Tag: Sheikh Hasina

Sheikh Hasina

  • Bangladesh: মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারবে না! বাংলাদেশে কি তালিবানি রাজত্ব চলছে? সরব শেখ হাসিনা

    Bangladesh: মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারবে না! বাংলাদেশে কি তালিবানি রাজত্ব চলছে? সরব শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কি তালিবানি রাজত্ব চলছে! খোদ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে উঠে এল সেই আশঙ্কা। বাংলাদেশে (Bangladesh) মেয়েদের খেলার অধিকার নিয়ে সরব হলেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে এক অডিওবার্তায় সেই প্রশ্ন তুললেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে কি মেয়েরা আর খেলতেও পারবে না? এ কোন পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ? -এমন প্রশ্নই তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার আওয়ামি লিগের সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে তাঁর অডিওবার্তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। হাসিনা বলেন, “আমাদের দেশে মেয়েরা (ফুটবল) খেলতে পারছে না। কেন? মেয়েদের খেলার অধিকার নেই কেন!”

    খুন-ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন মহিলা ফুটবলাররা

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh) মহিলা ফুটবল দলে সম্প্রতি কোচের সঙ্গে কয়েক জন সিনিয়র ফুটবলারের মনোমালিন্য তৈরি হয়। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সে দেশের মহিলা ফুটবল দলের ১৮ জন ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে। তাঁরা বাটলারকে কোচ হিসেবে চাইছেন না। অনুশীলনও ‘বয়কট’ করেছেন ওই মহিলা ফুটবলাররা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে নিজেদের অবস্থানের কথাও জানিয়ে দিয়েছেন ‘বিদ্রোহী’ ওই ১৮ ফুটবলার। এই আবহে বাংলাদেশি মহিলা ফুটবলারদের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। বাংলাদেশি মহিলা ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, গত কয়েক দিনে কট্টরপন্থীদের থেকে অসংখ্যবার ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি পেয়েছেন তিনি।

    নারী-পুরুষ সমানাধিকারের পক্ষেও সওয়াল

    এদিন নারী-পুরুষ সমানাধিকারের পক্ষেও সওয়াল করেন হাসিনা। তিনি বলেন, “আমাদের সময়ে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিতে ছেলে-মেয়ে উভয়েই সুযোগ পেত। আমাদের সময়ে প্রাথমিক স্কুলে মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট এবং ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট চালু করা হয়। ছোট্টবেলা থেকেই যাতে তারা খেলতে পারে সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।”

    মাতৃজাতিকে অপমান (Bangladesh)

    হাসিনার কথায়, “মায়ের পেটেই সন্তান জন্ম নেয়। সেই মায়ের জাতিকে অবমাননা কেন? খেলাধুলো, সাহিত্য, সংস্কৃতিচর্চা তো সকলের অধিকার। এতে তো নারীপুরুষের ভেদাভেদ থাকতে পারে না। ইসলাম কখনও সে কথা বলে না।” তিনি আরও বলেন, “আজ কী দুর্ভাগ্য আমাদের! মেয়েরা ফুটবল খেলে অনেক দেশে জয়ী হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের সুনাম করে এসেছে। আজ আমাদের দেশে তাঁরা খেলতে পারছে না। কেন? মেয়েদের খেলার অধিকার নেই কেন!”

  • Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির বাংলাদেশে ইতিহাস হয়ে গেল ‘ইতিহাস’! এবং সেটাও হল এমন সময় যখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) তদারকি সরকারের মাথায় যিনি রয়েছেন, সেই মহম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন শান্তির জন্য! ফেরা যাক খবরে। বুধবার রাতে ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় (Sheikh Hasina)। প্রথমে মুজিবের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। গভীর রাতে বুলডোজার নিয়ে এসে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় ‘ইতিহাস’।

    বাংলাদেশে তাণ্ডব (Bangladesh Crisis)

    এদিন বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভাষণ শুরুর আগেই তাণ্ডব চালানো হয় হাসিনার বাবার বাড়িতে। এই ধানমন্ডিতেই বাড়ি রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। বাড়ির নাম সুধা সদন। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর সেই বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভোলা সদরের গাজিপুর সড়কে প্রিয় কুটির নামে একটি বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটি আওয়ামি লিগ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বাড়ি। রাত ১টা নাগাদ কুমিল্লার মুন্সেফবাড়ি এলাকায় প্রাক্তন সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুনও।

