Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Nadia: ‘তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে’, বিস্ফোরক মুক্তার আব্বাস নাগভি

    Nadia: ‘তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে’, বিস্ফোরক মুক্তার আব্বাস নাগভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে। যারা সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের উৎসাহ যুগিয়েছে এই তৃণমূল সরকার। রবিবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে একটি বেসরকারি লজে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তার আব্বাস নাগভি।

    মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ার চলছে (Nadia)

    তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সাংসদ ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালন করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কেন্দ্রকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ে নামছে বিজেপি। মূলত, কর্মীদের আরও উৎসাহ বাড়াতে এদিন তিনি কৃষ্ণনগরে আসেন। একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, বিজেপি একমাত্র দল যেখানে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। কমিউনিস্ট পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস সবাই ভাঁওতাবাজির দল। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নদিয়ার দুই লোকসভা কেন্দ্রে  প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে গতবারের জয়ী প্রার্থী মহুয়া মৈত্র ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল। মহুয়া মৈত্র সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর রাজনৈতিক বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছিল। জল্পনা হচ্ছিল, তিনি কি আবারও লোকসভার টিকিট পাবেন কিনা। অন্যদিকে সদ্য বিজেপি থেকে আশা বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারীকে রানাঘাটের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করল তৃণমূল। দিন কয়েকের মধ্যেই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এরআগে রানাঘাট কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকলেও কৃষ্ণনগর ছিল তৃণমূলের দখলে। সেই কারণেই কৃষ্ণনগরকে পাখির চোখ করে রাস্তায় নামছে বিজেপি।

    তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে

    কিছুদিন আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি জনসভা করে গেছেন কৃষ্ণনগরে। শুধু তাই নয় বেশ কয়েক মাস ধরেই রাজ্য নেতৃত্ব একাধিকবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক করেছে তাদের উৎসাহ বাড়াতে। এবার সেই উৎসাহের পারদ আরও বাড়াতে কৃষ্ণনগরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তার আব্বাস নাগভি। সেই সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। তিনি বলেন, এর আগে হয় রিমোট কন্ট্রোলের সরকার চলেছে, না হয় রোবট দিয়ে সরকার চালানো হয়েছে। গত দশ বছর ধরে এমন একটি সরকার চলছে যাদের রোবট কিংবা রিমোট কিছুই নেই। নিজের শক্তিতে তৃতীয়বারের জন্য সরকারে আসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “খেলা হল বিহারে, ভাইপো যাবে তিহারে”, সন্দেশখালিতে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ সুকান্তর

    Sandeshkhali: “খেলা হল বিহারে, ভাইপো যাবে তিহারে”, সন্দেশখালিতে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার দিনই সন্দেশখালিতে ঝড় তুললেন সুকান্ত-শুভেন্দু জু়টি। তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করার পাশাপাশি মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন তাঁরা। ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) সভা করার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপরেই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ জানায়, আগামী ১০ মার্চ অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালি গিয়ে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু। সেই মতো এদিন ন্যাজাটের দক্ষিণ আক্রাতলায় সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নৌকায় করে সভার পথে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপির সভায় যোগ দেন। জনসভায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল।

    কর্মীদের কী বার্তা দিলেন সুকান্ত? (Sandeshkhali)  

    এদিন সন্দেশখালির ন্যাজাটের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠেই তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিহারে ভাইপো তেজস্বীকে ছেড়ে নীতীশ কুমারের বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুকান্ত স্লোগান দেন, “খেলা হল বিহারে, ভাইপো যাবে তিহারে।” জনতার উদ্দেশে আর্জি জানিয়ে সুকান্ত বলেন, বসিরহাট থেকে জিততে সন্দেশখালি বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে এক লক্ষ ভোটের লিড চাই। তাই, দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার তিনি আর্জি জানান। ব্রিগেডে জনগর্জনের সভা থেকে বিজেপিকে বাংলা-বিরোধী বলে তোপ দেগেছিল তৃণমূল। ন্যাজাটের সভা থেকে পাল্টা দিল বিজেপি। সুকান্ত বলেন, নরেন্দ্র মোদি বহিরাগত? মোদি বেশি বাঙালি। তিনি বাংলার মা-বোনেদের সম্মান দিতে জানেন। সব চোর ব্রিগেডে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে শিক্ষা দেবে বলে জানিয়ে সুকান্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “আগামীর রায়, চোর ভাইপোর বিদায়।”

    সারা রাজ্যে ২৫- ৩০টি সন্দেশখালি রয়েছে!

