Tag: Sheikh Hasina

Sheikh Hasina

  • Bangladesh Crisis: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    Bangladesh Crisis: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি। সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রধানমন্ত্রী।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

    বাংলাদেশ ছাড়লেন হাসিনা (Bangladesh Crisis)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই (Sheikh Hasina) অশান্ত বাংলাদেশ। তার জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তার পরেই দেশ ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। তবে জয়ের দাবি, তিনি প্রাক্তন নন। তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর বৃহস্পতিবারই শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান হয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী, অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ১৭। এহেন পরিস্থিতিতে জয়ের দাবি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঢেউ তুলবে বই কি!

    কী বললেন হাসিনা পুত্র

    জয় বলেন, “আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি। তিনি ভাষণ দেওয়া ও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল করে আসতে শুরু করেছিল। তাই সময় ছিল না। আমার মা নিজের ব্যাগ পর্যন্ত গোছাতে পারেননি।” এর পরেই হাসিনা-পুত্র বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    জয় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার আগেই যেভাবে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন এবং নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (Bangladesh Crisis) গঠন করা হয়েছে, তা অবৈধ। আদালতে এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানানো হলে আওয়ামি লিগেরই জয় হবে।” তিনি বলেন, “আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে। আওয়ামি লিগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে। আমি নিশ্চিত আওয়ামি লিগ ফের ক্ষমতায় আসবে। নিতান্তই তা না হলে বিরোধী আসনে বসবে।

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য দুদিন সময় চেয়েছিলেন হাসিনা। কিন্তু পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার জন্য তাঁকে সময় দেওয়া হয় মাত্র ৪৫ মিনিট। সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর প্রধান তাঁকে বলেছিলেন, ৪৫ মিনিটের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে (Sheikh Hasina) পারলে তবেই তাঁকে সুরক্ষা দিতে পারবেন তাঁরা (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    Bangladesh border: বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে ভিড়, ফাঁকা জায়গায় কাঁটাতার বসাতে তৎপর বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে মানুষের জীবন বিপন্ন। জামাত এবং বিএনপি সমর্থক গুন্ডাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh border) বাংলাদেশি হিন্দুদের ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। এই ভিড়ের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার। তাঁরা শরণার্থী হিসাবে হয়তো আশ্রয় চান ভারতে। একই ভাবে সেই দেশের জঙ্গিরাও অবৈধ অনুপ্রবেশ করে নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফ (BSF), এতদিন পর্যন্ত খোলা পড়ে থাকা বর্ডারগুলিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। প্রশাসন এবং বিএসএফ দ্রুত কদমে কাজ শুরু করেছে।

    ২২৪ কিমি সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে তোরজোড় (Bangladesh border)  

    সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ২২০০ কিলোমিটার জুড়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত (Bangladesh border) রয়েছে। তাঁর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৬০০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসেছে। বাকি যেখানে এখনও তার বসেনি, তার একটা বড় অংশ আবার নদী দিয়ে ঘেরা। এখন ২২৪ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর তোরজোড় চলছে। জমির বন্দোবস্ত করার চেষ্টাও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে ৪৩ কিমি এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। আবার মমতার মন্ত্রিসভা ২৬৭ কিমি জমি কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে। অপরদিকে, ১১২.৩ কিমি জমি কিনতে রাজ্যকে ২২১ কোটি টাকা সাহায্য পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরও ১৫৪ কিমি জমি কেনার হিসেব কেন্দ্রকে দিয়েছে রাজ্য। ফলে সীমান্তকে সুরক্ষিত করা বিএসএফের কাছে প্রাথমিক বিষয়। বাংলাদেশের অশান্ত এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রচুর জেলবন্দি দুষ্কৃতীরা ছাড়া পেয়েছে। ফলে জেএমবি বা আল-কায়েদা জঙ্গিরা যাতে অবাধে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই দিকের কথা মাথায় রেখে বিএসএফ (BSF) এই কোচবহার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা’’! হুমকি দিয়ে যুবক গ্রেফতার, মিলল জঙ্গি-যোগ

