Tag: Shubman Gill

Shubman Gill

  • India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান হাফসেঞ্চুরির পর ব্যাটকে বন্দুকের মতো ধরে সেলিব্রেশন করেন। গান (বন্দুক)-এর জবাব রানে দিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। সাহিবজাদার বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপ করলেন অভিষেক ও গিল, এমনই অভিমত পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়ার। রবিবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের কাছে হেরে গিয়েছে পাকিস্তান। তার আগেই অবশ্য দেশে-বিদেশে নিন্দিত হচ্ছে পাকিস্তান দল। সৌজন্যে পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের উচ্ছ্বাসের একটি ধরন। অর্ধশতরানের পর ব্যাটটিকে নিয়ে বন্দুক ধরার মতো একটি বিশেষ কায়দায় উচ্ছ্বাস করেছেন তিনি, যা সমালোচনার মুখে পড়েছে।

    বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস

    দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করে ‘গান সেলিব্রেশন’ করেছিল পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। বন্দুক যেমনভাবে ধরে, সেরকম কায়দায় ব্যাট করে গুলি চালানোর মতো সেলিব্রেশন করেছিল। আর সেই অদৃশ্য ‘গুলিটা’ ফারহানদের শরীর ফুঁড়ে ঢুকে গেল। শুধু তাই নয়, ব্রহ্মস মিসাইলে যেরকমভাবে পাকিস্তানি অসংখ্য সামরিক ছাউনির অবস্থা হয়েছিল, ফারহানদের হাল সেরকমই করে দিলেন অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিলরা। রবিবার দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান তোলে পাকিস্তান। ভারত যদি ঠিকঠাক ক্যাচ ধরত, তাহলে সলমন আঘাদের রান এতটা হত না। কিন্তু ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নেন তাঁরা। ক্যাচ ফস্কানোর মাশুল হিসেবে গুনতে হয় প্রায় ৯০ রান। পাকিস্তানেরর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন গান-সেলিব্রেশন করা ফারহান। যদিও ব্যাট করতে নেমেই তাঁর এই আচরণের জবাব দেন দুই ভারতীয় ওপেনার। শাহিন আফ্রিদিকে ছয় মেরে ইনিংসের শুরু করেন অভিষেক। গিল-অভিষেকের ইনিংসের প্রশংসা করে পাক স্পিনার কানেরিয়া বলেন, “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ করেছেন অভিষেকরা।”

    বিতর্কিত উচ্ছ্বাস

    পাকিস্তানের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন ফারহান। হার্দিক, বুমরার উপর দাপট দেখিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। দশম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের একটি বল মিড উইকেটের উপর শট খেলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। এর পরেই ব্যাটের হাতলটিকে কাঁধের কাছে রেখে এমন ভাবে উচ্ছ্বাস করেন, যেন মনে হচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছেন। খেলাধুলোর জগতে এই ধরনের উচ্ছ্বাস ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ নামে পরিচিত। মুহূর্তের মধ্যে এই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। পহেলগাঁওয়ের হত্যাকাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। এশিয়া কাপে দুই দেশ মুখোমুখি হবে কি না, তা নিয়েই নিশ্চয়তা ছিল না। তার উপর প্রথম ম্যাচের পর করমর্দন-বিতর্কে তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্ব। সে সবের মাঝে ফারহানের এই উচ্ছ্বাস বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে কটাক্ষ করতেই এই উচ্ছ্বাস করেছেন ফারহান। সাধারণ সমর্থকরা তো বটেই, ধারাভাষ্যকারেরাও এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে।

    ভারতের পাল্টা জবাব

    ম্যাচের শুরুতেই অভিষেক শর্মা শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন। এই শটের মাধ্যমে তিনি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ভারতের হয়ে একাধিকবার ইনিংসের প্রথম বলে ছক্কা মারা প্রথম ব্যাটার হন। ম্যাচে অভিষেক ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান এবং গিলের সঙ্গে প্রথম উইকেটে মাত্র ৯.৫ ওভারে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। গিলও নিজের ইনিংসে ৮টি চার মারেন। অভিষেক তাঁর ৫০তম টি-টোয়েন্টি ছক্কাটি হাঁকান নিজের ৩৩১তম বল খেলার মধ্যেই, যা তাকে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত এই মাইলফলক ছোঁয়া ব্যাটার করে তোলে। এছাড়াও, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তিনি যুবরাজ সিং-এর রেকর্ড (২৯ বল) ভেঙে দেন। প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া মনে করেন, ব্যাট হাতেই জবাব দিয়েছেন অভিষেক। এমনকি অর্ধশতরানের পর অভিষেকে ‘ফ্লাইং কিস সেলিব্রেশন’ নিয়ে কানেরিয়া বলেন, “ভালোবেসে মুখের উপর জবাব দিয়েছে ভারত।”

    গিল-অভিষেকের ট্যুইট ভাইরাল

    দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সুপার ফোরের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচে ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভারত পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায়। অভিষেক ৩৯ বলে ৭৪ এবং গিল ২৮ বলে ৪৭ রান করেন, যার সৌজন্যে পাকিস্তানের দেওয়া ১৭২ রানে লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতেই করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ চলাকালীন অভিষেক ও গিলের সঙ্গে পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অভিষেক শর্মা যখন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফের একটি বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান, তখন রউফ রেগে যান এবং অভিষেককে স্লেজ করতে শুরু করেন। অভিষেকও চুপ করে থাকেননি। দু’জনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। পাকিস্তানি প্লেয়াররা তাদের গালি দিচ্ছিল বলেও ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন অভিষেক শর্মা। মাঠে বিপক্ষকে নিজেদের ব্যাটের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। যেই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। দুজনেই এক্সে চার শব্দের বার্তা দিয়ে কটাক্ষ করেন পাকিস্তান দলকে। গিল লেখেন, “খেলাই কথা বলে, শব্দ নয়” (Game speaks, not words) এবং অভিষেক লেখেন, “তোমরা কথা বলো, আমরা জয় করি” (You talk, we win)। চলতি প্রতিযোগিতাতে চারটি ম্যাচেই জিতেছে ভারত।

