Tag: shah

shah

  • Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “আমি আগেও বলেছিলাম যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এ এই দেশ মাওবাদ মুক্ত হবে। আজ আমি আবারও বলতে চাই, যেভাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বীরত্ব দেখাচ্ছে, তাতে আমরা অবশ্যই এই লক্ষ্য পূরণ করব।” রবিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি মাওবাদীদের অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিষ্ণু দেও সাই (ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী) একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় আত্মসমর্পণ নীতি তৈরি করেছেন। আসুন, আত্মসমর্পণ করুন এবং ছত্তিশগড়ের উন্নয়নে অবদান রাখুন। এ জন্য কোনও আলাপ-আলোচনার দরকার নেই। সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখুন। অস্ত্র ত্যাগ করুন এবং সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুন।”

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান (Amit Shah)

    ছত্তিশগড় সরকার যে মাওবাদী বিরোধী অভিযানকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে উৎসাহ দিয়েছে, সে জন্যও শাহ প্রশংসা করেন। তিনি জানান, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ে বিষ্ণু দেব সাইয়ের সরকার এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল তাঁরা বন্ধ হয়ে থাকা নকশালবিরোধী অভিযানকে দ্রুত গতিতে চালু করেছেন। আমি দেখেছি, সরকার গঠনের পর থেকেই এই দুই নেতা শুধু অভিযানকে গতি দেননি, বরং সময়ে সময়ে এর দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এতে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী উৎসাহিত হয়েছে এবং এই লড়াই আরও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” শাহ বলেন, “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিজয় শর্মা ও মুখ্যমন্ত্রী সাইকে নকশালবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই।”

    অটল বিহারী বাজপেয়ী

    এদিন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে স্মরণ করেন শাহ। ছত্তিশগড় গঠনের জন্য তাঁকে কৃতিত্বও দেন। তিনি ঘোষণা করেন, ছত্তিশগড়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বছরকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী। আমি গত ১১ বছর ধরে ছত্তিশগড়ে আসছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, ছত্তিশগড় গঠনের পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর। ছত্তিশগড়কে (Chhattisgarh) সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছত্তিশগড় সরকার তাদের ২৫ বছর উদযাপন করছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে (Amit Shah)।”

    ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি

    ছত্তিশগড়ের নব রায়পুরে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (NFSU) এবং সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (CFSL) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ ছত্তিশগড় ও মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, আরও মজবুত করবে।” শাহ বলেন, “আজকের দিনটি ছত্তিশগড়ের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বলা যায়, আজ থেকে তিনটি নতুন উদ্যোগ শুরু হচ্ছে যা এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে – ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং এনএফএসইউ-এর ট্রানজিট ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে (Amit Shah)।”

    চাকরির গ্যারান্টি

    শাহ জানান, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ছত্তিশগড় সরকার ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে (Chhattisgarh)। এর মাধ্যমে রাজ্যে নতুন শিল্প আসবে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ের আই-হাবেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান আসছে ঠিকই, কিন্তু রাজ্যের যুব সমাজ যদি নিজেদের উদ্যোগে শিল্পপতি হওয়ার চেষ্টা না করে, তাহলে ছত্তিশগড়ে প্রকৃত শিল্প বিপ্লব হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আই-হাব (i-hub) যুবকদের স্টার্টআপ শুরু করতে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেবে। এটি ছত্তিশগড়ের যুবকদের জন্য এক বড় সুযোগ এবং মঞ্চ তৈরি করবে। এখানকার যুবসমাজ যদি এমএসএমই (MSME) শিল্পপতি না হয় এবং এই ধরণের সংস্কৃতি না গড়ে তোলে, তাহলে ছত্তিশগড় কখনওই উন্নত হতে পারবে না।” তিনি এনএফএসইউতে চালু হতে যাওয়া কোর্সগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। বলেন, “মোদি সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। এনএফএসইউয়ের গ্র্যাজুয়েশন মানেই চাকরির গ্যারান্টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশের ফলে ফরেনসিক স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য বড় শহরের (Chhattisgarh) ওপর নির্ভরতা কমে যাবে (Amit Shah)।”

  • Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাংলায় সঙ্কল্প সভা করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah)। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য কথা বলেছেন। আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন। মা-বোনেরা এর জবাব আপনাকে দেবে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের গুলি করে মেরেছিল। তার জবাবে পাকিস্তানে কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু জঙ্গিরা মারা গেলে তো দিদির পেটে ব্যথা করে। আর বাঙালি পর্যটককে যখন জঙ্গিরা হত্যা করে তখন উনি কিছুই বলেন না।”

    সংখ্যালঘু তোষণ (Amit Shah)

    সংখ্যালঘু তোষণের প্রশ্নে এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দায়ী। সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইচ্ছে করে জমি দিচ্ছে না। যাতে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সরাসরি শাসক দলের মদতে। শাসক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে হিংসার উসকানি দিয়েছেন। এ হল স্টেট স্পনসরড তথা রাষ্ট্রের মদতে দাঙ্গা।”

    রাজ্য সরকার শোনেনি

    শাহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি বিএসএফের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা শুনতে চায়নি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ-ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ বিএসএফ-ই পারে হিন্দুদের বাঁচাতে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আরজি কর থেকে সন্দেশখালি থেকে সামসেরগঞ্জ – সর্বত্র মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূলেরই নাম উঠে এসেছে বার বার। রাজ্য দুর্নীতির গলা জলে ডুবে গেছে। কেন্দ্রের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে (Amit Shah) গত ১১ বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা বাংলার মানুষ পায়নি। তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “দিদি আমার কথা শুনে নিন, আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ছাব্বিশেই বিদায়।” তিনি বলেন, “টিএন সেশন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ভোটে হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বাংলায়ই তা বন্ধ হয়নি।” শাহ বলেন, “দিদি (Mamata Banerjee), হিম্মত থাকলে হিংসা, রিগিং বাদ দিয়ে ভোট করে দেখুন। আপনারও জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে (Amit Shah)।”

  • Amit Shah: গান্ধীনগরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: গান্ধীনগরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচিত হয়েছেন গুজরাটের (Gujarat) গান্ধীনগর থেকে। সেই গান্ধীনগরে বস্তুত উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার তিনি গান্ধীনগর শহর ও জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। প্রকল্পগুলির মোট মূল্য ৭০৮ কোটি টাকারও বেশি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি? (Amit Shah)

    সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, গান্ধীনগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একাই ২০০.৯৪ কোটি টাকার নাগরিক ও পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। নতুন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে ৩৫২.৭৬ কোটি টাকার। গান্ধীনগর জেলা প্রশাসন সম্পন্ন করেছে ৪৫.৭০ কোটি টাকার কাজ। গান্ধীনগর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে ১০৭.৮৫ কোটি টাকার। এদিন উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বাসান, পালাজ ও পোর অঞ্চলে আরসিসি এবং সিসি রোড, ভাভোল ও পেঠাপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সিএইচ-০ থেকে জিএইচ-০ মিউনিসিপ্যাল করিডরে ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদি।

    গুচ্ছ প্রকল্প

    অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে ছিল বরিজ ও কোলাভাদা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পয়ঃপ্রণালী নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ পাইপলাইন স্থাপন, টাউন প্ল্যানিং এরিয়া উন্নয়নমূলক কাজ যার মূল্য ৭৫.০৮ কোটি টাকা, ভাট এলাকায় একটি পয়ঃশোধনাগার স্থাপন এবং সেক্টর ২১ ও ২২-এর মধ্যে একটি সড়ক আন্ডারপাস নির্মাণ। অতিরিক্ত পরিকাঠামোর মধ্যে রয়েছে সৌর প্যানেল ও রাস্তার আলোর ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও পরীক্ষাগার উন্নয়ন (Amit Shah)।

    যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে, সেগুলি হল খোরাজ, কোবা, রান্ধেজা এবং সরগাসনে রাস্তা নির্মাণের কাজ, সেক্টর ৭, ২১, ২২ ও ঢোলাকুয়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, নবহোই ও ডাভোলে জল ও ড্রেনেজ লাইনের কাজ এবং কোলাভাদা রায়সান ও নবহোইতে তিনটি নয়া পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ। পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল দুটি নয়া জোনাল অফিস নির্মাণ, অঙ্গনওয়াড়ি সংস্কার, শহরজুড়ে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, কুদাসন ও আমিয়াপুরে কমিউনিটি হল, ইন্দ্রোডায় গুজরাট দর্শন পার্ক, রিচার্জ ও টিউবওয়েল স্থাপন, টিপি-০৯ এলাকায় একটি নয়া ইলেকট্রিক বাস ডিপো (Gujarat) এবং বিভিন্ন সেক্টরে ক্রিকেট বক্স স্থাপন ও কাম্পাউন্ড ওয়াল নির্মাণ (Amit Shah)।

  • Caste Census: জাতিভিত্তিক গণনার কথা ঘোষণা কেন্দ্রের, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেতারা

    Caste Census: জাতিভিত্তিক গণনার কথা ঘোষণা কেন্দ্রের, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মোদি সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন নেতানেত্রী। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah), তেমনি রয়েছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানের পাশাপাশি এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারও।

    কী বললেন শাহ (Caste Census)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই ঘোষণার ফলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নতি হবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আজকের সিসিপিএ সভায় আসন্ন আদমশুমারিতে জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সামাজিক সমতা ও প্রতিটি বিভাগের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও তার মিত্র দলগুলি কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকাকালীন জাতিভিত্তিক আদমশুমারির বিরোধিতা করেছিল এবং বিরোধী দলে থাকাকালীন একে নিয়ে রাজনীতিকরণ করেছিল। এই সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া সকল শ্রেণির ক্ষমতায়ন করবে, অন্তর্ভুক্তি প্রচার করবে এবং বঞ্চিতদের অগ্রগতির জন্য নতুন পথ প্রশস্ত করবে।”

    নাড্ডার পোস্ট

    বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত স্তরে পিছিয়ে পড়া জাতিগুলিকে মূলধারায় আনার ক্ষেত্রে এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের অধিকার ও অধিকার থেকে বঞ্চিতদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “মোদি সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতি সম্প্রসারণ, সমাজের প্রতিটি অংশের উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মর্যাদা বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। সমাজের সকল অংশের কল্যাণের লক্ষ্যে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি মোদিজির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকাকালীন, কংগ্রেস সব সময় জাতিগত জনগণনার বিরোধিতা করেছে, যার প্রমাণ স্বাধীনতার পর দেশে আজ পর্যন্ত জাতিগত জনগণনা করা হয়নি। মোদি সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতি প্রসারিত করার পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণির উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া অংশের সম্মান বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক (Amit Shah) হয়ে থাকবে। সমগ্র সমাজের কল্যাণে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি মোদিজিকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই (Caste Census)।”

    অজিত পাওয়ারের বক্তব্য

    মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, “দেশে সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার ঐতিহাসিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি, মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহজি এবং সমগ্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!” তিনি লেখেন, “বহু দশক ধরে অসংখ্য ব্যক্তি, সংগঠন এবং গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে জাতিভিত্তিক আদমশুমারির দাবি করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহের দূরদর্শী এবং সংবেদনশীল নেতৃত্বের কারণে এই দাবি পূরণ হয়েছে। জাতিভিত্তিক আদমশুমারির অভাবে তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া অন্যান্য বর্ণের জনসংখ্যার অর্থনৈতিক (Amit Shah) ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলস্বরূপ, সমাজের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ওবিসি সম্প্রদায়কে এর পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল।” মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধানও (Caste Census)।

    কী বললেন নীতীশ কুমার 

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জাতিভিত্তিক আদমশুমারির সরকারি সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “জাতিগত আদমশুমারি পরিচালনার জন্য আমাদের দাবি অনেক পুরানো। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে কেন্দ্রীয় সরকার জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনা বিভিন্ন শ্রেণির জনসংখ্যা নির্ধারণে সাহায্য করবে, যা তাদের উন্নয়ন ও উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নকে সহজতর করবে। এটি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শ্রদ্ধেয় শ্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন ও ধন্যবাদ (Caste Census)।”

