Tag: sia

sia

  • SIA: পহেলগাঁওকাণ্ডে ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে কাশ্মীরের ২০ জায়গায় তল্লাশি এসআইএ-র

    SIA: পহেলগাঁওকাণ্ডে ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে কাশ্মীরের ২০ জায়গায় তল্লাশি এসআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকেলে শুরু হয়েছে ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি। যদিও শনি-রাতে জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) গোলাগুলি বর্ষণ করেছে পাকিস্তান। এই আবহে রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের ২০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল কাশ্মীরের স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এসআইএ (SIA)। এই দক্ষিণ কাশ্মীরেরই পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। ওই হামলায় নাম জড়ায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের। তাদের সঙ্গে যে স্থানীয়দের একাংশের যোগ রয়েছে, সে বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

    ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে হামলা (SIA)

    এদিন সেই ষড়যন্ত্রীদেরই ধরতে চালানো হয় অভিযান। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানভিত্তিক হ্যান্ডলারদের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ ওঠা জঙ্গি সহযোগী ও ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের ওপর নজরদারি বাড়ার মধ্যেই এই অভিযান চালানো হল।” কাশ্মীরের পুলিশ কর্তাদের মতে, নজরদারি চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই অঞ্চলের একাধিক স্লিপার সেল সীমান্তের ওপারে থাকা জঙ্গি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছিল। এই সেলগুলো হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং সিগন্যালের মতো এনক্রিপ্টেড মেসিজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোসমূহ সম্পর্কিত সংবেদনশীল ও কৌশলগত তথ্য আদান-প্রদান করছিল।

    অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের উগ্র মতাদর্শ প্রচারে যুক্ত

    সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারদের নির্দেশে অনলাইনে উগ্র মতাদর্শ প্রচারে যুক্ত ছিল। প্রশাসনের মতে, তাদের এসব কাজ ভারতের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে এবং এর উদ্দেশ্য জনসাধারণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উসকে দেওয়া। এদিনের তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (SIA)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বেশ কিছু সন্দেহভাজনকে। এক পদস্থ কর্তা জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটা স্পষ্ট যে, এটি (পহেলগাঁওকাণ্ড) একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন এবং অনলাইন ও অফলাইনে ভারতবিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছিল।

    এসআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, “যে বা যারা যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে (Kashmir) যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত থাকবে (SIA)।”

  • Terror Funding Racket: ভূস্বর্গে টেরর ফান্ডিং চক্রের হদিশ, কীভাবে জঙ্গিদের হাতে অর্থ যেত জানেন?

    Terror Funding Racket: ভূস্বর্গে টেরর ফান্ডিং চক্রের হদিশ, কীভাবে জঙ্গিদের হাতে অর্থ যেত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে মিলল টেরর ফান্ডিং (Terror Funding Racket) চক্রের হদিশ। এই চক্রের পান্ডারা ৮৫ কোটি টাকা জোগাড় করে জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই চক্রে কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা এবং শ্রীনগরের এক ব্যবসায়ী জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ওই পুলিশ কর্তার বাড়িতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি।

    জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালায় এসআইএ

    কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে তল্লাশি চালায় স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালায় এসআইএ। তখনই ফাঁস হয় এই টেরর ফান্ডিং চক্রের। এসআইএ সূত্রে খবর, বিভিন্ন গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হত। তদন্তকারীদের দাবি, বিপুল পরিমাণ এই টাকা উপত্যকা সহ দেশের অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নাশকতার কাজে লাগানোর জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় টেরর ফান্ডিং চক্রের ধরা পড়ার নজির নেই বলেও দাবি তাঁদের। তিন দিনের ওই অভিযানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল ভূস্বর্গের ২২টি জায়গায়।

    টেরর ফান্ডিংয়ে দুবাই যোগ!

    এর মধ্যে রয়েছে একজন প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক ও একজন ব্যবসায়ীর বাড়িও। শুক্রবার সকালে তল্লাশি চালানো হয় শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং অনন্তনাগ জেলার ১০টি জায়গায়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Terror Funding Racket) প্রচুর পরিমাণ বৈদ্যুতিন যন্ত্র সহ নানা সামগ্রী। তদন্তকারীদের আরও দাবি, টেরর ফান্ডিং এই চক্রের সঙ্গে রয়েছে দুবাই যোগ। এসআইএ জানিয়েছে, সোনার চোরা চালান ও অন্যান্য পথে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হত। কারা অর্থ সংগ্রহ করত, কোথা থেকে ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য অর্থ সরবরাহ করত, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কড়া সাজা হবে বলে আশ্বাস এসআইএ-র। তারা জানিয়েছে, ভূস্বর্গ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধ পরিকর তারা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    একটি বিবৃতি জারি করে এসআইএ জানিয়েছে, “এটি জঙ্গিদের আর্থিক মদত দেওয়ার একটি মামলা। যেখানে ৮৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গোপন মাধ্যমে সেই টাকা জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, টেরর ফান্ডিংয়ে (Terror Funding Racket) মদত দেওয়ার অভিযোগে অগাস্ট মাসে একটি মামলা দায়ের হয়। তার পরেই তদন্তে নামে এসআইএ। ফাঁস হয় টেরর ফান্ডিংয়ের পর্দা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share