Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। পরে, তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অচৈতন্য হয়ে মাটিতে পড়়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তিনি মাটিতে পড়ে থাকেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাঁকে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, পালস রেট কমছে। অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে যোগ দিতে সড়কপথের পরিবর্তে লোকাল ট্রেনে যান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সন্দেশখালিকাণ্ডে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিজেপির সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে রাতভর ধর্না দেন সুকান্ত। গভীর রাতে তাঁকে আটক করার কিছুক্ষণ পর ছেড়েও দেয় পুলিশ। বুধবার সকাল হতেই আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বুধবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সুকান্ত সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। পুলিশ মাঝপথে তাঁদের আটকে দিলে, যেখানে আটকানো হবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো শুরু করবেন তাঁরা। এমনই বলেছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, ঘটনাচক্রে দেখা গেল, সেই পরিকল্পনাও বদলে ফেললেন সুকান্ত।

    টাকিতে পুলিশি বাধা, অচৈতন্য হয়ে পড়েন সুকান্ত

    বুধবার দুপুরে টাকির হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে একটি সরস্বতী প্রতিমা কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসেন সুকান্ত। ইছামতীর ঘাটে প্রতিমা বসিয়ে পুজো শুরু হয়। পরে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্যোগ নিতে টাকিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্তের (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, তিনি সন্দেশখালি যাবেনই। অন্য দিকে, পুলিশ জানায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই অনুমতি মিলবে না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়ে যান। দেখা যায়, মুখ ঢাকা এক মহিলা হাত ধরে গাড়ির বনেট থেকে সুকান্তকে নামানোর চেষ্টা করেন। তার মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি। খানিকক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অসুস্থ সুকান্তকে তড়িঘড়ি গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে বসিরহাটের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লাগামছাড়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালি। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের কথা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে সেখানকারই সাংসদ, একজন মহিলা, তিনি কোথায়? কোথায় বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান? সেখানকার মানুষরা এবার সাংসদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন। অভিযোগ করছেন, এত সবের পরও নুসরত জাহানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর ফোন সুইচ অফ।

    সাংসদের মোবাইল সুইচড অফ, সরব মহিলারা (Sandeshkhali)

    সাংসদকে নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা বিস্ফোরক সব অভিযোগ করছেন। রাতবিরেতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহেরও অভিযোগ উঠছে। গ্রামের এক মহিলা বলেন, “নুসরত জাহানকে তো ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা তো অন্য পার্টি করি না। আমরা টিএমসি পার্টিই করি। ভোট দিই টিএমসি- কে। না দিলে তো হবে না। আমরা না দিলেও ভোট পড়ে যায়।” সাংসদ গ্রামে শেষ কবে এসেছেন, স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, “সাংসদকে আমাদের সমস্যার কথা বলতে গেলে শোনেন না তো! অনেক দিন আগে এসেছেন। দু-তিন বছরেরও বেশি আগে এসেছিলেন। একেবারে বাড়ির মেয়ের মতো আমাদের কাছে এসে কথা বলেন। কাউকে মা সম্বোধন করেছিলেন। সব সময় পাশে থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সমস্যায় পড়লে জানানোর কথা বলেছিলেন। এখন নিজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এক মহিলা বলেন, নিজের জন্য তিনি সাংসদ হয়েছেন। আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সাংসদ হয়নি।

    সাংসদ অডিওবার্তায় কী বলেছিলেন?

    সন্দেশখালিজুড়ে (Sandeshkhali) তোলপাড় চলছে। একবারের জন্য এই মাটিতে পা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি সাংসদ নুসরত জাহান। কেবল অডিও বার্তায় নুসরত বলেছেন, “আমি আগুনে ঘি ঢালব না। আমি সংসদের কাজে দিল্লিতে ছিলাম। কিছুদিন আগে ফিরেছি। দিল্লি থেকে ফিরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে, প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “কোলের একরত্তিদেরও মারধর করা হয়েছে”, চোয়ালে রক্তের দাগ নিয়ে বিস্ফোরক মহিলা

