Tag: SCO

SCO

  • India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বরাজনীতির অঙ্ক বড় জটিল! এক সময় যে দেশ শত্রু ছিল, সেই দেশই পরে কোনও একটি দেশের বন্ধু হতে পারে। আবার বন্ধুও নিজের স্বার্থে পরিণত হতে পারে শত্রুতে। এই যেমন চিন ও ভারতের সম্পর্ক (India China Ties)। গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের (Mansarovar Yatra) বরফ ক্রমশ গলতে শুরু করে। এর সর্বশেষ পদক্ষেপ হল, ভারত ও চিন সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফের শুরু করতে যাচ্ছে সরাসরি বিমান পরিষেবা। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে অগাস্টের শেষে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে।

    ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান (India China Ties)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায়, আগামী মাসের মধ্যেই যাতে ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান ফের চালু করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো বিমানসংস্থাগুলিকে অল্প সময়ের নোটিশে চিনে বিমান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। একই খবর জানিয়েছে ব্লুমবার্গও। তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে অগাস্টের শেষে এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন সফরের সময়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যাত্রীবাহি ফ্লাইটগুলি কোভিড-১৯ অতিমারির পর স্থগিত রাখা হয়েছিল। যার ফলে ভারত থেকে চিনগামী যাত্রীদের ভায়া হংকং বা সিঙ্গাপুর হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এই বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো-সহ চিনের এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এবং চায়না ইস্টার্নের মতো বিমান সংস্থাগুলি উভয় দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে পরিষেবা দিত (India China Ties)।

    এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেও

    উল্লেখ্য যে, এটি ভারত ও চিনের সরাসরি ফের বিমান চালুর প্রথম প্রচেষ্টা নয়। এরকম উদ্যোগ জানুয়ারি এবং জুন মাসেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে তা থমকে গিয়েছিল। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে ফের উড়ান চলাচল শুরু হওয়া এই ইঙ্গিতও দেয় যে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের ছন্দে ফিরছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় ডিজেলের একটি চালানও চিনের পথে পাড়ি দিয়েছে (Mansarovar Yatra)। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নয়রার ভাদিনার টার্মিনাল থেকে প্রায় ৪,৯৬,০০০ ব্যারেল অতিনিম্ন সালফারযুক্ত ডিজেল বহনকারী একটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে চিনের উদ্দেশে (India China Ties)।

    চিনে যাচ্ছেন মোদি

    চলতি মাসের শুরুর দিকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সফর হবে গত সাত বছরে মোদির প্রথম চিন সফর। এর মাধ্যমে ১০ মাস আগে রাশিয়ায় মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। কিন্তু শুধু এটুকুই সব নয়। যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তখন চিন প্রকাশ্যে নয়াদিল্লির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিল, “ভারতের সার্বভৌমত্ব কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয় এবং এর বিদেশনীতির সিদ্ধান্ত অন্য কোনও দেশের দ্বারা প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না, তা সে যতই সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন।”

    অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে

    ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র একটি ছবিও এই বার্তার সঙ্গে যুক্ত করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি হাতি, যা ভারতের প্রতীক এবং একটি বেসবল ব্যাট, যা মার্কিন শুল্কের প্রতীক (Mansarovar Yatra)। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত পাঁচ বছরের বিরতির পর ভারত ২৪শে জুলাই থেকে চিনা নাগরিকদের জন্য ফের পর্যটন ভিসা ইস্যু করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ফের চালু হয়েছে ভারত ও চিন কৈলাশ মানসসরোবর যাত্রাও (India China Ties)। দুই দেশের এই কূটনৈতিক উষ্ণতা অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত-চিনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি কতদূর যাবে, সেটি আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে।”

    তবে এই সব কিছুই ঘটেছে গত বছরের অক্টোবরে ভারত ও চিন টহল ব্যবস্থা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছনোর পর। দুই দেশ একটি সীমান্ত (Mansarovar Yatra) পরিকল্পনায় একমত হয়েছিল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে টহল দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে, এবং ভারতীয় রাখালরা আবারও পশুচারণ শুরু করতে পেরেছে (India China Ties)।

  • PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ! অন্তত এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে এক দফা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ান তেল কেনার জন্যই এই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়। ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি ফিরে এলেই, চলতি মাসের মাঝামাঝি মস্কো সফরে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এরই মধ্যে, ফের ভারতীয় পণ্যের ওপর (SCO Summit) আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বুধবার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের এই কড়া শুল্ক-পদক্ষেপের আবহে চলতি মাসেই চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতেই চিন যাত্রা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম চিন সফর।

    এসসিও সম্মেলন (PM Modi)

    তিয়ানজিনের উত্তরের বন্দর শহরে আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এসসিও সম্মেলন। সেই কারণেই চিন সফরে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর চিন সফরটি এমন একটা সময়ে হতে যাচ্ছে যখন ভারত একদিকে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত কঠোর নতুন বাণিজ্য শুল্কের প্রভাবের মোকাবিলা করছে, তেমনি অন্যদিকে রাশিয়া থেকে তেলের আমদানির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের মুখোমুখিও হয়েছে। এসসিও সম্মেলনে মোদির উপস্থিতিকে অনেকেই ভারতের কৌশলগত অবস্থান পুনর্বিবেচনার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, বিশেষ করে যখন পশ্চিমী বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    চিন সফরে মোদি

    ২০১৯ সালে শেষবারের মতো চিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিন সংঘর্ষের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। অবশ্য গত বছরে রাশিয়ার কাজানে আন্তর্জাতিক জোট ব্রিকসের পার্শ্ববৈঠকে সাক্ষাৎ করেন মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপর থেকে ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ভারত-চিনের সম্পর্ক (SCO Summit)।

    ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকি

    সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকির জেরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে পড়শি এই দুই (PM Modi) দেশ। বেজিংও আপ্রাণ চেষ্টা করছে নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও নিবিড় করতে। ভারত ও চিনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে তারা ব্যবহার করছে যথাক্রমে ‘হাতি’ ও ‘ড্রাগনে’র উপমা। চিনের সাফ কথা, ‘ড্রাগন ও হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে একসঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না বলে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে। তাতেই লাভ হবে দুই দেশের। যদি এশিয়ার বৃহত্তম দুই অর্থনীতি একজোট হয়, তবে তা লাভজনক হবে সমগ্র বিশ্বের পক্ষেই।’ এহেন আবহে মোদির চিন সফরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তামাম বিশ্ব।

    চিন ঘুরে এসেছেন রাজনাথ-জয়শঙ্কর

    মোদির চিন সফরের আগে এসসিওর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলাদা সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। প্রথমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উভয়েই সেই উপলক্ষে চিন সফরে গিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের নাম না (SCO Summit) নিয়েই তাকে আক্রমণ করেন রাজনাথ। সাফ জানিয়ে দেন (PM Modi), সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত কোনও দু’মুখো আচরণ বরদাস্ত করবে না। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ মুহম্মদ। তাঁর সামনেই ভারতের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এবার চিনে হবে এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মলেন উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। থাকার কথা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফেরও। তাই শরিফের উপস্থিতিতে ভারত কী বলে, তা শুনতেও মুখিয়ে রয়েছেন বিশ্ববাসী।

    চিনের বিবৃতি

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময় পাকিস্তানের দিকে যারা ঝুঁকেছিল, তাদের মধ্যে ছিল চিনও। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চিনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ ভোরে ভারত যে সেনা অভিযান চালিয়েছে, তা দুঃখজনক (PM Modi)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান চিরকাল পরস্পরের প্রতিবেশী হিসেবেই বিরাজ করবে। তারাও চিনের প্রতিবেশী। চিন সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরোধী। দুপক্ষের কাছেই আবেদন, বৃহত্তর স্বার্থে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সংযত থাকুন। এমন কিছু করবেন না, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে (SCO Summit)।’

    পরে অবশ্য আর একটি বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চিন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কঠোর বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল সংঘটিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে। চিন আঞ্চলিক দেশগুলিকে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা জোরদার করার এবং যৌথভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার আহ্বান জানায় (PM Modi)।”

  • PM Modi: ২০১৯-এর পর এই প্রথম, চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    PM Modi: ২০১৯-এর পর এই প্রথম, চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জাপান ও চিন (China) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অগাস্টের শেষের দিকে বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে যাবেন তিনি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই দুই দেশ সফরের নেপথ্যে কাজ করছে ভারত ও চিনের শি জিনপিং সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা।

