Tag: Sheikh Hasina

Sheikh Hasina

  • Bangladesh: হাসিনার বক্তব্য নাকি ‘বিদ্বেষমূলক’! সম্প্রচার নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল

    Bangladesh: হাসিনার বক্তব্য নাকি ‘বিদ্বেষমূলক’! সম্প্রচার নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাসিনার (Sheikh Hasina) বাক স্বাধীনতাতেই হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে পদক্ষেপ করল বাংলাদেশের (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার বক্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ করতে চাইছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন হাসিনা। তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল ইউনূস সরকার, এমন অভিযোগও তোলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। নিজের ভাষণে ইউনূসকে ‘অত্যাচারের মাস্টারমাইন্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন হাসিনা। এবার হাসিনার কণ্ঠরোধ করতে চেয়ে, তাঁকে ‘বিদ্বেষমূলক’ ভাষণ না দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    হাসিনার কণ্ঠরোধের চেষ্টা 

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে যাবতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁর (হাসিনার) ভাষণ সরিয়ে দিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) টেলিযোগাযোগ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত। প্রসঙ্গত, হাসিনা ওই আদালতে বিচারাধীন একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। একটি মামলাতে তাঁকে আদালতে পেশ করার জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশকে আগেই নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সম্প্রতি, ভার্চুয়াল মাধ্যমের একাধিক ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। হাসিনার ওই বক্তব্যকেই দেশ বিরোধী তকমা দিয়েছে ইউনূস সরকার। শেখ হাসিনার কোনও ধরনের বক্তব্য যাতে সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার না করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    নির্দেশ দেন বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদার 

    বৃহস্পতিবারই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ আদেশ দেয় শেখ হাসিনা বিদেশে বসে, দেশের নিন্দামন্দ করতে পারবেন না। আদালতে সরকার পক্ষের হয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলে, তা কীভাবে দেশদ্রোহিতা হতে পারে? আদালতের যুক্তি, জুলাই মাসে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা সহ আওয়ামি লিগের একাধিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাক্তন শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যার মতো অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই কারণেই নাকি হাসিনার মুখ বন্ধ করতে চাইছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: “বাংলাদেশে গণহত্যা ও হিন্দুদের টার্গেট করার মূল পরিকল্পনাকারী ইউনূস’’, তোপ হাসিনার

    Sheikh Hasina: “বাংলাদেশে গণহত্যা ও হিন্দুদের টার্গেট করার মূল পরিকল্পনাকারী ইউনূস’’, তোপ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশজুড়ে গণহত্যা ও বিশেষত সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করার মূল পরিকল্পনাকারী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)।” অন্তত এমনই অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি নিউইয়র্কে আওয়ামি লিগের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেই সময়ই তিনি নিশানা করেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ইউনূসকে। মন্দির, গির্জা এবং ইসকনের ওপর হামলার জন্য তিনি কাঠগড়ায় তোলেন ইউনূসকে।

    কী বললেন হাসিনা? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইউনূস ছাত্র সমন্বয়কারীদের নিয়ে একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাসিনার এহেন মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে। সেই সময় তিনি নিশানা করলেন ইউনূসকে। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান হাসিনা (Sheikh Hasina)। আশ্রয় নেন ভারতে। বলেন, “আজ আমায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাস্তবে, মহম্মদ ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কারীদের নিয়ে সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন।”

    গণহত্যা চাইনি

    তিনি বলেন, “আমার কট্টর বিরোধী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান লন্ডন থেকে বলেছেন যে, যদি মৃত্যুর ঘটনা চলতে থাকে তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশি দিন টিকবে না।” হাসিনা বলেন, “আমি কোনও গণহত্যা চাইনি। আমি যদি ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইতাম, তাহলে তা ঘটতে পারত।” তিনি বলেন, “যখন মানুষ নির্বিচারে মারা যাচ্ছিল, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি চলে যাব, ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন নেই। যদি নিরাপত্তা কর্মীরা গুলি চালাত, তাহলে গণভবনে অনেক মানুষ মারা যেত। আমি তা চাইনি।”

    আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বাংলাদেশে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রমেন রায়

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদল সশস্ত্র লোক গণভবনে এসেছিল। আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যেভাবে আমার বাবা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই।” তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “২৫-৩০ মিনিটের মধ্যেই আমি দেশ ছেড়েছিলাম। আমার নিরাপত্তা কর্মীদের বলেছিলাম গুলি চালাবেন না (Muhammad Yunus)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে ইউনূসকেও’’, চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানালেন হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে ইউনূসকেও’’, চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানালেন হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) বারবার হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এক আইনজীবীর মৃত্যুতেও উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশের রঙপুর সহ একাধিক জায়গা। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সঙ্গে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তিরও দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। নিজের বিবৃতিতে হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে ‘অসংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ বলেও উল্লেখ করলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের প্রতি শেখ হাসিনার এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।” সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছেন মুজিব-কন্যা। সব শেষে তিনি বলেছেন,নৈরাজ্যবাদী ক্রিয়াকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিজের বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেছেন শেখ হাসিনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ইউনূস প্রশাসন বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তোপ ইউনূস সরকারকে (Sheikh Hasina)

