Tag: Shehbaz Sharif

Shehbaz Sharif

  • India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি (India Pakistan Tension) উত্থাপন করে নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শনিবার তার জবাব দিল ভারত (UN Meet)। রাষ্ট্রসংঘে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিল, ইসলামাবাদের মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়। তারা অযথা ভারতের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা বন্ধ করুক। কারণ পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদই এই চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের হিমবাহ বিষয়ক এক সম্মেলনের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন। তার জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান নিজেই। আমরা অবাক হয়েছি পাকিস্তানের এই চেষ্টায়, যেখানে তারা এই ফোরামকে অপব্যবহার করে এমন বিষয় উত্থাপন করেছে যেগুলি এই ফোরামের আওতার মধ্যে পড়ে না। আমরা এই ধরনের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করি।”

    ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত (India Pakistan Tension)

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদেকে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও সাহায্য করার অভিযোগ করে আসছে। হিমবাহ সংরক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুক্রবার এই সিদ্ধান্তকে জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং ইন্দাস নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তিকে একতরফাভাবে ও অবৈধভাবে স্থগিত রাখার ভারতের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক (India Pakistan Tension)। তিনি বলেন, “কোটি কোটি মানুষের জীবনকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য জল বন্ধ করে রাখা উচিত নয় এবং পাকিস্তান তা কখনওই তা হতে দেবে না।”

    কী বললেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী?

    এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “ইন্দাস জলচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পরিস্থিতির মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে, যা এই চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলোর পুনর্মূল্যায়নকে জরুরি করে তোলে – এটি এমন একটি সত্য যা অস্বীকারযোগ্য নয়। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং চলমান সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদের হুমকি। তিনি বলেন, “তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অবিরাম সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদ এই চুক্তির বিধান অনুযায়ী একে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করছে। পাকিস্তান নিজেই এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তাই ভারতের ওপর এর দোষ চাপানো থেকে বিরত থাকা উচিত।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই ফোরামকে অপব্যবহার করার এবং এমন বিষয় উত্থাপন করার প্রচেষ্টায় আমরা স্তম্ভিত, যেগুলি এই ফোরামের আওতাভুক্ত (UN Meet) নয়। আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই (India Pakistan Tension)।”

  • Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ব্রহ্মোস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। নিজে মুখেই এবার একথা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শরিফ বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১০ মে ফজরের নামাজের পর ভারতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। তবে, ভোরের আগেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে দূরপাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইল (India-Pakistan Conflict)  বর্ষণ করা হয়েছিল। ভোরে আক্রমণের কথা মুনির আমাকে জানিয়েছিলেন।’’

    শেহবাজের ব্রহ্মোস স্বীকারোক্তি

    পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে এখনও। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতীয় সেনা সরাসরি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে উত্তররপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগেই দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ব্রহ্মোস ব্যবহার করে পাক সামরিক ঠিকানায় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। তবে ব্রহ্মসের নাম না করলেও ১০ জুন সকালে পাক সেনা জানিয়েছিল, সে দেশের রাজধানী রাওয়ালপিন্ডি এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এবার ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতপর্বে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া দেশ আজরবাইজানে গিয়ে শেহবাজ বলেন, ‘‘আমাদের বিমানঘাঁটি নিশানা করে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মস ছুড়েছিল ভারত। আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। পাকিস্তানের বহু প্রদেশেই আক্রমণ করে। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমান বন্দরও।’’

    নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস 

    সামরিক কৌশলগত দৃষ্টিতে তিনটি অবস্থান ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছিলেন পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি। এ প্রসঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, শোরকোটের রফিকি এবং চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটির নাম করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, হামলায় পাক বিমানবহরের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও ১৫ মে পাক বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল মাসুদ আখতার জানিয়েছিলেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ মে গভীর রাতে ইসলামাবাদের ভালোরী বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের একটি ‘এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (অ্যাওয়াক্স) সম্বলিত বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শেহবাজ (Shehbaz Sharif) অবশ্য সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও বিমানঘাঁটির নাম করেননি। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-পরবর্তী সংঘাতপর্বের সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ জানিয়েছিল, পাক বায়ুসেনার রসদ সরবরাহের প্রাণকেন্দ্র নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস।

    ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে যায় পাকিস্তান

    পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের পরই সংঘর্ষবিরতির জন্য দিল্লিকে ফোন করে ইসলামাবাদ। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাব যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল। কারণ, ততক্ষণে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছিল। যদিও এরপর সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে।

    পাকিস্তান ভাবার আগেই পদক্ষেপ ভারতের

    কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারত আঘাত হানে বলে দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তাঁর দাবি, দেশের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে ভারত। ছোড়া হয় ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র। রাওয়ালপিণ্ডি বিমানবন্দরেও ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন তিনি। ভারতের দেখাদেখি সংঘাত পর্ব নিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে পাকিস্তানও। নিজে আজেরবাইজান পৌঁছে গিয়েছেন শেহবাজ। সেখানে সহযোগী দেশগুলির সামনে বক্তৃতা করেন তিনি। জানান, সকালের নমাজ শেষ হলে ১০ মে ভারতের (India-Pakistan Conflict) উপর আঘাত হানার পরিকল্পনা ছিল আসিম মুনির নেতৃত্বাধীন পাক সেনার। কিন্তু তার আগে, ৯-১০ মে ভোর-রাতে ভারতের তরফ থেকে আঘাত নেমে আসে। পাক সেনা প্রতিক্রিয়ার সময় পায়নি বলেও স্বীকার করে নেন শেহবাজ। জানান, বুঝে ওঠার আগেই বিপর্যয় ঘটে যায়।

    কেন ব্রহ্মোস-হামলা

    প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারত যে ১১টি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল, তার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি ছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিতে লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস এবং ইলিউশিন ইল-৭৮ রিফুয়েলারের মতো সামরিক বিমান ছিল। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে কমপক্ষে দুটি সামরিক বিমানের ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নূর খান ছাড়াও ভারত রফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার বিমান ঘাঁটিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানার জন্য সুখোই ৩০ এম কেআই জেট থেকে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস মিসাইল ছোড়ে ভারত।

  • Iran: পাত্তা দিল না ইরান! সব সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চান শেহবাজ

    Iran: পাত্তা দিল না ইরান! সব সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চান শেহবাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ, জলবণ্টন, বাণিজ্য-সহ দ্বিপাক্ষিক সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত পাকিস্তান। সোমবার ইরান (Iran) সফরে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। চাপের মুখে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারত বিরোধিতা করে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সাহায্য পাওয়ার আশায় ইরান সফরে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে পাত্তা পাননি তিনি। তাই ফের একবার ভারতের সঙ্গে সমঝোতার কথা বললেন শাহবাজ।

    ভারতের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের জঙ্গি ডেরায় ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তার প্রতিক্রিয়ায় সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছে দুই দেশ। এই আবহে চারটি ‘বন্ধু’ দেশে সফর করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। রবিবার তিনি গিয়েছিলেন তুরস্কে। সেখানকার প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্দোগানের সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁর। এর পরে ইরানের গিয়ে সোমবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজসকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলি খামেনির সঙ্গেও বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তেহরানে, ওই বৈঠক করার পরেই শেহবাজ শরিফ জানান, তাঁরা ভারতের সঙ্গে থাকা সব সমস্যার সমাধান করতে চান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আমরা উন্মুখ। আমরা আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা এবং জল সমস্যা-সহ সকল বিরোধের সমাধান করতে চাই। বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে আমাদের প্রতিবেশীর (ভারতের) সঙ্গে কথা বলতেও আমরা প্রস্তুত।’’