    ন্যাজাটের (Sandeshkhali) সভা থেকে শাহজাহান শেখকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “শুধু শাহজাহানকে গ্রেফতার করলেই চলবে না।”বেশ কয়েকটি নাম উল্লেখ করে শুভেন্দুর দাবি, এঁদেরকেও গ্রেফতার করতে হবে। শুভেন্দুর আরও দাবি, নরেন্দ্র মোদি গরিব মানুষকে যে রেশন সামগ্রী দিয়েছিলেন, তা লুট করেছে শাহজাহান বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘শাহজাহানের মাসি’ বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। আর এই সন্দেশখালির সঙ্গে গোটা ভারতবর্ষ রয়েছে বলে তিনি জানান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সারা রাজ্যে ২৫- ৩০টি সন্দেশখালি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হল নুসরতকে

    Lok Sabha Election 2024: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হল নুসরতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে দলীয় সভা থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই অর্থে তালিকায় কোনও চমক না থাকলেও বেশ কিছু আনকোরা মুখকে দাঁড় করিয়েছে ঘাসফুল শিবির, যাঁদের সঙ্গে রাজনীতির দূরদূরান্ত পর্যন্ত সম্পর্ক নেই। বাদ পড়েছেন বেশ কিছু নির্বাচিত সাংসদও (Lok Sabha Election 2024)। উত্তর কলকাতার দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপও দেগেছিলেন কুণাল। দেখা যাচ্ছে সুদীপকেই প্রার্থী করেছে দল। অন্যদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ পুড়েছে শাসক দলের। ঘাসফুল শিবির এবার তাই ছেঁটে ফেলতে বাধ্য হল নুসরতকে। যাদবপুরে বাদ গিয়েছেন মিমি চক্রবর্তীও। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। চলচ্চিত্র জগতের তারকাদের জনপ্রতিনিধি বানিয়ে আখেরে যে সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান হয় না, এটা বুঝতেই ৫ বছর লেগে গেল তৃণমূলের। তবে এবারেও প্রার্থী করা হয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়াদের মতো তারকা মুখদের (Lok Sabha Election 2024)।

    বিজেপিকে বহিরাগতদের দল বলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাংলার বাইরের ৩ প্রার্থী ঘোষণা অভিষেকের

    অন্যদিকে, বিজেপিকে বহিরাগতদের (Lok Sabha Election 2024) দল বলে আক্রমণ শানানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাংলার বাইরের ৩ জনকে প্রার্থী তালিকায় স্থান দিয়েছে তৃণমূল। বহরমপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে, বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে দল প্রার্থী করেছে কীর্তি আজাদকে, আসানসোলে তৃণমূলের প্রতীকে লড়বেন শত্রুঘ্ন সিনহা। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিজেপি প্রথম পর্যায়ে ১৯৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। সেখানে আসানসোলে জনপ্রিয় ভোজপুরী তারকা পবন সিং-এর নাম থাকার কারণে, তাঁকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করে তৃণমূল। যদিও অন্য কারণে পরবর্তীকালে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন পবন। প্রার্থী তালিকায় দেখা গিয়েছে প্রবীণদের আধিক্যও (Lok Sabha Election 2024)। ব্রিগেডে প্রথমবার কোনও রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিল র‌্যাম্প। যা কিনা ফ্যাশন শো’তেই দেখা যায়। এদিন দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে র‌্যাম্পে হাঁটেন মমতা।

    একনজরে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা (Lok Sabha Election 2024)  

