Tag: Share Market

Share Market

  • Rakesh Jhunjhunwala: ৬০০ টাকা দিয়ে ইস্ত্রি করানো জামাও কুঁচকে গিয়েছে…আক্ষেপ ভারতের বিগ বুল রাকেশের

    Rakesh Jhunjhunwala: ৬০০ টাকা দিয়ে ইস্ত্রি করানো জামাও কুঁচকে গিয়েছে…আক্ষেপ ভারতের বিগ বুল রাকেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছশো টাকা দিয়ে ইস্ত্রি করিয়েছেন জামা। তাও কুঁচকে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে ভারতের (India) ওয়ারেন বাফেট (Warren Buffett) রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার (Rakesh Jhunjhunwala) যে ছবি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, তা নিয়েই এক সময় প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতীয় শেয়ার মার্কেটের (Share Market) এই বিগ বুলকে (Big Bull)। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, ছশো টাকা দিয়ে জামা ইস্ত্রি করালেও জামার এই হাল।

    সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছে রাকেশ। ১৯৮৫ সালে মাত্র ৫ হাজার টাকা নিয়ে শেয়ার মার্কেটে এসেছিলেন। তার পর ক্রমেই পরিণত হয়েছিলেন ভারতীয় শেয়ার বাজারের ‘বিগ বুলে’। কিছু দিন আগেই আকাশে ডানা মেলে তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় আকাশা এয়ারলাইন্সের বিমান। শেয়ার বাজারের লভ্যাংশ রাকেশ বিনিয়োগ করেছিলেন একাধিক শিল্প ও বাণিজ্যে। ফোবর্স ম্যাগাজিনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে রাকেশের সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে ৫০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অ্যাপটেক লিমিটেড ও হাঙ্গামা ডিজিটাল মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন রাকেশ। ছিলেন একাধিক সংস্থার ডিরেক্টরও।

    আরও পড়ুন : প্রয়াত শেয়ার বাজারের ‘বিগ বুল’ রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা

    এহেন রাকেশ যাপন করতেন অতি সাধারণ জীবন। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। তখনই তাঁর কুঁচকানো জমার ছবি ভাইরাল হয়। তাঁকে প্রশ্ন করতেই জানা যায়, অতি সাধারণ জীবন যাপন করতেন রাকেশ। রাকেশ জানিয়েছিলেন, অফিসে কোনও খদ্দের কিংবা ক্লায়েন্ট না থাকলে  তিনি শর্টস পরেও অফিস যেতেন। নিতান্তই সাদামাটা জীবন যাপন করতেন তাঁর স্ত্রী রেখা ঝুনঝুনওয়ালাও। তিনিও যে প্রচুর সম্পত্তির মালিক, তা নিয়ে ভাবতেন না রেখা। রাকেশ বলেন, আগে যে হুইস্কি আমরা খেতাম, এখনও তাই খাই। আগের মতোই একই গাড়ি চালাই। একই খাবার খাই। ভারতের ‘ওয়ারেন বাফেট’ বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। আমি যদি তাজ মনসিং হোটেলেও থাকি, তাহলেও জিজ্ঞেস করি সস্তার ব্রেকফাস্টটা কী আছে?

    রাকেশের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা অদম্য। জীবনীশক্তিতে ভরপুর। রসিক, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। অর্থনৈতিক বিশ্বে তিনি তাঁর বিপুল অবদান রেখে গেলেন। ভারতের অগ্রগতি নিয়ে তিনি সব সময় ভাবতেন। তাঁর প্রয়াণ দুঃখের। রাকেশের শোকস্তব্ধ পরিবারকে সমবেদনাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ, কী হবে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার স্টকের?

     

  • Mutual Fund Investment: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাইছেন? দেখতে পারেন এই পাঁচ স্কিম 

    Mutual Fund Investment: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাইছেন? দেখতে পারেন এই পাঁচ স্কিম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে মুদ্রাস্ফীতি। মন্দার মুখ দেখছে শেয়ার বাজারও। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) বিনিয়োগ (Investment) করতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ইক্যুইটি-ভিত্তিক স্কিমগুলোতে এমনটা হচ্ছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।  

    মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে রোজগার হিসেবে না দেখে, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিশ্চয়তা হিসেবে দেখা উচিত। ঠিকঠাক জায়গায় বিনিয়োগ করলে লাভের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। বিনিয়োগের সময় শেয়ার বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদ বা দীর্ঘ মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ যারা করতে চাইছেন, এটাই তাঁদের বিনিয়োগ করার সঠিক সময়। বাজারের অবস্থা যখন খারাপ থাকে, তখন বিনিয়গ করলে রিটার্নের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। 

    এমন কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্কিম রয়েছে, যেখানে ঝুঁকি কম, কিন্তু লাভ বেশি।

    আরও পড়ুন: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    কানাড়া রোবেকো ব্লুচিপ ইক্যুইটি ফান্ড: এই স্কিমটি পুঁজির বাজারে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। যারা কম ঝুঁকিতে, বেশি লাভের মুখ দেখতে যান তাঁদের জন্যে আদর্শ। এটি লার্জ-ক্যাপ স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করার একটি ভাল বিকল্প। এই স্কিমটি ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে নিফটি ৫০ -কে ছাড়িয়ে গিয়েছে। 

