Tag: Science

Science

  • NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (NCERT)-র অষ্টম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের ঔপনিবেশিক যুগ সংক্রান্ত অংশে টিপু সুলতান, হায়দর আলি এবং সপ্তদশ শতকের অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধগুলির কোনও উল্লেখ করা হয়নি। এই বইয়ে (Social Science) এই সময়কালকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন একটি যুগ হিসেবে, যখন ভারত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশগুলির একটিতে পরিণত হয়েছিল। ‘এক্সপ্লোরিং সোশ্যাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শিরোনামে বইটির প্রথম ভাগ এই শিক্ষাবর্ষে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগটি প্রকাশিত হওয়ার কথা বছর শেষে।

    ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ (NCERT)

    এই অধ্যায়ে ঔপনিবেশিক সময়কাল ধরা হয়েছে ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামার আগমন থেকে শুরু করে অষ্টাদশের শেষ দশক পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা ভারতের মহা বিদ্রোহ। এতে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে ব্রিটিশরা ব্যবসায়ী থেকে শাসকে পরিণত হয়েছিল। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধকে তুলে ধরা হয়েছে ‘আ ব্যাটেল দ্যাট মার্কড এ টার্নিং পয়েন্ট অ্যাজ দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ বাংলার নবাবকে পরাজিত করেছিল। এই সময়কালে ভারতের ড্রেন অফ ওয়েল্থ-এর কথাও বিশদভাবে বলা হয়েছে। এই বইয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলিকেও স্থান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৭০০-এর দশকের সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, এবং ১৮০০-এর দশকে বিভিন্ন কৃষক বিদ্রোহ (NCERT)

    মারাঠাদের নিয়ে পৃথক অধ্যায়

    বইটিতে মারাঠাদের নিয়ে একটি পৃথক অধ্যায়ে অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধগুলি (১৭৭৫–১৮১৮) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ব্রিটিশরা মুঘল বা অন্য যে কোনও শক্তির তুলনায় মারাঠাদের কাছ থেকেই ভারতে আধিপত্য নিয়েছে (Social Science)। অষ্টম শ্রেণির আগের পাঠ্যবইয়ে ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্প্রসারণ তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে মহীশূরের শাসক হায়দর আলি ও মহীশূরের বাঘ টিপু সুলতানের প্রতিরোধ এবং ১৭০০-এর দশকে সংঘটিত চারটি অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধের বিবরণ ছিল। মারাঠাদের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সংঘাতের কথাও সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। পাঠ্যবইটি “উপনিবেশবাদের যুগ” এবং ইউরোপীয় সম্প্রসারণকে ১৫শ শতক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বর্ণনা করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপনিবেশবাদীরা যদিও নিজেদের সভ্যতার বার্তাবাহক বলে দাবি করত, আদতে তারা ভারতীয়দের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা ধ্বংস এবং বিদেশি সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়ার কাজই করেছে।

    উন্নত ভারত

    নতুন বইটিতে এই বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে যে, ষোড়শ শতকের আগে যখন ইউরোপীয় শক্তিগুলি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করেনি, তখন ভারত বিশ্বের মোট জিডিপির অন্তত এক চতুর্থাংশ অবদান রাখত। সেটি ছিল চিন-সহ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির একটি (NCERT)। পরবর্তী এক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শাসন কালে ভারতের বৈশ্বিক জিডিপিতে অংশ ক্রমশ কমতে থাকে, স্বাধীনতার সময় তা গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে। দুই শতকেরও কম সময়ে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ।” “ভারত থেকে সম্পদের নিঃশেষণ” শীর্ষক একটি অংশে বলা হয়েছে, ঔপনিবেশিক শাসকরা বহু বিলিয়ন পাউন্ড ভারত থেকে কেড়ে নিয়েছিল। অর্থনীতিবিদ উৎসা পট্টনায়েকের সাম্প্রতিক এক হিসেব অনুযায়ী, ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে আজকের হিসেবে প্রায় ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদ ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল (Social Science)।

    ব্রিটিশদের চুরি

    বইটিতে বলা হয়েছে, “যদি এই বিপুল সম্পদ ভারতে থেকে যেত এবং এখানেই বিনিয়োগ করা হত, তাহলে স্বাধীনতা পাওয়ার সময় ভারত একেবারেই ভিন্ন চেহারার দেশ হত। ভারতে রেলপথ নির্মাণ ঔপনিবেশিক শাসকদের কোনও উপহার ছিল না।” আরও লেখা হয়েছে, “রেলপথের অধিকাংশ খরচই বহন করা হয়েছিল ভারতীয় জনগণের দেওয়া রাজস্ব থেকে (NCERT)।” অর্থাৎ এই পরিকাঠামো প্রধানত ব্রিটিশদের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য নির্মিত হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকটি অনুসারে, ওই একই কথা প্রযোজ্য টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। বইটিতে আরও বলা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি ভারত থেকে হাজার হাজার মূর্তি, চিত্রকর্ম, রত্ন, পাণ্ডুলিপি ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন চুরি করে নিয়ে গিয়েছে এবং সেগুলি ইউরোপীয় জাদুঘর ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই বিরাট চুরির ঘটনা কেবল ভারতেই নয়, বরং সমগ্র ঔপনিবেশিক বিশ্বের ক্ষেত্রেই ঘটেছে (Social Science)। প্রসঙ্গত, আগের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে রেলপথ, সাংস্কৃতিক নিদর্শনের চুরি কিংবা বৈশ্বিক জিডিপি সম্পর্কে কোনও আলোচনাই ছিল না (NCERT)।