    সলতে পাকানোর কাজ শুরু (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে যান, তাহলে এটাই হবে উনিশের পরে তাঁর প্রথম চিন সফর। ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা ফৌজদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। যদি প্রধানমন্ত্রী এসসিও সম্মেলনে যোগ দেন, তবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্ব শেষ দেখা হয়েছিল কাজানে, ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে। সেই সময়ই শুরু হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার সলতে পাকানোর কাজ।

    চিন সফরে জয়শঙ্কর

    প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত চিন সফরের আগে সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বেজিংয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং ভারতের প্রতি বিরল মাটির চুম্বক ও সার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাধার বিষয়টি উত্থাপন করেন। চলতি চিন সফরে জয়শঙ্কর মঙ্গলবার বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিতও করেন। তিনি তিয়ানজিনে এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেন।

    এসসিও গঠনের কারণ

    এসসিও কাউন্সিলে জয়শঙ্কর বলেন, “এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার (PM Modi) জন্য। তাই এসসিওকে অবশ্যই তার মূল উদ্দেশ্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকতে হবে এবং এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান নিতে হবে (China)।” তিনি জানান, চলতি বছর ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা ছিল এই জাতীয় একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এই হামলা ইচ্ছাকৃতভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিবৃতি জারি করে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং এই নৃশংস সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষকদের জবাবদিহির আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    এসসিও বর্তমানে ১০টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এই দেশগুলি হল, চিন, রাশিয়া, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুস। পাকিস্তানের তরফে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিও-র বৈঠক এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। কারণ বিগত কয়েক বছরে সংঘাত, প্রতিযোগিতা ও জোরজবরদস্তি বেড়ে গিয়েছে এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাও বাড়ছে। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা, বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁকি হ্রাস করা এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সেই সব দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান করা যা আমাদের সমষ্টিগত স্বার্থের জন্য হুমকি স্বরূপ (China)।”

    ভারতের অবস্থান

    তিনি বলেন, “ভারত ভবিষ্যতেও এমন সব নতুন ধারণা ও প্রস্তাবকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করবে, যেগুলি (PM Modi) প্রকৃত অর্থেই সম্মিলিত কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব এখন আরও মাল্টি পোলারিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেবল জাতীয় ক্ষমতার পুনর্বণ্টনের দিক থেকেই নয়, বরং এসসিও-র মতো কার্যকর গোষ্ঠীগুলির উদ্ভবের দিক থেকেও।  বিশ্ব পরিস্থিতি গঠনে এই গোষ্ঠীর ভূমিকা নির্ভর করবে এই বিষয়ের ওপর আমরা সবাই কতটা একটি শেয়ার্ড অ্যাজেন্ডারপর একত্রিত হতে পারি, তার ওপর।” অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সেই অনুযায়ীই কাজ করেছি এবং তা চালিয়ে যাব।”

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানের সঙ্গে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষ শুরু হয়। ১০ মে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয় (PM Modi)। বর্তমানে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য।

    জয়শঙ্করের সাফ কথা

    জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিও-র মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করতে হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পারস্পরিক আদান-প্রদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আর এজন্য বর্তমান কিছু সমস্যার সমাধান অপরিহার্য।” তিনি বলেন, “এই সমস্যাগুলির একটি হল – এসসিও অঞ্চলের মধ্যে নির্ভরযোগ্য ট্রানজিটের অভাব (China)। এই অভাব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে তোলে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডোর (INSTC)-এর প্রসারে উদ্যোগী হওয়া (PM Modi)।”

  • S Jaishankar: পাঁচ বছর পরে চিন সফরে জয়শঙ্কর, বৈঠক করলেন উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, কী কথা হল?

