Tag: scam

scam

  • MGNREGA: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে  কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    MGNREGA: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দুর্নীতি (Scam)  নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। যা নিয়ে শাসক দলের নাস্তানাবুদ অবস্থা। এরইমধ্যে পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের প্রকল্পে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে। ১০০ দিনের প্রকল্পে বড় রকম আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবারই রাজ্যে আসছে।  সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নতুন কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে শাসক দলের মধ্যে এখন জল্পনা চলছে। এরইমধ্যে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে ১০০ দিনের প্রকল্পের বিষয়টি সামনে আসতেই শাসক দলের পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরা রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়বেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এই ব্লকের সব পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তাই, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি হলে শাসক দলের উপর দায় চাপবে। তবে, ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির (Scam) অভিযোগে রাজ্যের একাধিক জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে রয়েছে। কাজ না করেই মাস্টার রোলে নাম তুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বহু পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শনে গিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে এই প্রকল্পে এলাকার মানুষ আদৌ সুবিধা পেয়েছেন কি না তা তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। তবে, এই দুর্নীতি নিয়ে যারা অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় টিম তদন্ত করতে আসায় তারাও খুশি।

    কেন্দ্রীয় টিমে কারা রয়েছেন? Scam

     প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা মিনাক্ষী হুদা এবং তাঁর সঙ্গে দপ্তরের আরও একজন আধিকারিক রয়েছেন। শুক্রবার তাঁরা সকালেই কলকাতা পৌঁছবেন। সেখান থেকে তাঁরা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ২২ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত করতে মুর্শিদাবাদ জেলায় থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বেলডাঙা-২ ব্লক এই প্রকল্পের দুর্নীতির (Scam)  তালিকায় রয়েছে। জেলা শাসকের মাধ্যমে বিডিওকে এই তদন্তের কাজে সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। ফলে, এই ব্লকের যে সব পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পে দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে, সেই সব জায়গায় তাঁরা পরিদর্শনে যেতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁরা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Teacher: শিক্ষকের চাকরি করলে লোন দেবে না ব্যাঙ্ক! কোথায় জানেন?

    Teacher: শিক্ষকের চাকরি করলে লোন দেবে না ব্যাঙ্ক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষকরাই (Teacher) সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁদের কথা এলাকার আর পাঁচজন মান্যতা দেন। কিছুদিন আগেও শিক্ষকরা ব্যাঙ্কে গেলে কর্মীরাও অনেক খাতির করতেন। পাড়ায় কেউ শিক্ষক পদে চাকরি করেন শুনলে সকলেই সেই পরিবারকে সমীহ করে চলতেন। এমনকী বিয়ের বাজারে শিক্ষক (Teacher)  পাত্র পেলে মেয়ের বাবার তো কথাই নেই। প্রতিবেশীরা সেই পরিবারকে কিছুটা আড় চোখে দেখতেন। এতদিন এটাই ছিল চেনা চিত্র। কিন্তু, আদালতের নির্দেশে রাজ্যে শয়ে শয়ে বাতিল হয়েছে শিক্ষক (Teacher)  এবং অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি। এখনও চলছে বাতিলের প্রক্রিয়া। প্রতিনিয়ত দুর্নীতি খুঁজে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। রাজ্যের ভুয়ো শিক্ষকদের (Teacher) চাকরি বাতিলের ঘটনায় বৈধ শিক্ষকরাও সামাজিক প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। সামাজিক অমর্যাদার পাশাপাশি, সামাজিক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সোশ্যাল মিডিয়াতে শিক্ষকদের নিয়ে ট্রোল হচ্ছে। এবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যাঙ্কে লোন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লোন না দেওয়ার  সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    শিক্ষকদের কেন লোন দিতে আপত্তি ? Teacher

