Tag: Sindoor

  • Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান (Pakistans Foreign Minister)। ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) মন্তব্যের জেরে ফাঁপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে বিপাকে ফেলেছেন খোদ পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা (Operation Sindoor) বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁর কবুল করা কথাতেই ফেঁসে গেলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই অপারেশনে সফল হয় ভারত। তার পরেও বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। কারণ, যুদ্ধ বিরতির কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। এর পরেই বিরোধীদের দাবিতে তুলকালাম হয় সংসদে। তাঁদের বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির কথা কেন ঘোষণা করবে তৃতীয় পক্ষ। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি কোনও তৃতীয় পক্ষের কথা শুনে হয়নি। এবার সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের মুখে। তিনি বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, তবে ভারত তাতে রাজি হয়নি।” তিনি কবুল করেন, “যুদ্ধ থামাতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কাছে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি তুলেছিল ইসলামাবাদ।” যদিও শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এই বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নয়াদিল্লি সব সময় ভারত ও পাকিস্তানের যাবতীয় বিষয় কঠোরভাবে দ্বিপাক্ষিক হিসেবেই দেখে।”

    পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা তৃতীয় পক্ষের জড়িত থাকার বিষয়ে আপত্তি করি না। তবে ভারত বরাবর স্পষ্ট করে বলে আসছে- এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনও আপত্তি নেই। তবে (Operation Sindoor) আলোচনা ব্যাপক হতে হবে। আগেও আমরা সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য, অর্থনীতি, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিষয়ে আলোচনা করেছি।” দার জানান, এর আগে মে মাসে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী)। বলেছিল (Pakistans Foreign Minister), ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হবে একটি নিরপেক্ষ স্থানে। যদিও ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে রুবিওর সঙ্গে পরবর্তী এক বৈঠকে দারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারত এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বলেছে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমরা কোনও কিছুর জন্য ভিক্ষা করছি না। আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা বিশ্বাস করি যে আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার পথ। তবে আলোচনার জন্য দু’জনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।” তিনি সাফ জানান, ভারত যদি সাড়া দেয়, তবে পাকিস্তান এখনও আলোচনায় অংশ নিতে ইচ্ছুক। দার বলেন (Operation Sindoor), “কোনও দেশ যদি আলোচনা চায়, তবে আমরা খুশিই হব। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। তবে ভারত যদি না চায়, তাহলে আমরাও এগোব না।” অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিল, এদিন তাও জানান পাক বিদেশমন্ত্রী। তিনি কবুল করেন, “পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিল (Pakistans Foreign Minister)।”

    শিমলা চুক্তি

    উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত শিমলা চুক্তির অন্যতম শর্তই ছিল ভারত ও পাকিস্তানের কোনও সমস্যার সমাধান দ্বিপক্ষিক স্তরে হবে। সংবাদ মাধ্যম ‘আল জাজিরা’কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সে কথা মনেও করিয়ে দেন দার। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৯ সালে লাহোর ঘোষণার সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বিজপেয়ী যখন পাকিস্তানে যান, তখনও তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার সময়ই এই বিষয়টি উঠে এসেছিল (Operation Sindoor)। জানা গিয়েছে, রুবিও তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত সব সময় বলে এসেছে, এটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই। অথচ সেই দেশেরই রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প গত মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “আমার মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।”

    বিক্রম মিস্রির দাবি

    ট্রাম্পের এহেন দাবির পরে পরেই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছিল পাকিস্তানের তরফে। তবে ভারত তৃতীয় পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ মানেনি। বিদেশসচিব জানান, পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেন। তার পরেই বিকেল ৫টা থেকে গুলি চালানো বন্ধ করার বিষয়ে বোঝাপড়া হয় দুই দেশের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে বলেছে। তখনই তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শিমলা চুক্তির পর (Pakistans Foreign Minister) থেকে নয়াদিল্লি শুধুই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষপাতী (Operation Sindoor)।

  • Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর কিছুদিন ভয়ে গুটিয়ে ছিল জঙ্গিরা। অভিযোগ, পাকিস্তানের মদত পেয়ে তারা ফের মাথা তুলেছে। ওই অভিযানে পাক পাঞ্জাবের মুরিদকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar E Taibas) সদর দফতর মার্কাজ তায়েবা। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই সদর দফতর পুনর্নিমাণে ফের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। এই তথ্য জানা গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে প্রাপ্ত একটি রিপোর্টে।

    অপারেশন সিঁদুর (Lashkar E Taibas)

    পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী, ওই দিন রাত ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় মিরাজ বিমান পাঞ্জাব প্রদেশের গভীরে ঢুকে মার্কাজ তায়েবা ক্যাম্পাসের ১.০৯ একর এলাকায় তিনটি প্রধান কাঠামোর ওপর বিমান হামলা চালায়। টার্গেটে ছিল, একটি লাল রংয়ের বহুতল ভবন, যেটি ব্যবহৃত হত ক্যাডারদের ব্যবস্থাপনা ও অস্ত্রসংগ্রহের জন্য, এবং হলুদ রংয়ের দুটি ভবন যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং সংগঠনের সিনিয়র কমান্ডারদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত। অপারেশন সিঁদুরের জেরে ওই তিনটি ভবনেরই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই হামলা লস্করের পরিকাঠামোর ওপর ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর সব চেয়ে বিধ্বংসী আঘাত। সূত্রের খবর, ১৮ অগাস্ট লস্কর-ই-তৈবা ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে ফেলে। লস্করের ক্যাডারদের দেখা গিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর তদারকি করতে।

    পুনর্নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ফেব্রুয়ারিতে!

    সূত্রের খবর, বর্তমানে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নজর আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে। ফি বছর এই দিনটি পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এই দিনেই উদ্বোধন করা হতে পারে পুনর্নির্মিত ভবনের। এদিনই হতে পারে লস্করের বার্ষিক সম্মেলনও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুনর্নির্মিত মার্কাজ ফের প্রশিক্ষণ, আদর্শায়ন এবং অপারেশনাল পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। সদর দফতর পুনর্নির্মাণের কাজ ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্ববধান করছেন মাওলানা আবু জার। তিনি মার্কাজ তৈবার পরিচালক এবং লস্করের প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি উস্তাদ উল মুজাহিদ্দিন হিসেবেও পরিচিত। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউনূস শাহ বুখারিও। অপারেশনাল তত্ত্বাবধানে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুখারি (Lashkar E Taibas)।

    জঙ্গি গোষ্ঠীটির অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি অস্থায়ীভাবে তাদের প্রশিক্ষণ শাখাগুলিকে বাহাওয়ালপুরের মারকাজ আকসায় এবং পরে কাসুর জেলার পাটোকির মারকাজ ইয়ারমুকে স্থানান্তরিত করেছে (Operation Sindoor)। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরির বিশ্বস্ত সহযোগী আবদুল রশিদ মহসিন। ডসিয়ার অনুসারে, ইসলামাবাদ প্রকাশ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) ধ্বংস হওয়া কার্যালয়গুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এগুলিই ধ্বংস হয়েছিল অপারেশন সিন্দুরে। অগাস্ট মাসে লস্কর-ই-তৈবা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা পেয়েছে। অনুমান, ওই ভবনগুলি তৈরি করতে খরচ হবে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। এই আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বন্যা ত্রাণ কর্মসূচি তহবিলের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করেছে লস্কর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এহেন আচরণ মুখোশ খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভন্ডামির। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা দাবি করছে, পাকিস্তান উগ্রপন্থার শিকার, যদিও রাষ্ট্র স্বয়ং অর্থায়ন করে চলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে (Lashkar E Taibas)।

    পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    ২০০৫ সালে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভূমিকম্পের পরে লস্কর (সেই সময় জামাত-উদ-দাওয়া নামে পরিচিত ছিল) মানবিক সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, সংগৃহীত অর্থের  ৮০ শতাংশই জঙ্গিঘাঁটি গড়তে খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতলি অঞ্চলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস নির্মাণও ছিল, অপারেশেন সিঁদুরে যেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত সাফল্যের পরেও, লস্করের দ্রুত উত্থান তার মজবুত সংগঠনেরই প্রমাণ দেয়, যে গোষ্ঠীতে নিয়মিত অর্থায়ন করে চলে রাষ্ট্র নিজে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কাজ পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে (Operation Sindoor)। এটি প্রতিরোধ ও প্রচারের কাজ করবে। নিশ্চিত করবে পাকিস্তানের ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা। লস্করের প্রক্সি ফ্রন্টগুলির বিস্তার দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট, কাশ্মীর টাইগার্স এবং মাউন্টেন ওয়ারিওর্স অফ কাশ্মীর – একদিকে যেমন পাকিস্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ করে দেয়, তেমনি অন্য দিকে ভারত-বিরোধী হিংসার ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করে (Lashkar E Taibas)।

    ইসলামাবাদের অর্থায়ন

    মুরিদকের এই ঘটনা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যের গভীর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নিদর্শন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করার বদলে, ইসলামাবাদের অর্থায়ন, সাহায্য এবং উদাসীনতা নিশ্চিত করে যে লস্করের মতো গোষ্ঠীগুলি শুধু টিকে থাকবে না, বরং আরও ডালপালা বিস্তার করবে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার দিন পনেরো পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত (Lashkar E Taibas)।

  • Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে এবার পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওপর ‘প্রতিশোধ’ (Operation Sindoor) নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। যার জেরে ফের একবার বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রবীণ সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া অপারেশন সিঁদুর। সেই অভিযানে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খায় পাক সেনাবাহিনী। পরে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে শুরু করে তারা। যদিও ভারতের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষমেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় ভারতের কাছে। তাতে সাড়া দেয় ভারত।

    বন্ধ গ্যস, জল এবং খবরের কাগজ

    পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশন প্রাঙ্গনে গ্যাস পাইপলাইন বসিয়েছে সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইন্স লিমিটেড। এতদিন তারাই গ্যাস সরবরাহ করছিল ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের বাড়ি এবং তাঁদের অফিসে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই গ্যাস সরবরাহ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে খোলাবাজারে চড়া দরে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। নিতান্তই তা সম্ভব না হলে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির।

    কেবল জ্বালানি নয়, বন্ধ (Operation Sindoor) করে দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহও। ইসলামাবাদের সব বিক্রেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ভারতীয় হাই কমশনকে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ না করেন (Pakistan)। এই ফতোয়ার জেরে ঘোর বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। পানীয় জলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদপত্র বিক্রিও। তথ্য প্রবাহ সীমিত করতেই ভারতীয় দূতাবাস ও তাদের কর্মীদের বাড়িতে কোনও প্রকাশনা সংস্থাই যেন খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন বিক্রি না করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই সব নির্দেশ ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের বিরোধী। এই ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স ভারতীয় দূতাবাসগুলির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কার্যকলাপ নিশ্চিত করে (Operation Sindoor)।

  • Rajnath Singh: “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই”, সংসদে রাজনাথ

    Rajnath Singh: “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই”, সংসদে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই।” সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা স্পষ্টভাবে বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    লোকসভায় শুরু ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা

    সোমবার লোকসভায় শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা। সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনে এই অভিযান নিয়ে আলোচনা শুরুর পরেই দাঁড়িয়ে উঠে বলতে থাকেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই আলোচনা অনেক আগেই শুরু হয়ে যেতে পারত। কিন্তু বিরোধীদের প্রতিবাদের কারণে সংসদ মুলতুবি থেকেছে।”

    ভারতীয় সেনার অবদান

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজনাথ মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় সেনার অবদানের কথাও। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অপারেশেন সিঁদুর (Operation Sindoor) আদতে ভারতীয় সেনার সাফল্যের কাহিনি। রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “অপারেশন সিঁদুর যে সাফল্য ছুঁয়েছে, সে প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য আজ এই সংসদ তৈরি। আমি সেই জওয়ানদের সম্মান জানাই, যাঁরা এই দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ দান করেছেন, যাঁরা এখনও এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলেছেন।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের আগে এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করেই এগিয়ে গিয়েছে আমাদের সেনা। অপারেশনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নজরে রাখা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে যেন কোনওভাবেই সাধারণ মানুষের প্রাণ না যায়। আর এভাবেই মাত্র ২২ মিনিটেই পাকিস্তানের ভেতরে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা আঘাত হানে। তবে দেশের আকাশরক্ষী সুদর্শন চক্র বা এস-৪০০ সেই হামলা প্রতিহত করে (Rajnath Singh)।”