  • Mughal Brutality: ‘বাবর নির্দয়, আকবর নিষ্ঠুর’, এনসিইআরটির বইয়ে নয়া মূল্যায়ন মুঘল যুগের

    Mughal Brutality: ‘বাবর নির্দয়, আকবর নিষ্ঠুর’, এনসিইআরটির বইয়ে নয়া মূল্যায়ন মুঘল যুগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর ছিলেন এমন এক শাসক যিনি বহু জনপদের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা (Mughal Brutality) করেছিলেন। আর আকবরের শাসনকে নিষ্ঠুরতা ও সহিষ্ণুতার মিশ্রণ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আওরঙ্গজেব সম্পর্কে (NCERT) লেখা হয়েছে, তিনি বহু মন্দির ও গুরুদ্বার ধ্বংস করেছিলেন। জাতীয় শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ সম্প্রতি অষ্টম শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান বইয়ে এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যকে। ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এই পাঠ্যবইটি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হয়েছে। এখানেই মুঘল শাসকদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। এই বইটিতে ভারতের মধ্যযুগীয় অতীতকে আরও স্তরবিন্যাসযুক্ত ও অকপটভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    “ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন” (Mughal Brutality)

    দিল্লি সুলতানাত, মুঘল সাম্রাজ্য ও ঔপনিবেশিক পর্বগুলির পাঠ সপ্তম শ্রেণি থেকে সরিয়ে অষ্টম শ্রেণিতে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা এনসিইআরটির নতুন থিমভিত্তিক ও কালানুক্রমিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। “ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন” শিরোনামে একটি অধ্যায়ে ১৩শ থেকে ১৭শ শতাব্দীর মধ্যে ভারতের বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দিল্লি সুলতানাতের উত্থান ও পতন, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, মুঘল রাজবংশ এবং শিখ প্রতিরোধের কথাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই নয়া পাঠ্যবইয়ের বিশেষত্ব শুধু বিষয়বস্তুতেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশেষত্ব তার ভাষায়ও। এটি শিক্ষার্থীদের বর্তমান দিনের দোষ চাপানো থেকে বিরত থেকে অতীতকে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করতে উৎসাহিত করে।

    অধ্যায়টির ভূমিকায়

    অধ্যায়টির ভূমিকায় কাঠামোটি স্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। সেখানে বলা (Mughal Brutality) হয়েছে, “ইতিহাস অনেক সময় যুদ্ধ ও ধ্বংসের দ্বারা প্রভাবিত মনে হতে পারে, কিন্তু তাই বলে কি আমরা সেগুলি উপেক্ষা করব? এর চেয়ে ভালো পথ হল এই ঘটনাগুলির মুখোমুখি হওয়া ও সেগুলি বিশ্লেষণ করা, যাতে আমরা বুঝতে পারি কী শক্তি এসব ঘটনার পেছনে কাজ করেছে এবং আদর্শভাবে, কীভাবে ভবিষ্যতে এগুলি আবার ঘটতে না দেওয়া যায়। বর্তমান প্রজন্মকে দায়ী না করেই এই অন্ধকার অধ্যায়গুলিকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।”

    বাবরের মূল্যায়ন

    অধ্যায়টি শুরু হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরকে (Mughal Brutality) দিয়ে, যিনি মধ্য এশিয়া থেকে এসে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনেন। পাঠ্যপুস্তকে তাঁর প্রধান বিজয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে ১৫২৬ সালের প্রথম পানিপথের যুদ্ধ এবং তাঁর আধুনিক যুদ্ধকৌশল যেমন ফিল্ড আর্টিলারির ব্যবহার। যদিও পাঠ্যপুস্তকে বাবরের কৌশলী মেধা ও ‘বাবরনামা’তে তাঁর পর্যবেক্ষণ স্বীকৃত হয়েছে, তবু এটাও বলা হয়েছে যে তিনি কিছু মন্দির ধ্বংস করেন এবং তাঁর কিছু অভিযানের পেছনে ধর্মীয় প্রেরণা ছিল। এই বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হল ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিজয় ও এর সাংস্কৃতিক প্রভাব (NCERT) সম্পর্কে সহজ ও একমুখী মত গঠনের বদলে বাস্তব সত্য উপলব্ধি করতে পারে।

