Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণার আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, তমলুক এবং কাঁথিতে দলীয় প্রার্থীরা জয়ী হয়ে নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করবেন। মঙ্গলবার ফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষ বিরোধী দলনেতার কথার ওপর আস্থা রেখেছেন। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আন্দোলনের ভূমি হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামেও বিজেপির প্রার্থী লিড পেয়েছেন। একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা আসনে জয়লাভ না পেলেও সন্দেশখালি বিধানসভার মানুষ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ওপর আস্থা রেখেছেন। আর রাজ্যে আন্দোলনের ভূমি হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রাম এবং সন্দেশখালিতে বিজেপির ওপর আস্থা রাখাই দুই বিধানসভার মানুষকে নত মস্তকে প্রণাম জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    সন্দেশখালির বাসিন্দাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সন্দেশখালি নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ট্যুইট করেন, “সন্দেশখালির মানুষকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ করে সেই সমস্ত সাহসী শক্তি স্বরূপাদের যাঁরা দৃঢ়ভাবে শ্রীমতী রেখা পাত্রের পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন। যাঁরা বসিরহাট সংসদীয় ক্ষেত্রের সন্দেশখালি বিধানসভায় রেখা পাত্রকে লিড দিয়েছেন।”

    <p

    নন্দীগ্রাম সবসময় স্বৈরাচারি বাহিনীকে প্রত্যাখান করেছে

    নন্দীগ্রামের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে অন্য আরেকটি ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, “নন্দীগ্রামের মানুষকে আমি নতমস্তকে প্রণাম ও আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা বারবার আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। নন্দীগ্রাম ২০২১ সালে আমার সমর্থনে ভোট দিয়েছিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে ছিল। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১টিতে জিতেছিল বিজেপি। সেই সঙ্গে জয় এসেছিল নন্দীগ্রাম ব্লকের ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতেও। দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তমলুক লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তখন নন্দীগ্রাম তাঁকে ৮২০০ ভোটে লিড দিয়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে নিজের হার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলছেন। ওখানে কোনও রকম ম্যানিপুলেশনের ঘটনা ঘটেনি। আসলে নন্দীগ্রাম সবসময় স্বৈরাচারি বাহিনীকে প্রত্যাখান করে এসেছে। অদূর ভবিষ্যতেও নন্দীগ্রামের মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বাকি এলাকার মানুষদের অনুপ্রাণিত করবেন।”

    <p

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: অভব্যতার চূড়ান্ত নিদর্শন! জয়ের আগেই রেখা পাত্রকে তাড়া তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের

    Lok Sabha Elections 2024: অভব্যতার চূড়ান্ত নিদর্শন! জয়ের আগেই রেখা পাত্রকে তাড়া তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবে গণনার কিছু ঘণ্টা পেরিয়েছে। আর এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে থাকার খবরে বিজয় উৎসব শুরু করেছে তৃণমূল। একাধিক এলাকা থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে আসছে। শুধু তাই নয় এবারের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে দেখা মাত্রই তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। সাময়িকভাবে এলাকায় তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। রেখাকে তাড়া করে গণনাকেন্দ্রের পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। 

    রেখাকে দেখে তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা

    এখনও পর্যন্ত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে কিছু ভোটে (Lok Sabha Elections 2024) পিছিয়ে রয়েছেন সন্দেশখালির রেখা পাত্র। জয়ের পথে এগিয়ে হাজি নুরুল ইসলাম। আর সেজন্যই বিজেপি প্রার্থীকে দেখে রে রে করে তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। 
    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে সন্দেশখালি জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। সন্দেশখালি আন্দোলন, নারী নির্যাতনের অভিযোগ রীতিমতো শোরগোল ফেলেছিল গোটা বাংলায়। সেসময় রেখা পাত্র বাচ্চা কোলে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃণমূল নেতৃত্ব ও পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। সেই রেখা পাত্রকেই টিকিট দেয় বিজেপি। গণনা শুরুর প্রথম দিকে রেখা এগিয়ে থাকলেও, পড়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। এরপর গণনাকেন্দ্র (Election Result) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রেখার গাড়ির পেছনে কার্যত তাড়া করেন তৃণমূলের কর্মীরা। তাঁকে দেখে জয় বাংলা স্লোগানও দেওয়া শুরু হয়।

    একই ঘটনা দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও  

    অন্যদিকে এই একই ছবি দেখা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রেও। সেখানেও তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের থেকে কিছু ভোটে (Lok Sabha Elections 2024) পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আর এদিন রাস্তায় দিলীপ ঘোষকে দেখেও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

