Tag: Shehbaz Sharif

Shehbaz Sharif

  • S Jaishankar: নৈশভোজে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ জয়শঙ্করের, বরফ গলল কি?

    S Jaishankar: নৈশভোজে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ২০ সেকেন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ জয়শঙ্করের, বরফ গলল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক বিধি মেনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সঙ্গে দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ৯ বছর পর ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পা রেখেছেন জয়শঙ্কর। শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সংক্ষেপে এসসিও)-র (SCO Meet) বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।

    শুধুই করমর্দন

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদে শরিফের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এসসিও সম্মেলনের জন্য আসা অতিথিদের জন্য এই নৈশভোজের আয়োজন করেছিল ইসলামাবাদ। সেখানেই দু’জনের সৌজন্য-সাক্ষাৎ হয়। করমর্দন, সৌহার্দ্য বিনিময়। ২০ সেকেন্ডেরও কম এই সাক্ষাতে দুই দেশের তফাত ছিল স্পষ্ট। ২০১৫-১৬ সালে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতের সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানোর চেষ্টার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক প্রতিবেশী দেশের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায় ভারত। কিন্তু, সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে তা সম্ভব নয়।

    কেন নয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    ইসলামাবাদ যাওয়ার আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তিনি পাকিস্তানে যাচ্ছেন শুধুমাত্র এসসিও সম্মেলনে (SCO Meet) যোগ দিতে। সেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জম্মু-কাশ্মীরে ভোট প্রচারে একাধিকবার বলেছেন, সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, ‘‘ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের থেকে কোনও পার্শ্ববৈঠকের অনুরোধ পাইনি। আমরাও এই মর্মে কোনও আবেদন করিনি। তবে প্রোটোকল অনুযায়ী সব দেশের নেতাদের মতোই ভারতের বিদেশমন্ত্রীকেও (S Jaishankar) স্বাগত জানানো হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    S Jaishankar: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সামিটে (SCO Summit) যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবারই ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা তাঁর। এ মাসেরই ১৫ ও ১৬ তারিখে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলন। এই সম্মেলনে যেসব আঞ্চলিক দেশের শীর্ষনেতারা যোগ দেবেন, তাঁরা হলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসটিন এবং জয়শঙ্কর।

    নৈশভোজের আয়োজন (S Jaishankar)

    সম্মেলনের আগে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই ওয়েলকাম ডিনারে যোগ দিতে পারেন জয়শঙ্কর। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর ওয়েলকাম ডিনারে যোগ দিলেও, ভারত-পাক প্রতিনিধিদের পার্শ্ববৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছিল দুই দেশেরই বিদেশমন্ত্রক। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, জয়শঙ্কর একটি প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) নিজেও তাঁর সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। প্রায় একই ধরনের বক্তব্য শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের গলাতেও।

    এসসিও-র সদস্য দেশ

    ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও চিন, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই এসসিও-র সদস্য। এই দেশগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আয়োজন করে শীর্ষ বৈঠকের। প্রথা মাফিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আমন্ত্রণ জানান এসসিও-র সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানকেই। অগাস্ট মাসে আমন্ত্রণ আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি আদৌ পাকিস্তানে যাবেন? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পরে ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় সম্মলেন যোগ দিতে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে পাক প্রতিনিধির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেবেন না।

    আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে বাবা সিদ্দিকি খুনে ফের আলোচনায় বলিউড-আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের চার প্রতিনিধির একটি দল। কিরঘিজস্তানেরও চার প্রতিনিধি দলও চলে এসেছে। চিনা প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১৫ জন সদস্য। ইরানের দুই প্রতিনিধিও পৌঁছে গিয়েছে ইসলামাবাদে। প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী হিসেবে এটাই জয়শঙ্করের প্রথম পাকিস্তান সফর। এর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক (SCO Summit) নানা মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদকে তুলোধনা করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সফর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shehbaz Sharif: পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট, প্রধানমন্ত্রী পদে শেহবাজ, রাষ্ট্রপতি জারদারি