    আতশ কাচের নীচে আকবরও

    প্রধান যে ব্যক্তিত্বগুলির নতুন করে মূল্যায়ন (Mughal Brutality) করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সম্রাট আকবর। পাঠ্যবইটি তাঁর সামরিক জয় ও ধর্মীয় সহনশীলতার প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাঁর শাসনকালকে বর্ণনা করেছে “নির্মমতা ও সহনশীলতার এক মিশ্রণ, যা আকাঙ্ক্ষা ও কৌশল দ্বারা গঠিত।” উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ১৫৬৮ সালে চিতোরগড় অবরোধ, যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হন। নারী ও শিশুদের দাসে পরিণত করা হয়। আকবরের নিজের পাঠানো বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে, বইটি ধর্মীয় জয়যাত্রার পেছনে তাঁর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছে। একইসঙ্গে বইটি তুলে ধরেছে কীভাবে আকবর অ-মুসলিমদের ওপর ধার্য জিজিয়া কর তুলে দেন, রাজপুত নেতাদের দরবারে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং সুলহ-ই-কুল বা “সকলের সঙ্গে শান্তি” নীতির প্রচার করেন। ফতেপুর সিক্রিতে তাঁর অনুবাদ প্রকল্প, যেখানে মহাভারত ও রামায়ণের মতো হিন্দু মহাকাব্যগুলি ফার্সিতে অনুবাদ করা হয়, তা এক বৃহত্তর সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আকবরের জীবনীকার আবুল ফজলের একটি উদ্ধৃতিতে আকবরের ব্যক্তিগত পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে।

    আকবরের ‘কবুলনামা’

    বলা হয়েছে, “আগে আমি মানুষকে আমার ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে জোর করতাম। জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আমি লজ্জায় অভিভূত হই। নিজে মুসলমান না হয়েও অন্যকে মুসলমান বানাতে চাওয়া ঠিক ছিল না (NCERT)।” আওরঙ্গজেবকে এমন এক শাসক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার আঞ্চলিক সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় রক্ষণশীলতাও বৃদ্ধি পায়। পাঠ্যবইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি জিযিয়া কর পুনর্বহাল করেন, রাজদরবারে সঙ্গীত ও নৃত্য নিষিদ্ধ করেন, এবং হিন্দুদের ওপর তীর্থযাত্রা কর চাপিয়ে দেন। বারাণসী ও মথুরার মতো শহরে মন্দির ধ্বংস এবং শিখ, সুফি, জৈন ও পার্শিদের ওপর নির্যাতনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শেখে কীভাবে আওরঙ্গজেব দারা শিকোকে পরাজিত করেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা করেন, এবং নিজের বাবা শাহজাহানকে বন্দি করেন। এই শাহজাহানই  তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন (Mughal Brutality)।

  • Sudden Cardiac Death: অ্যাটাকের আগেই মিলবে সতর্কবাণী! সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখবে বিশেষ ‘অ্যালগরিদম’

    Sudden Cardiac Death: অ্যাটাকের আগেই মিলবে সতর্কবাণী! সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখবে বিশেষ ‘অ্যালগরিদম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ–স্বাভাবিক একজন মানুষ দিব্যি কাজকর্ম করছেন, হঠাৎ করেই কোনও রকম জানান না দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন। খুব দুঃখজনক হলেও এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ বের করা বা এর প্রতিকার করা খুব সহজ নয়। মূলত আমাদের জীবনীশক্তির কেন্দ্রবিন্দু যে হৃদ্‌যন্ত্র, সেটির কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটলেই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যুকে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ (Sudden Cardiac Death) বলা হয়। সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ হতে পারে যে কোনও বয়সে। এই আবহে ফিনল্যান্ডের (Finland Researchers) ট্যাম্পের ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি দল একটি গবেষণা করেন এবং নতুন একটি পদ্ধতি তারা খুঁজে পেয়েছেন যেখানে হৃদস্পন্দনের বৈশিষ্ট্য দ্রুত চিহ্নিত করে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখতে সক্ষম।

    মোট ২,৭৯৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর চলেছে গবেষণা (Sudden Cardiac Death)

    বিজ্ঞানের পত্রিকা সায়েন্স অ্য়ালার্টের একটি প্রতিবেদনে অনুসারে, নতুন এই অ্যালগরিদম তৈরি করা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট মেট্রিক ব্যবহার করে। এই অ্যালগরিদমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিট্রেন্ডেড ফ্লাকচুয়েশন অ্যানালিসিস’। এই পদ্ধতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদস্পন্দনের পরিবর্তনকে চিহ্নিত করতে পারবে। সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাকের পরিস্থিতি তৈরি হলে আগাম জানান দেবে (Sudden Cardiac Death)। এই ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হলেও প্রায় আট বছর তিন মাস ধরে এই গবেষণা চালিয়েছেন ট্যাম্পের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলটি (Finland Researchers)। মোট ২,৭৯৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর তাঁরা পরীক্ষা চালিয়েছেন।