    সন্ত্রাস বন্ধ ছাড়া কথা নয়

    ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে কী শর্তে কথা হতে পারে তা জানিয়ে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা কেবলমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রত্যাবর্তন এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতেই হতে পারে। এ প্রসঙ্গে শাহবাজ শরিফ বলেন, “যদি ভারত শান্তির পথ বেছে নেয়, তাহলে আমরা আন্তরিকতা ও দায়িত্বের সঙ্গে শান্তির বার্তা দেব। কিন্তু যদি তারা আগ্রাসনের পথে থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করব, যেমন কিছুদিন আগেও করেছি।” ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি, এই নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি সমাজ মাধ্যমে শুধু লেখেন, ইরান আশা করে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের সমাধান হবে। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে বিরোধের অবসানে ইরান আনন্দিত।

  • Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ ও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি পাঠিয়ে ২৬টি নিরীহ প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পুরস্কার! না কি পাকিস্তানে (Pakistan) ফের গণতন্ত্রের অবসান! অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান আবারও সামরিক শাসনের পথে? সেনাপ্রধান থেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হলেন আসিম মুনির (Asim Munir)। প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক আয়ুব খানের পর পাক সেনার দ্বিতীয় অফিসার হিসেবে মুনির ‘পাঁচ তারা জেনারেল’ পদ পেলেন। এই পদোন্নতি মূলত প্রতীকী। তবুও মুনিরকে এই পদে বসানোয় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা পাক মুলুকে অতীত সামরিক শাসনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের ভঙ্গুর গণতন্ত্রে সেনাবাহিনীর আধিপত্য আরও সুদৃঢ় করতে পারে।

    কেন এই পদে মুনির

    মঙ্গলবার পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে (Asim Munir) ফিল্ড মর্শাল পদে বসালেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ। বস্তুত, ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হওয়ায় জল, স্থল এবং নৌ-তিন সেনারই নিয়ন্ত্রণ চলে এল মুনিরের হাতে। এমনিতে মুনির শাহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ। ইমরান খানকে সরিয়ে শাহবাজ শরিফকে পাক প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসানোর নেপথ্যেও এই মুনিরের হাত রয়েছে বলে শোনা যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সফলভাবে’ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুনিরের পদোন্নতি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে সেনাপ্রধান হিসাবে তাঁর ‘অনুকরণীয় ভূমিকা’ পালনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিফ মন্ত্রিসভা। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে জয়ের দাবি করলেও, ভারত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে প্রমাণ-সহ ইসলামাবাদের মিথ্যাচার ফাঁস করেছে।

    ইতিহাসের ছায়া, আয়ুব খান ও সামরিক শাসনের শুরু

    ১৯৫৯ সালে যখন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল ঘোষণা করেন, তখন পাকিস্তান প্রবেশ করেছিল সামরিক শাসনের এক নতুন অধ্যায়ে। মাত্র এক দশকেই দেশটির সাতজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, কেউই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ১৯৫৮ সালে রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা সংসদ ভেঙে মার্শাল ল’ ঘোষণা করেন এবং আয়ুব খানকে চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিযুক্ত করেন। কিন্তু খুব অল্প সময়েই আয়ুব খান তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। আয়ুবের ‘ফিল্ড মার্শাল’ উপাধি গ্রহণ ছিল কৌশলগত—তিনি চেয়েছিলেন সামরিক ও অসামরিক উভয় নেতৃত্বের ঊর্ধ্বে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে। তাঁর শাসনকাল (১৯৫৮-১৯৬৯) ছিল কঠোর নিয়ন্ত্রণ, গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ এবং একটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।

    বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসিম মুনির ও আঞ্চলিক উত্তেজনা

    ২০২৫ সালে আসিম মুনিরের (Asim Munir) এই পদোন্নতি এসেছে এক জটিল পরিস্থিতিতে। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি শেষ করার জন্য ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ভারত তাদের বিমান ঘাঁটি ও সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালায়। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বিরোধী পাক জেনারেল মুনির, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সহানুভূতি দেখান। তিনি সম্প্রতি ‘দুই জাতি তত্ত্ব’ উল্লেখ করে ভারতের প্রতি কড়া বার্তা দেন। ফিল্ড মার্শালের পদ, যদিও এখন আর কার্যকরী সেনা পদ নয়, তবে এর প্রতীকী ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। অনেকেই বলছেন, এটি সেনাবাহিনীর আরও কর্তৃত্ব প্রদর্শনের সংকেত। যা পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।

    বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা

    পহেলগাঁও হামলার পরই অবশ্য বিভিন্নভাবে মুনিরের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ৯ মে সেনাপ্রধানের হাত শক্ত করতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার থেকে সেনা আদালতে সাধারণ নাগরিকদের মামলারও শুনানি করা যাবে। যার অর্থ, দেশের বিচারব্যবস্থা এবং সামরিক শক্তি পুরোটাই এখন মুনিরের হাতে।

    রাজনৈতিক ও প্রতীকী তাৎপর্য

    পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর প্রভাবাধীন। পাক সরকার, বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রায়শই সামরিক চাপের মুখে পড়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে মুনিরের পদোন্নতি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “এটা একটি বিপজ্জনক বার্তা। ‘ফিল্ড মার্শাল’ কেবল একটি পদ নয়—এটা অবারিত ক্ষমতার প্রতীক। পাকিস্তান আরেকটি স্বৈরাচারী অধ্যায় সহ্য করতে পারবে না।” পহেলগাঁও হামলার পর শুরু হওয়া সংঘর্ষ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মুনিরের পদোন্নতি ও তাঁর কট্টর অবস্থান এই উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। জেনারেল আসিম মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদোন্নতি পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। আয়ুব খানের মতো, তাঁর পদোন্নতি এমন এক সময় এসেছে যখন দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সংকটে রয়েছে।

  • Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

    Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে ডাকা হয়েছিল। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিস (PMO) জানিয়েছে, করাচিতে আহত দুই চিনা নাগরিকের সুস্থতা কামনা করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তাই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে গিয়েছিলেন। তবে, সাধারণত কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের দূতাবাসে যান না।  কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে সে দেশে নিযুক্ত অন্য দেশের দূতাবাস থেকে! এটা সত্যই বিস্ময়ের! সব জায়গায়, রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সরকার, এখানে উলটপূরাণ। সরকারকে কার্যত তলব করছে দূতাবাস। চিন যে পাকিস্তানকে কব্জা করে ফেলেছে, এটা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    পাকিস্তান কি চিনের উপনিবেশ!

    চলতি বছর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বুধবার (৬ নভেম্বর) চিনা দূতাবাসে যান। করাচির সাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় চিনা নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়ে তাদের আহত করা হয়। চিনা নাগরিক ওয়াং জিং ঝং, ঝেং লুয়েন, ঝোউ বাওলিন এবং ওয়েই সিক্সিয়ান করাচির লিবার্টি মিলসের কাছে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে গিয়েছিলেন। চিনা নাগরিকরা প্রতিদিন একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাঁদের সুরক্ষা দিত একটি বেসরকারী সংস্থা এবং সিন্ধ পুলিশ স্পেশাল প্রোটেকশন ইউনিট (SPU)। এই ঘটনার পরই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে যান। 

    আরও পড়ুন: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    পাকভূমে চিনের সেনা

    চিনা রাষ্ট্রদূত জিয়াং জেইডংকে শাহবাজ বলেন, “আমি এখানে চিনা নাগরিকদের ওপর আক্রমণের নিন্দা জানাতে এবং আহতদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে এসেছি। আমি নিজে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া তদারকি করছি এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব।” পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, চিন হচ্ছে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু। তাই কুশল জানতেই তাঁর যাওয়া। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পাকিস্তান চিনের একটি উপনিবেশের মতো হয়ে উঠেছে, যেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীকে সময়ে সময়ে ডেকে চিন তাদের অভাব-অভিযোগ জানায়। অনুমান, পাক-ভূমে চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান ব্যর্থ হওয়ায়, চিন এখন নিজের সশস্ত্র বাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর কথা ভাবছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: নৈশভোজে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ জয়শঙ্করের, বরফ গলল কি?