    কোচবিহার-জগদীশ বাসুনিয়া

    আলিপুরদুয়ার-প্রকাশ চিক বড়াইক

    জলপাইগুড়ি-নির্মলচন্দ্র রায়

    দার্জিলিং-গোপাল লামা

    রায়গঞ্জ-কৃষ্ণ কল্যাণী

    বালুরঘাট-বিপ্লব মিত্র

    মালদহ উত্তর-প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়

    মালদহ দক্ষিণ-শাহনওয়াজ আলি রহমান

    জঙ্গিপুর-খলিলুর রহমান

    বহরমপুর-ইউসুফ পাঠান

    মুর্শিদাবাদ –আবু তাহের খান

    কৃষ্ণনগর-মহুয়া মৈত্র

    রাণাঘাট-মুকুটমণি অধিকারী

    বনগাঁ-বিশ্বজিৎ দাস

    ব্যারাকপুর-পার্থ ভৌমিক

    দমদম-সৌগত রায়

    বারাসত-কাকলি ঘোষ দস্তিদার

    বসিরহাট-হাজি নুরুল ইসলাম

    জয়নগর-প্রতিমা মণ্ডল

    মথুরাপুর-বাপি হালদার

    ডায়মন্ড হারবার-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়

    যাদবপুর-সায়নী ঘোষ

    কলকাতা দক্ষিণ-মালা রায়

    কলকাতা উত্তর-সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

    হাওড়া-প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়

    উলুবেড়িয়া-সাজদা আহমেদ

    শ্রীরামপুর-কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

    হুগলি-রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

    আরামবাগ-মিতালি বাগ

    তমলুক-দেবাংশু ভট্টাচার্য

    কাঁথি-উত্তম বারিক

    ঘাটাল-দেব

    ঝাড়গ্রাম-কালীপদ সোরেন

    মেদিনীপুর –জুন মালিয়া

    পুরুলিয়া-শান্তিরাম মাহাত

    বাঁকুড়া-অরূপ চক্রবর্তী

    বর্ধমান পূর্ব-ড. শর্মিলা সরকার

    বর্ধমান দুর্গাপুর-কীর্তি আজাদ

    আসানসোল-শত্রুঘ্ন সিনহা

    বোলপুর –অসিত মাল

    বীরভূম-শতাব্দী রায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: বসিরহাট আদালতে তোলা হল শাহজাহানকে, চারদিনের হেফাজত চাইল সিবিআই

    Sheikh Shahjahan: বসিরহাট আদালতে তোলা হল শাহজাহানকে, চারদিনের হেফাজত চাইল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বসিরহাট আদালতে তোলা হয় সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)। তবে, এদিন সিবিআইয়ের কনভয় যখন শাহজাহানকে নিয়ে বসিরহাটের পথে, সেই সময়েও উল্টো দিক থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি কলকাতার ব্রিগেডের দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, সেই গাড়ির কারণে মাঝেমধ্যে থমকেও গিয়েছে শাহজাহানের কনভয়। পরে,বসিরহাট আদালতে তুলে সন্দেশখালির শাহজাহান শেখকে চার দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই। তবে, আপাতত আদালতের পক্ষ থেকে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।

    কোনও কথা বলননি শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)

    ইডি-র ওপর হামলার প্রায় দুমাস ফেরার ছিলেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মিনাখাঁ থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এরপর বসিরহাট আদালতে তাঁকে তোলা হয়েছিল। সেই সময় পুলিশ তাঁকে স্পর্শ করার সাহস দেখায়নি। বাদশার মেজাজেই ছিলেন। সেবারও তিনি কোনও কথা বলেননি। তবে, জহর কোর্ট পরে সংবাদ মাধ্যমকে ভি চিহ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে, সিবিআই তাদের হেফাজতে নেওয়ার পর এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামার সময়ে কোনও কথা বলেননি শাহজাহান। তাঁর হাত ধরেই তদন্তকারীরা আদালতে নিয়ে যান। শুনানি শেষে তাঁর আইনজীবী জানান, শাহজাহানকে আরও জেরা করে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা প্রয়োজন- এই মর্মে তাঁর হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। আদালত এখনও পর্যন্ত রায় দেয়নি।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলে ধাক্কা, ভোটের আগে আড়াইশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    শাহজাহানের সঙ্গীদের নোটিস দিল সিবিআই

    গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। হিসাব মতো, তিন দিন শাহজাহানকে হেফাজতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শাহজাহানকে হেফাজতে পাওয়ার পরেই সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে তৎপর হয়েছে সিবিআই। পর পর দু’দিন তারা সন্দেশখালিতে গিয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় দিন শাহজাহানের বাড়ি, বাজার, অফিসে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকা কার্যত চষে ফেলেছে। এমনকী, ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। শাহজাহানের আট সঙ্গীকে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রায় দুই মাস পর নির্বাচনের আগেই ওসি বদল

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রায় দুই মাস পর নির্বাচনের আগেই ওসি বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) প্রায় দুই মাস পর থানার ওসিকে বদল করা হল। এই সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের অত্যাচার, জবর দখল, জমি লুট, হিন্দু বউদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ সহ একাধিক ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি, ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। এলাকার মানুষের আরও বক্তব্য, অভিযোগ করতে গেলে, পুলিশ পালটা গ্রামের মানুষকে শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজের কাছে অনুমতি নিতে বলত। এমনকী এলাকার মানুষের নামে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার মানুষকে অত্যাচার করত। আজ সন্দেশখালির অত্যাচারী তৃণমূল নেতা সিবিআই-য়ের অধীনে রয়েছে। এই অবস্থায় থানার ওসি বদলে শোরগোল পড়েছে। নতুন ওসির দায়িত্বে এসেছেন গোপাল সরকার।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Sandeshkhali)

