Tag: Sheikh Hasina

Sheikh Hasina

  • Bangladesh: মার্চেই ভারত থেকে ডিজেল যাবে বাংলাদেশে! আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন উদ্বোধনে মোদি-হাসিনা

    Bangladesh: মার্চেই ভারত থেকে ডিজেল যাবে বাংলাদেশে! আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন উদ্বোধনে মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশের (Bangladesh) সুসম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় পৌঁছতে চলেছে চলতি মাসেই। ১৮ মার্চ যৌথভাবে প্রথম আন্তঃসীমান্ত তেল পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার পোশাকি নাম ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে যৌথভাবে প্রকল্পটির সূচনা করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তাঁর কথায়, ১৮ মার্চ থেকে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আসবে বাংলাদেশে। এই পাইপলাইন চালু হয়ে গেলে দ্রুত এবং কম খরচে ডিজেল পাবে বাংলাদেশ।

    আর কী বললেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশ দফতরে সাপ্তাহিক সংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। ড. একে আব্দুল মোমেন আরও জানান, সীমান্তে সীমানা রেখার ১০০ গজের মধ্যে স্থাপন করা নিয়ে ভারত তার আপত্তি তুলে নিচ্ছে। ফলে রেল স্টেশন-সহ আটকে থাকা সকল অবকাঠামোর কাজ দ্রুতই শুরু হবে। ভারতের আমন্ত্রণে জি ২০-এর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ায় বাংলাদেশ সম্মনিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    এতে কী কী সুবিধা হবে?

    প্রসঙ্গত, ভারত থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) এখন জ্বালানি তেল যায় রেলপথে। কিন্তু পাইপলাইন চালু হয়ে গেলে তা আরও দ্রুত এবং কম খরচে ডিজেল পাবে বাংলাদেশ। এর ফলে উপকৃত হবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলি। বাংলাদেশে জ্বালানি তেল যাবে শিলিগুড়ি থেকে। সে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা বিপিসির পক্ষে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০১৮ সালে পাইপলাইন নির্মাণের কাজের সূচনা যৌথভাবে করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সূত্রে বলা হয়েছে, ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। ভারত সরকার অনুদান বাবদ ৩০৩ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি ব্যয় বহন করেছে বিপিসি। এই প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশের উত্তরভাগে বাণিজ্যে গতি আসবে। ত্বরান্বিত হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এমনটাই ধারণা সে দেশের অর্থ ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল রাজধানী শহর ঢাকা। বাংলাদেশে বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি তথা বিএনপি-র (BNP) সমাবেশকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং অন্যান্য দাবিতে শনিবার বিএনপি একটি মহাসমাবেশের ডাক দেয়। তাতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছে বিএনপি

    ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাতে বিএনপি-র (BNP) একটি বিশাল সমাবেশের পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই উপস্থিত হয় হাজার হাজার মানুষ। তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, হাসিনা সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়কে আটকাতে ব্যর্থ। শেখ হাসিনার অদক্ষতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ আজ সমস্যায় রয়েছেন। তাঁরা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছেন। সেই কারণেই শনিবার সকাল থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদিতে নাভিশ্বাস সেখানকার জনগণের। ফলে পরের বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক বলে জানিয়েছে বিএনপি। 

    আরও পড়ুন: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    বিএনপি-এর তরফে কী কী অভিযোগ আনা হল?

    বিএনপি-এর তরফে অভিযোগ করা হয়, এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য তার আগের দিনই ৯ ডিসেম্বর বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ভোরে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন, তাই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য গোয়েন্দা শাখা হেফাজতে নিয়েছে তাঁদের। আবার বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, সেদিন বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    সরকারের তরফে কী বলা হল?

    বিএনপি-এর সমাবেশের প্রসঙ্গ এনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র’কে সহ্য করবে না বাংলাদেশ। বরদাস্ত করা হবে না ‘বিদেশি কারও হস্তক্ষেপ’ও। রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম। সেখানেই বিএনপির(BNP) সভার প্রসঙ্গে তাঁরা সরকারের অবস্থানের কথা জানান। আগামী বছর বাংলাদেশে নির্বাচন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ‘বাইরের কোনও চাপের কাছে’ মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সমাবেশ-বিক্ষোভ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ  ঘটানো সম্ভব নয়।