    Sandeshkhali: “কোলের একরত্তিদেরও মারধর করা হয়েছে”, চোয়ালে রক্তের দাগ নিয়ে বিস্ফোরক মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মহিলারা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নির্মম অত্যাচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। মহিলাদের অভিযোগ, “লুট করেছে, শোষণ চালিয়েছে, রাতবিরাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহ করেছে। তারা সন্দেশখালির বাইরের লোক।”

    অপরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধীরা সন্দেশখালি নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে পুলিশের সঙ্গে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এলাকায়। অবশেষে মামলায় হাইকোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    অত্যাচারিত মহিলার বক্তব্য (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক মহিলা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বলেন, “গ্রামের বাঁধ নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। এই টাকা আমাদের দেওয়ার কথা নয়। আমাদের জীবন জীবিকা রয়েছে। আমরা মার খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। আর টাকা না দিলে রাতবিরেতে লোক ঘরে এসে ঢুকে যাবে। তুলে নিয়ে যাবে আমাদের। আমাদের বাড়ির পুরুষ মানুষদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।”

    আর কী অভিযোগ?

    গ্রামের (Sandeshkhali) এক বয়স্ক মহিলা বলেন, “আমরা ১০০০ টাকার কাজ করলে ৫০০ করে টাকা দিত। না দিলে রাতে এসে তুলে নিয়ে যেত। বাড়ির সামনে কোদালের বাঁট মেরে দিয়ে যাচ্ছে। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার আমাদের এলাকার লোক নয়। আমাদের টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার ক্যামেরার সামনে মুখ খুললে আমাদের অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। আমার চোয়ালে এখনও রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। কোলের একরত্তি বাচ্চাদের পর্যন্ত মারধর করা হয়।” এই প্রসঙ্গে আরও এক মহিলা বলেছেন, “শেখ শাহজাহান কোনও মুসলমান মহিলাদের তুলে নিয়ে যায় না, বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তুলে নিয়ে যায়।” এদিকে শিবু হাজরা এখনও নিখোঁজ। অপর দিকে উত্তম সর্দার সোমবার জামিন পেলেও রাতে আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের অবশ্য দাবি, “আমার কাজ আগুনে ঘি ঢালা নয়। আমি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসনকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের অত্যাচার যেন নান্টু প্রধানের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে

    Sandeshkhali: শাহজাহানের অত্যাচার যেন নান্টু প্রধানের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষ, শাসকদলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু হাজরার মতো রাজনৈতিক নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিশেষ করে পথে নেমেছেন স্থানীয় মহিলারা। রাত হলেই বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালাত তৃণমূল নেতারা। সাধারণ মানুষের চাষের জমি, মাছ চাষের ভেড়ি দখল করে নিয়েছে এই তৃণমূল নেতারা। প্রতিবাদে সাধারণ মহিলারা রাস্তায় নেমে সোচ্চার হয়েছেন।

    এই উত্তাপের মধ্যে তৃণমূলের বর্বরতা এবং অত্যাচারের চিত্রকে মনে করাল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধানের কথা। এলাকায় দুস্কৃতী বাহিনীর তাণ্ডবে মানুষের জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছিল। চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছ চাষের জমি, গ্রামের মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক শোষণের একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কালের প্রবাহে জনরোষে নিহত হতে হয়েছিল তাঁকে।

    কে ছিলেন নান্টু (Sandeshkhali)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে তৃণমূলের শাসনের সময়ে এলাকায় একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন নান্টু প্রধান। পূর্ব মেদিনীপুর এলাকার মহম্মদপুর ২ গ্রামের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল গোটা ভগবানপুর এলাকা। এলাকায় নোনা জলে যে সোনা ফলে, সেটা খুব ভালো করে বুঝেছিলেন। নোনা জল জোর করে ঢুকিয়ে দিয়ে অনিচ্ছাকৃত মানুষের চাষের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শাহজাহানের মতো তিনিও এলাকায় দখলদারির রাজনীতি করতেন। একই ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতাবলে বিরোধীদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর এবং বাড়ির মহিলাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করতেন। জনাদাঁড়ি এবং মহম্মদপুরে দেড়শো বিঘা জমিতে ভেড়ি ছিল তাঁর।

    বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে যেতেন

    নান্টুর বাহিনীর দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা ভেঙে মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মতো এলাকার পুলিশ-প্রশাসন কোনও অভিযোগ নিতে রাজি হত না। পুলিশের কাছে কেউ সাক্ষী দিতে আতঙ্কিত হত। একই রকমের একটি মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরবেড়িয়া। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এলাকার জালামাঠে খুন হন তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। এরপর তাঁর দখল করা জমিকে কৃষকেরা ফিরিয়ে নেন।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ভগবানপুরের স্থানীয় মানুষ সনাতন, কানু প্রমুখ বলেন, “আমাদের এলাকার অন্ধকার যুগের ছবিই যেন সন্দেশখালিতে দেখতে পাচ্ছি। সংবাদ মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা আবার আমাদের উপর হওয়া অত্যচারের কথাকেই মনে করিয়ে দিল।” অপর দিকে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন রায় বলেন, “ভগবানপুরের তৃণমূলের মাফিয়ারাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই এলাকার মতো সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ রুখে দাঁড়াবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মানই ভূলুণ্ঠিত”, সরব নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মানই ভূলুণ্ঠিত”, সরব নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজগার মেলার মাধ্যমে প্রায় এক লক্ষ ছেলেমেয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল সোমবার। কেন্দ্রীয় সরকারের রোজগার মেলা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি নিয়োগ করার যে ঘোষণা দেশের প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, তা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রোজগার মেলা কর্মসূচির মাধ্যমে। তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবার রাজগঞ্জের রাধাবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৪৭ জন যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের জন্য নিয়োগপত্র তুলে দেন দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)।

    রোজগার মেলা নিয়ে কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)

    এই বিষয়ে নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ১০ লক্ষ যুবক-যুবতীকে রোজগার মেলার মাধ্যমে কর্মসংস্থান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সোমবার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় এক লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের জন্য নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা দিলে কথা রাখেন। তারই অঙ্গ হিসেবে বেকার যুবক-যুবতীদের হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল।

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব

    এদিন এই অনুষ্ঠানে এসে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে।তৃণমূল কংগ্রেসের পলাতক নেতা শেখ শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়ার পিছনে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তিনি। এদিনই সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন রাধাবাড়ি এলাকায় বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে রোজগার মেলায় যোগ দেন নিশীথ প্রামাণিক। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,”সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে তা দু:খজনক ঘটনা। রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মান ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, অশালীন আচরণ করা হচ্ছে, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের পর শিবুর কীর্তি নিয়ে চর্চা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের পর শিবুর কীর্তি নিয়ে চর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান ‘বেপাত্তা’ হওয়ার পরে হাজারো ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে গিয়েছে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ওপরে অত্যাচার সামনে আসছে বিভিন্ন অভিযোগ। অভিযোগ, গত সাত-আট বছরে এ ভাবেই সন্দেশখালি গ্রামে একরের পর এক জমি হাতিয়ে নিয়েছিলেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর বাহিনী। ইদানীং এ সবের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন গ্রামের মানুষ।

    জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে মাছ চাষ! (Sandeshkhali)

    ইডি হানা দেওয়ার পর থেকে ফেরার সন্দেশখালির (Sandeshkhali)  ডন শাহজাহান। তাঁর বাহিনী এসে এলাকা দখলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, লাভ কিছু হয়নি। এলাকার মানুষের প্রতিরোধে শাহজাহান বাহিনী পিছু হটেছে। এলাকার অত্যাচারিত মানুষ একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, জেলিয়াখালি ৬ নম্বর স্লস গেট চত্বরে বছর পাঁচেক আগে ৭-৮টি পরিবারের কাছ থেকে খুব অল্প দামে প্রায় ৮ একর জমি কেনেন শিবপ্রসাদ। সে সময়ে তিন লক্ষ টাকা বিঘা সেই জমির দাম শিবপ্রসাদ দিয়েছিলেন মাত্র এক লক্ষ টাকা করে। এই এলাকারই ৬ নম্বর পাড়ায়, যেখানে শিবপ্রসাদের পোলট্রি, সেই জমির পরিমাণও নয় নয় করে আট একর। এখানে কিছু পরিবারের বাস ছিল। তাঁরা জমি ছাড়তে চাননি। অভিযোগ, জোর করে জায়গা-জমি লিখিয়ে নিয়ে, মারধর করে তাঁদের গ্রামছাড়া করা হয় বলে অভিযোগ। জেলিয়াখালি পঞ্চায়েতের ভাঙা তুষখালি মৌজায় প্রায় ৭০০ বিঘা জমি লিজ়ে নিয়ে শিবপ্রসাদ মাছের চাষ করেন। বছর তিনেক ধরে চলছে সেই কারবার। বহু মানুষকে লিজ়ের টাকা দেননি, টাকা চাইলে উল্টে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শিবুর বাহিনীর বিরুদ্ধে। বহু জমি এভাবে দখলে রেখেছে।