    প্রসঙ্গত, ভারতে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। জনগণনা হয় প্রতি ১০ বছর অন্তর। সেই হিসেবে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে সেবার জনগণনা হয়নি। শেষ জনগণনা অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১২১ কোটি (Amit Shah)। এর মধ্যে তফশিলি উপজাতি ৮.৬১ শতাংশ, তফশিলি জাতি রয়েছে মোট জনসংখ্যার ১৬.৬৩ শতাংশ। আর ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন ৫২ শতাংশ (Caste Census)।

  • Amit Shah: “সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না ভারত,” সাফ জানালেন শাহ

    Amit Shah: “সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না ভারত,” সাফ জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার খবর পেয়েই কাশ্মীরে উড়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার রাতেই তিনি পৌঁছন কাশ্মীরে। বুধবার শ্রীনগরে আবেগঘন পরিবেশে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের শোকাহত পরিবারগুলির (Pahalgam Victims Families) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শাহ। তাঁদের সান্ত্বনা দেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ে একদল পর্যটকের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে তারা গুলি করে খুন করে ২৮ জন হিন্দুকে। গত কয়েক বছরে উপত্যকায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির মধ্যে সব চেয়ে ভয়াবহ বেসামরিক হামলাগুলির মধ্যে একটি এই ঘটনা।

    শোকাহত পরিজনদের সঙ্গে শাহ (Amit Shah)

    সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শাহ শোকাহত পরিজনদের দিকে এগিয়ে এলে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। তিনি স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে তাঁদের দুঃখের কথা শোনেন এবং সমবেদনা জানান। পরে শ্রীনগরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “গভীর শোকের সঙ্গে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানালাম। সন্ত্রাসের কাছে ভারত মাথা নত করবে না। এই নৃশংস জঙ্গি হামলায় দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”

    দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্টের হামলা

    আধিকারিকরা জানান, এদিন শাহ বাইসারান এলাকা পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবারের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। এলাকাটি মিনি সুইজারল্যান্ড নামে পরিচিত। পহেলগাঁও থেকে প্রায় ছ’কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই এলাকা। পায়ে হেঁটে কিংবা ঘোড়ায় চড়েই সেখানে পৌঁছানো সম্ভব (Amit Shah)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জঙ্গিরা চারপাশের পাইন বন থেকে বেরিয়ে পিকনিক করতে থাকা, ঘোড়ায় চড়তে থাকা বা খাবারের স্টলে খেতে থাকা লোকজনের ওপর গুলি চালায়। বেশিরভাগ শিকারই ছিলেন পর্যটক, এঁদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপালের দুই বিদেশি এবং দুই স্থানীয় নাগরিকও ছিলেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার মদতপুষ্ট সংগঠন দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্ট।

    এদিন জঙ্গি হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শ্রীনগরে পৌঁছে যান শাহ। তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠকে বসেন। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এই হামলাকে (Pahalgam Victims Families) গত কয়েক বছরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যে কোনও ঘটনার চেয়ে অনেক বড় বলে অভিহিত করেন (Amit Shah)।

  • Amit Shah: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন অমিত শাহ, ফাঁস করলেন রহস্যও

    Amit Shah: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন অমিত শাহ, ফাঁস করলেন রহস্যও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার তিনি ফাঁস করলেন তাঁর ফিট থাকার রহস্য। কীভাবেই বা তিনি দিনে এত পরিশ্রম করতে পারেন (Weight Loss Mantra), তাও খোলসা করলেন বিজেপির এই নেতা। শনিবার বিশ্ব লিভার দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেসের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি জানান তাঁর ফিট থাকার রহস্য।

    শাহি পরামর্শ (Amit Shah)

    সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যুব সমাজকে প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে ব্যায়াম ও ছ’ঘণ্টা করে ঘুমোনোর পরামর্শ দেন। নিজে কীভাবে ওজন কমিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন শাহ। বলেন, “২০২৯ সালের মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আমি অনেক বড় পরিবর্তন করেছি। সঠিক পরিমাণে ঘুম, বিশুদ্ধ জল পান, খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে আমি জীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছি। গত সাড়ে চার বছরে আমি সমস্ত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ থেকে মুক্ত হয়েছি।” তিনি বলেন, “এটি আমার কাজ করার, চিন্তা করার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।”