  • India Beats Pakistan: ‘‘ভারত-পাকিস্তান আর কোনও লড়াই-ই নয়’’! অভিষেক-গিলের দাপটে ম্যাচ জিতে সাহসী জবাব সূর্যর

    India Beats Pakistan: ‘‘ভারত-পাকিস্তান আর কোনও লড়াই-ই নয়’’! অভিষেক-গিলের দাপটে ম্যাচ জিতে সাহসী জবাব সূর্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বনাম পাকিস্তান এখন আর কোনও লড়াই-ই নয়। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও মাইন্ড গেমে নেমেছিল পাকিস্তান। সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগের হুংকার, এশিয়া কাপ বয়কটের দাবি, একাধিক সমস্যা তৈরি করে আলোচনায় থাকার চেষ্টায় ছিল। কিন্তু খেলার মাঠে পারফরম্যান্স সেই তলানিতেই। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এ দিনও দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলাননি। তবে আগের দিনের মতো ভারত সাজঘরের দরজা বন্ধ করেনি। আসলে খেলাটা তো মাঠেই জিতে গিয়েছে ভারত।

    ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই

    ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। সেটাই ফের দেখা গেল এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে। ভারত জেতার পরে শোনা গেল ‘চক দে’। ম্যাচ জেতায় সুপার ফোরের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে চলে গেল ভারত। সূর্যকে সাংবাদিক সম্মেলনে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, এই ‘ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ নিয়ে তিনি কী বলবেন? ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘এই প্রশ্নের উত্তরে আমি একটা কথা বলতে চাই। আমার মনে হয় আপনাদের সকলের ভারত-পাকিস্তান লড়াই নিয়ে এ বার প্রশ্ন করা বন্ধ করা উচিত।’’ এখানেই থেমে থাকেননি ভারত অধিনায়ক। বলেন, ‘‘আমার মতে, যদি দুটো দল ১৫-২০টা ম্যাচ খেলে এবং স্কোরলাইন ৭-৭, অথবা ৮-৭ হয়, তবেই সেটাকে ভালো ক্রিকেট বলা যায়। আমি সঠিক পরিসংখ্যান জানি না। কিন্তু একটা দলের পক্ষে যদি স্কোরলাইন ১৩-০, ১০-১ হয়, তা হলে এখন আর এটা কোনও লড়াই নয়। আর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়।’’ সত্যিই ক্রিকেটে গত ১৫ বছরে ভারত পাকিস্তানের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছে। ৩১টি ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছে ভারত।

    পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল

    পরিসংখ্যান যাই হোক, ভারত-পাকিস্তান লড়াই তা সে বাইশ গজেও হোক আর সীমান্তে সবসময় উত্তেজনার। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বারবার তা চোখে পড়েছে। ম্যাচে ভারতের ইনিংস চলাকালীন শাহিন আফ্রিদিকে কোনও কথার জবাব দিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন শুভমন গিল। কয়েক বল পরেই আবার অন্য এক দৃশ্য। এ বার হ্যারিস রউফের সঙ্গে ঝামেলা হয় অভিষেক শর্মার। তখন স্পষ্ট বোঝা যায়নি কী হয়েছে। তবে বিষয়টি যে গুরুতর ছিল এটা ম্যাচের পরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, পাকিস্তান বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। সেটারই জবাব ব্যাট হাতে দিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে অভিষেক বলেন, “পাকিস্তানের বোলারেরা বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, তর্ক করছিল। আমার সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই জন্যই ওদের জবাব দেওয়া দরকার ছিল। দলকে জেতাতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি।” এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচেই ভালো খেলেছেন অভিষেক। রবিবারই প্রথম অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে। সাফল্যের নেপথ্যে দলের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন অভিষেক। বলেছেন, “যখন দেখবেন কোনও ব্যাটার এত ভালো খেলছে, তখন বুঝবেন নিশ্চয়ই তাঁর পাশে দল রয়েছে। কোচ এবং অধিনায়ক আমাকে খুবই সমর্থন করে। তাই জন্যই এত ভালো খেলার সাহস পাই।”

    শুভমন-অভিষেক ঝড়

    টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৭১ খুব একটা খারাপ স্কোর নয়। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত দাদাগিরি দেখাল। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট শুরু থেকেই চলতে শুরু করল। শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে অভিষেক রান তাড়া শুরু করেছিলেন। খেলা যত এগোল ভারতের দুই ওপেনার ততই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দিলেন। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ধুয়ে গেল পাক বোলিং আক্রমণ। ৯.৫ ওভারেই ভারত ১০৫ করে ফেলে। শুভমন গিল ৪৭ রানে আশরাফের বলে বোল্ড হন। রুদ্রমূর্তি ধরেন অভিষেক। নাগাড়ে আক্রমণ করে যান পাক বোলারদের। পাক বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবরারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭৪ করে যান তিনি। ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। পরের বলেও মারতে গিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন তিলক (১৯ বলে ৩০ অপরাজিত) ও হার্দিক। ৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ভারত ম্যাচ জেতে।