    এমনিতেই চাকরিজীবীদের ব্যাংক থেকে লোন নিতে খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু, শিক্ষকদের (Teacher) ক্ষেত্রে ব্যাংক গুলি সাধারণত বুঝে নিতে চাইছে, সেই শিক্ষকের চাকরি আইনত বৈধ আছে কিনা। শিক্ষকের  নিয়োগ কতদিন আগে হয়েছে, সে বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে চাইছে ব্যাংক। ঠিক এইভাবেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বৈধ নিয়োগের শিক্ষকদের‌ও। যা শিক্ষকদের (Teacher) কাছে অমর্যাদার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সিইও তনুজ কুমার সরকার বলেন, ব্যাংক ব্যবসা করতে এসেছে। ফলে, লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু দেখে নিতে হয়। যাতে তা পরিশোধ হতে পারে। আমাদের শাখা ব্যাঙ্ক থেকে এর আগে অনেক শিক্ষকদের লোন দিয়েছে। তাদের অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে। লোনের টাকা এখন আদায় করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই, বর্তমানে শিক্ষকদের নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কিছুটা সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মূলত, যে সাল থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেই সময়ের শিক্ষকদের নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা।

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাম শিক্ষক সংগঠনের নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, শিক্ষকদের (Teacher) হয়রানি না করে যাতে ব্যাঙ্ক লোন পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। অপরদিকে, শিক্ষা দফতরের দুর্নীতিতে যারা চাকরি পেয়েছেন, তার দায়‌ও সরকারের। ফলে, সরকারকেই এই দায় নিতে হবে। এর আগে কয়েকটি ব্যাঙ্ক করেছিল। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলে সমস্যা মিটে গিয়েছে। তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্য বিপুল কান্তি ঘোষ বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাধারনত ঋণ দেওয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটি বা কাগজপত্র দেখে নেয়। ঋণের বিষয়টি ব্যাংকের ব্যাপার। ব্যাংক সবকিছু খতিয়ে দেখতেই পারে। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহা সঙ্ঘের সদস্য শুভেন্দু বক্সী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদের নাম জড়িত, তাদের তো চাকরি যাচ্ছেই, কিন্তু যারা বৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, এই ঘটনায় তাদেরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। বৈধ শিক্ষকদের (Teacher)  বিভিন্নভাবে সামাজিক হয়রানি হতে হচ্ছে। এটা যাতে না হয় সেই বিষয়টি দেখা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি চলে গিয়েছে। এরইমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam)  বড়সড় অনিয়ম সামনে এসেছে। কাউন্সেলিং ছাড়াই নবম-দশমে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আর সেটা অন্যজনের রোল নম্বর ব্যবহার করেই কাউন্সেলিং ছাড়াই একজন বহাল তবিয়তে ইংরেজি শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। জানা গিয়েছে, ১২২১১৬৭৬০০০০০৩-এই রোল নম্বরটি সালমা সুলাতানার। তাঁর বাড়ি বোলপুর। তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে কখনও ডাকা হয়নি। অথচ তাঁর এই রোল নম্বরেই অন্য একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।  এসএসসি-র এই নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) বিষয়টি সামনে আসতেই খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে এসএসসি এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে তিনি রিপোর্ট তলব করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একজনের রোল নম্বরে অন্যজনকে কী করে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। ফলে, এর পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করেছে। আর এই রোল নম্বর কারচুপি করে নিয়োগপত্র কাকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    নিজের রোল নম্বর চুরি হওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন  সালমা সুলতানা? Scam

