Tag: SC

SC

  • CBI: কেন্দ্রীয় কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, সিবিআইকে সুপ্রিম-স্বস্তি

    CBI: কেন্দ্রীয় কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, সিবিআইকে সুপ্রিম-স্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করতে হলে সিবিআইকে (CBI) অনুমতি নিতে হবে না সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের। শুক্রবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সিটি রবিকুমার ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ বলেছে, যেখানেই কর্মরত থাকুন না কেন, তথ্যগত অবস্থান হল, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকার বা সরকারি মালিকানাধীন সংস্থার কর্মী এবং দুর্নীতি দমন আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। এই আইনটি কেন্দ্রীয় আইন।

    দুর্নীতির অভিযোগ (CBI)

    অন্ধ্রপ্রদেশে কর্মরত দুই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তার জেরে শুরু হয়েছিল সিবিআই তদন্ত। অভিযুক্তরা সিবিআইয়ের এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের যুক্তি ছিল, অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার রাজ্যে তদন্ত চালানোর ক্ষেত্রে সিবিআইকে ঢালাও সম্মতি দিয়েছিল। রাজ্য ভাগ হওয়ার পরে গঠিত নয়া অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রেও তা আপনা-আপনি প্রযোজ্য হয়ে যায় না। হাইকোর্ট সেই যুক্তি মেনে দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এফআইআর খারিজ করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, এ ক্ষেত্রে সিবিআইকে নতুন করে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সম্মতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের সেই রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রবিকুমার রায় দিতে গিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, সিবিআইকে অন্ধ্রের কাছে ফের জেনারেল কনসেন্ট চাইতে হবে বলে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের ২৬ মে-র একটি সার্কুলার মেমো অনুযায়ী (CBI), ওই বছরের ১ জুন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে চালু থাকা আইনগুলিতে কোনও পরিবর্তন, সংশোধন বা কোনও আইন প্রত্যাহার না হলে রাজ্য ভাগের পরে তৈরি হওয়া তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রেও তা বলবৎ থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের যুক্তি, যেখানে কেন্দ্রীয় আইনে অপরাধের অভিযোগ উঠেছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, তাই সিবিআইয়ের রাজ্যের কাছে এই ধরনের (FIR) অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • Dr Ambedkar: কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছিলেন অম্বেডকর স্বয়ং, কী লিখেছিলেন পদত্যাগপত্রে?

    Dr Ambedkar: কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছিলেন অম্বেডকর স্বয়ং, কী লিখেছিলেন পদত্যাগপত্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলমান তোষণের রাজনীতি করে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের গদি আঁকড়ে পড়েছিল কংগ্রেস। তাতে দেশের কী উপকার হয়েছে, তা বলবে উন্নয়নের হাল। তবে তোষণের রাজনীতি করে যে কংগ্রেস এবং সেই দলের একটি বিশেষ পরিবার আখের গুছিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের এই তুষ্টিকরণের রাজনীতি আজকের নয়, চলে আসছে সেই নেহরুর (Jawaharlal Nehru) আমল থেকে। আজ যে অম্বেডকরকে (Dr Ambedkar) নিয়ে এত হইচই করছে কংগ্রেস, সেই অম্বেডকরও স্বয়ং দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে উগরে দিয়েছিলেন এক রাশ ক্ষোভ। যার প্রমাণ অম্বেডকরের পদত্যাগ পত্র। সেই পত্রেই স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে বস্তুত তুলোধনা করে দিয়েছিলেন দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী।

    নেহরু সরকারের উদাসীনতা (Dr Ambedkar)