    S Jaishankar: নৈশভোজে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ জয়শঙ্করের, বরফ গলল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক বিধি মেনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সঙ্গে দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ৯ বছর পর ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পা রেখেছেন জয়শঙ্কর। শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সংক্ষেপে এসসিও)-র (SCO Meet) বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।

    শুধুই করমর্দন

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদে শরিফের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এসসিও সম্মেলনের জন্য আসা অতিথিদের জন্য এই নৈশভোজের আয়োজন করেছিল ইসলামাবাদ। সেখানেই দু’জনের সৌজন্য-সাক্ষাৎ হয়। করমর্দন, সৌহার্দ্য বিনিময়। ২০ সেকেন্ডেরও কম এই সাক্ষাতে দুই দেশের তফাত ছিল স্পষ্ট। ২০১৫-১৬ সালে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতের সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানোর চেষ্টার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক প্রতিবেশী দেশের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায় ভারত। কিন্তু, সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে তা সম্ভব নয়।

    কেন নয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    ইসলামাবাদ যাওয়ার আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তিনি পাকিস্তানে যাচ্ছেন শুধুমাত্র এসসিও সম্মেলনে (SCO Meet) যোগ দিতে। সেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জম্মু-কাশ্মীরে ভোট প্রচারে একাধিকবার বলেছেন, সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, ‘‘ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের থেকে কোনও পার্শ্ববৈঠকের অনুরোধ পাইনি। আমরাও এই মর্মে কোনও আবেদন করিনি। তবে প্রোটোকল অনুযায়ী সব দেশের নেতাদের মতোই ভারতের বিদেশমন্ত্রীকেও (S Jaishankar) স্বাগত জানানো হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    S Jaishankar: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সামিটে (SCO Summit) যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবারই ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা তাঁর। এ মাসেরই ১৫ ও ১৬ তারিখে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলন। এই সম্মেলনে যেসব আঞ্চলিক দেশের শীর্ষনেতারা যোগ দেবেন, তাঁরা হলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসটিন এবং জয়শঙ্কর।

    নৈশভোজের আয়োজন (S Jaishankar)

    সম্মেলনের আগে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই ওয়েলকাম ডিনারে যোগ দিতে পারেন জয়শঙ্কর। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর ওয়েলকাম ডিনারে যোগ দিলেও, ভারত-পাক প্রতিনিধিদের পার্শ্ববৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছিল দুই দেশেরই বিদেশমন্ত্রক। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, জয়শঙ্কর একটি প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) নিজেও তাঁর সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। প্রায় একই ধরনের বক্তব্য শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের গলাতেও।

    এসসিও-র সদস্য দেশ

    ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও চিন, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই এসসিও-র সদস্য। এই দেশগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আয়োজন করে শীর্ষ বৈঠকের। প্রথা মাফিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আমন্ত্রণ জানান এসসিও-র সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানকেই। অগাস্ট মাসে আমন্ত্রণ আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি আদৌ পাকিস্তানে যাবেন? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পরে ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় সম্মলেন যোগ দিতে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে পাক প্রতিনিধির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেবেন না।

    আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে বাবা সিদ্দিকি খুনে ফের আলোচনায় বলিউড-আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের চার প্রতিনিধির একটি দল। কিরঘিজস্তানেরও চার প্রতিনিধি দলও চলে এসেছে। চিনা প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১৫ জন সদস্য। ইরানের দুই প্রতিনিধিও পৌঁছে গিয়েছে ইসলামাবাদে। প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী হিসেবে এটাই জয়শঙ্করের প্রথম পাকিস্তান সফর। এর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক (SCO Summit) নানা মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদকে তুলোধনা করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সফর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shehbaz Sharif: পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট, প্রধানমন্ত্রী পদে শেহবাজ, রাষ্ট্রপতি জারদারি

    Shehbaz Sharif: পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট, প্রধানমন্ত্রী পদে শেহবাজ, রাষ্ট্রপতি জারদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে পেন্ডুলামের খেলা অব্যাহত। ফের একবার ক্ষমতা দখলের ইঁদুর-দৌড়ে এগিয়ে গেল নওয়াজ শরিফ ও বিলাবল ভুট্টো জারদারির জোট।মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করেন বিলাবল ভুট্টো, তখনই একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে যায় যে পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট সরকারই। পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। রাষ্ট্রপতি হবেন বিলাবলের বাবা আসিফ আলি জারদারি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, জোট সরকারের ক্ষমতায় আসা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়তে চলেছে বিলাবল ও জারদারির পিপিপি। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিই ফের একবার পাকিস্তানের মসনদে।

    কী বললেন বিলাবল?