    Shehbaz Sharif: পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট, প্রধানমন্ত্রী পদে শেহবাজ, রাষ্ট্রপতি জারদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে পেন্ডুলামের খেলা অব্যাহত। ফের একবার ক্ষমতা দখলের ইঁদুর-দৌড়ে এগিয়ে গেল নওয়াজ শরিফ ও বিলাবল ভুট্টো জারদারির জোট।মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করেন বিলাবল ভুট্টো, তখনই একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে যায় যে পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসছে জোট সরকারই। পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। রাষ্ট্রপতি হবেন বিলাবলের বাবা আসিফ আলি জারদারি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, জোট সরকারের ক্ষমতায় আসা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়তে চলেছে বিলাবল ও জারদারির পিপিপি। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিই ফের একবার পাকিস্তানের মসনদে।

    কী বললেন বিলাবল?

    মঙ্গলবার রাতে বিলাবলের সাংবাদিক বৈঠকে এক পাশে ছিলেন নওয়াজের ভাই শেহবাজ (Shehbaz Sharif) এবং অন্য পাশে বাবা আসিফ জারদারি। ওই বৈঠকেই পিএমএল-এনকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন পিপিপি-র চেয়ারম্যান বিলাবল। সেখানেই ঘোষণা করা হয়, প্রধানমন্ত্রী হবেন শেহবাজ শরিফ আর রাষ্ট্রপতি আসিফ জারদারি। শেহবাজের (Shehbaz Sharif) দল, আসিফ জারদারিকে রাষ্ট্রপতি পদে সেখানেই সমর্থন জানিয়ে দেন। ঠিক একইভাবে বিলাবল শেহবাজকে প্রধানমন্ত্রী মেনে নেন। বিলাবল বলেন, ‘‘পিপিপি এবং পিএমএল-এন প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছে। এখন আমরা সরকার তৈরির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি।’’ এ কথা সমর্থন করেন শেহবাজও। পাকিস্তানের আগামী প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ইমরানের পিটিআই এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল সরকার গড়ার জায়গায় নেই।

    ভোটের পরে নানা সমীকরণ তৈরি হয়

    প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ভোটের ফল সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। ভোটের ফলে দেখা যায় ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা সব থেকে বেশি আসনে জিতেছে। তাঁরা জিতেছিলেন মোট ৯৩টি আসনে। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানে কোনও দলই একক ভাবে সরকার গড়ার জায়গায় ছিল না। দীর্ঘ টালবাহানা, নানা নতুন সমীকরণের পরে মঙ্গলবার রাতে পরিষ্কার হয়ে যায়, পিপিপি এবং পিএমএল-এন জোট বেধে সরকার গড়তে চলেছে। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) নামের এই দল ১৭টি আসন জিতেছে। তারাও জোটকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ১৪৬ জন জয়ী সদস্যের সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন শেহবাজ (Shehbaz Sharif)। যাদু সংখ্যা যেখানে ১৩৩।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shehbaz Sharif: হার ইমরানের দলের প্রার্থীর,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

    Shehbaz Sharif: হার ইমরানের দলের প্রার্থীর,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে দ্বিতীয়বারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। রবিবার হলও তা-ই। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) পক্ষে পড়ল ২০১টি ভোট। স্বাভাবিকভাবেই তিনি হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

    পাক পার্লামেন্টে অধিবেশন

    রবিবার পাক পার্লামেন্টে বসেছিল অধিবেশন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেদের পছন্দের কথা জানান সাংসদরা। এদিন শাহবাজের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতা ওমর আইয়ুব। পাকিস্তানের রাজনীতিতে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ইমরান পিটিআই গড়ার পরেই তাঁর দলে নাম লেখান আয়ুব। পিটিআই যখন সরকার গড়েছিল, তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন আয়ুব। এহেন আয়ুব হেরে গেলেন (Shehbaz Sharif) রবিবার, প্রধানমন্ত্রী পদে লড়তে গিয়ে। ভোটাভুটি হলে মাত্র ৯২টি ভোট পান তিনি। পাকিস্তানের সংসদে আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে অন্তত ১৬৯টি ভোট পেতেই হয়। শাহবাজ পেয়েছেন তার চেয়েও ঢের বেশি ভোট। তাই প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন (Shehbaz Sharif) তিনিই।

