Tag: Satyajit Ray

Satyajit Ray

  • Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি বাংলার নবজাগরণের প্রতীক। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই বাড়ি সংরক্ষণ, সংস্কার এবং মেরামতের জন্যে ভারত সরকার সব রকমের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সমাজ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় ভারত। ঢাকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি না ভাঙে। প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে দিল্লি।

    উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতে

    বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এটি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতেই। তবে ইউনূস সরকার বর্তমানে এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। ভারত সরকারের তরফে এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগকে উল্লেখ করে বলা হয় যে এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। তার বদলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্য়ের মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধকেই তুলে ধরবে।

    ভারত-সরকার সংরক্ষণে সহায়তা করতে প্রস্তুত

    ভারত সরকারের তরফে সত্য়জিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে সংস্কারের কাজে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি, যা তাঁর পিতামহ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ছিল, তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’ এর পরেই বিবৃতিতে বাড়িটি রক্ষা করার আবেদন জানায় ভারত সরকার। সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে বাড়িটি মেরামত ও সংস্কার করে একে সাহিত্য জাদুঘর ও ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে রক্ষা করাই শ্রেয়। এই উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’

    একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি

    বাংলার স্বনামধন্য রায় পরিবারের এই বাড়িটি বাংলাদেশের ঢাকার হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত। হরিকিশোর রায় চৌধুরী নিজে উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার এবং সত্যজিতের পূর্বপুরুষ ছিলেন। শশী লজের ঠিক পিছনে অবস্থিত বাড়িটি, এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রায় একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি। বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি সেদেশের সরকারের হাতে আসে। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সেনাশাসক হুসেন মহম্মদ এরশাদের সময় ওই ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছিল শিশু অ্যাকাডেমি। তবে সম্প্রতি জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে অ্যাকাডেমির কাজও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০৭-এর পর থেকে বাড়িটি অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

    বাংলাদেশ সরকারের যুক্তি

    শতাব্দীপ্রাচীন এই বাড়িটি এখন জরাজীর্ণ তাই এটি একেবারে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনূস সরকার। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাড়িটিই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে জানান যে, বিগত ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তিনি জানান, এর জায়গায় সেমি-কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তবে নিয়ম মেনেই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সরকারের উচিত ছিল আগে থেকেই বাড়িটি মেরামত করা। সেটি না করে তারা এখন পুরোটাই ভেঙে ফেলতে চাইছে। বাড়িটি ভেঙে ফেললেও যেন একই আদলে তৈরি করা হয় সেই দাবিও উঠেছে।

    ইউনূস-জমানায় আক্রান্ত সংস্কৃতি

    হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাস খানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার মুখে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে দুই বাংলার মানুষের মনে। ভারত সরকার বিষয়টির নিন্দা করে বাড়ি রক্ষণে সবরকম সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ইউনূস-সরকার এই বাড়ির গুরুত্ব বুঝবে কি না তা সময় বলবে।

  • Pather Panchali: চলে গেলেন ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা! প্রয়াত অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত

    Pather Panchali: চলে গেলেন ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা! প্রয়াত অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত (Uma Dasgupta)। সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাতেই বিশ্বজোড়া খ্যাতি। ১৯৫৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’তে (Pather Panchali) তিনি ‘অপু’র দিদি ‘দুর্গা’-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিশোরী বয়সের দুর্গাকে পর্দায় জীবন্ত করেছিলেন উমা। এর পর তাঁকে আর পর্দায় দেখা যায়নি। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন শিক্ষক। ফলে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল ক্ষীণ। অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর আবাসনের বাসিন্দা উমা দাশগুপ্ত। বিধায়ক-পরিচালক-অভিনেতা চিরঞ্জিৎ দুর্গার চলে যাওয়ার খবর দেন।

    মারণ ব্যাধির সঙ্গে লড়াই

    কয়েক বছর আগে ক্যান্সার হয়েছিল তাঁর। তার পর প্রাথমিক চিকিত্‍সায় সাড়াও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মারণরোগ আবারও শরীরে বাসা বাঁধে তাঁর। শেষ রক্ষা হল না। চিকিত্‍সার জন্য তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উমাদেবী। যদিও এখনও তাঁকে ‘দুর্গা’ হিসাবেই মনে রেখেছেন সবাই। মাঝে অনেক বারই তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো সংবাদ শোনা গিয়েছিল। তবে এবার আর কোনও রটনা নয়। চিরবিদায় নিলেন ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা। তবে অসীমের মাঝে তিনি বিলীন হলেও বাঙালির মনে তাঁর আসন চিরস্থায়ী। দুর্গার বিসর্জনে তাই মন খারাপ বিশ্ব জোড়া বাঙালির।