    S Jaishankar: পাঁচ বছর পরে চিন সফরে জয়শঙ্কর, বৈঠক করলেন উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের জন্য প্রতিবেশী দেশ চিন সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সোমবার চিনের রাজধানী বেজিংয়ে চিনের (China) উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। উল্লেখ করেন ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি। জয়শঙ্করের আশা, তাঁর সফরের সময় যেসব আলোচনা হবে, তা এই ইতিবাচক ধারাই বজায় রাখবে।

    জয়শঙ্করের বার্তা (S Jaishankar)

    এবার এসসিও-র (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) সভাপতিত্ব করেছে চিন। হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকে জয়শঙ্কর তাকে সমর্থন জানান। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে ভারতের বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “আজ বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পরপরই উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভালো লাগল। চিনের এসসিও সভাপতিত্বের প্রতি ভারতের সমর্থন জানিয়েছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টিও উল্লেখ করেছি এবং আমার সফরের বিভিন্ন আলোচনা এই ইতিবাচক ধারাকে বজায় রাখবে বলেই আশা করছি।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    এদিন হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতেই জয়শঙ্কর জানান যে, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে সফরের আলোচনাগুলি ইতিবাচক ধারার দিকেই যাবে। তিনি বলেন, “কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত চিনের সফল এসসিও সভাপতিত্বকে সমর্থন করে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আপনি (চিনের উপরাষ্ট্রপতি) যেমন বলেছেন, তা গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর থেকে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে, আমার এই সফরের আলোচনাগুলি সেই ইতিবাচক ধারাকেই বজায় রাখবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছে। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু হওয়ায় ভারতে তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে (S Jaishankar)।” চিনের (China) উপরাষ্ট্রপতিকে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছি। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার পুনরারম্ভ ভারতে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে উপকৃত হবে দুই দেশই।”

    আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে জটিল

    বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে জটিল আখ্যা দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা যখন আজ সাক্ষাৎ করছি, তখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। প্রতিবেশী দেশ এবং প্রধান অর্থনীতি হিসেবে, ভারত ও চিনের মধ্যে মুক্তভাবে মত ও দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় অত্যন্ত জরুরি। আমি এই সফরের সময় এমন আলোচনার প্রত্যাশাই করছি (S Jaishankar)।” প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুর সফর শেষে চিনে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সোমবার সেখানেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি। জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই শেষবারের মতো গত ফেব্রুয়ারি মাসে জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেখানে উভয় পক্ষই পারস্পরিক আস্থা ও সমর্থনের ওপর জোর দেন।

    এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক

    ১৫ জুলাই তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হবে এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। মূলত সেই বৈঠকে যোগ দিতেই চিনে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিতব্য এসসিও কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী চিন সফর করবেন। এছাড়াও, তিনি ওই সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেবেন।” ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘাত হয়। সেই ঘটনার পর এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তার পর এই প্রথমবার চিনে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্করের আগে শি জিনপিংয়ের দেশে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। জুন মাসে এসসিও বৈঠকে অংশ নিতেই সে দেশে গিয়েছিলেন রাজনাথ ও ডোভাল।

    ভারতে আসতে পারেন ওয়াং ই

    এদিকে, আগামী (S Jaishankar) মাসে ভারত সফরে আসতে পারেন ওয়াং ই। তিনি বৈঠক করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। এটি হবে বিশেষ প্রতিনিধি প্রক্রিয়ার আওতায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ (China) মেটানোর পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি ছিল গত ৪০ বছরের মধ্যে ভারত ও চিনের মধ্যে সব চেয়ে খারাপ সীমান্ত সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুই দেশেরই কয়েকজন করে সেনা। এই ঘটনার পরেই তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ভারত ও চিনের মধ্যে।

    দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া সেই উত্তেজনার পারদ কমাতেই সচেষ্ট হয়েছে দুই দেশই। গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সেখানেই ঠিক হয় দুই দেশের মধ্যে থেমে যাওয়া আলোচনা ফের শুরু করা হবে। সেই মতোই চলছে (China) সব কিছু। ফের শুরু হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে (S Jaishankar) বন্ধ থাকা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রাও।

  • Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এমতাবস্থায় চিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ওই বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ না থাকলেও, বালুচিস্তানে অশান্তির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার উল্লেখ ছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

    অপারেশন সিঁদুরের যৌক্তিকতা (Rajnath Singh)

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রাজনাথ। সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ছিল অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান। এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় তুলোধনা করেন শাহবাজ শরিফের দেশকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে বাকি দেশগুলিকেও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং সীমান্ত সন্ত্রাস কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছিল।”