    ইমরানের দলের অভিযোগ

    পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল ইমরানের দল। যেহেতু কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই কারা সরকার গড়বে, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। পরে জট কাটে পিপিপি পাশে দাঁড়ানোয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফল ঘোষণা হয় পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের। দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা জিতেছিলেন ৯৩টি আসনে। কোনও একটি রাজনৈতিক দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় হ্যাং-পার্লামেন্ট হয়। সমস্যা মেটাতে পিএমএল-এন এবং পিপিপি সরকার গড়ার উদ্যোগ নেয়। তাদের সমর্থন করে দেশের অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: নদিয়ায় দুর্ঘটনার কবলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির কনভয়, তদন্তের দাবি জানালেন সুকান্ত

    শাহবাজ শরিফ হতে চলেছেন পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী। তিনি পিএলএমএনএর নেতা নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। শাহবাজ বিয়ে করেছেন পাঁচ বার। ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে তিন বার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরকার ফেলার চেষ্টা করেন। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারায় ইমরানের দল পিটিআই। তারপর শাহবাজের নেতৃত্বেই সরকার গড়েন বিরোধীরা (Shehbaz Sharif)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India-Pakistan: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    India-Pakistan: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থৈতিক হাল ভালো নয়। ধার দেনা করে সরকার চালাতে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের (India-Pakistan) সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ সহ নানা বিষয়ে শত্রুতা বাড়িয়ে আখেরে লাভ হবে না সেটা বিলক্ষণ বুঝেছেন পাকিস্তানের প্রধানন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তবে, পাক প্রধানমন্ত্রী আলোচনার প্রস্তাব দিলেও এই নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের এক টেবিলে বসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

    আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান

    ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশ যদি চায় তাহলে যে কোনও বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের (India-Pakistan) আলোচনায় বসতে কোনও সমস্যা নেই। প্রথম থেকেই আমরা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছি। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনও প্রকার ক্ষোভ নেই। আমাদের সমস্যা আমাদেরই মেটাতে হবে। আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা দরকার। যুদ্ধ দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয় না। আলোচনা অনেক পথ খুলে দেয়। তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি।” 

    ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ মানে বিপদ

    আসলে ভারতের সঙ্গে আরও একটা যুদ্ধ মনে পাকিস্তান শেষ হয়ে যাবে। সেটা জানেন শাহবাজ শরিফ। তাই উল্টো সুর গাইতে হচ্ছে তাঁকে। আসলে যতই তিনি আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের কথা বলুন না কেন, পাক সরকার আজও কিন্তু জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি কিন্তু উচ্চ বাচ্চা করেননি। তবে ভারতের (India-Pakistan) মতো শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়াটা এই মুহূর্তে বোকামি হবে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি বলেছেন, “গত ৭৫ বছরে ভারতের সঙ্গে আমাদের তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সেই যুদ্ধের কুফল ভোগ করতে হয়েছে উভয়পক্ষকে। দুই দেশেই বেড়েছে দারিদ্রতা বেকারত্ব। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল সম্পদের। অতীতের ভুল থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভারতের মতো পাকিস্তানও পরমানবিক ক্ষমতা ধর দেশ। এই ক্ষমতা আগ্রাসন প্রকাশের জন্য নয়। দেশকে সুরক্ষিত করার কারণে তা করা হয়েছে। আমরা সবাই জানি একটা পারমাণবিক যুদ্ধ কতটা ভয়ংকর হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: “ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে”, বললেন ডোভাল

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিপাকে পড়েই এখন মুখে শাস্তির কথা বলছে পাকিস্তান। বর্তমানে দেউলিয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। তাছাড়া এর আগেও একবার নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছিলেন শরিফ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাক সেনার চাপে বয়ান বদল করেন তিনি। ভারতও এ বিষয়ে যথেষ্ট শক্ত। উল্লেখ্য,  কিছুদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ইসলামাবাদকে সেনা সরানোর হুঁশিয়ারি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না বলেও উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shehbaz Sharif: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ অগাস্টে ইস্তফা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের 