    পাকিস্তান ম্যাচই রানে ফেরার মঞ্চ

    তিন ম্যাচে ৩৫ রান করা শুভমনকে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য রানে ফিরতেই হত। পাকিস্তান ম্যাচেই সেই মঞ্চটা বেছে নিয়েছিলেন শুভমন। শনিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকলেও তিনি অনুশীলন করেছিলেন। আর অনুশীলন করিয়েছিলেন তাঁর ওপেনিং সতীর্থ তথা ছোটবেলার বন্ধু অভিষেক শর্মা। তার প্রতিফলন দেখা গেল রবিবার। আকাশে শট খেলার দিকে নজর দেননি শুভমন। বরং মাটিতে রেখে বল বাউন্ডারিতে পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। ইনিংসে আটটি চারই তার প্রমাণ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুভমনের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে ভারতের চাপ অনেকটাই হালকা করে দেন অভিষেক। ছোটবেলা থেকেই দু’জনে একসঙ্গে খেলেছেন। সেই প্রসঙ্গে বললেন, “স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমরা একসঙ্গে খেলছি। একে অপরকে সঙ্গ দিতে পছন্দ করি। আগেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, আজই কিছু একটা করতে হবে। যে ভাবে শুভমন খেলছিল সেটা দারুণ লেগেছে।”

  • India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়। এশিয়া কাপে রবিবার পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি। যা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। সোমবার এ নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে বিসিসিআই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (PTI) দেওয়া এক বিবৃতিতে এক সিনিয়র বিসিসিআই (BCCI) কর্তা বলেন, “আইসিসি-র নিয়মবিধিতে কোথাও বলা নেই যে ম্যাচ শেষে করমর্দন বাধ্যতামূলক। এটি নিছকই এক সৌজন্যমূলক রীতি। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বাস্তবতায় খেলোয়াড়দের এমন সৌজন্য প্রকাশে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।”

    কোনও অভিযোগ এখনও আসেনি

    পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, তৃতীয় কোনও পক্ষের নির্দেশেই নাকি ভারত এই কাজ করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে যে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি দলের সঙ্গে করমর্দন (হাত মেলানো) করতে অস্বীকার করেছেন। পিটিআইয়ের সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনার পর পিসিবি বিষয়টি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। তবে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই (BCCI) জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি। বিসিসিআইয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, “করমর্দন না করা কিংবা ডোর ক্লোজ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিসিসিআই-এর কাছে এসিসি থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসেনি।”

    গম্ভীর ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দল ও কোচিং স্টাফরা একটি আলোচনায় বসেন। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। তিনি নাকি প্লেয়ারদের বলেছিলেন, “সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো। বাইরের চিৎকারে কান দিও না। তোমাদের কাজ ভারতের হয়ে খেলা। পহেলগাঁওয়ে কী হয়েছে ভুলে যেও না। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলাবে না, বাড়তি গুরুত্ব দেবে না। শুধু যাও, নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাও।” এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি বরং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা হয়। গম্ভীর আগেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিলেন, “যতদিন না সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে, ততদিন কোনও ধরনের ক্রীড়া সম্পর্ক নয় পাকিস্তানের সঙ্গে।”

    হেরে গিয়ে বিচিত্র অভিযোগ পাকিস্তানের

    এশিয়া কাপে ম্যাচ হেরেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের অপসারণ দাবি করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইতিমধ্যে জয় শাহর আইসিসি- কাছে চিঠি দিয়েছে পিসিবি। ভারতীয় দলকে এই ম্যাচে পাইক্রফ্ট টেনে খেলিয়েছেন বলে দাবি করল পিসিবি। আম্পায়ারকে এশিয়া কাপের দায়িত্ব থেকে এখনই সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে পিসিবির তরফে। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে সলমান আগার দল। মাঠের লড়াই পারেনি। ফলে ম্যাচের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটারদের হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেছে। এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

    এশিয়া কাপ থেকে সরবে পাকিস্তান

    সূত্রের খবর, ভারতের আচরণে এতই অপমানিত পাক দল, যে সূর্যকুমারদের বিরুদ্ধ পদক্ষেপ না করলে চলতি এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে পাকিস্তান। এই বিষয়ে তারা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (ACC) ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে বলে খবর সামনে এসেছে। রবিবার ছিল এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) মঞ্চে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মহাযুদ্ধ। মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান (IND vs PAK)। সমগ্র ম্যাচ জুড়েই ছিল একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত। তবে ক্রিকেটের লড়াইয়ে প্রথম থেকে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) দল এগিয়ে ছিল। ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে জায়গা কার্যত পাকা করে নিয়েছে ব্লু ব্রিগেডরা। কোনো সময়েই সালমান আলী আগার (Salman Ali Agha) দল ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ পাইনি। অন্যদিকে ম্যাচে কোনভাবেই সৌজন্য দেখায়নি ব্লু ব্রিগেডরা। মাঠের বাইরে গ্যালারিতেও চলছে লড়াই। সেখানেও এগিয়ে ভারত। খেলা যত গড়াচ্ছে তত ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে গ্যালারি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই লড়াই ভারতীয় ক্রিকেটার ও সমর্থকদের কাছে যুদ্ধের থেকে কম নয়।

    ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা

    উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনা এবং আবেগে ভরপুর থাকে। পহেলগাঁও হামলার পর রবিবারের ম্যাচে সেই উত্তেজনা স্পষ্ট ছিল। এমনকি দলের স্কোয়াড তালিকাও দুই অধিনায়কের মধ্যে সরাসরি বিনিময় না করে সরাসরি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজার নাভেদ চীমা পরে দাবি করেন, ভারতীয় দলের করমর্দনে অনীহার কথা মাথায় রেখেই রেফারি স্বয়ং পাকিস্তানের খেলোয়াড় সালমান আলি আগাহ-কে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে করমর্দন করতে বারণ করেন। আগামী অক্টোবরে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। তার আগে এশিয়া কাপেও সুপার ফোরে ফের ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে। এখন সেই ম্যাচগুলোতে কী হয় তার দিকেই নজর। তবে আপাতত, পাকিস্তান ম্যাচে ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা। ব্যাটে-বলে বদলাও নিয়েছেন বাইশ গজে।

