Tag: SC

SC

  • GN Saibaba: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    GN Saibaba: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত জেলেই থাকতে হবে জিএন সাইবাবাকে (GN Saibaba)। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই নির্দেশ দিয়েছে। জিএন সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক। কেবল সাইবাবা নন, নকশাল সংস্রব থাকার মামলায় অভিযুক্ত তাঁর পাঁচজন সঙ্গীকেও থাকতে হবে জেলেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ ডিসেম্বর। ততদিন পর্যন্ত নাগপুর সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি থাকতে হবে প্রতিবন্ধী সাইবাবা ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে। এদিন এই মামলায় স্পেশাল শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ ওই মামলায় জিএন সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর সঙ্গীদের মুক্তি দিয়েছিল।

    এর পরেই শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের সরকার। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় শিন্ডে সরকার। তার পরেই শনিবার হয় বিশেষ শুনানি। বেড়ে যায় সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোদের বন্দিদশার মেয়াদ। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদন সম্পর্কে অভিযুক্তদের নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন এই মামলার শুনানি হয় দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমআর সাহা এবং বেলা এম ত্রিবেদির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    ২০১৭ সালে ট্রায়াল কোর্ট সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আপিল করেন অভিযুক্তরা। প্রসঙ্গত, সাইবাবা ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। হাইকোর্টে আপিল করার পরে পরেই তাঁদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন হাইকোর্টের সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বাড়ানো হল অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের মেয়াদ।

    ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সাইবাবার (GN Saibaba) জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ২০২০ সালের ২২ মে সাইবাবার প্যারোলের আবেদনও খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। অসুস্থ শরীর এবং মাকে দেখতে যাবেন বলে প্যারোলে আবেদন করেছিলেন সাইবাবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কার্যকালের বয়স মাত্র ১৩ দিন। সপ্তাহ দুয়েকেরও কম সময়ের মধ্যে গতি এসেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাজে। এনভি রমানার (NV Ramana) অবসরের পরে দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তার পরেই কার্যত কাজের জোয়ার এসেছে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালকে উদ্ধৃত করে দেশের শীর্ষ আদালতের (Apex Court) প্রধান বিচারপতি ললিত জানান গত ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫ হাজার ২০০ মামলার। এই সময় সীমার মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৩৫টি নতুন মামলা।

    কিছু দিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ললিত। তাঁর তিন প্রজন্মই রয়েছেন আইনি পেশায়। অবসর গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি পদে ললিতের নাম প্রস্তাব করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। রামানার প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেন ললিত। তিন মাসেরও কম সময়ের জন্য ওই পদে থাকবেন তিনি। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে অবসরের বয়স ৬৫ বছর। এই সময়ের মধ্যেই যে তাঁর লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা, শপথ গ্রহণের দিনই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ললিত। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের কাজে যে জোয়ার এসেছে, তা স্পষ্ট তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যানেই।

    আরও পড়ুন : ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা সভার। সভার আয়োজন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেই। যোগ দিয়ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত বিচারপতি এবং আইনজীবীদের সমবেত প্রচেষ্টা ছাড়া এ কাজ (এত মামলার নিষ্পত্তি) সম্ভব হত না। প্রধান বিচারপতি জানান, অনেক বিষয় ফলপ্রসূ হয়েছে এবং প্রচুর মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। কিছু মামলা শেষ মুহূর্তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সেগুলি আমার বিচারপতি ভাইয়েরা দক্ষ হাতে সামলেছেন। নয়া ব্যবস্থায় বিচারপতিদের একাংশ খুশি নন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে ললিত বলেন, বিচারপতিরা অখুশি, এটা ঠিক নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (Economically Weaker Section ) জন্য সংরক্ষণ (Quota) সংবিধানের সাম্যের (Equality) অধিকার খর্ব করে। এই সাম্যের অধিকার সংবিধানের হৃদয় স্বরূপ। চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ রয়েছে। সেই মামলা সম্পর্কে রায় দিতে গিয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। একে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়ে এটা সংবিধানের হৃদয়কে নষ্ট করে দেয়।

