Tag: shaheen bagh

shaheen bagh

  • Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে চলে এল দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে এই শাহিনবাগেই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল আন্দোলন। কয়েকশো মহিলা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ধর্নায় বসেছিলেন (Waqf Property)। রবিবার সেই শাহিনবাগেই বের হল বিশাল মিছিল। নয়া ওয়াকফ আইনের সমর্থনেই এদিন পদযাত্রায় যোগ দেন মুসলিমরা। ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহজাদ আলি ইদ্রিসি বলেন, ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের এই সমাবেশে শাহিনবাগ ও পার্শ্ববর্তী ওখলা – উভয়ই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ৭০ জনেরও বেশি মুসলিম পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।

    পদযাত্রায় মুসলিমরা (Shaheen Bagh)

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সমর্থনে সংগঠনের কর্তারা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।” ইদ্রিসি বলেন, “এতকাল ধরে স্বঘোষিত মুসলিম নেতারা, আইএমপিএলবি এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা আমাদের সম্প্রদায়ের কথাকে হাইজ্যাক করে রেখেছে। আজ শাহিনবাগ দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা প্রগতির পক্ষে, তাদের পক্ষে নয় যারা ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে বা অশান্তির সৃষ্টি করে।” তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা, যাঁদের অনেকেই একসময় একই রাস্তায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এদিনের পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কিছু মুসলিম ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, “এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও বিষয় নয়। এটি গরিব ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। ওয়াকফ লুটের মাধ্যমে যারা নিজেদের (Waqf Property) পকেট ভারী করেছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার বিষয় (Shaheen Bagh)।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায়। পরে অনুমোদনের জন্য সেটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে নানা সময় বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মীয়, সামাজিক ও দাতব্য কাজের জন্য দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Property) রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ধর্মগুরু ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যক্তিগত জমিদারিতে পরিণত হয়েছিল।

    দেশজুড়ে সমীক্ষা

    বিলটি লোকসভায় পেশ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বেরেলিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে একটি বাড়ির উল্লেখ থাকলেও, প্রকৃত পক্ষে সেখানে ছিল ২১টি দোকান, দুটি বাড়ি এবং একটি মসজিদ। হাথরাসে তহশিল রেকর্ডে ওয়াকফ সম্পত্তিকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টাকা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সালিমরাজ স্বীকার করেন, “প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ রেজিস্ট্রির পর প্রাইম ওয়াকফ সম্পত্তিতে দোকান ও শোরুম খুলেছে।” বিহারে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে (Shaheen Bagh)।

    এআইএমপিএলবির বিরুদ্ধাচরণ করার ডাক

    ভামসি ডিজিটাল পোর্টালে হাজার হাজার আনভেরিফায়েড ওয়াকফ সম্পত্তি জমা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ও শিয়া বোর্ড সহ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি দুবছর আগে জমা দেওয়া সমীক্ষায় প্রাপ্ত ডেটা যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজস্থানেই ৭০৬টি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হওয়ায় ভাজনলাল শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রাজ্যস্তরে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এদিনের পদযাত্রাটি কেবল ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হওয়ার কারণেই নয়, এটি ছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক। কারণ এই সংস্থাই সুপ্রিম কোর্টে নয়া আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে (Waqf Property)।

    কী বললেন সিদ্দিকি

    এদিন সিদ্দিকি সাফ জানিয়ে দেন, “এআইএমপিএলবির কোনও আইনি সংস্থা নয়, জনমানসে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাও নেই, অথচ তারা দাবি করে যে তারা সব মুসলমানের পক্ষে কথা বলে। আমি আগেই তাদের ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর জন্য লিখিত অনুরোধ করেছি। এখন আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তাদের অর্থনীতি, কার্যক্রম এবং মুসলমানদের ভুল পথে চালিত করার ভূমিকা তদন্তের অনুরোধ করব (Shaheen Bagh)।”

    উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি মূলত ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য গঠিত হলেও, এখন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্কারে বাধা দেওয়া, অবৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল রক্ষা করা এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার। ইদ্রিসি বলেন, “ওয়াইসি ও মাদানি পরিবার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে আছে। এই দেশের গরিব মুসলমানদের চাকরি, শিক্ষা ও নিরাপদ বাসস্থান (Waqf Property) চাই, কেবল বিক্ষোভ নয় (Shaheen Bagh)।”

  • HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) যে আন্দোলন হয়েছিল তা কোনও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল না। ছিল সংগঠিত। নিরপেক্ষ আন্দোলনও ছিল না। তার নেপথ্যে ছিল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টকে (Delhi High Court) পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) ও সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে একথাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগ এবং স্থানীয় লোকজনও ওই আন্দোলন সমর্থন করেননি। পুলিশ এও জানিয়েছে, প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে বিভিন্ন এলাকায় লোকজনও পাঠানো হয়েছিল।

    নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে এই আশঙ্কায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ এলাকা। ওই মামলায় নাম জড়ায় দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খলিদের। ওই মামলায় আপাতত বন্দি রয়েছেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে। উমরের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে পুলিশ আদালতে বেশ কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন হাইকোর্টকে একথা জানায় দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রজনীশ ভাটনগরের বেঞ্চে চলছে ওই মামলার শুনানি। এদিন সেখানেই স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ বলেন, শাহিনবাগে যা হয়েছিল, তাকে সংগঠিত প্রতিবাদী আন্দোলন হিসেবে দেখানো হয়েছিল। তবে এটা তা ছিল না। এটা এমন পরিস্থিতি ছিল না, যখন আচমকাই লোকজন শাহিনবাগে চলে আসে…এই প্রতিবাদী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগের অন্যতম প্রতিবাদী দাদিও ছিলেন না এর পিছনে। শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিলে বিভিন্ন মানুষ এবং সংগঠনের অ্যালায়েন্স। শাহিনবাগের আন্দোলন কোনও নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল না।

    স্পেশাল প্রসিকিউটর এদিন আদালতে চ্যাট মেসেজ দেখান। আন্দোলন চলাকালীন ওই মেসেজ চালাচালি হয়েছিল। এর মধ্যে অভিযুক্তরাও রয়েছে। তারাই খেপিয়েছিল জনতাকে। জড়ো করেছিল লোকজনকে। তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। তিনি জানান, শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। মূল চক্রীরা দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দুই ছিল। একটি দৃশ্যমান উপকরণ হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ অগাস্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share