Tag: scam

scam

  • Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হওয়ায় ধৃত সোমনাথ ভট্টাচার্যের কথা অনেকেই বিশ্বাস করতেন। নিজের পদকে ব্যবহার করেই বারের লাইসেন্স বা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজনের কাছে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সঞ্জয়বাবুকে বারের লাইসেন্সও পাইয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। আবগারি দফতরের স্ট্যাম্পসহ সব কিছুই ওই লাইসেন্সে ছিল। সঞ্জয়বাবু দোকান খোলার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন। পরে, আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই জানতে পারে, সমস্ত কাগজপত্র জাল। এরপরই তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একজনও প্রতারিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকজনের কাছে তিনি চার-পাঁচ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে, জাল নথি তিনি কী করে তৈরি করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে।

    পুলিশ অফিসারের (kolkata Policeলক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ারও নিয়ম ছিল, কী সেটা জানেন?

    পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন কলকাতার (Kolkata Police) এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। মূলত বরাহনগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই সে এই কারবার চালাত। অফিসে কারও সামনে এসব বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলত না। বাড়িতে বসেই এই সব বিষয়ে কথাবার্তা এবং লেনদেনও হত সেখানে। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, বাকি টাকার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আর ওই পুলিশ অফিসারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একসঙ্গে নগদ এত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় রাখতেন তা পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল তৃণমূলের তারকা বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বাঁকা পথে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে। অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি বিক্রির নামে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর পরিবারকে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে। যদিও সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৪-১৫ সালে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য বারাসত পুরসভায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নিয়ম মেনে তাতে আবেদন করেছিলেন বারাসতের উত্তর কাজিপাড়ার বাসিন্দা কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। পুরসভা সূত্রে খবর, এই চাকরির জন্য সাতশো-র বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিনক্ষণও ধার্য করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউও হয়। ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। তাঁর দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওই প্রার্থীর কপালে জোটেনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী পদের চাকরি। অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে চাকরি পেয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নিরপত্তারক্ষীর মেয়ে পায়েল ইন্দু (মণ্ডল)। আর এই নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বঞ্চিত প্রার্থীর দাবি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কীভাবে একজন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া হল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে! তাহলে কি কোথাও বিধায়কের প্রভাব কাজ করেছে এক্ষেত্রে? যোগ‍্যতার মাপকাঠি বিচার না করেই পুরসভার চেয়ারম্যান ঘুরপথে চাকরি দিয়েছেন।

    কী বললেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী?

    বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী কাজী আজিজ হোসেন হায়দার বলেন, “ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্টে আমার নাম ছিল তিন নম্বরে। এরপর ইন্টারভিউয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে শুনলাম সেই চাকরি পেয়েছেন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে। আমার বিষয়টি দেখার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলাম। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।”

    কী বললেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর?

    বিতর্কিত এই নিয়োগের সময় বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছিল। আসলে যে অভিযোগ করছে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam) করিনি। আর কারও জন্য সুপারিশ করেছি বলে মনে নেই। আর এই ধরনের অভিযোগ করা হলে প্রমাণ দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে আঙুল তুললে হবে না। কারণ, আমি জানি এই ধরনের কোনও কাজ আমি করিনি। এই বিষয়ে আমি স্বচ্ছ রয়েছি।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান?

    পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ হয়নি। এটুকু বলতে পারি, আগে বোর্ডে যা নিয়োগ হয়েছে কোথাও কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। আর নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ আসলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    Scam: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দুর্নীতি (Scam) নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। দুর্নীতিতে (Scam) জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একের পর এক রাঘববোয়ালরা জেলে যাচ্ছে। এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল আরামবাগের এক তৃণমূল নেতার ভাগ্নের। মামা তৃণমূলের আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান। আর তাঁকে ভাঙিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ হাজরা। তার বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। সে আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারির ভাগ্নে। লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় প্রতারিতরা সোমবার রাতে তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ঘর ছেড়ে চম্পট দেয় সে।