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) দাপটে পাকিস্তানকে হারাল ভারত (India vs Pakistan)। দেশের সেনাবাহিনীকে এই জয় উৎসর্গ করলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের প্রতি ভারতীয় দলের তরফ থেকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। ভারত অধিনায়কের সুরেই কথা বলেছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও। খেলা শেষে তিনি বলেন, “দল হিসেবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই করে দেখিয়েছি। অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতীয় সেনার উপর গর্বিত।”

    সূচি অনুযায়ী খেলা, বাইরে কোনও সম্পর্ক নয়

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারতের (India vs Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে এই ম্যাচের উত্তাপ ছিল মাঠের বাইরেও। অনেকেই এই ম্যাচ বয়কট করতে বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন হরভজন সিংয়ের মতো প্রাক্তনেরাও। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, বড় প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে কোনও আপত্তি নেই তাদের। ভারতীয় বোর্ড স্পষ্ট করে দিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললেও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে আপত্তি নেই তাদের। তবে কোথাও ক্রিকেটারদের মাথাতেও হয়তো প্রতিবাদের কথা ঘুরছে। তাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করলেন তাঁরা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কোনও রকম সম্মান জানাননি তাঁরা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সূচি অনুযায়ী খেলছেন। তার বাইরে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের।

    বাইশ গজেও বদলা ভারতের

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং পাল্টা হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এই দাবিই তুলেছিলেন হরভজন সিং। না ক্রিকেট, না বাণিজ্য— পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও রকম সম্পর্কই দেখতে চাননি তিনি। বাণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। ক্রিকেট হল। ক্রিকেট ম্যাচেও ‘বদলা’ নিল ভারত। শুধু ‘বদলা’ নয়, একেবারে দুরমুশ করে বদলা। রবিবার দুবাইয়ে ভারত জিতল সাত উইকেটে। পড়শি দেশের তোলা ১২৭/৯ ভারত টপকে গেল ২৫ বল বাকি থাকতেই। রবিবার ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কুলদীপ যাদব। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচের শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল, শেষটাও সে ভাবেই হল। টসের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। একে অপরকে ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছাও জানাননি। তবে সৌজন্য না দেখালেও দুই দলের কেউই বিপক্ষকে অসম্মান করেননি। খেলা শেষেও সেটাই করল ভারত। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই সাজঘরে ফিরে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। পাকিস্তান গোটা ম্যাচে দাঁড়াতে পারেনি। মাঠেই ‘বদলা’ নিলেন সূর্যেরা। পাকিস্তানের সঙ্গে ছেলেখেলা করে জিতলেন তাঁরা।

    উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত

    ক্রিকেট ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয়ী এবং পরাজিত দুই অধিনায়কই (India vs Pakistan) কথা বলেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারও নিজের বক্তব্য রাখেন। অথচ রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘা এলেনই না কথা বলার জন্য। ভারতের আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন জানান, ভারত হাত মেলায়নি বলেই প্রতিবাদস্বরূপ সলমন সাক্ষাৎকার দেননি। হেসন বলেছেন, “বিপক্ষ দলের এমন আচরণে আমরা হতাশ। যে ভাবে খেলেছি সেটা নিয়েও হতাশ। আমরা চেয়েছিলাম ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে। সেটা হয়নি। তাই জন্যই সলমন আসেনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে। খুব হতাশাজনক ভাবে ম্যাচটা শেষ হল।” তবে, ভারত নিজের জায়গায় স্পষ্ট। উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত। বার্তা স্পষ্ট, সন্ত্রাসে মদতকারীদের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্যই চলে না। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি টিম ইন্ডিয়া।

    পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে

    রবিবার ছিল সূর্যর জন্মদিন। সেটা আরও স্পেশাল হয়ে উঠল পাকিস্তানকে হারিয়ে। তিনি নিজে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন। ভারত ম্যাচ জেতে ৭ উইকেটে। আর সব শেষে এসে সূর্যর বক্তব্যে মুগ্ধ দেশের ক্রিকেটভক্তরা। তিনি বলেন, “আমরা পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আর আমাদের আজকের জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।” সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্য বলেন, “কয়েকটা কথা বলতে চাই। এর থেকে ভালো সুযোগ হয়তো পাব না। আমার মনে হয় স্পোর্টসমানশিপের ঊর্ধ্বেও কিছু জিনিস আছে। আমরা পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীরও পাশে রয়েছি। আমরা এখানে আসার সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, খেলতে আসছি। এর যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছিলাম। মাঠেই এর যথাযথ জবাব দিয়েছি। বিসিসিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।”

  • India vs Pakistan: ‘কেন্দ্রের নীতি মেনেই খেলা হবে’, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত ভারত

    India vs Pakistan: ‘কেন্দ্রের নীতি মেনেই খেলা হবে’, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে! রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এবং পাকিস্তান শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচের এক বছর তিন মাস পর আবার তারা মুখোমুখি। অপারেশন সিঁদুরের পর বাইশগজে প্রথম লড়াই।

    ভারত সরকারের নীতিই মানবে বিসিসিআই

    শুক্রবার আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল দুই দলের লড়াইয়ের আগে টিম ইন্ডিয়াকে শুভকামনা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, টিম ইন্ডিয়া কেবল সরকারের নীতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পটভূমিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তবে সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে ধুমাল বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার জন্য শুভকামনা। সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলব না। তবে এসিসি কিংবা আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলব। তাই সরকার যা বলবে সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।”