    শনিবার সকালে বসিরহাট পুলিশ জেলা সুপারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ওসি বদলের কথা জানানো হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুইকে বদলি করা হয়েছে বসিরহাট থানায়। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার নতুন ওসি হলেন গোপাল সরকার। তিনি আগে বসিরহাট পুলিশের জেলা স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি ছিলেন। বাদুরিয়া থানার ওসি প্রশান্ত মণ্ডলকে হেমনগর কোস্টাল থানায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে বসিরহাট পুলিশ জেলায় আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা মোট ৪ জন সাব ইন্সপেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারী নেতা শেখ শাহজাহানকে নিরপাদ আশ্রয়ে রেখে দিয়েছিল পুলিশ।” ইডির উপর হামলার ৫৬ দিনের মাথায় পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর আইনি টানাপোড়নে অবশেষে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শাহজাহান। সেই সঙ্গে বার বার দফায় দফায় শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তাল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই ভাবে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা এবং দুস্কৃতীদের দৌরাত্ম্য আটকাতে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। কিন্তু ভোটের মুখে এই ওসি বদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বদলে মানুষের রাগ কতটা প্রশমিত হয়, সেটাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই হানা, ভাঙা হল ঘরের তালা

    CBI: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই হানা, ভাঙা হল ঘরের তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরায় সিবিআই হানা দেয়। তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে পৌঁচ্ছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসক শফিকুল মোল্লার বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দেয়। সন্দেশখালির ডুগরিপাড়া গ্রামে ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। বাড়ির বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকেরা। এর আগে ভুগরিপাড়া গ্রামের আরও একটি বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। দিন আলি মোল্লা নামের ওই গ্রামবাসীর ছেলে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছিলেন গোয়েন্দারা। এর পর ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা যান হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে।

    চিকিৎসকের ভা়ড়াটেদের জিজ্ঞাসাবাদ (CBI)

    কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর শাহজাহানকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার পরেই শুক্রে তাদের দল পৌঁছে গিয়েছে সেই শাহজাহানের ডেরায়। ডুগরিপাড়ার চিকিৎসকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তিনি পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক হলেও তাঁর বাড়ির দোতলায় একটি স্কুল চলে। স্কুলটির নাম সরবেড়িয়া ডুগরিপাড়া চাইল্ড অ্যাকাডেমি। এছাড়া ওই বাড়ির নীচের তলায় অনেক ভাড়াটে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, তাঁদের কেউ মুর্শিদাবাদ, কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সন্দেশখালিতে এসেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাইরে থেকে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির প্রত্যেকের পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। সিবিআইকে দেখে বাড়ির মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঘরের তালা ভেঙেছে সিবিআই

    ডুগরিপাড়ার এই বাড়ির একটি ঘরের তালাও ভেঙেছে সিবিআই (CBI)। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়ির সামনে ইডির ওপর হামলার সময়ে এই বাড়ির কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে, শফিকুল সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। চিকিৎসকের কন্যা বলেন, হঠাৎ করে ওরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আমি জানি না কেন ওঁরা এসেছেন। বাবা এখন বাড়িতে নেই। শাহজাহানকে এলাকার নেতা হিসাবে চিনি। আমাদের বাড়িতে তাঁর যাতায়াত নেই। ৫ জানুয়ারি ঘটনার দিন আমার বাবা বাড়িতেই ছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের আরও এক ‘সহচরে’র বাড়িতে সিবিআই-এর তল্লাশি