    হিন্দুদের সুরক্ষার বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারকে

    বাংলাদেশে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মোট ১৭ সদস্যের একটি নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে। প্রধান করা হয়েছে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই সেই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধদের টার্গেট করেছে মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা। আওয়ামি লিগের অবশ্য দাবি, সবটাই ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত শিবির এবং বিএনপির ষড়যন্ত্র। দেশে হিন্দুদের ধর্মীয়স্থল মন্দির, মঠে আগুন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। একাধিক জেলায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, ব্যবসার কেন্দ্রে ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে একাধিক জায়গার অত্যচার-আর্তনাদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তি সুরক্ষা করার বার্তা পাঠিয়েছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তকে (Bangladesh border) আরও সুরক্ষিত করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিএসএফ (BSF)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ২০৫টি সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা, ইউনূসকে খোলা চিঠি ঐক্য পরিষদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ২০৫টি সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা, ইউনূসকে খোলা চিঠি ঐক্য পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা পদত্যাগের পর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর। এবার সেই দেশের সংখ্যালঘুররা জোটবদ্ধ হয়ে সরব হয়েছেন। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিদায়ের পর বাংলাদেশের ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলার ২০৫টি ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে একটি খোলা চিঠিও দেওয়া হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নজরুল হামিদ মিলনায়তনে চিঠি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

    চিঠিতে কী লেখা রয়েছে? (Bangladesh Crisis)

    খোলা চিঠিটি ইউনূসকে একটি নতুন যুগের প্রধান হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় গভীর দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঐক্য পরিষদ। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, অনেক হিন্দু মন্দিরে (Bangladesh Crisis) আগুন দেওয়া হয়েছে এবং হাজার হাজার পরিবার বাড়়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। একাধিক স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং বহু নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই সময়ে অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও দুর্ভোগ সহ্য করেছে। ৫ অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক সাম্প্রদায়িক হিংসার ফলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা চরম আতঙ্ক, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তয় রয়েছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মহল নিন্দা জানিয়েছে। এই পরিস্থিতির অবিলম্বে অবসান দাবি করা হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের শপথ অনুষ্ঠান থেকে কোরান ছাড়া অন্য ধর্মগ্রন্থ বাদ দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    ৫২টি জেলায় হিন্দু নিপীড়নে ২০৫টি ঘটনা

    ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি যে এখন পর্যন্ত ৫২টি জেলায় (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু নিপীড়নের অন্তত ২০৫টি ঘটনা ঘটেছে। আমরা সুরক্ষা চাই। কারণ, আমাদের জীবন একটি বিপর্যয়পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা রাত জেগে আমাদের বাড়িঘর ও মন্দির পাহারা দিচ্ছি। এমন ঘটনা আমার জীবনে দেখিনি। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ বাদ দেওয়া আমাদের সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বৈষম্যবিরোধী। আমরা আশা করি যে, সমস্ত প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাধ্য না হলে কেউ তাদের বাড়ি, মন্দির বা তুলসী গাছ ছেড়ে যায় না। অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। আমিও এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছি।”  

    নিপীড়নে জড়িতদের শাস্তির দাবি

    কাউন্সিলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, “যারা সংখ্যালঘুদের (Bangladesh Crisis) নিপীড়নে জড়িত তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কোনও সংখ্যালঘু ব্যক্তির ওপর হামলা হলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।” প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য সুব্রত চৌধুরী বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়ন বন্ধ করার বিষয়ে অনেক কথা শুনেছি। কিন্তু, আমরা কোনও কার্যকর পদক্ষেপ দেখিনি। আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।” প্রেসিডিয়াম সদস্য রঞ্জন কর্মকার এবং বাসুদেব ধর উপস্থিত ছিলেন পরিষদের বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রবাসীদের প্রতিবাদ মিছিল লন্ডনে

    Bangladesh Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রবাসীদের প্রতিবাদ মিছিল লন্ডনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে একের পর এক মন্দির। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অসহায় হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন বাংলাদেশি (Bangladesh Protest Rally) ও ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে মৌলবাদী গোষ্ঠীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের (London) রাজপথে প্ল্যাকার্ড হাতে শত শত মানুষ সামিল হন।

    প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ (Bangladesh Protest Rally)

    বাংলাদেশি (Bangladesh Protest Rally) এবং ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা আইকনিক বিগ বেনের কাছে জড়ো হন। সেখান থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে এগিয়ে যান। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করার দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে সরব হন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও যোগ দিয়েছিলেন। সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। বিশেষ করে, হিন্দুরা যাঁরা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশজুড়ে গণহত্যার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। মিছিলে প্রতিবাদকারীদের হাতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করার প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা ৫ অগাস্ট সারা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ৪০টিরও বেশি ঘটনার একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    বিক্ষোভকারীরা কী বললেন?