    সহজেই সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাককে চিহ্নিত করা যাবে

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই সাডেন কার্ডিয়াক ডেথকে (Sudden Cardiac Death) চিহ্নিত করা যাবে। সাধারণভাবে আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় যখন আমরা শারীরিকভাবে খুব কঠিন কাজ করি আর বিশ্রামের সময়কালে এটা কমতে থাকে। টেম্পের ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ টিমু পুকিলা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এই গবেষণার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, একজন হৃদরোগীর বিশ্রামের সময় তাঁর দুটি হার্টবিটের মাঝখানের ব্যবধানের বৈশিষ্ট্যগুলি অনেকটাই একই, একজন সুস্থ মানুষের শারীরিক পরিশ্রম করার সময় হৃদপিণ্ডের মতোই।’’ প্রসঙ্গত এই গবেষণা চালাতে এবং অ্যালগরিদমটি তৈরি করতে নানা রকম বিশ্লেষণ পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে রোগীর বয়স এবং জন্ম থেকে তাঁর হার্টের অবস্থা। অর্থাৎ প্রত্যেকে একই রকম হার্টের সক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন না। এই মেট্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যেই মূল্যায়ন করা যেতে পারে যে ব্যক্তির সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি কতটা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elephant Voice: একে অপরকে নাম ধরে সম্বোধন করে হাতিরা, গবেষণায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

    Elephant Voice: একে অপরকে নাম ধরে সম্বোধন করে হাতিরা, গবেষণায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতিদেরও (Elephant Voice) নাম রয়েছে এবং তারা একে অপরকে সেই নামেই সম্বোধন করে। নিজেদের মধ্যে এভাবেই ভাব বিনিময় করে তারা। সম্প্রতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিজ্ঞানীরা এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন। অর্থাৎ হাতিদের ভাব বিনিময় ঠিক একেবারে মানুষের মতো এবং তা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। চলতি মাসের ১০ জুন নেচার জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানেই উল্লেখ করা হয় যে আফ্রিকা মহাদেশের হাতিরা একে অপরকে আলাদা আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট নামে ডেকে সম্মোধন করে ও ভাব বিনিময় করে।

    কারা করলেন এমন সমীক্ষা?

    প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত সমীক্ষাটি চালান কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী মাইকেল পারডো, কার্ট ফ্রিস্ট্রুপ ও ডেভিড জর্জ উইটেমায়া। সহযোগিতায় ছিলেন সেভ দ্য এলিফ্যান্টস (কেনিয়া)-এর লোলচুরাগি এবং ইয়ান ডগলাস-হ্যামিল্টন। এর পাশাপাশি, এলিফ্যান্টভয়েস (নরওয়ে)-এর জয়েস পুল ও পেটার গ্র্যানলও ছিলেন। অ্যাম্বোসেলি এলিফ্যান্ট রিসার্চ প্রজেক্ট (কেনিয়া)-এর সিনথিয়া মসও ছিলেন অন্যতম গবেষক হিসেবে।

    আফ্রিকান হাতিরা তাদের বাচ্চাদের নামও রাখে 

    আরও চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়, আফ্রিকান হাতিরা (Elephant Voice) তাদের বাচ্চাদের নামও রাখে এবং সেই নামে সম্বোধন করে তাদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে। শুধু তাই নয়, এই নামগুলির সঙ্গে মানুষের দেওয়া নামের যথেষ্ট মিল রয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। হাতিদের ডাকার নাম ধরে এক হাতি অপর হাতিকে ঠিক চিনতেও পারে। গবেষকদের দাবি, কখনও কখনও একটি হাতি যখন অন্য হাতির দলকে ডাকে তখন সবাই একসঙ্গে সাড়া দেয় কিন্তু যখন সেই একই হাতি নির্দিষ্ট হাতির উদ্দেশে ডাক দেয় তখন শুধু সেই হাতিই সাড়া দেয়।

    হাতির কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ 

    এই গবেষণায় গবেষকরা অ্যাম্বসেলি ন্যাশনাল পার্কের ১০০টিরও বেশি হাতির কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, বেশিরভাগ হাতিই তাদের ভোকাল কর্ডকে ব্যবহার করে ডাকাডাকি করতে। ওই কণ্ঠস্বরকে বিশ্লেষণ করে আরও জানা গিয়েছে যে হাতির (Elephant Voice) ডাকগুলিতে একটি নাম সদৃশ্য উপাদান রয়েছে যা একটি মাত্র নির্দিষ্ট হাতিকেই চিহ্নিত করেন। গবেষকরা, একটি হাতির কণ্ঠস্বরের রেকর্ডিং শুনিয়েছিল ১৭টি হাতির একটি দলকে। তখন দেখা যায় নির্দিষ্ট কিছু শব্দতে আলাদা আলাদা হাতি প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে এবং অন্যান্য হাতির দিকে তাকাচ্ছে।

    কী বলছেন গবেষকরা? 

    কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী মিকি পারডোর মতে, হাতিরা একে অপরকে ব্যক্তি হিসেবে সম্বোধন করে যা তাদের মধ্যে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি করে। দূরবর্তী হাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তারা নির্দিষ্ট কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে এবং এটি অনেকটা মানুষের মতোই। গবেষকদের এও দাবি যে নতুন এই সমীক্ষা এটাকেই তুলে ধরে যে হাতিরা ঠিক কতটা বুদ্ধিমান।

    মানুষের সঙ্গে হাতি কবে কথা বলবে?

    জাগছে কৌতূহল জাগছে তবে কি মানুষ একদিন হাতির সঙ্গে কথা বলতে পারবে? এই নিয়ে অবশ্য গবেষকরা বলছেন, এটি যদি হয় তাহলে তা অবশ্যই চমৎকার বিষয় হবে। তবে এখনও তা থেকে আমরা অনেকটা দূরে আছি। কারণ আমরা এখনও মৌলিক উপাদানগুলি জানিনা যার দ্বারা হাতি কণ্ঠস্বর তথ্য এনকোড করে। আগে হাতিকে বোঝানোর মত কণ্ঠস্বর তথ্যকে এনকোড করতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Rituals: সনাতন ধর্মের যজ্ঞের আগুনেই জন্ম গণিত-বিজ্ঞান-কলাশাস্ত্রের বহু সূত্রের!

    Hindu Rituals: সনাতন ধর্মের যজ্ঞের আগুনেই জন্ম গণিত-বিজ্ঞান-কলাশাস্ত্রের বহু সূত্রের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতির যুগ। হিসেবি মানুষের ভিড়। তাই ইদানিং কোনও ধর্মীয় রীতি পালন করাকে আধুনিক সমাজ সময় নষ্ট এবং অর্থের অপচয় বলে মনে করে। অথচ যুগ যুগ ধরেই বিশ্বের সব দেশেই পালিত হয়ে আসছে ধর্মীয় আচার পালন (Hindu Rituals)। সেটা যেমন পালন করেন সনাতনীরা, তেমনি পালন করেন খ্রিস্টান ধর্মের মানুষও। ইসলাম, শিখ, ইহুদি কিংবা বৌদ্ধ – বিশ্বের এমন কোনও সম্প্রদায় নেই, যারা কোনও না কোনও ধর্মীয় রীতি পালন করে না।

    সনাতনীদের অবদান (Hindu Rituals)

    সনাতনীদের এই ধর্মীয় রীতিই বিশ্বকে দিয়েছে অনেক কিছুই। জ্যামিতির ধারণা কিংবা মহাশূন্যে দ্বাদশ রাশির অবস্থান, শূন্যের ধারণা এসবই সনাতনীদের গভীর তপস্যার ফসল। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ বলে যাঁরা দাবি করেন, তাঁরাও কোনও কোনও ধর্মীয় রীতি পালন করেন – কখনও জেনে, কখনও আবার অজান্তেই। বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যেহেতু সনাতন ধর্মই সব চেয়ে বেশি প্রাচীন, তাই সনাতন ধর্মের অবদান কম নয়।

    চলুন, বেদের যুগে

    চলুন, টাইম মেশিনে চড়ে আমরা ফিরে যাই বেদের যুগে (Hindu Rituals)। সেই যুগে তখনও ঈশ্বরের কল্পনা আসেনি মানুষের মাথায়। যদিও এক অনির্বচনীয় নিয়মই (বেদের ভাষায় ‘ঋক’) যে জগতের নিয়ন্ত্রক, পালনকর্তা, মানবজীবনের মূল লক্ষ্যই হল, মহাবিশ্বের এই মহাশক্তিকে খুঁজে বের করা, তাঁর সান্নিধ্য লাভ করা, তা জানতেন বৈদিক ঋষি। এই মহাশক্তির উদ্দেশে সেই সময় যজ্ঞে আহুতি দিতেন উপনিষদের ঋষিও। যজ্ঞাগ্নির মধ্যে দিয়েই যে হবি (আহুতি) দেবতার কাছে পৌঁছে যায়, তা বিশ্বাস করতেন তাঁরা। সেই কারণেই যজ্ঞে আহুতি হিসেবে বৈদিক ঋষি দিতেন কখনও পশু, কখনওবা গাছের ডাল-পালা। এই যজ্ঞের আগুনেই কার্যত জন্ম হয়েছে বিজ্ঞান, গণিত কিংবা অন্যান্য কলাবিদ্যার।