    ঠিক কী অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালসহ স্বাস্ব্য দফতরের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দেওয়ার নাম করে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে অভিজিৎ হাজরা টাকা তোলে। স্বাস্থ্য দফতরের পদ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হত। ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত একজন চাকরিপিছু প্রার্থীর কাছে টাকা নেওয়া হত। প্রায় ১৫০ – ২০০ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে সবমিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চেয়ারম্যানের গুনধর ভাগ্নে। তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো সোমবার হাওড়া থেকে কালিকাপুরে বেশ কয়েকজন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যান। সেখানে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন চাকরি প্রার্থীরা। কারণ, সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সবই ভুয়ো। কেউ কোথাও নেই। প্রতারিত হয়ে তাঁরা সকলে তৃণমূল নেতার ভাগ্নেকে ফোন করেন। কিন্তু, সে ফোন তোলেননি। এরপরই সকলে জোটবদ্ধ হয়ে আরামবাগে তার বাড়িতে এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই বিষয়ে আশিস মাঝি নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা চেয়েছিল। পুরসভার চেয়ারম্যানের ভাগ্নে বলে টাকা দিয়েছি। আট নয় মাস হয়ে গেল কোনও চাকরি পাইনি। আর টাকাও ফেরত দেয়নি। আমার মতো এই এলাকায় বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন।

    ভাগ্নেকে বাঁচাতে পুরসভার চেয়ারম্যান কী করলেন?

    দুর্নীতিগ্রস্ত (Scam)  ভাগ্নে বিপদে পড়েছে বুঝতে পেরে আসরে নামে তৃণমূলের আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারি। রাতেই ভাগ্নের বাড়িতে এসে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে বরফ গলানোর চেষ্টা করেন। আর, সংবাদ মাধ্যম প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি রীতিমতো রেগে যান। সংবাদ মাধ্যমের সামনে গুণধর ভাগ্নের অপকীর্তি বলার মতো তিনি সাহস দেখাননি। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুর্নীতিতে (Scam) জড়িত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: পঞ্চায়েতে ফাইল লোপাটের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলীদের হামলা! রণক্ষেত্র মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা, কেন জানেন?

    Attack: পঞ্চায়েতে ফাইল লোপাটের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলীদের হামলা! রণক্ষেত্র মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত অফিস থেকে ফাইল লোপাট করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। তৃণমূলীদের হামলায় (Attack) সিপিএমের যুব সংগঠনের তিনজন কর্মী জখম হন। আক্রান্ত হন কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর মধ্যে একজন গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় সিপিএম ও কংগ্রেস। সিপিএম এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল? Attack

    সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি বাপি বিশ্বাস, পঞ্চায়েতের অন্য এক কর্মী বিপ্লব চক্রবর্তী এবং পঞ্চায়েতের সহায়ক দীপঙ্কর প্রামানিক নামে তিন সরকারি কর্মচারী পঞ্চায়েত অফিসে তালা খুলে ভিতরে ঢোকেন। ওই সময় দুজন ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মী ও একজন পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েতের সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রাতের বেলায় পঞ্চায়েতের গেট খোলা দেখতে পেয়ে তাঁরা থমকে দাঁড়ান। পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি বাপি বিশ্বাস তাঁদেরকে দেখে গেটে তালা মেরে পালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এতেই তাঁদের সন্দেহ হয়। মোবাইল ভিডিও রেকর্ডিং করে তাঁরা পঞ্চায়েত সেক্রেটারির নাম,পরিচয় ও রাতে পঞ্চায়েত অফিস খোলার কারণ জানতে চান। কিন্তু, তিনি কোনও কিছুর উত্তর না দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। বাম যুব নেতাদের আশঙ্কা, পঞ্চায়েত থেকে ১০০ দিনের প্রকল্পের ফাইল লোপাট করার জন্যই রাতের অন্ধকারে তাঁরা এসেছিলেন। যদিও পঞ্চায়েত কর্মী চলে যাওয়ার পর তাঁরা বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতেই দল বেঁধে তৃণমূলের ছেলেরা এসে হামলা (Attack) চালায়।  ডিওয়াইএফআইয়ের এক নেতা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যসহ কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর (Attack) করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ডিওয়াইএফআই নেতা মহম্মদ ইরফানের। মারধর (Attack) করা হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য আসরাফুল হককেও। রাতেই ইরফানকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দুটি বাইক ভাঙচুর করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী কাউশার আলি ও উপ প্রধান ওয়াহেদুর রহমানের নেতৃত্বে ওই হামলা (Attack) চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