    প্রতিবাদ মিছিলের (Bangladesh Protest Rally) পর প্রতিবাদকারীদের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী বিক্ষোভকারীদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের জন্য এটা একটি গুরুতর হুমকি। চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং নির্দিষ্ট কিছু ইসলামিক সংগঠন রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালের ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙচুর করে অপমান করা হয়েছে। এসব ঘটনা ইঙ্গিত করে যে চরমপন্থীরা রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে রেখে এসব করছে। কারণ, ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে মূর্তি নিষিদ্ধ।

    বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ

    হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ (Bangladesh Protest Rally) জুড়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। এর আগে,  অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি অ্যাসোসিয়েশনও (এজেএ) বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। মঙ্গলবার ৬ অগাস্ট  জারি করা একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি অ্যাসোসিয়েশনের সিইও রবার্ট গ্রেগরি বলেন, “বাংলাদেশে আমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ভয়ঙ্কর ফুটেজ দেখেছি। অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে অবশ্যই নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: মুখে ‘জয় শ্রীরাম’, নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা বাংলাদেশিদের, রুখল বিএসএফ

    Bangladesh Crisis: মুখে ‘জয় শ্রীরাম’, নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা বাংলাদেশিদের, রুখল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। গত জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। হাসিনা পদত্যাগ করার পর লাগামছাড়া অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত। এই আবহের মধ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় চেয়ে সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। সকলেই ভারতে আশ্রয় চান। তাঁদের সীমান্তেই আটকে দিয়েছে বিএসএফ। তবে, জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়েই থাকেন ওই শরণার্থীরা। কেউ কেউ আওয়ামি লিগের নাম নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। কেউ কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। শুক্রবার এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলখুচির পাঠানটুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।

    সীমান্তে ভিড় শ’য়ে শ’য়ে বাংলাদেশির (Bangladesh Crisis)

    বুধবার জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সীমান্তে জড়ো হয়েছিলেন অনেক মানুষ। ওই স্থানে কাঁটাতার নেই। বিএসএফ জানায়, তাঁরা জিরো পয়েন্টে অপেক্ষা করছিলেন। সকলে ভারতে ঢোকার অনুমতি চান। যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফেরত পাঠায় বিএসএফ। শুক্রবার দেখা যায়, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসার জন্য শীতলখুচির পাঠানটুলিতে জড়ো হয়েছেন। বিএসএফ অবশ্য তাঁদের সীমান্তের ফেন্সিংয়ের আগেই আটকে রাখে। তখনই জিরো পয়েন্টে মাটিতে বসে হাসিনার সরকারের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার গাইবান্দা, পশ্চিম গোতামারি, পূর্ব গোতামারি, ডাকুয়াটারি এলাকা থেকে ওই বাসিন্দারা এসেছেন।

    ‘জয় ভারত মাতা’, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

    শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশি সীমান্তের পাশে ডাকুয়াটারির খর্ব নদীর পারে জমায়েত হন ওই বাংলাদেশিরা। নদীর জলে নেমে হাসিনার সমর্থনে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ওই বাংলাদেশিরা ‘জয় ভারত মাতা’, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে থাকেন। কেউ কেউ চিৎকার করে বলেন, ‘‘বাড়ির মা, বোনেদের তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে।’’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারেননি তাঁরা। সীমানায় মোতায়েন থাকা বিএসএফের ১৫৭ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাঁদের জিরো পয়েন্টে আটকে দেন। পরে বিএসএফ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই স্থানে প্রায় হাজার জন ছিলেন। প্রত্যেকে ভারতে ঢুকতে চান। তবে, জওয়ানেরা তাঁদের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। তাঁরা বিজিবি-র সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেন ওই বাংলাদেশি (Bangladesh Crisis) নাগরিকদের।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    সীমান্তে বিএসএফ-এর সঙ্গে সেনাও মোতায়েন