    গণিতের সূত্র রহস্য

    বিশ্বে যে সময় মানুষ জানতেন না জ্যামিতি খায় না মাথায় দেয়, তখনই যজ্ঞবেদীর (Hindu Rituals) জন্য জ্যামিতিক চিত্র আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন বৈদিক যুগের ঋষিরা (Hindu Rituals)। সে যুগে ঋষিরা যে বিভিন্ন মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে নানা যজ্ঞ করতেন, তা আমরা জানি। যুদ্ধ জয়ের আগে-পরে তাঁরা করতেন কখনও অশ্বমেধ যজ্ঞ, কখনও আবার বাজপেয় যজ্ঞ। সন্তান কামনায় করতেন পুত্র্যেষ্টি যজ্ঞ। এমন নানা কামনায় করতেন হাজারো যজ্ঞ। প্রতিটি যজ্ঞের বেদি হত আলাদা। এই বেদির নকশাই পরবর্তীকালে জন্ম দিয়েছে বহু জ্যামিতিক নীতিসূত্রের। আজ যে পিথাগোরাসের সূত্র মুখস্ত করতে হচ্ছে বিশ্বের সব দেশের ছেলেমেয়েদের, সেই সূত্র তাঁর জন্মের দুশো বছরেরও বেশি আগে তৈরি করে ফেলেছিলেন সনাতন ধর্মের ঋষি।

    যখন দূরবীক্ষণের জন্মই হয়নি, তখনই বৈদিক ঋষি পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যে। এই দুই শাস্ত্রের চর্চার ফলেই তাঁরা জানতে পারতেন, কবে এবং কখন কোন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে। সূর্যগ্রহণ কবে, চন্দ্রগ্রহণই বা কবে, পূর্ণগ্রাস না খণ্ডগ্রাস, উল্কাপতনই বা কখন হবে, এসবেরই নির্ভুল ক্ষণ জানিয়ে দিতেন বেদের যুগের ঋষিরা। আর্য ঋষিদের সেই সব সূত্রের ওপরই ভিত্তি করে আজও পাওয়া যায় মহাজাগতিক বিভিন্ন ঘটনার পূর্বাভাস। অঙ্কের বহু সূত্রেরও জন্ম দিয়েছে আর্য ঋষির সেই যজ্ঞকুণ্ড। বর্গক্ষেত্র, আয়তক্ষেত্র, রম্বস মায় ফ্যালকন-শেপড নকশাও তৈরি করা হত যজ্ঞকুণ্ডে। মণ্ডল, যন্ত্র এবং কলামের জ্ঞান আজও প্রয়োজন হয় জ্যামিতির জটিল রহস্য বুঝতে। ‘সুলভ সূত্রজ’ নামক গ্রন্থে এসবের বিস্তৃত উল্লেখ রয়েছে।

    সময় নির্ধারণ

    বিজ্ঞানের যখন এত অগ্রগতি হয়নি, তখনও আর্য ঋষি সময় নির্ধারণ করতে পারতেন। পারতেন ক্যালেন্ডার তৈরি করতে। যেহেতু শুভক্ষণে শুভ কাজটি সম্পন্ন করতে হয়, মাহেন্দ্রক্ষণে করতে হয় বিভিন্ন যজ্ঞ, সন্ধিক্ষণে করতে হয় আদ্যাশক্তির আরাধনা, তাই সময়ের সূক্ষ্ম হিসেব কষতে পারতেন বৈদিক যুগের ঋষিরা। পরবর্তীকালে যা জন্ম দেয় ক্যালেন্ডারের। চাঁদের ক্ষয় দেখেই এই ক্যালেন্ডারে উল্লেখ করা হত, কবে শুক্লপক্ষ, কৃষ্ণপক্ষই বা কবে। অষ্টমী কবে, নবমীই বা কখন থেকে, এর মাঝের কোন সময়টুকু সন্ধিক্ষণ, তা নির্ণয় করে ফেলেছিলেন সনাতনীদের পূর্বপুরুষরা। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার সময় এ দেশে কমবেশি তিরিশটি ক্যালেন্ডার চালু ছিল।

    আরও পড়ুুন: রাম নবমীতে অশান্তি, এনআইএ তদন্ত দাবি শুভেন্দু-দিলীপের

    জন্ম ছন্দ ও সুরের

    সনাতনীরা যেহেতু যজ্ঞের সময় মন্ত্রোচ্চারণ করতেন, সেখান থেকেই জন্ম হয় বিভিন্ন সুরের। পয়ার, ত্রিপদী-সহ নানা ছন্দের জন্মও হয়েছিল সেই যুগে। সুরের আঁতুড়ঘরও বৈদিক ঋষির মন্ত্রোচ্চারণ। হিন্দুরা নানা প্রাকৃতিক শক্তির পুজো করতেন। জল, বায়ু, অগ্নি মায় প্রস্তরখণ্ডের মধ্যেও মহাশক্তিকে খুঁজে বেড়াতেন তাঁরা। তাঁদের এই খোঁজের কাছেই অনেক ক্ষেত্রে ঋণী হয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও রসায়ন শাস্ত্র।

    গাছগাছড়ার পাতা-রস-শেকড় খেয়ে যে মানুষের রোগ নিরাময় হয়, তা জানতেন আর্য ঋষি। দেবযুগে অশ্বিনী কুমারদ্বয় কিংবা বেদের যুগে চরক, সুশ্রুতের চিকিৎসা পদ্ধতির কাছে আজও অনেক সময় হার মানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান। ব্যাকরণের জন্মও তো হয়েছিল সেই আর্য ঋষির যুগে। পাণিনীর ‘অষ্টাধ্যায়ী’কে তো ‘ভাষাতত্ত্বের জনক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কে বলল সনাতন ধর্ম রক্ষা করা প্রয়োজন শুধুই রাজনীতির স্বার্থে? গণিত-বিজ্ঞান-কলাশাস্ত্রকে সমৃদ্ধ করতে নয় (Hindu Rituals)!

