Tag: shah

shah

  • Amit Shah: দিল্লি বিস্ফোরণ, আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শাহের

    Amit Shah: দিল্লি বিস্ফোরণ, আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi Incident) আত্মঘাতী বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা? বিস্ফোরণের পেছনে কারণই বা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি (Amit Shah)। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে মঙ্গলবার দফায় দফায় তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে বিস্ফোরণের নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তিনি।

    বৈঠকে শাহ (Amit Shah)

    দিল্লি বিস্ফোরণের পর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন শাহ। জানিয়েছিলেন, তদন্তে যা উঠে আসবে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। সোমবার রাতেই প্রথমে হাসপাতাল এবং পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কথা বলেন পুলিশের পদস্থ কর্তা ও তদন্তকারীদের সঙ্গে। পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। শাহ বুঝিয়ে দেন, বিস্ফোরণের ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের আনা হবে তদন্তের আওতায়। মঙ্গলবার দিল্লি বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রায় একই ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।

    শাহি বার্তা

    এদিন সকালে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন শাহ। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোবিন্দ মোহন, ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর অধিকর্তা তপন ডেকা, দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা এবং এনআইএর ডিজি সদানন্দ বসন্ত। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত। সেই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরে ফের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন শাহ। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তদন্তকারী বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ আধিকারিকরা। পরে শাহ (Amit Shah) স্বয়ং পোস্ট করে দেশবাসীকে জানান বৈঠকের নির্যাস। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছি। এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এবার দেখবে আমাদের সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রায় সকলেরই হুঁশিয়ারি, “আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শেকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না (Delhi Incident)।”

    তদন্তকারীদের অনুমান

    তদন্তকারীদের অনুমান, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার সামনে একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সেই গাড়িটিতে কে ছিল, তা এখনও স্পষ্ট করে জানাননি তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের পরে আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু (Amit Shah) করেছেন তদন্তকারীরা। সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত ঘণ্টা তিনেক ধরে লালকেল্লার কাছে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়েছিল গাড়িটি। গাড়িটিতে নীল-কালো রংয়ের টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সিসিটিভির ওই ফুটেজে। তবে ওই ব্যক্তিটি কে, তা এখনও জানাননি তদন্তকারীরা। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, সিসি ক্যামেরায় প্রকাশ্যে আসা ফুটেজে দেখা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক চিকিৎসককে। ওই চিকিৎসকের নাম উমর মহম্মদ। তবে এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

    বিস্ফোরণের ভয়াবহতা

    প্রসঙ্গত, সোম-সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে ওই হুন্ডাই গাড়িতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। জখম হন বহু মানুষ। ঠিক কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তভার ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতে (Delhi Incident)।এই ঘটনার সূত্র ধরেই কাশ্মীরে নড়েচড়ে বসেছে নিরাপত্তা বাহিনীও। একাধিক এলাকায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ছ’জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক উমর উন নবির তিন আত্মীয়ও (Amit Shah)। পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, উমরই তার মালিক। ফারিদাবাদে ধৃত এক জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে সে যোগাযোগ রাখত বলে অনুমান। সেই মডিউল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল কমবেশি ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের দাবি, উমর এখনও নিখোঁজ। সে এই বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। তদন্তকারীদের মতে, লালকেল্লার মতো ঐতিহাসিক জায়গার কাছে এই বিস্ফোরণ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গোটা ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর জঙ্গি চক্রান্ত রয়েছে বলেই আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।

    উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক

    প্রসঙ্গত, দিল্লির বিস্ফোরণের দিনই ফরিদাবাদের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ এবং প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি আইআইডি তৈরির রাসায়নিক। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ যুক্ত মডিউলের এক চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তদন্তকারীদের অনুমান, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল, যা সচরাচর ব্যবহার করা হয় শিল্পক্ষেত্রে (Delhi Incident), জঙ্গিরা তাকে ব্যবহার করে শক্তিশালী বিস্ফোরক হিসেবেই (Amit Shah)।

  • Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ৬ নভেম্বর প্রথম দফার নির্বাচন শেষে এমন প্রত্যয় ঝরে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। এবার একই দাবি করলেন শাহ।

    শাহের দাবি (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১৬০টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ।” শাহ জানান, রাজ্যে অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে সীমাঞ্চলগুলিতে, যেখানে ২৪টি আসন রয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নির্মূল করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনুপ্রবেশকারী, তাদের বেআইনি ব্যবসা এবং বেআইনি দখলের কারণে পুরো সীমাঞ্চল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে এখানকার আইনশৃঙ্খলার ওপর। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পাঁচ বছরে আমরা অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেব। বন্ধ করে দেব তাদের বেআইনি ব্যবসা। একে একে প্রতিটি বেআইনি দখলও সরিয়ে দেব।”

    পঞ্চ পাণ্ডবের জয়!