    Sandeshkhali: শাহজাহানের আরও এক ‘সহচরে’র বাড়িতে সিবিআই-এর তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আরও সক্রিয়। এবার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ‘সহচরে’র বাড়িতে তাল্লাশি অভিযানে পৌঁছাল। জানা গিয়েছে, এই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ‘সহচর’। ইতিমধ্যে শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে সিল করা তালা খুলে তল্লাশি এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় জাওয়ান, দুই ইডি আধিকারিক এবং ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। শাহজাহানের চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    কে এই শাহ জাহানের সহচর (Sandeshkhali)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে সহচরের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছে তাঁর নাম হল আবু হোসেন মোল্লা ওরফ দুরন্ত আলি মোল্লা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আকুঞ্জবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়ির একদম কাছেই ডুগরি গ্রামে দুরন্ত আলি মোল্লার বাড়ি। তিনি শাহজাহানের ভীষণ অনুগত। কিন্তু শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযান করলে এই দুরন্ত মোল্লা পলাতক বলে জানা যায়। আপাতত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে সিবিআই। জানা গিয়েছে  শাহজাহানের সঙ্গে ফোনে খুব কথা হতো তাঁর। 

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    দুরন্ত শেখ শাহজাহানের কতটা কাছের, সেই সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে এক এলাকাবাসী বলছেন, “বছর খানেক আগে দুরন্ত আলির অনুগত্যের প্রমাণ মিলেছিল। পাঁচতলা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন দুরন্ত! সরবেড়িয়া (Sandeshkhali) হাইস্কুলের উলটো দিকে শাহজাহানের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন। শাহজাহান দুরন্তকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি জান দিতে পারবে? কি দিতে পারবে? কথা শোনা মাত্রই এক নিমিষে ঝাঁপ দিয়ে দেন দুরন্ত। উঁচু স্থান থেকে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায় দুরন্তের। এরপর প্রায় ছয়মাস বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। এটাই আনুগত্য এবং সহচরের নমুনা।”

    গত ৫ জানুয়ারি ইডি তল্লাশি করতে গেলে দুরন্তই প্রথম ফোনে শাহজাহানকে খবর দেয় বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারেরা মোবাইলের সূত্র ধরে জানতে পারেন আক্রমণের দিন প্রথম ফোন করেছিলেন দুরন্ত।        

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই টালমাটাল পরিস্থিতির সূচনা হয়েছিল চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি। সেদিন শাহজাহান বাহিনী ইডি’র ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল। শাহজাহানের দাপটের কথা যতই তারপর থেকে প্রকাশ্যে এসেছে, ততই একটা প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। তা হল, তাঁর মাথায় কার কার হাত রয়েছে অর্থাৎ তৃণমূলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতা তাঁর এই ধরনের অমানবিক অত্যাচারে মদত জুগিয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই খবর পাওয়া মাত্রই সেখানকার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সাফাই গাইতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে সেদিন তিনি শাহজাহানকে ফোন করেছিলেন।

    কী বললেন বিধায়ক? (Sandeshkhali)

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “ওইদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আমি শাহজাহানকে ফোন করেছিলাম।” আর সেই ফোন তিনি নাকি নিজের ইচ্ছায় করেননি, করেছিলেন হাজি নুরুলের নির্দেশ মেনে। ফোনে তিনি শাহজাহানকে (Sandeshkhali) কী বলেছিলেন? সুকুমার মাহাতোর কথায়, “ইডির ওপর যাতে হামলা না হয়, সেই পরামর্শই আমি ওকে দিয়েছিলাম। যদিও ততক্ষণে সমস্ত ঘটনা ঘটে গিয়েছে।” তৃণমূলের প্রভাবশালী তত্ত্ব এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সামনে এসেছে। তাই সুযোগ বুঝে তৃণমূলের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরিতে নেমেছেন ওই বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি তেমনভাবে দল করি না। শুধু উন্নয়নের কাজকর্ম দেখছি।” তাঁর দাবি, তিনি রাজনৈতিকভাবে কোনও প্রভাবশালী নেতাও নন।

    ৩ মিনিটে ২৮টি ফোন? (Sandeshkhali)

    এদিকে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পর ৩ মিনিটে মোট ২৮ টি ফোন করেছিলেন শাহজাহান। তাঁর নিজের হেফাজতে ছিল দুটি ফোন। ফোনগুলি করা হয়েছিল সেখান থেকেই। যেহেতু এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমেছিল ইডি, তাই তারা শুরুতেই ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছিল। এরপর সিবিআই যখন তদন্তের নির্দেশ পায়, তখন সেই কল লিস্ট (Sandeshkhali) তারা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। তৃণমূল বিধায়কের কাছে এটা পরিষ্কার যে কল লিস্ট অনুযায়ী তাঁরও ডাক আসবে। তাই আগেভাগেই তিনি সাফাই দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন, এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পরও হয়েছিল হামলা, তদন্তে নেমে সোজা বনগাঁয় সিবিআই