    সেনাকে ফ্রি-হ্যান্ড

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতের সামরিক বাহিনীকে একেবারে ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হয়েছিল। কোন কোন (Operation Sindoor) জায়গায় হামলা চালানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সামরিক বাহিনীই। একেবারে নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যেভাবে হনুমানজি লঙ্কায় নিজের রণনীতি তৈরি করেছিলেন, সে রকমভাবেই আমরা তাদের নিশানা করেছি, যারা আমাদের ক্ষতি করেছিল (Rajnath Singh)।”

    কীভাবে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি

    কীভাবে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি হয়েছে, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ১০ মে পাকিস্তানের একাধিক এয়ারফিল্ডে প্রত্যাহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের হার মেনে নিয়ে সংঘর্ষ-বিরতির জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে (Operation Sindoor) পাকিস্তান। আর ভারত সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে একটাই শর্তে, তা হল অপারেশন সিঁদুর কেবল স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তান যদি ফের ভুলভাল কাজ করে, তাহলে আবারও পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। রাজনাথের জবাবেই স্পষ্ট, যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, সেটা আদতে বিভ্রান্তিকর। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির জন্য ট্রাম্প বারবার নিজেই ক্রেডিট নিয়েছেন। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন (Operation Sindoor), “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই (Rajnath Singh)।”

    রসদের জোগানে জোর রাজনাথের (Rajnath Singh)

    এর আগে, রবিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনাথ বলেছিলেন, “বন্দুক বা গুলি দিয়ে এখন আর যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। যুদ্ধ জেতার অন্যতম হাতিয়ার এখন সামরিক রসদ সঠিক সময় জোগান দিতে পারা।” গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় মে মাসে ভারতের অপারেশন সিঁদুর সে কথাই প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে।” ভারতের রেলমন্ত্রকের অধীন এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জোগানকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকারই সমাবর্তনে ভাষণ দিতে গিয়ে যুদ্ধ জয়ের বর্তমান কৌশলটি বলে দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রসদের জোগানকে একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার ওপর জোর দেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “রসদের জোগানই একটি যুদ্ধক্ষেত্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। রসদের জোগান ঠিকঠাক না থাকলে গোটাটাই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পরিণত হবে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানোর পর প্রমাণিত হয়েছে একাধিক সংস্থার সমন্বয় কীভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। আধুনিক যুদ্ধ জয় এর ওপরই নির্ভর করে।” এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধ কেবল বন্দুক এবং গুলি দিয়ে জেতা যায় না, বরং সময়মতো রসদ জোগানের ওপর নির্ভর করে (Operation Sindoor) কারা জিতবে, আর হারবেই বা কে।”

    ভিন্ন সেনার জন্য পৃথক রসদের ব্যবস্থা

    সব বাহিনীর জন্য যে একই রসদ নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনায় রসদ জোগানের অর্থ ভিন্ন। সেনাবাহিনীর জন্য রসদ জোগানের অর্থ অস্ত্র, জ্বালানি, রেশন এবং ওষুধ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া। আবার নৌবাহিনীর কাছে এর অর্থ হল জাহাজে খুচরো যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া। আর বায়ুসেনার কাছে এর অর্থ হল নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাউন্ড সাপোর্ট দিতে থাকা। এর পাশাপাশি প্রয়োজন জ্বালানি সরবরাহ ঠিক রাখা।”

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এবং তৎপরবর্তী যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Conflict) নিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের তরফে এই প্রথমবার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানো হল।

    কীর্তি বর্ধন সিংয়ের বক্তব্য (Operation Sindoor)

    বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চালু করা হয়েছিল পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের একটি নৃশংস জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে।” তিনি জানান, ৭ মে চালু হওয়া এই অভিযানের অধীনে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে থাকা ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এর পর পাকিস্তান ভারতীয় সেনা চৌকি ও অসামরিক এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। যদিও ভারতীয় বাহিনী দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চরম ক্ষতি করে।” মন্ত্রী জানান, ১০ মে পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিএমও) ভারতের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করার অনুরোধ জানান। ওই দিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজি লাল সুমনের প্রশ্নের জবাবে এই উত্তর দেন তিনি। ভারত কি পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভারত নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি তুলে চলেছে। ভারতের এই চেষ্টার ফলে পাকিস্তান-ভিত্তিক একাধিক জঙ্গি ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) এর ধূসর তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দে

    তিনি জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওই ঘটনাটিকে কঠোর (Operation Sindoor) ভাষায় নিন্দা করে। তারা দোষীদের জবাবদিহিও চায়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) (লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন)-কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত (India Pakistan Conflict) করেছে।পাকিস্তানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ভারত সমস্ত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। এই বিষয়ে ওয়াশিংটন ও অন্যান্য বৈশ্বিক পার্টনারদের সঙ্গে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।” এদিন সরকারের তরফে তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ভারতের বৈদেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও।

    বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর

    কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “পাকিস্তান-স্পনসরর্ড সন্ত্রাসবাদীদের একটি বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর শুরু করা হয়েছিল। এই অভিযান সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করার দিকে নজর রেখেই করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অসামরিক এলাকাগুলির পাশাপাশি সামরিক বেসগুলিকেও টার্গেট (Operation Sindoor) করার চেষ্টা করেছিল।” এদিকে, সোমবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা হতে চলেছে সংসদে। আগামী ২৮ ও ২৯ জুলাই এই আলোচনা হওয়ার কথা। সংসদের বাদল অধিবেশন চলছে। এই অধিবেশনের সময় বিশেষ আলোচনার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় ১৬ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে (India Pakistan Conflict)।

    বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এবং নিশিকান্ত দুবেও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন (Operation Sindoor)। রাজ্যসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা হবে ২৯ জুলাই মঙ্গলবার। এতে অংশ নেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্য মন্ত্রীরা। রাজ্যসভায়ও এই বিষয়ে আলোচনা হবে ১৬ ঘণ্টা ধরে। জানা গিয়েছে, সংসদের উভয় কক্ষে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে।

    কী বলেন প্রধানমন্ত্রী তাকিয়ে বিশ্ব

    বিরোধীদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু আদৌ প্রধানমন্ত্রী সেদিন সংসদে থাকবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকারই কথা। বুধবার চার দিনের ব্রিটেন ও মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ সফর সেরে তিনি যাতে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন, তা মাথায় রেখেই (India Pakistan Conflict) তৈরি করা হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার সূচি (Operation Sindoor)। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও, ভাষণ দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সে ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “সংসদে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হলে গোটা দেশের নজর থাকবে তার ওপর। আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন মহলও সেই আলোচনার (India Pakistan Conflict) ওপর নজর রাখবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন (Operation Sindoor) প্রধানমন্ত্রী।”

  • Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এমতাবস্থায় চিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ওই বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ না থাকলেও, বালুচিস্তানে অশান্তির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার উল্লেখ ছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

    অপারেশন সিঁদুরের যৌক্তিকতা (Rajnath Singh)

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রাজনাথ। সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ছিল অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান। এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় তুলোধনা করেন শাহবাজ শরিফের দেশকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে বাকি দেশগুলিকেও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং সীমান্ত সন্ত্রাস কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছিল।”

    পাকিস্তানকে নিশানা

    পাকিস্তানকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন, “কিছু দেশ সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়ও দেয়। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির নিন্দা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করছে, এদিন সেকথাও ওই মঞ্চে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদ নয়, এবং প্রয়োজনে আমরা সেগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হানতেও পিছপা হব না।” রাজনাথ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপ করা উচিত। এই বিষয়ে এসসিও-র রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট স্ট্রাকচার ব্যবস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদ থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল — ‘সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া চরমপন্থা প্রতিরোধ’ — তা আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক।”

