Tag: sikim

sikim

  • Rising Northeast: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটে স্বাক্ষরিত ৪.৩ লাখ কোটি টাকার মউ

    Rising Northeast: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটে স্বাক্ষরিত ৪.৩ লাখ কোটি টাকার মউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট (Rising Northeast) ইনভেস্টরস সামিট ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২৩-২৪ মে অনুষ্ঠিত দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে পর্যটন, বস্ত্র, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের সুযোগগুলি অন্বেষণ করার জন্য শিল্পপতি, সরকারি কর্তা এবং পার্টনারদের একত্রিত করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বের কৌশলগত ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং ভারতের পূর্ব করিডরের জন্য একটি প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে এই সামিটের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সরকারি বিবৃতি (Rising Northeast)

    শনিবার শেষ হয় এই সম্মেলন। সরকারি বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে ৪.৩ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (Rising Northeast) মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই দু’দিনের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্তের বিনিয়োগকারীরা। এটি ফের একবার প্রমাণ করল যে উত্তর-পূর্ব কেবল একটি অঞ্চল নয়, বরং বিকশিত ভারতের (Viksit Bharat) জন্য একটি কৌশলগত বৃদ্ধির করিডর। উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বলেন, “আজ, ‘এনইআর’ শব্দটির অর্থ নতুন অর্থনৈতিক বিপ্লব এবং ভারতের নতুন অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ।” তিনি বলেন, “আমাদের সামিট কোনও সমাপ্তি নয় — এটি একটি সূচনা। এটি পূর্ণ বিরাম নয়, প্রস্তাবনা।”

    স্বাক্ষরিত একাধিক মউ

    জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রধান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাধিক মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্মেলনে সিকিম সরকার এসএম হোটেলস অ্যান্ড রিসর্টসের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে, যার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৫০-৩০০ কোটি টাকা। অরুণাচল প্রদেশ সরকার ফার্ম নেটিভ গ্রুপের সঙ্গে একটি ১৫০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে। মেঘালয় সরকার এগ্রি-বায়ো ফুয়েলস গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে ৪ হাজার কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। মেঘালয় সরকার এবং ইনল্যাম্বি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১,০০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। মণিপুর সরকারও ওই সংস্থার সঙ্গে ১,০০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। ত্রিপুরা সরকার শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যা মন্দির ট্রাস্টের শ্রী শ্রী ইউনিভার্সিটি এবং একটি আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে।

    মোট ৮০৩টি বিনিয়োগের আগ্রহ

    মার্কি মউ স্বাক্ষরের বাইরে শীর্ষ সম্মেলনে মোট ৮০৩টি বিনিয়োগের আগ্রহ রেজিস্টার্ড হয়েছে। এগুলি সংগৃহীত হয়েছে রোডশো, বিটুজি বৈঠক এবং সরকারি/সরকারি-বেসরকারি প্রস্তাবনার মাধ্যমে। বিভিন্ন রাজ্যে আয়োজিত রোডশোগুলির মাধ্যমে ₹৯৯,৫৩৩ কোটি টাকার বিনিয়োগে আগ্রহও প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এসেছে ₹১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা। শিল্প গোষ্ঠীগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ₹১.৫৮ লাখ কোটি টাকা এবং শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন অনুষ্ঠিত বিটুজি বৈঠকগুলির মাধ্যমে ₹১৮,৬০০ কোটিরও বেশি মূল্যের লগ্নির প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে (Rising Northeast)। সিন্ধিয়া বলেন, “বাজপেয়ীজির বপন করা বীজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। গত ১১ বছরে আমাদের মন্ত্রিসভা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭৩০ বার সফর করেছে, যা কেন্দ্রের আবেগগত ও কৌশলগত অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।”

    ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ

    বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণে এই শীর্ষ সম্মেলন উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও তার বাইরের সঙ্গে একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন হিসেবে তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র রুপি বা ডলারে বিনিয়োগ নয় — এটি বিশ্বাস, সম্পর্ক এবং ভারতের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক ভূগোলের ওপরও বিনিয়োগ।” সিন্ধিয়া আরও একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আটটি ক্ষেত্রভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত স্তম্ভ, যার নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রীরা, এবং অন্য রাজ্যগুলির সহায়তায় স্বাক্ষরিত মউ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, “এখানে কোনও মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পূর্ব নেই — এখানে শুধুই অখণ্ড ভারত রয়েছে, যেখানে প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়, হাত ও দিগন্ত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে (Rising Northeast)।”

    প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট নীতি”-এর কেন্দ্রবিন্দু, যার লক্ষ্য আসিয়ান দেশ এবং অন্যান্য পূর্ব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযোগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ঐতিহাসিকভাবে অনুন্নত, এই অঞ্চলে গত এক দশক ধরে (মোদি জমানা) পরিকাঠামো, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ দেখা গিয়েছে (Rising Northeast)।

  • Landslide: হড়পা বান ও ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সিকিম, উদ্ধার ৩৫০০ পর্যটক

    Landslide: হড়পা বান ও ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সিকিম, উদ্ধার ৩৫০০ পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বান ও ধসের (Landslide) জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের (Sikim) বিস্তীর্ণ এলাকা। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক আটকে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিমের মাঙ্গান থেকে চুংথা পর্যন্ত রাস্তা। এই রাস্তা ধরেই পেগং হয়ে লাচুং ও লাচেন পর্যন্ত যেতে হয় পর্যটকদের।

    চলছে উদ্ধার কাজ

    এসব জায়গায় বেড়াতে গিয়েছেন বহু পর্যটক। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালিও রয়েছেন। হোটেলে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বাংলাদেশি, ১০ জন আমেরিকান এবং তিনজন সিঙ্গাপুরের। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। তবে প্রকৃতি বিরূপ হওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করেছেন সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। উত্তর সিকিমে ধস (Landslide) এবং রাস্তা বন্ধের জেরে আটকে পড়েছিলেন এঁরা।

    উদ্ধার ২ হাজার

    শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিমের লাচেন, লাচুং এবং চুংথাং উপত্যকা। তার জেরে উত্তর সিকিম জেলার সদর মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। হড়পা বানে বিধ্বস্ত এলাকায় নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে উদ্ধার করা হচ্ছে পর্যটকদের। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে গরম খাবার, থাকার জায়গা এবং চিকিৎসা সহায়তা। রবিবার সকাল থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব  ভারত ও হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধারের পাশাপাশি চলছে রাস্তা সংস্কারের কাজও। ১৫ তারিখ থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে। তার জেরেই বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস (Landslide)। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলিতে যাওয়ার পথ। ধসের কারণে ৩৪৫টি চারচাকা গাড়ি ও ১১টি মোটর সাইকেলও আটকে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে বিভিন্ন নদীর। তিস্তা, রঙ্গিত সহ একাধিক নদী রীতিমতো ফুঁসছে। পশ্চিম সিকিমের রিম্বি নদীর জলে ভেসে গিয়েছেন নবতিপর এক ব্যক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share