    কেন হামলা চালাল তৃণমূলীরা? Attack

    আক্রান্তদের অভিযোগ, সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিন প্রকল্পের ১০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এনিয়ে প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। পরে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ৭ এপ্রিল সেই মামলার প্রথম শুনানি। জেলে যাওয়ার ভয়ে প্রধান এবং উপ প্রধানের সহযোগিতায় পঞ্চায়েতের ওই কর্মীরা তাঁরা ফাইলগুলো লোপাট করার চেষ্টা করছিলেন। প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের বাহিনী হামলা চালায়। পরে, নিজেরা পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর করে আমাদের নামে ভাঙচুরের অভিযোগ এনেছে।  

    কী বললেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী? Attack

    অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী কাউশার আলি বলেন, পথশ্রী প্রকল্পসহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন রয়েছে। পঞ্চায়েত কর্মীরা অফিসে কাজ করছিলেন। বিরোধীরা এসে পঞ্চায়েত ভাঙচুর করে। ফাইল লোপাটের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কাউকে কোনও হামলা (Attack) চালানো হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অয়ন শীলের হাত ধরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি! জানেন কোন পুরসভায়?

    Anubrata Mondal: অয়ন শীলের হাত ধরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি! জানেন কোন পুরসভায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতার বাড়ি বীরভূমে। তিনি তৃণমূলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা। তাঁর ছেলের চাকরি হয়েছে বরানগর পুরসভায়। আর সেটা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের হাত ধরে। এমনিতেই শাসক দলের নেতার পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের চাকরি হয়েছে এই পুরসভায়। অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে এই পুরসভায় নিয়োগ হওয়ায় প্যানেল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এমনিতেই তৃণমূলের একটি অংশকে বাদ রেখে কয়েকজন মিলে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করে নিয়োগ করা হয়েছিল। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশ তাতে ক্ষুব্ধ ছিল। এবার অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের তথ্য জানতে গিয়ে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। যদিও এই বিষয়ে বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, এই পুরসভায় নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে সব কিছু হয়েছে। যারা এই পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন নিজেদের যোগ্যতায় পেয়েছেন।

    বরানগর পুরসভায় নিয়মিত আসতেন অয়ন শীল! Anubrata Mondal

    এমনিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ হয়েছিল। তবে, তাঁর নিত্য যাতায়াত ছিল বরানগর পুরসভায়। এমনিতেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির পাশাপাশি তাঁর পছন্দের লোকজনদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৭ সালে এই পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়। অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে সমস্ত নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। তারমধ্যে ১৭০ জনের চাকরি হয়। কিন্তু, চাকরি প্যানেলে দেখা যায়, বরানগর পুরসভার একাধিক কাউন্সিলারের পরিবারের লোকজন চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয় কামারহাটি পুরসভার দাপুটে তৃণমূল নেতার আত্মীয় বরানগর পুরসভায় চাকরি পান। আর তার বিনিময়ে বরানগর পুরসভার তৃণমূলের সামনের সারির এক নেতার পরিবারের লোকজন কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান। আর এসবই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে হয়েছে। এমনকী তৃণমূলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতার ছেলের চাকরিও হয় বরানগর পুরসভায়। অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবেই তিনি বীরভূম জেলায় পরিচিত। তাই, ওই জেলায় চাকরি পাইয়ে দিলে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে পারে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তৃণমূলের ওই নেতা বারাকপুর মহকুমা জুড়ে একাধিক গেট মিটিং করেছিলেন। নিজের প্রভাব বুঝিয়ে দেওয়ার পর অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁর ছেলেকে বরানগর পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেন। তাঁর ছেলে বরানগর পুরসভায় ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে চাকরি করছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন বরানগরে ঘর ভাড়া করে পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন। ফলে, কলকাতা লাগোয়া পুরসভায় ছেলে চাকরি করায় এতদিন কেউ প্রশ্ন তোলেননি। নিয়োগ নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আসায় বরানগর পুরসভায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ইডি বা সিবিআই তদন্ত হতে পারে। তাই, পুরসভার পক্ষ থেকে আলাদা করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বারাকপুরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ পুলিশের! কেন জানেন?