    স্বাধীন ভারতের প্রথম মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী ছিলেন অম্বেডকর। ১৯৫০ সালের ১০ অক্টোবর আইনমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন অম্বেডকর। সেই পত্রেই গভীর হতাশা প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী। তাঁর হতাশার কারণ তফশিলি জাতির প্রতি নেহরু সরকারের উদাসীনতা। অম্বেডকরের এই বিবৃতিটি অমর হয়ে রয়ে গিয়েছে ‘ডঃ বাবাসাহেব অম্বেডকর: রাইটিংস অ্যান্ড স্পিচেস’, বইতে। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৯ সালের ১৪ এপ্রিল, অম্বেডকরের জন্মদিনে। বইটি প্রকাশ করে মহারাষ্ট্র সরকার। বইয়ের ১৪ তম খণ্ডের দ্বিতীয় অংশ থেকে প্রাপ্ত দেশের প্রথম আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের নির্যাস, “আমি ভাবছি, ভারতের তফশিলি জাতির অবস্থার সঙ্গে বিশ্বের অন্য কোনও কিছুর সমান্তরাল উদাহরণ আছে কিনা। আমি এমন কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু তবুও, তফশিলি জাতির জন্য কেন কোনও স্বস্তি দেওয়া হয় না?”  নেহরু (Jawaharlal Nehru) সরকারের মুসলিমদের প্রতি মনোভাব এবং তফশিলি জাতির প্রতি আচরণের তুলনা টেনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সরকার মুসলিমদের সুরক্ষার বিষয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করে, তা তুলনা করুন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুরো সময় এবং মনোযোগ মুসলিমদের সুরক্ষায় নিবেদিত করেছেন।’’

    প্রধানমন্ত্রীর কাছেও মাথা নত করি না

    সংখ্যালঘুদের অধিকারের সুরক্ষার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে গিয়ে অম্বেডকর দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, “আমি কারও কাছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও মাথা নত করি না ভারতীয় মুসলমানদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়ার আকাঙ্ক্ষায়, যখন এবং যেখানে তাদের প্রয়োজন হয়।” এর পরেই তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। বলেছিলেন, “কিন্তু আমি জানতে চাই, মুসলমানরাই কি একমাত্র গোষ্ঠী যাদের সুরক্ষার প্রয়োজন? তফশিলি জাতি, তফশিলি জনজাতি এবং ভারতীয় খ্রিস্টানদের কি সুরক্ষার প্রয়োজন নেই? এদের জন্য তিনি কী চিন্তা করেছেন? যতদূর আমি জানি, কিছুই নয়। অথচ এই গোষ্ঠীগুলিরই মুসলমানদের তুলনায় অনেক বেশি যত্ন এবং মনোযোগের প্রয়োজন।” কংগ্রেস ও নেহরুর বিরুদ্ধে তাঁর তোপ, “নেহরু তাঁর পুরো সময় এবং মনোযোগ মুসলমানদের সুরক্ষায় নিবেদিত করেছেন।”

    তফশিলি জাতির মানুষদের উদ্বেগে জোর

    অম্বেডকর প্রাক স্বাধীনতা পর্বে এবং সংবিধান প্রণয়নের সময় তফশিলি জাতির মানুষদের সম্মুখীন হওয়া উদ্বেগের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি (Dr Ambedkar) বলেছিলেন, “ব্রিটিশরা তফশিলি জাতিগুলোর জন্য সংবিধানিক সুরক্ষার ব্যাপারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে গিয়েছিল। তফশিলি জাতিগুলির কোনও ধারণা ছিল না যে এই বিষয়ে গণপরিষদ কী করবে।” তিনি জানান, এই সময় তিনি তফশিলি জাতিগুলির অবস্থার ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে জমা দেওয়ার জন্য। পরে এটি জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, এই আশায় যে নবগঠিত সংসদ তাদের দুর্দশা মোকাবিলা করবে। তফশিলি জাতিগুলির সুরক্ষার জন্য সংবিধানিক বিধানগুলির ব্যাপারে তাঁর দ্বিধা থাকা সত্ত্বেও, তিনি সেগুলিকে আন্তরিক বিশ্বাসে গ্রহণ করেছিলেন, এই বিশ্বাসে যে সরকার দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে কাজ করবে।

