মানুষের বিশ্বাসের গোড়ায় আঘাত করেছিলেন এই বাম নেতা। মন্দিরের আধ্যাত্মিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। তবে এসআইটি তদন্ত করে সাফ জানিয়েছে, গোটা সোনা চুরির (Sabarimala Gold Case) পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিলেন বাসু এবং পদ্মকুমার উভয়েই।

    ব্যাঙ্ককের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে

    তদন্তে এসআইটি জানিয়েছে, মন্দিরে সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজটি তৎকালীন দেবস্বমের সম্পাদক কাটাকম্পিক সুরেন্দ্রনের পরামর্শে উন্নিকৃষ্ণন পোট্টিকেই দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যক্তিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সোনার (Sabarimala Gold Case) বদলে তামার পাত ব্যবহার করেছিলেন। একই ভাবে পদ্মকুমার এবং তাঁর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আর্থিক রেকর্ডগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবার উন্নিকৃষ্ণন পোট্টির বাড়িতেও ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর তথ্য জোগাড় করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

    সাধারণত কমিউনিস্ট নেতারা নিজেদের নাস্তিক বলে ঘোষণা করে থাকেন। তবে দেবস্বম বোর্ডের পদে বসতে কেউ পিছিয়ে থাকেন না। এমন কি মন্দিরের নানা ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপও করে থাকেন। যদি বামপন্থীরা সত্যিই সত্যিই নাস্তিক হন তাহলে হিন্দুদের মন্দিরে নিজেদের অধিকারবোধ কেন দেখাতে আসেন? আর যদি আসেনও, তাহলেই বা কেন দুর্নীতি বা মন্দিরের সম্পত্তি চুরির মতো ষড়যন্ত্রের পিছনে থেকে নেতৃত্ব দেন কেন? এই সব প্রশ্নও তুলেছেন কেরলবাসীর একাংশ ।

LinkedIn
Share