    BJP: বারাকপুরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ পুলিশের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিসহ একাধিক দাবিতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির (BJP) বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো এদিন বারাকপুর মহকুমা অফিসে সেই কর্মসূচি সফল করতে বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সব থানা এলাকার কর্মীরা জমায়েত হয়েছিলেন। আর এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ব্যারাকপুর মহকুমা অফিস চত্বর। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে চারজন বিজেপি (BJP) কর্মী জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহকুমা অফিসের সামনে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি (BJP) কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কী নিয়ে গন্ডগোল? BJP

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভায় নিয়োগ-দুর্নীতি, তহবিল তছরুপ পুর কর্মীদের বকেয়া বেতন, সীমাহীন প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে বারাকপুর বিজেপি (BJP) সাংগঠনিক জেলার ডাকে বারাকপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি (BJP) কর্মী, সমর্থকরা কর্মসূচিতে হাজির হন। শাসক দলের দুর্নীতি নিয়ে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল বারাকপুর মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। মহকুমা অফিসের বাইরে থাকা বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আচমকা পুলিশের বচসা শুরু হয়। তারপরই বেধড়ক লাঠিচার্জ করে সমস্ত জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশ কর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে আমরা সরে যেতে বলেছিলাম। কারণ, বিক্ষোভের সামনের সারিতে মহিলারা ছিলেন। তাতে ওই পুলিশ কর্মী রেগে যান। শুরু হয় বাগবিতন্ডা। এরপরই সেখানে উপস্থিত সব পুলিশ কর্মীরা একজোট হয়ে তারা আমাদের আচমকা লাঠিচার্জ করে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, মদ খেয়ে কোনও পুলিশ কর্মী ডিউটি করেননি। এই অভিযোগ ঠিক নয়।

    কী বললেন বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি? BJP

    বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল। সেই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দলদাস পুলিশকে এরকম নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করতে হল তা ভাবতে পারছি না। আমাদের কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছে। পুলিশ যে ভাবে আমাদের কর্মীদের মেরেছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা করছি। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানাব। এই ধরনের নক্করজনক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  আসানসোল সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দীর পর এবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে তলব করল ইডি। শনিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন মহলে সেই টাকা পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে।

    মহম্মদ আলিকে কেন ডাকল ইডি ?  Anubrata Mondal

    বীরভূমের মহম্মদবাজার সহ একাধিক থানায় থাকার সময় কয়লা পাচারের পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ডে সরাসরি যোগ রয়েছে মহম্মদ আলির। এমনই তথ্য হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। এমনকী বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকার সময় তাঁর বাড়িতে এই পুলিশ আধিকারিকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  অত্যন্ত পছন্দের পুলিশ অফিসার ছিলেন আলি। ২০০৫ সাল থেকে তিনি বীরভূম জেলায় রয়েছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর দাপট বাড়তে থাকে। এই জেলা ছেড়ে তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়নি। এসবের পিছনে কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা।  সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  মামলা লড়ার খরচও জুগিয়েছেন সিউড়ি থানার আইসি। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  মামলা খরচের টাকা তিনি কেন দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁর ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে তাঁর যোগোযোগ কোথায় কোথায় ছিল তা ইডি আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করবে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এখন জেলের ঘানি টানছেন। প্রতিদিন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাসক দলের নেতা বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা ইডির জালে ধরা পড়ছে। এমনকী আদালতের নির্দেশে শয়ে শয়ে চাকরি বাতিল হয়েছে। এই চাকরি বাতিল হওয়ার তালিকায় শাসক দলের নেতার আত্মীয়দের বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম জড়িয়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন? Mamata Banerjee

    বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও ছিলেন। তিনি এখন উত্তর দিনাজপুর জেলার মাইনোরিটি সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকারি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিপিআইএমের সময় যারা ঝোলা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াত, তাদেরই চাকরি হয়েছে। তাই তাদেরই চাকরি হবে যে সকাল সন্ধ্যা মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জিন্দাবাদ বলছে,তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ করছে, সেই তৃণমূল কর্মীকে চাকরি দেওয়ার একশো শতাংশ আমরা চেষ্টা করব। তবে, মেধার ভিত্তিতে সেই চাকরি দেওয়া হবে।”  তিনি আরও বলেন, বছরে আমরা তিনটে করে চাকরি পাই, সেই চাকরি আমরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ছেলেদের দেব না। যারা তৃণমূল করে আমরা তাদের সেই চাকরি দেব। সব পার্টি করেছে, আমরাও করব। তবে, যে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দুর্নীতি করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে দল তার পাশে থাকবে না। আর দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোষ করব না। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া কী মেধার মাপকাঠি?

    মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা? Mamata Banerjee

    মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, তৃণমূলের হয়ে যারা চাকরি চুরি করে, ধর্ষণ করে, বোমা মারে, বুথ জ্যাম করে সেটাই তৃণমূলের কাছে মেধা। আর সেই মেধার ভিত্তিতে তৃণমূলের লোক চাকরি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুন কিছু ব্যাপার নেই। বর্তমানে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কেউ আছে জেলে, কেউ আছে বেলে, বাকি যারা বাইরে আছে তারাও সময় মত জেলে যাবে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের সময় ঝোলা কাঁধে নিয়ে যারা ঘুরেছে তাদেরই চাকরি হয়েছে বলে মন্ত্রী যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে  সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, বর্তামানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের যারা বক্তা রয়েছেন তাদের তো বামফ্রন্টের সময় চাকরি হয়েছে। আর সেই চাকরি বামফ্রন্ট সরকার একটি নিয়ম নীতির মাধ্যমে করেছে। না হলে তাদের চাকরি হত না। তবে, তৃণমূলের কর্মীদের মেধার ভিত্তিতে যে নিয়োগ করা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তা একপ্রকার সোনার পাথর বাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীল ও তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। অয়ন প্রোমোটারির পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে ফুলেফেঁপে ওঠে। চাকরি বিক্রি করেই সে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বলে তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। আর এই কোটি কোটি টাকা সে সিনেমা, সিরিয়ালেও ঢেলেছে। ইতিমধ্যেই শ্বেতা চক্রবর্তী তাঁর হাত ধরেই রুপোলি জগতে পা রেখেছিলেন। এবার হুগলির গুরাপে অয়নের পেট্রল পাম্পের হদিশ পেল ইডি (ED) ।

    কত টাকায় কেনা হয়েছিল পেট্রোল পাম্প? ED

    ইডি (ED)  সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গুড়াপের এই পাম্পটি চালান অয়নের ছেলে অভিষেক শীল। এই পাম্পের পার্টনার ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা নন্দদুলাল শুক্লা, অজয় শুক্লা এবং আশিস শুক্লার কাছে থেকে ১ কোটি টাকায় গুড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ৩ বিঘা জমির উপর পেট্রল পাম্পটি কেনা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে শুক্লা পাম্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এই পাম্পের পাশাপাশি অভিষেক ও ইমনের নামে কলকাতার বন্ডেল রোড উপর ফসিলস নামে একটি অফিস রয়েছে। সেই সম্পত্তির দামও অনেক। এছাড়া অভিষেক ইমনের নামে যৌথভাবে আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছে বলে ইডি (ED)  জানতে পেরেছে। এই ইমন হচ্ছে অভিষেকের বান্ধবী। আইন পড়ার সময় তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কারবারের টাকা অভিষেকের বান্ধবী ইমনের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ইডির তরফে যে ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই শুক্লা সার্ভিস স্টেশনের নামে গুড়াপের ওই পেট্রল পাম্পও রয়েছে। ইডি-র মতে ইমন ও অভিষেকের যৌথ সংস্থা এবং পেট্রল পাম্পের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক কোটির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তার জন্যে অয়ন শীলের নির্দেশে দক্ষিণ কলকাতার অফিস খুলেছিলেন অভিষেক ও তাঁর বান্ধবী। যদিও সেই অফিস দীর্ঘদিন বন্ধ বলেই খবর।