    পাকিস্তানকে নিশানা

    পাকিস্তানকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন, “কিছু দেশ সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়ও দেয়। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির নিন্দা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করছে, এদিন সেকথাও ওই মঞ্চে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদ নয়, এবং প্রয়োজনে আমরা সেগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হানতেও পিছপা হব না।” রাজনাথ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপ করা উচিত। এই বিষয়ে এসসিও-র রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট স্ট্রাকচার ব্যবস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদ থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল — ‘সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া চরমপন্থা প্রতিরোধ’ — তা আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক।”

    দুরমুশ জঙ্গি শিবির

    প্রসঙ্গত, গত (Rajnath Singh) ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। এমতাবস্থায় ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি শিবির। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)।

    বিবৃতিতে সই করলেন না রাজনাথ

    সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় এবং তা নিয়ে অবস্থান বোঝাতে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে একে একে সই করতে থাকেন এসসিওর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সই করার পালা এলে ওই বিবৃতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজনাথ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ নেই কেন? বালুচিস্তানে অশান্তি সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার কথা কেন লেখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। এসসিওর চেয়ার এই মুহূর্তে চিনের দখলে। চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের খবর সর্বজনবিদিত। ভারতের অভিযোগ, সেই কারণেই যৌথ বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ (Operation Sindoor)। তার বদলে বালুচিস্তানের অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ভারতকে। এমনতর বিবৃতি দেখে তাতে আর স্বাক্ষর করেননি রাজনাথ (Rajnath Singh)।

    এসসিওর সদস্য রাষ্ট্র

    চিনের চিংদাওয়ে চলছে এসসিও সম্মেলন। যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। রাজনাথের (Rajnath Singh) পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই আয়োজন করা হয় এই সম্মেলনের।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে বালুচিস্তান থেকে। সেখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠনগুলি। আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করা থেকে কনভয়ে বিস্ফোরণ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বালুচিস্তানের এই অশান্তির জন্য ভারতকে বরাবর দায়ী করে আসছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যদিও পাক সরকারের তোলা অভিযোগ বার বার খণ্ডন করেছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত জোগাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই এখন ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে (Operation Sindoor) পাকিস্তান।

     

  • S Jaishankar: পাকিস্তানে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: পাকিস্তানে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাণিজ্য আর যোগাযোগের পথে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ।” পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সংক্ষেপে এসসিও)-এর (SCO Summit) মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “যদি বিশ্বাসের অভাব থাকে বা সহযোগিতা অপর্যাপ্ত হয়, যদি বন্ধুত্ব যথাযথ না হয় ও ভালো প্রতিবেশী সুলভ আচরণ কোথাও অনুপস্থিত থাকে, তাহলে অবশ্যই আত্ম-বিশ্লেষণের কারণ রয়েছে এবং সমস্যাগুলোর সমাধান দরকার।” এদিন অবশ্য পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেননি জয়শঙ্কর। তবে নিশানা করেন সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তানকে। বলেন (S Jaishankar), “যদি সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদের মাধ্যমে কার্যকলাপ পরিচালিত হয়, তাহলে তারা বাণিজ্য, জ্বালানি প্রবাহ, সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে বিনিময়কে এক সঙ্গে উৎসাহিত করার সম্ভাবনা খুবই কম।”

    গঠনমূলক অবদান ভারতের

    জয়শঙ্কর বলেন, “ইসলামাবাদের অনুষ্ঠিত এসসিও কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্টের বৈঠকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক অবদান রেখেছে ভারত। ফলপ্রসূ ৮টি নথিতে স্বাক্ষরও করেছে।” গত বছর এসসিও সম্মেলনে আয়োজক দেশ ছিল ভারত।এবার আয়োজন করেছে পাকিস্তান। আগামী বছর এসসিও সম্মেলন হবে রাশিয়ায়। সেজন্য ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। সম্মেলন হচ্ছে ইসলামাবাদের জিন্না কনভেনশন সেন্টারে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্তব্যের সমালোচনাও করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “সিপিইসি-র একাংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: হরিয়ানা বিজেপির পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত সাইনি, বৃহস্পতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ

    উন্নয়নশীল দেশগুলোর (গ্লোবাল সাউথ) সঙ্কট ও অগ্রাধিকারকেও এসসিও-র মঞ্চে তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। খাদ্য, জ্বালানি ও সারের নিরাপত্তা নিয়েও সরব হন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিওতে সহযোগিতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সার্বভৌমত্ব হওয়া উচিত সমতার ভিত্তিতে। আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যা অবশ্যই প্রকৃত অংশীদারিত্বের ওপর নির্মিত হতে হবে, এক তরফা (SCO Summit) এজেন্ডায় নয় (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: নৈশভোজে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ জয়শঙ্করের, বরফ গলল কি?