    Shehbaz Sharif: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ অগাস্টে ইস্তফা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ইস্তফা দেবেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি। ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ’ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ বলেন, ‘‘চলতি বছরের শেষেই দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে। সাংবিধানিক বিধি মেনে অগাস্টে আমি সরে দাঁড়াব। ক্ষমতা তুলে দেব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে।’’

    কী বললেন শাহবাজ

    চলতি বছরের অগাস্ট মাসে শেষ হচ্ছে পাক পার্লামেন্টের মেয়াদ। প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নির্বাচন। পাক সংবিধান মেনে আগামী মাসেই পাক সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় অগাস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তান সামলানোর যে দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা তিনি যথাযথ পালন করেছেন বলেও দাবি করেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘দেশ পরিচালনার যে পবিত্র দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছিল, আমি তা নিরলস ভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি।’’

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিল মাসে পাক পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ইমরান খান। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর আসন বসেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান পিপলস পার্টি, মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল সহ একাধিক দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের প্রধান। প্রসঙ্গত, পাক সংবিধান অনুযায়ী দেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আগামী ১৪ অগস্ট পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস। সেদিনই শেষ হচ্ছে শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকারের মেয়াদ। স্বাধীনতা দিবসেই পাক প্রেসিডেন্ট  আরিফ আলভির হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিতে পারেন বলে অনুমান। সেই সঙ্গে সুপারিশ করতে পারেন পাক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ারও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: ‘পাকিস্তানের সামনে ঋণ খেলাপির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে’, রিপোর্ট দিল ‘ফিচ’

    Pakistan: ‘পাকিস্তানের সামনে ঋণ খেলাপির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে’, রিপোর্ট দিল ‘ফিচ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম আর্থিক সংকটে ভারতের (India) আরও এক প্রতিবেশী দেশ, পাকিস্তান (Pakistan)। গত কয়েক মাস ধরে গভীর আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে শাহবাজ শরিফের দেশ। ঋণ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) কড়া শর্ত দিয়েছে ইসলামাবাদকে। যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছে শাহবাজ শরিফ সরকার। কারণ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় তলানিতে। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের সামনে ঋণ খেলাপির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অন্তত এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আমেরিকার নিউইয়র্ক-ভিত্তিক বৈশ্বিক রেটিং সংস্থা ফিচ। শ্রীলঙ্কার পরে এবার দেউলিয়া হওয়ার মুখে ইসালামাবাদ।

    ঋণ খেলাপির রেটিং…

    ফিচ-এর পক্ষ থেকে পাকিস্তানের (Pakistan) দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ খেলাপির রেটিং সিসিসি+ কমিয়ে সিসিসি-। এর অর্থ হল, এতদিন যদিও বা ইসলামাবাদের পক্ষে বৈদেশিক ঋণ শোধ করার সামান্য সম্ভাবনা ছিল, এখন তাও আর দেখা যাচ্ছে না। ফিচ জানিয়েছে, আমাদের আশঙ্কা পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার নিম্নস্তরেই থাকবে। যদিও আমরা প্রত্যাশিত বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ও সম্প্রতি এক্সচেঞ্জ রেট ক্যাপ অপসারণের ফলে ২০২৩ অর্থবর্ষের বাকি সময়ে পরিমিত হারে পাকিস্তানের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাসও দিয়েছি। নিউইয়র্ক-ভিত্তিক এই সংস্থার আশা, আইএমএফ প্রোগ্রামের নবম পর্যালোচনার পর তাদের শর্ত পূরণে সফল হবে পাকিস্তান। যদিও তার পরেও ফিচ জানিয়েছে, আমাদের মতে পাকিস্তানের ঋণ খেলাপির সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।

    আরও পড়ুুন: দেশের হাল বদলাতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে, জানেন কী কী?

