Tag: Sheikh Hasina

Sheikh Hasina

  • Sheikh Hasina: ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি”, অডিও বার্তায় বিস্ফোরক হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি”, অডিও বার্তায় বিস্ফোরক হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামি লিগের সরকারের পতন হয় গত বছরের অগাস্টে। গত ৫ অগাস্ট বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। চলে আসেন ভারতে। সাময়িক আশ্রয় নেন এ দেশে। সেদিনের ঘটনা নিয়ে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের উদ্দেশে এক অডিও বার্তায় কেঁদে ফেললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল (Sheikh Hasina)

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি।” শুক্রবার রাতে আওয়ামি লিগের ভেরিফায়েড সমাজমাধ্যম হ্যান্ডল থেকে হাসিনার একটি ছোট অডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়। ৪৯ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপে ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়ার সময়ের কথা বর্ণনা করছিলেন তিনি। সেখানে হাসিনা জানান, ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনি এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে আমরা (হাসিনা এবং রেহানা) মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।” সেখানে হাসিনা আরও জানিয়েছেন, এ বারে তাঁর ‘বেঁচে যাওয়ার’ কথা ছিল না এবং তাঁকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’ করা হয়েছিল। এর পরেই দেশছাড়া হওয়ার দুঃখের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘আমার কষ্ট হচ্ছে, আমি আমার দেশছাড়া, ঘরছাড়া। সব কিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    হাসিনাকে প্রত্যর্পণ নিয়ে দিল্লির অবস্থান

    এ দিকে আওয়ামি লিগের সরকারের (Sheikh Hasina) পতনের পর দেশজুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। ভারত দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে মৌলবাদীরা। একইসঙ্গে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে। দেশে হাসিনা-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এই অবস্থায় হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক বার্তা (নোট ভার্বাল)-ও পাঠিয়েছে ঢাকা। কূটনৈতিক বার্তার প্রাপ্তিস্বীকার করলেও, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও দিল্লির তরফে জানানো হয়নি। 

    হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার আগে কেমন ছিল গণভবন?

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ ছাড়ার আগের কয়েক ঘণ্টা কেমন ছিল গণভবনের (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) পরিস্থিতি, তা নিয়ে গত বছরের অগাস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, হাসিনা চেয়েছিলেন দেশ ছাড়ার আগে জাতির উদ্দেশে একটি ভাষণ সম্প্রচার করতে। কিন্তু, ততক্ষণে আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশ ‘গণভবন’-এর দিকে এগোতে শুরু করে দিয়েছিলেন। শাহবাগ, উত্তরা থেকে কাতারে কাতারে ছাত্র-যুব আন্দোলনকারীর ভিড় এগিয়ে আসছিল। গোয়েন্দা সূত্রে সে খবর যায় গণভবনে থাকা বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের কাছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, উন্মত্ত জনতার দূরত্ব যা ছিল, তাতে আনুমানিক ৪৫ মিনিটের মধ্যেই ওই ভিড় গণভবনে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই সম্প্রচার করার জন্য হাসিনার ভাষণ রেকর্ডের আর ঝুঁকি নিতে চাননি বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। তাঁদের সংশয় ছিল, হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ড করার সময় দেওয়া হলে, পালানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় তিনি পেতেন না। তাই ৪৫ মিনিটের মধ্যেই হাসিনাকে দেশ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল বলে ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশ। হাসিনা রাজি হওয়ার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের প্রথমে হেলিকপ্টার ও পরে বিমানে করে ভারতে পাঠানো হয়।

    হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ (Bangladesh) সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। কারণ, এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: আইন মেনে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল দিল্লি

    Sheikh Hasina: আইন মেনে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে। দিল্লির ‘ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের’ (এফআরআরও) মাধ্যমে আবেদন করিয়ে ভারতে থাকার কাগজ বৈধ করে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের অভিবাসন দফতর শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