    অগ্নিসংযোগ শেখ হাসিনার বাড়িতেও

    হাসিনা-বিরোধী জনতার রোষের আগুনের হাত থেকে রেহাই পায়নি খুলনায় শেখ বাড়িও (Bangladesh Crisis)। এই বাড়িটি হাসিনার কাকার। এদিন রাত ৯টা নাগাদ তাণ্ডব শুরু হয় এই বাড়িতে। প্রথমে বাড়িটি ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে সিটি কর্পোরেশনের দুটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়ায়ও বুলডোজার চলেছে প্রাক্তন সাংসদ মাহবুব উল আম হানিফের বাড়িতে। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও মুজিব ও হাসিনার ম্যুরালও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি!

    বাংলাদেশের ‘ইতিহাস’ যে এদিন ধুলোয় মিশিয়ে যাবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। এদিন বিকেল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি (এটাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাড়ি) গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়। সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল (Sheikh Hasina) সংবাদ মাধ্যমকেও। বলা হয়েছিল, কোনও সংবাদমাধ্যম হাসিনার ভাষণ প্রচার করলে, সেই গণমাধ্যম হাসিনাকে সহযোগিতা করছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

    ধুলোয় মিশল ইতিহাস

    ধানমন্ডির এই বাড়িটিই পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সাক্ষী। সেই সময় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের দেহ। হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর তাঁর পৈত্রিক বাড়িটিকে পরিণত করেছিলেন সংগ্রহশালায়। ইতিহাসের সেই সাক্ষীই এখন মিশে গেল ধুলোয়। গত ৫ অগাস্ট আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই সময়ও ভাঙচুর চালানো হয় মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে। তার পর থেকে বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়ই। এবার আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করা হল সেই বাড়ি।

    কী বললেন হাসিনা

    পৈত্রিক ভবনের এই দুর্দশার প্রসঙ্গ এদিন উঠে এসেছে হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণেও। তিনি বলেন, “ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে জাতির পিতা (শেখ মুজিব) স্বাধীনতার (Bangladesh Crisis) কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানি হানাদাররা তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। তখনও এই বাড়িটিতে তারা লুটপাট করেছিল। কিন্তু আগুন দিয়ে পোড়ায়নি, ভাঙেনি।” স্মৃতির সরণী বেয়ে হাঁটতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “শেখ মুজিব কখনও দেশের রাষ্ট্রপতি ভবন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেননি। তিনি ছিলেন এই ছোট্ট বাড়িটিতেই। আমার মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়িটির প্রতিটি ইট নিজের হাতে গেঁথেছিলেন।” আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো বলেন, “এই বাড়িতে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিশ্বের বড় বড় নেতারা এসেছেন। আজ এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কেন? বাড়িটির কী অপরাধ? এই বাড়িটিকে কেন এত ভয় পাচ্ছেন (Sheikh Hasina)?”

    পাকিস্তানিদের পদলেহন করাটাই পছন্দ!

    এদিন বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে হাসিনার ৫২ মিনিটের অডিও বার্তায় বাংলাদেশবাসীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন হাসিনা। তিনি বলেন, “আমরা দুই বোন যে স্মৃতিটুকু নিয়ে বেঁচেছিলাম, আজ সেই স্মৃতিটুকুও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এর আগে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। আজ ভেঙে ফেলা হল।” গলা ধরে এল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। হাসিনা বলেন, “লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংবিধান, স্বাধীনতা, পতাকা পেয়েছি – তা কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না। এ শক্তি তাঁদের এখনও হয়নি। এটি তাঁদের দুর্বলতার প্রকাশ। তাঁরা দালান ভাঙতে পারে, কিন্তু ইতিহাসকে ধ্বংস করতে পারেন না। ইতিহাস যে প্রতিশোধ নেয়। এ কথা তাঁদের মনে রাখতে হবে। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা হীনন্মন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পছন্দ নয়। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা ও পদলেহন করাটাই হয়তো তাঁদের পছন্দ।”

    বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে

    মুজিব কন্যা বলেন, “বাংলাদেশকে নিয়ে ধ্বংসের খেলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ছিল, উন্নয়নের বিস্ময় ছিল। সেই বাংলাদেশকে চরমভাবে ধ্বংস করে জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের দেশ হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। এটিই হল সব চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।” বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। হাসিনা বলেন, “কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। এদের ধ্বংসের খেলা, রক্তের খেলা বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে।” তাঁর ধারণা, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনও আসলে একটি ষড়যন্ত্র।