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস অম্বেডকর-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী, সংবিধান-বিরোধী”, সংসদে তোপ শাহের

    অম্বেডকরের আক্ষেপ

    অপরিবর্তিত অবস্থার জন্য আক্ষেপ করেছিলেন অম্বেডকর (Dr Ambedkar)। বলেছিলেন, “আজকের দিনে তফশিলি জাতির অবস্থা কী? যতদূর আমি দেখি, এটি আগের মতোই রয়েছে। সেই একই পুরনো অত্যাচার, একই পুরনো শোষণ, একই পুরনো বৈষম্য, যা আগে ছিল, তা এখনও আছে এবং সম্ভবত আরও খারাপ আকারে।” অসংখ্য উদাহরণের মাধ্যমে তিনি জাতিভিত্তিক নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। বিশেষত দিল্লির নিকটবর্তী এলাকাগুলিতে, যেখানে তফশিলি জাতিভুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ নিয়ে তাঁর কাছে এসেছেন। তিনি বলেন, “আমি শত শত ঘটনার কথা বলতে পারি যেখানে দিল্লি ও আশপাশের তফসিলি জাতির মানুষরা তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কাহিনি নিয়ে আমার কাছে এসেছেন। এঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, যাঁরা তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে অস্বীকার করেছে এবং তাঁদের কোনও সাহায্য করেনি।”

    পক্ষপাতের বিষয়টির খাপ খুলে দিয়েছে

    অম্বেডকরের আবেগপূর্ণ ও ধারালো বিবৃতি তফশিলি জাতির প্রতি চরম অবহেলা ও পদ্ধতিগত পক্ষপাতের বিষয়টির খাপ খুলে দিয়েছে। কংগ্রেসের (Jawaharlal Nehru) অগ্রাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস পার্টি নিজেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করে। তারা বিআর অম্বেডকরের প্রতিকৃতি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। যা আসলে ভণ্ডামির নামান্তর (Dr Ambedkar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jai Shri Ram: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    Jai Shri Ram: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জয় শ্রীরাম’ (Jai Shri Ram) স্লোগান দেওয়া অপরাধ কীভাবে? ১৬ ডিসেম্বর, সোমবার এক মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র কোনও ধর্মীয় শব্দ বা নাম বলাটা কোনও অপরাধ নয়।

    জয় শ্রীরাম স্লোগান (Jai Shri Ram)

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কর্নাটকের এক মসজিদের ভিতরে ঢুকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কর্নাটক হাইকোর্ট সেই ফৌজদারি কার্যধারা খারিজ করে দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের। এদিন শুনানিতে বেঞ্চের প্রশ্ন, তারা একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় বাক্যাংশ বা একটি নাম ধরে স্লোগান দিয়েছিল। এটা কোন ধরনের অপরাধ? অভিযোগকারী হায়দার আলি সিএমের উদ্দেশে বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘আপনি কীভাবে অভিযুক্তদের শনাক্ত করছেন? আপনি বলছেন, ওদের সবাইকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে। যারা ভিতরে ঢুকেছিল, তাদের কে শনাক্ত করেছে?’

    কর্নাটক হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    গত ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যধারা বাতিল করেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছিল, কেউ জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিলে, তা কীভাবে কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে, তা বোঝা যাচ্ছে না। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এতে জনসাধারণ খেপে গিয়েছে বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এমনও কেউ দাবি করেনি। তার ওপর অভিযোগকারী নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি অপরাধীদের দেখেননি। অভিযুক্তদের (Jai Shri Ram) বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিল করে হাইকোর্ট বলেছিল, ‘যে অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এই আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও আইনি কার্যক্রমের অনুমতি দিলে, আইনের অপব্যবহার করা হবে। তাতে ন্যায় বিচারের গর্ভপাত হবে।’