    এশিয়া কাপে আধিপত্যের লড়াই

    এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দল নামাতে চলেছে বিসিসিআই। যা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা দ্বিধাবিভক্ত। একটা অংশের মত, হিংসা আর খেলাধুলো একসঙ্গে চলতে পারে না। আবার কেউ কেউ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। এই আবহে অরুণ ধুমালের মন্তব্য। রবিবাসরীয় দ্বৈরথে পাকিস্তানকে দুরমুশ করে এশিয়া কাপে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে মরিয়া ভারত। শেষ টি-টোয়েন্টি সাক্ষাতের পর দুই দলেই অনেক বদল এসেছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা যেমন ভারতের হয়ে আর খেলেন না, তেমনই পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েছেন বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানেরা। ফলে রবিবার যে দুই দল খেলবে, সেখানে অনেকেই নতুন মুখ।

    পাকিস্তানের চিন্তা ব্যাটিং, আফ্রিদি-কে আটকানো লক্ষ্য ভারতের

    জয় দিয়েই এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান। ওমানকে হারিয়েছে ৯৩ রানে। তবে, পাকিস্তানকে ১৬০ রানের বেশি এগোতে দেয়নি ওমানের বোলিং। পাকিস্তানকে চিন্তায় রেখেছে তাদের ব্যাটিং। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটার ফকর জামান। ভারতের বিরুদ্ধে তিনি ভালো খেলেন। তবে বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং সামলানো তাঁর কাছে কঠিন কাজ হতে চলেছে। বরুণের বলে বৈচিত্র এতই বেশি যে আগে থেকে অনুমান করা যায় না পরের বলটা কেমন হতে চলেছে। বরুণের দায়িত্ব থাকবে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারকে শান্ত রাখার। ওমান ম্যাচে মহম্মদ হ্যারিসের ইনিংস নজর কেড়েছে। দলের সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিনিই। তার থেকেও বড় কথা, স্ট্রাইক রেটও ভাল রেখেছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। রবিবারের ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করুক বা পরে, হ্যারিসকে দ্রুত ফেরানোর লক্ষ্য থাকবে ভারতের। আর সেই কাজে যিনি সাহায্য করতে পারেন তিনি কুলদীপ। হ্যারিসের অভ্যাস রয়েছে চালিয়ে খেলার। তাই কুলদীপ বোকা বানিয়ে বোল্ড করার সুযোগ পাবেন। কুলদীপের আঙুলের হালকা মোচড় হ্যারিসকে সাজঘরে ফেরাতে পারে। অন্যদিকে এশিয়া কাপে দুরন্ত শুরু করেছে ভারত। তবে পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি বা সুফিয়ান মুকিম-কে ধরে খেলতে হবে সূর্যকুমারদের।

  • Asia Cup 2025: দল ঘোষণা আগামী মঙ্গলবার, এশিয়া কাপে ভারতের ব্যাটন কার হাতে?

    Asia Cup 2025: দল ঘোষণা আগামী মঙ্গলবার, এশিয়া কাপে ভারতের ব্যাটন কার হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) শুভমন নন ভারতীয় দলের ব্যাটন থাকছে সূর্যকুমার যাদবের হাতে। এমনই খবর শোনা যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ঘোষিত হতে পারে এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দল। সূত্রের খবর, অজিত আগরকরের নেতৃত্বে নির্বাচক প্যানেল দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। এশিয়া কাপে ভারতের দলে তিন তারকা জায়গা না-ও পেতে পারেন। তাঁদের মধ্য নাম রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা রিঙ্কু সিং-এর।

    অধিনায়ক সূর্য

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৯ অগাস্ট এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) দল নির্বাচন হবে। মুম্বইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কার্যালয়ে দল নির্বাচন করবে অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের। আপাতত বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন সূর্য। সেখান থেকে মুম্বইয়ে যাবেন তিনি।

    কে কোথায় খেলবে

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক বলেছেন, “১৯ অগাস্ট দল নির্বাচন হবে। তার পরে নির্বাচক প্রধান এক সাংবাদিক বৈঠক করবেন। সেখানে দল ঘোষণা করবেন তিনি।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, সূর্যকুমারই অধিনায়ক থাকছেন। টেস্ট দলের পর শুভমনকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করার জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। তবে সূর্যের উপরেই আস্থা রয়েছে গম্ভীর ও আগরকরের। ওই আধিকারিক বলেছেন, “ওপেনার হিসাবে সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মার উপরেই ভরসা করছেন নির্বাচকেরা। ফলে শুভমনকে কোথায় খেলানো হবে তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। যশস্বী জয়সওয়ালকে বলা হয়েছে, লাল বলের ক্রিকেটে মন দিতে। লোকেশ রাহুলেরও খেলার সম্ভাবনা কম। এই তিন তারকাকে এশিয়া কাপের দলে না-ও দেখা যেতে পারে।”

    সুযোগ কী পাবে রিঙ্কু

    বেশ কয়েক বছর আগে যশ দয়ালের ওভারে টানা পাঁচটি ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিতিয়ে প্রচারের আলোয় চলে এসেছিলেন রিঙ্কু। তাঁকে ভারতীয় দলে একজন ফিনিশার হিসেবেই দেখা হত। তবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জন্য ভারতীয় দলে জায়গা না পাওয়ার পর থেকে রিঙ্কুর কেরিয়ারের গ্রাফ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। উল্লেখ্য, আলিগড়ের এই ক্রিকেটারকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের আইপিএলে মাত্র ১১৩ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিঙ্কু। এমনকী গত আইপিএলেও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি। খেলেছিলেন মাত্র ১৩৪ বল। মজার বিষয় হল, ২০২৪ সালে গম্ভীরই ছিলেন কেকেআরের মেন্টর। সেই গম্ভীর এখন টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচ। সেই কারণে রিঙ্কুতে কতটা আস্থা রাখবেন গম্ভীর , তা প্রশ্নাতীত।

     

     

     