    ইউনূসকে নিশানা হাসিনার

    এদিন ইউনূসকেও নিশানা করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পদে ৬ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছিলেন। আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পরে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিই। গ্রামীণ ফোনের ব্যবসাও ইউনূসকে দিয়েছিলাম। আমার কাছে বারবার ধর্না দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেখান থেকে লাভের অংশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাবে। কিন্তু তা যায়নি। তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। তাঁর ক্ষমতার লোভ আজ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ভেঙে ফেলবে, এই শক্তি তাদের হয়নি। তারা একটা দালান ভেঙে ফেলতে পারবে, কিন্তু ইতিহাস মুছতে পারবে না।” এদিন রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শিলেট, বরিশাল এবং রংপুরেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। হামলা চালানো হয়েছে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও।

    মধ্যরাতে মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত যে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো শুরু হয়েছিল, তা চলেছে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়িটির সিংহভাগ অংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িটির সামনে জড়ো হওয়া লোকজনের বক্তব্য, স্বৈরাচারের কোনও চিহ্ন তাঁরা রাখতে চান না। ভবনের বড় অংশ ভাঙার পর উল্লাসও করতে দেখা গিয়েছে তাদের।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাংলাদেশ থেকে আওয়ামি লিগকে মুছে ফেলতে চায় ইউনূস প্রশাসন। তার জেরে ‘ইতিহাস’ ভাঙচুর শুরু (Sheikh Hasina) হলেও, গদি বাঁচাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন অন্তর্বর্তী সরকারের নোবেল জয়ী প্রধান (Bangladesh Crisis)!

  • Sheikh Hasina: ট্রাম্পের তহবিল বন্ধের সিদ্ধান্তে আশাবাদী হাসিনার দল, ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ধর্মঘটের ডাক

    Sheikh Hasina: ট্রাম্পের তহবিল বন্ধের সিদ্ধান্তে আশাবাদী হাসিনার দল, ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ধর্মঘটের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে ক্ষমতায় বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (USAID) বাংলাদেশকে যে অনুদান দিত সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির এমন পদক্ষেপকে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করা হচ্ছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিক থেকে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে শেখ হাসিনাও (Sheikh Hasina) মনে করছেন যে, তিনি এখনও প্রাসঙ্গিকতা হারাননি। এই আবহে বাংলাদেশে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে হাসিনার দল।

    আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতা কী বলছেন?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামি লিগের একজন বর্ষীয়ান নেতা জানান, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া এমন সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে কী করে বেড়াচ্ছে তা গোটা দুনিয়ার সামনে প্রতিফলিত হল। ভারতেরই এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে ওই নেতা বলেছেন, ‘‘আওয়ামি লিগের কর্মীরা এখনও ঐক্যবদ্ধ এবং যখনই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা হবে, তখনই তাঁরা লড়াই শুরু করবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আমাদের পথপ্রদর্শক। আমরা তাঁকে কোনওদিনই ছেড়ে যাব না। আমরা আমাদের দেশকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ছেড়েও দেব না। আমাদের জনগণ জানে শেখ হাসিনা দেশের জন্য ঠিক কি কি কাজ করেছেন এবং তিনি এখনও বিপুল বাংলাদেশির সমর্থন পান।’’

    নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন হাসিনা

    প্রসঙ্গত, জামাত-বিএনপির চক্রান্তে বাংলাদেশের গণভবন দখল করার দিনই সেদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।তিনি তড়িঘড়ি রওনা দেন ভারতের উদ্দেশে। বর্তমানে ৮ মাস ধরে তিনি নির্বাসিত হয়ে রয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে। অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ এখনও পর্যন্ত তাঁর দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলেছেন এবং কিভাবে আওয়ামি লিগকে আরও সংঘটিত করা যায়, সেদিকেই মন দিয়েছেন। তাঁর সহকর্মী এবং দলের কর্মীদের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে একাধিক পথ অবলম্বন করেছেন শেখ হাসিনা। ভারতেরও বিভিন্ন শহরে যেমন, দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরু এমনকী, বিদেশেও আওয়ামি লিগের বিভিন্ন সদস্যরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলেছেন এবং প্রয়োজনে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও সম্পন্ন করছেন তাঁরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে এমন খবরই প্রকাশ পেয়েছে।