    আরও পড়ুন: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    সোমবারের (Jai Shri Ram) শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানান, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই হাইকোর্ট এই কার্যধারা বাতিল করেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার দায় তিনি চাপিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ঘাড়ে। আবেদনকারী রাজ্যের কাছে যে আবেদন করেছেন, তার একটি অনুলিপি চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ডিভোর্স মামলায় খোরপোশ নির্ধারণে ৮ দফা গাইডলাইন, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ডিভোর্স মামলায় খোরপোশ নির্ধারণে ৮ দফা গাইডলাইন, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়র অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় (Bengaluru Techie Suicide) তোলপাড় দেশ। এই আবহেই এবার বিবাহ বিচ্ছেদর পর খোরপোশ (Alimony Amount) বাবদ কত টাকা পাওয়া উচিত, সে বিষয়ে আট দফা গাইড লাইন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  

    ইঞ্জিনিয়ারের সুইসাইড নোটে তোলপাড় দেশ

    আত্মহত্যার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে অতুল অভিযোগ করে যান যে, টাকা হাতানোর জন্য একাধিক মিথ্যে মামলা করেছিল তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিচার ব্যবস্থাকেও দুষেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে (Bengaluru Techie Suicide) তাঁর রেকর্ড করা শেষ ভিডিওতে নিজের মানসিক নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। তরুণের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই ঘটনার আবহে, বুধবারই শীর্ষ আদালত (Supreme Court) মহিলাদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা সংক্রান্ত আইনের ৪৯৮(এ) ধারার অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে।

    সেই ঘটনার রেশ মেলানোর আগেই নয়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ভরণপোষণের (Alimony Amount) নির্দেশ দেওয়ার সময় সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেওয়ার জন্য বাবার দায়িত্বের ওপরও বেশি জোর দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত অন্যান্য সমস্ত আদালতকে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।

    ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ (Supreme Court)

    ক্ষতিপূরণের আর্থিক পরিমাণ কী হবে, তা নির্ধারণ করার জন্য কতগুলি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও, একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার রায়ে স্ত্রীকে এককালীন ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বিবাহবিচ্ছিন্ন দম্পতির বড় ছেলের ভরণপোষণ ও আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলেছে।

    ৮ ফ্যাক্টর

    আদালতে শুনানি হচ্ছিল প্রবীণ কুমার জৈন ও অঞ্জু জৈন নামে এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার। এই মামলায় বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি প্রসন্ন ভি বরালের ডিভিশন বেঞ্চ আটটি ফ্যাক্টর বিবেচনার নির্দেশ দেয়। এগুলি হল, বাদী ও বিবাদী দুপক্ষের সমাজিক ও আর্থিক অবস্থা, স্ত্রী ও নির্ভরশীল সন্তানদের যুক্তিসঙ্গত চাহিদা। বাদী ও বিবাদীর স্বতন্ত্র যোগ্যতা, কর্মসংস্থানের অবস্থা (Supreme Court)। দুজনের আয়, আবেদনকারীর মালিকানাধীন সম্পত্তি ও সম্পদ, বিয়ের পর স্ত্রী যে জীবন কাটিয়েছে, তার মান। পারিবারিক দায়িত্বের জন্য যে কোনও কর্মসংস্থান ছেড়ে আসা। স্ত্রীর মামলা চালানোর খরচ এবং স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য, তাঁর আয়, ভরণপোষণের বাধ্যবাধকতা ও দায়।

