Tag: School Teacher

School Teacher

  • UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪-’২৫ প্রতিবেদন (UDISE Report) প্রকাশ করেছে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক (Dropouts) উন্নতির দিকটি। জানা গিয়েছে, ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস চালু হয়েছে ২০১৮-’১৯ শিক্ষাবর্ষে। তার পর এই প্রথম দেশে শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে এক কোটির গণ্ডি। এটি ২০২২-’২৩ সালের তুলনায় ৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

    শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার (UDISE Report)

    শিক্ষকের এই বৃদ্ধির জেরে উন্নত হয়েছে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার। ২০২৪–’২৫ সালের হিসেবে প্রাথমিক স্তরে প্রতি শিক্ষক ১০ জন শিক্ষার্থী, প্রিপারেটরি স্তরে ১৩ জন, মিডিল লেভেলে ১৭ জন এবং মাধ্যমিক স্তরে ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০-এর সুপারিশ করা সর্বোচ্চ ৩০ শিক্ষার্থী প্রতি শিক্ষক সীমার অনেক নীচে। সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত হওয়ায় এবং ছাত্র অনুপাতে শিক্ষকের হার বেড়ে যাওয়ায় ২০২২–’২৩ সালের তুলনায় ড্রপআউটের হারও কমেছে। প্রিপারেটরি স্তরে ড্রপআউটের হার ২০২২–’২৩ সালের ৩.৭ শতাংশ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মধ্য স্তরে এই হার ৫.২ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে আর মাধ্যমিক স্তরে ১০.৯ শতাংশ থেকে ৮.২ শতাংশে নেমে এসেছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ধরে রাখার হার বেড়েছে।

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও (GER) বা মোট ভর্তি অনুপাতও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪–’২৫ সালে মধ্য স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯০.৩ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও পৌঁছেছে ৬৮.৫ শতাংশে, যা শিক্ষায় প্রবেশাধিকারের উন্নতির দিক নির্দেশ করে। এছাড়া প্রাথমিক থেকে প্রিপারেটরি, প্রিপারেটরি থেকে মধ্য এবং মধ্য থেকে মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির শক্তিশালী ধারা নির্দেশ করে (Dropouts)। রিপোর্টে এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয় এবং ছাত্র শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২০২২–’২৩ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭১ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ০৪ হাজার ১২৫-এ। পড়ুয়া শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৯৩-এ (UDISE Report)।

    ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে

    পরিকাঠামোগত উন্নতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে। বিদ্যালয়ের ৬৪.৭ শতাংশে কম্পিউটার এবং ৬৩.৫ শতাংশে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছেছে ৯৩.৬ শতাংশে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রাপ্যতা বেড়ে হয়েছে ৯৯.৩ শতাংশ, এবং হাত ধোয়ার সুবিধা ৯৫.৯ শতাংশে। র‌্যাম্প ও হাতল-সহ সহজ প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যালয়ের ৫৪.৯ শতাংশে। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা উন্নতির দিকেও অগ্রগতি হয়েছে। নারী শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.২ শতাংশে, আর মেয়েদের ভর্তি সামান্য বেড়ে ২০২৪–’২৫ সালে হয়েছে ৪৮.৩ শতাংশে। ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪–’২৫ রিপোর্ট ভারতে বিদ্যালয় শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, মান ও অন্তর্ভুক্তির উন্নতিকেও তুলে ধরেছে, যা সম্ভব হয়েছে লক্ষ্যভিত্তিক উদ্যোগ এবং পরিকাঠামো ও মানবসম্পদে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস প্রতিটি অনবোর্ডেড স্কুলকে একটি অনন্য ১১-সংখ্যার ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড এবং লগইন শংসাপত্র প্রদান করা হয় যাতে রিয়েল-টাইমে ডেটা এন্ট্রি এবং এর পরিবর্তন সম্পন্ন করা যায় (Dropouts)। স্কুল ব্যবহারকারী ডিরেক্টরি মডিউল স্কুলগুলিকে অনবোর্ডিং এবং ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসে ডেটা জমা দিতে পারে এমন মনোনীত ব্যবহারকারীদের পরিচালনা করে। এই মডিউলটি ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসের (UDISE Report) ব্লক, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করে। স্কুল প্রোফাইল, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের তথ্য তিনটি স্বতন্ত্র কিন্তু সমন্বিত মডিউলে রিপোর্ট করা হয়েছে।

    স্কুল প্রোফাইল এবং সুযোগ-সুবিধা, এই মডিউলে স্কুলগুলিতে উপলব্ধ পরিকাঠামোগত বিবরণ এবং পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী মডিউল প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাধারণ এবং অ্যাকাডেমিক প্রোফাইল, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ-সহ এই মডিউলে স্থায়ী শিক্ষা নম্বর (Dropouts) ব্যবহার করে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। শিক্ষকের প্রোফাইল, এই মডিউলে সকল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সাধারণ, অ্যাকাডেমিক এবং নিয়োগের বিবরণ পৃথকভাবে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় (UDISE Report)।