    CBI: শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পরও হয়েছিল হামলা, তদন্তে নেমে সোজা বনগাঁয় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জানুয়ারি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশির পর মধ্যরাতে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে তাঁর শিমুলতলার বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান তাঁরা। সেই সময় সন্দেশখালি মডেলে হামলা চালানো হয়েছিল ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর। পরবর্তীতে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ পেয়ে তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর হামলার এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শংকর আঢ্যের বাড়ির সামনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ধরে চারপাশ ঘুরে দেখেন সিবিআই কর্তারা। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।

    সন্দেশখালি মডেলেই প্রতিরোধ (CBI)

    তদন্তভার হাতে পেয়েই সিবিআই যেমন সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে, ঠিক একই ভাবে সিবিআইয়ের (CBI) আরও একটি দল হানা দিয়েছিল বনগাঁয়। এই বনগাঁতেই রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বাধা পেয়েছিল ইডি। এখানে কোনও আধিকারিক প্রহৃত হননি ঠিকই, কিন্তু সন্দেশখালি মডেলেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল।

    ঘটনার পুনর্নির্মাণ? (CBI)

    এদিন সিবিআই যা করল, তাকে সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ বলে চলে। সিবিআই আধিকারিকরা পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে সেদিনের ঘটনার বিবরণ শোনেন। তাঁর বাড়ি ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি এলাকার কোন কোন জায়গায় কতগুলি সিসিটিভি রয়েছে, তার পরিসংখ্যান নেয় সিবিআই। একই সঙ্গে সেদিন শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় কোন জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। সিবিআই আধিকারিকরা শংকর আঢ্যের বাড়ির ছবি তোলার পাশাপাশি তার বাড়ির সামনে রাস্তায় বিদ্যুতের পোলে লাগানো সিসিটিভির ছবিও তোলেন।

    তবে তাঁদের ওপর নতুন করে যাতে কোনও হামলার ঘটনা না ঘটে, তাই সিবিআই (CBI) আগে থেকেই সতর্ক ছিল। আধা সেনা নিয়েই তারা এলাকায় ঘোরে। পুলিশকে অবশ্য এদিন আগাগোড়া তাদের সহযোগিতা করতেই দেখা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই

    Sandeshkhali: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে রয়েছে দুজন ইডির আধিকারিক এবং ফরেন্সিক দল। আজ শুক্রবার সকালে আবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এসেছে সিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়ি এবং তার আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখে গিয়েছিল। আজ সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কমপক্ষে ৫০ জন সেনা জওয়ান বাহিনী রয়েছে। গোটা বাড়িকে ঘিরে রেখেছে বাহিনী। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে যাতে পড়তে না হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। রেশন দুর্নীতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির তিন জন আধিকারিক। এরপর ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।

    সঙ্গে ফরেন্সিক দল (Sandeshkhali)

    পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক দল। এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ফরেন্সিক দলের তরফ থেকে শাহজাহানের বাড়ির (Sandeshkhali) আশেপাশের এলাকার যাওয়া-আসার ছবি স্কেচ করে নেওয়া হয়েছে। ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে এলাকার বাড়ি এবং চারিপাশের মুহুর্তকে। সেই সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডির সঙ্গে কথা বলেই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসার এবং ফরেন্সিক দলের সদস্যরা।

    ইডির বয়ানও রেকর্ড করে সিবিআই

    উল্লেখ্য হাইকোর্টের নির্দেশে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। ইডির অফিসারদের উপার হামলা, মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গতকাল তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয় নিজাম প্যালেসে। সেখানে গিয়েছিলেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরব ভারিল। গত ৫ই জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির উপর আক্রমণে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনিই এই মামলার এফআইআর দায়ের করেছিলেন। একই সঙ্গে সিবিআই, ইডির বয়ান রেকর্ড করেছে। এরপর আজ শুক্রবার শাহজাহানের বাড়িতে গিতে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা।

    আগেও শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান হয়েছিল

    এর আগে শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাড়িতে দুবার গিয়েছিল ইডির তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রথম বার ঢুকতে বাধা পেয়েছিল এবং আক্রান্ত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল। দ্বিতীয় বার এই তৃণমূল নেতার বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঢুকেছিল ইডির অফিসারেরা। এরপর ফাঁকা বাড়িতে তাল্লাশি চালিয়ে বাড়িটিকে সিল করে দেয় তাঁরা। এরপর আজ ফের একবার সিবিআই সিল করা তালা ভেঙে তল্লাশি শুরু করে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share