    আরও পড়ুন: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ

    অন্যদিকে ফলাফল (Election Result) প্রকাশের আগেই সন্দেশখালির সড়বেড়িয়ায় বড় আজগরা, ভাটিদহ, ঝারিপাড়া, রামপুর বাগদি পাড়া-সহ একাধিক এলাকায় অশান্তির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে সড়বেরিয়ার বড় আজগরায় চার জন বিজেপি সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।  
    অর্থাৎ বলা যেতে পারে রাজ্যজুড়ে চলছে একেবারে চূড়ান্ত অরাজকতার বাতাবরণ। ফলাফল ঘোষণার আগেই এভাবে বিজয় উৎসব ও বিরোধীদলের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর একের পরে হামলার ঘটনা রাজ্য জুড়ে সৃষ্টি করছে উত্তপ্ত পরিস্থিতির। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালিতে ধুন্ধুমার! পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মহিলারা

    Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালিতে ধুন্ধুমার! পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ধুন্ধুমার বাধে। আগারহাটি মণ্ডলপাড়ায় বিজেপি নেতার খোঁজে তল্লাশির নামে পুলিশ চরম হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা অমর ভুঁইয়ার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সোমবার রাতে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিজেপি নেতার বাড়িতে পুলিশ ঢুকতে গেলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ ঘরে ঢুকতে গেলে পরিবারের লোকজন আপ্রাণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে, ধস্তাধস্তি, তুমুল চিৎকার শুরু হয়। অনুমতি ছাড়া পুলিশের অভিযান নিয়ে বিরোধিতা করেন বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যরা। অমর ভুঁইয়ার পরিবারের মহিলা সদস্যদের টেনে হিঁচড়ে বের করেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। বিজেপি নেতার ঘরের মধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। পুলিশের দাবি, ভোটের আগে এবং ভোটের সময় যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার নেপথ্যে হাত ছিল এই অমর ভুঁইয়ার। রবিবারও কার্যত এক ছবি দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালিতে।

    আরও পড়ুন: গণনার আগে বারাকপুরে গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-তৃণমূল ধস্তাধস্তি, ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য?

    পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এক জনের বাড়িতে পুলিশ কখনও এভাবে ঢোকে? এ কীরকম পুলিশ? এসবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চামচা’। আমাদের প্রশ্ন, ‘অমর ভুঁইয়া কিছু করেননি। তাও তাঁর নাম আসছে কেন?’ বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে তল্লাশি অভিযানের সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান। পুলিশ সেসব কথার কোনও গুরুত্ব না দিয়ে মহিলাদের গায়ে হাত তোলে অভিযোগ। এরপরই মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রসঙ্গত, রবিবারও সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আগারহাটি মণ্ডলপাড়ায় রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রামে ঢুকে ধরপাকড়ের অভিযোগ ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তুমুল বিক্ষোভ করেন গ্রামের মহিলারা। সোমবার রাতেও সেই একই বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়ল সন্দেশখালিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ভোটের পর সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ালেন ফাল্গুনী পাত্র, শুনলেন অত্যাচারের কথা

    Sandeshkhali: ভোটের পর সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ালেন ফাল্গুনী পাত্র, শুনলেন অত্যাচারের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গত পয়লা জুন লোকসভার ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে পুলিশ, তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাল্টা পুলিশ গ্রামের বিজেপি কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতার শুরু করেছিল। পুলিশ এবং তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বাসন্তী হাইওয়ে আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ইতিমধ্যে আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ঠিক তাঁর মধ্যেই মহিলাদের বিক্ষোভে উপস্থিত হন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। আক্রান্ত মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে দেন হুশিয়ারি।

    এলাকার মহিলাদের বক্তব্য (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই এলাকায় ভোটের দিন থেকেই পুলিশ এবং তৃণমূল কর্মীরা একযোগে আক্রমণ করে চলেছে। বাড়ির মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। মারের আঘাতে বেশকিছু মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়ির পুরুষদের পুলিশ ধরপাকড় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টার্গেট করা হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার তৃষ্ণা দাস বলেন, “গতকাল আমাদের পুলিশ বেধড়ক মারধর করেছে। আমরা মাঠের জল ঠেলে কোনও ক্রমে পালিয়ে ছিলাম। আজ আবার সকাল থেকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে। কেন আমরা তৃণমূলকে ভোট দিলাম না? কেন বিজেপিকে ভোট দিলাম? এই কথা বলে আমাদেরকে মারধর করা হচ্ছে। পুলিশ মারের সময় হুমকি দিয়ে বলেছে, এমন জায়গায় মারব কাউকে দেখাতে পারবি না। মহিলাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। জলের মধ্যে ফেলে পুলিশ বাড়ির ছেলেদের মারধর করা হয়। তৃণমূলের গুন্ডারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই নির্যাতন করছে। আমরা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি। অত্যন্ত অসহায়বোধ করছি।”