  • Garment Industry: ফের ভারতের কাছে দরবার বাংলাদেশের

    Garment Industry: ফের ভারতের কাছে দরবার বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে ৪ দিনের সফর করে গিয়েছেন। এই সফরে কুশিয়ারা নদীর জলবন্টন সহ রোহিঙ্গা সমস্যা, দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য ও সীমান্তে হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার ভারতে কাছে এই প্রতিবেশী দেশটি তাঁদের দেশের পোশাক শিল্পের উন্নতির জন্য সহযোগীতা চেয়েছেন। বাংলাদেশ ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ‘মেইড-ইন-বাংলাদেশ সপ্তাহ’ আয়োজন করতে চলেছে। অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করবে পোশাক শিল্পের (Garment Industry) সাথে যুক্ত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পোশাক তৈরীর সংগঠন বিজিএমইএ (Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association)।

    ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) । তিনি এই অনুষ্ঠানে বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের (Garment Industry) অবদানের কথা তুলে ধরবেন।

    বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এই প্রথম বিজিএমইএ কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। বাংলাদেশের বৈশ্বিক পোশাক বিপণনের জন্য ভারতের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন কারণ, তাদের কারখানাগুলি মূলত ভারতের কাঁচামালের উপর নির্ভরশীল।

    তিনি জানিয়েছেন, চলমান গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং সময়।

    বিজিএমইএ সভাপতি আরও জানান, বাংলাদেশের শ্রম সস্তা নয় বরং প্রতিযোগিতামূলক। বাংলাদেশে পণ্যের দ্রুত চালান, পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।  এ বছর তাঁরা জাপানে পোশাক রপ্তানি করে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ নিজের পকেটে পুরেছে। এছাড়া ভারত সহ দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়াতেও রপ্তানি বেড়েছে।

    তিনি আশা করেছেন যে,  আগামী  ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী পোশাকের বাজারের ১০ শতাংশ জায়গা দখল করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর ৬.৮ শতাংশ মার্কেট দখল করে রেখেছে।

    হাসান ভারতীয় সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গে জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতের তৈরি পোশাক আন্তর্জাতিক বাজারে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না  বরং আমরা একে অপরের পরিপূরক এবং তাই একে অন্যের সহযোগিতা করা উচিত। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশের পোশাকের রপ্তানি প্রায় ৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে ভারত বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে একটি  অন্যতম প্রধান দেশ। ভারতের সঙ্গে চলতি অর্থবছরে ১ বিলিয়নেরও বেশী ব্যবসা হবে বলে আশা করেছেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের জমি ব্যবহার করে অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানির করার সময় ভারত সরকার যদি বাংলাদেশের পণ্যের উপর যদি পরিবহন শুল্ক সরিয়ে দেয় তা বাংলাদেশের পোশাক কোম্পানিগুলোর জন্য সুবিধে হবে। 

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদনের জন্য অধিকাংশ তুলোই ভারত থেকে আমদানি করে থাকে। এছাড়াও পেট্রোকেমিক্যালের মতো কাঁচামালও ভারত থেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী এই দেশটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Modi-Hasina Meet: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    Modi-Hasina Meet: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হায়দ্রাবাদ হাউসে (Hyderabad House) বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina ) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগে হাসিনা যান রাজঘাটে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। ভারতে আসতে পেরে তিনি যে খুশি, এদিন তা গোপন করেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। যখনই আমি ভারতে আসি, তখনই মনে করি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা। আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছি।

    এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। চার দিনের সফরে দিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই তিনি বৈঠক করেছেন জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনা করেছেন দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে। এদিন তিনি নিজামউদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শনে যান। মঙ্গলবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। যে সব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, তার মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা, আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার মতো বিষয়ও রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পঞ্চাশে পা দিয়েছে ২০২১ সালে। তার পর ভারতে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের এই প্রথম বৈঠক। গত বছর ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর। ওই বছরই জন্ম শতবর্ষ ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২ বার বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। গত বছরই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মোদি। তার পর এই এলেন হাসিনা। বসলেন মোদির সঙ্গে বৈঠকে।  

    আরও পড়ুন :’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Sharing Treaty) স্বাক্ষরিত হয়নি। তবে মঙ্গলবার মোদি (PM Modi)-হাসিনা (PM Hasina) বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীর (Kushiyara River) জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি। যে চুক্তির ফলে লাভবান হবে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়ে চলেছে। দুই দেশের মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে যুক্ত এই নদীগুলি। এই আবহে আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি সমস্যাও যে দ্রুত মিটবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এদিন ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) দুই দেশের মধ্যে সাতটি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উন্মোচন করেছেন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের ইউনিট-১এর আবরণ। তাঁরা ৫.১৩ কিমি দীর্ঘ রূপসা রেল ব্রিজেরও উদ্বোধন করেন। এদিনের আলোচনা যে ফলপ্রসূ হয়েছে, তা জানিয়েছেন হাসিনা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার আবহে এদিন আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