    সালমা সুলতানা শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর পরীক্ষার যে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে তাঁর অ্যাকাডেমিক নম্বর ছিল ৩৩। আর লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিটের নম্বর ছিল ৪৯। ২০১৮ সালে তাঁকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়। তারপর তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল। কাউন্সেলিংয়ে তাঁকে আর ডাকা হয়নি। পরবর্তীতে আদালত এসএসসি-র কাছে ওএমআর শিট চেয়েছিল। তাতে দেখা যায় তাঁর নম্বর ৪৮। চাকরি না পেয়ে কলকাতায় এসএলএসটি-র যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। সালমা সুলতানা বলেন, কাউন্সেলিংয়ে আমাকে ডাকা হয়নি। তারজন্য আক্ষেপ নেই। কিন্তু, কিছুদিন আগেই জানতে পারি আমার রোল নম্বরে অন্যজন চাকরি করছে। তাঁকে তো কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে? না হলে সে কী করে চাকরি পেল। আর ওই রোল নম্বর ধরে দপ্তর থেকে ডাকা হলে আমি জানতে পারব। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কোনও কাউন্সেলিং না করেই নিজের মনের মতো কাউকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি বিষয়টি জানতে পারিনি। আমাকে অন্ধকারে রেখে আমার রোল নম্বর ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে একজন শিক্ষকতা করছেন এটা হতে পারে না। এই দুর্নীতির (Scam)  বিরুদ্ধেই আমি সরব হয়েছি। সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশ রাজ্যে শয়ে শয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। শুক্রবারই গ্রুপ সি পদে আদালতের নির্দেশে নতুন করে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছে। চাকরি বাতিলের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও রয়েছে। এরইমধ্যে ভুয়ো নথি নিয়ে গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে ধরা পড়ল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তরে এই ধরনের দুর্নীতির (Scam) ঘটনা ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালের আধিকারিকরা তার কাছে থাকা নিয়োগপত্র দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, নিয়োগপত্র নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারপর নিয়োগপত্রটি জমা দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি বলেন। নিয়োগপত্র দেখেই আমার সন্দেহ হয়। কারণ, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এভাবে একজনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। আমি চারিদিকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এই ধরনের কাউকে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাঠানো হয়নি। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক হাসপাতালে এসেছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

    কে দিল ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র? Scam

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে এসেছিল ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোক্তার আলি। তার বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজার এলাকায়। মোক্তারকে হাসপাতালে বসিয়ে রেখে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে স্পিড পোস্টে তার কাছে নিয়োগপত্রটি এসেছিল। তবে, এই নিয়োগপত্রের বিনিময়ে সে কত টাকা দিয়েছে তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেনি।  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, পরীক্ষা না দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না। এই বিষয়টি সকলের জানা দরকার। একটি চক্র রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে এভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। অনেকে তাদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়। তবে, এই হাসপাতালে এই ধরনের কোনও চক্র রয়েছে কি না তা জানা নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত যুবককে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টেট, গ্রুপ ডি এবং এসএসসির পর এবার দুর্নীতির(Scam) ছায়া আইসিডিএসে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে চাকরি দেওয়ার নামে বেশ বড় রকমের প্রতারণার অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আইসিডিএসের হেল্পার মোসলেমা বেওয়া ও তাঁর মেয়ে পুতুল নশা পারভিন ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের নাম ভাঙিয়ে মহেন্দ্রপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলামের মেয়েকে আইসিডিএস-এ চাকরির টোপ দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, দুবছর হতে চলল এখনও চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেই। সামনেই জাহেদুল ইসলামের মেয়ের বিয়ে। তাই, পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বচসা হয়। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ।

    চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে কত টাকা লেনদেন হয়েছিল?

    শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা আছে জেনে জাহেদুল চাকরি পাওয়ার আশা ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বিনিময়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মতো জাহেদুল ইসলাম স্ত্রীর গয়না বন্ধক ও জমি বিক্রি করে নগদ চার লক্ষ টাকা তুলে দেন। জাহেদুল ইসলামের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার সময় ব্লকের সিডিপিও ও জেলার ঊর্ধ্বতন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের ভালো পরিচয় রয়েছে বলে ছিল। ১৫ দিনের মধ্যেই চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিলেই চাকরি হয়। তাই, চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু, দুবছর হতে চলল চাকরি পাওয়ার কোনও আশা নেই। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে। তাই, ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

     

    যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আইসিডিএস-এর হেল্পার মোসলিমা বেওয়ার মেয়ে পুতুল নেশা পারভিন। তিনি বলেন, ওরা ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে।চাকরি দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। আমার কাছে ওরা মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা ধার চাইতে এসেছিল।এর আগেও ওদের টাকা ধার দিয়েছি। এদিন টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার বিরুদ্ধে এই সব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। কোনও ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই প্রতারিত জাহেদুলসাহেব থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • SSC Recruitment: শিক্ষক পদে চাকরির ‘পরীক্ষা’-র দাবিতে ডিগ্রিধারীদের অন্দোলনে অনুমতি হাইকোর্টের

    SSC Recruitment: শিক্ষক পদে চাকরির ‘পরীক্ষা’-র দাবিতে ডিগ্রিধারীদের অন্দোলনে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (SSC Recruitment)। শহিদ মিনারে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শিক্ষক পদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। নিতে হবে পরীক্ষা। এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৬ সালে শেষবার এসএলএসটি পরীক্ষা নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। শেষ ৬ বছর হয়নি কোনও পরীক্ষা। কমিশনে একাধিক চিঠি দিয়েও মেলেনি কোনও আশ্বাস। এতদিন আন্দোলনের অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ। সে কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা        

    মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা আন্দোলনের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই আন্দোলন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা (SSC Recruitment)। এর আগেও হয়েছে বহু আন্দোলন। সুরাহা হয়নি কিছুই।  

    গত দুবছর ধরে চলছে আন্দোলন। প্রেস ক্লাব, বিকাশ ভবন, গান্ধীমূর্তির পাদদেশ। আন্দোলন হয়েছে সর্বত্র। লাভ হয়নি কিছুই। সম্প্রতি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি লিখেছেন আন্দোলনকারীরা। নিজেদের জীবন-যন্ত্রণার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চান তাঁরা। তাঁদের একটাই অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের দ্রুত স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল 

    এদিকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মাঝ রাস্তায় মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে তাঁরা বসে রয়েছেন। কিন্তু নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের হাতের ব্যানারে লেখা দেখা যায়, ‘কন্যাশ্রীকে রাত জেগে বিশ্বসেরা করল যারা, তারাই আজ বঞ্চিত’।

    স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকদের মিছিল এগোতে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে। মাঝ রাস্তায় তা আটকে দেয় পুলিশ। তারপরেই রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকরা। বেশ খানিকক্ষণ এসব চলার পর সরিয়ে দেয় পুলিশ।  স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকরা অনেক দিন ধরেই নিয়োগের দাবি করছেন। এবার পথে নেমেছেন তাঁরাও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitude Test) হয়নি বলে অভিযোগ। তার পরেও দিব্যি হয়েছে নিয়োগ (TET Scam)। এ সংক্রান্ত একটি মামলায়্ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে?  ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এদিন ছিল ওই মামলার শুনানি। এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেন।

    হলফনামা…

    এদিন সেই হলফনামা জমা দেয় পর্ষদ। তার পরেই বিচারপতির প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কীভাবে নিয়োগ?  দেড়-দু মিনিট সময়ের মধ্যে কীভাবে এক সঙ্গে ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়?  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের হলফনামায়ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়াই হয়নি। এদিন পর্ষদের তরফে ওই বছর প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা পেশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    জানা গিয়েছে, ৫ হাজার ২১৬ প্রশিক্ষণহীনের চাকরি বেআইনিভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। অ্যাকাডেমিক স্কোর কম, অথচ ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, এদিন পর্ষদের তরফে ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়া যে শিক্ষকদের নামের তালিকা হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে, সেই তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদের শিক্ষকদের তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় তাঁদের আদালতের হাজিরা দিতে হবে।

    সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা তথ্য জানতে চায় আদালত। শুধু তাই নয়, গোটা প্রশ্নোত্তর পর্বই হবে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে। ধাপে ধাপে তলব করা হবে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদেরও। দূরের জেলার ওই শিক্ষকদের রাহা খরচ বাবদ পর্ষদকে দিতে হবে দু হাজার করে টাকা। আর কাছের জেলার শিক্ষকদের দিতে হবে ৫০০ টাকা করে। এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএড কলেজের (BED College) অনুমোদন দিতে টাকা নিতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছে ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা প্রকাশ্যে নিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ইডির দাবি, কেবল মানিক নন, কলেজগুলিকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

    ইডি-র চার্জশিট…

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ানকে অস্ত্র করেই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এনসিটিই-র সদস্য ছিলেন মানিক। বিএড, ডিএলএড বা প্রাইমারি টিটার ট্রেনিং কলেজের চূড়ন্ত অনুমোদন পেতে হলে এনসিটিই-র অনুমোদন প্রয়োজন। চার্জশিটে পেশ করা তথ্যে দাবি করা হয়েছে, মানিক এই কাউন্সিলের সদস্যপদে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাজ্যে এই ধরনের বহু প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। সেই টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়। অনুমোদন পাইয়ে দিতে পার্থ নিতেন ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক নিতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

    ইডি জানিয়েছে, বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির কাছ থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক (Manik Bhattacharya) ও পার্থ। সব মিলিয়ে এর মোট পরিমাণ ২০ কোটি টাকা বলে আগেই জানিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের জেরায় তাপস জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৩২৫ জন প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া ও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য ‘ঘোষবাবু’ নামে পার্থ ও মানিকের কোনও এক প্রতিনিধিকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রাইমারি টেটের যেসব প্রার্থী ওই টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন শিক্ষকতা করছেন। 

    আরও পড়ুন: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার কলকাতার পিএমএলএ আদালতে মানিক (Manik Bhattacharya), তাঁর ছেলে সৌভিক ও মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে নথিভুক্ত হয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যের বয়ানও। ওই চার্জশিটে উঠে এসেছে কলকাতায় থাকা মানিকের কয়েকজন আত্মীয়ের বয়ানও। তাঁদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাদা কাগজে এবং কিছু ব্যাঙ্কের নথিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার নামে কী ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সে বিষয়ে কখনওই কিছু জানানো হয়নি তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Abhijit Ganguly: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইকে দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি আরও দুর্নীতির ইঙ্গিত তিনি পাচ্ছেন জানিয়ে তদন্তে লোক বাড়ানোর কথাও বলেছেন হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    সিবিআইকে যা বললেন বিচারপতি

    সোমবার তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কবে তদন্ত শেষ হবে? এমনকী আরও দুর্নীতি লুকিয়ে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিন একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকাল আমি একটা অনুষ্ঠানে গেছিলাম। সেখানে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের অনেকেই আমার কাছে জানতে চান, সিবিআই তদন্ত কবে শেষ হবে? আমারও একই প্রশ্ন?’একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের গতি নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘লোক কোথায়? সিটে লোক বাড়ান। দরকার হলে আরও লোক বাড়ানোর নির্দেশ দেব। আমার মনে হয় আরও দুর্নীতি লুকিয়ে রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, দিন সাতেক আগেই দিনের শুরুতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে, সিবিআইকে  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিটের কয়েকজন আধিকারিক ঠিক মতো কাজ করছেন না। প্রয়োজনে তাঁদের বদল করা হতে পারে। কিন্তু দিনের শেষে,তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলার পর, সিবিআই তদন্তের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন মাননীয় বিচারপতি। তিনি বলেছিলেন,‘সিবিআই ম্যাজিক দেখাতে পারে,আশা করব,তারা তা দেখাবে’।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুতে আর একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল অপরাধী কে সবাই জানে। আমার জীবদ্দশায় তারা ধরা পড়বে বলে তো মনে হয় না। আমি তো নিজে ধরতে যেতে পারব না। সবাই মিলে চেষ্টা করে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ‘ তাঁর যুক্তি, সিবিআই আরও বহু মামলার তদন্ত করছে, তাই তাদের সময় লাগছে। লোক বাড়াতেই হবে না হলে তদন্তে গতি আসবে না,মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যকের ধন উদ্ধার কলকাতায়। গার্ডেনরিচের (Garden Reach Money Scam) পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ কোটি! এমনটাই জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সকাল দশটা থেকে টাকা গোনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ ৯ ঘণ্টায় ১৭ কোটি টাকা গোনা হয়েছে৷ গোয়ান্দাদের দাবি, ওই বাড়িতে আরও টাকা রয়েছে। তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ 