    ভার্চুয়ালভাবে গড়ে উঠেছে গ্রুপ

    গত অগাস্ট মাসে রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের পরে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ শুরু করেন। তখন থেকেই আওয়ামি লিগে তাঁর বিশ্বস্ত কর্মীদের নিয়ে একটি তৈরি দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ তিনি রেখে চলেছেন বলে খবর। একই সঙ্গে ট্র্যাকিং এড়িয়ে নিরাপদ যোগাযোগ রাখতে ভিপিএন প্ল্যাটফর্ম তিনি ব্যবহার করছেন বলে খবর। এক ডজনেরও গ্রুপ ভার্চুয়ালি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এইগুলোতেই হাসিনা নিয়মিতভাবে নির্দেশ দেন তাঁর দলের কর্মী-সমর্থক এবং নেতাদের। যাঁরা তাঁর অত্যন্ত বিশ্বস্ত। জানা গিয়েছে, এই গ্রুপগুলিতে রয়েছেন নাগরিক সমাজের সদস্যরা।

    আওয়ামি লিগের বৈঠকগুলিতে কী নিয়ে আলোচনা?

    আওয়ামি লিগের এই সমস্ত গ্রুপগুলির বিভিন্ন মিটিংয়ে উঠে আসে মূলত ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা, আওয়ামি লিগের আগামী পরিকল্পনা, দলের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা, হাসিনার নির্দেশ। এই সমস্ত কিছুই আলোচনা করা হয় এই গ্রুপগুলির মাধ্যমে। এইভাবেই শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এখনও পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, সর্বসমক্ষে আওয়ামি লিগের বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে পাতাতেও শেখ হাসিনার প্রেস বিবৃতি সামনে আসে। এই ধরনের প্রেস বিবৃতি আওয়ামি লিগের কর্মীদের আরও উৎসাহিত করে বলে জানা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশে তহবিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে অনেকটাই মাইলেজ পেয়েছেন শেখ হাসিনা এবং ব্যাকফুটে গিয়েছেন নোবেল জয়ী তথা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বর্তমান বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার যে দ্বন্দ্ব চলছে সেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে এগিয়ে রেখেছে। কারণ তহবিল বন্ধের এমন সিদ্ধান্ত প্রতিফলিত করে যে বাংলাদেশের ঠিক কতটা রাজনৈতিক অস্থিরতা বজায় রয়েছে এবং সেখানে গণতান্ত্রিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। তাই ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশ সরকারের চূড়ান্ত তিরস্কার বলেই মনে করছেন অনেকে।

    মাঠে ফিরছে হাসিনার দল (Sheikh Hasina)

    এই আবহে উৎসাহী হাসিনার দল। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছে তারা। বাংলাদেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আওয়ামি লিগ। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউনূস সরকারের ইস্তফার দাবিতে গোটা বাংলাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে হাসিনা সরকার। সেদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামি লিগ। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দলীয় কর্মসূচির লিফলেট বিলি করবে তারা। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক।

  • Sheikh Hasina: ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি”, অডিও বার্তায় বিস্ফোরক হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি”, অডিও বার্তায় বিস্ফোরক হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামি লিগের সরকারের পতন হয় গত বছরের অগাস্টে। গত ৫ অগাস্ট বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। চলে আসেন ভারতে। সাময়িক আশ্রয় নেন এ দেশে। সেদিনের ঘটনা নিয়ে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের উদ্দেশে এক অডিও বার্তায় কেঁদে ফেললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল (Sheikh Hasina)

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি।” শুক্রবার রাতে আওয়ামি লিগের ভেরিফায়েড সমাজমাধ্যম হ্যান্ডল থেকে হাসিনার একটি ছোট অডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়। ৪৯ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপে ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়ার সময়ের কথা বর্ণনা করছিলেন তিনি। সেখানে হাসিনা জানান, ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনি এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে আমরা (হাসিনা এবং রেহানা) মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।” সেখানে হাসিনা আরও জানিয়েছেন, এ বারে তাঁর ‘বেঁচে যাওয়ার’ কথা ছিল না এবং তাঁকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’ করা হয়েছিল। এর পরেই দেশছাড়া হওয়ার দুঃখের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘আমার কষ্ট হচ্ছে, আমি আমার দেশছাড়া, ঘরছাড়া। সব কিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    হাসিনাকে প্রত্যর্পণ নিয়ে দিল্লির অবস্থান