    দুরমুশ জঙ্গি শিবির

    প্রসঙ্গত, গত (Rajnath Singh) ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। এমতাবস্থায় ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি শিবির। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)।

    বিবৃতিতে সই করলেন না রাজনাথ

    সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় এবং তা নিয়ে অবস্থান বোঝাতে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে একে একে সই করতে থাকেন এসসিওর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সই করার পালা এলে ওই বিবৃতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজনাথ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ নেই কেন? বালুচিস্তানে অশান্তি সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার কথা কেন লেখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। এসসিওর চেয়ার এই মুহূর্তে চিনের দখলে। চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের খবর সর্বজনবিদিত। ভারতের অভিযোগ, সেই কারণেই যৌথ বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ (Operation Sindoor)। তার বদলে বালুচিস্তানের অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ভারতকে। এমনতর বিবৃতি দেখে তাতে আর স্বাক্ষর করেননি রাজনাথ (Rajnath Singh)।

    এসসিওর সদস্য রাষ্ট্র

    চিনের চিংদাওয়ে চলছে এসসিও সম্মেলন। যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। রাজনাথের (Rajnath Singh) পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই আয়োজন করা হয় এই সম্মেলনের।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে বালুচিস্তান থেকে। সেখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠনগুলি। আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করা থেকে কনভয়ে বিস্ফোরণ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বালুচিস্তানের এই অশান্তির জন্য ভারতকে বরাবর দায়ী করে আসছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যদিও পাক সরকারের তোলা অভিযোগ বার বার খণ্ডন করেছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত জোগাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই এখন ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে (Operation Sindoor) পাকিস্তান।

     

  • Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে গিয়েও রক্ষে নেই পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের (Asim Munir)। পাঁচ দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। উঠেছেন ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে। সেখানে হাজির হন পাকিস্তানের নাগরিক এবং পাক-বংশোদ্ভূত প্রচুর মানুষ। তাঁরা পাকিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন। ওয়াশিংটনের এই বিক্ষোভের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে শোনা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আসিম মুনির আপনি একজন কাপুরুষ। আপনি গণহত্যাকারী, ধিক্কার আপনাকে’। পরে ফের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘ধিক্কার আপনাকে, একনায়ক এবং পাকিস্তানিদের হত্যাকারী’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে উপস্থিত সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। কারণ তাঁরা তাঁদের হোটেলের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন।

    আসিম মুনির গণহত্যাকারী (Asim Munir)

    ভাইরাল হওয়া অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে একটি মোবাইল ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা গিয়েছে। বিল্ডিংয়ের সামনে পার্ক করে রাখা ওই বিলবোর্ডে লেখা, ‘আসিম মুনির (Asim Munir), গণহত্যাকারী’ এবং ‘যখন বন্দুক কথা বলে, তখন গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়’। জানা গিয়েছে, যাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তাঁরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থক। এঁরা বরাবরই বর্তমান পাক সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন। মুনিরের সফর সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ জানিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।

    ওয়াশিংটনে মুনির

    রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছন মুনির। উদ্দেশ্য, আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা। ‘প্রাথমিকভাবে দ্বিপাক্ষিক প্রকৃতি’র এই সফর ১৪ জুন মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কারণ ওই দিন মুনির ওয়াশিংটনে গেলেও যোগ দেননি মিলিটারি প্যারেডের অনুষ্ঠানে। অবশ্য জল্পনা ছড়িয়েছিল শনিবার ওয়াশিংটনে মিলিটারি প্যারেডে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শালকে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় হোয়াইট হাউস।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভারতের ওই অভিযানে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা হয় পাকিস্তানের। তা সত্ত্বেও সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে প্রমোশন দেয় শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)। তাঁকে উন্নীত করা হয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শাল পদে (Asim Munir)।

  • PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।” মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফের একবার এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে তাঁর প্রায় ৩৫ ধরে কথোপকথন হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান।

    ভারতের পদক্ষেপ পরিমিত (PM Modi)

    চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তারই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পড়শি দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং মোদির। ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নয়’।