    মোদি সরকারের ভাবনা

    ভারত শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফিরিয়ে দেবে না বলে ‘ধরে নিয়েছে’ বাংলাদেশ। এই আবহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইস্যুতে কার্যত ‘হার মেনে’ নিয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। তবে তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে চাইছে। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়। সে দেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন। গোটা বিষয়টিকে নয়াদিল্লির উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই দেখেছে ভারত। 

    আরও পড়ুন: ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী ভি নারায়ণ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    বৈধ উপায়েই ভারতে হাসিনা

    উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক ‘নোট ভার্বাল’ দিয়ে দিল্লির কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার। দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’। কোনও অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের স্থায়ী সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, তার সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার (নোট ভার্বাল) উত্তর অবশ্যই দেওয়া হবে ‘যথাসময়ে’। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বার্তার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। আর সে কারণেই হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলেও জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। কিন্তু হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী ক্ষমতায় ইউনূস সরকার। ৫ অগাস্টের পর থেকেই আমূল বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ছবিটা। একে একে মুছে ফেলা হয়েছে হাসিনা আমলের সব চিহ্ন। ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ভবন থেকে স্থাপত্য সব মুছে ফেলতে উদ্যত বাংলাদেশের চরমপন্থী নেতারা। এই পরিস্থিতিতেই বিজয় দিবস পালন। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের দিন। তবে, মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ইউনূস সরকারের সমর্থনকারীদের হাতে আক্রান্ত হন আওয়ামি লিগের কর্মীরা।

    স্মৃতিসৌধে হাসিনার পাঠানো রক্তগোলাপ

    হাজার নজরদারি, মারধরের আতঙ্ক জয় করে ‘বিজয় দিবস’-এ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে (Bangladesh) গেরিলা কায়দায় ঢুকে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পক্ষ থেকে সবুজ পাতায় মোড়া রক্তগোলাপের স্তবক দিয়ে এলেন আওয়ামি লিগের কর্মীরা। দিনের বিভিন্ন সময়ে জনস্রোতে ভেসে বারে বারে দলের বিভিন্ন শাখা ও সংগঠনের কর্মীরা পৌঁছে যান জাতীয় স্মৃতিসৌধের চত্বরে। শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরেও যান নিভৃতে। চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা বা খুলনা- সর্বত্র শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে সবার আগে পৌঁছে গিয়ে দলের নাম লেখা ফুলের স্তবক রেখে ‘বিজয় দিবস’-এর শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন আওয়ামি কর্মীরা। এক্স হ্যান্ডলে বার্তাও দিয়েছেন হাসিনা।

    আওয়ামি লিগের কর্মীদের ওপর হামলা

    জানা গিয়েছে, দেশ (Bangladesh) জুড়ে যখন বিজয় দিবস পালন চলছে, তখন ঢাকার পল্টন ময়দান দাপিয়ে তখন জনসভা করছে জামাতে ইসলামি— একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর হানাদারির সঙ্গী হয়েছিল যারা। পরাজিত বাহিনীর সেই সঙ্গীরা এ দিন ‘বিজয় দিবস’ পালন করল বিজয়ের সঙ্গী ভারতের বিরুদ্ধে দফায় দফায় জিগির তুলে। তার পরে মোটরবাইক মিছিল সামনে রেখে রাজপথ কাঁপিয়ে শোভাযাত্রা করে জামাত ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলি। হাতে হাতে তাদের ধর্মীয় পতাকা। এ দিন সকালে কিছু তরুণ ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হলে সরকার সমর্থিত কিছু সশস্ত্র যুবক পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের প্রচণ্ড মারধর করে। এর পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জানায়, আওয়ামি লিগের এই কর্মীরা মিছিল করার চেষ্টায় ছিল।

    কী বললেন ইউনূস?

    অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের ‘লক্ষ লক্ষ শহিদ’কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। এমনকি, যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের জন্ম, তার নামও নেননি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। কারণ, পাকিস্তান এখন এই সরকারের বন্ধু দেশ। ইউনূসের ‘বিজয় দিবস’-এর বক্তৃতা জুড়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনের জয়গান। সঙ্গে আওয়ামি লিগকে তীব্র আক্রমণ তিনি।

    হাসিনা পুত্র কী বললেন?