    তিনি বলেন, “যেভাবে মানুষ আমাদের সমর্থনে উল্লাস প্রকাশ করছেন, তাতে মনে হয় বিহারের মানুষ এনডিএর সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। আমরা ১৬০ আসনের অনেক বেশিই পাব। এনডিএ ন্যূনতম ১৬০ আসন পাবে। আমি এটিকে পঞ্চ পাণ্ডবের লড়াই বলি। কারণ এনডিএর পাঁচ সহযোগী দল হল, জেডিইউ, বিজেপি, এলজেপি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চ। সবাই একজোট, কোনও বিবাদ নেই। বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত আমরা নরেন্দ্র মোদিজি এবং নীতীশ কুমারজির নেতৃত্বে যৌথ প্রচার চালাচ্ছি (Amit Shah)।”

    প্রথম দফায় ৬৪.৬৬ শতাংশের রেকর্ড ভোটদানের হার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির এই প্রবীণ নেতা জানান, বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এরও এখানে ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, “এসআইআরও ভোটের শতাংশ বাড়ার একটি কারণ। কারণ যে সব ভোট অপচয় হত, যাঁরা মারা গিয়েছেন বা অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করছেন, তাঁদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে (NDA) দু’দফায়। মঙ্গলবার হবে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। এই পর্যায়ে ভোট হবে ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে শুক্রবার (Amit Shah)।

  • Amit Shah: মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণ “ঐতিহাসিক মাইলফলক”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণ “ঐতিহাসিক মাইলফলক”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার পর থেকে জোরকদমে চলছে মাও-দমন (Maoist Leaders) অভিযান। কেন্দ্রীয় সরকারের রুদ্রমূর্তি দেখে এবং অন্নুনত এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়ায় সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে থাকেন মাওবাদীদের শীর্ষ নেতৃত্ব। মাস কয়েক আগেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন প্রয়াত মাওবাদী নেতা কিষেনজির স্ত্রী সুজাতা। দিন দুয়েক আগে ৬০ জন সহযোদ্ধা-সহ আত্মসমর্পণ করেছেন কিষেনজির ভাই বেণুগোপাল ওরফে সোনু ওরফে ভূপতি।

    ঐতিহাসিক মাইলফলক (Amit Shah)

    মাওবাদী নেতাদের এই আত্মসমর্পণের ঢেউয়ের প্রশংসা করেছেন শাহ। তিনি একে সরকারের মাওবাদ নির্মূলীকরণের চলমান প্রচেষ্টায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব চেয়ে বেশি প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৬ থেকে কমে এখন তিনে নেমে এসেছে। আর মোট প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হয়েছে ১১।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সন্ত্রাসমুক্ত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে সরকার যে দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছে, একদিকে লাগাতার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং অন্যদিকে উন্নয়নমূলক নানা পদক্ষেপ, তা বামপন্থী চরমপন্থার প্রভাব ও বিস্তার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির সন্ত্রাসমুক্ত ভারতের স্বপ্নের অধীনে অবিরাম সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়নের ফলে বামপন্থী উগ্রপন্থীদের কর্মক্ষেত্র ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তাদের লুকিয়ে থাকার আর কোনও জায়গা থাকছে না। ২০২৬-এর ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত মাওবাদের অভিশাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হবে।”

    এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে মাওবাদীদের ৫০ জন ক্যাডার, যার মধ্যে ৩৯ জন মহিলা, ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার কোয়ালিবেদা এলাকায় বিএসএফের ৪০তম ব্যাটেলিয়নের কামতেরার ক্যাম্পে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। দক্ষিণ জোনাল কমিটির সদস্য ও প্রবীণ মাওবাদী নেতা রাজমান মাণ্ডাভি এবং রাজু সালামের নেতৃত্বে ঘটে এই আত্মসমর্পণের ঘটনা। আত্মসমর্পণকারী ক্যাডাররা (Maoist Leaders) মোট ৩৯টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭টি একে-৪৭ রাইফেল, ২টি এসএলআর, ৪টি ইনসাস রাইফেল, ১টি ইনসাস এলএমজি এবং ১টি স্টেইন গান (Amit Shah)।