    মঙ্গলবার রাতে বিলাবলের সাংবাদিক বৈঠকে এক পাশে ছিলেন নওয়াজের ভাই শেহবাজ (Shehbaz Sharif) এবং অন্য পাশে বাবা আসিফ জারদারি। ওই বৈঠকেই পিএমএল-এনকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন পিপিপি-র চেয়ারম্যান বিলাবল। সেখানেই ঘোষণা করা হয়, প্রধানমন্ত্রী হবেন শেহবাজ শরিফ আর রাষ্ট্রপতি আসিফ জারদারি। শেহবাজের (Shehbaz Sharif) দল, আসিফ জারদারিকে রাষ্ট্রপতি পদে সেখানেই সমর্থন জানিয়ে দেন। ঠিক একইভাবে বিলাবল শেহবাজকে প্রধানমন্ত্রী মেনে নেন। বিলাবল বলেন, ‘‘পিপিপি এবং পিএমএল-এন প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছে। এখন আমরা সরকার তৈরির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি।’’ এ কথা সমর্থন করেন শেহবাজও। পাকিস্তানের আগামী প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ইমরানের পিটিআই এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল সরকার গড়ার জায়গায় নেই।

    ভোটের পরে নানা সমীকরণ তৈরি হয়

    প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ভোটের ফল সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। ভোটের ফলে দেখা যায় ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা সব থেকে বেশি আসনে জিতেছে। তাঁরা জিতেছিলেন মোট ৯৩টি আসনে। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানে কোনও দলই একক ভাবে সরকার গড়ার জায়গায় ছিল না। দীর্ঘ টালবাহানা, নানা নতুন সমীকরণের পরে মঙ্গলবার রাতে পরিষ্কার হয়ে যায়, পিপিপি এবং পিএমএল-এন জোট বেধে সরকার গড়তে চলেছে। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) নামের এই দল ১৭টি আসন জিতেছে। তারাও জোটকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ১৪৬ জন জয়ী সদস্যের সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন শেহবাজ (Shehbaz Sharif)। যাদু সংখ্যা যেখানে ১৩৩।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shehbaz Sharif: হার ইমরানের দলের প্রার্থীর,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

    Shehbaz Sharif: হার ইমরানের দলের প্রার্থীর,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে দ্বিতীয়বারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। রবিবার হলও তা-ই। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) পক্ষে পড়ল ২০১টি ভোট। স্বাভাবিকভাবেই তিনি হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

    পাক পার্লামেন্টে অধিবেশন

    রবিবার পাক পার্লামেন্টে বসেছিল অধিবেশন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেদের পছন্দের কথা জানান সাংসদরা। এদিন শাহবাজের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতা ওমর আইয়ুব। পাকিস্তানের রাজনীতিতে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ইমরান পিটিআই গড়ার পরেই তাঁর দলে নাম লেখান আয়ুব। পিটিআই যখন সরকার গড়েছিল, তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন আয়ুব। এহেন আয়ুব হেরে গেলেন (Shehbaz Sharif) রবিবার, প্রধানমন্ত্রী পদে লড়তে গিয়ে। ভোটাভুটি হলে মাত্র ৯২টি ভোট পান তিনি। পাকিস্তানের সংসদে আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে অন্তত ১৬৯টি ভোট পেতেই হয়। শাহবাজ পেয়েছেন তার চেয়েও ঢের বেশি ভোট। তাই প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন (Shehbaz Sharif) তিনিই।