    এ দিকে আওয়ামি লিগের সরকারের (Sheikh Hasina) পতনের পর দেশজুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। ভারত দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে মৌলবাদীরা। একইসঙ্গে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে। দেশে হাসিনা-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এই অবস্থায় হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক বার্তা (নোট ভার্বাল)-ও পাঠিয়েছে ঢাকা। কূটনৈতিক বার্তার প্রাপ্তিস্বীকার করলেও, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও দিল্লির তরফে জানানো হয়নি। 

    হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার আগে কেমন ছিল গণভবন?

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ ছাড়ার আগের কয়েক ঘণ্টা কেমন ছিল গণভবনের (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) পরিস্থিতি, তা নিয়ে গত বছরের অগাস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, হাসিনা চেয়েছিলেন দেশ ছাড়ার আগে জাতির উদ্দেশে একটি ভাষণ সম্প্রচার করতে। কিন্তু, ততক্ষণে আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশ ‘গণভবন’-এর দিকে এগোতে শুরু করে দিয়েছিলেন। শাহবাগ, উত্তরা থেকে কাতারে কাতারে ছাত্র-যুব আন্দোলনকারীর ভিড় এগিয়ে আসছিল। গোয়েন্দা সূত্রে সে খবর যায় গণভবনে থাকা বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের কাছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, উন্মত্ত জনতার দূরত্ব যা ছিল, তাতে আনুমানিক ৪৫ মিনিটের মধ্যেই ওই ভিড় গণভবনে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই সম্প্রচার করার জন্য হাসিনার ভাষণ রেকর্ডের আর ঝুঁকি নিতে চাননি বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। তাঁদের সংশয় ছিল, হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ড করার সময় দেওয়া হলে, পালানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় তিনি পেতেন না। তাই ৪৫ মিনিটের মধ্যেই হাসিনাকে দেশ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল বলে ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশ। হাসিনা রাজি হওয়ার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের প্রথমে হেলিকপ্টার ও পরে বিমানে করে ভারতে পাঠানো হয়।

    হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ (Bangladesh) সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। কারণ, এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: আইন মেনে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল দিল্লি

    Sheikh Hasina: আইন মেনে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে। দিল্লির ‘ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের’ (এফআরআরও) মাধ্যমে আবেদন করিয়ে ভারতে থাকার কাগজ বৈধ করে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের অভিবাসন দফতর শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

    মোদি সরকারের ভাবনা

    ভারত শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফিরিয়ে দেবে না বলে ‘ধরে নিয়েছে’ বাংলাদেশ। এই আবহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইস্যুতে কার্যত ‘হার মেনে’ নিয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। তবে তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে চাইছে। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়। সে দেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন। গোটা বিষয়টিকে নয়াদিল্লির উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই দেখেছে ভারত। 

    আরও পড়ুন: ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী ভি নারায়ণ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    বৈধ উপায়েই ভারতে হাসিনা

    উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক ‘নোট ভার্বাল’ দিয়ে দিল্লির কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার। দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’। কোনও অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের স্থায়ী সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, তার সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার (নোট ভার্বাল) উত্তর অবশ্যই দেওয়া হবে ‘যথাসময়ে’। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বার্তার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। আর সে কারণেই হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলেও জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। কিন্তু হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী ক্ষমতায় ইউনূস সরকার। ৫ অগাস্টের পর থেকেই আমূল বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ছবিটা। একে একে মুছে ফেলা হয়েছে হাসিনা আমলের সব চিহ্ন। ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ভবন থেকে স্থাপত্য সব মুছে ফেলতে উদ্যত বাংলাদেশের চরমপন্থী নেতারা। এই পরিস্থিতিতেই বিজয় দিবস পালন। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের দিন। তবে, মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ইউনূস সরকারের সমর্থনকারীদের হাতে আক্রান্ত হন আওয়ামি লিগের কর্মীরা।