    আরও পড়ুনঃ “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    কী বললেন ফাল্গুনী পাত্র

    বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেছেন, “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ভোট পরবর্তী কালে এই বর্ষা-বৃষ্টির মধ্যে সাধারণ মানুষের উপর একযোগে অত্যাচার করছে তৃণমূল এবং পুলিশ। অত্যাচার বেড়ে গেলে অধর্ম বাড়ে। এই অধর্মের সমাপ্ত দ্রুত হবে। আমরা নির্যাতিতাদের পাশে রয়েছি। দলের তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। পুলিশকেও জবাব দিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই রাতের অন্ধকারে এলাকাবাসীদের উপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ১ জুন ছিল রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ভোট দিতে পেরেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গ্রামের মানুষ। আর তাই গতকাল রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে গণনার দিন পর্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আক্রমণ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার অন্তর্গত খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি সান্যাল, বিপ্লব বর্মন, কৌশিক মন্ডল, দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন দুষ্কৃতীরা বাইকে করে ঘুরে ঘুরে জয় বাংলা স্লোগান দেয় এবং এরপর হুমকি দেয় সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু আচমকা সেই সময় সঞ্জীব মণ্ডল ও পিয়ালী মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে ওই দুষ্কৃতী বাহিনী। প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার মানুষদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর রাতেই  দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ বিষয়ে আক্রান্ত পিয়ালী মণ্ডল বলেছেন, “আমরা ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে (Sandeshkhali) ঢুকে হামলা করেছে। ব্যাপক মারধর করে ভাতের থালা ফেলে দিয়েছে ওরা। আমার স্বামীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও হাতে, পীঠে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওরা। কীভাবে এলাকায় থাকব, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

    ফল বেরনো পর্যন্ত জারি ১৪৪

    সন্দেশখালিতে ভোটের পরদিন গতকাল ২ জুন থেকে ফলাফল ঘোষণার ৪ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি গোটা এলাকাজুড়ে জারি এই নির্দেশিকা। ভোটের দিনেই সন্দেশখালির বেড়মজুর, বয়ামারি, আগারহাটি, কানমারি সহ একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলারা আন্দোলনে নেমে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল!

    ভোটের দিন বয়ারমারি (Sandeshkhali) গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা চালিয়ে ছিল ৬০ থেকে ৭০ জন তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। চঞ্চল খাটুয়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছিল। এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নির্বাচন কমিশন ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছিল। আবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত বয়রামারিতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ ছিল, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল। সেই জন্য মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ে। পাল্টা পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে এলাকায়। বিজেপির এক নেতা পরিতোষ সর্দারকে গ্রেফতার করায়, মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ভোট শেষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, রাস্তা অবরোধ

    Sandeshkhali: ভোট শেষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের শেষ বেলায় সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)  নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। দীর্ঘদিনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এদিন দফায় দফায় তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali) 

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে, বাসন্তী হাইওয়েতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। গ্রামবাসীদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি নির্দোষ। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ সেই বিক্ষোভ হঠাতে গেলে, ইটবৃষ্টি শুরু হয় এলাকায়। কার্যত খণ্ডযুদ্ধের আকার নেয় চেহারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তা জানতে চান তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়, আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন। যদিও সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী।

    শাহজাহান বাহিনীর দোসর হয়েছে পুলিশ!

    সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) । তার মধ্যেই বেলা যত গড়াতে থাকে ততই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। স্থানীয় মহিলাদের একাংশের দাবি, শেখ শাহজাহানের বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। তাদেরই দোসর হয়েছে পুলিশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় জনতা। দুপুরে ফের ইটবৃষ্টি হয়। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এদিন সন্দেশখালির রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ আমাদের দিকে ইঁট ছুঁড়ছিল। তার আঘাতে এক মহিলা আহত হন। তবে পুলিশ এই অভিযোগ মানতে চায়নি। পুলিশের দাবি, পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই মহিলা।

    পুলিশকে ধমক দেন বিজেপি প্রার্থী!

    এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় চলে আসেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তিনি পুলিশকে সামনে দেখেই চিৎকার শুরু করে দেন। তিনি বলেন, লজ্জা করছে না আপনাদের। আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর কেনা গোলামের মতো কাজ করছেন। এখন আপনারা মুখ লুকানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু জনতা আপনাদের আসল রূপ ধরে ফেলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটে দেশবাসীর নজর রয়েছে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। বসিরহাট লোকসভার এই বিধানসভায় শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার করার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার সকাল থেকেও সন্দেশখালি এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি বসিরহাট লোকসভার হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন সকাল থেকে বিজেপি কর্মী-এজেন্টদের ওপর হামলা চালানো হয়।

    সন্দেশখালিতে ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর (Sandeshkhali)

    ভোটের আগের রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন গ্রামবাসীরা। পাল্টা টহল দেওয়ার সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের ছদ্মবেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে, শনিবার ভোট শুরু হতেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির বয়রামারি এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ন্যাজাট থানার ওসি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির বয়রামারির একটি বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করছিল। বিজেপি কর্মী গিয়ে তার প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁর ওপর বেপরোয়াভাবে হামলা চালানো হয়।

    মিনাখাঁয় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর

    এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ বিধানসভার কালিনগর গ্রামের ৫৫ নম্বর বুথে। বিজেপি কর্মী  মনত মণ্ডল বলেন, আমি পঞ্চান্ন নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্ট বসিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। ঠিক সেই সময় আমাকে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে হাড়োয়া এক নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র হেরে যাবেন। তাই, বিজেপি মিথ্যা নাটক করছে। তৃণমূল কোনওদিন মারামারির রাজনীতি করে না। জানা গিয়েছে, আহত বিজেপি কর্মীর হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।  

    হিঙ্গলগঞ্জে আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি তৃণমূল। হিঙ্গলগঞ্জের মণ্ডল সভাপতি পুষ্পেন্দু রায় একাধিক বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীও। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন বিজেপি কর্মীর চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rekha Patra: প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র, বিক্ষিপ্ত অশান্তিতেও আশাবাদী বিজেপি

    Rekha Patra: প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র, বিক্ষিপ্ত অশান্তিতেও আশাবাদী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । যদিও ভোটের দিনে বেলা গড়াতেই ছবিটা বদলে গেল বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের এই অঞ্চলে। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হল এই কেন্দ্রে। তাঁর মধ্যেই জীবনে প্রথমবার ভোট দিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra) । এককালে শেখ শাহজাহানদের দাপটে প্রথমে বাম, পরে তৃণমূলের প্রার্থীরা এই অঞ্চল থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়েছেন। উঠত ভয়ঙ্কর ছাপ্পা রিগিংয়ের অভিযোগ। এবার প্রথম শান্তিতে ভোট হচ্ছে সন্দেশখালিতে।

    প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র

    প্রথমবার ভোট দিয়ে রেখাপাত্র বলেন (Rekha Patra), “জীবনে প্রথমবার ভোট দিলাম। সন্দেশখালীর মা-বোনেরাও এবার অনেকে প্রথমবার ভোট দিয়েছে। এর জন্য মোদীজি কে ধন্যবাদ জানাই। ২০১১ সাল থেকে এখানকার লোকেরা ভোট দিতে পারেনি। তবে আমাদের লড়াই শুধু ভোট দেওয়ার জন্য ছিল না। ছিল আত্মসম্মানের সঙ্গে বাঁচার লড়াই। সেই লড়াইয়ের একটা অঙ্গ এই ভোটদান। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সন্দেশখালীর মা-বোনেরা একত্রিত হয়ে এখনও তাঁদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    প্রসঙ্গত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির খবর এসেছে। তবে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বেশিরভাগ বুথে। নখ, দাঁত বের করার চেষ্টা করলেও সেভাবে আস্ফালন দেখাতে পারছে না শাসক দলের বাহুবলীরা। সকাল থেকেই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী।

    মোটের উপর শান্তিপূর্ন নির্বাচন সন্দেশখালিতে

    সন্দেশখালিতে এখনও চালু রয়েছে সিবিআই ক্যাম্প। আঁটোসাটো নিরাপত্তা প্রত্যেকটি বুথে। গোটা সন্দেশখালি অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সন্দেশখালির মহিলাদের প্রশ্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে, আপনারা চলে গেলে কী হবে। বসিরহাটের অন্যান্য জায়গাতেও রয়েছে সেন্ট্রাল ফোর্সের নিশ্ছিদ্র পাহারা। রেখা পাত্র (Rekha Patra) জানিয়েছেন তাঁদের এক কর্মীর এদিন মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে শাসক দলের কর্মীরা। তবে বেশির ভাগ বুথেই শান্তিপূর্ণভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। গন্ডগোল এড়াতে মোবাইল নিয়ে বুথে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সঙ্গে মোবাইল নিয়ে আসলেও সুইচ অফ করে বুথে ঢুকতে হচ্ছে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: কয়লা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ‘সন্দেশখালির ত্রাস’? শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য ফাঁস ইডির