    আরও পড়ুন: ভারত-জাপান বিশেষ প্রতিরক্ষা-চুক্তি, নৌসেনার রণতরীগুলিতে বসবে ‘স্টেলথ’ মাস্তুল

    ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গার সম্পর্কে সত্যজিৎ রায়ের পুত্র পরিচালক সন্দীপ রায় জানান,  “তখন আমি শিশু। ফলে, সে ভাবে কোনও স্মৃতিই আর নেই। উমাদি তখন মাত্র ১৪। পরে আর অভিনয় করেননি। ফলে, ওঁর সঙ্গে আমাদের আর যোগাযোগ ছিল না।” পরিচালক-পুত্রের আফসোস, সেই সময়ের সব স্মৃতি প্রয়াত অভিনেত্রী সঙ্গে নিয়ে চলে গেলেন! ‘পথের পাঁচালী’র পর আর কোনও ছবিতে কেন অভিনয় করেননি তিনি, তা এক রহস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajasthan: থর মরুভূমির বুকে ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে সোনার কেল্লা!

    Rajasthan: থর মরুভূমির বুকে ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে সোনার কেল্লা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের থর মরুভূমির বুকে এক সোনালি শহর জয়সলমের (Rajasthan)। কথিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যে কোনও সময় যাদবকুলের কোনও এক বংশধর এখানে এই ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর তাঁর রাজধানী স্থাপন করবেন। পরবর্তী কালে যাদব বংশীয়া রাজপুত রাজা রাওয়াল জয়সওয়াল তাঁর প্রাচীন লোদাবার দূর্গ পরিত্যাগ করে এখানে ত্রিকুট পাহাড়ের ওপর রাজধানী নির্মাণ করেন। এই জয়সওয়াল নাম থেকেই স্থানের নাম হয়েছে জয়সলমের। তৎকালীন সময়ে এই কেল্লার নাম ছিল জয়সলমের কেল্লা। বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ‘সোনার কেল্লা’-র পরেই এই কেল্লা ‘সোনার কেল্লা’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

    বাস করেন রাজ পরিবারের সদস্যরা (Rajasthan)

    বালিপাথরে তৈরি বলেই দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় কেল্লার দেওয়াল সহ অন্যান্য অংশ সোনার মতো উজ্জ্বল দেখায়। তাই এর নাম হয়েছে সোনার কেল্লা। কেল্লাটি ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। কেল্লায় প্রবেশের জন্য চারটি প্রকাণ্ড প্রবেশপথ আছে (Jaisalmer)। সেগুলি হল ১) অক্ষয় পোল ২) গণেশ পোল ৩) হাওয়া পোল এবং ৪) সুরজ পোল। রাজ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে বাস করেন বাদল মহল, রানা মহল, গজবিলাস এবং মোতি মহলে। বাদল মহল থেকেই দেখা যায় এক সুন্দর পাথরের স্তম্ভ। এখানে রয়েছে প্রাচীন এবং বর্ণাঢ্য তাজিয়া। এছাড়াও দেখে নেওয়া যায় ৩০০ বছরের প্রাচীন মহারাজ রাওয়াল গজ সিংয়ের মন্ত্রী সেলিম সিং-এর হাভেলি, পাটোয়া কি হাভেলি প্রভৃতি।