    কার্টুন উপভোগ করেন!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) এদিন আইএলবিএসে একটি লিভার প্রতিস্থাপন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। একটি কার্টুন গ্যালারিও পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “আমি কার্টুনগুলো উপভোগ করি, যার মধ্যে আমার ওপর ভিত্তি করে তৈরি কার্টুনগুলোও রয়েছে।” লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তৈরি গ্যালারি ও ইনস্টিটিউটের অন্যান্য উদ্যোগের জন্য আইএলবিএস পরিচালক ডঃ এস সারিনের প্রশাংসাও করেন তিনি।

    এর পরেই দেশবাসীকে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘুমকেও গুরুত্ব দিতে বলেন। কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে লিভারের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব প্রচার করার ও লিভারের চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে কাজ করছে যেসব প্রতিষ্ঠান, সেগুলিকে সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন প্রতিদিন তাঁদের শরীর সুস্থ্য রাখতে দু’ঘণ্টা করে ব্যায়াম করেন এবং তাঁদের মস্তিষ্কের জন্য ছ’ঘণ্টা ঘুমোন (Amit Shah)। এটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা (Weight Loss Mantra)।”

  • Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে ‘শাহি দাওয়াই’য়ে! ফের আত্মসমর্পণ করলেন ২২ জন নকশাল। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। দৃশ্যতই খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ফের একবার নকশালদের অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটানোর জন্য মোদি সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় বিভিন্ন অভিযানে কোবরা কমান্ডো ও রাজ্য পুলিশ আধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী-সহ ২২ জন নকশালকে গ্রেফতার করেছে। সুকমার বাদেসেট্টি পঞ্চায়েতে ১১ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে, যার ফলে এই পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ নকশালমুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি নকশালদের প্রতি আবেদন জানাই, তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং মোদি সরকারের আত্মসমর্পণ নীতি গ্রহণ করে মূলধারায় ফিরে আসুন। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশকে নকশালবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ২২ জন নকশালের আত্মসমর্পণ

    এদিকে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জন-সহ মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি জানান, এটি আনন্দের বিষয় যে মাওবাদীরা এখন মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনে নিয়ম অনুসারে সবরকম সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সংকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ ও রাজ্য থেকে লাল সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ নিশ্চিত (Amit Shah)।

    ছত্তিশগড় বিজেপির প্রধান কিরণ সিং দেব বলেন, রাজ্যের বস্তার জেলা শান্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, “বস্তার জেলা ধীরে ধীরে শান্তির পথে এগোচ্ছে। পূর্বে দুর্গম ছিল এমন অনেক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এখন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছতে পারছে। সকলের উচিত মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।”

    এর আগে আজ, সুকমায় পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) কিরণ গঙ্গারাম চবানের উপস্থিতিতে ৯ জন মহিলা-সহ (Chhattisgarh) মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেন (Amit Shah)।

  • BJP Foundation Day: “পদ্মফুল দেশবাসীর আশা-আকাঙ্খার প্রতীকে পরিণত হয়েছে,” বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন শাহ

    BJP Foundation Day: “পদ্মফুল দেশবাসীর আশা-আকাঙ্খার প্রতীকে পরিণত হয়েছে,” বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পদ্মফুলের প্রতীকটি দেশবাসীর হৃদয়ে আশা-আকাঙ্খার নয়া প্রতীকে পরিণত হয়েছে।” রবিবার বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে (BJP Foundation Day) এমনই মন্তব্য করলেন গেরুয়া নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দলীয় কর্মীদের অভিনন্দনও জানান তিনি।

    কী বললেন শাহ (BJP Foundation Day)

    এক্স হ্যান্ডেলে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শাহ লিখেছেন, “আজ (প্রধানমন্ত্রী) মোদির নেতৃত্বে পদ্ম ফুলের প্রতীক দেশবাসীর হৃদয়ে আস্থা ও আশার নতুন প্রতীকে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে বিজেপি যে সেবা, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কাজ করেছে, তা ভবিষ্যতে মাইলফলক হয়ে থাকবে।” তিনি এও লিখেছেন, “কোটি কোটি বিজেপি কর্মী, ইডিওলজিক্যাল প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থেকে জাতি গঠনে অবদান রাখতে থাকবে।”