    এদিনই এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে (Bangladesh) বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে পোস্ট করলেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। হাসিনা-পুত্র লিখেছেন, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়ে গণহত্যা চালানো যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিরা আজ অবৈধ সরকারের সান্নিধ্যে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখা বয়োজ্যেষ্ঠদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বহনকারী প্রতীকগুলো বিনা বাধায় ধ্বংস করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান এখনও ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে অনীহা প্রকাশ করে চলেছে। স্বাধীনতা, পতাকা, সার্বভৌমত্ব এবং মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা দলকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হচ্ছে। তবে গত পাঁচ দশকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একই ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু এই দেশের জনগণ সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে পরাজিত করেছিল। এ বিজয় দিবসে আমার আহ্বান হল– সব বিভেদ ভুলে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংসের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জয় বাংলা!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘জঙ্গিদের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে …’’, সাধের বাংলাদেশ নিয়ে শঙ্কিত হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘জঙ্গিদের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে …’’, সাধের বাংলাদেশ নিয়ে শঙ্কিত হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধের বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) নিয়ে উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’-এ হাসিনার বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ। আর এই বিবৃতিতে ১৯৭১ সালের ইতিহাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের আজকের পরিস্থিতি নিয়েও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশ ক্রমশ জঙ্গিদের লীলাভূমিতে পরিণত হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    শহিদ স্মরণ হাসিনার (Sheikh Hasina)

    শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস বর্ণনা করে এই বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে।” নিজের বক্তব্যের শেষ অংশে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) লিখেছেন, “জাতির এক গভীর সংকটময় মুহূর্তে এ বছর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধী এবং বুদ্ধিজীবী নিধনকারীদের দোসররা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত আওয়ামি লিগ সরকারকে হঠিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে।”

    হাসিনার হুঙ্কার

    বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)  নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই হাসিনার (Sheikh Hasina) সংযোজন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতে ইসলামি-সহ ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ধ্বংস করেছে। প্রিয় দেশকে জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে এই নিধনকারীদের দোসররা।” শেখ হাসিনার এই বিবৃতি সামনে আসার পর কূটনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। এই পোস্টে কোথাও সরাসরি শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকার বা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) নাম নেননি তিনি। তবে তাঁর নিশানায় যে ইউনূসই, তা একপ্রকার স্পষ্ট বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসিনার (Sheikh Hasina) হুঙ্কার, “স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এসব অপকর্ম বীর বাঙালি কোনদিন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। এদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: মুজিবের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও খারিজ! বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলতে মরিয়া ইউনূস

    Bangladesh: মুজিবের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও খারিজ! বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলতে মরিয়া ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একে একে বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। তাঁর মূর্তিতে পড়েছে হাতুড়ি। কালি লেপে দেওয়া হয়েছে মুজিবুরের ছবিতে। এবার বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ‘জয় বাংলা’। এই স্লোগানও খারিজ করল বাংলাদেশের (Bangladesh) সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের ২০২০ সালের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।

    ইউনূস সরকারের আবেদনে শিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের! (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। সেই রায় স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মহম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধানে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বাংলা দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বেঞ্চ এই রায় দেন। ডেইলি স্টার সূত্রে খবর, সরকার পক্ষের হয়ে সওয়াল করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আর বাংলাদেশের জাতীয় হিসেবে বিবেচিত হবে না। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তাদের টাকা থেকেও বঙ্গবন্ধুর মুখ সরিয়ে ফেলতে চায়। সেই প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ প্রায়। একে একে বদলে যাবে বাংলাদেশের নোটগুলি। বঙ্গবন্ধুর ছবির বদলে সেখানে আসবে জুলাই বিদ্রোহ (২০২৪) এর বিভিন্ন গ্রাফিতি।

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    হাসিনাকে ফেরতের দাবি!