  • WTC Points Table: ওভালে ঐতিহাসিক জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে টপকে গেল ভারত

    WTC Points Table: ওভালে ঐতিহাসিক জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে টপকে গেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহম্মদ সিরাজের সাহসী বোলিংয়ে ওভাল টেস্ট জিতেছে ভারত। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শুভমন ব্রিগেড। গুরু গম্ভীরের পরামর্শে এখন হারার আগে হার মানতে জানে না টিম ইন্ডিয়া। ওভালে জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC Points Table) তালিকায় এক ধাপ উঠে এসেছে ভারত। সরিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। শুভমন গিলের দল এখন রয়েছে তিন নম্বরে। ওভালে জিতে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে ভারত। এই টেস্টের আগে তিনে ছিল ইংল্যান্ড। তারা নেমে গিয়েছে চারে।

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়

    ভারত এবং ইংল্যান্ড, দুটো দলের কাছেই এটা পরবর্তী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) প্রথম সিরিজ ছিল। দুই দলই দুটো করে ম্যাচ জিতেছে। একটি ড্র হয়েছে। তবে লর্ডসে মন্থর ওভার রেটের কারণে আইসিসি ইংল্যান্ডের দু’পয়েন্ট কেটে নিয়েছে। তাই ভারতের নীচে চলে গিয়েছে তারা। পাঁচ টেস্টে ভারতের ২৮ পয়েন্ট। শতাংশের বিচারে পয়েন্ট ৪৬.৬৭। ইংল্যান্ডের ২৬ পয়েন্ট এবং পয়েন্ট শতাংশ ৪৩.৩৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনটে টেস্টেই হারানোর কারণে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ৩৬ পয়েন্ট। পয়েন্ট শতাংশ ১০০। দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা। তাদের পয়েন্ট শতাংশ ৬৬.৬৭। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ (পয়েন্ট শতাংশ ১৬.৬৭) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (০)। নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন চক্রে এখনও কোনও টেস্ট খেলেনি।

    টিম ইন্ডিয়ার নজর হোম সিরিজের দিকে

    ওভাল টেস্ট জিতে মাঠ ছাড়বে ভারত, অতিবড় ভক্তও বোধ হয় সেটা ভাবতে পারেননি। তবে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শুভমান গিলরা। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি ড্র করে করে দেশে ফিরছে টিম ইন্ডিয়া। শুভমনের নতুন ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাভাসকর থেকে তেন্ডুলকর। তরুণ তুর্কিদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রোহিত-বিরাটরাও। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও উপরে উঠে এসেছে শুভমনরা। ভারতের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ঘরের মাঠে। ঠিক দু’ মাস পরে, ২ অক্টোবর থেকে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হবে। এর পরে টিম ইন্ডিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। এই সিরিজটিও ভারত ঘরের মাঠে খেলবে। এই দু’টি সিরিজ জিতে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ রয়েছে শুভমনদের। এদিকে ইংল্যান্ড এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে, ২১ নভেম্বর থেকে দুই দলের মধ্যে ৫ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হবে।

  • India vs England: জাদেজা-সুন্দরের শতরান, ম‍্যাচ বাঁচাল ভারত! ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ড কে কড়া টক্কর, সিরিজে টিকে শুভমনেরা

    India vs England: জাদেজা-সুন্দরের শতরান, ম‍্যাচ বাঁচাল ভারত! ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ড কে কড়া টক্কর, সিরিজে টিকে শুভমনেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হারার আগে হারতে নেই! বাইশ গজে তা ফের প্রমাণ করে দিল ভারতের তরুণ ব্রিগেড। ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ডের (India vs England) মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে ম্যাচ বাঁচিয়ে দিল ভারত। প্রথমে অধিনায়ক গিলের শতরান, লোকেশ রাহুলের লড়াকু ইনিংস আর পরে জাদেজা-সুন্দরের দাপটে সিরিজে টিকে থাকল ভারত। বহুদিন পর টেস্ট ফিরল পুরনো মহিমায়। টি-টোয়েন্টির যুগেও টেস্ট যে এখনও ক্রিকেটের ভিত তা বুঝিয়ে দিল শুভমন-ব্রিগেড। ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ফয়সালা হবে শেষ ম্যাচেই।

    হারের মুখ থেকে ড্র

    খেলা যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে জয় আসবেই। তবে এ ক্ষেত্রে ড্র হলেও, রবি শাস্ত্রী ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলে দিলেন, ম্যাঞ্চেস্টারে (Manchester Test) ভারতের ‘নৈতিক জয়’ হয়েছে। হারের আশঙ্কা দূরে ঠেলে চা-বিরতিতেতই ড্র’য়ের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। তবে চাপা উদ্বেগ ছিলই। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে চতুর্থ টেস্টের অন্তিম সেশনে সামান্য উদ্বেগটুকুও গ্যালারিতে পাঠালেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। দুই ব্যাটারের ২০৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে সম্মানের সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট ড্র করল ‘মেন ইন ব্লু’।

    স্টোকসের আর্জি ফেরালেন জাদেজা

    ভারতের (India vs England) দ্বিতীয় ইনিংসের বয়স তখন ১৩৮ ওভার। স্কোর ৩৮৬-৪। ক্রি‌জে ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর (৮০) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (৮৯)। তখনও ম্যাচ শেষ হতে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাকি। হঠাৎই জাদেজার দিকে এগিয়ে এসে হাত মেলাতে গেলেন বেন স্টোকস। প্রস্তাব দিলেন ড্র করার। ভারতের দুই ব্যাটার সসম্মানে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন। জানালেন, তাঁরা আরও ব্যাট করতে চান। প্রতিপক্ষ রাজি না হলে অপারগ আম্পায়ারেরাও। তাঁরাও খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। জাদেজা এবং সুন্দর, তখন তাদের সেঞ্চুরির কাছাকাছি ছিলেন, সেই কারণেই ম্যাচ শেষ করতে চাননি। ড্রেসিংরুম থেকে খেলা দেখছিলেন শুভমান গিল, কোনও প্রতিক্রিয়া ছাড়াই চুপচাপ বসে ছিলেন। বেন স্টোকস ভারতের সিদ্ধান্তে খুব রেগে যান। আম্পায়ার এবং ব্যাটারদের সগে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর, তিনি রণে ভঙ্গ দেন। ম্যাচের পর খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলালেও, স্টোকস, জাদেজা এবং সুন্দরের সঙ্গে হাত মেলাননি। সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হয়েছে।