    এদিন আদালতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। এই পাঁচ বিচারপতি হলেন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, এসআর ভাট, বেলা ত্রিবেদী এবং জেবি পার্দিওয়ালা। এই বেঞ্চেই শুনানির জন্য জমা পড়েছিল ৩৯টি আবেদন। এর মধ্যে আবেদন করছিলেন জনৈক জনহিত অভিয়ানও। সংবিধানের ১০৩ নম্বর সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সংবিধানের এই সংশোধনীতেই সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আগে এই মামলার শুনানি হচ্ছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি বিআর গাভাই। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মামলাটি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। এদিন সেখানেই হয় শুনানি।

    আরও পড়ুন : পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে অধ্যাপক মোহন গোপাল সংবিধানের সংশোধনীকে আক্রমণ করে বলেন, সংরক্ষণের এই ব্যবস্থা সংবিধানের প্রতি প্রতারণা। তিনি বলেন, সংরক্ষণ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের জন্য একটা হাতিয়ার মাত্র। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করছেন সমাজের অগ্রসর শ্রেণিও। এর পরেই সওয়াল করতে ওঠেন প্রবীণ আইনজীবী মিনাক্ষী অরোরা। তিনিও বলেন, এটা সমাজের একটি বিশেষ অংশকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এবং এভাবে সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে। প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় পারিখও বলেন, সংবিধানের এই সংশোধনী সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের (Muslims) মধ্যে বহুবিবাহ (Polygamy) ও নিকাহ হালালা (Nikah Halala) প্রথা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালার সাংবিধানিক বৈধতার বিষয়ে আবেদন জমা পড়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। তার পরেই আদালতের তরফে ওই তিন কমিশনের মতামত জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ওই তিন কমিশনের মতামত জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছে। ইন্দিরা ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত, সূর্য কান্ত, এমএম সুন্দ্রেশ এবং শুধাংশু ঢুলিয়া। প্রসঙ্গত, বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনৈক অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মুসলিম সমাজে প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা অসাংবিধানিক তো বটেই, অবৈধও। দশেরা উৎসবের পরে ফের হবে এই মামলার শুনানি। 

    ২০১৮ সালের জুলাই মাসে গঠিত হয় এই সাংবিধানিক বেঞ্চ। তার পরেই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই বেঞ্চে। সেখানেই চলছে শুনানি। দেশের শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে কেন্দ্রকেও একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। ফারজানা নামের এক মহিলা আবেদনকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ফারজানা তাঁর আবেদনে অশ্বিনীকে ট্যাগ করেছিলেন। আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী সওয়াল জবাবে বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় বিচার-বহির্ভুত তালাক নিষ্ঠুর, আইপিসির ৩৭৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিকাহ হালালা অপরাধ এবং ৪৯৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী বহুবিবাহ ফৌজদারি অপরাধ। 

    আরও পড়ুন : স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
    ২০১৭ সালের ২২ অগাস্ট দেশের শীর্ষ আদালত তিন তালাক নিষিদ্ধ করে। আর বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালারা বৈধতা বিচারের জন্য মামলাটি পাঠায় বৃহত্তর বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, মুসলিম বহু বিবাহ রীতি অনুযায়ী, একজন মুসলমান পুরুষ চারটি স্ত্রী রাখতে পারেন। আর নিকাহ হালালা হল, কোনও ডিভোর্সি মুসলিম মহিলাকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরতে হলে অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে হবে। তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে ফের বিয়ে করতে হবে প্রথম স্বামীকে। এই দুই প্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অশ্বিনী। দায়ের হয়েছে মামলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI Ramana on Freebies: ভোট খয়রাতি মামলা গেল নয়া বেঞ্চে, শেষ দিনে নির্দেশ রামানার

    CJI Ramana on Freebies: ভোট খয়রাতি মামলা গেল নয়া বেঞ্চে, শেষ দিনে নির্দেশ রামানার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি হিসেবে শুক্রবারই ছিল এনভি রামানার (NV Ramana) শেষ দিন। এদিন পাঁচটি মামলার রায়দান করার কথা তাঁর। দিনের শুরুতেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Electotal Freebies) নিয়ে আদালতে গড়ানো মামলার রায়দান করেন তিনি। মামলাটি নয়া বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (CJI)। যেহেতু এদিন ছিল সুপ্রিম কোর্টে রামানার শেষ দিন, তাই এদিন পাঁচটি মামলার রায়দানই প্রদর্শন করা হয়েছে অনলাইনে।