    স্মৃতিসৌধে হাসিনার পাঠানো রক্তগোলাপ

    হাজার নজরদারি, মারধরের আতঙ্ক জয় করে ‘বিজয় দিবস’-এ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে (Bangladesh) গেরিলা কায়দায় ঢুকে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পক্ষ থেকে সবুজ পাতায় মোড়া রক্তগোলাপের স্তবক দিয়ে এলেন আওয়ামি লিগের কর্মীরা। দিনের বিভিন্ন সময়ে জনস্রোতে ভেসে বারে বারে দলের বিভিন্ন শাখা ও সংগঠনের কর্মীরা পৌঁছে যান জাতীয় স্মৃতিসৌধের চত্বরে। শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরেও যান নিভৃতে। চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা বা খুলনা- সর্বত্র শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে সবার আগে পৌঁছে গিয়ে দলের নাম লেখা ফুলের স্তবক রেখে ‘বিজয় দিবস’-এর শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন আওয়ামি কর্মীরা। এক্স হ্যান্ডলে বার্তাও দিয়েছেন হাসিনা।

    আওয়ামি লিগের কর্মীদের ওপর হামলা

    জানা গিয়েছে, দেশ (Bangladesh) জুড়ে যখন বিজয় দিবস পালন চলছে, তখন ঢাকার পল্টন ময়দান দাপিয়ে তখন জনসভা করছে জামাতে ইসলামি— একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর হানাদারির সঙ্গী হয়েছিল যারা। পরাজিত বাহিনীর সেই সঙ্গীরা এ দিন ‘বিজয় দিবস’ পালন করল বিজয়ের সঙ্গী ভারতের বিরুদ্ধে দফায় দফায় জিগির তুলে। তার পরে মোটরবাইক মিছিল সামনে রেখে রাজপথ কাঁপিয়ে শোভাযাত্রা করে জামাত ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলি। হাতে হাতে তাদের ধর্মীয় পতাকা। এ দিন সকালে কিছু তরুণ ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হলে সরকার সমর্থিত কিছু সশস্ত্র যুবক পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের প্রচণ্ড মারধর করে। এর পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জানায়, আওয়ামি লিগের এই কর্মীরা মিছিল করার চেষ্টায় ছিল।

    কী বললেন ইউনূস?

    অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের ‘লক্ষ লক্ষ শহিদ’কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। এমনকি, যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের জন্ম, তার নামও নেননি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। কারণ, পাকিস্তান এখন এই সরকারের বন্ধু দেশ। ইউনূসের ‘বিজয় দিবস’-এর বক্তৃতা জুড়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনের জয়গান। সঙ্গে আওয়ামি লিগকে তীব্র আক্রমণ তিনি।

    হাসিনা পুত্র কী বললেন?

    এদিনই এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে (Bangladesh) বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে পোস্ট করলেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। হাসিনা-পুত্র লিখেছেন, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়ে গণহত্যা চালানো যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিরা আজ অবৈধ সরকারের সান্নিধ্যে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখা বয়োজ্যেষ্ঠদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বহনকারী প্রতীকগুলো বিনা বাধায় ধ্বংস করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান এখনও ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে অনীহা প্রকাশ করে চলেছে। স্বাধীনতা, পতাকা, সার্বভৌমত্ব এবং মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা দলকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হচ্ছে। তবে গত পাঁচ দশকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একই ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু এই দেশের জনগণ সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে পরাজিত করেছিল। এ বিজয় দিবসে আমার আহ্বান হল– সব বিভেদ ভুলে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংসের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জয় বাংলা!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘জঙ্গিদের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে …’’, সাধের বাংলাদেশ নিয়ে শঙ্কিত হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘জঙ্গিদের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে …’’, সাধের বাংলাদেশ নিয়ে শঙ্কিত হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধের বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) নিয়ে উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’-এ হাসিনার বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ। আর এই বিবৃতিতে ১৯৭১ সালের ইতিহাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের আজকের পরিস্থিতি নিয়েও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশ ক্রমশ জঙ্গিদের লীলাভূমিতে পরিণত হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    শহিদ স্মরণ হাসিনার (Sheikh Hasina)

    শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস বর্ণনা করে এই বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে।” নিজের বক্তব্যের শেষ অংশে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) লিখেছেন, “জাতির এক গভীর সংকটময় মুহূর্তে এ বছর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধী এবং বুদ্ধিজীবী নিধনকারীদের দোসররা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত আওয়ামি লিগ সরকারকে হঠিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে।”