    টাকা গোনার মেশিন নিয়েই ওই বাড়িতে হানা দেন ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। টাকার অঙ্ক যে এরকমই বিপুল হতে পারে, তা ধারণা করে আগে থেকেই প্রস্তুতি রেখেছিলেন তাঁরা। উপস্থিত আছেন সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরাও৷ প্রথম কয়েক ঘণ্টা টাকা গোনার পর সাত কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আগে জানিয়েছিল ইডি৷ পরে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৮ কোটি৷ এর পর ১২ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানানো হয়৷ আর এখন নগদের পরিমাণ ১৭ কোটি। ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। 

    ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে আসার জন্য গার্ডেনরিচের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে পৌঁছেছে ট্রাক৷ কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে যাওয়া হবে স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের দফতরে৷ 

    আরও পড়ুন: সাক্ষী সরাতেই হামলা! আক্রান্ত হাওড়ার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমন

    বেআইনি লেনদেনের মামলায় একযোগে কলকাতার ৬ জায়গায় ইডির তল্লাশি চালায়। গার্ডেনরিচ ছাড়াও মোমিনপুর, পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-সহ ৬ জায়গায় অভিযান। চিনা মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে পুরস্কার জেতার টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে গার্ডেনরিচের ব্যসায়ী নিসার খানের (Nesar Khan) বিরুদ্ধে৷ সেই অভিযোগের সূত্রেই এ দিন সকালে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ 

    কোন পথে জালিয়াতি?

    সূত্রের খবর ‘ই-নাগেটস’ নামের একটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে চলত প্রতারণা। ঠিক কী ভাবে কোন পথে এই লোক ঠকানোর চক্র চালানো হত তাও জানায় ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, আমির খান ই-নাগেটস নামে মোবাইল গেমিং অ্যাপটি লঞ্চ করেছিলেন। লোক ঠকাতেই এই গেমিং অ্যাপ বাজারে আনা বলেই ইডির হাতে তথ্য উঠে এসেছে। এই গেমিং অ্যাপে খেলার শুরুতে ব্যবহারকারীরা ভালো টাকাই ফেরত পেতেন। সেই টাকা পেতে খুব একটা কসরতও করতে হয় না তাঁদের। ফলে এই খেলার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়। এই অ্যাপে ২০০ টাকা খরচেই সাধারণ মেম্বার হতে পারতেন যে কেউ।  সাধারণ মেম্বারশিপ নিয়ে খেলা শুরু হত। খেলে কয়েন জিততে হত। একটা কয়েন সমান ১ টাকা। প্রথমে জেতা টাকা ওয়ালেট মারফত ট্রান্সফার করা যেত কিংবা অনলাইন শপিং করা যেত। অ্যাপের মালিকদের প্রথম পর্যায়ে মূল লক্ষ্য ছিল, ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস জিতে নেওয়া, যাতে তাঁরা আরও বেশি করে টাকা খাটান। ব্যবহারকারীরা বড় অঙ্কের টাকা খাটাতেই ওই অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইডি। তখন একের পর এক কয়েন জিতে মোটা টাকা জিতলে টাকা তোলা যেত না। তখন সার্ভার প্রবলেম বলা হত। আর এভাবেই লোক ঠকাত এই চক্র। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় আমির খানের বিরুদ্ধে। এরপর এই মামলার তদন্তে নামে ইডি।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share