    ক্ষমতায় আসতে নির্বাচনের আগে বেবাক প্রতিশ্রুতি  দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে গণতন্ত্রে প্রকৃত ক্ষমতা রয়েছে ভোটারদের হাতে। ভোটাররা দল এবং দলীয় প্রার্থীদের মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। শেষ শুনানিতে আমরা কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে সর্বদল বৈঠক ডাকতে বলেছিলাম। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা জানিয়েছিল, এগুলি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়, এগুলি জনকল্যাণ মূলক প্রতিশ্রুতি। ২০১৩ সালের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, বিনামূল্যে টিভি কিংবা ল্যাপটপ দেওয়া দুর্নীতি নয়। এটা বরং রাজ্যবাসীর জন্য রাজ্যের জনকল্যাণমূলক নীতি। এ নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন আছে বলে এদিনও জানিয়েছে আদালত। আদালতের মতে, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হল, কেন সর্বদল বৈঠক হচ্ছে না, কেন্দ্রই বা কেন বৈঠক ডাকছে না?

     

  • Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণা ভাষণ (Hate Speech) ছড়ানোর মামলায় রেহাই পেলেন উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রায়দান হয় ওই মামলার। সেখানেই দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানিয়ে দেন, এই মামলা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের একটি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন যোগী। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

    ২০০৭ সালে গোরক্ষপুরের জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন যোগী। তখন তিনি সাংসদ। অভিযোগ, ওই সভায় ঘৃণা ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হয় মামলা। ওই মামলারই শুনানি চলছিল দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চে। ২৪ অগাস্ট ওই মামলার শেষ শুনানি ছিল। শুক্রবার হয় রায়দান। ঘটনাচক্রে এদিনই ছিল প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে রামানার শেষ দিন। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। প্রসঙ্গত, ১০১৮ সালেও এই একই রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার পরেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক আবেদনকারী। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দেন রামানা।

    আরও পড়ুন : ২৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু

    শুনানিতে উত্তর প্রদেশ সরকারের হয়ে সওয়াল করছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহতাগী। ওই মামলায় প্রধান বিচারপতি রামানার নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে তিনি জানান, ওই মামলা সংক্রান্ত সিডি জমা দেন সিএফএসএলের কাছে। এবং তাতে কিছু মেলেনি। তিনি বলেন, আবেদনকারী সে পিটিশন দাখিল করেছেন সেটা আগেই হাইকোর্ট পরীক্ষা করেছে। এর পরেই তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে এই মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অর্থহীন। কারণ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তিনি এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SC on Freebies: খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Freebies: খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনামূল্যে পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির (Freebies) তুলনায় ভোটাররা (Voters) মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করতেই বেশি পছন্দ করেন। একশো দিনের কাজ প্রকল্প সহ বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজের মাধ্যমেই ভোটাররা রোজগার করতে পছন্দ করেন। বুধবার একথাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    ক্ষমতায় আসতে প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির (Election Freebies) বন্যা বইয়ে দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার (NV Ramana) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন : খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন ওই মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত ওই বেঞ্চ জানায়, নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটে হেরে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এমন উদাহরণও রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি মনে করি না ভোটাররা নিখরচায় নানা পরিষেবা পেতে চান। সুযোগ পেলে তাঁরা সম্মানজনকভাবে রোজগার করতেই চাইবেন। যেমন একশো দিনের কাজ। এই প্রকল্পে গ্রামীণ এলাকায় সম্পদও সৃষ্টি হবে। তাই আমি বিশ্বাস করি না যে নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কোনও ফল দেয়। এর পরেই তিনি বলেন, নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটে হেরে গিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক দল, এমন উদাহরণও রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    আদালত জানায়, তাদের প্রাথমিক বিবেচ্য বিষয় হল, জনগণের টাকা ঠিকঠাক খরচ হচ্ছে কিনা। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে যা খরচ করা হয়, তা আদতে জনগণেরই টাকা। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, দিনের শেষে নিখরচায় কোনও আহার জুটবে না। এদিন আরও একবার প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সঙ্গে নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।

  • Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের (Election) সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল দেশের শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে কী করা যায় তা কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখতেও বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    প্রতিবার ভোটের সময় অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Irrational Freebies) দেয় বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি। সে পঞ্চায়েত হোক কিংবা পুরসভা, বিধানসভা অথবা লোকসভা সব ক্ষেত্রেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ দেশে। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এটা করা হয় বলে অভিযোগ। এই অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ হওয়া উচিত বলেই দাবি উঠেছিল দীর্ঘদিন। এটা বন্ধেই এবার কেন্দ্রকে পথ খুঁজতে বলল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রাধান বিচারপতি এনভি রামানা বিষয়টিকে সিরিয়াস আখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজের কাছে যথাযথ উত্তর না পেয়ে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বন্ধ করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে বললেন।

    আরও পড়ুন : কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ…

    এদিন শুনানি চলাকালীন কোনও কারণে কোর্টরুমে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, সিবাল একজন বর্ষীয়ান সাংসদ। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? সিবাল জানান, অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটা গুরুতর বিষয়। তবে একে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। সিবাল বলেন, কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। তিনি বলেন, অর্থ কমিশনই এই ইস্যুটি খুঁটিয়ে দেখার ব্যাপারে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, আমরা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানাতে। আগস্টের ৩ তারিখে মামলাটি ফের উঠবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়টি জানিয়েছিল। এফিডেভিট দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রভাব ফেলে ভোটারদের ওপরও। এগুলি তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।

     

  • Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপ, বহিষ্কার, একত্রীকরণ এবং আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কে — নানা সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। সেই মামলাই এদিন পাঠানো হল পাঁচ বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার ওই বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি।   
    আসল শিবসেনার রাশ কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে বিবাদ গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত অবধি। মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দাবি, তাঁরাই আসল শিবসেনা। আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দাবি তাঁরাই আসল।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে আগ্রহী ছিলেন শিন্ডে। সেকথা তিনি জানিয়েওছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। তবে তাতে রাজি হননি উদ্ধব। এর পরেই অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে তাঁদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য  অসমে। পরে বিজেপির সঙ্গে শিন্ডে হাত মেলানোয় পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। মহারাষ্ট্রের তখতে বসেন একনাথ। পরে নিজেদের আসল শিবসেনা দাবি করে শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। পরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব ঠাকরে শিবিরও।  

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?
    প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেন শিন্ডে শিবিরের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের আসল শিবসেনা ঘোষণা না করে। প্রতীকও যেন না দেওয়া হয়।  বৃহত্তর বেঞ্চে বিষয়টি পাঠানোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ উল্লেখ করেন, ডিসকোয়ালিফিকেশন সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতা কী হবে, তা আগে স্থির করতে হবে। সেই কারণেই মামলাটি পাঠানো হয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Nupur Sharma: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ 

    Nupur Sharma: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্বস্তি পেলেন বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ মিলল স্বস্তি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ১০ আগস্ট পর্যন্ত কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না নূপুরকে। প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছ বলেও এদিন আদালতের দাবি করেছিলেন নূপুর। সেই দাবিকেও গুরুত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ওই একই ইস্যুতে যদি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কোনও এফআইআর দায়ের হয়, সেক্ষেত্রেও তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির মুখপাত্র নূপুরকে। তার পরেও দেশজুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে, কোথাওবা বিজেপির পার্টি অফিস পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের একাংশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে নূপুরকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এর আগে পয়লা জুলাই মামলা থেকে সুরক্ষার দাবিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নূপুর। তখন খারিজ হয়ে যায় তাঁর আর্জি। সম্প্রতি ফের আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর। এদিন নূপুরের আইনজীবী মনিন্দর সিং বলেন, নূপুরের প্রাণ সংশয় রয়েছে। সেই দাবি মেনে নিয়ে এদিন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যাতে নূপুরের প্রাণ সংশয় না হয়, সেই মতো নিরাপত্তা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশের নানা রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। দিল্লি, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ মায় জম্মু-কাশ্মীরেও দায়ের হয় এফআইআর। কলকাতায় যে তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে, এদিন সে কথারও উল্লেখ করেন নূপুরের আইনজীবী। নূপুরের বিরুদ্ধে এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরওয়ানা। সম্ভাব্য গ্রেফতার এড়াতেই আদালতের দ্বারস্থ হন নূপুর। তার প্রেক্ষিতেই মেলে স্বস্তি।  

     

LinkedIn
Share