    ভারতের আশ্রয়ে থেকে লাগাতার ভার্চুয়াল সভা করে চলেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি-সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। রবিবারও পরোক্ষে কামব্যাকের ইঙ্গিত দিয়েই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বাংলাদেশের মাটিতেই খুনি মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ ইউনূসের বিচার হবে।’’ ঘটনাচক্রে রবিবার রাতেই ইউনূসের প্রেস-সচিব দাবি করেছেন, হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফেরাতে নতুন করে কোমর বাঁধছে ঢাকা। স্রেফ কিছু আইনি প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের যে প্রত্যপর্ণ চুক্তি রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কিছু আইনি প্রক্রিয়া বাকি আছে। তা শেষ হলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে অ্যাপ্রোচ করা হবে।’’

    সূত্রের দাবি, সোমবার ঢাকা সফররত ভারতীয় বিদেশসচিবের কাছে হাসিনা-প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ইউনূস সরকারের বিদেশসচিব মহম্মদ জসিম উদ্দিন। কিন্তু হাসিনাকে নিয়ে হঠাৎ এত তৎপর কেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, হাসিনার একের পর এক ভার্চুয়াল ভাষণ হিট হচ্ছে দেখেই চাপে ইউনূস সরকার। খুব সম্ভবত নিজেদের বিপদ আঁচ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নেপথ্যে থেকে উস্কানি দিচ্ছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। জানা গিয়েছে, রবিবার ঢাকার মৌলবী বাজারে এক আওয়ামি নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন দুই মহিলা। অভিযোগ উঠেছে, হাসিনার ভাষণ শেষে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই বাড়িতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে আঙুল তুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিবুর-কন‍্যার দাবি, “কোনও কোটা ছিল না। সব দাবি মানা হয়েছিল। কিন্তু, দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন চলে? এই আন্দোলনে কোনও নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে এটা যে গভীর চক্রান্ত, তা বোঝা যাচ্ছিল। লাশ চাইনি আমি, তাই সরতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। হিন্দু-সংখ্যালঘুদর উপর নির্বিচারে আক্রমণ করা হচ্ছে। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।” রবিবার ব্রিটেনের এক সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতায় এমনই দাবি করলে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    অশান্ত বাংলাদেশে এখন অরাজকতা

    ব্রিটেনে আওয়ামি লিগের সমর্থকরা রবিবার একটি সভার আয়োজন করেছিল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই সভাতেই ভাষণ দিলেন হাসিনা। সভায় হাসিনা দাবি করেন, বাংলাদেশে এখন ‘অরাজকতা’ চলছে। নাগরিকদের কোনও শান্তি নেই সেখানে। তাঁর কথায়, ‘‘ঘরে শান্তিতে ঘুমোনোর উপায় নেই। চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনও সময় তদন্ত হতে পারে। এই তদন্তের নির্দেশ কে দিচ্ছেন?’’ এদিন লন্ডনে ওই অনুষ্ঠানে বহু মানুষ জমায়েত হন। হাসিনা বলেন, “আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এখন বাংলাদেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত মানুষ। বাংলাদেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশ জ্বলছে।” 

    আওয়ামি লিগ যেভাবে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে, সেকথা তুলে ধরেন হাসিনা। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলাম। আমি মানুষের জীবন নিতে আসিনি। আমি মানুষের জীবন উন্নত করেছি। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি বলেই আমাকে এখন বিচারের কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করছে।” আওয়ামি লিগের গণসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র লিগ’ হাসিনার এই বক্তৃতার ভিডিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছে। 

    সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার

    সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রান্ত হন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। হাসিনার এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আইনজীবী পর্যন্ত দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। অথচ কেউ আইনজীবী দাঁড় করাতে না পারলে সরকারের তরফে আইনজীবী দেওয়া দরকার।” বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশাবাদী হাসিনা। 

