Tag: Shanghai Cooperation Organisation

Shanghai Cooperation Organisation

  • India-China Relation: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি’, ওয়াংকে বার্তা মোদির

    India-China Relation: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি’, ওয়াংকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে নয়া দিল্লি ও বেজিং (India-China Relation)। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Chinese Foreign Minister Wang Yi) মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। সেখানে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে বলে খবর। পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্ক ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওয়াং ই-ও একই অভিমত ব্যক্ত করেন।

    ভারত ও চিনের সম্পর্কের ‘উন্নতি’তে বড় পদক্ষেপ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত-বিরোধ (India-China Relation) মেটাতে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধান খোঁজা হবে। সেই লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে। তারা সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে। কীভাবে দুই দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটানো যায়, সেটা নিয়ে পরামর্শ দেবে ওই কমিটি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কাজান সম্মেলনে যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল, তা বর্তমানে বাস্তবায়নের পথে। ২৩তম আলোচনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। এবার ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠকে সীমান্তে শান্তি রক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালের সীমান্ত চুক্তির ভিত্তিতেই ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের খসড়া তৈরি হবে।

    সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু

    ভারতের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশ (India-China Relation) খুব শীঘ্রই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করবে। তিন বছর পর ভারতে সফরে এসেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গালওয়ান সংঘর্ষ-পরবর্তী বরফ গলতে শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। আগামী সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদিক হাতে তুলে দেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মোদি। মনে করা হচ্ছে, এই দ্বিপাক্ষিক সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন দিশা দেখাবে।

    কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    ভারত-চিন (India-China Relation) বৈঠকে ঠিক হয়, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার পরিধি বাড়ানো হবে। যার ফলে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রীদের আর ঘুরপথে তীর্থক্ষেত্রে যেতে হবে না। আরও বেশি ভারতীয় তীর্থযাত্রী সহজে কৈলাসের পাদদেশে যেতে পারবেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সীমান্ত বাণিজ্যও ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লিপুলেখ পাস, শিপকিলা এবং নাথুলা, এই তিনটি নির্দিষ্ট রুট দিয়ে আবারও সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হবে। উল্লেখ্য, লিপুলেখ পাস, শিপকি লা এবং নাথুলা দিয়ে মশলা, বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকে শুরু করে কার্পেট, পশম, ভেষজ উদ্ভিদ-সহ বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্য হয়। লেনদেন হয় প্রায় কয়েক লক্ষ ডলারের।

    সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার উপর জোর

    মঙ্গলবার দু’দিনের ভারত (India-China Relation) সফরের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে মোদির বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি গুরুত্ব দিয়েছেন, সীমান্ত সমস্যার ‘ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত এবং পারস্পরিক ভাবে গ্রহণযোগ্য’ সমাধানের প্রতি। ওয়াংকে বলেছেন, ভারত প্রতিশ্রুতি পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন শুল্কযুদ্ধের আবহে মোদি-ওয়াংয়ের এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। ভারত সফরে এসে সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ওয়াং। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

    মোদির বার্তা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা

    করোনা আবহে ২০২০ সালে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারত (India-China Relation)। এর মধ্যে লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধই ছিল। শুধু তাই নয়, ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও অবনতি হয়। তবে গত এক বছরে বদলেছে সম্পর্কের সমীকরণ। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক সম্পর্কে বলেন,“ওয়াং ইয়ের সাথে দেখা করতে পেরে আনন্দিত। গত বছর কাজানে রাষ্ট্রপতি শি (জিনপিং) এর সাথে আমার সাক্ষাতের পর থেকে, ভারত-চিন সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধার দ্বারা পরিচালিত হয়ে স্থিতিশীল অগ্রগতি অর্জন করেছে। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিয়ানজিনে আমাদের পরবর্তী বৈঠকের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতিশীল, ভাবা যায় এমন, গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।”

  • Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই!  চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চিনের বিদেশমন্ত্রী (Chinese State Councillor and Foreign Minister)  ওয়াং ই (Wang Yi) এর মুখোমুখি বসবেন  বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (External Affiars Minister S Jaishankar)? সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organisation) বা SCO-র বৈঠকে তাঁদের একসঙ্গে কথা বলতে দেখা যাবে  কি না তা নিয়েই এখন গুঞ্জন চলছে কূটনৈতিক মহলে। চলতি মাসের শেষেই উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) রাজধানী তাসখন্দে (Tashkent) হবে SCO-র বৈঠক। কেন্দ্রীয় আধিকারিক সূত্রে খবর, সেখানে আলাদা করে ওয়াং ই এবং জশঙ্করের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। চলতি মাসের ২৭-২৮ তারিখ নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত

    এর আগে বালিতে জি-২০ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন চলাকালীন এক পার্শ্ববৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বকেয়া বিষয়গুলি মেটাতে সওয়াল করে ভারত। এবারও দু-দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে আসতে পারে পূর্ব লাদাখ থেকে অবিলম্বে সেনা সরানোর দাবি। এ বিষয়ে বারবার চিনকে সতর্ক করেছে ভারত। এ-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত হওয়া উচিত ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’, ‘পারস্পরিক সংবেদনশীলতা’ এবং ‘পারস্পরিক স্বার্থ’। আবারও সেই দাবিই রাখা হবে। ভারত মনে করে, সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে দু’দেশেরই উচিত, সম্পূর্ণ সেনা সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে উদ্যম ধরে রাখা। দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকল এবং সীমান্ত চুক্তিগুলি মান্য করার উপরে বরাবরই জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। 

    আরও পড়ুন: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    চলতি বছরের ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর, উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরখন্দে (Samarkhand) পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেবেন SCO ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনায়করা। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে মুখোমুখি হবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত-সমস্যার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনায়কের সাক্ষাত হবে। তারই পথ প্রশস্ত করবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

LinkedIn
Share