     

     

    আরও পড়ুন :হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মোদিও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু নিয়েও। কোভিড-১৯ অতিমারি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বে এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা নিয়েও। এবং অবশ্যই পোক্ত করতে হবে আমাদের অর্থনীতির ভিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি বন্যা নিয়ন্ত্রণে। রিয়েল টাইম ডেটা শেয়ার করেছি। সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দুই দেশকেই অনেক প্রতিকূল শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। মোদি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের সর্ব বৃহৎ ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম ব্যবসায়িক পার্টনারও। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Teesta Water Treaty: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে

    Teesta Water Treaty: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina) চাইছেন তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Treaty) স্বাক্ষরিত হোক দ্রুত। হাসিনা চাইলেও, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে পা ফেলতে হচ্ছে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাই এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না ভারত।

    ভারত ও তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ৫৪টি নদী। এর মধ্যে রয়েছে তিস্তাও। এই তিস্তা ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। তিস্তার উৎপত্তি সিকিমে। সেখানে থেকে এই নদী পশ্চিমবাংলার উত্তরাংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলে গিয়েছে বাংলাদেশে। ভারত তিস্তার ৫৫ শতাংশ জল দাবি করে। আর বাংলাদেশ যা জল পায়, দাবি করছে তার চেয়েও বেশি। এখানেই মূল সমস্যা।

    তিস্তা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের দড়ি টানাটানি চলছে সেই ১৯৮৩ সাল থেকে। ২০১১ সালে ১৫ বছরের জন্য দুই দেশের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিস্তার জলের ৪২.৫ শতাংশে অধিকার ভারতের। আর ৩৭.৫ শতাংশের অধিকার বাংলাদেশের। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। কারণ, চুক্তির বিরোধিতা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ উদ্যোগী হলেও, এই চুক্তির বিরোধিতা করেন মমতা। প্রত্যাশিতভাবেই দিনের আলো দেখেনি বহু আকাঙ্খিত তিস্তা চুক্তি।

    আরও পড়ুন : জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    শুখা মরশুমে তিস্তার জলের ৫০ শতাংশ দাবি করে বাংলাদেশ। কারণ এই সময় সে দেশে জলের জোগান খুবই কমে যায়। মার খায় সে দেশের বিস্তীর্ণ অংশের চাষবাস। তাই বাংলাদেশ চায় দ্রুত রূপায়িত হোক তিস্তা চুক্তি। তবে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি রূপায়িত করার ক্ষেত্রে ভারতের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পশ্চিমবাংলার অভিযোগ, তিস্তা থেকে প্রয়োজনীয় জল পাচ্ছে না রাজ্য। এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে বেশি জল দেওয়া হলে শুখা মরশুমে বিপাকে পড়বেন এ রাজ্যের কৃষকদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও চাষিদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ওই চুক্তি ফেরাতে রাজি নন। সেই কারণেই এখনই যে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে না, তা বলাই যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরুর দিকে ভারত যেভাবে তাঁর দেশের পড়ুয়াদেরও উদ্ধার করেছে, তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছে হাসিনার গলায়।

    ৫ অগাস্ট, সোমবার মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন হাসিনা। তার আগে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মোদির প্রশংসা করেন হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় বিশেষ বিমান পাঠিয়ে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারত ও বাংলাদেশের পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়েছিলেন মোদি। এদিন তার প্রশংসা করার পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলায় ভারতের অবদানের কথাও শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে। প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশে টিকা পাঠিয়েছিল ভারত।

    ভারত বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন হাসিনা। তিনি বলেন, মতানৈক্য থাকতেই পারে, তবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিতে হবে। এভাবে যে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। হাসিনা বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তাঁদের দেশের পড়ুয়াদের পাশাপাশি আমাদের দেশের পড়ুয়াদেরও দেশে ফিরিয়ে এনেছেন, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। প্রকৃতই আপনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরেই কোভিড ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ তোলেন হাসিনা। তাঁর দেশে ৯০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ভারত যে তাঁদের প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ভারতকে যেদিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল, সেই সময়ই ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ১৯৭১ সালে। তার পর আরও অনেকবার।