    বৃহস্পতিবার আওয়ামি লিগের তরফে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। সেখানে দাবি করা হয় শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এই দুই ঘটনা প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতি অনুযায়ী শেখ হাসিনা বলেছেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বার করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। আর তাঁকে এ ভাবে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসবাদী। তারা যেই হোক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে।” তিনি আরও বলেন, “অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার যদি এই সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাঁকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশবাসীর প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Awami League: বাংলাদেশে এখনই নিষিদ্ধ নয় আওয়ামি লিগ, কোন আশঙ্কায় পিছিয়ে গেলেন ইউনূস?

    Awami League: বাংলাদেশে এখনই নিষিদ্ধ নয় আওয়ামি লিগ, কোন আশঙ্কায় পিছিয়ে গেলেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে (Awami League)। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার আইনি রাস্তায় হাঁটা শুরু করেও তা স্থগিত রাখল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। এ জন্য যে আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রক, বুধবার ঢাকায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সেটি অনুমোদন করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান বদলের ফলে আওয়ামি লিগ জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত। 

    কী বলছে অন্তর্বর্তী সরকার

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে গত ১৮ নভেম্বর সরকারের তরফে আইন সংশোধনের যে খসড়া জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন খুন, গুম, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিল করা যাবে। কিন্তু বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে বলেন, ‘‘আদালত যদি মনে করে, তা হলে মানবতা বিরোধী অপরাধে কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু সরাসরি কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।’’ ওয়াকিবহাল মহলের খবর, আওয়ামি লিগকে (Awami League) নিষিদ্ধ করার দাবি পূরণের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে বারে বারে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তা বাস্তবায়নেই ওই আইনটি সংশোধনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ইউনূস প্রশাসন আপাতত ওই পথে হাঁটছে না।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    কেন পিছিয়ে গেলেন ইউনূস?

    বিএনপি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগে আপত্তি তুলেছে। বিএনপি-সহ অন্য দলগুলির আশঙ্কা, শেখ হাসিনার পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হলে তাতে আওয়ামি লিগের (Awami League) পুনরুজ্জীবন সহজ হয়ে যেতে পারে। অন্য নাম নিয়ে তারা নির্বাচনের ময়দানে বাকিদের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ভয়ে আছে ইউনূস সরকারের। ট্রাম্প প্রশাসন কিছুতেই আওয়ামি লিগের মতো প্রতিষ্ঠিত পুরনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগে সায় দেবে না অনুমান করে পিছিয়ে গেলেন ইউনূস। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস আগেই জানিয়েছেন, তিনি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন। নির্বাচনে মানুষ তাদের বর্জন করলে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। বিষয়টি দেশবাসীর উপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muhammad Yunus: শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতকে করা হবে আবেদন, জানালেন ইউনূস

    Muhammad Yunus: শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতকে করা হবে আবেদন, জানালেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ভারত থেকে প্রত্যর্পণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, রবিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমনটাই ঘোষণা করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত জুলাই মাসের শুরু থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সেই আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ওইদিনই বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পৌঁছান হাসিনা। এরপরেই জামাত-বিএনপির সক্রিয় মদতে দখল হয় হাসিনার বাসভবন। রবিবার ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের সব অপকর্মের বিচার করা হবে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। জুলাই-অগাস্টে বাংলাদেশে সংঘর্ষে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে ইউনূস (Muhammad Yunus) বলেন, ‘‘জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব আমরা।’’

    প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হলেই নির্বাচন জানালেন ইউনূস (Muhammad Yunus)

    বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে গত ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। প্রধান উপদেষ্টা করা হয় মহম্মদ ইউনূসকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে রবিবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইউনূস। ৪০ মিনিটের ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হলেই দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।’’

    জামাত-বিএনপির লেখা ভাষণ পড়ছেন ইউনূস (Muhammad Yunus)! 