  • Naihati: দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা, নৈহাটিতে চাঞ্চল্য

    Naihati: দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা, নৈহাটিতে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছরের ছেলে এবং ৯ বছরের মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বাবা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি (Naihati) শিবদাসপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জ্যোতিপ্রকাশ মণ্ডল, জয়মাল্য মণ্ডল (৫) এবং লাজবন্তী মণ্ডল (৯)। মঙ্গলবার এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Naihati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  জ্যোতিপ্রকাশবাবু পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষক। তিনি নৈহাটির (Naihati) বুদরিয়া এলাকায় থাকেন। দশ বছর আগে লাবনী মণ্ডলের সঙ্গে জ্যোতিপ্রকাশের বিয়ে হয়। তাঁদের প্রথমে কন্যা সন্তান হয়। পরে, পুত্র সন্তান হয়। এলাকায় এক মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে বলে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল লেগেই থাকত। জানা গিয়েছে, সোমবার লাবনীদেবীর এক আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় তিনি বাপের বাড়়ি চলে যান। বাড়িতে দুই সন্তানকে রেখে যান। প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকেলে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হন জ্যোতিপ্রকাশবাবু। আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার মাঠের মধ্যে দুই সন্তানকে স্থানীয় বাসিন্দারা পড়ে থাকতে দেখেন। আর জ্যোতিপ্রকাশবাবু দেহ উদ্ধার হয় মাঠের মধ্যে একটি শ্যালো মেশিনের ঘরে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জ্যোতিপ্রকাশ শিক্ষক হিসেবে ভালো। তিনি ভালো মানুষও ছিলেন। সন্তানদের তিনি খুব ভালোবাসতেন। প্রতিদিন বিকালে মাঠে খেলা করতে নিয়ে যেতেন। সেই মানুষ এভাবে নিজের সন্তানকে মেরে দেবে তা ভাবতেই পারছি না।

    আত্মঘাতী শিক্ষকের স্ত্রী কী বললেন?

    এদিন বিষয়টি জানার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করেন। জ্যোতিপ্রকাশবাবুর স্ত্রী লাবণী মণ্ডল বলেন, আমার ঠাকুমা মারা গিয়েছেন বলে আমি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু, ও এভাবে আমার সন্তানদের খুন করে দেবে আমি ভাবতে পারিনি। এর আগেও ও আমাকে একবার খুন করার চেষ্টা করেছিল। আমি ভাগ্য জোরে বেঁচে গিয়েছিলাম। ও আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিল। আমি ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। তবে, এভাবে আমার সন্তানদের ও খুন করে সব শেষ করে দেবে তা ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School Teacher: ‘রাস্তার মাস্টার’ থেকে ‘গ্লোবাল টিচার’ জামুড়িয়ার দীপনারায়ণ! এলাকায় খুশির হাওয়া

    School Teacher: ‘রাস্তার মাস্টার’ থেকে ‘গ্লোবাল টিচার’ জামুড়িয়ার দীপনারায়ণ! এলাকায় খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় পড়িয়ে ১৩০ টি দেশের মধ্যে শীর্ষ দশজনের চূড়ান্ত তালিকায় নাম নথিভূক্ত করে ফেলেছেন ‘রাস্তার মাস্টার’ বলে খ্যাত দীপনারায়ণ নায়ক (School Teacher)। তিনি গ্লোবাল টিচার প্রাইজ, ২০২৩ সম্মানে ভূষিত হন। তাঁর বাড়ি আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়ার নন্ডি গ্রামে। বর্তমানে তিনি জামুড়িয়ার ১ নম্বর সার্কেলের তিলকা মাঝি আদিবাসী ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের পিছিয়ে থাকা মানুষদের শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্নও ছিল তাঁর। তাই এলাকার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর জন্য থ্রি জেনারেশন এডুকেশন শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা জেলা।

    কেন তিনি ‘রাস্তার মাস্টার’ (School Teacher)?

    বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা শিখিয়ে, পরিবারে মা-বাবা, দাদু-ঠাকুমাকে প্রাথমিক জ্ঞানের আলোতে শিক্ষিত করে তোলার ভাবনা ছিল দীপনারায়ণ নায়কের (School Teacher)। যখন বিশ্ব জুড়ে মহামারী করোনা আবহ, অফিস-আদালত থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ, সেই সময় তিনি রাস্তায় নেমে শিক্ষকতা শুরু করেন। তাঁর ইচ্ছাশক্তিকে কোনও বাধাই আটকে রাখতে পারেনি। করোনার সময় রীতিমতো সামজিক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, নিয়ম মেনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার (Asansol) ছেলে-মেয়েদের রাস্তার উপরেই পড়াতে শুরু করেন তিনি। আর এভাবেই তিনি ‘রাস্তার মাস্টার’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।