    স্যাম স্যান্ড ডিউনস

    ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে নেওয়া যায় জয়সলমের (Rajasthan) থেকে প্রায় ৪২ কিমি দূরে একেবারে থর মরুভূমির বুকে স্যাম স্যান্ড ডিউনস থেকেও। উটের পিঠে চড়ে এসে এই স্যামে টেন্টে থেকে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় আঞ্চলিক নৃত্যগীতের অনুষ্ঠান দেখতে আনন্দ অনুভব করবেনই।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    যাতায়াত –কলকাতা থেকে সরাসরি জয়সলমের যাচ্ছে হাওড়া-জয়সলমের (Rajasthan) এক্সপ্রেস। এছাড়াও বাস আসছে ২৮৫ কিমি দূরের যোধপুর, ৩৩৩ কিমি দূরের বিকানীর থেকেও। থাকা খাওয়া-জয়সলমেরে আছে আরটিডিসি (R.T.D.C)-র দুটি হোটেল, ১) হোটেল মুনাল, ফোন-০২৯৯২-২৫২৩৯২, ০৯৪৬৮৫৫৬৩৩৪ এবং ২) হোটেল শ্যামধানী (ফোন ০৯৪৬৮৫৫৬৩৩৪)। এছাড়াও রয়েছে সত্যজিৎ রায়, জে পি দত্ত সহ বলিউড, টলিউড এবং দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র জগতের বহু বিখ্যাত মানুষের পদধূলিধন্য হোটেল প্রিন্স (Hotel Prince)। এদের সম্পূর্ণ বাঙালি পরিচালিত রেস্তোরাঁ এবং স্যামে থাকার জন্য টেন্ট আছে। যোগাযোগ-০৯৪১৪১৪৯১০৫, ০৭০১৪৩৯৭০০৯, ০৯৯২৮২৭৩০৩০), কিলা ভবন (০২৯৯২২৫১২০৮), হোটেল অশোক (০৩৯৯২২৫৬০২১)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ

  • Jaisalmer: বালি-পাথর দিয়ে তৈরি কেল্লা সূর্যের আলো পড়লেই সোনার মতো ঝলমল করে ওঠে!

    Jaisalmer: বালি-পাথর দিয়ে তৈরি কেল্লা সূর্যের আলো পড়লেই সোনার মতো ঝলমল করে ওঠে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থর মরুভূমির বুকে সোনালি শহর রাজস্থানের ঐতিহাসিক শহর জয়সলমের (Jaisalmer)। যাদব বংশের রাজপুত রাজা রাওয়াল জয়সল প্রাচীন লোদাবার দূর্গ পরিত্যাগ করে এখানে ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর তাঁর রাজধানী নির্মাণ করেন। এই জয়সল নাম থেকেই জায়গাটির নাম হয়েছে ‘জয়সলমের’। তবে আপামর বাঙালির কাছে এর জনপ্রিয়তা বরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘সোনার কেল্লা’ ছবির জন্য। জয়সলমেরের এই কেল্লা আগে জয়সলমের ফোর্ট নামে পরিচিত থাকলেও ছবিটি হওয়ার পরেই এর নাম হয় সোনার কেল্লা। ভাট্টি রাজপুত বংশের শাসক রাওয়াল জয়সলএই কেল্লাটি গড়েন।

    সোনার মতো ঝলমলে (Jaisalmer)

    বালি-পাথর দিয়ে তৈরি বলে সূর্যের আলো পড়লে কেল্লার সমগ্র অংশ সোনার মতো ঝলমলে দেখায়। তাই একে অভিহিত করা হয় সোনার কেল্লা নামে। ৮০ মিটার উঁচু, ৯৯টি বুরুজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই কেল্লায় প্রবেশের জন্য চারটি বিশাল দরজা আছে। এগুলো হল ১) অক্ষয় পোল ২) গণেশ পোল ৩) হাওয়া পোল এবং ৪) সুরজ পোল। রাজ পরিবারের বর্তমান সদস্যরা বাস করেন বাদল মহল, রানা মহল, গজ বিলাস এবং মোতি মহলে। কেল্লার বাদল মহল থেকেই দেখা যায় এক সুন্দর পাথরের স্তম্ভ। এর মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য তাজিয়া। এছাড়াও জয়সলমেরের (Jaisalmer) অন্যতম আকর্ষণ প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন মহারাজ রাওয়াল গজ সিং-এর হাভেলি, পাটোয়া কি হাভেলি প্রভৃতি। ইচ্ছে হলে একটা দিন বা রাত কাটিয়ে আসতে পারেন প্রায় ৪২ কিমি দূরে মরুভূমির বুকে স্যাম থেকে। উটের পিঠে চড়ে এই স্যামে এসে এক রাত টেন্টে থাকার অভিজ্ঞতাই অন্যরকম।

    কলকাতা থেকে সরাসরি (Jaisalmer)