    গরিব, বঞ্চিত ও নারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করেছে

    শাহ দশকের পর দশক ধরে দলের অবদানগুলির কথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দেন। এর মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ আন্দোলন। শাহ বলেন, “দল সব সময় গরিব, বঞ্চিত ও নারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করেছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, “শ্রীরাম মন্দির আন্দোলনকে প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়া হোক, ৩৭০ ধারা অপসারণকে তার সংকল্পে পরিণত করা হোক, বা গরিব, বঞ্চিত ও নারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা হোক – বিজেপি তার প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই জাতির স্বার্থকে তার সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে।”

    ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল বিজেপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দল ঐতিহ্যকে সম্মান করা ও কৃষকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে, তা বিজেপি সব সময় দেখিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিজেপির এই সৈনিক লিখেছেন, “চার দশকের যাত্রায়, বিজেপি দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দল একই সঙ্গে ঐতিহ্য রক্ষা, প্রতিটি গরিব মানুষকে বাসস্থান, খাদ্য, স্বাস্থ্যবিমা এবং কৃষকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে পারে (BJP Foundation Day)।”

    দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপির সমস্ত কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা। গত কয়েক দশক ধরে যারা আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে আত্মনিয়োগ করেছেন, তাঁদের সকলকে আমরা স্মরণ করছি। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আমাদের ভারতের অগ্রগতির (Amit Shah) দিকে কাজ করার ও একটি বিকশিত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অতুলনীয় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে (BJP Foundation Day)।”

  • Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ-জমানায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের অপব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পিএম- কেয়ার্স ফান্ড (PM Cares) সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য বিরোধী দলগুলিকে (Congress) কড়া ভাষায় আক্রমণও শানিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিলের ওপর আলোচনায় রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি (Amit Shah)

    সেখানেই তিনি বলেন, দুর্যোগ ত্রাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডাইভার্টেড হয়েছিল। রাজ্যসভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল পাশ হওয়ার সময় শাহ কংগ্রেসকে তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা সম্পর্কে জবাব দিতে চ্যালেঞ্জ করেন এবং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা চালানোর অভিযোগ তোলেন যেখানে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করতেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটি সংসদ, রাস্তার প্রতিবাদ নয়। যদি আপনারা অভিযোগ করেন, তাহলে আপনাদের উত্তরও শুনতে হবে।”

    বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন

    পিএম-কেয়ার্স তহবিলে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এই তহবিল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে কঠোর আর্থিক তদারকি ব্যবস্থা রয়েছে। এটি কংগ্রেসের (Congress) আমলের পিএমএনআরএফের সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি সদস্য ছিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক পরিবারকে তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও নয়ছয় করার সুযোগ দিয়েছে।’’  শাহ (Amit Shah) জানান, কীভাবে ইউপিএ সরকার পিএমএনআরএফের তহবিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে পাচার করেছিল। এই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান, ধর্মান্তরণ গোষ্ঠী এবং পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের সঙ্গে সংযোগের অভিযোগ রয়েছে (Congress)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা স্বচ্ছতার কথা বলেন? আপনার দল জিপ থেকে বোফোর্স থেকে ২জি—এতগুলি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। ভারতের মানুষ আপনার ইতিহাস জানেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কেন দুর্যোগ ত্রাণের সরকারি অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত একটি ফাউন্ডেশনে পাঠানো হচ্ছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা করেন শাহ। পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল বিতরণ না করার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের প্রতিনিধিদের সেই অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি সরকারের আমলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারগুলির তুলনায় রাজ্যে দুর্যোগ ত্রাণ বরাদ্দ ৩০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে (Amit Shah)। বিরোধী দলগুলির অতিরিক্ত তহবিলের দাবিকেও প্রত্যাখ্যান করে শাহ স্পষ্ট করে দেন, দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল আসল সংকট মোকাবিলার জন্য—খয়রাতির জন্য নয়। প্রসঙ্গত, এটি পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির দিকে সরাসরি ইঙ্গিত, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নাগরিকদের ত্রাণ না দেওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শাহের এই খয়রাতির অভিযোগ শোনার পরেই ওয়াকআউট করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। যদিও বলতেই থাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন (Amit Shah), “আপনাদের (TMC) ব্যাখ্যা করতে হবে কেন আপনারা আরও তহবিল চান অথচ আগে যেসব তহবিল পেয়েছেন সেগুলি বিলি করতে ব্যর্থ হন।”

    আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়?

    তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, সংশোধনীতে দুর্যোগের সংজ্ঞার অধীনে দাঙ্গাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তৃণমূলের এই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আর দাঙ্গার মধ্যে কী সম্পর্ক? এটার কারণ কি আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়, তাই?” তাঁর এই মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে, বিশেষত তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাহীনতা ও রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড় ডিসরাপশনের অনুমতি না দেওয়ায় তৃণমূলের সাংসদরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

    ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’

    সংশোধনীটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি সভাকে স্মরণ করিয়ে দেন, মোদিকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল, যা পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি (Amit Shah)। এদিন শাহ ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ এবং ইতালির মতো দেশগুলিকে দুর্যোগ ত্রাণে সহায়তা করে মানবিক সহায়তায় একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে ভারত।

    ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লোকসভায় পাস হওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিল, ২০২৪, বিরোধী দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় ভোটে পাশ হয়ে যায়। কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সংশোধনী সরাসরি খারিজ হয়ে যায়। শাহ বলেন, “যদি কোনও ভবন মেরামত না করা হয়, তা ধসে পড়বে। একইভাবে, আইনগুলিকেও আপডেট করতে হবে (Congress)। এতে আপত্তি করার কী আছে (Amit Shah)?”

  • Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ (Separatism) এখন অতীত।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিনই তিনি হুরিয়তের দুটি শাখা সংগঠনের মূল স্রোতে ফেরার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন ভূস্বর্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত।

    জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ (Amit Shah)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে কোমর বেঁধে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে যেমন উপত্যকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়া হয়, তেমনি অন্যদিকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। এই জোড়া ফলায় মেলে সাফল্য। গত ১০ বছরে উপত্যকায় নিত্য কমছে অশান্তির হার। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের দুটি শাখা সংগঠন হিংসার রাস্তা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী বলছেন শাহ

    সোশ্যাল মিডিয়া শাহ লিখেছেন, “কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন ইতিহাস। মোদিজির সবকা সাথের নীতি উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। হুরিয়তের দুই শাখা সংগঠন সমস্ত রকম বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল।” তিনি লিখেছেন, “এই দুই সংগঠনকে সমাজের মূল ধারায় স্বাগত। আমি এই ধরনের সব সংগঠনকেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ভুলে দেশের ঐক্যের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। উন্নত, শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টিরই সুফল এটা।”

    গত কয়েক দশক ধরে কাশ্মীরে ভারত বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল বিচ্ছিন্নতাাদীরা। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল হুরিয়ত। তারা কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে প্রকাশ্যেই। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর অবশ্য বদলে যায় ছবিটা। ভূস্বর্গে প্রকৃত শান্তি ফেরাতে ধরপাকড় শুরু করে কেন্দ্র (Amit Shah)। তার পরেই বেপাত্তা হয়ে যায় হুরিয়ত পন্থী নেতাদের মাথারা। এঁদের অনেকেই আবার পরে ফেরেন সমাজের মূল স্রোতে। কেবল হুরিয়ত নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আরও অনেক সংগঠনই ফিরেছে মূল ধারায়। সেই তালিকায় এবার জুড়ল হুরিয়তের দুই সংগঠনের নাম।

    গত ২১ মার্চ রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “মোদি সরকার নিষ্ঠুরভাবে জঙ্গিদের আত্মীয় যারা সরকারি চাকরি করছিলেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সহানুভূতিশীলরা দিল্লি ও শ্রীনগরের জেরে রয়েছে। আরও একটি সময় ছিল যখন জঙ্গিদের (Separatism) গৌরবান্বিত করা হত। আর নয়। আজ তারা যেখানে মারা যায়, সেখানেই সমাহিত করা হয় (Amit Shah)।”

LinkedIn
Share