  • Amit Shah: ‘মাওবাদীদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নেই’, সাফ জানালেন শাহ

    Amit Shah: ‘মাওবাদীদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নেই’, সাফ জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের (Maoists) সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নাকচ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অস্ত্র সমর্পণ করে সরকারের আকর্ষণীয় আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি গ্রহণ করতে হবে। ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার সদর জগদলপুরে অনুষ্ঠিত ‘বস্তার দুর্গা উৎসব’ ও ‘স্বদেশি মেলা’য় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “৩১ মার্চ, ২০২৬-কে মাওবাদী সমস্যার অবসানের সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।”

    কী বললেন অমিত শাহ? (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “আমি আমার সমস্ত আদিবাসী ভাই-বোনেদের বলতে চাই, আপনারা আপনাদের গ্রামের তরুণদের বোঝান যেন তারা অস্ত্র ত্যাগ করে। তারা যেন হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূলধারায় ফিরে আসে এবং বস্তার অঞ্চলের উন্নয়নের অংশীদার হয়।” মাওবাদীদের সতর্ক করে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মাওবাদীরা যদি বস্তারে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তবে তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে সিআরপিএফ ও ছত্তিশগড়ের পুলিশের মতো নিরাপত্তা বাহিনী।” তিনি জানান, তিনি এখানে মা দন্তেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেছেন এবং প্রার্থনা করেছেন যাতে নিরাপত্তা বাহিনী আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে পুরো বস্তার অঞ্চলকে লাল সন্ত্রাস মুক্ত করার শক্তি অর্জন করে।

    অস্ত্র নামিয়ে রাখুন

    উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ছত্তিশগড়ে মাওবাদবিরোধী অভিযান জোরদার হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী একাধিক অভিযানে ৪৫০ জনেরও বেশি মাওবাদীকে হত্যা করেছে, যার বেশিরভাগই ঘটেছে বস্তার অঞ্চলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কিছু মানুষ মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ছত্তিশগড় ও কেন্দ্র – উভয় সরকারই বস্তার ও মাও-প্রভাবিত সমস্ত অঞ্চলের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আলোচনার মতো কী আছে? আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসনের জন্য আকর্ষণীয় একটি নীতি চালু করা হয়েছে। সামনে আসুন এবং আপনারা অস্ত্র নামিয়ে রাখুন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ চলছে

    তিনি আরও (Amit Shah) বলেন, “দিল্লির কিছু মানুষ বহু বছর ধরে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন যে মাওবাদ জন্মেছিল উন্নয়নের জন্য লড়াই হিসেবে। কিন্তু আমি আমার আদিবাসী ভাইদের বলতে এসেছি গোটা বস্তারকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এর মূল কারণই হল নকশালবাদ।” শাহ বলেন, “আজ ভারতে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, রাস্তা, ঘরে ঘরে শৌচাগার, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা এবং ৫ কেজি করে বিনামূল্যের চাল দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে, কিন্তু বস্তার এমন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে (Amit Shah)।”

    তিনি বলেন, “ছত্তিশগড় সরকার দেশের মধ্যে সর্বোত্তম আত্মসমর্পণ নীতি প্রণয়ন করেছে। এক মাসের মধ্যেই ৫০০ জনের বেশি আত্মসমর্পণ করেছে। সবারই আত্মসমর্পণ করা উচিত। একটি গ্রাম মাওবাদ মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকার সেই গ্রামকে উন্নয়নের জন্য ১ কোটি টাকা দেবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার গত ১০ বছরে ছত্তিশগড়কে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এর পর মাওবাদ আপনার এলাকার উন্নয়নকে আর থামাতে পারবে না। তারা আপনাদের অধিকারও (Maoists) কেড়ে নিতে পারবে না (Amit Shah)।”

  • Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষের অবসান শেষে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। এই দেবীপক্ষেই বাংলায় দেবীমূর্তির (Durga Puja) আবরণ উন্মোচন করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চতুর্থীর দিন দুপুরের মধ্যে কলকাতায় আসবেন শাহ। তার পরে শহরের দু’টি নামী পুজোর উদ্বোধনে যোগ দেবেন তিনি। একটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো, অন্যটি ইজেডসিসির দুর্গাপুজো। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো নামেই বিখ্যাত।