    গ্লোবাল টিচার প্রাইজ সম্মানে ভূষিত রাস্তার মাস্টার

    এলাকায় (Asansol) ‘রাস্তার মাস্টার’ নামে পরিচিত দীপনারায়ণ নায়ক (School Teacher) পড়ানোর পাশাপাশি সামজসেবার কাজেও যুক্ত থাকতেন। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পুষ্টিযুক্ত খাবারেরও ব্যবস্থা করতেন তিনি। আর এই সব কাজের জন্যই গ্লোবাল টিচার প্রাইজ ২০২৩ সম্মানে ভূষিত হন। মোট ১৩০ টি দেশের মধ্যে, শীর্ষ দশ শিক্ষকের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। আর তার মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকায় মনোনীত হন দীপনারায়ণ নায়ক। অভাবের সংসারে পড়াশুনা করে বড়ো হয়ে, এই বিশ্ব সম্মানের জন্য ভীষণভাবে আনন্দিত তাঁর স্ত্রী, মা-বাবা।

    মাস্টারের বক্তব্য

    আসানসোলের (Asansol) শিক্ষক দীপনারায়ণ (School Teacher) বলেন, “আমার এই মডেলে সাফল্য পেয়েছি। আমি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পরে বেশ আনন্দিত। এখানে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষিত হচ্ছে, তেমনি তাঁদের পরিবারের বাবা, মা, দাদু, ঠাকুমারাও শিক্ষা লাভ করছেন। সমাজে বংশ পরম্পরায় বাহিত জ্ঞান, দর্শন, শিল্পকলা ইত্যাদিকে পরবর্তী সমাজের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার বিষয়েও পড়ানো হয়। সেই সঙ্গে আদিবাসী সামজের পুরাতন ঐতিহ্য সম্পর্কে, বিশেষভাবে পরিচয়ের প্রচেষ্টা রাখা হয়েছে। শিক্ষায় পরিবেশ এবং কর্মসংস্থান বিষয় সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • College Teachers Transfer: কলেজ শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে অনলাইন বদলি ব্যবস্থা, জানুন কবে

    College Teachers Transfer: কলেজ শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে অনলাইন বদলি ব্যবস্থা, জানুন কবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) জন্য অনলাইনে বদলির (On Line System) ব্যবস্থা চালু হয়েছে আগেই। এবার একই ধাঁচে অনলাইন বদলির ব্যবস্থা চালু হচ্ছে রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকদের জন্যও। শুক্রবার এ খবর জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি জানান, সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষকরা অনলাইনের মাধ্যমে শীঘ্রই বদলির আবেদন করতে পারবেন।

    এতদিন রাজ্যের স্কুল কিংবা কলেজের শিক্ষকদের বদলি নিতে গেলে ঝক্কি পোহাতে হত। পরে স্কুল শিক্ষকদের জন্য অনলাইন বদলি ব্যবস্থা চালু হয়। রাজ্য সরকারের তৈরি ওই পোর্টালের নাম দেওয়া হয় উৎসশ্রী। সেই পোর্টাল চালুর পরে অনলাইনে আবেদন করে নিজের জেলায় কিংবা বাড়ি থেকে স্বল্প দূরত্বের স্কুলগুলিতে বদলি হয়ে আসতে পারছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। সেই কারণেই হয়তো কোচবিহারের কোনও কলেজের শিক্ষক চাকরি করছেন কাকদ্বীপের কোনও কলেজে। দক্ষিণবঙ্গের কোনও শিক্ষককে হয়তো ঘরসংসার ছেড়ে যেতে উত্তরবঙ্গের কোনও কলেজে পড়াতে। এতদিন এ নিয়ে বারংবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা। তার পরেও টনক নড়েনি সরকারের।

    আরও পড়ুন : এনআইআরএফ তালিকায় দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মাদ্রাজ, সেরা কলেজ মিরান্ডা হাউজ

    তবে ইদানিং একের পর এক কেলেঙ্কারির জেরে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। এর মধ্যে অন্যতম স্কুল শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই কলেজ শিক্ষকদের বদলির জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে বিষয়টিতে স্বচ্ছতা নিয়ে আসতে চাইছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত ৪৫০টি কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা। বর্তমানে বদলির জন্য কলেজ শিক্ষকদের আবেদন করতে হয় উচ্চ শিক্ষা দফতরের অফিসে। বিষয়টিতে সময় লাগে ঢের বেশি। কোন কলেজে কত শূন্যপদ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখেই নিতে হয় ব্যবস্থা। ব্রাত্য জানান, অনলাইল সিস্টেম চালু হলে এই সমস্যা দূর হবে। উপকৃত হবেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছি আমরা। ব্যবস্থাটি চালু হলে যে কোনও শিক্ষক অনলাইনে শূন্যপদ দেখে পোস্টিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দু-তিন দিনের মধ্যেই আমরা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করব, জানান ব্রাত্য।

    আরও পড়ুন : বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share