    গৌড়বঙ্গের মালদা-দিনাজপুর ও প্রায় ৭০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। সেই সব এলাকাতেও সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আশঙ্কা রয়েছে ভারতে অনুপ্রবেশেরও। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিএসএফ জওয়ানের সংখ্যা। এতেও সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাই মালদা ও দুই দিনাজপুর জেলার সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় সেনাও। তিন জেলায় নিযুক্ত বিএসএফের ব্যাটালিয়নকে হেলিপ্যাড তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এ নিয়ে রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগকেও সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উত্তরবঙ্গে সীমান্তে এখন বাংলাদেশি (Bangladesh Crisis) নাগরিকরা জড়ো হয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সীমান্তগুলি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার (Cooch Behar), উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মালদা, সমস্ত জেলায় বিএসএফ-এর পাশাপাশি সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে কিছু সীমান্তে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, মালদার মহদিপুর ও উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর সীমান্তে দল গঠন করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনার দলগুলি সীমান্তে অস্থায়ী ছাউনিতে থাকছে। তেমন কোনও ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত মোকাবিলা করা যায় তার জন্যই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি আরএসএসের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে আরএসএস।  

    দত্তাত্রেয় হোসাবলের বক্তব্য (RSS)

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে (Bangladesh Crisis) এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করার এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সঙ্ঘের (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। বাংলাদেশে সকলের জীবন এবং সম্পত্তি সুরক্ষা করা সহ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের যথাযথ ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)  

    বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই হিন্দুদের মন্দির, বাড়িঘর এবং দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা (Bangladesh Crisis) বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকী, বহু হিন্দু নারীর সম্ভ্রম লুট হয়েছে। তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। অনেকেই পালিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করছেন। লোক দেখানো মন্দির পাহারা দেওয়া হলেও বহু হিন্দুর ঘর বাড়ি লুট হওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাংলাদেশের বর্তমানে সেই পরিকাঠামো নেই, যাতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কারণ, বাংলাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশের বহু থানায় এখনও পুলিশ ফেরত আসেননি। বাংলাদেশের বহু থানা ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকশো পুলিশকে খুন করা হয়েছে। পুলিশদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেও কে কোথায় রয়েছে, তার কোনও খোঁজ নেই।

    বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতি দূর হোক

    গত কয়েকদিন ধরে দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের আন্দোলনের সময় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হিংসার ঘটনায় আরএসএস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে দত্তাত্রেয় হোসাবলে বিশ্ব সম্প্রদায় এবং ভারতের সকল রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশে নিপীড়নের শিকার (Bangladesh Crisis) হওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। 

    আরও পড়ুন: ওয়াকফ আইন অপব্যবহার করে কীভাবে হয়েছে ‘জমি জবরদখল’? রইল ১৫টি উদাহারণ

    দেশে অরাজক পরিস্থিতির আড়ালে দুষ্কৃতিরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিতে চাইছে, তাঁদের উপাসনালয় ভাঙচুর করছে। আরএসএস (RSS) চাইছে বাংলাদেশের এই অরাজক পরিস্থিতি দূর হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ফাঁকা স্ট্যাম্প পেপারে সই! পরিবারকে পণবন্দি করে হিন্দুদের লুট বাংলাদেশে

    Bangladesh Crisis: ফাঁকা স্ট্যাম্প পেপারে সই! পরিবারকে পণবন্দি করে হিন্দুদের লুট বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর আশ্বাস সার। বাংলাদেশে এখনও প্রতিদিন অত্যাচারিত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। নৈরাজ্যের ভয়াবহ ছবি ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।  আতঙ্কে রয়েছেন সে দেশের হিন্দুরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়িঘর। একের পর এক হিন্দু মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর করা হচ্ছে আক্রমণ। মহিলাদের উপর চলছে অবাধে অত্যাচার। 

    পণবন্দি করে হুমকি

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসার ৭০ ভাগই ভূমিকেন্দ্রিক। আর এই হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে সংখ্যালঘুদের বিষয় সম্পদ এবং ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংসের মাধ্যমে। এক শ্রেণির মানুষ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জমি দখল করে তাঁদের দেশত্যাগে বাধ্য করতেই এই হামলা চালাচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে হিন্দুরা যাতে তাঁদের সম্পত্তি বিক্রি করে দেশ ছেড়ে চলে যান সেই পরিস্থিতি তৈরি করতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যশোর জেলার পলাশ ঘোষের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ১২ বছরের ছেলেক ধরে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পরে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে তাকে ছাড়া হয়েছে। ওই বাড়ির এক মহিলা জানিয়েছেন, তাঁদের ভয় দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্প পেপারে সই করানো হয়েছে। 