    জাদেজার যাদু

    তৃতীয় টেস্টে (India vs England) একাই লড়েছিলন কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলেন। ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি। চতুর্থ টেস্টে ওল্ড ট্র্যাফোডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচালেন সেই রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। যদিও ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক শুভমন গিল ও লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত যখন ব্যাট করতে নামে তখন পিছিয়ে ৩১১ রানে পিছিয়ে। শুরুতেই শুভমন গিলদের ধাক্কা দেয় ইংল্যান্ডের বোলাররা। শূন্যতেই আউট হয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল ও সাই সুদর্শন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ভারতের ইনিংসের হারের সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও তখনই হাল ধরেন অধিনায়ক গিল ও লোকেশ রাহুল। টানা ব্যাট করে দলকে ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছে দেন তাঁরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রাহুল ও গিলের স্কোর, যথাক্রমে ৯০ ও ১০৩। তারপরেই ইংল্যান্ডের বোলারদের তুলোধনা করেন জাদেজা ও সুন্দর।

    ওয়াশিংটনের সুন্দর ইনিংস

    তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটারকে বারবার পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু যখনই সুযোগ পান নিজের কাজটা করে দেখান ওয়াশিংটন সুন্দর। ওয়াশিংটন যখনই সুযোগ পেয়েছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি অন্য জাতের ক্রিকেটার। লাল বলের ক্রিকেট তাঁর বরাবরই প্রিয়। কিন্তু রবিবার যে লড়াইটা করলেন, তা বহু দিন ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের মনে থেকে যাবে। ইংল্যান্ডের ইনিংসে ৬৮তম ওভারে বল করতে এসে পর পর দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াশিংটন। তার আগের টেস্টে তিনি চারটি উইকেট পেয়েছিলেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো আচমকা ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করার মতো বল করতে পারেন সুন্দর। আর ব্যাটটা! ওয়াশিংটন প্রতি বারই মুখ বুজে নিজের কাজটা করেন। রবিবারের ইনিংসটাও তেমনই। গোটা ইনিংসে একটাও সুযোগ দিলেন না বিপক্ষকে। তিনি ভালই জানতেন, একটা ভুল পদক্ষেপ মানে বিপদ অনিবার্য। তাই তাড়াহুড়ো বা ঝুঁকির রাস্তাতেই গেলেন না। ধীর গতিতে শতরান করে দলের হার আটকালেন।

    ধ্রুপদী ঘরানায় টেস্টের জয়

    শুভমন, ওয়াশিংটন, জাদেজা— ভারতের এই ত্রয়ী নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ড্র করলেন। বছর তিনেক আগে সিডনিতে এ ভাবেই হারা টেস্ট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন হনুমা বিহারি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তারও আগে, ২০০১-এ ইডেন গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সেই জুটি ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে। তবে রবিবার (Manchester Test) ভারতের লড়াই সে সবের থেকে খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও দল ১৪৩ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করছে, এই উদাহরণ সাম্প্রতিক অতীতে নেই। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কা যুগে, যেখানে লাল বলের ক্রিকেটটাই ভুলতে বসেছেন অধিকাংশ ক্রিকেটার। এই নিয়ে একটি সিরিজের চারটি টেস্টেরই ফয়সালা হল পঞ্চম দিনে, যা আর এক বিরল দৃষ্টান্ত। আর একই সঙ্গে দ্য ওভালে ৩১ অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলা শেষ টেস্ট পাঁচ ম্যাচের সিরিজের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল ।

  • India vs England: পন্থের চোট, চিন্তায় ভারত! জো-রুটের ধ্রুপদী ইনিংসে প্রথম দিনে ভালো জায়গায় ইংল্যান্ড

    India vs England: পন্থের চোট, চিন্তায় ভারত! জো-রুটের ধ্রুপদী ইনিংসে প্রথম দিনে ভালো জায়গায় ইংল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এজবাস্টনে ঐতিহাসিক জয়ের পর লর্ডসে টেস্টের প্রথম দিনেই চাপে পড়ে গেল ভারত (India vs England)। লর্ডসের প্রথম দিন শেষে ম্যাচের রাশ স্পষ্টভাবেই ইংল্যান্ডের হাতে। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ৪ উইকেটে ২৫১। রুট ৯৯ ও স্টোকস ৩৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তার উপর ঋষভ পন্থের চোট ভাবাচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে।