    S Jaishankar: নৈশভোজে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ জয়শঙ্করের, বরফ গলল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক বিধি মেনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সঙ্গে দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ৯ বছর পর ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পা রেখেছেন জয়শঙ্কর। শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সংক্ষেপে এসসিও)-র (SCO Meet) বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।

    শুধুই করমর্দন

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদে শরিফের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এসসিও সম্মেলনের জন্য আসা অতিথিদের জন্য এই নৈশভোজের আয়োজন করেছিল ইসলামাবাদ। সেখানেই দু’জনের সৌজন্য-সাক্ষাৎ হয়। করমর্দন, সৌহার্দ্য বিনিময়। ২০ সেকেন্ডেরও কম এই সাক্ষাতে দুই দেশের তফাত ছিল স্পষ্ট। ২০১৫-১৬ সালে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতের সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানোর চেষ্টার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক প্রতিবেশী দেশের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায় ভারত। কিন্তু, সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে তা সম্ভব নয়।

    কেন নয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    ইসলামাবাদ যাওয়ার আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তিনি পাকিস্তানে যাচ্ছেন শুধুমাত্র এসসিও সম্মেলনে (SCO Meet) যোগ দিতে। সেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জম্মু-কাশ্মীরে ভোট প্রচারে একাধিকবার বলেছেন, সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, ‘‘ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের থেকে কোনও পার্শ্ববৈঠকের অনুরোধ পাইনি। আমরাও এই মর্মে কোনও আবেদন করিনি। তবে প্রোটোকল অনুযায়ী সব দেশের নেতাদের মতোই ভারতের বিদেশমন্ত্রীকেও (S Jaishankar) স্বাগত জানানো হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩তম সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, (সংক্ষেপে এসসিও) সামিটে (SCO Summit) যোগ দিতে ইসলামাবাদে পৌঁছলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। চলতি মাসের ১৫-১৬ তারিখ এই দুদিন ধরে হবে সম্মেলন। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই এদিন ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ৯ বছর পরে এই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলেন কোনও বিদেশমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ক্যালেন্ডারের হিসেবে জয়শঙ্করের সফর দুদিনের হলেও, আসলে তিনি ইসলামাবাদে (এখানেই হচ্ছে এসসিও সম্মেলন) থাকবেন ২৪ ঘণ্টারও কম সময়।

    হচ্ছে না পার্শ্ববৈঠক (S Jaishankar)

    ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, জয়শঙ্কর ইসলামাবাদে গেলেও, ভারত-পাক পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেবেন না। রবিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, “ভারতের বিদেশমন্ত্রকের কাছ থেকে কোনও পার্শ্ববৈঠকের অনুরোধ পাইনি। আমরাও এই মর্মে কোনও আবেদন করিনি। তবে প্রোটোকল মেনে সব দেশের নেতার মতোই স্বাগত জানানো হবে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকেও।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সক্রিয়ভাবে এসসিও ফরম্যাটে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে এসসিও কাঠামোর বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও উদ্যোগ অন্তর্ভু্ক্ত রয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তা

    এদিকে, পাকিস্তানের এক মন্ত্রী আহসান ইকবালের অভিযোগ, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নাকি ইসলামাবাদে এসসিও বানচালের চেষ্টা করছে ভারত। তবে (S Jaishankar) সতীর্থের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি শাহবাজ সরকার। তবে সম্মেলন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ইসলামাবাদ ও লাগোয়া রাওয়ালপিণ্ডি এলাকায়। তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এই এলাকায়। পাঁচটি জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে পিটিআইয়ের প্রতিবাদ আন্দোলনের পাশাপাশি ছোটবড় জঙ্গি সন্ত্রাস চলছে পাকিস্তানে। সেই কারণেই ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। জানা গিয়েছে, সম্মেলনে যোগ দিতে উপস্থিত হবেন প্রায় ৯০০ প্রতিনিধি। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ১০ হাজার পুলিশ ও প্যারা মিলিটারি।