    বিক্রম মিস্রির বক্তব্য

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনুরোধ করেনি বা আলোচনা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারত মর্টার শেল ছুড়েছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী এক সক্রিয় অভিযানে রয়েছি এবং এখন সন্ত্রাসবাদকে আমরা আর ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করি না। এটা সরাসরি যুদ্ধই।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের অনুরোধের পরেই। এই অনুরোধ করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল রয়েছে, তার মাধ্যমে। এর পরেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতির পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তাঁরই হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবি যে নেহাৎই অর্থহীন, পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি (PM Modi)।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির বক্তব্য

    কানাডায় আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। তিনি ছিলেন আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং। সেখানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদির ভাষণে অবধারিতভাবে উঠে আসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা শুধুমাত্র পহেলগাঁওয়ের ওপর হামলা ছিল না। এটি ছিল প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার ওপর হামলা। এটি ছিল সমগ্র মানবতার ওপর এক আঘাত।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে যাতে দ্বিমুখী নীতি প্রয়োগ করা না হয় এবং এর বিরুদ্ধে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বিশ্বনেতাদের কাছে সেই আহ্বানও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদি-ট্রাম্পের পার্শ্ববৈঠক বাতিল 

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদি ও ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্পকে তাড়াতাড়ি ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হওয়ায়, সেই বৈঠক হয়নি। ট্রাম্পের অনুরোধে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এটাই ছিল ট্রাম্প-মোদির প্রথম বিশদ আলোচনা। পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকি সম্পর্কে আগে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ভ্যান্স যে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এদিন ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ভারত সেই অনুযায়ী কঠোর ও সুনির্দিষ্টভাবে জবাব দিয়েছে, যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (PM Modi)।”

    ‘কোয়াড’ সম্মেলনে আহ্বান

    এদিকে, এদিন ফোনেই মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) পরবর্তী ‘কোয়াড’ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। মিস্রি জানান, ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি ভারতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোয়াড সম্মেলন হবে ভারতে। মিস্রি বলেন, “কোয়াডের পরবর্তী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।” ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কানাডা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে থামবেন কি না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী মোদি তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্পকে। এরপর উভয় নেতাই সিদ্ধান্ত নেন অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন (PM Modi)।”

  • Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এই অভিযান নিয়েই আলোচনা হয়। আনা হয় প্রস্তাবও। তবে প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। বিজেপির সদস্যপদ নিতে গেলে প্রথমেই উল্লেখিত হয় নেশনস ফার্স্ট। দেশ ক্ষতবিক্ষত হলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে। তাই এই প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করব।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি? সেনাকে কুর্নিশ জানাবেন। আমরা সমর্থন করব, আর আপনারা একটা লাইন রাখবেন না?” তিনি বলেন, “আমার আবেদন প্রস্তাবে অপারেশন সিঁদুর যুক্ত করুন। অতীতে আমার প্রস্তাব আপনারা নিয়েছেন। আর এটা তো দেশের প্রশ্ন।” এই সময় শাসক দলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, “সিঁদুর কি সবাই পরে?” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, সিঁদুর পরে না মাকুরা। ওরা চিনকে সমর্থন করে। যারা ধর্ম মানে না, তারা পরে না।”

    লড়াই পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে

    শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের লড়াই কোনও নির্দিষ্ট জাতি-ধর্ম কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা যারা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যারা এখানে থেকে পাকিস্তানের কথা বলে, আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। যারা এখানে জঙ্গি সংগঠন আনাসুরুল্লা বাংলাকে সমর্থন করে, লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে।” কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল এনডিএ সরকার। জাতের ওপরে উঠে নাজমা হেপতুল্লা, আরিফ খানকে রাজ্যপাল করেছেন নরেন্দ্র মোদিজি।”

    সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

    ভারতীয় সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত মাতা যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তখন আমাদের বীর সেনারা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে মাসুদ আজহার ছাড়া বাকি প্রায় সব জঙ্গিকে নির্বংশ করেছে। বিএসএফ-সহ প্যারা মিলিটারি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “তিন-চারজন যারা হাউসের সদস্য তাঁরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাইরে নানা কথা বলেছেন। আমি চাই এঁরা ক্ষমা চান।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেই সময় তৃণমূলের উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন শুভেন্দু।

    ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি

    এদিকে, রাজ্যের (Operation Sindoor) ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ১৮০টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে। এই ১৮০টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের বিষয়ে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, ওই রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে কিছু না জানিয়ে চোরের মতো এসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী দলকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে।” তাঁর প্রশ্ন, “বিচারাধীন বিষয়ে (Operation Sindoor) কীভাবে সংরক্ষণ করা হল?” ওবিসি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Jaish-E-Mohammed Terrorist: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় হুমকি দিয়েছিলেন মোদিকে, পাকিস্তানে সেই শীর্ষ জইশ কমান্ডারের ‘রহস্য-মৃত্যু’

    Jaish-E-Mohammed Terrorist: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় হুমকি দিয়েছিলেন মোদিকে, পাকিস্তানে সেই শীর্ষ জইশ কমান্ডারের ‘রহস্য-মৃত্যু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানেই (Pakistan) ফের রহস্যজনক মৃত্যু হল এক শীর্ষ জঙ্গি-নেতার। মৃত অবস্থায় উদ্ধার জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-E-Mohammed Terrorist) শীর্ষ কমান্ডার মৌলানা আবদুল আজিজ ইসারের দেহ। মুম্বই হামলার মূল চক্রী জইশ-চিফ মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠবৃত্তের একজন ছিল ইসার। ভারতে জইশের একাধিক জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে হাত ছিল আজিজ ইসারের।

    জঙ্গি নেতার রহস্য মৃত্যু (Jaish-E-Mohammed Terrorist)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় আজিজ ইসারের দেহ। এই বাহাওয়ালপুরেই রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ওই জঙ্গির দেহে একাধিক গুলির ক্ষত রয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত যে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, সেই সময় ভারতের হিট পয়েন্টে ছিল এই বাহাওয়ালপুরও।সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজিজ ইসার মূলত জঙ্গি প্রশিক্ষণের বড় দায়িত্বে ছিল। পাঞ্জাব প্রদেশে এবং বিশেষ করে বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালপিন্ডির মতো এলাকায় ভারতের বিরুদ্ধে স্থানীয় তরুণদের উসকানি দিত সে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আজিজ ইসারের মৃত্যুতে নয়া জঙ্গি তৈরি, বিশেষ করে স্থানীয়দের নিয়োগ এবং মগজ ধোলাই নেটওয়ার্কের কাজে জইশ বড় ধাক্কা খেল। উল্লেখ্য, আজিজ ইসারই প্রথম নয়, গত এক মাসে পাকিস্তানে রহস্যমৃত্যু হয়েছে একাধিক শীর্ষ জঙ্গি নেতার।

    আজিজ ইসারের হুমকি

    ভারত যখন পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন আজিজ ইসারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে সে সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে (Jaish-E-Mohammed Terrorist) বলে, “নরেন্দ্র মোদি, হিন্দুস্তানের সরকারকে সামলাও। মুজাহিদিন কাশ্মীর ছিনিয়ে নেবে তোমাদের কাছ থেকে।” এহেন জঙ্গি নেতার রহস্যমৃত্যুতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, বাহওয়ালপুরে জইশের সদর দফতরেই আবদুলের শেষকৃত্য হবে।

    ভারত বিরোধী বক্তৃতা দেওয়ার জন্যই পরিচিত ছিল আজিজ ইসার। গত মাসেই পাকিস্তানের এক জনসভায় ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিল সে। আজিজ ইসার ওই জনসভায় দাবি করেছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের দশা হতে চলেছে ভারতের। সোভিয়েত ইউনিয়ন যেভাবে ভেঙে গিয়েছিল, ভারতও তেমনিভাবে ভেঙে যাবে। আজিজ ইসারের মৃত্যুতে পাক সরকারের তরফে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্তও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি (Pakistan) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে ছিল আজিজ ইসারের সংগঠনের ডেরা বাহাওয়ালপুরও (Jaish-E-Mohammed Terrorist)।

LinkedIn
Share