    অস্তিত্বের সঙ্কট

    দেশের নানা প্রান্তে হিন্দু বাড়িতে রাতের অন্ধকার এখনও ভাঙচুর চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। দিনাজপুর সদর উপজেলায় ফুলতলা শ্মশানঘাট এলাকায় হরিসভা ঘর, দুর্গামন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজারে সংখ্যালঘুদের অন্তত ৪০টি দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। ফেসবুকে একটি ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে এক হিন্দু মহিলার আকুল আর্জি। তিনি সকলকে একজোট হতে বলছেন। সকলকে শান্ত হতে অনুরোধ করছেন। জানতে চাইছেন তাঁদের কী দোষ? তাঁর ১৫ বছরের ভাইকে ছুরির সামনে দাঁড় করিয়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হবেন। এটাই হয়তো চাইছে জামাতিরা? মানবাধিকার সংগঠগুলির মতে, সাড়ে তেরো শতাংশ থেকে কমতে কমতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ হিন্দুদের সংখ্যা এখন মাত্র আট শতাংশ। এবার তাঁদের অস্তিত্বও সঙ্কটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: আসছেন ভারতে! মাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোদিকে ধন্যবাদ হাসিনা-পুত্রের

    Bangladesh Crisis: আসছেন ভারতে! মাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোদিকে ধন্যবাদ হাসিনা-পুত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। তীব্র বিক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ভারতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলেছে। দেশে গণতন্ত্র ফিরলে তবেই তাঁর মা হাসিনা বা তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন বলেও জানালেন।

    কবে ফিরবেন হাসিনা

    বৃহস্পতিবার হাসিনার বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফেরা নিয়ে বড় বার্তা দিলেন তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম তিনি বাংলাদেশে আর ফিরবেন না। কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর দেশজুড়ে হামলা চালানোর পর গত দুদিনে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের সমর্থকদের নিরাপদ রাখতে যা করার দরকার তার সবই আমরা করব। আওয়ামি লিগ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও পুরনো রাজনৈতিক দল। যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, তখন শেখ হাসিনা অবশ্যই দেশে ফিরবেন।” 

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ

    শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানান জয়। আওয়ামি লিগ ভারতের সবসময়ের বন্ধু বলে উল্লেখ করেন জয়। বাংলাদেশে থাকা আওয়ামি নেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারতকে পদক্ষেপ করার অনুরোধও করেন। শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে মেয়ের কাছে দিল্লিতে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর পুত্র। বাংলাদেশের জন্য তাঁর পরিবারের অবদান মনে করিয়ে জয় জানান, যে-পরিবার বাংলাদেশের জন্য এত করেছে, সেই বাংলাদেশ তাঁকে এই অপমান করবে, ভাবতেই পারেননি হাসিনা। ভারত থেকে তাঁর মা অন্য কোথাও যাবেন কি না, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান হাসিনা-পুত্র। তবে জয় নিজে ভারতে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ যাবে বাংলাদেশে? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল মানচিত্র, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    রাজনীতিতে জয়

    আওয়ামি লিগ আগামী দিনে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না তা নিয়েও সন্দিহান হাসিনা (Sheikh Hasina) পুত্র। জয় বলেন, “এখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, আওয়ামি লিগ জিতে আসবে জানি।” রাজনীতিতে আসবেন কিনা এই প্রশ্নে জয় বলেন, “দল আর তার কর্মীদের রক্ষা করতে যা করার প্রয়োজন, আমি তাই করব। রাজনীতিতে যোগ দিতে হলে আমি পিছপা হব না, আমার মা এই মেয়াদের পর রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। আমার কোনওদিনই রাজনীতি করার ইচ্ছে ছিল না, আমি আমেরিকাতে সেটেলড হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। আমি দলের জন্য সক্রিয় হতে বাধ্য হয়েছি এবং এখন আমি সামনে আছি।” আত্মসমালোচনার প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়ে জয় বলেন, “নিশ্চিতভাবেই কিছু ভুল হয়েছিল। একটা দেশ চালানোর সময় প্রতিদিন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আওয়ামি লিগ আত্মসমালোচনায় বিশ্বাসী এবং আমরা সেই জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু এবার আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাদের (পড়ুয়া) দাবি মেনে নেওয়ার পরও পরিস্থিতি এত দ্রুত উত্তপ্ত হবে, তা আমরা বুঝতে পারিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ৭ হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন, জানাল কেন্দ্র