    জলাভূমি ভরাট

    সন্দেশখালি-২ ব্লক অফিস ও থানার সামনে একটি জলাভূমি ভরাট করার অভিযোগ আছে শিবুর বিরুদ্ধে। মালিককে সামান্য কয়েক হাজার টাকা হাতে ধরিয়েছিলেন। শিবুর দাপটে কেউ মুখ খোলেননি সেই সময়ে। ওই জমি ভরাট করে দরমার বেড়া দিয়ে স্কুল তৈরি হচ্ছে। গ্রামের এক মহিলার কথায়, “স্কুল তৈরি তো বাহানা। আসলে জায়গাটা নজরে পড়েছে শিবুর, তাই যে ভাবে হোক দখলে রাখতেই এমন কাজ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পদে পদে তৃণমূলীদের বাধা পেয়ে সন্দেশখালি পৌঁচ্ছাতে হয়। সেখানে গিয়ে তিনি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দলের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। বসে করেই তাঁরা রওনা দেন। সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে তাঁদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    পুলিশি বাধা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়করা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন তিনটি বাসে করে বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। কিন্তু, পুলিশ সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে ব্যারিকেড করে বিজেপি বিধায়কদের বাধা দেয়। সেখানে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, অগ্নিমিত্রা পল বলেন, সন্দেশখালিতে ৬০ কিলোমিটার দূরে আমাদের আটকে দেওয়া হল। এখানে ১৪৪ ধারা নেই। তারপরও তৃণমূলের দলদাস পুলিশ এটা করল। আমাদের কেন ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? মহিলা বিধায়কদের তো যেতে দিতে পারে, সেটাও তারা দিচ্ছে না। আসলে শাহজাহানদের এই সরকার মদত দিচ্ছে। মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার হত তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেখানকার মানুষদের কথা শুনতেই আমরা সন্দেশখালি যেতাম। সেটাও পুলিশ করতে দিল না। শাহজাহানকে ধরতে পারছে না পুলিশ। আর আমাদের আটকানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

    শাহজাহান নিয়ে কী বললেন অগ্নিমিত্রা?

    ইডি ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। এখনও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। তবে, তাঁর এক শাগদের উত্তম সর্দারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে শাহজাহানের হদিশ দিলেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, রবিবার হেমনগর এলাকায় শাহজাহানকে দেখা গিয়েছে। ৬জন সঙ্গে নিয়ে স্পিড বোটে তাঁদের দেখা গিয়েছিল। তাঁরা জঙ্গলের দিকে তিনি চলে যান। আমরা সব জানতে পারছি, অথচ মমতার পুলিশ কিছুই জানতে পারছে না। আসলে শাহজাহানকে পুলিশ বাঁচাতে চাইছে। আর এসবই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    Sandeshkhali: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে এসে পার্টি ছেলেরা দেখে যেত, কার বাড়িতে সুন্দরী বউ রয়েছে। রাতে তাঁকে পার্টি অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হত। স্বামীই তাঁর সুন্দরী স্ত্রীকে পার্টি অফিসে পৌঁছে দিতেন। রাতভর নির্যাতন চালানোর পর ভোররাতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হত। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাহিনী দিনের পর দিন এই কর্মকাণ্ড করত বলে অভিযোগ। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মহিলারা। এবার তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    শাহজাহান-বাহিনী নিয়ে সরব বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    ইডির ওপর হামলার পর থেকে ফেরার শাহজাহান। তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দারকে তৃণমূল সাসপেন্ড করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। শিবু হাজরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, শেখ শাহাজাহান একা নয়, গ্রামে এরকম আরও অনেক গুন্ডা রয়েছে, যাদের অত্যাচারে এতদিনে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে গ্রামের মেয়েদের। এক মহিলা অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, “বাড়ির মেয়েদের কোনও সম্মান দেয়নি। মেয়েদের শেষ করে ফেলেছে। রাত সাড়ে দশটার সময়েও মেয়েদেরকে উঠিয়ে আনত পার্টি অফিসে। বিষয়টি সামনে আসতেই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। জানা গিয়েছে, রাজ্যেও আসতে পারে তদন্তকারী দল। গোটা ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তারা।