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    হাসিনা এ-ও দাবি করেছেন, জনবিক্ষোভের সময় তিনি ‘শক্তি প্রয়োগ’ করেননি। যদি তা করতেন, তা হলে বহু মানুষের প্রাণ যেত। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শক্তি প্রয়োগ করলে লাশ পড়ত। আমি চাইনি মানুষের প্রাণ যাক। পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।’’ এর পরেই নোবেলজয়ী ইউনূসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ইউনূস মাস্টারমাইন্ড, খুনি, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী। আবু সঈদের হত্যার জন্য এই মাস্টারমাইন্ডরাই দায়ী। তাঁরা চেয়েছিলেন, লাশ ফেল, তা হলে সরকার পড়ে যাবে।’’ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে? কেন মন্দির, গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে? তবে, এই কালো দিন দূর হবে বলেই আশা হাসিার। তিনি বলেন, “এই অন্ধকার কেটে যাবে। নতুন সূর্যের উদয় হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে মমতার সঙ্গে তুলনা টানলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে মমতার সঙ্গে তুলনা টানলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে, তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে ইউনূস সরকারের সময়সীমা জানুয়ারি পর্যন্ত বেঁধে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তালিবানি সরকার চলছে। পাকিস্তানকে সরাতে দেড় বছর সময় লেগেছে ১৯৭১ সালে। এখন তো মাত্র চার মাস হয়েছে এই সরকারের। জানুয়ারির শেষ অবধি অপেক্ষা করুন। তালিবানি সরকার সংবিধান বদলানোর চেষ্টা করছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আমাদের আজ রানি রাসমণিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হচ্ছে। ওপারের সরকার যা, এপারের রাজ্য সরকার তা।’’

    বাংলাদেশ ইস্যুতে গতকালই মমতাকে তোপ দাগেন শুভেন্দু

    গতকালই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পেট্রাপোলের সভা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওরা বাংলাদেশিদের খাবার বন্ধ করতে গিয়েছে।’’ তারই জবাবে চাঁচাছোলা ভাষায় মমতাকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ভারতের পতাকায় যারা পা দিয়েছে, শুধু খাবার না, তাদের আর কী কী বন্ধ করি আপনারা দেখুন। ওদের চিকিৎসাও বন্ধ করে দেব। দেশ আগে। মুখ্যমন্ত্রী দেশের মর্ম বোঝেন না বলে এই ধরণের কথা বলেন।’’ এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমার পরিবারের বিপিন অধিকারী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে ৮ বছর জেলে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। আমার মা ৬০ সালে বরিসাল থেকে এখানে এসেছিলেন। আমি অত্যাচার জানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে স্বাধীনতার মর্ম বুঝবেন?’’

    গত অগাস্ট  থেকে বেড়েছে হিন্দুদের ওপর হামলা

    গত অগাস্ট মাস থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট চলেছে। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। চলছে ধর্মান্তকরণ। এই আবহে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। ভারত সমেত আমেরিকা-ব্রিটেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হাসিনার বক্তব্য নাকি ‘বিদ্বেষমূলক’! সম্প্রচার নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল

    Bangladesh: হাসিনার বক্তব্য নাকি ‘বিদ্বেষমূলক’! সম্প্রচার নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাসিনার (Sheikh Hasina) বাক স্বাধীনতাতেই হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে পদক্ষেপ করল বাংলাদেশের (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার বক্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ করতে চাইছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন হাসিনা। তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল ইউনূস সরকার, এমন অভিযোগও তোলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। নিজের ভাষণে ইউনূসকে ‘অত্যাচারের মাস্টারমাইন্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন হাসিনা। এবার হাসিনার কণ্ঠরোধ করতে চেয়ে, তাঁকে ‘বিদ্বেষমূলক’ ভাষণ না দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    হাসিনার কণ্ঠরোধের চেষ্টা 

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে যাবতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁর (হাসিনার) ভাষণ সরিয়ে দিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) টেলিযোগাযোগ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত। প্রসঙ্গত, হাসিনা ওই আদালতে বিচারাধীন একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। একটি মামলাতে তাঁকে আদালতে পেশ করার জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশকে আগেই নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সম্প্রতি, ভার্চুয়াল মাধ্যমের একাধিক ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। হাসিনার ওই বক্তব্যকেই দেশ বিরোধী তকমা দিয়েছে ইউনূস সরকার। শেখ হাসিনার কোনও ধরনের বক্তব্য যাতে সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার না করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    নির্দেশ দেন বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদার 