    থিমের অভিনবত্ব সজল ঘোষের পুজোয় (Amit Shah)

    থিমের অভিনবত্বের কারণেই ফি বছর আলোচনার কেন্দ্রে থাকে সজল ঘোষের পুজো। কখনও অযোধ্যার রামমন্দির, কখনও আবার দিল্লির লালকেল্লা করে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন তিনি। এবার এই পুজোর থিম হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। মূলত এই থিমেরই উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এই পুজো এবার পা দিল ৯০ বছরে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করে শাহ (Amit Shah) যাবেন ইজেডসিসির পুজোর উদ্বোধন করতে। এই পুজোর আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ নামের এক সংগঠন। এই পুজো শুরু হয়েছিল মুকুল রায়ের হাত ধরে। তিনি তখন ছিলেন বিজেপিতে। পরে তৃণমূলেই ফিরে যান দলবদলু মুকুল। পুজো হয়েছিল তার পরের বছরও। পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার ফের হচ্ছে সেই পুজোর আয়োজন। খুঁটিপুজোর দিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপ উদ্বোধনেও যাবেন শাহ

    বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার একটি মণ্ডপ উদ্বোধনেও যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সেটি কোন মণ্ডপ কিংবা উদ্যোক্তাই বা কারা, সে সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পদ্ম-নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রটি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর লাগোয়া এলাকায়, তা নিশ্চিত। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এ বছর তড়িঘড়ি করে পিতৃপক্ষেই ‘হিজাব’ পরে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেছেন মমতা। এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার (Durga Puja) শাহকে এনে ‘অপারেশন সিঁদুর’ থিমের উদ্বোধন করিয়ে রাজ্যবাসীকে বার্তা দিতে চাইছে পদ্মশিবির (Amit Shah)।

  • Amit Shah: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে বিরাট নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    Amit Shah: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে বিরাট নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত (Amit Shah) শাহ ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিটি প্রধান প্রতিবাদ আন্দোলনের খুঁটিনাটি স্টাডি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সমীক্ষায় প্রতিবাদের ধরণ খোঁজা হবে, অনুসন্ধান করা হবে অর্থ কারা জুগিয়েছিল, নেপথ্যেই বা ছিল কারা। পর্দার আড়ালে (India) থাকা সক্রিয় ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে। নয়া জাতীয় প্রতিবাদ প্রতিরোধ প্রোটোকল তৈরি করতেই এই সমীক্ষা করা হবে।

    ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন ২০২৫’ (Amit Shah)

    ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো নয়াদিল্লিতে আয়োজন করেছিল ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন ২০২৫’-এর। সেখানেই দেওয়া হয় এই নির্দেশ। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যুরোকে অর্ধ শতাব্দীর বিভিন্ন গণআন্দোলনের কারণ এবং এর নেপথ্যে কারা, তা বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এতে জেপি আন্দোলন, এমারজেন্সি পর্বের অস্থিরতা, সিএএ-র প্রতিবাদ ও কৃষক আন্দোলন-সহ নানা সময়ের প্রতিবাদ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অমিত শাহের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছে ভারতের তিন পড়শি দেশে সংঘঠিত হওয়া বিভিন্ন গণঅভ্যুত্থান। সম্প্রতি এই গণঅভ্যুত্থানের জেরেই পতন হয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং নেপালের সরকারের। অশান্ত হয়েছে ভারতের বিহার ও মণিপুর রাজ্য।