    ঋণ খেলাপির অর্থ হল, পাকিস্তান (Pakistan) তাদের বাণিজ্যিক ঋণ আংশিকভাবে বা পুরোটাই শোধ করতে পারবে না। যদিও ইসালামাবাদের ঘাড়ে রয়েছে বিপুল পরিমাণ দেনার বোঝা। এর জেরে ক্রমেই কমতে থাকবে বৈদেশিক সঞ্চয়ের পরিমাণ। আকাশ ছোঁয়া হবে মূল্যবৃদ্ধি। মূল্যবৃদ্ধির জেরে এখনই নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় পাকিস্তানবাসীর। পাকিস্তানি রুপিতে এক লিটার দুধের দাম হয়েছে ২১০টাকা, এক কিলো মুরগির মাংসের দাম ৭৮০টাকা। বাড়তে চলেছে জ্বালানির দামও। ডিজেলের দাম ১২.৫ শতাংশ বাড়তে চলেছে। তা হলে এক লিটার ডিজেলের দাম দাঁড়াবে ২৯৫.৬৪ টাকায়। কেরোসিনের দাম বাড়তে চলেছে ১৪.৮ শতাংশ। পেট্রোলের দাম বেড়ে হতে চলেছে প্রতি লিটার ২১৭.৮৮ টাকা। 

    এদিকে, ইসলামাবাদে (Pakistan) বন্ধ করে দেওয়া হল চিনা কনস্যুলেটের অফিস। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই অফিস। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের চিনা কনস্যুলার বিভাগটি ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Shehbaz Sharif: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, পাক প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশে যেতে না তুরস্ক সরকারের

    Shehbaz Sharif: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, পাক প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশে যেতে না তুরস্ক সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)! ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে (Turkey) যেতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীকে মুখের ওপর না বলে দিয়েছে তুরস্কের সরকার। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অতিথি আপ্যায়ণের মতো সময় এবং সুযোগ তাদের এখন নেই। তারা কেবলমাত্র উদ্ধারকারী দলকেই চায়।

    ভূমিকম্প…

    সোমবার কাকভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ। কম্পন অনুভূত হয় তিনবার। তার জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে হাজার হাজার বাড়ি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বহুতল। মৃত্যু হয় হাজার হাজার মানুষের। কনকনে ঠান্ডায়ই উদ্ধারকার্য চালাতে শুরু করে তুরস্ক ও সিরিয়ার উদ্ধারকারী দল। তুরস্কের এহেন বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারত থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল, ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে ছ টি বিমান। ভ্রাম্যমান একটি হাসপাতালও পাঠানো হয়েছে ভারতের তরফে। সেখানে কেবলই ভূমিকম্পের জেরে জখম মানুষেরই চিকিৎসা হবে।

    তুরস্কের এই বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানও। ৫১ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। তুরস্ক ও সিরিয়ায় তারা পাঠিয়েছে ২১ টন ত্রাণ সামগ্রীও। জানা গিয়েছে, বুধবারই পাকিস্তানের দুটি বিমান রওনা দিয়েছে ইস্তানবুল ও দামাস্কাসের উদ্দেশে।

    আরও পড়ুুন: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরল ১৫ হাজার, তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    তুরস্কের এই বিপদের দিনে তাদের পাশে দাঁড়াতে সশরীরে তুরস্কে যেতে চেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তুরস্কের আঙ্কারায় যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন শেহবাজ। শাহবাজের তরফে এহেন ঘোষণার পরে পরেই তুরস্কের তরফে শাহবাজ শরিফকে সে দেশে যেতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর ভূতপূর্ব বিশেষ সহকারী আজম জামিল ট্যুইট-বার্তায় বলেন, রাষ্ট্রের অতিথির দেখভাল করার সময় এখন নেই। দয়া করে কেবল উদ্ধারকারী দলই পাঠান। তুরস্কের তরফে এই প্রতিক্রিয়ায় যারপরনাই অস্বস্তিতে পাক সরকার। মুখ বাঁচাতে ইসলামাবাদের তরফে অবশ্য চেষ্টার কম কসুর করা হয়নি। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেব জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের তুরস্ক সফর পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে উদ্ধারকাজ চলছে। সেজন্য পিছিয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (Shehbaz Sharif) সফর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান সেনা প্রধান কমার জাভেদ বাজওয়ারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কে বসবেন পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধানের পদে (Pakistan Army Chief)?  জানা গিয়েছে, সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে ছ’ জনের একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) অফিসে পাঠানো হয়েছে। যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে, তাঁরা সবাই সিনিয়র মোস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল। প্রধানমন্ত্রীর অফিস যে নামে সিলমোহর দেবে, তিনিই বসবেন বাজওয়ারের চেয়ারে।

    যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে…

    সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য, তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনীর, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা, কোর কমান্ডার রাওয়ালপিন্ডি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদ, কোর কমান্ডার বাহাওয়ালপুর এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আমের, কোর কমান্ডার গুজরানওয়ালা।

    তালিকায় ছ’ জনের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর, আপাতত সেনা প্রধানের (Pakistan Army Chief) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। এঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির। মির্জা এবং আব্বাসকে ভারত সংক্রান্ত পুরানো ঘোড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মুনির। এই মুনির সেই সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    জানা গিয়েছে, সেনা প্রধান (Pakistan Army Chief) পদে নাম চূড়ান্ত করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বর্তমান সেনা প্রধান বাজওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডি জি আএসআই-ও। পরে এদিনই আরও একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাওয়াজা আসিফ, প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল অ্যাসিস্টেন্ট মালিক আহমেদ খান এবং অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে। পরে শরিফ আরও একটি বৈঠক করেন পিপিপি সহকারি চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে। বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। জানা গিয়েছে, শরিফ চাইছেন আসীম মুনিরই হোন পরবর্তী সেনা প্রাধান। আর জারদারি চাইছেন বাজওয়ারের মেয়াদ বাড়ানো হোক আরও ছ মাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Shehbaz Sharif: বাইডেনের “বিপজ্জনক দেশ” মন্তব্যে কী বলছে পাকিস্তান?

    Shehbaz Sharif: বাইডেনের “বিপজ্জনক দেশ” মন্তব্যে কী বলছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই তোপ দেগেছিলেন মর্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান (Pakistan)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) রবিবার বাইডেনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দাবি করেন, তাঁর মন্তব্য তথ্যগতভাবে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। এদিন সাংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) বলেন, গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান প্রমাণ করেছে যে সে সব চেয়ে দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। যাবতীয় পারমাণবিক কর্মসূচি পালিত হয় উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে। পুরো বিষয়টি ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কর্মসূচি পালনের সময় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হয়।

    শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বের একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পারস্পরিক সাহায্যের সম্পর্ক রয়েছে। যখন গোটা বিশ্ব নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তখন অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য এড়িয়ে মার্কিন-পাক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমরা চাই আমেরিকা আমাদের সহযোগিতা করুক। শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ডেমক্রেটিক কংগ্রেসনার ক্যাম্পেন কমিটির রিসেপশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন তিনি বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ। উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই পরমাণু অস্ত্র রেখেছে। এদিন তারই প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    বাইডেন বলেন, এই লোকটি (শি জিনপিং) যিনি বোঝেন তিনি কী চান, কিন্তু তাঁর সামনে রয়েছে সমস্যার পাহাড়। আমরা কীভাবে সেটা হ্যান্ডেল করব? রাশিয়ায় বর্তমানে যা চলছে, তাই বা হ্যান্ডেল করব কীভাবে? এর পরেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, আমি মনে করি, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক একটি দেশ হল পাকিস্তান। যারা সুরক্ষা ছাড়াই রেখেছে পারমাণবিক অস্ত্র। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের সরঞ্জাম সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। তখন পাকিস্তানের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, খুব স্পষ্ট করে বলতে গেলে পাকিস্তানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান। এগুলি পুরানো প্লেন এবং সিস্টেম, যা ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রয়েছে। আমরা এই বহরের রক্ষণাবেক্ষণ ও টিকিয়ে রাখার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করি। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারত। তার জেরেই শনিবার বাইডেন পাকিস্তানকে নিশানা করেন বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের একাংশের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share