    হাসিনার হুঙ্কার

    বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)  নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই হাসিনার (Sheikh Hasina) সংযোজন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতে ইসলামি-সহ ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ধ্বংস করেছে। প্রিয় দেশকে জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে এই নিধনকারীদের দোসররা।” শেখ হাসিনার এই বিবৃতি সামনে আসার পর কূটনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। এই পোস্টে কোথাও সরাসরি শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকার বা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) নাম নেননি তিনি। তবে তাঁর নিশানায় যে ইউনূসই, তা একপ্রকার স্পষ্ট বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসিনার (Sheikh Hasina) হুঙ্কার, “স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এসব অপকর্ম বীর বাঙালি কোনদিন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। এদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: মুজিবের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও খারিজ! বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলতে মরিয়া ইউনূস

    Bangladesh: মুজিবের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও খারিজ! বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলতে মরিয়া ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একে একে বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। তাঁর মূর্তিতে পড়েছে হাতুড়ি। কালি লেপে দেওয়া হয়েছে মুজিবুরের ছবিতে। এবার বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ‘জয় বাংলা’। এই স্লোগানও খারিজ করল বাংলাদেশের (Bangladesh) সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের ২০২০ সালের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।

    ইউনূস সরকারের আবেদনে শিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের! (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। সেই রায় স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মহম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধানে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বাংলা দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বেঞ্চ এই রায় দেন। ডেইলি স্টার সূত্রে খবর, সরকার পক্ষের হয়ে সওয়াল করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আর বাংলাদেশের জাতীয় হিসেবে বিবেচিত হবে না। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তাদের টাকা থেকেও বঙ্গবন্ধুর মুখ সরিয়ে ফেলতে চায়। সেই প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ প্রায়। একে একে বদলে যাবে বাংলাদেশের নোটগুলি। বঙ্গবন্ধুর ছবির বদলে সেখানে আসবে জুলাই বিদ্রোহ (২০২৪) এর বিভিন্ন গ্রাফিতি।

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    হাসিনাকে ফেরতের দাবি!

    ভারতের আশ্রয়ে থেকে লাগাতার ভার্চুয়াল সভা করে চলেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি-সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। রবিবারও পরোক্ষে কামব্যাকের ইঙ্গিত দিয়েই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বাংলাদেশের মাটিতেই খুনি মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ ইউনূসের বিচার হবে।’’ ঘটনাচক্রে রবিবার রাতেই ইউনূসের প্রেস-সচিব দাবি করেছেন, হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফেরাতে নতুন করে কোমর বাঁধছে ঢাকা। স্রেফ কিছু আইনি প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের যে প্রত্যপর্ণ চুক্তি রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কিছু আইনি প্রক্রিয়া বাকি আছে। তা শেষ হলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে অ্যাপ্রোচ করা হবে।’’

    সূত্রের দাবি, সোমবার ঢাকা সফররত ভারতীয় বিদেশসচিবের কাছে হাসিনা-প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ইউনূস সরকারের বিদেশসচিব মহম্মদ জসিম উদ্দিন। কিন্তু হাসিনাকে নিয়ে হঠাৎ এত তৎপর কেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, হাসিনার একের পর এক ভার্চুয়াল ভাষণ হিট হচ্ছে দেখেই চাপে ইউনূস সরকার। খুব সম্ভবত নিজেদের বিপদ আঁচ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নেপথ্যে থেকে উস্কানি দিচ্ছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। জানা গিয়েছে, রবিবার ঢাকার মৌলবী বাজারে এক আওয়ামি নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন দুই মহিলা। অভিযোগ উঠেছে, হাসিনার ভাষণ শেষে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই বাড়িতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে আঙুল তুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিবুর-কন‍্যার দাবি, “কোনও কোটা ছিল না। সব দাবি মানা হয়েছিল। কিন্তু, দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন চলে? এই আন্দোলনে কোনও নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে এটা যে গভীর চক্রান্ত, তা বোঝা যাচ্ছিল। লাশ চাইনি আমি, তাই সরতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। হিন্দু-সংখ্যালঘুদর উপর নির্বিচারে আক্রমণ করা হচ্ছে। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।” রবিবার ব্রিটেনের এক সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতায় এমনই দাবি করলে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    অশান্ত বাংলাদেশে এখন অরাজকতা