    আরও পড়ুন : ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত্যু হাজার পার, সমবেদনা জানালেন মোদি

    বাংলাদেশ যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এদিন তাও জানান হাসিনা। বলেন, আমরা যতদিন ক্ষমতায় রয়েছি, ততদিন ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর জোর দিয়েছি। সংখ্যালঘুদের বলেছি, আপনারাও দেশের নাগরিক। তবে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাও নিই। তবে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারতেও ঘটে। প্রসঙ্গত, চারদিনের ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নিয়েও আলোচনা হতে পারে মোদি-হাসিনার মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sheikh Hasina: ভাষা আন্দোলনই স্বাধীনতার পথ দেখায়! ভারত সফরে এসে বাংলার  প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ হাসিনার

    Sheikh Hasina: ভাষা আন্দোলনই স্বাধীনতার পথ দেখায়! ভারত সফরে এসে বাংলার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ দশক আগে  বাংলা ভাষাই পাকিস্তান (Pakistan) থেকে বাংলাদেশকে (Bangladesh) আলাদা হতে সাহায্য করেছিল। ভারত (India) সফরে এসে এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা ভাষার প্রতি নিজের গভীর ভালবাসা ব্যক্ত করে হাসিনা ( sheikh hasina) জানান, “আমার মাতৃভাষা বাংলা। যখন পাকিস্তান তৈরি হয়, ঠিক সেই সময় থেকে আমাদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল ভাষা আন্দোলন। বাংলা ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। ভাষা আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতার পথ দেখায়। তৈরি হয় বাংলাদেশ।”

    ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের ভারত সফর। আজ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। পাশাপাশি দু’দেশের শীর্ষ প্রতিনিধি দলের বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জলসম্পদ, যোগাযোগ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা আজকে। 

    আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জানান, যে কোনও সম্প্রদায়ের কাছে তার ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ, যা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার্থেই তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি ইংলিশ বলি, কিন্তু স্বচ্ছন্দ নই। এটা আমার কাছে কোনও বিষয় নয় কারণ ইংলিশ বিদেশি ভাষা, আমি আমার ভাষা বাংলাতেই স্বচ্ছন্দ। আমরা কোনও ভাষাকে ছোট করছি না। কোনও ভাষার সঙ্গে আমাদের বৈরিতা নেই। তবে আমাদের কাছে বাংলা ভাষা ভালবাসার এবং গর্বের।”

    নৈশভোজে এ দিন বেশ হাসিখুশি ছিলেন শেখ হাসিনা। জানান, ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েই তিনি দিল্লি সফরে এসেছ‌েন। পুজোর সময়ে এ দেশের মানুষকে এটা তাঁর উপহার। এ দেশের বাঙালিদের বিশেষ করে রাজ্যবাসীর সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্কের কথাও জানান হাসিনা। বাংলা ও বাঙালি তাঁর কাছে বড়ই প্রিয়। হাসিনা বলেন, “যে কোনও নতুন ভাষা শিখতে ভাল লাগে। সব ভাষার নিজস্ব মাধুর্য্য আছে কিন্তু আমার কাছে বাংলাই শ্রেষ্ঠ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sheikh Hasina: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    Sheikh Hasina: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর বিশেষ দিনে বাংলাদেশের হিন্দুদের বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এদিন তিনি বলেন, “এদেশে আমার যতটা অধিকার আছে ততটা অধিকার আপনাদেরও আছে।“ এদিন কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন হাসিনা এবং বলেন, এদেশে কারও নিজেকে সংখ্যালঘু মনে করার কোনও কারণ নেই। মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষই সমান। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার।’

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং চট্টগ্রামের জেএন সেন হলের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এদিন তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়কে বলব, আপনারা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু মনে করবেন না। আপনাদেরও সমানভাবে দেশের নাগরিক হওয়ার অধিকার আছে এবং আমরাও সেইভাবে আপনাদেরকে দেখতে চাই।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি চলতে পারেন তাহলে আর খারাপ লোকেরা কোনও ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। আর খারাপ লোক সবধর্মেই রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, বাংলাদেশে দুর্গা পুজোর সময় যত মণ্ডপ তৈরি হয়, পশ্চিমবঙ্গেও তা হয় না। তিনি সে দেশের হিন্দুদের মনে করিয়ে দেন, দুর্গাপুজোয় ঢাকায় যে সব মণ্ডপ হয়, তার অনেকেরই উচ্চতা, জাঁকজমক পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও বেশি হয়।