    গোয়েন্দা সংস্থগুলিকে নির্দেশ

    কোনও গণঅভ্যুত্থানই একদিনে সংগঠিত হয় না। এর ছক কষা হয় অনেক আগে থেকেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নেপথ্যে থাকে বিদেশি শক্তির হাত, আবার কোনও কোনও জায়গায় আন্দোলনে ইন্ধন জোগায় বিদেশি মদতপুষ্ট কোনও শক্তি। কেবল মদত জোগানোই নয়, আন্দোলন জিইয়ে রাখতে করা হয় অর্থায়নও। সেই কারণেই জানা দরকার ভারতে সংঘটিত বিভিন্ন বিক্ষোভের মূল কারণ এবং তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে কারা। গোয়েন্দা সংস্থগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিক্ষোভের মূল কারণ কী, উদ্দীপকগুলিই বা কী খুঁজতে। অর্থ জুগিয়েছিল কে? সেই অর্থ কোথা থেকে কোথায় গিয়েছিল? এই সব বিক্ষোভের ফল কী হয়েছে? তারা কি রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কোনও পরিবর্তন সাধন করতে পেরেছ? যদি তা না হয়, তাহলে খামোকা আন্দোলন কেন? সব শেষে রয়েছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (India) প্রশ্নটি। এই সব আন্দোলনে অক্সিজেন জুগিয়েছে কারা? কোনও এনজিও, বিদেশি প্রতিষ্ঠান নাকি রাজনৈতিক কর্মচারীরা (Amit Shah)?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ

    এই অর্থ জোগানের ধরনও খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে গোয়েন্দাদের। শাহের মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই কাজ করবে ইডি, ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-ইন্ডিয়া এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস। এই সংস্থাগুলিকে একটি স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্যই হল আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে জঙ্গি নেটওয়ার্ক শনাক্ত করা। মনে রাখতে হবে, বিক্ষোভে অর্থের জোগান দেওয়াকে জাতীয় নিরাপত্তার সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে গণ্য করা হয় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আলাদাভাবে এনআইএ, বিএসএফ এবং এনসিবিকে নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেটওয়ার্ককে দুরমুশ করে দিতে সৃজনশীল কোনও কৌশল প্রণয়ন করতে। এই কৌশলের মধ্যে রয়েছে এই নেটওয়ার্কের জেলবন্দি মাস্টারমাইন্ডদের রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও জেলায় স্থানান্তর করা, যাতে তারা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জঙ্গিদের এই চাঁইদের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলতে (India) পারলেই গুঁড়িয়ে যাবে আন্দোলনের কোমর (Amit Shah)।

    ধর্মীয় সমাবেশের ওপর গবেষণা

    একই সঙ্গে গোটা দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশের ওপর গবেষণা করবে বিএপিআর অ্যান্ড ডি। অত্যধিক ভিড়ের কারণে যাতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা না ঘটে, দানা বাঁধতে না পারে কোনও আন্দোলন। কুম্ভমেলা কিংবা ঈদের মতো বড় ইভেন্টে রিয়েল-টাইম মনিটরিং, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং গোয়েন্দা-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি করা হবে এসওপি। সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমে বলেন,  “একটি প্রতিবাদ শুধু প্ল্যাকার্ড দেখানো নয় — এটি প্রায়ই একটি দাবার খেলা। আমাদের জানতে হবে কে প্যাউন সরাচ্ছে, কে অর্থায়ন করছে, এবং কীভাবেই বা স্বার্থান্বেষী পক্ষের হাত থেকে ভিন্নমতের লোকজনকে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে নিরস্ত করা যায় (Amit Shah)।”

    কেন বেছে নেওয়া হল ১৯৭৪ সালকে?

    প্রশ্ন হল, এজন্য কেন বেছে নেওয়া হল ১৯৭৪ সালকে? এই বছরেই সূচনা হয়েছিল জেপি আন্দোলনের। পরের বছরই জারি হয় জরুরি অবস্থা (Emergency)। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের অর্থ হল, তারা বুঝতে চায় কীভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন রাজনৈতিক ভূমিকম্পে পরিণত হয় এবং কীভাবেই এগুলি বিশাল আকার ধারন করার আগে দমন করা যায়। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী এখন পুরোনো সিআইডি ফাইল ও গোয়েন্দা ইউনিটের আর্থিক ফরেনসিক শাখাকে সক্রিয় করে তুলছে। ভারত (India) আস্তিন গুটোচ্ছে তার ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত প্রতিবাদ কর্মসূচির পশ্চাৎপর্যালোচনার কারণ জানতে (Amit Shah)।

  • Amit Shah: সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Amit Shah: সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প (Detention Camps) গড়ে তুলতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের গতি-প্রকৃতি সীমিত রাখতেই এই ব্যবস্থা করতে হবে। যতক্ষণ না তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, ততক্ষণ রাখা হবে ওই ক্যাম্পে। মঙ্গলবার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Amit Shah)। সম্প্রতি পাশ হওয়া অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫ এর প্রেক্ষিতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে (Amit Shah)