    তারপরই শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন ইউনূস। হাসিনার বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি আরও জানান, ১৫ বছরে বহু জনকে গুম করে খুন করা হয়েছে। এতে যারা জড়িত, তারা কোনওভাবেই ছাড় পাবে না বলে জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। অনেকেই বলছেন, জামাত-বিএনপির লিখে দেওয়া ভাষণই বর্তমানে শোনা যাচ্ছে ইউনূসের মুখে। তাই বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনাকেও তিনি অতিরঞ্জিত বলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: উগ্রবাদ দমনে ভালো কাজ করেছিলেন হাসিনা, অভিমত লিসা কার্টিসের

    Bangladesh Crisis: উগ্রবাদ দমনে ভালো কাজ করেছিলেন হাসিনা, অভিমত লিসা কার্টিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে উগ্রবাদ। তা নিয়ে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগে, তা জানা গিয়েছে নানা সময়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আগেই। এবার উদ্বেগের সুর শোনা গেল হোয়াইট হাউসের ভূতপূর্ব এক কর্ত্রীর মুখেও।

    কী বলছেন লিসা কার্টিস (Bangladesh Crisis)

    লিসা কার্টিস নামের ওই কর্ত্রী বলেন, “ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ (পড়ুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এটি (উগ্রবাদ) নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি ভালো কাজ করেছিলেন।” ট্রাম্প যখন প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন লিসা ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা। ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর ছিলেন লিসা।

    উদ্বেগে লিসাও

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং তার পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।” বৃহস্পতিবার লিসা বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সঙ্কটময় সময়ের (Bangladesh Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পতন এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের প্রচেষ্টার ফলে অনেক আশা দেখা দিয়েছে। মানুষ আশাবাদী যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।” সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো দেশ ছাড়তেই শুরু হয় হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলা। ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন মহম্মদ ইউনূস। তিনিই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

    আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লিসা বলেন, “তার পরেও অনেক উদ্বেগ রয়েছে। কিছু ইসলামী চরমপন্থীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Crisis)। কিছু সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টানদের ওপর আক্রমণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের একটি ইতিহাস দেখেছি। ২০১৬ সালে আপনারা হোলি (আর্টিজান) বেকারি আক্রমণ দেখেছেন। এটি একটি খুবই গুরুতর ঘটনা। বাংলাদেশে কিছু আইসিস উপাদানও ছিল। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশে চরমপন্থী সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করেছেন।”

    লিসা বলেন, “এটি এই অঞ্চলের, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কারও পক্ষেই ভালো হবে না। আমরা এখন বাংলাদেশে একটি সংবেদনশীল (Bangladesh Crisis) সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তাই যদিও এটি (নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট) ট্রাম্পের প্রথম অগ্রাধিকার নাও হতে পারে, তবে আমি মনে করি যা ঘটছে তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে প্রেসিডেন্টকে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না, ইউনূসদের কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার

    Bangladesh: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না, ইউনূসদের কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (United state) বিপুল জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতর বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, কোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না। প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সেদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তিন দফায় বাংলাদেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডও বাতিল করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, এমনটাই অভিযোগ। এনিয়ে আমেরকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘‘আমরা চাই সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’’

    বাইডেন সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইউনূস সরকার

    জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকার (United state) ইউনূসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতার পালাবদল হয়, জামাত-বিএনপির সহায়তায় ক্ষমতার মসনদে বসেন ইউনূস। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছিল আমেরিকার বিদেশ দফতর। কিন্তু ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এডিটর কাউন্সিলও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এনিয়ে তারা প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। ঢাকা ট্রাইবুনাল নিউজ পেপার এই ঘটনায় প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ১৬৭ জন সাংবাদিককে প্রেস কার্ড বাতিল করেছে ইউনূস সরকার। এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অনভিপ্রেত এবং অগণতান্ত্রিক।

    কী বলছেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র? 

    বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সরকার বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্পর্কে কেমন অবস্থান নিতে চলেছে, তা বিদায়ী সরকারের বিদেশ নীতিতেই পরিষ্কার। সেই দিশানির্দেশ দেখিয়ে দিয়েছে বুধবার। শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সওয়াল নয়, ইউনূস সরকারকে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। ১০ নভেম্বর আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ধরপাকড়-হামলার প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের মন্তব্য— ‘‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারার অধিকারকে সমর্থন করি। আমেরিকা মনে করে, কোনও গণতন্ত্রিক পরিবেশের জন্য এগুলি অপরিহার্য।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে ইউনূস সরকার!

    Bangladesh Crisis: হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে ইউনূস সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। রবিবার এ কথা জানান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি অবশ্য সরাসরি হাসিনার নাম উল্লেখ করেননি।

    রেড কর্নার নোটিশ (Bangladesh Crisis)

    আসিফ বলেন, “জুলাই-অগাস্ট মাসে গণহত্যা চালিয়ে যাঁরা পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ধরতে আমরা শীঘ্রই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছি। এটি খুব দ্রুত হবে। তাঁরা যেখানেই থাকুন না কেন, আমরা তাঁদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ করব।” কাউকে খুঁজে পেতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে নোটিশ জারি করার অর্থ হল, ইন্টারপোলের সদস্য প্রতিটি রাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেওয়া।