    যাতায়াত-কলকাতা থেকে সরাসরি যাচ্ছে হাওড়া-জয়সলমের এক্সপ্রেস। ট্রেন এবং বাস আসছে ২৮৫ কিমি দূরের যোধপুর বা বিকানের থেকেও।
    থাকা খাওয়া-এখানে রয়েছে রাজস্থান পর্যটনের দুটি হোটেল ১) হোটেল মুনাল (০২৯৯২-২৫২৩৯২, ০৯৪৬৮৫৫৬৩৬৪) এবং ২) হোটেল শ্যামধানী (০৯৪৬৮৫৫৬৩৩৪)। এছাড়াও আছে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় সহ টলিউড, বলিউডের বহু স্বনামধন্য অভিনেতা ও পরিচালকের পদধূলিধন্য হোটেল প্রিন্স। এদের স্যামে নিজস্ব টেন্ট, যাতায়াতের জন্য উটের ব্যবস্থা এবং সম্পূর্ণ বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা আছে। যোগাযোগ ০৯৪১৪১৪৯১০৫, ০৭০১৪৩৯৭০০৯, ০৯৯২৮২৭৩০৩০ (Jaisalmer)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sharmila Tagore: প্রথম ছবিতে শর্মিলা ঠাকুর কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে?

    Sharmila Tagore: প্রথম ছবিতে শর্মিলা ঠাকুর কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশির দশক থেকে শুরু করে নব্বই-এর দশক পর্যন্ত বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। তাঁর অভিনয় জগতের হতেখড়ি কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরেই। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অপুর সংসার’ ছিল শর্মিলা ঠাকুরের কেরিয়ারের প্রথম ছবি। সেই সময় তাঁর কাছে থেকে কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন, কোথায় সেই টাকা খরচ করেছিলেন, সম্প্রতি সমস্তটাই তিনি জানিয়েছেন। তাছাড়াও তৎকালীন দ্রব্যমূল্য সম্পর্কেও অনেক তথ্য দিয়েছেন তিনি।

    কী জানিয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর? (Sharmila Tagore)

    শর্মিলা ঠাকুরের কেরিয়ারের প্রথম ছবি শুরু হয় ‘অপুর সংসার’-এর হাত ধরে। আর এই ছবিতে অভিনয় করা বাবদ তিনি সত্যজিৎ রায়ের তরফ থেকে  ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান। আর সেই টাকা তিনি কীভাবে খরচ করেন, সেটিও তিনি সবাইকে জানিয়েছেন। শর্মিলা বলেন, “আমি অনেক অল্প বয়স থেকেই রোজগার শুরু করি, তখন এখনকার মতো পারিশ্রমিক না পেলেও এটা সত্যি যে তখনকার দ্রব্যমূল্য এখনকার দ্রব্যমূল্যের সমান ছিল না। আমাকে সত্যজিৎ রায় শুধু টাকা নয়, একটি শাড়ি এবং ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন। যেহেতু আমি বাঙালি, তাই একজন বাঙালি হিসাবে আমি সেই টাকা নিয়ে সোনার দোকানে গিয়ে হাজির হই (Sharmila Tagore)। আমি হাতের বালা, নেকলেস ও কানের দুল কিনেছিলাম। বর্তমান সময়ের হিসাবে এই টাকার মূল্য অনেক কম হলেও সেই সময় এই টাকার মূল্য ছিল অনেক। আর সেই সময় জিনিসপত্রের দামও খুব কম ছিল।”

    নিজের বাড়ি কিনলেন কবে? (Sharmila Tagore)

    তিনি আরও বলেন, “এরপর যখন আমি হিন্দি ছবি করার জন্য মুম্বইয়ে পা রাখি, তখন আমার কাছে কোনও বাড়ি ছিল না। শুরুর কয়েকটি বছর আমি মুম্বইয়ের তাজমহল হোটেলে থাকতাম। কয়েক বছর পর আমি তিন লাখ টাকা বিনিয়োগে একটি নিজের বাড়ি কিনি (Sharmila Tagore)। কিন্তু সেই টাকা জোগাড় করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল আমাকে। কারণ তখন আমাদের বিপুল হারে কর জমা দিতে হত, টাকা জমানো ছিল খুবই কঠিন ব্যাপার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anup Ghoshal: কণ্ঠহারা গুপী! প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল

    Anup Ghoshal: কণ্ঠহারা গুপী! প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার অনুপ ঘোষাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮। শুক্রবার কলকাতায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নজরুলগীতির জন্যই সঙ্গীত জগতে সুনাম কুড়িয়েছিলেন অনুপ ঘোষাল। নজরুলগীতি ছাড়াও ঠুমরি, খেয়াল, ভজন, রাগপ্রধান, রবীন্দ্র সঙ্গীত, দ্বিজেন্দ্রগীতি, রজনীকান্তের গান, আধুনিক বাংলা গান এবং লোকগীতিতে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’র মতো ছবিতে গান গেয়ে পেয়েছিলেন বিশ্বজোড়া খ্যাতি।