    আবার তিনি জানিয়েছেন, অনেক সময় সেখানে হিন্দু সম্প্রদায় নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, কিন্তু এর জন্য আফসোস হয় তাঁর। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সরকার এবং আওয়ামি লিগ কোনও ধর্ম-সম্প্রদায়কেই ছোট মনে করে না, সবাইকেই সে দেশে অধিকারের সঙ্গে থাকার থাকার আহ্বান জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা 

     

  • Bangladesh Load Shedding: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    Bangladesh Load Shedding: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থের অভাবে সঠিক মতো উৎপাদন করা যাচ্ছে না বিদ্যুৎ। ফলে দেশে চরম আকার নিয়েছে ঘাটতি। মোকাবিলা করতে এবার নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন, পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে কি দেউলিয়ার পথে হাসিনা প্রশাসন!

    কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর (Padma Setu) উদ্বোধনে উদ্বেলিত হয়েছিল দু’পার বাংলার বাসিন্দারা। বাংলাদেশ তো বটেই, এপারেও কিছু মানুষজনও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পালন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অজস্র পোস্ট। এমন নয় যে পদ্মা সেতু ভারত-সংযোগকারী কোনও সেতু, বা এটি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কোনও স্থাপত্যের নিদর্শন। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    মুক্তিযুদ্ধের (Mukti Juddho) গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে সেতু নির্মাণকে তুলনা করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে। কোনও বিদেশি সাহায্য ছাড়াই নিজের দমে তারা এই সেতু বানিয়েছে বলেও বার বার দাবি করেছে বাংলাদেশ। যদিও, এত বিপুল অর্থ বরাদ্দ কোথা থেকে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার খানিকটা উত্তর পাওয়া গেল সোমবার। দেখা যাচ্ছে, বিগ বাজেট সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে কার্যত ভাঁড়ার শূন্য হয়েছে বাংলাদেশের। ফলে, চরম বিদ্যুৎ সংকটে ডুবেছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমাতে দেশে নিয়মিত এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের (Power Cut) ঘোষণা করল শেখ হাসিনার সরকার।

    সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লোডশেডিং (Load Shedding) হতে পারে দিনে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত। আর এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প। খরচ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। বিষয়টি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী। 

    তৌফিক ই এলাহি চৌধুরী বলেন, “খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আজ থেকে সাময়িক বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্বের পরিস্থিতির  উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসা হবে।”

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক      

    তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীতে একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে। ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে, তা ইউক্রেনের একার নয়। ওই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে আমাদের ওপর।” তিনি আরও বলেন, “যাদের অর্থের অভাব নেই, তারাও কিন্তু লোডশেডিং করছে। যুক্তরাজ্যে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে। ডিজেলের বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত স্থগিত করলাম, তাতে খরচ অনেকটা কমবে। ডিজেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে।” 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে         

    তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, “আমাদের ধারণা, এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। এতে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনও কোনও জায়গায় দু’ঘণ্টাও লোডশেডিং হতে পারে। কিন্তু  দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং পৃথিবীর এই খারাপ সময়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”  

    বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “কোন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে, তা আগে থেকে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি শিল্পক্ষেত্রকে।” তিনি আরও বলেন, আগামী এক সপ্তাহে এক থেকে দু’ঘণ্টা লোডশেডিং করা হবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    প্রতিমন্ত্রী এদিন বলেন, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সারা দেশে এক দিন পেট্রল পাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে বন্ধ রাখা হবে, সেটা পরে জানানো হবে।বন্দর এলাকায় সপ্তাহে দু’দিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান নসরুল হামিদ। এমনকি সরকারি অফিসগুলোয় কীভাবে সময় কমিয়ে আনা যায়, সেকথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

    পদ্মা সেতু যে বাংলাদেশকে কপর্দকশূন্য করে ছেড়েছে তা এক প্রকার স্পষ্ট। সেতু উদ্বোধনের খুশির রেশ কাটতে না কাটতেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিপুল টোল চাপিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন।এবার সেখানে ঝুপ করে নেমে এল নিকষ কালো অন্ধকার। পদ্মা সেতু আলোকিত রাখতে গিয়ে এখন সাময়িকভাবে অন্ধকারে থাকতে হবে সেদেশের বাসিন্দাদের।
     

LinkedIn
Share