    কথায় বলে না, অর্বাচীনের অশেষ দোষ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Aditya L1: লাল-গোলাপি-কমলা নানা রঙের সূর্যের ছবি তুলল আদিত্য এল-১

    Aditya L1: লাল-গোলাপি-কমলা নানা রঙের সূর্যের ছবি তুলল আদিত্য এল-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে এই প্রথম সূর্যের সম্পূর্ণ ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাল ভারতের সৌরযান আদিত্য-এল১ (Aditya L1)। শুক্রবার ইসরোর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে আদিত্য এল ১-এর তোলা সূর্যের হরেক রকমের ছবি। কখনও কমলা, কখনও গোলাপি আবার কখনও উজ্জ্বল সোনালি রঙের সূর্য। পূর্ণ গোলাকার সূর্যের ছবিতে ধরা পড়েছে অতি বেগুনি রশ্মির ছটা।

    সূর্যের ‘ফুল ডিস্ক’ ছবি

    ইসরো জানিয়েছে, আদিত্য-এল১ (Aditya L1) যানে থাকা ‘সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ’ (এসইউআইটি)-এর মাধ্যমে সূর্যের ছবিগুলি তোলা হয়েছে। আদিত্য-এল১-এর সূর্যের ছবি তোলার বিষয়টি ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের অন্যতম নজির হিসাবে দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইসরোর তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে সূর্যের সেই ‘ফুল ডিস্ক’ ছবিগুলি ২০০ থেকে ৪০০ ন্যানোমিটারের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসরের মধ্যে তোলা। ফলে ছবিগুলিতে সূর্যের পৃষ্ঠদেশ এবং সূর্যের উপরভাগের স্বচ্ছ স্তরের ছবি ভাল ভাবে ফুটে উঠেছে। 

    ইসরোর আশা

    ইসরো এক বিবৃতিতে এ-ও জানিয়েছে, এসইউআইটি যন্ত্রে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। তাই নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসরে সূর্যের ফটোস্ফিয়ার এবং ক্রোমোস্ফিয়ারের ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে। ইসরোর বক্তব্য, এই ছবি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সৌর বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। পৃথিবীর উপর সৌর বিকিরণের প্রভাব বুঝতেও বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে ছবিগুলি। ছবিগুলোতে সূর্যের দাগ ও সূর্যের বেশ কিছু অদেখা অঞ্চলের ছবি ধরা পড়েছে। সুইটের সূর্য পর্যবেক্ষণ করার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের ‘সূর্যের গতিশীল চুম্বকীয় বায়ুমণ্ডল’ এবং ‘বিশ্বমণ্ডলের ওপর সৌর বিকিরণ আটকাতে আঁটোসাঁটো বাধা স্থাপনের’ বিষয়ের গবেষণায় সহায়ক হবে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বৃহত্তম আইফোন প্ল্যান্ট গড়ছে টাটা, হবে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান!

    জানুয়ারিতেই গন্তব্যে আদিত্য-এল১

    আদিত্য-এল ১ (Aditya L1) মহাকাশযানটি গত ২ সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কক্ষপথে পৌঁছনোর পর গত ২০ নভেম্বর সুইট নামের যন্ত্রাংশটি (টেলিস্কোপ) সচল করা হয়। সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝের এল১ পয়েন্টে পৌঁছতে আদিত্য-এল ১-এর মোট চার মাস সময় লাগার কথা। এখনও পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিক চলছে। মহাকাশে কোথাও বাধা পায়নি আদিত্য-এল১। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই গন্তব্যে পৌঁছে যাবে এই সৌরযান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO Chairman: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    ISRO Chairman: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই (Veda)। সেখান থেকেই আধুনিক বিজ্ঞানের উৎপত্তি। অন্তত এমনই দাবি করলেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান (ISRO Chairman) এস সোমনাথ। বুধবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনে মহর্ষি পাণিনি সংস্কৃত এবং বেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্ততা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

    মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যানের দাবি (ISRO Chairman)