    বৃহস্পতিবারই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ আদেশ দেয় শেখ হাসিনা বিদেশে বসে, দেশের নিন্দামন্দ করতে পারবেন না। আদালতে সরকার পক্ষের হয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলে, তা কীভাবে দেশদ্রোহিতা হতে পারে? আদালতের যুক্তি, জুলাই মাসে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা সহ আওয়ামি লিগের একাধিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাক্তন শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যার মতো অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই কারণেই নাকি হাসিনার মুখ বন্ধ করতে চাইছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: “বাংলাদেশে গণহত্যা ও হিন্দুদের টার্গেট করার মূল পরিকল্পনাকারী ইউনূস’’, তোপ হাসিনার

    Sheikh Hasina: “বাংলাদেশে গণহত্যা ও হিন্দুদের টার্গেট করার মূল পরিকল্পনাকারী ইউনূস’’, তোপ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশজুড়ে গণহত্যা ও বিশেষত সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করার মূল পরিকল্পনাকারী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)।” অন্তত এমনই অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি নিউইয়র্কে আওয়ামি লিগের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেই সময়ই তিনি নিশানা করেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ইউনূসকে। মন্দির, গির্জা এবং ইসকনের ওপর হামলার জন্য তিনি কাঠগড়ায় তোলেন ইউনূসকে।

    কী বললেন হাসিনা? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইউনূস ছাত্র সমন্বয়কারীদের নিয়ে একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাসিনার এহেন মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে। সেই সময় তিনি নিশানা করলেন ইউনূসকে। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান হাসিনা (Sheikh Hasina)। আশ্রয় নেন ভারতে। বলেন, “আজ আমায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাস্তবে, মহম্মদ ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কারীদের নিয়ে সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন।”

    গণহত্যা চাইনি

    তিনি বলেন, “আমার কট্টর বিরোধী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান লন্ডন থেকে বলেছেন যে, যদি মৃত্যুর ঘটনা চলতে থাকে তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশি দিন টিকবে না।” হাসিনা বলেন, “আমি কোনও গণহত্যা চাইনি। আমি যদি ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইতাম, তাহলে তা ঘটতে পারত।” তিনি বলেন, “যখন মানুষ নির্বিচারে মারা যাচ্ছিল, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি চলে যাব, ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন নেই। যদি নিরাপত্তা কর্মীরা গুলি চালাত, তাহলে গণভবনে অনেক মানুষ মারা যেত। আমি তা চাইনি।”

    আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বাংলাদেশে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রমেন রায়

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদল সশস্ত্র লোক গণভবনে এসেছিল। আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যেভাবে আমার বাবা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই।” তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “২৫-৩০ মিনিটের মধ্যেই আমি দেশ ছেড়েছিলাম। আমার নিরাপত্তা কর্মীদের বলেছিলাম গুলি চালাবেন না (Muhammad Yunus)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে ইউনূসকেও’’, চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানালেন হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে ইউনূসকেও’’, চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানালেন হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) বারবার হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এক আইনজীবীর মৃত্যুতেও উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশের রঙপুর সহ একাধিক জায়গা। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সঙ্গে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তিরও দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। নিজের বিবৃতিতে হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে ‘অসংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ বলেও উল্লেখ করলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের প্রতি শেখ হাসিনার এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।” সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছেন মুজিব-কন্যা। সব শেষে তিনি বলেছেন,নৈরাজ্যবাদী ক্রিয়াকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিজের বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেছেন শেখ হাসিনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ইউনূস প্রশাসন বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তোপ ইউনূস সরকারকে (Sheikh Hasina)

    বৃহস্পতিবার আওয়ামি লিগের তরফে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। সেখানে দাবি করা হয় শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এই দুই ঘটনা প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতি অনুযায়ী শেখ হাসিনা বলেছেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বার করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। আর তাঁকে এ ভাবে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসবাদী। তারা যেই হোক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে।” তিনি আরও বলেন, “অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার যদি এই সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাঁকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশবাসীর প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share