    ইমরানের দলের অভিযোগ

    পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল ইমরানের দল। যেহেতু কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই কারা সরকার গড়বে, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। পরে জট কাটে পিপিপি পাশে দাঁড়ানোয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফল ঘোষণা হয় পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের। দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা জিতেছিলেন ৯৩টি আসনে। কোনও একটি রাজনৈতিক দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় হ্যাং-পার্লামেন্ট হয়। সমস্যা মেটাতে পিএমএল-এন এবং পিপিপি সরকার গড়ার উদ্যোগ নেয়। তাদের সমর্থন করে দেশের অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: নদিয়ায় দুর্ঘটনার কবলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির কনভয়, তদন্তের দাবি জানালেন সুকান্ত

    শাহবাজ শরিফ হতে চলেছেন পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী। তিনি পিএলএমএনএর নেতা নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। শাহবাজ বিয়ে করেছেন পাঁচ বার। ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে তিন বার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরকার ফেলার চেষ্টা করেন। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারায় ইমরানের দল পিটিআই। তারপর শাহবাজের নেতৃত্বেই সরকার গড়েন বিরোধীরা (Shehbaz Sharif)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India-Pakistan: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    India-Pakistan: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থৈতিক হাল ভালো নয়। ধার দেনা করে সরকার চালাতে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের (India-Pakistan) সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ সহ নানা বিষয়ে শত্রুতা বাড়িয়ে আখেরে লাভ হবে না সেটা বিলক্ষণ বুঝেছেন পাকিস্তানের প্রধানন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তবে, পাক প্রধানমন্ত্রী আলোচনার প্রস্তাব দিলেও এই নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের এক টেবিলে বসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

    আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান

    ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশ যদি চায় তাহলে যে কোনও বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের (India-Pakistan) আলোচনায় বসতে কোনও সমস্যা নেই। প্রথম থেকেই আমরা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছি। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনও প্রকার ক্ষোভ নেই। আমাদের সমস্যা আমাদেরই মেটাতে হবে। আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা দরকার। যুদ্ধ দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয় না। আলোচনা অনেক পথ খুলে দেয়। তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি।” 

    ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ মানে বিপদ

    আসলে ভারতের সঙ্গে আরও একটা যুদ্ধ মনে পাকিস্তান শেষ হয়ে যাবে। সেটা জানেন শাহবাজ শরিফ। তাই উল্টো সুর গাইতে হচ্ছে তাঁকে। আসলে যতই তিনি আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের কথা বলুন না কেন, পাক সরকার আজও কিন্তু জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি কিন্তু উচ্চ বাচ্চা করেননি। তবে ভারতের (India-Pakistan) মতো শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়াটা এই মুহূর্তে বোকামি হবে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি বলেছেন, “গত ৭৫ বছরে ভারতের সঙ্গে আমাদের তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সেই যুদ্ধের কুফল ভোগ করতে হয়েছে উভয়পক্ষকে। দুই দেশেই বেড়েছে দারিদ্রতা বেকারত্ব। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল সম্পদের। অতীতের ভুল থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভারতের মতো পাকিস্তানও পরমানবিক ক্ষমতা ধর দেশ। এই ক্ষমতা আগ্রাসন প্রকাশের জন্য নয়। দেশকে সুরক্ষিত করার কারণে তা করা হয়েছে। আমরা সবাই জানি একটা পারমাণবিক যুদ্ধ কতটা ভয়ংকর হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: “ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে”, বললেন ডোভাল

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিপাকে পড়েই এখন মুখে শাস্তির কথা বলছে পাকিস্তান। বর্তমানে দেউলিয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। তাছাড়া এর আগেও একবার নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছিলেন শরিফ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাক সেনার চাপে বয়ান বদল করেন তিনি। ভারতও এ বিষয়ে যথেষ্ট শক্ত। উল্লেখ্য,  কিছুদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ইসলামাবাদকে সেনা সরানোর হুঁশিয়ারি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না বলেও উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share