    আরও পড়ুন: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর

    বিচ্ছেদ মামলার রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চ জোর দিয়ে বলেছে, এই দম্পতি বিয়ের পর ছ’বছর একসঙ্গে বসবাস করেছিলেন। পরবর্তী ২০ বছর আলাদা জীবনযাপন করেছেন। তাঁদের বিবাহে অসামঞ্জস্যতা ও তিক্ত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। প্রবীণের অভিযোগ, অঞ্জু অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং তাঁর পরিবারকে উপেক্ষা করতেন। অঞ্জুর অভিযোগ, প্রবীণের আচরণ তাঁর প্রতি ভালো ছিল না। এত দীর্ঘ সময় আলাদা থাকায় এই দম্পতি তাঁদের বৈবাহিক দায়িত্ব (Alimony Amount) পালনের কোনও সুযোগ পাননি (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৯৮-এ ধারার (Section 498A) অপব্যবহার হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠেছে। এবার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল, কোনও সমস্যা হলেই ব্যক্তিগত শত্রুতা বা আক্রোশ মেটাতে বধূ নির্যাতন বিরোধী আইনের ৪৯৮-এ ধারাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না (Supreme Court)। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর বধূ নির্যাতনের একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের।

    ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহার (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করে জানিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারও করা হচ্ছে। স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের হওয়া ওই মামলাও খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে দেশের সব হাইকোর্ট ও পুলিশকে সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার এই মর্মে সতর্ক করেছে যে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহার করা হচ্ছে (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছিল, অকারণে কাউকে হেনস্থা করার জন্য যেন ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহৃত হয়। বধূ নির্যাতনের ওই মামলায় মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে – এই যুক্তিতে মামলা খারিজের পাশাপাশি অভিযোগকারীকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ভারতের স্নাতকদের মধ্যে বেড়েছে কর্মসংস্থানের উপযোগিতা, বলছে রিপোর্ট

    গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর জন্য আনা হয়েছিল আইন

    এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ৪৯৮-এ ধারা আনা হয়েছিল বিবাহিত মহিলাদের গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর জন্য। এই প্রসঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্প্রতি দেশের সর্বত্র বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এর সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে, ৪৯৮-এর মতো ধারার অপব্যবহার হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করতেই স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করছেন স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, নির্যাতনের সারবত্তাহীন অভিযোগের ভিত্তিতে এই ধরনের মামলা হলে আদতে তা আইনের অপব্যবহার। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না থাকলে এই ধরনের মামলা দায়েরের আগে সতর্ক হতে হবে।

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই পর্যবেক্ষণ এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন গার্হস্থ্য সমস্যা নিয়ে বেঙ্গালুরুর এক আইটি কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যুকে ঘিরে (Section 498A) তোলপাড় দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বিশেষ বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বিশেষ বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইনটির বৈধতার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব রিট পিটিশন শুনানির জন্য (Places Of Worship Act) বিশেষ বেঞ্চ গঠন করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না (Supreme Court)। এই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে যেসব ধর্মীয় স্থানের চরিত্র এবং পরিচয় যেমন ছিল, তা রক্ষা করে।

    বেঞ্চ গঠন (Supreme Court)

    তিন বিচারপতির বেঞ্চটি প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বে গঠিত। বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং কেভি বিশ্বনাথনও। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর, দুপুর সাড়ে তিনটায়। মামলাটি ১৯৯১ সালের আইনের বৈধতা নিয়ে পিটিশনগুচ্ছের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলা। পিটিশনগুলির মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ও। তাঁদের অভিযোগ,  ১৯৯১ সালের আইনটি হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের আদালতে তাদের উপাসনাস্থল রি-ক্লেইমের সুযোগ দেয়নি। এই উপাসনাস্থলগুলি মৌলবাদী বর্বর আক্রমণকারীরা অধিগ্রহণ করেছিল।

    মুসলিম সংগঠনের বিরোধিতা

    এই আবেদনগুলির বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। এর মধ্যে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং জামিয়াত উলামা-ই-হিন্দ-ও। তাদের যুক্তি হল, জনস্বার্থ মামলার ছদ্মবেশে এই আবেদনগুলো এমন একটি কেন্দ্রীয় আইনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না, যা ভ্রাতৃত্ব এবং ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা, সংবিধানের প্রস্তাবনার মূল্যবোধ এবং মৌলিক কাঠামোর অংশগুলো রক্ষার মাধ্যমে ধর্মীয় স্থানগুলোর ধর্মীয় চরিত্র সংরক্ষণ করেছে।