    তাঁর দাবি, বীজগণিত, বর্গমূল, সময়ের ধারণা, স্থাপত্য, মহাবিশ্বের গঠন, ধাতুবিদ্যা, এমনকি বিমানচালনার উৎসের সন্ধানও প্রথম বেদ থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। পরে সেগুলি আরব দেশগুলির মধ্যে দিয়ে ইউরোপে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেগুলিকে পশ্চিমি বিশ্বের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব পরে এগুলো খুঁজে পেয়েছে মাত্র। কিন্তু তার আগে থেকেই এগুলোর অস্তিত্ব ছিল। ইসরো প্রধান (ISRO Chairman) হওয়ার পাশাপাশি সোমনাথ কেন্দ্রীয় সরকারের মহাকাশ সংক্রান্ত দফতরের সচিব এবং স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যানও।

    সংস্কৃতের গুরুত্ব

    সোমনাথ বলেন, আগে সংস্কৃতের কোনও লিখিত লিপি ছিল না। সবাই তাই এই বিষয়গুলি শুনে শুনে মুখস্ত করতেন। এভাবেই এই ভাষাটা বেঁচে থেকেছে বহু শতাব্দী ধরে। পরে গিয়ে মানুষ সংস্কৃতের জন্য দেবনাগরী লিপি ব্যবহার শুরু করে। ইসরো কর্তা বলেন, ব্যাকরণের জন্যই বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তাকে প্রকাশ করার উপযুক্ত ভাষা হল সংস্কৃত। ইঞ্জিনিয়র ও বিজ্ঞানীদের প্রিয় ভাষা হল সংস্কৃত। কম্পিউটারের ভাষার সঙ্গে এর মিল রয়েছে। তাই যাঁরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখতে চান, তাঁরা সংস্কৃত শেখেন। সংস্কৃত ভাষাকে কীভাবে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে বহু গবেষণাও হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

    সোমনাথ (ISRO Chairman) বলেন, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রাসায়নিক বিজ্ঞান ও বিমান চালানোর বিজ্ঞানের ফল সংস্কৃতে লেখা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলিকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি এবং তা নিয়ে তখন গবেষণা করা হয়নি। তিনি বলেন, একজন রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার দরুণ আমি সংস্কৃতের একটি বই দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বইটি সৌরজগত, সময় এবং পৃথিবীর আকার এবং পরিধি সম্পর্কে ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের পৃথিবী ভেসে আছে এক মহাশূন্যে, আর সেই মহাশূন্যে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য। সেইসব রহস্য ভেদ করতে পৃথিবীতে আছে অনেক স্পেস স্টেশন, যেখান থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বহির্জগৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পৃথিবীর বাইরে অর্থাৎ মহাকাশেও আছে ভাসমান স্পেস স্টেশন, যেগুলি পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং মহাশূন্য থেকে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে? ঠিক এরকমই একটি বৃহৎ আকারের স্পেস স্টেশন হল ISS বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। এই স্পেস স্টেশনটি বিজ্ঞানীদের বসবাসযোগ্য এবং সেখানে অর্থাৎ মহাশূন্যে থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারেন। 

    কী এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন?

    এই ISS বা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হল এখনও পর্যন্ত মহাকাশে ভাসমান সবথেকে বড় একটি স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, মহাকাশ বিষয়ক যে কোনও বিষয়বস্তুকে আরও কাছে থেকে গবেষণা করা। মাইক্রোগ্র্যাভিটি, মহাকাশে মানুষের অভিযান, পৃথিবীর আবহওয়া ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করা। ১৬টি দেশের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার ফসল এই ISS। এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রাম লঞ্চ সাইটের একটি লঞ্চ প্যাড থেকে। 

    ওজন ৪৫০ টন, আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান

    এর (ISS) ওজন প্রায় ৪৫০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু একদিনে এত বড় স্পেস স্টেশন পূর্ণতা পায়নি, পর পর ১২ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি মিশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় আইএসএস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করছে এটি, যা শুনলেই অবাক হতে হয়। এটি একদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। পৃথিবীর লোয়ার আর্থ অরবিটে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি এই স্পেস স্টেশন ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসের তৈরি সবথেকে ব্যয়বহুল বস্তু। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন কানাডা, ইউরোপিয়ন স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা ISS এর মধ্যে থেকে তাঁদের গবেষণার কাজ করেন। 

    রাতের আকাশে চোখ মেললে দেখা যায় ISS?

    হ্যাঁ, ঠিকই তাই। খোলা চোখে পৃথিবীতে বসেও আমরা দেখতে পাই এই ISS কে। অনেক সময় রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখা যায়, আলোকিত উজ্জ্বল তারার মতো একটি বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে চলেছে। সেটিই ISS যা অনেক সাধারণ মানুষই নজর করেছেন। 

    ISS এর ভবিষ্যৎ

    গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ও মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে এই ISS অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০২৪ সালের পর নাসা এই ISS খাতে আর কোনও অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজে ব্যয় করেছে। ফান্ডিং-এর সংকটের কারণে ২০২৮ সালের পর শেষ হতে চলেছে এই কালজয়ী মহাকাশ স্টেশনের যাত্রা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share