    গুপীর গানের নেপথ্যে

    মায়ের উৎসাহেই মাত্র চার বছর বয়সে অনুপ ঘোষালের সঙ্গীতের তালিম শুরু হয়। শিল্পীর যখন ১৯ বছর বয়স তখন সত্যজিৎ রায়ের নজরে পড়েন। এর ফলে সৃষ্টি হয় “ভূতের রাজা দিল বর”-এর মতো কালজয়ী গান। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ‘হীরক রাজার দেশে’। ১৯৮১ সালে ‘হীরক রাজার দেশে’র জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে তাঁকে ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ ও ২০১৩ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, “অনুপ ঘোষালের প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি অনুপ ঘোষালের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    অন্য ভাষায় গান

    শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দি, ভোজপুরি ও অসমিয়া ভাষাতেও গান গেয়েছেন তিনি।  ‘মাসুম’ ছবির ‘তুঝসে নারাজ নহি জিন্দেগি’ আজও কেউ ভুলতে পারেননি। তপন সিনহা পরিচালিত ‘সাগিনা মাহাতো’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথমবার সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। দেবব্রত বিশ্বাসের কাছ থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের শিক্ষা নিয়েছিলেন তিনি। হিউম্যানিটিজ নিয়ে আশুতোষ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন শিল্পী। পরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর ও পিএইচডি করেন। সঙ্গীতজগতের পাশাপাশি অনুপবাবু পা রেখেছিলেন রাজনীতিতেও। ২০১১ সালে তৃণমূলের হয়ে উত্তরপাড়া বিধানসভায় বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে ওই একবারই ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cannes 2022: কান চলচ্চিত্র উৎসবের  রেড কার্পেটে এবার অক্ষয় কুমার, এ আর রহমানের সঙ্গী অনুরাগ ঠাকুর

    Cannes 2022: কান চলচ্চিত্র উৎসবের  রেড কার্পেটে এবার অক্ষয় কুমার, এ আর রহমানের সঙ্গী অনুরাগ ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দর্শকদের জন্য উপভোগ্য হতে চলেছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব (Cannes 2022)। দীপিকা, ঐশ্বর্যদের পাশাপাশি এবারের উৎসবে রেড কার্পেটে দেখা যাবে অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar), এ আর রহমান (AR Rahman) এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে। আগামী ১৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে ফ্রান্সের এই জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উৎসব। শোনা গিয়েছে, প্রথম দিনই ভারতীয় তারকাদের সঙ্গে রেড কার্পেটে হাঁটবেন অনুরাগ ঠাকুর (I&B minister Anurag Thakur)। 

    এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘কান্ট্রি অফ অনার’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতকে। ভারত-ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যেই ভারতকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উৎসবের  ন’ জন জুরি বা বিচারকের মধ্যে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone)। যে ২১টি সিনেমা কাটাছেঁড়ার পর সেরা ছবিকে পামে ডি’অর পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে, তার বাছাইয়ে অংশ নেবেন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সে পৌঁছেও গিয়েছেন তিনি। 

    চমক এখানেই শেষ নয়। অস্কারজয়ী বাঙালি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে এবার ‘কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছে তাঁর (Satyajit Ray) ছবি ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। উৎসবের ফিল্ম মার্কেটে ভারতের ৫টি স্টার্টআপ কোম্পানি বৈঠকে অংশ নিতে পারবে। এত কিছুর মধ্যেই শুরুর দিন রেড কার্পেটে দেখা যাবে অক্ষয় কুমার, এ আর রহমানের মতো তারকাদের।  কান চলচ্চিত্র উৎসবেই প্রিমিয়ার হবে আর মাধবন অভিনীত ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ (Rocketry: The Nambi Effect) ছবির। ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণের জীবন অবলম্বনে তৈরি এই ছবিটি। ছবির সৌজন্যেই কানে দেখা যাবে মাধবনকে। এছাড়াও কানে দেখা যেতে পারে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, পূজা হেগড়ে, নয়নতারা, প্রযোজক শেখর কাপুর, রিকি রেজ এবং CBFC প্রধান প্রসূন যোশীকে।  বলা যায়, কান চলচ্চিত্র উৎসবে এবার ভারতের চাঁদের হাট। আগামী ২৬ মে পর্যন্ত চলবে এই চলচ্চিত্র উৎসব।

LinkedIn
Share