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন বা জেলা কালেক্টর অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ জারি করে, কোনও ব্যক্তিকে আইন অনুযায়ী বিদেশি হিসেবে গণ্য করা হবে কি হবে না, সেই প্রশ্নটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত বিদেশি ট্রাইবুনালে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবে। এই বিদেশি ট্রাইবুনালে সর্বোচ্চ তিনজন আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ সদস্য থাকবেন, যাঁদের উপযুক্ত মনে করে নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশি নয় বলে তার দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে এবং তার দাবির সমর্থনে জামিনের ব্যবস্থাও করতে না পারলে, সেক্ষেত্রে তাকে আটক করে হোল্ডিং সেন্টারে রাখা হবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে বিদেশিদের ভারতে প্রবেশ বা অবস্থান করতে দেওয়া নাও হতে পারে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও বিদেশি ভারতের কোনও পর্বতচূড়ায় আরোহণ করতে পারবেন না বা করার চেষ্টাও করতে পারবেন না। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি খাতে বিদেশিদের নিয়োগের জন্য নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, “ভারতে কর্মসংস্থানের জন্য বৈধ ভিসা থাকা কোনও বিদেশি ব্যক্তি, দেওয়ানি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যুৎ বা জল সরবরাহ অথবা পেট্রোলিয়াম খাতের সঙ্গে যুক্ত কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবে না। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি, মানবাধিকার অথবা এ সংক্রান্ত অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে যুক্ত কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও বিদেশিকে নিয়োগ করতে পারবে না।”

    পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে না!

    আর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেপাল বা ভুটানের নাগরিকদের স্থলপথে বা আকাশপথে ভারতে প্রবেশের সময় পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে না। তবে তাদের বৈধ পাসপোর্ট থাকলে এবং তারা নেপাল বা ভুটান ছাড়া (Detention Camps) অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে প্রবেশ বা ভারত থেকে বের হলে, সে ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে চিন, ম্যাকাও, হংকং বা পাকিস্তান থেকে প্রবেশ বা প্রস্থানের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। এই নিয়ম তিব্বতিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যাঁরা ইতিমধ্যেই ভারতে বসবাস করছেন বা যাঁরা ভারতে প্রবেশ করছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নাম নথিভুক্ত করে নথিপত্র জোগাড় করেছেন, তাঁরা যদি ১৯৫৯ সালের পর কিন্তু ২০০৩ সালের ৩০ মে-র আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকেন (Amit Shah)।

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ছাড় প্রযোজ্য 

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানরা, যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বৈধ নথি থাকুক বা না থাকুক, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা ভারতে ঢুকেছেন এবং বৈধ নথি ছাড়াই এসেছেন কিংবা বৈধ নথি নিয়ে প্রবেশ করলেও, যার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ও ভিসা আইন পুরোপুরি কার্যকর হবে না। তবে যাঁরা ছাড়ের আওতায় নেই, তাঁদের কঠোর নিয়ম মানতে হবে (Detention Camps)। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তৈরি ডিটেনশন সেন্টারে তাঁদের আটকে রাখা হবে, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত (Amit Shah)।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর এই অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতেই ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বাংলাভাষায় কথা বললেই ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ধরে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদেরও বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে (Amit Shah)।

  • Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডির বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সমর্থনের অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২২ অগাস্ট একটি সম্মেলন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ অভিযোগ করেন, যদি রেড্ডি বস্তারের আদিবাসী নেতৃত্বাধীন মাওবাদবিরোধী (Naxalism) আন্দোলন ‘সলওয়া জুডুমে’র বিরুদ্ধে রায় না দিতেন, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে নির্মূল হয়ে যেত মাওবাদীদের সন্ত্রাস। তিনি বলেন, “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন। তিনি সলওয়া জুডুম বিষয়ে রায় দিয়েছিলেন। যদি সেই রায় না দেওয়া হত, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই নকশাল সন্ত্রাসের অবসান হয়ে যেত। তিনি সেই মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন, যার ফলেই সলওয়া জুডুমের রায় দেওয়া হয়েছিল।” ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের ‘সলওয়া জুডুম’ সংক্রান্ত রায় প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তোপ (Amit Shah)

