Tag: Saudi

Saudi

  • Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও সৌদি আরবের (Saudi Arabia) মধ্যে সম্পর্কে নতুন গতি আসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ এপ্রিল ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী গেলেন সৌদি সফরে। তবে জেড্ডা শহরে এই প্রথম (Kashmir) পা রাখবেন তিনি। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, এবং মনমোহন সিংয়ের পর মোদিই সৌদি আরব সফরকারী চতুর্থ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন শুল্কের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মোদির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন ভারত প্রধান তেল রফতানিকারী ও ওপেক নেতৃত্বাধীন দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাইছে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে (Saudi Arabia)

    ভারত ও সৌদি আরব বছরের পর বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রসারিত করেছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব, শক্তি খাতের সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফল হল কাশ্মীর প্রসঙ্গে দেশটির পরিবর্তিত অবস্থান। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় সৌদি আরব প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অবস্থান বদলেছে। সৌদি আরব যে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য করত, তা মূলত গড়ে উঠেছিল তাদের যৌথ ইসলামিক পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। তবে যুবরাজের নেতৃত্বে রাষ্ট্রটি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপকভিত্তিক পন্থা গ্রহণ করেছে, যা নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (Saudi Arabia)।

    সৌদি বিনিয়োগ

    বছরের পর বছর ধরে এই পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। সৌদি আরব এখন ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, অন্যদিকে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রিন্স সালমান ভারতের মধ্যে সৌদি বিনিয়োগ আগামী কয়েক বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারত ইতিমধ্যেই সৌদি অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান গন্তব্য এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শক্তি জায়ান্ট সৌদি আরামকো দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে (Kashmir)।রিয়াধে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের ভারতের মধ্যে মোট বিনিয়োগ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল (পিআইএফ) রিলায়েন্সের সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্জিত শেয়ারও।

    ভারতের আমদানির পরিমাণ

    ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সৌদি আরব থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানির পরিমাণ ছিল ১১.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Saudi Arabia)। সৌদি আরব ভারত, ইউএই এবং ইইউয়ের সঙ্গে যৌথভাবে আইএমইসি (ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডর) চালু করেছে। এটি একটি বড় পরিকাঠামোগত উদ্যোগ। এর লক্ষ্যই হল ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। একই সময়ে সৌদি আরব একাধিকবার পাকিস্তানকে উপেক্ষা করে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটি যুবরাজ সালমানের বাস্তবসম্মত কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে প্রিন্স সালমান ভারত সফরের সময় পাকিস্তান সফরে যাননি। এটি সৌদি আরবের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক জোরদার করার প্রতি তাঁর সচেতন মনোভাব প্রকাশ করে।

    সন্ত্রাসবাদের নিন্দা

    এই সফরে যুবরাজ সালমান এবং মোদি যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ (Kashmir)। ২০২০ সালে সৌদি আরব পাকিস্তানের কাছ থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধের দাবি জানায় এবং ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তেল ক্রেডিট সুবিধা রিনিউ করতে অস্বীকার করে। এই আর্থিক সিদ্ধান্তটি পাকিস্তানের কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদি নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয় (Saudi Arabia)। ২০২৪ সালে সৌদি আরবের গলায় শোনা যায় ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের প্রতিধ্বনি। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে। এটি কার্যত নয়াদিল্লির অবস্থানের সঙ্গে সহমত পোষণ করে।

    ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের গভীরতর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাশ্মীর নিয়ে তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং পাকিস্তানের প্রতি কূটনৈতিক ঠান্ডা আচরণের বিপরীতে একটি স্পষ্ট বৈপরীত্য তুলে ধরে। এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায়। তাঁর গত ১০ বছরের রাজত্বকালে তিনি তিনবার সৌদি সফরে গিয়েছেন (Kashmir)। তার জেরেই মজবুত হয়েছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক (Saudi Arabia)।

  • PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সৌদি আরবে (Saudi Arabia) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে সেখানে যাচ্ছেন তিনি। গত ১০ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার সৌদিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে মোদি প্রথম গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। তারপর গিয়েছিলেন উনিশে। ফের যাচ্ছেন এবার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন সৌদির যুবরাজ। ওই সময়ই ভারত ও সৌদি আরবের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের প্রায় দেড় বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌদিযাত্রা এই সফরের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    হজযাত্রা সংক্রান্ত জটিলতা কেটেছে (PM Modi)

    দিন কয়েক আগেই মক্কায় ভারতীয়দের হজযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা কেটেছে। হজযাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সৌদি প্রশাসন। যদিও গত সপ্তাহেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও ১০ হাজার ভারতীয় হজযাত্রায় যেতে পারবেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কথা বলেছে। এর পরেই হজ পোর্টাল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। এই আবহেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিল সৌদির যুবরাজের আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল সৌদি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জেড্ডা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং। এই সফরে মোদি ও সালমান যৌথভাবে দ্বিতীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, সৌদি আরব ভারতের এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। প্রসঙ্গত, ভারত ও সৌদির মধ্যে রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মোদি ও সালমানের ব্যক্তিগত সম্পর্কও এই বন্ধনকে আরও গভীর করেছে (PM Modi)।

    ভারতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মুকুন্দ নারাভানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সৌদি সফরে গিয়েছিলেন। সেবার দ্বিপাক্ষিক নৌ-মহড়া আল মোহেদ আল হিন্দি অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি নৌবাহিনীর প্রধান ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার ভারতে আসেন। গত বছর প্রথমবার ভারত-সৌদি যৌথ (Saudi Arabia) স্থলবাহিনীর মহড়া এক্স-সাদা তানসিক-১ অনুষ্ঠিত হয় রাজস্থানে (PM Modi)।

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কাকভোরে ইরানে প্রত্যাঘাত করেছে ইজরায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে (Other Nations Reaction) আকাশপথে হামলা চালিয়েছে তেলআভিভ(ইজরায়েলের রাজধানী) (Israel Iran Conflict)। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ মুসলিম দুনিয়া।

    ইরানের পাশে পাকিস্তান (Israel Iran Conflict)

    ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ইসলামিক রাষ্ট্রে হামলার তীব্র নিন্দা করেছে আর এক ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তান। ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) অভিযোগ, গোটা ঘটনার জন্য দায়ী ইজরায়েল। ইজরায়েল এই হামলার যোগ্য জবাব পাবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে ইসলামিক রাষ্ট্রে আঘাত হানার পর ফুঁসে উঠেছে পাকিস্তান। হামলার নিন্দা করে পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের ওপর যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করছে পাকিস্তান। এই হামলা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার রাস্তা নষ্ট করছে। এই হামলায় আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল। যা হচ্ছে তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী ইজরায়েল। পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানাব তারা যেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করে ও ইজরায়েলের বেপরোয়া ও অপরাধমূলক আচরণের অবসান ঘটাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করে।” এক্স হ্যান্ডেলে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লিখেছেন, “শান্তির পথ খুঁজতে ইরান ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির পাশে রয়েছে পাকিস্তান। হিংসা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আবেদন জানানো হচ্ছে।”

    পাশে সৌদি আরবও

    ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে আর এক মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরব। ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা করেছে তারা। এক্স হ্যান্ডেলে সৌদি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে লেখা হয়েছে, “সৌদি আরব ইজরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অঞ্চলটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করা এই পরিস্থিতির অবনতি রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ইরানের (Israel Iran Conflict) পাশে দাঁড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরাকও।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ প্যাকেজে কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    তবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের বার্তা, “আমরা ইরানকে পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই যে তাদের তরফে কোনও রকমের প্রত্যুত্তর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষায় বাধ্য করবে আমেরিকাকে।” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলছি যে নিজেকে (Other Nations Reaction) ইরানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রক্ষা করার অধিকার ইজরায়েলের রয়েছে (Israel Iran Conflict)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Saudi Prime Minister: দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সৌদির যুবরাজই

    Saudi Prime Minister: দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সৌদির যুবরাজই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি যুবরাজ মহম্মদ  বিন সালমানকে (Mohammed bin Salman) দেশটির প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) ঘোষণা করা হয়েছে। সৌদির (Saudi) বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বছর সাঁইত্রিশের যুবরাজ ইতিমধ্যেই দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর (Deputy Prime Minister) পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সৌদির প্রধানের পদে আসীন না হলেও যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানই ছিলেন বিশ্বের সর্বাধিক তেল রপ্তানিকারী দেশটির অঘোষিত নিয়ন্ত্রক। মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে তাঁর ভাই খালিদ বিন সালমানকে। খালিদ এতদিন উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তবে রাজকীয় ফরমানে অন্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে কোনও বদল করা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী পদে মোহাম্মাদ আল- জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী পদে খালিদ আল ফালিহর বহাল রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অডিও ক্লিপ ইস্যুতে অস্বস্তিতে শাহবাজ সরকার, জরুরি বৈঠকের ডাক পাক প্রধানমন্ত্রীর

    সৌদিতে সাধারণতঃ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের কাছে রাখতেন বাদশাহ। ছেলে মহম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করলেও নিজের হাতেই ক্ষমতার রশি ধরে রেখেছেন বছর ছিয়াশির বাদশাহ সালমান।

    রাজকীয় ফরমানে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। তবে সৌদির এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, বাদশাহই থাকছেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান (Head of State)। মন্ত্রিসভায় (Cabinet) উপস্থিত থাকলে বাদশাহই সভাপতিত্ব করবেন। এর আগেও একাধিকবার বাদশাহ শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাদশাহের অসুস্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করা হল যুবরাজকে। 

    প্রসঙ্গত, যুবরাজ সালমান রাশিয়ার (Russian) তৈরি ‘বিষাক্ত আংটি’ ব্যবহার করে তৎকালীন বাদশাহকে খুন করে বাবার জন্য সৌদি আরবের সিংহাসন আরোহণের পথ পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর এই গোপন পরিকল্পনার কথা পরে জানিয়েছিলেন তাঁর কাকার ছেলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিন নায়েফকে। ২০১৫ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান সৌদির বাদশাহ আবদুল্লাহ। তাঁর সৎ ভাই এবং মহম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আবদুল আজিজ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মহম্মদ বিন নায়েফকে তখন ক্রাউন প্রিন্স করেছিলেন বাদশাহ সালমান। এরপর ২০১৭ সালে বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজেকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করেন মহম্মদ বিন সালমান স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saudi Prince: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভারত সফরে আসছেন সৌদির প্রধানমন্ত্রী বিন সালমান!