    Bangladesh Crisis: ৭ হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরও অশান্ত বাংলাদেশ। আর আগে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখনও দেশজুড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কত ভারতীয় পড়়ুয়া বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) থেকে দেশে ফিরেছেন রাজ্যসভায় সেই তথ্য দিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।

    ৭২০০ বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন (Bangladesh Crisis)

    বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, শিক্ষা বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) বসবাসকারী ভারতীয়দের মোট সংখ্যা কত? বাংলাদেশে বসবাসরত গুজরাটের লোকের সংখ্যা এবং হিংসায় বিধ্বস্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে কিনা। এই বিষয়ে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৯ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। তারমধ্যে ৯ হাজারের বেশি ছাত্র রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ৭ হাজার ২০০ জনের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন। বাংলাদেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসম রাজ্যের। বাংলাদেশে আমাদের মিশন এবং পোস্টগুলি রাজ্যভিত্তিক তালিকা রক্ষণাবেক্ষণ করে না। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় সহকারি হাইকমিশনগুলো ভারতীয় নাগরিকদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে অপেক্ষারত পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সমন্বয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৮ জুলাই থেকে শুরু করে ১ অগাস্ট পর্যন্ত ৭২০০ বেশি ভারতীয় ছাত্র ভারতে ফিরে এসেছেন।  

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    চিনা প্রভাব নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথ্য ভাগ করে বলেন, ‘‘ইমিগ্রেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (IRCC) এর ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভারতীয় (Indian) ছাত্রের ভর্তি গত তিন বছরে বেড়েছে। ২০২১ সালে ছিল ২,১৬,৩৬০ জন। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৩, ১৮,৩৮০ জন। আর ২০২৩ সালে সংখ্যা আরও বেড়ে হয় ৪,২৭,০৮৫ জন।’’ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে ‘ক্রমবর্ধমান চিনা প্রভাব’ সম্পর্কে সরকার সচেতন কিনা তা মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে এই দেশগুলির সম্পর্ক থেকে যা স্বাধীন। সরকার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলে এমন সমস্ত উন্নয়নের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখে। আর এটি রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    PM Modi: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান, ইউনূসকে শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাশাপাশি, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করার আহ্বানও জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমাজ মাধ্যমের পাতায় মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) লিখেছেন, ‘‘নতুন দায়িত্ব পাওয়ার মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা। আশা করি বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’ তারপরেই তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’’

    ৮৪ বছর বয়সি ইউনূস ২০০৬ সালেই পেয়েছিলেন নোবেল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট বার্তায় আরও জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের জনগণের যৌথ আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রসঙ্গত, ৮৪ বছর বয়সি মহম্মদ ইউনূস হলেন একজন অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ২০০৬ সালে তাঁর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ভাবনার জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি, নানান জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের সম্মানও পেয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, মোদিকে (PM Modi) চিঠি ছাত্রীর

    প্রসঙ্গত, অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা খুবই খারাপ। বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশা নিয়ে এক কিশোরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লেখেন। বৃহস্পতিবারই সামনে আসে ওই চিঠি। হিন্দুদের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘‘এ দেশে সব চেয়ে খারাপ যে জিনিসটা ঘটছে, তা হল হিন্দুদের ওপর নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ ও নির্যাতন। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি, যা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের ওপর অকল্পনীয় নির্যাতন শুরু করেছে। মহিলারা ধর্ষিত (Bangladesh Crisis) হচ্ছেন। ওরা বাড়িঘর-মন্দিরে গুলি চালাচ্ছে। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। লাখ লাখ টাকা চাঁদা চাইছে। না দিলে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই যা দেখছে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা। আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে। এ দেশে সব অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি একে চিরতরে বাজে লোকদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মধ্যে ভালো কিছু দেখি না। বরং এই অপশক্তিকে রুখতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আমি মনে করি, এ পৃথিবীতে ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share