    ব্রিটেনে আওয়ামি লিগের সমর্থকরা রবিবার একটি সভার আয়োজন করেছিল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই সভাতেই ভাষণ দিলেন হাসিনা। সভায় হাসিনা দাবি করেন, বাংলাদেশে এখন ‘অরাজকতা’ চলছে। নাগরিকদের কোনও শান্তি নেই সেখানে। তাঁর কথায়, ‘‘ঘরে শান্তিতে ঘুমোনোর উপায় নেই। চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনও সময় তদন্ত হতে পারে। এই তদন্তের নির্দেশ কে দিচ্ছেন?’’ এদিন লন্ডনে ওই অনুষ্ঠানে বহু মানুষ জমায়েত হন। হাসিনা বলেন, “আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এখন বাংলাদেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত মানুষ। বাংলাদেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশ জ্বলছে।” 

    আওয়ামি লিগ যেভাবে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে, সেকথা তুলে ধরেন হাসিনা। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলাম। আমি মানুষের জীবন নিতে আসিনি। আমি মানুষের জীবন উন্নত করেছি। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি বলেই আমাকে এখন বিচারের কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করছে।” আওয়ামি লিগের গণসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র লিগ’ হাসিনার এই বক্তৃতার ভিডিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছে। 

    সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার

    সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রান্ত হন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। হাসিনার এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আইনজীবী পর্যন্ত দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। অথচ কেউ আইনজীবী দাঁড় করাতে না পারলে সরকারের তরফে আইনজীবী দেওয়া দরকার।” বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশাবাদী হাসিনা। 

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    হাসিনা এ-ও দাবি করেছেন, জনবিক্ষোভের সময় তিনি ‘শক্তি প্রয়োগ’ করেননি। যদি তা করতেন, তা হলে বহু মানুষের প্রাণ যেত। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শক্তি প্রয়োগ করলে লাশ পড়ত। আমি চাইনি মানুষের প্রাণ যাক। পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।’’ এর পরেই নোবেলজয়ী ইউনূসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ইউনূস মাস্টারমাইন্ড, খুনি, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী। আবু সঈদের হত্যার জন্য এই মাস্টারমাইন্ডরাই দায়ী। তাঁরা চেয়েছিলেন, লাশ ফেল, তা হলে সরকার পড়ে যাবে।’’ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে? কেন মন্দির, গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে? তবে, এই কালো দিন দূর হবে বলেই আশা হাসিার। তিনি বলেন, “এই অন্ধকার কেটে যাবে। নতুন সূর্যের উদয় হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে মমতার সঙ্গে তুলনা টানলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে মমতার সঙ্গে তুলনা টানলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে, তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে ইউনূস সরকারের সময়সীমা জানুয়ারি পর্যন্ত বেঁধে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তালিবানি সরকার চলছে। পাকিস্তানকে সরাতে দেড় বছর সময় লেগেছে ১৯৭১ সালে। এখন তো মাত্র চার মাস হয়েছে এই সরকারের। জানুয়ারির শেষ অবধি অপেক্ষা করুন। তালিবানি সরকার সংবিধান বদলানোর চেষ্টা করছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আমাদের আজ রানি রাসমণিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হচ্ছে। ওপারের সরকার যা, এপারের রাজ্য সরকার তা।’’

    বাংলাদেশ ইস্যুতে গতকালই মমতাকে তোপ দাগেন শুভেন্দু

    গতকালই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পেট্রাপোলের সভা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওরা বাংলাদেশিদের খাবার বন্ধ করতে গিয়েছে।’’ তারই জবাবে চাঁচাছোলা ভাষায় মমতাকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ভারতের পতাকায় যারা পা দিয়েছে, শুধু খাবার না, তাদের আর কী কী বন্ধ করি আপনারা দেখুন। ওদের চিকিৎসাও বন্ধ করে দেব। দেশ আগে। মুখ্যমন্ত্রী দেশের মর্ম বোঝেন না বলে এই ধরণের কথা বলেন।’’ এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমার পরিবারের বিপিন অধিকারী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে ৮ বছর জেলে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। আমার মা ৬০ সালে বরিসাল থেকে এখানে এসেছিলেন। আমি অত্যাচার জানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে স্বাধীনতার মর্ম বুঝবেন?’’

    গত অগাস্ট  থেকে বেড়েছে হিন্দুদের ওপর হামলা

    গত অগাস্ট মাস থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট চলেছে। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। চলছে ধর্মান্তকরণ। এই আবহে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। ভারত সমেত আমেরিকা-ব্রিটেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share