    Sheikh Shahjahan: কয়লা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ‘সন্দেশখালির ত্রাস’? শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য ফাঁস ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি, এলাকায় অত্যাচারের অভিযোগের পাশাপাশি এ বার শাহজাহানের নতুন কীর্তি প্রকাশ করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, শাহজাহান কয়লার কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

    কয়লার কারবারে শাহজাহান যোগ (Sheikh Shahjahan)

    ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়লার কারবারে শাহজাহান যোগের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শাহজাহান বেআইনি ভাবে কয়লা থেকেও তোলা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। কয়লার জোগানে শাহজাহান এবং তাঁর দলবলকে টাকা দিতে হত। কর হিসাবেই ওই টাকা তাঁরা নিতেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও শাহজাহান শেখ সাবিনা ফিশার সাপ্লায়ার, শেখ সাবিনা মাছের আড়তের মাধ্যমেও দুর্নীতি করেছেন বলে ইডির (ED) অভিযোগ। মার্কেট থেকে কমিশন এবং ভাড়া বাবদ টাকা তুলতেন তিনি। এ ছাড়াও অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ইটভাটার দুর্নীতি। ইডির চার্জশিটেও তার উল্লেখ আছে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়া, জমি সংক্রান্ত যে কোনও লেনদেনের ক্ষেত্রেও শাহজাহানেরা টাকা তুলতেন বলে জানতে পেরেছে ইডি। সম্প্রতি এলাকায় তদন্তে গিয়ে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তার সাগরেদদের আরও সম্পত্তির খবর জানতে পারে তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থার কাছে কয়েকজন অভিযোগও জমা করেছিল। এবার তদন্তে নেমে সে বিষয়েই আদালতে চার্জশিট দাখিল করল ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল 

    বৃহস্পতিবার কলকাতার সিবিআই আদালতে ইডির তরফে নতুন করে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করা হল। ইডির দাবি, জমি-ভেড়ি দখল, জোর করে টাকা আদায়-সহ বিভিন্নভাবে সন্দেশখালিতে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল শাহজাহান, তার ভাই এসকে আলমগীর, শিব প্রসাদ হাজরা এবং দিদার বক্স মোল্লা। এর আগে গত ২৭ মে আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছিল, জমি দখল এবং তোলাবাজি করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তবে এই সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে তখনই জানিয়েছিলেন আধিকারিকরা। এদিন জমা দেওয়া অতিরিক্ত চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থার (ED) দাবি, শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৮৮.২০ কোটি টাকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রেখা পাত্র এবং  আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন  শনিবার সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার নির্বাচন। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে লোকসভার নির্বাচনী শেষ প্রচার। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিরাট স্বস্তি পেলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং ৫ বিজেপি কর্মী। গতকাল তাঁদের সকলকে জামিনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য সন্দেশখালি নারী নির্যাতনের মূলচক্রী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান প্রতিবাদী চরিত্র ছিলেন রেখা পাত্র। তাঁকেই বসিরহাট লোকসভার প্রার্থী করে বিজেপি বিরাট চমক দিয়েছে।

    ৬ মে অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল (Calcutta High Court)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু লোকসভার মধ্যেই আরেকবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। গত ৬ মে অস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব হামলা করেছিল। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কাউকে গ্রেফতার করেনি। প্রতিবাদে থানার সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির কর্মীরা। এরপর এক অভিযুক্তের বাড়িতে ৪০-৫০ জন মিলে লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে। এমনকী মারধরের ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ পাল্টা রেখা পাত্র এবং আরও কিছু বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় বিজেপি। অবশেষে স্বস্তি মিলেছে হাইকোর্টে।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মূল অভিযুক্তরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। আবার যে ব্যক্তির বাড়িতে মারধর করা হয়েছে সেই ঘটনায় এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। তাই যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাঁদেরকে স্বস্তি দিয়ে আদালতে (Calcutta High Court) জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রেখা পাত্রের সঙ্গে আরও পাঁচ সঙ্গীর নাম হল অজিত সর্দার, গীতা বর, সুপ্রকাশ মণ্ডল, উৎপল মাইতি এবং সুদেব দে। প্রত্যেকেই জামিন পেয়েছেন।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এইদিন জামিন দেওয়ার সময় বক্তব্য ছিল, “অস্ত্র নিয়ে হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে যে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারি হয়নি সেটাও দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।” দ্রুত এই বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজপি কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share