    আরও পড়ুন: বধ্যভূমি বাংলাদেশ! নেত্রকোনায় হামলা কালী মন্দিরে, রাজশাহীতে হিন্দুর জমি জবরদখল

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এও উল্লেখ করেছে যে, অযোধ্যা রায়ে ১৯৯১ সালের আইনের গুরুত্ব স্বীকৃত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে (Supreme Court), এই আইন আমাদের ইতিহাস এবং জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত জনসাধারণের উপাসনার স্থানগুলোর চরিত্র সংরক্ষণে, সংসদ সুস্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দিয়েছে যে ইতিহাস এবং তার ভুলগুলো বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে দমন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।

    জ্ঞানবাপী মসজিদের পরিচালনা কর্তৃপক্ষও মামলায় হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছে। জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রতিনিধিত্বকারী আনজুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ বারাণসী যুক্তি দিয়েছে যে, মুঘল আমলের শাসকদের কারণে সৃষ্ট কথিত অভিযোগ ও অভিযোগপূর্ণ দাবি আইন প্রণয়ন, যেমন উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার ভিত্তি হতে পারে না।

    প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপী মসজিদটি কয়েকটি দেওয়ানি মামলার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যেখানে হিন্দু মামলাকারীরা মসজিদের নীচে মন্দিরের অস্তিত্ব দাবি করছেন (Places Of Worship Act) এবং সেখানে পুজোর অধিকার দাবি করেছেন (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান!” তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভায় সেন্টিল বালাজির (Senthil Balaji)  নিয়োগ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ক্যাশ-ফর-জবস কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থপাচারের মামলায় জামিন পাওয়ার পরপরই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সেন্টিলকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এমনতর মন্তব্য শীর্ষ আদালতের।

    কী বললেন বিচারপতি? (Supreme Court)

    ২ ডিসেম্বর, সোমবার, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হচ্ছিল বালাজিকে জামিন দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য করা একটি আবেদনের। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে বালাজির মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ সাক্ষীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শুনানির সময় বিচারপতি ওকা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান! যে কেউ মনে করবে যে, একজন সিনিয়র মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে এখন আপনার পদমর্যাদার কারণে সাক্ষীরা চাপে থাকবে। এটা কী চলছে?”

    কী বলছে বেঞ্চ?

    তবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা পূর্বের জামিন সংক্রান্ত রায়ে হস্তক্ষেপ করবে না। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। আদালত স্বীকার করে যে বালাজির নতুন পদমর্যাদা সাক্ষীদের ওপর অযথা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি পূর্ববর্তী রায়ের সারমর্ম পুনর্বিবেচনা করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে বালাজির জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও অর্থপাচার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। কোর্ট তাঁর দীর্ঘ কারাবাস এবং দ্রুত বিচার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই দেখে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘‘কলকাতার এক দিনের ময়লা ফেলে এলেই চাপা পড়ে যাবেন’’, ইউনূসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বালাজির দ্রুত রাজনৈতিক নিয়োগের কারণে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার মাত্র তিন দিন পর, ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের প্রশাসনে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন। তিনি বিদ্যুৎ, অপ্রচলিত জ্বালানি উন্নয়ন, এবং মদ্যনিষেধ ও আবগারি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এই দ্রুত উন্নতি বালাজির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এমন নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

    বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা আপাতত মামলায় কোনও নোটিশ জারি করছে না। তবে বালাজির আইনজীবীদের নির্দেশ পাওয়ার জন্য (Senthil Balaji) সময় চেয়েছে। মামলাটি পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘ভোটে হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ’! ব্যালটে ফেরার দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘ভোটে হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ’! ব্যালটে ফেরার দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। জিতলে নয় কেন? মঙ্গলবার এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনই প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি পিবি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চ (Supreme Court)। ব্যালট পেপারে (Ballot Paper) ভোট করানোর আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ।