    মিরাই অ্যাসেট ইমার্জিং ব্লুচিপ: এই স্কিমে এখনও কোনও দীর্ঘ মেয়াদী ফল দেখা যায়নি। কিন্তু ফান্ড ম্যানেজার নীলেশ সুরানার অভিজ্ঞতা এবং ব্র্যান্ডের সুনামের ওপর ভরসা করে টাকা রাখতেই পারেন। ফান্ডটি লার্জ ক্যাপ স্টকগুলিতে ৪৬.৮%, মিড ক্যাপ স্টকগুলিতে ২৫.৭৬% এবং স্মল ক্যাপ স্টকগুলিতে ৮.২৫% বিনিয়োগ করেছে৷ ৩ বছর এবং ৫ বছর মেয়াদে, এই স্কিমটি নিফটি ৫০- কে ব্যাপক ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    কুয়ান্ট অ্যাক্টিভ ফান্ড: যারা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন, এই মাল্টি-ক্যাপ ফান্ড তাঁদের জন্যে । ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে যেখানে নিফটি ৫০- ৩১.২০% এবং ৬২.৪০% রিটার্ন দিয়েছে, সেখানে এই ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা যথাক্রমে ৯৫.৩৯% এবং ১৩৫.৬৫% রিটার্ন পেয়েছেন।   

    আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল ইক্যুইটি এন্ড ডেট ফান্ড: যারা মাঝারি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্যে এই স্কিম আদর্শ। অতীতের ভালো রেকর্ড এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফান্ড ম্যানেজার থাকায় আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল বিনিয়োগের জন্যে ভালো বিকল্প। ১ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে, এই স্কিমটি নিফটি ৫০- কে অনেক ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে।  

    কোটাক ডেট হাইব্রিড ফান্ড: যারা ঝুঁকি নিতে একদম পছন্দ করেন না কোটাকের এই স্কিমটি তাঁদের জন্যে বিনিয়োগের ভালো বিকল্প। বহুদিন ধরেই কোটাকের শেয়ার বাজারে পারফর্ম্যান্স ভালো। তাই এখানে বিনিয়োগে ঝুঁকিও কম। ঝুঁকি কম হওয়া সত্ত্বেও ভালো রিটার্ন দেওয়ার রেকর্ড আছে এই স্কিমের। 

     

     

     

  • Rakesh Jhunjhunwala: প্রয়াত শেয়ার বাজারের ‘বিগ বুল’ রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা

    Rakesh Jhunjhunwala: প্রয়াত শেয়ার বাজারের ‘বিগ বুল’ রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত শেয়ার বাজারের ‘বিগ বুল’ (Big Bull) রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা (Rakesh Jhunjhunwala)। রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় ‘ভারতের নিজের ওয়ারেন বাফেটে’র (India’s own Warren Buffet)। বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। এদিন আচমকা ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তাঁকে নিয়ে আসা হয় মুম্বইয়ের (Mumbai) ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে পরিবারের তরফে এখনও কিছু বলা হয়নি। জানা গিয়েছে, গত মাসেই একবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রাকেশ। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি আকাশা এয়ারলাইন্সের উদ্বোধনের সময়ও হুইলচেয়ারে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর।

    ১৯৮৫ সালে মাত্র ৫ হাজার টাকা নিয়ে শেয়ার মার্কেটে (Share Market) এসেছিলেন রাকেশ। তার পর ক্রমে ক্রমে পরিণত হয়েছিলেন ভারতীয় শেয়ার বাজারের বিগ বুলে। বলা হয়, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে কখনওই ভুল করতেন না তিনি। দিন কয়েক আগে একটি জুতো প্রস্তুতকারী সংস্থার শেয়ার কিনেছিলেন রাকেশ। কয়েক দিনের মধ্যে সেটিও পৌঁছে গিয়েছিল সর্বোচ্চ দরে। তিনি একদিনে লাভ করেন ২২১ কোটি টাকা। কিছু দিন আগেই আকাশে ডানা মেলে তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় আকাশা এয়ারলাইন্সের বিমান। যে অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছিল হুইলচেয়ারে বসে থাকতে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    শেয়ার বাজারের লভ্যাংশ রাকেশ বিনিয়োগ করেছিলেন একাধিক শিল্প ও বাণিজ্যে। ফোবর্স ম্যাগাজিনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে রাকেশের সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে ৫০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অ্যাপটেক লিমিটেড ও হাঙ্গামা ডিজিটাল মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন রাকেশ। ছিলেন একাধিক সংস্থার ডিরেক্টরও।

    ১৯৬০ সালের ৫ জুলাই হায়দরাবাদের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাকেশ। কলেজে পড়াশোনা করার সময়ই বিনিয়োগ করতে শুরু করেন শেয়ার বাজারে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, বাবার কথা শুনে ও তাঁরই অনুপ্রেরণায় দালাল স্ট্রিটে পা রেখেছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে টাটা টি-র পাঁচ হাজার শেয়ার কিনেছিলেন মাত্র ৪৩ টাকা দিয়ে। তিন মাসের মধ্যেই সেই শেয়ারের দাম পৌঁছে গিয়েছিল ১৪৩ টাকায়। এর পরেই শেয়ার বাজারে ক্রমেই বাড়তে থাকে বিনিয়োগের পরিমাণ। পরর্বতী তিন বছরে শেয়ার বাজার থেকে তিনি আয় করেন ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। তার পর থেকে শেয়ার বাজার থেকে তাঁর আয়ের লেখচিত্র হয়েছে ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

LinkedIn
Share