    আরও পড়ুন: “ডিজিটাল বিশ্বেও নিয়ম-কানুন প্রয়োজন”, বললেন মোদি, ব্যাখ্যা করলেন কারণও

    ২০১৫ সালে ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরের বছর পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পর এই সে দেশের মাটিতে পা রাখলেন (SCO Summit) জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • S Jaishankar: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    S Jaishankar: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সামিটে (SCO Summit) যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবারই ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা তাঁর। এ মাসেরই ১৫ ও ১৬ তারিখে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলন। এই সম্মেলনে যেসব আঞ্চলিক দেশের শীর্ষনেতারা যোগ দেবেন, তাঁরা হলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসটিন এবং জয়শঙ্কর।

    নৈশভোজের আয়োজন (S Jaishankar)

    সম্মেলনের আগে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই ওয়েলকাম ডিনারে যোগ দিতে পারেন জয়শঙ্কর। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর ওয়েলকাম ডিনারে যোগ দিলেও, ভারত-পাক প্রতিনিধিদের পার্শ্ববৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছিল দুই দেশেরই বিদেশমন্ত্রক। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, জয়শঙ্কর একটি প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) নিজেও তাঁর সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। প্রায় একই ধরনের বক্তব্য শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের গলাতেও।

    এসসিও-র সদস্য দেশ

    ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও চিন, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই এসসিও-র সদস্য। এই দেশগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আয়োজন করে শীর্ষ বৈঠকের। প্রথা মাফিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আমন্ত্রণ জানান এসসিও-র সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানকেই। অগাস্ট মাসে আমন্ত্রণ আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি আদৌ পাকিস্তানে যাবেন? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পরে ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় সম্মলেন যোগ দিতে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে পাক প্রতিনিধির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেবেন না।

    আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে বাবা সিদ্দিকি খুনে ফের আলোচনায় বলিউড-আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের চার প্রতিনিধির একটি দল। কিরঘিজস্তানেরও চার প্রতিনিধি দলও চলে এসেছে। চিনা প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১৫ জন সদস্য। ইরানের দুই প্রতিনিধিও পৌঁছে গিয়েছে ইসলামাবাদে। প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী হিসেবে এটাই জয়শঙ্করের প্রথম পাকিস্তান সফর। এর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক (SCO Summit) নানা মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদকে তুলোধনা করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সফর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    S Jaishankar: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরফ গলছে ভারত-পাক সম্পর্কের! ন’বছর আগে সে দেশে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর এবার যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবরে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন তিনি।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “১৫ ও ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিও-র বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশমন্ত্রী।” ওই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। যদিও তিনি যাচ্ছেন না, যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে শুধু সম্মেলনেই যোগ দেবে প্রতিনিধি দল। প্রতিবেশী দেশের সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকে বসার সম্ভাবনাই নেই ভারতের।

    সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর

    আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সুষমা। তার পর ভারতের আর কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানমুখো হননি। কূটনীতিকদের মতে, এই সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় বার্তা দিল নয়াদিল্লি। এসসিও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় বড় ভূমিকা নেয়। সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীকে পাঠিয়ে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিল, এই সম্মেলনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ভারত।

    ভারত (S Jaishankar) ছাড়াও এসসিও-র সদস্য হল চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান। সংগঠনের জন্ম ২০০১ সালে, সাংহাইতে এক সম্মেলনের মাধ্যমে। এই সম্মেলনে ভারত যোগ দেয়নি। ২০০৫ সালে প্রথমবার ভারত যোগ দেয় এসসিও সম্মেলনে। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান একই সঙ্গে এই সংগঠনের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। ২০২৩ সালে সম্মেলনের আয়োজন করে ভারত। সেবার অবশ্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল বৈঠক।

    আরও পড়ুন: বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ মাওবাদী

    ভারতের পর এবার সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। সেই সম্মেলনেই যোগ দিতে ইসলামাবাদ যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়ানোয় গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। ওই মঞ্চেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের তরফে ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেছিলেন, “যে দেশ তার জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য, মাদকদ্রব্য পাচার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য বিখ্যাত, সেই দেশই পৃথিবীর সব চেয়ে বড় গণতন্ত্রকে আক্রমণের ঔদ্ধত্য দেখায়।” এহেন আবহেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share