    তাঁর মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নির্বাচনের কারণে কেরালায় কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা আরও কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, “কেরলের মানুষ অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে বামপন্থী দলগুলির চাপে কংগ্রেস এমন একজন প্রার্থীকে দাঁড় করাচ্ছে, যিনি নকশালবাদের পক্ষে ছিলেন এবং সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি পবিত্র মঞ্চকে ব্যবহার করেছিলেন।” প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ পুলিশ অফিসার (SPO) বা সালওয়া জুডুম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেন। তিনি এ-ও নির্দেশ দেন, জুডুম সদস্যদের অবিলম্বে নিরস্ত্র করতে হবে।

    লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ধাক্কা

    ‘নন্দিনী সুন্দর ও অন্যান্য বনাম ছত্তিশগড় রাজ্য’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তখন রাজ্যের লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে সালওয়া জুডুমের সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তৎকালীন ছত্তিশগড় সরকার রাজ্যে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ছত্তিশগড় অক্সিলিয়ারি আর্মড পুলিশ ফোর্স আইন পাশ করে (Naxalism)। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মাওবাদীরা ছত্তিশগড়ের ঝিরম ঘাঁটিতে রাজনৈতিক নেতাদের এক কনভয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং সলওয়া জুডুম  আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব মহেন্দ্র করমা-সহ দু’ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হন (Amit Shah)।

    আগামী মাসে দেশে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। এজন্য মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর জমা দেওয়া ২৮টি মনোনয়নপত্র রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী বাতিল করা হয়েছে। ২০২৫ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এবং রাজ্যসভার মহাসচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মোট ২৭ জন প্রার্থীর ৪০টি মনোনয়নপত্র পরীক্ষার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। জানা (Naxalism) গিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বরের ওই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী হয়েছেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ। আর তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ‘ইন্ডি’ জোটের বি সুদর্শন রেড্ডি (Amit Shah)।

  • Criminal Ministers Bill: “আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম,” কংগ্রেসকে নৈতিকতার পাঠ শাহের

    Criminal Ministers Bill: “আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম,” কংগ্রেসকে নৈতিকতার পাঠ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ দিনের বেশি হেফাজতে থাকা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে উত্তপ্ত লোকসভা (Criminal Ministers Bill)। কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মধ্যে বাদানুবাদ তুঙ্গে ওঠে। প্রবীণ এই দুই রাজনীতিবিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে বিলটির নৈতিকতা নিয়ে।

    বেণুগোপালের বক্তব্য (Criminal Ministers Bill)

    বুধবার বিলগুলি উপস্থাপনের পর বেণুগোপাল বলেন, “এই বিল দেশের ফেডারেল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য আনা হয়েছে। এটি সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা। বিজেপি নেতারা বলছেন এই বিল রাজনীতিতে নৈতিকতা আনতে এসেছে। আমি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি প্রশ্ন করতে পারি? যখন তিনি গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি কি তখন নৈতিকতার মান রক্ষা করেছিলেন?” সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    নৈতিকতার পাঠ শেখালেন শাহ

    শাহ বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবুও আমি নৈতিকতা ও আদর্শ মেনে চলেছি। আমি শুধু পদত্যাগই করিনি, বরং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি। আর তাঁরা আমাদের নৈতিকতা শেখাতে চাইছেন? আমি পদত্যাগ করেছিলাম। আমি চাই নৈতিকতা বৃদ্ধি পাক। আমরা এতটা নির্লজ্জ হতে পারি না যে অভিযোগ থাকলেও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থাকব। আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম।”

    বুধবার দিনের শুরুতে শাহ তিনটি বিল (Criminal Ministers Bill) উপস্থাপন করেছিলেন। এগুলি হল, সংবিধান (একশ ত্রিশতম সংশোধনী) বিল, ২০২৫, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৫, এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫।

    এই বিলগুলিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, যে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা যদি এমন কোনও অপরাধে গ্রেফতার হন এবং ধারাবাহিকভাবে ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, যার জন্য অন্তত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, তাহলে ৩১তম দিনে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে, নতুবা পদ থেকে তাঁরা অপসারিত হবেন।

    জানা গিয়েছে, বিলগুলি পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। শাহ (Amit Shah) বলেন, বিরোধী দলগুলি এই কমিটির সামনে তাদের আপত্তি উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে (Criminal Ministers Bill)।

  • Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) পদে থেকে রেকর্ড গড়লেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপিরই লালকৃষ্ণ আডবাণী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ২ হাজার ২৫৬ দিন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছেন শাহ। এ পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ২ হাজার ২৫৮ দিন। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ১ হাজার ২১৮ দিন।

    রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক (Amit Shah)

    শাহের এই কৃতিত্ব ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাহসী এবং ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার এনডিএর সংসদীয় দলের বৈঠকে শাহের এই অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আডবাণীর প্রকৃত উত্তরসূরি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের গান্ধীনগর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন অমিত শাহ। তার আগে ওই কেন্দ্রে ছ’বার জিতেছিলেন বিজেপিরই এলকে আডবাণী। শাহ জেতার পর একে দেখা হয়েছিল একটি আদর্শগত দায়িত্বের প্রজন্মগত হস্তান্তর হিসেবে। বস্তুত, আজ সেই রূপান্তরটি প্রতীকে ও বাস্তবে সম্পূর্ণ হয়েছে। অমিত শাহ শুধু আডবাণীর দৃষ্টিভঙ্গির উত্তরাধিকারই নেননি, বরং তিনি তা বাস্তবায়ন করেছেন নিখুঁতভাবে। তিনি এমন এক কাজ করেছেন, যা বহুদিন ধরে বিজেপির ইডিওলজিক্যাল পূর্বসূরি – জনসংঘ, আএসএস এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মতো মহাপুরুষরা দাবি করে আসছিলেন।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট রাজ্যসভায় ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এটি ছিল সেই ভাষণ, যা ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ভাষণ হিসেবে উল্লিখিত হয়ে থাকবে। তিনি সংবিধানের ৩৭০(৩) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের এক আদেশ হাতে নিয়ে, “সংবিধান (জম্মু ও কাশ্মীরে প্রয়োগ) আদেশ, ২০১৯” উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমেই ১৯৫৪ সালের সেই আদেশ বাতিল করা হয়, যা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দিত। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীর রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে ছিল। রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা হাতে তুলে নিয়েছিল সংসদ। রাজ্যসভায় প্রস্তাবটি ১২৫ ভোটে গৃহীত হয়। পরে লোকসভায় প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে ৩৭০টি ভোট, বিপক্ষে মাত্রই ৭০টি। প্রত্যাশিতভাবেই পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। এরপর শাহের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ অনুযায়ী রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় —  জম্মু ও কাশ্মীর (বিধানসভা-সহ) এবং লাদাখ (Amit Shah)।

    বদলেছে ভূস্বর্গ

    ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর (Home Minister) থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস-সংক্রান্ত মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমেছে। নিরাপত্তা কর্মীদের হতাহতের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সন্ত্রাসের প্রতি শাহের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দৃঢ় সীমান্ত পারাপার অভিযানে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে এবং নজিরবিহীন পর্যটকের আগমনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।

    মাও দমনে শাহের অবদান

    দেশে মাওবাদী দমনেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৫ হাজার ২২৫ জনের। অমিত শাহের নেতৃত্বে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৬০০-র নীচে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় এবং শীর্ষ মাওবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানের ফলে ‘লাল করিডর’ এখন সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি জেলার মধ্যে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী, মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৭৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। শাহি জমানায়ই যেমন নিকেশ করা গিয়েছে বেশ কিছু মাওবাদী চাঁইকে, তেমনই অস্ত্র ছেড়ে (Home Minister) সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছেন (Amit Shah) বহু মাওবাদী।

    তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ

    শাহি জমানায় ২০২৩ সালে আরও তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ হয় সংসদে। দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিক যুগের কলঙ্ক মুছতে পুরানো আইনগুলি বাতিল করে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি নয়া কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। যুগান্তকারী এই তিন আইন হল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-এর পরিবর্তে চালু হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, এটি চালু হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির বদলে। ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম স্থলাভিষিক্ত হয়েছে ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের (Amit Shah)।

    পাশ সিএএ আইন

    অমিত শাহের জমানায়ই পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০১৯। এই আইন ভারতের রাজনৈতিক (Home Minister) ইতিহাসে অন্যতম সাহসী এবং সামাজিকভাবে বিভাজন সৃষ্টিকারী আইন। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি ও বৌদ্ধদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দ্রুততার সঙ্গে দেওয়া হয়, যদিও মুসলমানদের এই সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে দাঁড়িয়ে শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের সভ্যতাগত কর্তব্য।” সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এছাড়া, তাঁর জমানায় তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা মুসলিম মহিলদের প্রতি হওয়া অন্যায় বন্ধ হয়।

LinkedIn
Share