    ইন্টারপোলের সাত রংয়ের নোটিশ

    ইন্টারপোলের সাত রংয়ের নোটিশ রয়েছে-লাল, নীল, হলুদ, কালো, সবুজ, কমলা এবং বেগুনি। এক এক রংয়ের নোটিশের এক এক রকম অর্থ। পলাতক কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দেশে ফেরাতে রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়। রেড কর্নার নোটিশ জারি হলে সদস্য রাষ্ট্রগুলির তদন্তকারী সংস্থা নিজ নিজ দেশে অভিযুক্তের খোঁজ চালায়।সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তার জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    তার পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টি ক্ষেত্রে দায়ের হয়েছে খুনের অভিযোগ। হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি হয় ১৭ অক্টোবর। তারপর থেকে হাসিনাকে দেশে ফেরাতে সেই অর্থে কড়া কোনও পদক্ষেপ করেনি সে দেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকার। এবার ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইউনূস সরকার।

    অক্টোবর মাসে এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আদালতের রায় ঘোষণা হলে আমরা ভারতের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করব।” তবে আদালতের রায়ের আগে এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা হবে না বলেও (Sheikh Hasina) ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis) ইউনূস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sheikh Hasina: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    Sheikh Hasina: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বুধবার, আওয়ামী লিগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।” তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) নেতৃত্বে বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। 

    ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা

    ট্রাম্প এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) জিততেই হাসিনার (Sheikh Hasina) দল, আওয়ামী লিগ নেত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়েছে। আওয়ামী লিগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের “অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী”র প্রশংসা করেছেন হাসিনা। তিনি আরও বলেছেন, এই রিপাবলিকান নেতার প্রতি অগাধ আস্থা রেখেছে মার্কিন জনগণ। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসও ট্রাম্পকে বুধবার বিকেলে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় নতুন সকাল! ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা সুন্দর পিচাই, ববি জিন্দালদের

    আওয়ামী লিগের সুদিন!

    রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্পের জয়ে হাসিনা (Sheikh Hasina) ও আওয়ামী লিগের সুদিন ফিরতে পারে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, হোয়াইট হাউস ফের রিপাবলিকানদের দখলে যাওয়ায় চাপে পড়লেন ইউনূস। তিনি ডেমোক্র্যাটদের ঘরের লোক বলে পরিচিত। তার উপর ভোটের মুখে ট্রাম্প (Donald Trump) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাইডেন। ট্রাম্প কিন্তু মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে এখন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চলছে। তিনি যে ইউনুসের সরকারকে ভাল চোখে দেখছেন না, তা এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে, হাসিনার তরফে এই শুভেচ্ছাবার্তা। আওয়ামী লিগ জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়, তাঁর সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা স্মরণ করেছেন শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক স্বার্থগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ফের একযোগে কাজ করার বিষয়ে তাঁর অঙ্গীকারও প্রকাশ করেছেন হাসিনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?”, জেলহত্যা দিবসে প্রশ্ন শেখ হাসিনার

    Sheikh Hasina: “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?”, জেলহত্যা দিবসে প্রশ্ন শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজকের অবরুদ্ধ বাংলাদেশ কারাগারের অন্ধকারে প্রকোষ্ঠে পরিণত হয়েছে।” মাস তিনেক মুখে কুলুপ এঁটে থাকার পর কথাগুলি বললেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশছাড়া শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। রবিবার বাংলাদেশে পালিত হয়েছে জেলহত্যা দিবস।

    কী বললেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    এদিন জারি করা এক বিবৃতিতে হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতিশীল রাজনীতি ও বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস ও বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।” তাঁর মতে, কিন্তু তার পরেও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। আরও একবার তা হবে। নভেম্বরের ৩ তারিখে গভীর রাতে মুক্তিযুদ্ধের চারজন প্রধান নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলি এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের একটি প্রকোষ্ঠে নিয়ে এসে বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়।

    দেশছাড়া হাসিনা

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে ৫ অগাস্ট দেশছাড়া হন হাসিনা। আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে তিনি (Sheikh Hasina) লেখেন, “দেশে বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা-বিরোধীরা ক্ষমতাসীন হয়েছে। স্বাধীনতা-বিরোধী অপশক্তি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার হামলা করছে। কিন্তু দিনের শেষে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।”

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পর ‘উধাও’ অন্তর্বাসে প্রতিবাদ জানানো ইরানের তরুণী, কোথায় গেলেন তিনি?

    হাসিনা বলেন, “সময়ের পরিক্রমায় এক দিন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের চেতনা চির জাগরূক থাকবে।” তাঁর প্রশ্ন, “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?” তিনি বলেন, “এখন শোক পালনের অধিকার নেই। আমি জাতির পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।” বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হত্যাকারীদের বিচারের বদলে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে, রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির যে কোনও (Bangladesh) ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share