    রাজ্যজুড়ে মহিলাদের নির্যাতনের ভিডিও দেখাবে বিজেপি

    এই আবহের মধ্যেই সোমবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা দেন। বিজেপি-র প্রতিনিধি দলও সেখানে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এদিন দিনভর সন্দেশখালিতে উত্তেজনা রয়েছে। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনে ভিডিও বিজেপি-র পক্ষ থেকে রাজ্য জুড়ে দেখানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিজেপির সব কর্মসূচির আগে-পরে এই ভিডিয়ো ব্যবহার করা হবে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গত শনিবারই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শান্তি ফেরাতে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। অন্যথায় সোমবার তিনি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হবেন বলেও জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আজ সোমবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। পথে পুলিশ যেখানেই বাধা দেবে সেখানেই তিনি অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়বেন বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের মদতেই বাংলার মহিলাদের উপর এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সন্দেশখালির দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

    সন্দেশখালির উদ্দেশে রাজ্যপাল

    অন্যদিকে, সোমবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিপিএম ১২ ঘণ্টা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ গোটা সন্দেশখালিজুড়ে। সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। রওনা হওয়ার আগে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে তিনি বাইরে থাকার জন্য যেতে পারেননি সেখানে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ-এই খবর পেয়ে তিনি রাজ্যে ফিরেছেন।

    অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতাদের একাধিক দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সন্দেশখালিবাসীর। সেখানকার শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন মহিলারা। সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বিধানসভা থেকে রাজভবন অভিযান করে বিজেপির বিধায়ক দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারে রাজ্যের সমস্ত থানায় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। যুব মোর্চার তরফ থেকেও আন্দোলনে নামা হয়।

    আরও পড়ুন: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘গুন্ডারাজ চলছে’, কড়া বার্তা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব তফসিলি কমিশনের

    Sandeshkhali: ‘গুন্ডারাজ চলছে’, কড়া বার্তা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব তফসিলি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল করে রাজভবনে গিয়েছিল বিজেপি। সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি। এর পরই রাজ্যের থেকে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরইমধ্যে আবার শাহজাহান-উত্তম-শিবুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় তফসিলি কমিশন। সবমিলিয়ে সন্দেশখালি এখন রাজ্য রাজনীতিতে হটকেক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গুন্ডাগিরি বন্ধ করতে হবে (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিওবার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “সভ্য সমাজে কতটা কুৎসিত ঘটনা ঘটতে পারে তা সন্দেশখালিতে দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের হেনস্থা এবং নিগ্রহ করা হচ্ছে। গুন্ডারাজ চলছে সেখানে। নির্বাচিত সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে। কেউ আইনকে নিজের হাতে নিতে পারে না। গুন্ডাগিরি সেখানে বন্ধ করতে হবে। তা বন্ধ করতে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাকে সরকারের থেকে রিপোর্ট পেতে দিন। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এ বিষয়ে রিপোর্টের পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও রাজ্য সরকারকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    রিপোর্ট তলব জাতীয় তফসিলি কমিশনর চেয়ারম্যান

    এরইমধ্যে এবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কেসে নড়েচড়ে বসল ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউলড কাস্ট কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে খবর। তিনদিনের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে কমিশনের ফুল বেঞ্চ সন্দেশখালি যাবে বলে জানান জাতীয় তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। প্রসঙ্গত, এখনও খোঁজ মেলেনি শেখ শাহজাহানের। এদিকে তাঁর দুই শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালি। তৃণমূল মাথা থেকে হাত তুলতেই চাপে পড়ে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে উত্তমকে। শাসক নেতাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share