    ব্যালট পেপারে ভোটের দাবি (Supreme Court)

    কোনও নির্বাচনে হারলেই বিরোধীরা ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে সরব হন। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে সুর চড়িয়েছেন। ব্যালট পেপারে ভোট করানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন কোনও কোনও রাজনৈতিক দল। তার পরেও অবশ্য ব্যালট ফেরেনি। ভোট হচ্ছে ইভিএমেই। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইভিএমে ভোট করানো নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা অসত্য। এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ব্যালট ফেরানোর দাবি জানালেন জনৈক কেএ পাল।

    কী বললেন আবেদনকারী?

    ২৬ নভেম্বর শুনানি হয় এই মামলার। শুনানিতে আবেদনকারী বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষা করতে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনা উচিত।” সওয়ালের সময় তিনি ইলন মাস্কের প্রসঙ্গও টানেন। বলেন, “মাস্ক বলেছেন ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জগন্মোহন রেড্ডির মতো নেতারাও জানিয়েছেন ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখনও ব্যালটেই ভোট হয়।”

    আবেদনকারীর দাবি (Supreme Court), দেশের ১৮টি রাজনৈতিক দল ব্যালটে ভোট করানোর পক্ষপাতী। আবেদনকারী বলেন, “বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে ১৮০টি দেশই এখনও ব্যালট পেপারে ভোট করে। আমাদের দেশেও সেই প্রথা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! ভারতীয় নাগরিকত্ব খারিজের দাবি, তদন্তে সিবিআই

    এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেন, “যখন চন্দ্রবাবু নাইডু বা জগন্মোহন রেড্ডিরা ভোটে হেরে যান, তখনই তাঁরা ইভিএমে কারচুপির কথা বলেন। কিন্তু ভোটে জিতলে এ ব্যাপারে কোনও কথাই বলেন না। তখন আর তাঁদের ইভিএমে কোনও ত্রুটি চোখে পড়ে না।” শুনানি শেষে আবেদনকারীর পিটিশন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। খারিজ করে দেয় ব্যালট পেপারে (Ballot Paper) ভোট করানোর আর্জিও (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Constitution Day 2024: মঙ্গলে সংবিধান দিবস, সুপ্রিম কোর্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Constitution Day 2024: মঙ্গলে সংবিধান দিবস, সুপ্রিম কোর্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস (Constitution Day 2024)। দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। এই উপলক্ষে এদিন সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় সংবিধান। ২০১৫ সাল থেকে ২৬ নভেম্বর দিনটিকে ‘সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এদিন সেন্ট্রাল হলে সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য রাখবেন যাঁরা (Constitution Day 2024)

    সুপ্রিম কোর্টের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল, ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি.আর. গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কপিল সিবাল। এদিকে, বিরোধী জোটের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য (Constitution Day 2024) লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন যে সংবিধান দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: “অফিসিয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ”, দাবি ইউক্রেনের প্রাক্তন কমান্ডারের

    কী বলছেন বিরোধীরা

    স্পিকারকে লেখা বিরোধীদের চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আমরা সংবিধান সভা ভবনের সেন্ট্রাল হলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে এই চিঠি লিখছি, যা ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে। আমরা জানি যে এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। আমরা মনে করি যে সংসদীয় গণতন্ত্রের সেরা ঐতিহ্য এবং স্বার্থ বজায় রাখতে উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া (PM Modi) উচিত।” বিরোধীদের লেখা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন টিআর বালু, তিরুচি শিবা, কানিমোঝি, সুপ্রিয়া সুলে, রাঘব চাড্ডা, পি সন্তোষ কুমার, ইটি মোহাম্মদ বশির, কে রাধাকৃষ্ণন, রামজি লাল সুমন এবং এনকে প্রেমচন্দ্রন (Constitution Day 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share