    অয়নের ছেলের বান্ধবী ইমনকে নিয়ে কী বললেন প্রতিবেশীরা? ED

     অয়নের ছেলে অভিষেক শীলের সংস্থার অংশীদার রয়েছে তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। এই ইমনের বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভার অমরেন্দ্র সরণির দাশরথি আবাসনে। ওই আবাসনের দোতলায় ২০২ নম্বর ফ্ল্যাটটি ইমনের বাবা বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে রেজিস্ট্রার রয়েছে। বিভাসবাবু পেশায় আইনজীবী। বাবার সঙ্গে ওই আবাসনেই থাকেন ইমন। বুধবার থেকে বাইরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কেউ কথা বলেননি। এমনকী কাজের মেয়েকেও বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দেননি। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার কারও সঙ্গে সেভাবে মিশত না। মাঝে মধ্যে ইমনকে আইনজীবীর পোশাক পড়ে বিলাসবহুল গাড়িতে করে চলে যেতে দেখা যেত। কখনও কখনও রাত করেও বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে। ইমনও খুব কম কথা বলত। তবে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত অয়নের ছেলের বান্ধবীর বিষয়টি  জানাজানি হতেই হতবাক এলাকাবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

    Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই তৃণমূলের পতাকা গাড়িতে রেখে গরু পাচার (Smuggling) করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। সোদপুরে বিটি রোডে ট্রাফিক মোড়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ট্রাকে বিশ্ব বাংলা লোগোর কুপন  ব্যবহার করে দেদার বালি পাচার (Smuggling)  করছে বালি মাফিয়ারা। বিরোধীদের বক্তব্য, গরু পাচারকারী, বালি মাফিয়ারা বুঝে গিয়েছে, তৃণমূলের পতাকা, বিশ্ব বাংলা লোগো ব্যবহার করলে পুলিশ তাদের ছুঁতে পারবে না। কিন্তু, পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বালি বোঝাই গাড়়ি আটকাতেই আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। বালি গাড়ির চালকের কাছে থেকে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন উদ্ধার হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ওয়েষ্ট বেঙ্গল পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় গোটাটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালু করেনি।

    কীভাবে এই জালিয়াতি ধরল প্রশাসন? Smuggling

     গত কয়েকদিন ধরে ওভারলোড গাড়িতে বালি পাচার (Smuggling)  রুখতে সক্রিয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা ওভারলোড আটকাতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তায় অভিযান চালানোর সময় সন্দেহ হওয়ায়  শক্তিগড়ে একটি  বালি ভর্তি ওভারলোড ট্রাককে আটকানো হয়। তাতে গাড়ির চালক আধিকারিকদের সামনে রীতিমতো মেজাজ দেখায় বলে অভিযোগ। তার কাছে সরকারি অনুমতি আছে বলে সে দাবি করে। কারণ, বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন থাকলে কেউ ধরবে না, তা আগেই জানত ওই চালক। তাই, সে প্রশাসনের আধিকারিকদের কিছুটা মেজাজও দেখিয়ে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া ওই কুপন দেখায়।  আধিকারিকরা বুঝতে পারে, সমস্ত বিষয়টি ভুয়ো। গাড়িটি তারা আটক করে। আর বালি বোঝাই ট্রাকটি বীরভূমের ইলামবাজার হয়ে কলকাতা যাচ্ছিল। ফলে, আশপাশের জেলাকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশ। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো বিশ্ববাংলা লোগো বসানো প্যাড বানানোর মূল পান্ডাকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, বসিরহাটের এক ব্যক্তি এই ভুয়ো প্যাড তৈরি করেছিল। সে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তা এক বালি মাফিয়ার হাতে তুলে দেয়। সেই ব্যক্তি বালি মাফিয়াকে জানায়, যে এই  বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন দেখালে কোন জায়গায় পরিবহণ দপ্তর বা পুলিশ তাদের গাড়ি আটকাবে না।

    এই বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা কংগ্রেসের নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।  পিসি ভাইপোর রাজত্বে এমনটা হয়েই চলেছে।  বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, জেলায় বালি কয়লা সব পাচারেই (Smuggling)  তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। শাসকদলের মদতেই বালিপাচারের এই দুর্নীতির এই চক্র চলছে। অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র  দেবু টুডু বলেন, সরকার এ ধরণের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য একাজ করা হয়েছে।  বিজেপি নেতারাই এই কারবারে যুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, এ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share