    পন্থের চোট, চিন্তায় ভারত

    ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৩৪তম ওভারে একটি বল আটকাতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়েছেন ঋষভ পন্থ। মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। পরিবর্তে উইকেট রক্ষা করতে নামতে হয়েছে ধ্রুব জুরেলকে। যশপ্রীত বুমরা বল করেছিলেন লেগ স্টাম্পের কিছু বাইরে। পন্থ (Rishabh Pant) বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বল ধরার চেষ্টা করেন। যাতে ইংল্যান্ড ৪ রান বাই না পেয়ে যায়। বল ঠিক মতো আটকাতে পারেননি পন্থ। বল তাঁর বাঁ হাতের একটি আঙুল ছুঁয়ে চলে যায়। তাতেই চোট পান পন্থ। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়কের মুখে যন্ত্রণার ছাপ ছিল স্পষ্ট। পন্থ যদি ব্যাট করতে না পারেন তাহলে চাপে পড়ে যাবে ভারত। কারণ ২০১৭ সালে এমসিসি যে নিয়ম তৈরি করেছিল, সেই অনুযায়ী উইকেটরক্ষক আহত হলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে মাঠের আম্পায়ারদের অনুমতি নিয়ে পরিবর্ত উইকেটরক্ষক নামানো যায়। কিন্তু পরিবর্ত হিসাবে নামা ক্রিকেটার ব্যাট করতে পারেন না। প্রথম একাদশে থাকা কোনও ক্রিকেটার মাথায় চোট পেলে বা খেলা চলার সময় কোভিড ১৯এ আক্রান্ত হলে, তাঁর পরিবর্ত ক্রিকেটার ব্যাট এবং বল করতে পারেন। এ ছাড়া সব ক্ষেত্রে পরিবর্ত ক্রিকেটার শুধু ফিল্ডিং করতে পারেন। চোটের জন্য পন্থ ব্যাট করতে না পারলে ভারতকে ১০জন ব্যাটারেই খেলতে হবে।

    দ্রুত উইকেট তোলাই লক্ষ্য

    এজবাস্টনে হারের পর লর্ডসে খেলার ধরনই বদলে ফেলল ইংল্যান্ড। ফলে উইকেট তুলতে সমস্যা হল ভারতেরও। প্রথম দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডে রান ৪ উইকেটে ২৫১। ৯৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন জো রুট। টেস্টে নিজের ৩৭ নম্বর শতরানের সামনে তিনি। সঙ্গে রয়েছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। ৩৯ রান করে খেলছেন তিনি। সারা দিন ধরে উইকেট তোলার অনেক চেষ্টা করেছে ভারত। বুমরা, আকাশদীপেরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু উইকেট থেকে কোনও সাহায্য পাননি তাঁরা। এই উইকেটে বাউন্সও খুব কম। প্রথম দিনই অনেক বল দুই ড্রপে উইকেটরক্ষকের কাছে গিয়েছে। এই পিচে উইকেট তোলা যে সহজ নয় তা প্রথম দিনই বোঝা গিয়েছে। তবে, দ্বিতীয় দিনে দ্রুত উইকেট না তুলতে পারলে চিন্তা বাড়বে ভারতের।

  • India vs England: লর্ডসের সবুজ পিচে ভয় ধরাবে বুমরা! তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে চায় ভারত

    India vs England: লর্ডসের সবুজ পিচে ভয় ধরাবে বুমরা! তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে চায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোর বর্তমানে ১-১। লর্ডস টেস্ট জিতলেই সিরিজে এগিয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। তবে লর্ডস টেস্টটা চ্যালেঞ্জিং করতে ইংল্যান্ডের অস্ত্র সবুজ পিচ। অনুশীলনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লর্ডসে পিচের উপর সবুজ আস্তরণ। এক নজরে দেখলে মাঠ আর পিচের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হবে। তবে, বুধবার খেলার আগের দিন সকালে কিছুটা ঘাস ছাঁটা হল লর্ডসের। আসলে এজবাস্টনে যশপ্রীত বুমরা ছাড়া ভারতীয় পেস ব‌্যাটারি যেভাবে ইংল‌্যান্ড ব‌্যাটিংকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, তাতে ব্রেন্ডন ম‌্যাকালামের টিম পুরোপুরি সবুজ উইকেট খেলার সাহস মনে হয় না দেখাবে। তবে একটা কথা ঠিক, লর্ডসের উইকেট পেসারদের অনেক বেশি সাহায‌্য করবে। সেটাই ভারতীয় পেসারদের আরও তাতিয়ে দিচ্ছে।

    লর্ডসে জয়ের আশা

    সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লর্ডসের মাটিতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নামবে ভারতীয় দল। পরিসংখ্যান বলছে, এখানে শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে দুইটিতে। এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইবে গৌতম গম্ভীরের ছাত্ররা। তৃতীয় টেস্টের আগে সবচেয়ে বড় খবর হল অভিজ্ঞ পেসার বুমরা ফিরছেন একাদশে। ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন যে বুমরা লর্ডস টেস্ট খেলবেন। বুমরার ফিরে আসা দলের বোলিং ইউনিটে নতুন গতি ও ধার যোগ করবে নিঃসন্দেহে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বল হাতে দারুণ লড়াই করেছেন মহম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ, তবে বুমরার মতো ম্যাচ উইনার বোলারের প্রত্যাবর্তন যেকোনো দলের জন্য বিশাল স্বস্তির। বুমরা ফিরলে একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।

    ইংল্যান্ডের দলে পরিবর্তন

    অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দলেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই তারকা পেসার জোফরা আর্চার ও গাস অ্যাটকিনসন দলে ফিরছেন। দুর্বল বোলিং আক্রমণ তাদের প্রথম দুই টেস্টে ব্যাকফুটে রেখেছিল। আর্চার ও অ্যাটকিনসন ফিরলে দলে ভারসাম্য আসবে। তারা ব্রাইডন কার্সে ও জশ টাংয়ের জায়গা নিতে পারেন। বিকল্প হিসেবে ক্রিস ওকসকে বাদ দিয়ে জশ টাংকে রাখা হতে পারে। ব্যাটিং লাইনআপেও পরিবর্তন হতে পারে—ফর্মহীন জ্যাক ক্রলি’র জায়গায় ঢুকতে পারেন জ্যাকব বেথেল।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, কে এল রাহুল, করুণ নায়ার, শুভমন গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, আকাশ দীপ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ

    ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: বেন ডাকেট, জ্যাকব বেথেল, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, জোফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির

LinkedIn
Share