    Saudi Prince: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভারত সফরে আসছেন সৌদির প্রধানমন্ত্রী বিন সালমান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভারত সফরে আসছেন সৌদি আরবের যুবরাজ (Saudi Prince) তথা প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন সালমান। সূত্রের খবর, নভেম্বরের মাঝামাঝি ভারত (India) সফরে আসার কথা তাঁর। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে আসবেন বিন সালমান। ওই সফরের পথেই তিনি আসবেন ভারতে।

    দীর্ঘ দিন সৌদির যুবরাজ (Saudi Prince) থাকার পর মাস খানেক আগে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত হন বিন সালমান। বছর সাঁইত্রিশের বিন সালমান ইতিমধ্যেই অর্থ, প্রতিরক্ষা, তেল এবং স্বরাষ্ট্র সহ সে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে মন্ত্রিসভায় আনা রদবদলের সূত্রেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় বিন সালমানকে। তার পর এই প্রথমবার ভারত সফরে আসছেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিন সালমান ভারতে আসবেন নভেম্বরের ১৪ তারিখে। চলে যাবেন তার পরের দিন। সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মাধ্যমে বিন সালমানকে আমন্ত্রণপত্র পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই দু দিনের ভারত সফরে আসছেন বিন সালমান।

    চলতি সপ্তাহেই ভারত সফরে এসেছিলেন সৌদি আরবের শক্তিমন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন সালমান। ওপেক প্লাস তেল উৎপাদনে কাটছাঁট করেছে। সেই কারণেই সৌদির যুবরাজের (Saudi Prince) আগে এক দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন সে দেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রী। ভারতে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অনলাইনে কথা বলেছেন চিনা আধিকারিকদের সঙ্গেও। সৌদির বিদ্যুৎ মন্ত্রী ভারত সফরে এসে বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, তৈলমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এবং শক্তিমন্ত্রী আরকে সিংয়ের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে সাধারণত প্রধানমন্ত্রিত্বের রাশ নিজেদের হাতেই রাখেন বাদশাহরা। ছেলে মহম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী করার মাধ্যমে তিনি নিঃশব্দে সেরে ফেললেন ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। রাজ দরবার সূত্রে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে কোনও কারণ দর্শানো হয়নি।

     

  • Saudi Crown Prince: ভারতে মজেছে আরব! নয়াদিল্লিতে সৌদি প্রধানমন্ত্রী, হিন্দিতে দীপাবলির শুভেচ্ছা আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের

    Saudi Crown Prince: ভারতে মজেছে আরব! নয়াদিল্লিতে সৌদি প্রধানমন্ত্রী, হিন্দিতে দীপাবলির শুভেচ্ছা আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে মজেছে আরব দেশ। একদিকে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে নয়াদিল্লি আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সৌদির নয়া প্রধানমন্ত্রী (Saudi Crown Prince)। অন্যদিকে, হিন্দি (Hindi) ভাষায় দীপাবলির (Diwali) শুভেচ্ছা জানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট (UAE)। জোড়া ঘটনায় ভারতের দৌত্য সফল বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

    কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন সৌদির যুবরাজ (Saudi Crown Prince) মহম্মদ বিন সালমান। বছর সাঁইত্রিশের সালমান প্রধানমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত হতেই তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিন সালমান যখন যুবরাজ ছিলেন তখন একবার ভারতে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম হতে চলেছে তাঁর নয়াদিল্লি সফর। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাওয়ার পথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এ দেশে আসছেন তিনি। আগামী ১৪ নভেম্বর একদিনের সফরে নয়াদিল্লি আসছেন তিনি। চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিন সালমান সাক্ষাৎ করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে।

    সূত্রের খবর, সৌদি প্রধানমন্ত্রীর (Saudi Crown Prince) এবারের সফরে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ। চলতি অর্থবর্ষে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটাকে আরও বাড়িয়ে নিতে আগ্রহী দুই দেশই। ভারতীয় জুতো এবং পোশাকের বিরাট বাজার রয়েছে সৌদিতে। আবার সৌদিও চাইছে এদেশের পেট্রো-কেমিক্যাল সেক্টরে তাদের ভিত আরও শক্ত করতে। প্রত্যাশিতভাবে দুই দেশই মুখিয়ে রয়েছে ১৪ নভেম্বর আলোচনায় ঠিক কী কী বিষয় গুরুত্ব পায়, সেদিকে।

    আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভারত সফরে আসছেন সৌদির প্রধানমন্ত্রী বিন সালমান!

    এদিকে, হিন্দি সহ তিন ভাষায় দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহান। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, যাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং গোটা বিশ্বে দীপাবলি পালন করছেন, তাঁদের অভিনন্দন। দীপাবলি আলোর উৎসব। সামনে যে নতুন বছর আসছে তা যেন আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ নিয়ে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share